Tag: শিক্ষামন্ত্রী

  • ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা : শিক্ষামন্ত্রী

    ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা : শিক্ষামন্ত্রী

    চলতি বছর থেকে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। সে হিসেবে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

    সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আয়োজিত ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

    গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছর বা ২০২৪ সালে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিক একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি এ বছর থেকে চালু হচ্ছে। তবে এর নানান দিক বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভ্যস্ত হতেও কিছুটা সময় লাগবে। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে (দশম শ্রেণি পর্যন্ত)। ২০২৬ সালে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া শুরু করবে।

    জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ সংশোধনের ইঙ্গিত দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে শিক্ষাকে সার্বিক শিক্ষায় পরিণত করা। সেটা যে স্ট্রিমেই হোক না কেন। মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীও যেন জীবন সম্পর্কিত সব দক্ষতা পায়, সে যেন ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীর থেকে পিছিয়ে না থাকে। সব শিক্ষার্থী যেন সব স্কিল ও নলেজ পায়, সেটা আমাদের স্মার্ট এডুকেশনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এ লক্ষ্যে আমাদের ২০১০ সালের যে শিক্ষানীতি ছিল তা আরও পরিবর্তন বা রূপান্তরের আলোচনা আনা উচিত, সে আলোচনা আসছে।

    মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

    তিন দিনব্যাপী এই ফেস্টিভ্যালে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্টল দিয়ে বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শন করছে।

  • প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী

    প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী

    প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তবে কেউ গুজব রটাতে পারে। কেউ গুজব রটালে সে যদি ধরা পড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

    রোববার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পুরো কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নেন।

    এর আগে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকেই কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করতে থাকেন এই কেন্দ্রের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা। সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে শুরু করেন। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়।

    জানা গেছে, এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী।

    এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি।

    ফেসবুকে প্রশ্নফাঁসের গুজব, চারটি গ্রুপ নজরদারিতে

    এবারের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড। তারপরও ফেসবুকের একাধিক গ্রুপে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর হয়েছে। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপে টাকার বিনিময়ে অগ্রিম প্রশ্ন দেওয়া হবে বলে প্রচার চালানো হচ্ছে।

    ঢাকা পোস্টের অনুসন্ধানে ফেসবুকে দুটি গ্রুপে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর তথ্য মিলেছে। তবে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা চারটি গ্রুপের সন্ধান পেয়েছেন। এ গ্রুপগুলোর তথ্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দেওয়া হয়েছে। আজকের মধ্যেই এসব গ্রুপ নিষ্ক্রিয় করা হবে।

    ফেসবুকে SSC Question Out All Board 2023 এবং ‘SSC Question প্রশ্ন ফাঁস’ গ্রুপসহ অন্তত চারটি গ্রুপ খুলে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। প্রথম পেজটি খোলা হয় তিন দিন আগে, অন্যটি গত ১৯ এপ্রিল। পেজ দুটিতে বলা হয়েছে, ‘প্রশ্ন নিতে হলে অবশ্যই চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী হতে হবে, প্রশ্ন কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না, পরীক্ষার এক দিন আগে প্রশ্ন দেওয়া হবে, তবে বিশেষ প্রয়োজনে পরীক্ষার কিছুদিন আগে নিলে দাম কম-বেশি হবে, সব বোর্ডে।’

    ‘মূল বোর্ড কপি পাওয়া যাবে, প্রশ্ন পাওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ দিতে হবে। বাড়তি সতর্কতাস্বরূপ অন্য কারও কাছ থেকে প্রশ্ন কিনে প্রতারিত হলে এই গ্রপ দায়িত্ব নেবে না।’

    আবার বিশেষ দ্রষ্টব্যে বলা হয়েছে , ‘অনেক সময় সাইবার ক্রাইমের সদস্যরা তথ্য নেওয়ার জন্য প্রশ্ন কিনেছে, এতে কর্তৃপক্ষ অনেক সমস্যায় পড়েছে। সে কারণে আগে থেকেই টাকা জমা দিতে হবে।’

    অন্যদিকে ফেসবুকের আরেকটি গ্রুপে বলা হয়, ‘যাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালে নয়, তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। অগ্রিম টাকা ছাড়াই ফাঁসকৃত প্রশ্ন ও উত্তর সবার আগে পরীক্ষার আগের রাত ১২টার মধ্যে দেওয়া হবে। কমন পড়লে টাকা দিতে হবে।’

    যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, নানামুখী সিকিউরিটি কারণে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। কারণ প্রশ্নফাঁস করা কঠিন কিন্তু গুজব ছড়ানো সহজ।

    শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, পরীক্ষা শুরু ২৫ মিনিট আগে জানা যাবে কোন সেটে পরীক্ষা হবে। আর ২৫ মিনিট আগেও প্রশ্ন ফাঁস করার সুযোগ নেই। কারণ প্রশ্ন সরবরাহসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।

    কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। এত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা পর প্রশ্ন ফাঁস করা অসম্ভব। ‌ফেসবুকে যেসব গ্রুপে প্রশ্ন ফাঁসের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, এটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।

    ২০১২-২০১৬ সাল পর্যন্ত পাবলিক পরীক্ষা মানেই ছিল প্রশ্ন ফাঁসের মহড়া। নানামুখী তৎপরতায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে না পেরে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ একাধিক প্রশ্ন কেন্দ্র পাঠিয়ে ২৫ মিনিট আগে লটারিতে প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। এরপর থেকে প্রশ্ন ফাঁস শূন্যের কোটায় নেমে আসে। এখন প্রশ্ন ফাঁস নেই বললেই চলে।

  • ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী

    ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী

    আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এরই প্রেক্ষিতে ২৬ এপ্রিল (বুধবার) থেকে ২৩ মে পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সম্মেলনকক্ষে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

    শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে সম্পন্ন করতে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সচিব ছাড়া কেউ মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।

    মন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সচিব ছাড়া কেউ মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এমন কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

    আগামী ৩০ এপ্রিল শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১টায়। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী দেরিতে কেন্দ্রে উপস্থিত হলে, তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ওইদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।

     

  • বিএনপির জন্মই অবৈধ: শিক্ষামন্ত্রী

    বিএনপির জন্মই অবৈধ: শিক্ষামন্ত্রী

    অবৈধভাবে বিএনপির জন্ম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন। নির্বাচনের আগে তারা সবসময় চেষ্টা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে কীভাবে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসা যায়।

    রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার এম এ সামাদ পারভেজ মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

    শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে যেভাবে আছে, তেমনি মাঠেও থাকবে। জনগণের জানমাল রক্ষায় এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা সুরক্ষায় আওয়ামী লীগ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। কাউকেই এ দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা উন্নয়ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।

    শিক্ষামন্ত্রী ইসলামপুর উপজেলার চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করছেন। পরে তিনি ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটোরিয়ামে ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে শিক্ষক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দেন।

  • নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

    নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

    নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) চতুর্থ সমাবর্তনে চ্যান্সেলরের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

    বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়। স্মার্ট নাগরিক গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে সহায়ক শিক্ষাক্রম নিয়ে সরকার কাজ করছে। একটি মহল এই শিক্ষাক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’

    ‘আগামীতে প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তারা সিটের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করছে না। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামীতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে একটি পরীক্ষা নেওয়া হবে।’

    তিনি বলেন, ‘আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যেতে হবে।’

    নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর জঙ্গি হামলা হয়েছে। যা নেই তা উপস্থাপন করা হচ্ছে। এডিট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। নতুন বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ করা হচ্ছে।’

    সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর হাসিনা খান বলেন, ‘বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। গবেষণা এগিয়ে নেওয়ার সব উপকরণ দেশে রয়েছে। গবেষণার সময় অতিবাহিত হয় রোমাঞ্চকর অনুভূতির মধ্য দিয়ে। গবেষণায় নতুন নতুন বিষয় জানার সুযোগ আছে।’

    সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন ১ হাজার ৮৩৪ জন গ্রাজুয়েট। এবারের সমাবর্তনে যবিপ্রবির ২২ জন গ্রাজুয়েট চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ২৬ জন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড এবং ৯ জন ডিন অ্যাওয়ার্ড পান।

  • এইচএসসিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর চেয়ে স্নাতকে ভর্তি আসন বেশি: শিক্ষামন্ত্রী

    এইচএসসিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর চেয়ে স্নাতকে ভর্তি আসন বেশি: শিক্ষামন্ত্রী

    উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা শিক্ষার্থীর চেয়ে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তির আসন সংখ্যা বেশি আছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

    শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমীতে সাহিত্য মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

    দীপু মনি বলেন, ‘এইচএসসি যারা পাশ করেছে, কেউ কেউ বিভিন্ন পেশাগত যে শিক্ষা সেখানে ভর্তি হবেন। কেউ চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রকৌশল, স্থাপত্য, কেউ আইনে বিভাগে যান। অনেকেই আছে যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও যান। এ ছাড়া সারাদেশে দুই হাজার ২৫৭টি কলেজ আছে, সেখানেও উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা যান। কেউ কেউ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ভর্তি হন। সব মিলিয়ে পাস করা শিক্ষার্থীর চেয়ে আসন সংখ্যা বেশি রয়েছে।’

    এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপি অরাজকতা তৈরি করছে। আর তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষেরা আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত শান্তি সমাবেশ করছে। যারা শান্তি নষ্ট করছ, তাদের চিহ্নিত করে প্রতিহত করতে হবে।’

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলা একাডেমির পরিচালক আমিনুর রহমান সুলতান, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

  • ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই সংস্কার করে দেওয়া হবে

    ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই সংস্কার করে দেওয়া হবে

    এবারের পাঠ্যক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই নতুন করে সংস্কার করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

    শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ইশানবালা কাশেম উলুমুল মাদরাসা মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে উঠান বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ধর্ম একটা পবিত্র জিনিস। এইটা নিয়ে কি কেউ মিথ্যা কথা বলে? যারা এই মিথ্যাচার করে তাদের কথা বিশ্বাস করবেন না। বইয়ে কী আছে নিজেরা পড়ে দেখবেন। বইয়ে ইসলামবিরোধী কিছু নেই। পাঠ্যবইয়ে কিছু কিছু জিনিস নিয়ে লোকজন বলছে এটা না থাকলে ভালো হতো, আমরা বলছি ঠিক আছে নতুন বই আমরা আবার তৈরি করে দেব। নৌকার যারা কর্মী তারা কখনো ইসলামবিরোধী কোনো কাজ করতে পারে না।

    এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটোয়ারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আহসান উল্লাহ, জেলা পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলমসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ওয়েবসাইট থেকে বই পড়াতে পারেন শিক্ষকরা: শিক্ষামন্ত্রী

    ওয়েবসাইট থেকে বই পড়াতে পারেন শিক্ষকরা: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যবই পাওয়া না গেলে শিক্ষকরা ওয়েবসাইট থাকা বইয়ের সহযোগীতায় পড়াতে পারবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওয়েবসাইটে প্রতিটি বই দেওয়া আছে, যদি বই পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটে থাকে, তাহলে শিক্ষকরা সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন।

    শুক্রবার সকালে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই না পৌঁছানো নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

    দীপু মনি বলেন, “যে সকল শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া বাকি ছিল, তাদেরকে ২৫ তারিখের মধ্যে সমস্ত বই দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কাজেই কোথাও যদি বই পৌঁছতে দেরি হয়ে থাকে অবশ্যই আমি তা দেখব।”

    এ সময় তিনি বলেন, শুধু জ্ঞানভিত্তিক নয়, দক্ষতাভিত্তিক, সফটস্কিল ও মূল্যবোধ শিখার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্মার্ট নাগরিক হয়ে উঠবে।

    ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী সুখি রাষ্ট্র হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “সেটি হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের সমস্ত সেবা, সমস্ত কাজ এবং বিজ্ঞান-প্রযুক্তি যা কিছু আছে সকল প্রযুক্তি নিয়ে মানুষ দক্ষ হয়ে উঠবে।

    “যত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আছে, যত সেবার মান আছে, তা নিশ্চিত হবে। কাজেই স্মার্ট বাংলাদেশ মানে সেই বাংলাদেশ, যেখানে প্রত্যেকটি নাগরিক এই স্মার্ট নাগরিক হবেন।”

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন (এসডু) পাটওয়ারী, অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূইয়া, চাঁদপুর কোর্টের পিপি অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী।

  • পাঠ্যবইয়ের সামান্য ভুল বড় করে ইস্যু বানাবেন না : শিক্ষামন্ত্রী

    পাঠ্যবইয়ের সামান্য ভুল বড় করে ইস্যু বানাবেন না : শিক্ষামন্ত্রী

    পাঠ্যবইয়ের ভুল নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘সামান্য ভুল বড় করে উপস্থাপন করে ইস্যু বানাবেন না। নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ে ভুল সংশোধন করা হবে।’

    শুক্রবার রাজধানীর সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

    সপ্তম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বইয়ের চৌর্যবৃত্তির অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের সব বইয়ের পরীক্ষামূলক সংস্করণ ছাপানো হয়েছে। ভুল থাকলে প্রয়োজনে তা সংশোধন করা হবে। একটি মহল ছোট ভুলকে বড়ভাবে উপস্থাপন করে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে।’

    শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০২৫ সালের নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তর হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম হাতিয়ার হবে দক্ষতাভিত্তিক প্রায়োগিক শিক্ষা।’

  • ছাপানো কাগজ বেশি সাদা হলে চোখের জন্য ক্ষতিকর: শিক্ষামন্ত্রী

    ছাপানো কাগজ বেশি সাদা হলে চোখের জন্য ক্ষতিকর: শিক্ষামন্ত্রী

    ‘ছাপানো কাগজ অনেক বেশি সাদা হলে তা চোখের জন্য ক্ষতিকর’, বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু।

    আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা চলতি শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক নিউজপ্রিন্ট কাগজে ছাপা হওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছাপানো বইয়ের কাগজের মান খারাপ নয়, রং কিছুটা ভিন্ন হলেও তা নিউজ প্রিন্ট নয়।’

    ছাপানো কাগজ অনেক বেশি সাদা হলে তা চোখের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘উন্নত দেশে বই ছাপানোর সময় সাদা কাগজে কিছুটা আইভরি রং করে ছাপে, যেন চোখের ক্ষতি না হয়। আর আমাদের দেশে সবাই মনে করে বই যত বেশি সাদা হবে তত বেশি ভালো। আমাদের বইয়ের কাগজের উজ্জ্বলতা কিছুটা কম হলেও তা নিউজপ্রিন্ট নয়।’

    না জেনে, না বুঝে এক শ্রেণির মানুষ গেল গেল রব তুলছেন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘অতিমারি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও আমরা বছরের প্রথম দিন বই উৎসব করতে পেরেছি সেটি একটি বিশাল ব্যাপার। এই অর্জনকে পাশ কাটানোর জন্যই নানা রকম কথা বলা হচ্ছে।’

    শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘এবার দেশে সেকেন্ডারি পালভ ছাড়া কোনো পালভ ছিল না। বিদেশ থেকেও কাগজ আনার সুযোগ ছিল না। আমাদের হাতে যে কাগজ ছিল, তা দিয়েই বই ছাপাতে হয়েছে। আগে এক বই একাধিক বার ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন এক বই এক বছরই পড়ছে শিক্ষার্থীরা। তাই এই বই নিয়ে এমন বড় কোনো অসুবিধা হবে না। আমাদের প্রতিটি বাচ্চা বই পেয়েছে। হয়তো সব বই পায়নি। তবে যেসব বই এখনো বিতরণ করা হয়নি তা কয়েক দিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

    পরে মন্ত্রী চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা ও বেলুন উড়ানোর মধ্য দিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের উদ্বোধন করেন।

    এতে ৮টি উপজেলা দলের বালক-বালিকা দল ৬টি খেলায় অংশগ্রহণ করেন।

    এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ফরিদঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, চাঁপুর প্রেসক্লাব সভাপতি আহসান উল্লাহসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

    এ সময় মন্ত্রী ২০ জন জেলেকে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে একটি করে ছাগলের বাচ্চা ও কম্বল, ২৩ জন প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার ও ৩০০ জেলে, রিকশাচালক ও বেধেদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।

  • জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী

    জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী

    গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০২৩ উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিাততে মাধ্যমিক স্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বই উৎসব উদ্বোধন করেন তিনি।

    মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. কামাল হোসেন, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান ও পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম প্রমুখ।

    সকাল থেকে বই উৎসবে যোগ দেয় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয় মাঠে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।

    করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর কোনো উৎসব অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার উৎসবে যোগ দিয়ে নিজের আনন্দ প্রকাশ করে মঞ্চে বক্তব্য দেন কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছা. ইলমা আক্তার। সে বলে, ‘বই ছাড়া শ্রেণিকক্ষ, প্রাণ ছাড়া দেহ একই। আজ বছরের প্রথম দিন হাতে নতুন বই পেয়ে কী যে আনন্দ হচ্ছে তা বলে বোঝাতে পারবো না। আমরা সবাই (শিক্ষার্থী) আনন্দিত।’

    গাজীপুর জেলার প্রাথমিক পর্যায়ে প্রধম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৬ লাখ ১২ হাজার ৩৫১ জন শিক্ষার্থীর হাতে ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৩৪টি পাঠ্যপুস্তক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন শিক্ষার্থীর হাতে ৮৭ লাখ ৭৬ হাজার ৬৮৯টি পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হবে।

  • ১ জানুয়ারি সব শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

    ১ জানুয়ারি সব শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষা খাতে সরকারের অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় কাগজ, কালিসহ পুস্তক তৈরির সব উপকরণের দাম লাগামহীন। এমন পরিস্থিতিতেও শিক্ষাখাতকে অগ্রাধিকারে রেখেছে সরকার। এজন্য আগামী ১ জানুয়ারি দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে।’

    মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর শহরের অনিমা চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে দীপু মনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোমলমতি শিশুদের কথা বিবেচনা করে বছরের প্রথম দিনই তাদের হাতে বই পৌঁছে দিয়েছে। এমনকি বিগত করোনা মহামারিকারী সময়ও অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের হাতে জানুয়ারির ১ তারিখে বই তুলে দেওয়া হয়েছে।’

    তিনি জানান, সব প্রতিষ্ঠানে জ্ঞাননির্ভর শিক্ষা চালুর ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন– শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা শিরিন আক্তার ও নাটোর নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম।