Tag: শিক্ষামন্ত্রী

  • তারা এ যুগের ‘সাচ্চা’ রাজাকার: কোটাবিরোধীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী

    তারা এ যুগের ‘সাচ্চা’ রাজাকার: কোটাবিরোধীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, যাদের মুখ থেকে বের হয়, আমি রাজাকার, তারা প্রমাণ করছে তারা এ-যুগের ‘সাচ্চা’ রাজাকার! যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্মপরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘রাজাকার’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার।

    রোববার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে মন্ত্রী বলেন, যাদের মুখ থেকে বের হয়, আমি রাজাকার — তারা প্রমাণ করছে তারা এ-যুগের ‘সাচ্চা’ রাজাকার! এরা আদালত মানে না, সরকারও মানে না, সুতরাং, এই রাষ্ট্রদ্রোহীদের পক্ষে এই রাষ্ট্রকে মানা সম্ভব না! সঠিক স্লোগানই ধরেছে তারা! বের হয়ে আসুক এ যুগের রাজাকারদের আসল চেহারা!

    সোমবার অপর এক পোস্টে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা করেছে, আন্দোলন করেছে। এটি অবশ্যই নাগরিক অধিকার। এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত নেই।

    কিন্তু যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্ম পরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার! রাজাকার!’ স্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার।

    এরা রাষ্ট্র মানে না, আদালত মানে না, ইতিহাস মানে না, এবং সর্বোপরি এই দেশকেই মানে না!

    আর ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই যুগের রাজাকারেরা একটু সক্রিয় বেশি। কারণ কিছু একটা মন্তব্য লিখে, একটা স্ট্যাটাস দেওয়ার ভার্চুয়াল রাজাকারি করা অনেক সহজ।

    তিনি বলেন, রাজাকার আগেও ছিল এবং এর ধারাবাহিকতায় এখনও আছে! ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রায় ২০% শতাংশ ভোট পড়েছিল নেজামি ইসলামি, মুসলিম লীগ ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই ২০% এর অর্ধেক ১০% ধরে আজকের ১৬ কোটি মানুষের সাথে মেলালে আসবে ১.৬ কোটি। এর মধ্যে ০.৬ কোটিও যদি সারাদিন নিজের রাজাকারির অরাজকতা প্রকাশ করে, বাকি জনগোষ্ঠীর তুলনায় এরা নগণ্যই থাকবে!

    ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, এদের আওয়াজে বিভ্রান্ত হলে চলবে না! এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ঐ যুগের রাজাকারদের মতই হবে! ঘৃণা, ধিক্কার, আর ক্রোধ এদের প্রতি! রাজাকারের দল তোরা, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়!

    কোটাবিরোধী আন্দোলনে হঠাৎ করেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রোববার দিবাগত মধ্যরাতে। এদিন বিকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজাকার ইস্যুতে। সরকারের একটি কথার প্রতিবাদ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নিজেদের রাজাকার ঘোষণা করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

    বিষয়টি একটা সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসের হলে হলে। রাতে হঠাৎ করেই সরকারপ্রধানের মন্তব্যের প্রতিবাদ করে নিজেদের রাজাকার ঘোষণা করে স্লোগান দিতে থাকেন। একটা সময় ঢাবির হল থেকে বের হয়ে রাতে শাহবাগে মিছিল নিয়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় আন্দোলন। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। স্লোগান দিতে থাকেন, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার’।

    শিক্ষার্থীদের এমন স্লোগান নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এমনই প্রেক্ষাপটে রোববার রাতে ফেসবুকে উল্লিখিত পোস্ট দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

  • মেডিকেল ভর্তির জন্য ‘কিছু করতে’ শিক্ষামন্ত্রীকে ম্যাসেজ!

    মেডিকেল ভর্তির জন্য ‘কিছু করতে’ শিক্ষামন্ত্রীকে ম্যাসেজ!

    সম্প্রতি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু কিছু অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মোবাইল ফোনে সন্তানদের পরীক্ষার রোল নাম্বার দিয়ে কিছু করা যাবে কিনা জানতে চান। এতে ক্ষোভ জানিয়ে অভিভাবকদের নৈতিক অধঃপতন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী।

    বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটা ভর্তির জন্য অভিভাবকদের যে নৈতিক অবস্থা। সেখান থেকে তারা যেন কোনোভাবে আপস না করেন। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যর বিষয় আমরা প্রায় সময় দেখি যে বিশেষ করে মেডিকেল এডমিশনের ক্ষেত্রে। এ বছর আমার মোবাইল ফোনে অনেক মেসেজ পেয়েছি, বলেছে আমার সন্তান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে কিছু করা যাবে কিনা। অনেকে রোল নাম্বারও দিয়েছে।

    অভিভাবকদের উপর ক্ষোভ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের নৈতিকতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। যেখানে মন্ত্রী পর্যায়ে মেসেজ করে বলা হচ্ছে যে, এটা আমার সন্তানের রোল নম্বর, এমবিবিএস পরীক্ষা দিয়েছে আপনি কি কিছু করতে পারবেন। এটা আমাদের জন্য একটা লজ্জাজনক বিষয়। এরকম নৈতিক অধঃপতন যদি অভিভাবক পর্যায়ে হয়; সন্তানকে আমরা কী শিক্ষা দেব।

  • নতুন কারিকুলামে ক্রীড়াকে অন্যতম শিক্ষণ পদ্ধতি হিসেবে রাখা হয়েছে

    নতুন কারিকুলামে ক্রীড়াকে অন্যতম শিক্ষণ পদ্ধতি হিসেবে রাখা হয়েছে

    শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা একটি নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের পথে আছি। আমরা এই নতুন কারিকুলামে ক্রীড়াকে অন্যতম শিক্ষণ পদ্ধতি হিসেবে রেখেছি।

    বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজশাহী নগরীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে ৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ক্রীড়া খাতে শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী। অংশগ্রহণকারীর দিক থেকে এটি দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় প্রতিযোগিতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ এই ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষায় রূপান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট সকল দক্ষতা আমরা শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করবো।

    তিনি আরও বলেন, সারা দেশ থেকে ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাত লাখ ছাত্র-ছাত্রী আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা করবেন। চূড়ান্ত পর্বে সকল ইভেন্টে মোট প্রতিযোগী রয়েছে ৮২৪ জন, এর মধ্যে ছাত্র ৪৪০ জন এবং ছাত্রী ৩৮৪ জন। ৫২তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে চূড়ান্ত পর্বে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে- চারটি ফুলের নামে। এগুলো হলো- রাজশাহী ও দিনাজপুর ‘চাঁপা’ অঞ্চল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ ‘পদ্ম’ অঞ্চল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা ‘বকুল’ অঞ্চল এবং খুলনা ও বরিশাল ‘গোলাপ’ অঞ্চল।

    মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কর্মসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যেসব দক্ষতার প্রয়োজন হয় শিক্ষা ও খেলাধুলার মাধ্যমে তা অর্জিত হবে। শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের জন্ম হয়। এটি বাংলাদেশে অন্যতম একটি বৃহৎ প্রতিযোগিতা। বিভাগগুলোকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে দেশব্যাপী ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে চাই। এই নতুন সরকারের শুভ সূচনায় প্রথম রাজধানীর বাইরে রাজশাহীতে এমন আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের সন্তানদের কথা বিবেচনায় রেখে, নতুন প্রজন্মের কথা বিবেচনায় রেখে তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমাদের গর্বিত করেছেন। খেলাধুলা আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে নতুন কারিকুলামে বিশাল একটা অংশে অ্যাক্টিভিটি বেইজ লার্নিং, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সুফল পাবে।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম প্রমুখ। এ ছাড়া আট শতাধিক খেলোয়াড় এবং দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষা অফিসার ও ক্রীড়া কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর ব্যবস্থাপনায় ৬ দিনব্যাপী এই ক্রীড়াযজ্ঞের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। এই প্রতিযোগিতায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা ইভেন্টে অ্যাথলেটিকস, দৌড়, বর্শা নিক্ষেপ, দীর্ঘ লাফ, চাকতি নিক্ষেপ, গোলক নিক্ষেপ, দড়িলাফ ইভেন্টসহ, হকি, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন একক ও দ্বৈত, সাইক্লিং ইভেন্টে জাতীয় স্কুল মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির শীতকালীন খেলার মহারণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এই ৮টি ডিসিপ্লিনে সারা দেশ থেকে আট শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।

  • অপরাজনীতি করবেন না, বিভ্রান্তি থাকলে শিক্ষাক্রম সংশোধন হবে: শিক্ষামন্ত্রী

    অপরাজনীতি করবেন না, বিভ্রান্তি থাকলে শিক্ষাক্রম সংশোধন হবে: শিক্ষামন্ত্রী

    নতুন শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে মাদরাসা শিক্ষকসহ সব পক্ষকে অপরাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    তিনি বলেন, ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে। কিন্তু শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে কেউ অপরাজনীতি করবেন না।’

    সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ’র সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বই লেখার কাজে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) মাদরাসা শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এতে তারা মাদরাসার জন্য প্রণীত পাঠ্যবইয়ে তাদের মতামত দিয়ে অবদান রাখতে পারবেন।’

    তিনি বলেন, ‘উপমহাদেশে হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামী ভাবধারা দেশের আলিয়া মাদরাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে মাদরাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। নতুন এ শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক শিক্ষা নিশ্চিত করবে, যা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই।’

    শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। সরকার ১ হাজার ৮০০টি মাদরাসা ভবন নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া অসংখ্য মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

    মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী মাদরাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি শোনেন। যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে বিবেচনা করা হবে বলেও জানান।

    সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ, শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু প্রমুখ।

  • পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে: শিক্ষামন্ত্রী

    পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে: শিক্ষামন্ত্রী

    পাঠ্যবইয়ে আলোচিত শরীফার গল্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, কোনো বিভ্রান্তি থাকলে পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

    ব্র্যাকের বিতর্ক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনে তারপর আলোচনা করবো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা একটি ভিডিও দেখেছি।

    শরীফা গল্পটি নিয়ে গতবারও বিতর্ক উঠেছিল, এবার শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) যারা সহকর্মী আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। যদি একটি গল্প নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয়, কেন হচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের দেশে একটি গোষ্ঠীর ধর্ম ব্যবহার করে অরাজকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রবণতা আছে। গত বছরও সেটা ছিল। একটি সংগঠন থেকে কিছুদিন আগে আমার কাছে কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, কওমি মাদরাসার কিছু শিক্ষক এসেছিলেন। সেখানে তারা দাবি করেছেন যে এখানে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিষয়টি তারা আমাদের নজরে এনেছিলেন। আমরা যখন আলোচনা করেছি তখন দেখেছি শব্দটা ট্রান্সজেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডার।

    ‘সেটা তো আইনত স্বীকৃত যে তৃতীয় লিঙ্গ যাদের সমাজে হিজড়া নামে পরিচিত। তারা দেশের নাগরিক। তাদের নাগরিক অধিকার রয়েছে। তবে গল্প উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যদি এমনভাবে উপস্থাপন হয় যেখানে এ ধরনের বিভ্রান্তি এবং বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস থাকে তাহলে এ গল্পের উপস্থাপনা পরিবর্তন করা যায় কি না বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবো। তাদের প্রতি সম্মান রেখে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে যদি ভিন্ন কোনো সুযোগ থাকে তাহলে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মতামত দেবেন। এটা যেহেতু বিশেষায়িত বিষয়। আমরা পলিসি লেভেল সেটি মন্তব্য করতে চাই না।’

  • নতুন কারিকুলামের লক্ষ্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা: শিক্ষামন্ত্রী

    নতুন কারিকুলামের লক্ষ্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের সন্তানদের দক্ষ, জ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলায় নতুন কারিকুলামের প্রধান লক্ষ্য।

    রোববার (২১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত ২ কোটি শিক্ষার্থী পাঠগ্রহণ করলেও মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ১ কোটি ৮০ লাখ শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করতে পারে। দুই কোটির মধ্যে মাত্র ২০ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত পাঠগ্রহণ করতে পারে। প্রচলিত শিক্ষা ও পাঠগ্রহণ কার্যক্রমে বড় অঙ্কের শিক্ষার্থী নিম্ন মাধ্যমিকের পাঠগ্রহণ করতে না পারায় তারা দক্ষ মানবসম্পদে উন্নীত হতে পারছে না।

    তিনি বলেন, দেশ থেকে বিদেশে কাজ করতে যাওয়া অধিকাংশ মানুষ অদক্ষ। এ কারণে এ খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের গতিও খুবই মন্থর। দেশের ২৯ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো সংস্কার অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেবে।

    তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা যাতে প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে এবং নিজেরা নিজেদের কর্মসংস্থান ঠিক করতে পারে সেদিকে শিক্ষক ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টদের মনোযোগ দিতে হবে।

    শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাঙ্গনে ভর্তি বাণিজ্য এবং অন্য কোনো অনিয়মের সঙ্গে কেউ যুক্ত হলে তাকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে।

    তিনি বলেন, শিক্ষকদের নিজেদের পেশার প্রতি দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ হতে হবে। শিক্ষকরা অবশ্যই রাজনীতি করবেন কিন্তু অন্ধভাবে রাজনৈতিক দলের তোষামোদকারী হয়ে নয়।

    মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ সালাম, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম নাছির উদ্দীন ও উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান সভায় বক্তব্য রাখন।

  • কিছু সিদ্ধান্ত দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী

    কিছু সিদ্ধান্ত দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী

    সমালোচনার ভয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন থেকে ‘সরকার পিছপা হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    তিনি বলেছেন, ভালো কিছু করার লক্ষ্যে সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে কিছু বিষয়ে অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে।

    নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিভিন্ন ধরণের সমালোচনা, অপপ্রচার ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার করণীয় জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নতুন শিক্ষামন্ত্রী।

    তিনি বলেন, “আমাদের চ্যালেঞ্জটা একটু কমপ্লেক্স। সরকারে থাকলে চ্যালেঞ্জ একটু কমপ্লেক্স হয়। আর হ্যাঁ, কিছু সমালোচনা হবে। সেই সমালোচনা নেওয়ার সক্ষমতা রাজনীতিবিদদের থাকতে হবে। সক্ষমতা আমাদের আছে। আমরা সেটা পারব।

    “আমাদেরকে যে সিদ্ধান্তগুলো শিক্ষাবিদদের সাথে, বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে নেয়া হয়েছে…, শুধুমাত্র সমালোচিত হব এই ভয়ে যে সিদ্ধান্ত যথার্থ এবং সঠিক সেটা নিব না, তা হতে দেওয়া যায় না। দৃঢ়ভাবে কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন আমাদের অবশ্যই করতে হবে। এটার কোনো বিকল্প নেই।”

    শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নওফেল।

    চলতি বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। আগামী শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণি যুক্ত হবে নতুন শিক্ষাক্রমের তালিকায়।

    নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা না রাখা, এসএসসির আগে পাবলিক পরীক্ষা না নেওয়া, নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগভিত্তিক বিভাজন তুলে দেওয়াসহ একগুচ্ছ পরিবর্তন আনা হয়েছে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পরীক্ষা ও মুখস্ত নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শেখার মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠ প্রক্রিয়া হয়েছে আনন্দময়।

    তবে পরীক্ষা কমানো, বিভাগ বিভাজন তুলে দেওয়া, মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন দিক নিয়ে অনেকে সমালোচনাও করছেন।

    এর আগে নওফেল বলেছিলেন, প্রয়োজনে নতুন শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আসতে পরে।

    এবার নওফেল বলেন, “একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় হচ্ছে আসলে, নেগেটিভ জিনিস ভাইরাল হয় বেশি। এটা একটা। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, নিবন্ধিত এবং আইনত স্বীকৃত গণমাধ্যম যেভাবে একটা বিষয় যাচাই-বাছাই অনুসন্ধান করে গণমাধ্যমে দেয়, সেভাবে কিন্তু সাধারণ মানুষ, যারা অপপ্রচার করে তারা বা আমরা যারা ব্যবহারকারী তারাও দিই না।

    “দেখা যায়, নেগেটিভ প্রচারণার প্রতি আমাদের দৃষ্টি বেশি থাকে। নিজেরাও অনেক সময় অজান্তে নেগেটিভ প্রচারণাতে আমরা জড়িয়ে পড়ি। সেটা কাউন্টার করাটা সারা বিশ্বব্যাপী একটা চ্যালেঞ্জ।”

    শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে নওফেল বলেন, “কোনো রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা, ক্ষমতার দম্ভ, অহংকার- এ ধরণের কাজে আমি বিশ্বাস করি না। আমার বাবা চট্টলাবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সাড়ে ১৬ বছর চট্টগ্রামের মেয়র ছিলেন। আমি দেখেছি কিভাবে তিনি জনসেবা দিয়েছেন।

    “প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় তিনি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন। রাজনৈতিক ক্ষমতা, আমি যেহেতু শৈশব থেকে দেখে এসেছি সেগুলোর প্রতি তাই আমার কোনো লোভ লালসা নেই।”

    এই সরকারকে জনসেবায় কিভাবে আরো বেশি করে কাজে লাগানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করবেন জানিয়ে নওফেল বলেন, “বিশেষ করে তরুণ সমাজকে কিভাবে আরো কর্মমুখী করতে পারি, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো বেশি ইন্ডাস্ট্রির সাথে, অর্থনৈতিক সম্পৃক্ত করতে পারি সেলক্ষ্যে আমরা কাজ করব।”

    চট্টগ্রাম নগরীর বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে নওফেল কি ভাবছেন এমন প্রশ্নে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, চট্টগ্রামকে ঘিরে অনেক উন্নত, আন্তর্জাতিক মানের অবকাঠামো তিনি করে দিয়েছেন। সুদূর টেকনাফ থেকে শুরু করে সেই ফেনী পর্যন্ত। নানা ধরণের অবকাঠামো এখানে হয়েছে।

    “এই অঞ্চলকে ঘিরে যে বাণিজ্য হত, অর্থনীতিতে যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, সেসমস্ত জায়গায় তরুণরা কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে, তরুণদের কিভাবে কর্মসংস্থান হতে পারে, সে বিষয়ে তিনি আমাদের বিশেষভাবে কাজ করতে বলেছেন।”

    সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করণীয় নির্ধারণ করবেন জানিয়ে নওফেল বলেন, “আমাদের নেতৃবৃন্দ এখানে যারা আছেন। যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ এবং প্রগতিশীল অন্যান্য রাজনৈতিক দলে সমূহের যারা আছেন, তাদের সবার সাথে আলোচনা করে একটা ইকোনমিক ইকো-সিস্টেম আমরা যাতে করতে পারি।

    “এবং ইকোনমির সাথে এডুকেশনের একটা সম্পর্ক, সেটা যাতে আমরা সৃষ্টি করতে পারি। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের সন্তানরা শুধুমাত্র ভবিষ্যতের আশায় বিদেশে পাড়ি দেবেন এবং বিদেশে যাওয়া ছাড়া যদি তাদের আর কোনো গতি না থাকে তাহলে বুঝে নিতে হবে আমরা যারা চট্টগ্রামে আছি এটা আমাদের ব্যর্থতা। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করব।”

    এর আগে বৈঠকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়সহ স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামে শীতার্ত মানুষের মাঝে শিক্ষামন্ত্রীর শীতবস্ত্র বিতরণ

    চট্টগ্রামে শীতার্ত মানুষের মাঝে শিক্ষামন্ত্রীর শীতবস্ত্র বিতরণ

    চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার কাউন্সিলর কার্যালয়ে এক হাজার শীতার্ত ও গরীব অসহায় মানুষের মাঝে আজ ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১১টায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি।

    এছাড়াও চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, লালখানবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল, সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৭ এর কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্তসহ মহানগর আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা, ঠান্ডা কনকনে বাতাস সব মিলিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সামর্থ্য অনুযায়ী এসব হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত। সারা বিশ্বের আর্থিক মন্দার মধ্যেও শেখ হাসিনার সরকার দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে মানুষের যাতে শীতে কষ্ট না হয় সেজন্য সারাদেশে কম্বল ও গরম কাপড় বিতরণ করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ এখানে অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি।

    মন্ত্রী বলেন, আপনারা অবশ্যই সরকারের এ অবদানের কথা মনে রাখবেন। বর্তমান সরকারই পারে দেশকে উন্নতির শিখড়ে পৌঁছে দিতে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সকলকেই স্মার্ট সিটিজেনে পরিনত হতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।

  • জনদূর্ভোগ এড়াতে সংবর্ধনা ছাড়াই চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী

    জনদূর্ভোগ এড়াতে সংবর্ধনা ছাড়াই চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী

    সরকারের নবনির্বাচিত শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি মন্ত্রনালয়ে দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করে বিকাল ৫ ঘটিকায় সাপ্তাহিক ছুটির শুরুতে সড়ক পথে নিজ শহর চট্টগ্রামের বাড়িতে চলে আসলেন। জনদূর্ভোগ এড়াতে বিমানবন্দর বা রেল স্টেশনে সংবর্ধনা এবং ফুলেল শুভেচ্ছা ছাড়াই রাত ৯ টার দিকে বাসায় প্রবেশ করেন।

    নেতাকর্মীরা তাকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় থাকলেও অনেকটা নীরবেই চট্টগ্রামে এসে পোঁছান শিক্ষামন্ত্রী।

    এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এই মূহুর্তে আমি কোন ধরনের ফুলের শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা প্রদান না করার জন্য সকলের প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি, আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য চট্টগ্রামের সর্বসাধারণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের সাথে পর্যায় ক্রমে মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে এলাকাবাসীর সমস্যার কথা শুনবো এবং সমস্যা সমূহ সমাধানের চেষ্টা করবো। উক্ত বিষয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    শিক্ষামন্ত্রী আগামীকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করবেন এবং নামাজ পরবর্তী সর্বস্তরের জনগণ সাধারণের সাথে কুশল বিনিময় করবেন।

  • নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর

    নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর

    নতুন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর আগে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, ল্যাব সুবিধা চালু ও দক্ষ জনবল নিয়োগের দিকে নজর দিতে হবে বলে তিনি জানান।

    সোমবার (১৫ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃপক্ষের সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ পরামর্শ দেন।

    ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

    এসময় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, সচিব ড. ফেরদৌস জামান উপস্থিত ছিলেন।

    শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান যুগের চাহিদা ও বাস্তবতার নিরিখে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভাগ খোলার পরামর্শ দেন। তিনি দেশে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করতে ইউজিসিকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলে জানান। সাক্ষাতে প্রফেসর আলমগীর দেশের উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

  • প্রয়োজনে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন: শিক্ষামন্ত্রী

    প্রয়োজনে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষার সব কাজের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা থাকতে হয় উল্লেখ করে নতুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।

    রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে প্রথম অফিস করতে গিয়ে সাংবাদিকদের দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।

    আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ কী- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ, এই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমরা দেখেছি পাঁচটি বছর সফলভাবে সদ্যসাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে কাজ করেছি।

    শিক্ষায় নানান ধরনের রূপান্তরের কাজ শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সূচনা করেছি। এই সূচনার কাজগুলোর পেছনে কিন্তু আমাদের পূর্বে যিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, এখন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, তিনি সেই ভীতগুলো রচনা করে দিয়েছিলেন।

    তিনি বলেন, শিক্ষার সব কাজের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা থাকতে হয়। সুতরাং এখানে নতুন করে হঠাৎ করে কোনো কিছু চিন্তা করার অবকাশ খুবই কম। তাই সেই ধারাবাহিকতার মধ্যেই রূপান্তর, ধারাবাহিকতার মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। এই ধারাবাহিকতার মধ্যেই স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করার জন্য স্মার্ট এডুকেশন সিস্টেম আমাদের প্রয়োজন, সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করবো।

    তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদের বলে দিয়েছেন বিশাল যে জনগোষ্ঠী, বিদ্যালয় পর্যায়ের শেষ করে তাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। প্রায় এক কোটির ঊর্ধ্বে। বিশাল জনগোষ্ঠী যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে, এই যে বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সব জায়গাতেই তাদের কর্মসংশ্লিষ্ট যেসব দক্ষতা রয়েছে, সেগুলো যাতে ন্যূনতম সবাইকে দিতে পারি।

    কর্মসংশ্লিষ্ট দক্ষতাগুলোর বিষয়ে তিনি আমাদের বিশেষ জোর দিতে বলেছেন। কারণ এবার আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার হচ্ছে কর্মসংস্থান। স্মার্ট সিটিজেন করতে হলে কর্মসংস্থান করতেই হবে এবং কর্মসংস্থানের জন্য মাল্টি স্কিল্ড স্মার্ট সিটিজেন আমাদের খুব প্রয়োজন। আর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার ওপর জোর দিতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

    তিনি বলেন, কারিকুলাম নিয়ে কাজ হয়েছে কারিকুলাম তো হঠাৎ করে আসেনি। সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই সেটাই স্বাভাবিক। সে আলোচনা-সমালোচনাগুলো মাথায় রেখেই দুর্বলতা থাকলে সেখানে সমস্যা থাকলে, মূল্যায়নের জায়গায় একটা আলোচনা আছে মূল্যায়নটা যাতে এমন না হয় যাতে সেটা প্রতিবন্ধকতা হিসেবে পরিণত হয়। সেগুলো বিবেচনা করেই আমরা আগামী দিনগুলোতে শিক্ষা পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাজ করবো।

    মূল্যায়নে কি তাহলে পরিবর্তন আনছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজগুলোও শুরু হয়েছে। সেখানে কাজ করতে গিয়ে দেখা যাবে যে পদ্ধতি আমরা এরই মধ্যে শিক্ষাবিদরা কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ নির্ধারণ করেছেন সেটার মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটা আমরা এখন দেখতে পাবো। তো দেখতে পেলে আমরা আগেও বলেছি, যে এটা স্থায়ী কোনো বিষয় নয়। এটা যে আমাদের মেইনটেইন করতে হবে তা কিন্তু নয়। সেখানে পরিবর্তন প্রয়োজনে অবশ্যই আসবে। তা আগেও বলা হয়েছে এখনও আমি বলছি। পরিবর্তন প্রয়োজন সাপেক্ষে অবশ্যই আসবে।

  • নতুন শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

    নতুন শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী

    তুমুল আলোচনায় থাকা নতুন শিক্ষাক্রম ও এর মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম এখন যে একেবারে শতভাগ স্থায়ী, তা কিন্তু নয়। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি- আমাদের যে কারেকশনগুলো আসবে, সেগুলো সমাধান করবো। প্রয়োজনে পরিবর্তন আনতে হবে।

    শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে নতুন শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর বনানীতে মন্ত্রীর নিজ বাসায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

    মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মূল্যায়ন পদ্ধতির চ্যালেঞ্জের কথা যদি বলেন, সেক্ষেত্রে বলবো- নতুন শিক্ষাক্রমে বেশকিছু সংযোজন আসছে, এগুলো আমরা দেখছি। এখানে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া আরও বেশকিছু পরিবর্তন করতে হবে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া মহিবুল হাসান চৌধুরী তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নজর দিতে চান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নতুন সরকারের নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। আগের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করবো। আমরা কর্মসংস্থানের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশে, স্মার্ট জেনারেশনের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট যত দক্ষতা আছে, সেগুলো আমরা শিক্ষাক্রমে নিয়ে আসতে চাই। এতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের শিক্ষা বিষয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারবে। মূলত কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় নিয়ে আমরা গোটা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ইরাবের সদস্যরা।

    এ সময় সংগঠনটির সভাপতি শরীফুল আলম সুমন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইনসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী ইরাবের সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।