Tag: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, যা জানালেন মন্ত্রী

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, যা জানালেন মন্ত্রী

    সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে— কবে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান?

    এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।

    বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।

    তিনি বলেন, এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি। এই মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারছি না।

    চলমান এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সরকারের মূল অগ্রাধিকার বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

    এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ বক্তব্যকে ঘিরে গত রোববার মধ্যরাত থেকে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ছাত্রসমাজ। এরপর সোম, মঙ্গল ও বুধবার টানা তিনদিন সারা দেশে ছাত্র আন্দোলন জোরালো হয়ে ওঠে। আন্দোলন দমাতে পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ ক্ষমতাসীনরা মাঠে নামে। এতে সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।

    উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৬ জুলাই সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-পলিটেকনিকসহ সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। একই সঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিক্যাল কলেজ, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

    এ ছাড়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সব কলেজও বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাথমিক স্কুলও।

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল

    মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবার থাকছে না। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এই ছুটি শীতের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

    বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বেসরকারি শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সভা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

    সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠদান ও মূল্যায়ন শেষ করতে হবে। কেননা এবার নির্বাচন রয়েছে। এজন্য গ্রীষ্মকালীন যে ছুটি সেটা শীতের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

    শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ২০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ছিল। সেটি এখন আর হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    এদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে টানা নবম দিনের মতো আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আগামী নির্বাচনের আগে জাতীয়করণের সুযোগ নেই। যদিও এ ব্যাপারে ভাবতে একটি কমিটি করে দেবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

    বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে অনেকেই বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে থাকে। এই সরকারের সময়ে শিক্ষকদের কোনো দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হয় না। আমরা দুটি কমিটি করে দেব, তারা এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করবে।

  • রোববার ৪ বোর্ডের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

    রোববার ৪ বোর্ডের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

    ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চার বোর্ডের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রোববার (১৪ মে) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    শনিবার (১৩ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইফুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বোর্ডগুলো হলো- চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ও যশোর শিক্ষা বোর্ড।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ও যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন জেলাগুলোর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম ১৪ মে (রোববার) বন্ধ থাকবে।

    এজন্য বোর্ডগুলোর আওতাধীন জেলার তার কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন শিক্ষপ্রতিষ্ঠাগুলো রোববার বন্ধের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

  • ১৪ নভেম্বর এসএসসি, ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা

    ১৪ নভেম্বর এসএসসি, ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা

    আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে এসএসসি এবং ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। সূচি অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবে ২৩ নভেম্বর এবং এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হবে ২৮ ডিসেম্বর।

    মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি চূড়ান্ত করে আজ সোমবার অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

    এর আগে গত শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় আর্ট গ্যালারিতে ১৭ দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু’ ডিজিটাল এক্সজিবিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, ‘সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নভেম্বরের মাঝামাঝি এবং ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’

    শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেখানে সমস্যা হয়েছে, সেখানে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কি-না, তা পর্যবেক্ষণ করছি। অনেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। আমরা এর কোনো সত্যতা পাইনি।’

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে করোনা মহামারি চলমান। যদিও সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। কাজেই আমাদের তীক্ষ্ম নজর রাখতে হবে, সবার দিকে। কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে। বাড়িতে, বাড়ির বাইরে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অন্যদিকে, আবার তাদের দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও সংক্রমিত হতে পারে। সেটি যেন না ঘটে, তা নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। কোথাও কোনো শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়া মাত্র যেন ব্যবস্থা নিতে পারি, সে বিষয়ে আমরা সচেতন ও সজাগ। কোথাও থেকে তথ্য পাওয়ামাত্র দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জন অফিসসহ সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

    দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগেই বলেছি, কোথাও থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে বা পড়ার আশঙ্কা থাকলে প্রয়োজনে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি কোথাও হয়, সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনতে চাচ্ছি না। অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে তারা বাসায় বসে নিয়মিত ক্লাসগুলো করুক। তিন সপ্তাহ পার হোক, তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

    এন-কে

  • দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আইনি নোটিশ

    দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আইনি নোটিশ

    দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    আজ বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিবসহ ছয় জনকে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

    করোনা মহামারি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে এ নোটিশ দেয়া হয়েছে। এতে নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও প্রচার করার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

    একইসঙ্গে নোটিশে করোনাকালীন পুরো সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে যৌথ কমিটি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে অনলাইনে শতভাগ ক্লাস নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    এন-কে

  • নরসিংদীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে মাউশি মহাপরিচালক

    নরসিংদীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে মাউশি মহাপরিচালক

    মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো: গোলাম ফারুক বলেছেন, কেবলমাত্র করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা নয়, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নরসিংদী জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

    এসময় মাউশি মহাপরিচালক বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলাসহ স্থায়ীভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা।

    তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের যে ঘাটতি হয়েছে তা নিয়মিত পাঠদানের মাধ্যমেই পূরণ করা সম্ভব হবে। ঝড়েপড়া শিক্ষার্থী সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রতিদিন ডাটাবেইজ তৈরি করা হচ্ছে, সব প্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়ার পর দ্রুতই ঝড়েপড়া শিক্ষার্থী সম্পর্কে জানা যাবে।

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন মাউশির মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন উইং এর পরিচালক প্রফেসর আমির হোসেন, পরিচালক অর্থ ও ক্রয় প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম খান, ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মনোয়ার হোসেন, নরসিংদীর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র মিত্র।

    এন-কে

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ৩০ মার্চ

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ৩০ মার্চ

    করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এক বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ৩০ মার্চ স্কুল ও কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    সচিবালয়ে শনিবার এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এই সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

    তিনি বলেছেন, ৩০ মার্চ থেকে খুললেও সব শিক্ষার্থী প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবে না। আর পুরো রোজায় ছুটি এবার থাকবে না।

    বাংলাদেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে কওমি মাদ্রাসা খুললেও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও ‘ছুটি’ চলছে।

    মহামারীর প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় এবং এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির কথা বিবেচনা করে গত ২৩ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার প্রস্তুতি নিতে বলেছিল।

    তার মধ্যে বিভিন্ন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামলে সম্প্রতি জরুরি এক বৈঠক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রোজার ঈদের পর ২৪ মে খোলার সিদ্ধান্ত নেয়।

    এখন স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্তও হল এবং সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেই খুলছে।

    দীপু মনি বলেন, “প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমরা আগামী মার্চ মাসের ৩০ তারিখ থেকে খুলে দেব।

    “সেখানে আমরা আগেও যেভাবে বলেছি যে, হয়ত পর্যায়ক্রমে, একদম প্রথমে প্রাথমিকে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত, তারা হয়ত প্রতিদিনই আসবেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে দশম ও দ্বাদশ প্রতিদিন আনব। বাকিগুলো হয়ত প্রথমে সপ্তাহে একদিন আসবে, তারপর থেকে সপ্তাহে দুইদিন করে আসবে। তারপর পর্যায়ক্রমে আমরা স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাব।”

    প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় আপাতত খুলছে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

    তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্য যে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার কার্যক্রম, তা এর মধ্যে শেষ হবে।

    স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে কি না, তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা সেগুলো দেখবে, তার উপর নজর রাখবে শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

    প্রাথমিকের প্রায় দেড় লাখ শিক্ষক ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছেন জানিয়ে দীপু মনি বলেন, “শিক্ষকদের রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টা পুরোপুরি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাথে শিক্ষা বিভাগ যৌথভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে করবে।”

    শিক্ষকদের টিকা প্রদানে সহযোগিতা করতে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানোর কথাও জানান তিনি।

    “টিকার সংখ্যা যত বাড়তে থাকবে, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি একদম স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া তত দ্রুততার সাথে করা সম্ভব হবে।”

    রোজায় খোলা

    মহামারীতে ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে এবার রোজায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

    “পুরো রোজায় শিক্ষার্থীদের ছুটি থাকবে না। কারণ একটা বছর তো বন্ধই ছিল। আর ছেলেমেয়েরা একটা বছর বাড়িতে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছে, কাজেই আমার মনে হয় না যে রোজা রেখে ক্লাস করতে ওদের অসুবিধা হবে। ঈদের সময় ওদের কয়েকদিন ছুটি থাকবে।”

    বিশেষ এই সময়ে এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবস এবং এইচএসসির জন্য ৮০ কর্মদিবসের সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, এই সিলেবাস শেষ করেই পরীক্ষা দুটি নেওয়া হবে।

    কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে গতবছর পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া যায়নি।

    আর অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়েছে।

    বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য টিকা

    দীপু মনি জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২২০টি ছাত্রাবাসের প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার তৎপরতা চলছে।

    তিনি বলেন, “১ লাখ ৩০৯ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাথে কথা হয়েছে আমাদের। সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইউজিসির মাধ্যমে গত বুধবার চিঠি দিয়েছি এ ব্যাপারে।

    “বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সকল আবাসিক শিক্ষার্থীর নাম-ঠিকানাসহ তাদের ন্যাশনাল আইডির নম্বর আমাদের পাঠাবেন। আমরা সেটা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে দিয়ে দেব। ফলে এই আবাসিক শিক্ষার্থীরা যেখানেই থাকেন না কেন, তারা যেন রেজিস্ট্রেশন করে নিকটবর্তী কেন্দ্র থেকে টিকা দিতে পারবে।”

    ১৭ মে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলার আগেই আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

    করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।

    শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এতে বলা হয়েছে– কোভিড মহামারীর কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে কওমি মাদ্রাসা এ নির্দেশনার বাইরে থাকবে।

    দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ছিল। সেই ছুটি এবার ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল। তবে ছুটি চলাকালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত

    বিশ্বব্যাপী করোনার ভাইরাস মহামারির কারণে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টারের ছুটি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

    এসময়ে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্ডেন স্কুলগুলোও বন্ধ থাকবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমন থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে নিজেদের এবং অন্যদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। তবে, কওমি মাদরাাসায় যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে।

    শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    জানা গেছে, ছুটির সময় ভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা ও অনুশাসনগুলো শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের বলা হয়েছে এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন। শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।

    দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সব অফিস-আদালত আর যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধই থাকে।

    গত ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মহামারির কারণে নেয়া সম্ভব হয়নি। এবারের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা এবং জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও কেন্দ্রীয়ভাবে হচ্ছে না।

  • ধাপে ধাপে খোলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : প্রধানমন্ত্রী

    ধাপে ধাপে খোলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছন, আত্মবিশ্বাস নিয়ে মহামারি করোনাভাইরাস দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ধাপে ধাপে খোলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

    আজ রোববার (৩১ মে) সকাল ১১টায় গণবভনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    এর আগে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করা হয়।

    এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফল ঘোষণা করেন।
    এসময় করোনা শঙ্কটের মধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, সংকট কাটতে থাকলে ধাপে ধাপে খোলা হবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মাঝে রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে না।’

    তিনি জানান, আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলাফল ঘোষণার পর পরীক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসে ফল জানতে পারবে। এসএমএসে দু’ভাবে ফল জানা যাবে। ফল প্রকাশের পর নির্ধারিত পদ্ধতিতে এসএমএস করলে ফিরতি এসএমএসে ফল চলে যাবে। এছাড়া রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিবন্ধন করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসএমএসে ফল চলে যাবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ১৭ দফা নির্দেশনা

    করোনার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ১৭ দফা নির্দেশনা

    করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে মাস্ক, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট থার্মোমিটার সংগ্রহ করে জরুরি কাজের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

    প্রতি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ছাড়াও শিক্ষক ও শিক্ষাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় এমনি ১৭ ধরনের নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি চলছে। ছুটি আর না বাড়লে ৩১ মে খুলবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইঙ্গিত দিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে প্রয়োজনে সেপ্টেম্বরে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপরও স্বাস্থ্য অধিদফতর ২ মে ১৭ ধরনের করণীয় নির্ধারণ করেছে।

    ‘কোভিড-১৯’ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে করণীয়গুলোর মধ্যে রয়েছে :-

    ১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে মাস্ক, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট থার্মোমিটার সংগ্রহ করে জরুরি কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন।

    প্রতি ইউনিটের জবাবদিহিতা বাস্তবায়ন এবং শিক্ষক ও শিক্ষাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ জোরদার করুন।

    ২. শিক্ষক, শিক্ষাদান কর্মী ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ জোরদার করুন। সকাল ও দুপুরে পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং ‘প্রতিদিনের প্রতিবেদন’ এবং ‘শূন্য প্রতিবেদন’ পদ্ধতি প্রবর্তন করুন।

    ৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গেটে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত শিক্ষাদানকর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা নিন। বেশি পাওয়া গেলে প্রবেশে নিষেধ করুন।

    ৪. শ্রেণিকক্ষ, খেলার মাঠ এবং পাঠাগারের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বায়ু চলাচল নির্বিঘ্ন করুন। দিনে ২-৩ বার ২০-৩০ মিনিটের মতো উন্মুক্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক মাত্রা নিশ্চিত করুন।

    ৫. শ্রেণিকক্ষ ছাড়াও সবাই ব্যবহার করে এমন স্থান যেমন মেঝে, দরজা ও সিঁড়ির হাতল এবং যেসব বস্তু বারবার ব্যবহৃত হয় সেসব বস্তুর তলপৃষ্ঠ ঘন ঘন পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন।

    ৬. খাবার থালা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা, প্রতিবার ব্যবহারের পর সেগুলো ফের জীবাণুমুক্ত করুন।

    ৭. দূরত্ব বজায় রেখে খাবার গ্রহণ করা এবং সম্পূর্ণ নিজস্ব থালাবাসন বা ওয়ানটাইম থালাবাসন ব্যবহার করুন।

    ৮. প্রতিষ্ঠান চত্বরের আবর্জনা প্রতিদিন পরিষ্কার এবং আবর্জনা সংরক্ষণকারী পাত্র জীবাণুমুক্ত করুন।

    ৯. অফিসে কাগজের সীমিত ব্যবহারকে উৎসাহিত করুন। শারীরিক যোগাযোগ কমিয়ে অনলাইন শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিন।

    ১০. স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত যে কোনো জমায়েত বা ক্রিয়াকলাপ থেকে বিরত থাকন। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।

    ১১. শিক্ষক, শিক্ষাদানকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের বহির্গমন কমিয়ে দিন।

    ১২. শিক্ষাদান কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীরা মাস্ক ব্যবহার করুন। হাত ধোয়াসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। দ্রুত হাত শুকানো জীবাণুনাশক বা জীবাণুনাশক টিস্যু ব্যবহার করুন। হাঁচি দেয়ার সময় মুখ এবং নাক ঢাকতে টিস্যু বা কনুই ব্যবহার করুন।

    ১৩. মহামারী প্রতিরোধ জোরদার করুন। শিক্ষাদানের সময় নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করুন।

    ১৪. কোভিড-১৯ এর সন্দেহভাজন ব্যক্তি থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে জানান এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করুন।

    ১৫. কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পিতামাতার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানা এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করার জন্য একজন বিশেষ ব্যক্তিকে নিয়োগ করুন।

    ১৬. নিশ্চিত কোভিড-১৯ কেস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ এবং বায়ু চলাচল ব্যবস্থা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন। মূল্যায়ন না হওয়া পর্যন্ত এটির পুনরায় ব্যবহার শুরু করা থেকে বিরত থাকুন।

    ১৭. একত্রে বসে খাওয়ার মতো ডাইনিং পরিষেবা বন্ধ রাখতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মঙ্গলবার থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

    মঙ্গলবার থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজধানী ডেস্ক : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সারাদেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আজ ১৬ মার্চ সোমবার দুপুরে এ তথ্য ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেছে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে আমরা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমন আতঙ্কে দেশের প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে আসছিল। ক্লাস বর্জন শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরাও বিবৃতি দিয়ে ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

    এদিকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস–পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। ৩৬ জন শিক্ষকের অভিমতের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    অন্যদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর নাগরিকদের আজ ১৬ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে বাংলাদেশে সাময়িকভাবে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।

    সরকারের পূর্ব ঘোষিত এ সিদ্ধান্ত আজ দুপুর থেকেই কার্যকর হচ্ছে। ফলে দুপুরের পর থেকে কোনো বিদেশি এয়ারলাইন্স যদি ইউরোপীয় যাত্রী নিয়ে আসে, তাহলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।

    ২৪ ঘন্টা/ আর এস পি..