Tag: শিক্ষামন্ত্রী

  • পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উস্কানি গ্রহণযোগ্য নয়: শিক্ষামন্ত্রী

    পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উস্কানি গ্রহণযোগ্য নয়: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রের দেশ। দেশে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উস্কানির মতো কিছু থাকবে, তা খুবই দুঃখজনক। এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

    সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

    এসময় তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মনে যারা সাম্প্রদায়িক উস্কানির বীজ বপন করতে চায়, তাদের ভবিষ্যতে এসব কাজের সঙ্গে (প্রশ্নপত্র সেটিং-মডারেটিং) আর সম্পৃক্ত করা হবে না। একইসঙ্গে প্রশ্নপত্রে যারা সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দীপু মনি বলেন, প্রশ্ন সেটিং বা প্রশ্ন মডারেটিং এমনভাবে হয় যে, যিনি প্রশ্ন সেট করে যান তিনি আর সেটি দেখতে পারেন না। যিনি মডারেট করে যান তিনিও আর পুনরায় তা দেখতে পারেন না।

    কী কী বিষয় মাথায় রেখে প্রশ্নগুলো তারা করবেন- এ বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া থাকে।
    তিনি বলেন, প্রশ্নে যেন কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতা না থাকে সেটিও নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে খুবই দুঃখজনক কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়ত এই প্রশ্নটি করেছেন। এমনকি যিনি মডারেট করেছেন, তার দৃষ্টি থেকেও হয়তো কোনোভাবে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।

    অথবা তিনি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। আমরা চিহ্নিত করছি এ প্রশ্নটি কোন সেটার এবং মডারেটর করেছেন। একইসঙ্গে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।

    কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নপত্রে ভুলের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে- প্রশ্ন যখন ছাপা হয়েছে, তখন একটি ত্রুটি থেকে যেতে পারে। অথবা ছাপার পর পাকেজিংয়ের কোনো এক পর্যায়ে এ ত্রুটি হতে পারে।

    উল্লেখ্য, গতকাল (৬ নভেম্বর) ঢাকা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রণীত প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়া হয়েছে।

    প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সাম্প্রদায়িকতার উস্কানির অংশ হচ্ছে- ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে। ’

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা পাবে নতুন বই: শিক্ষামন্ত্রী

    বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা পাবে নতুন বই: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সিলেট অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় যেসব শিক্ষার্থীর বই নষ্ট হয়ে গেছে বা হারিয়ে গেছে, তাদের নতুন করে বই দেয়া হবে। চলতি মাসের ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেয়া হবে।

    সোমবার (১৮ ‍জুলাই) সকালে সিলেট সার্কিট হাউসে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

    দীপু মনি বলেন, জরিপ করা হয়েছে কতজন শিক্ষার্থীর বই নষ্ট হয়েছে বা হারিয়ে গেছে। সেই অনুযায়ী, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বইগুলো নিয়ে এসে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। এ মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে আমাদের সব এসএসসি পরীক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে যাবে। এসএসসি ছাড়াও অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা আছে, তাদের হাতেও বই পৌঁছে যাবে।

    মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে যে লার্নিং গ্যাপ হয়েছে, সেটা পূরণের জন্য আমরা গবেষণা বের করেছি; যে কোথায় কোথায় সমস্যা আছে। সেটার একটা পূর্ণ একটা পরিকল্পনা করে রেমেডিয়াল ক্লাসের পরিকল্পনা হয়তো আমরা এক সপ্তাহ-দশদিনের মধ্যে প্রকাশ করব। তেমনি পরীক্ষার্থী যারা, বিশেষ করে বন্যা কবলিত এলাকায় পরীক্ষার্থী যারা একটু হয়তো পিছিয়ে পড়েছে। শিক্ষকরা সহযোগিতা করলে তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে।

    দীপু মনি বলেন, সিলেটের নেতাদের কাছে শুনলাম, প্রায় ১২০ বছরের মধ্যে বোধহয় এটা একটা ভয়াবহ বন্যা। হঠাৎ করেই হয়েছে। বহু সম্পদ রক্ষা করা যায়নি। এ বন্যার মধ্যে আমাদের পড়াশোনা বন্ধ রাখতে হয়েছে, আমাদের পরীক্ষা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো যতো কম সময়ে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একটা অ্যাসাইনমেন্ট করে আমাদের কাছে দ্রুত পাঠাবেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা চেষ্টা করব ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারকাজ করতে।

    তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাচ্ছে, এখনও অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। সবাই আশা করছেন, তারা দ্রুত ফিরে যাবেন। আমরা যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারি, সেটার চেষ্টা করতে হবে। তার আগে প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের আসার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

    মতবিনিময় সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মজিবুর রহমান, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান রমা বিজয় সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এন-কে

  • ‘শিক্ষাঙ্গনকে যারা রক্তাক্ত করতে চায় তাদেরকে প্রতিহত করবে বাংলার মানুষ’

    ‘শিক্ষাঙ্গনকে যারা রক্তাক্ত করতে চায় তাদেরকে প্রতিহত করবে বাংলার মানুষ’

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করতে চায় স্বার্থান্বেষী মহল। যারা শিক্ষাঙ্গনকে রক্তাক্ত করতে চায় তাদেরকে প্রতিহত করবে বাংলার মানুষ।

    আজ রবিবার ( ২৯ মে) চাঁদপুর বাবুরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা শিক্ষাঙ্গনকে বিশৃঙ্খল করতে চায়, এক ধরনের অরাজকতা তৈরি করতে চায়, এমন পরিস্থিতি আমরা কখনোই হতে দিব না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশ এগিয়ে চলছে বলেই দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, যারা এই দেশে দূঃশাসন চালিয়েছে, সেই সব অপশক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবার চেষ্টা করছে। বিএনপি নির্বাচন সামনে রেখে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তাদের অন্যায় সুযোগ-সুবিধা আদায়ের অপচেষ্টা করছে। আর তাদের কোনো অপচেষ্টাই সফল হবে না।

    এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইউসুফ গাজী, ডা. জেআর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাছির উদ্দিন সারোয়ার, বাবুরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন।

  • এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হবে না : শিক্ষামন্ত্রী

    এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হবে না : শিক্ষামন্ত্রী

    এ বছর অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

    আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গণভবন উচ্চ বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।

    এর আগে সকালে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি রয়েছে; পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হবে।

    এন-কে

  • ১৪ নভেম্বর এসএসসি, ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা

    ১৪ নভেম্বর এসএসসি, ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা

    আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে এসএসসি এবং ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। সূচি অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবে ২৩ নভেম্বর এবং এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হবে ২৮ ডিসেম্বর।

    মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি চূড়ান্ত করে আজ সোমবার অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

    এর আগে গত শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় আর্ট গ্যালারিতে ১৭ দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু’ ডিজিটাল এক্সজিবিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, ‘সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নভেম্বরের মাঝামাঝি এবং ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’

    শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেখানে সমস্যা হয়েছে, সেখানে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কি-না, তা পর্যবেক্ষণ করছি। অনেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। আমরা এর কোনো সত্যতা পাইনি।’

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে করোনা মহামারি চলমান। যদিও সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। কাজেই আমাদের তীক্ষ্ম নজর রাখতে হবে, সবার দিকে। কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে। বাড়িতে, বাড়ির বাইরে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অন্যদিকে, আবার তাদের দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও সংক্রমিত হতে পারে। সেটি যেন না ঘটে, তা নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। কোথাও কোনো শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়া মাত্র যেন ব্যবস্থা নিতে পারি, সে বিষয়ে আমরা সচেতন ও সজাগ। কোথাও থেকে তথ্য পাওয়ামাত্র দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জন অফিসসহ সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

    দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগেই বলেছি, কোথাও থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে বা পড়ার আশঙ্কা থাকলে প্রয়োজনে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি কোথাও হয়, সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনতে চাচ্ছি না। অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে তারা বাসায় বসে নিয়মিত ক্লাসগুলো করুক। তিন সপ্তাহ পার হোক, তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

    এন-কে

  • চূড়ান্ত হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

    চূড়ান্ত হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

    চূড়ান্ত হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময়সূচি। ২৭ সেপ্টেম্বর (সোমবার) এ সূচি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। এরপর তা প্রকাশ করা হবে যে কোনো দিন।

    মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ জানায়, শিক্ষা বোর্ডের পাঠানো প্রস্তাব শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর শিক্ষা বোর্ডগুলো এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করবে।

    মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগরে সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষা বোর্ডের তিনটি প্রস্তাবের একটি নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের সম্মতির পর শিক্ষা বোর্ড রুটিন প্রকাশ করবে।

    ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মধ্য নভেম্বরে একাধিক তারিখ নির্ধারণ করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেখান থেকে প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।

    অরপদিকে, দাখিল পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষা শুরু হবে।

    সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির শুরুতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আবশ্যিক বিষয় বাদ দিয়ে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

    এন-কে

  • নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি পরীক্ষা, ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি : শিক্ষামন্ত্রী

    নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি পরীক্ষা, ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি : শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নভেম্বরের মাঝামাঝি এবং ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি আশা করছি।’

    রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় আর্ট গ্যালারিতে আজ শনিবার সকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে ১৭ দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু’ ডিজিটাল এক্সজিবিশনের উদ্‌বোধন করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

    শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেখানে সমস্যা হয়েছে, সেখানে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কি-না, তা পর্যবেক্ষণ করছি। অনেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। আমরা এর কোনো সত্যতা পাইনি।’

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বে করোনা মহামারি চলমান। যদিও সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। কাজেই আমাদের তীক্ষ্ম নজর রাখতে হবে, সবার দিকে। কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে। বাড়িতে, বাড়ির বাইরে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অন্যদিকে, আবার তাদের দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও সংক্রমিত হতে পারে। সেটি যেন না ঘটে, তা নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। কোথাও কোনো শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়া মাত্র যেন ব্যবস্থা নিতে পারি, সে বিষয়ে আমরা সচেতন ও সজাগ। কোথাও থেকে তথ্য পাওয়ামাত্র দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জন অফিসসহ সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

    দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এ পর্যন্ত বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। আগেই বলেছি, কোথাও থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে বা পড়ার আশঙ্কা থাকলে প্রয়োজনে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি কোথাও হয়, সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনতে চাচ্ছি না। অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে তারা বাসায় বসে নিয়মিত ক্লাসগুলো করুক। তিন সপ্তাহ পার হোক, তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

    মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি।

    সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সবার জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

    উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু-বাপু (মহাত্মা গান্ধী) প্রদর্শনী ২২টি তথ্য-দেয়াল এবং শতাধিক ডিজিটাল মুহূর্তের সমন্বয়ে তৈরি। প্রদর্শনী শুরু হয় পরিচিতি প্রাচীর দিয়ে, যা প্রদর্শনীর বিষয় বস্তুকে তুলে ধরে এবং প্রশংসার মাধ্যমে বিশ্বের চোখে এই মহান দুই নেতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তী দুই দেয়ালে দুই নেতার জীবনের একটি বিস্তৃত পটভূমি প্রদর্শন করে। ১৯৪৭ সালের আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহাত্মা গান্ধীর সাক্ষাতের দিনটির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত মিটিং ওয়ালে প্রদর্শিত ছবিটি সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র ছবি, যেখানে বঙ্গবন্ধু ও বাপু এক ফ্রেমে রয়েছেন।

    এন-কে

  • এ্যাসাইনমেন্ট জমার সাথে টাকার কোনো সম্পর্ক নেই: শিক্ষামন্ত্রী

    এ্যাসাইনমেন্ট জমার সাথে টাকার কোনো সম্পর্ক নেই: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার সাথে টাকা পয়সার কোনো সম্পর্ক থাকার কথাই না। দীর্ঘদিন পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। অনেক শিক্ষার্থীর হয়তো টিউশিন ফি দেয়নি। এখন সেই ফি যদি বেশি হয়ে যায়, কিস্তিসহ অন্য রকম কোনো ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যাদের সমর্থ আছে তারা অবশ্যই সে ফি দিয়ে দিবেন।

    শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সবাইকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমরাও শিক্ষা প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন পর্যন্ত সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের প্রচারণার কারণেও আমাদের কাজের বড় সহায়তা হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে। সবাইর চেষ্টা করেই আমাদের এটি করতে হবে। এইভাবে চলা আমাদের অভ্যস্থতার মধ্যে ছিলো না। আর এই স্বাস্থ্য সচেতনতা শুধুমাত্র ডেঙ্গু কিংবা কোভিডের জন্যই নয়, ডেঙ্গুত প্রতিবছরই থাকে। কোভিডের সঙ্গে কতোদিন থাকতে হয় সেটারও ঠিক নেই। শুধু কোভিড বা ডেঙ্গুর জন্য নয়, একটি সুস্থ সুন্দর জীবনের জন্য আমাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ও বাড়িতে সর্বত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

    এ সময় চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    এন-কে

  • নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা

    নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা

    কোভিড-১৯ পরিস্থিতি অনুকূল হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

    বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

    করোনার কারণে চলতি বছরের আটকে থাকা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

    সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদসহ অন্যান্য বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাবনা তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

    প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন বাদ দিয়ে কেবল বহু নির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ) পরীক্ষা নেওয়া। বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একীভূত করা। পাশাপাশি ২০০ নম্বরের বদলে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। কিন্তু উভয়ক্ষেত্রেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি জরুরি। সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেওয়া। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কেন্দ্রের সংখ্যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ করে এই পরীক্ষা নেওয়া।

    এমনটি সম্ভব না হলে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলের ৫০ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্ট ও ক্লাস অ্যাকটিভিটিসের ওপর ৫০ শতাংশ ফলাফল নিয়ে ফল প্রস্তুত করা। এইচএসসির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর এসএসসির ফলের ৫০ শতাংশ, জেএসসির ২৫ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্টের ফলের ২৫ শতাংশ সমন্বয় করে ফল প্রকাশ।

  • শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে সরকার : শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে সরকার : শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য কাজ করছে বর্তমান সরকার। তিনি বলেন, শিক্ষা হবে আনন্দময়। জিপিএ ৫ এর উম্মাদনা নয়। সুতরাং জিপিএ- ৫ পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে।

    মন্ত্রী আজ আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের উদ্যোগে ‘রিকভার এন্ড রিভিটালাইজ এডুকেশন ফর দি কোভিড ১৯ জেনারেশন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

    ধারাবাহিক মূল্যায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পরীক্ষা নির্ভর সনদ সর্বস্ব শিক্ষা থেকে আমরা বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের জীবনব্যাপী শিখতে শিখাতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের জানতে হবে কিভাবে জীবনব্যাপী শেখা যায়।

    মন্ত্রী বলেন, ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করতে সরকার কাজ করছে এবং ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী কারিকুলাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সফট স্কিল সম্পর্কে জানার ওপরও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    মন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া করে ভাল চাকরি পাওয়াই যেন শিক্ষার্থীদের একমাত্র উদ্দেশ্য না হয়। বরং দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিকতাবোধ, সততা ও নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করতে হবে। বর্ণ, ভাষা, সংস্কৃতির ভিন্নতা সত্যেও মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটিয়ে পারস্পরিক শান্তি ও সৌহাদ্য পূর্ণভাবে বাস করার সংস্কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে জাগ্রত করতে হবে।

    বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মোঃ হাসিবুল আলম ও ইউনেস্কো রিপ্রেজেন্টেটিভ টু বাংলাদেশ এর হেড অব অফিস মিজ বিয়াট্রিস কালদুন।

    আলোচনা সভায় মূল আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন।

    মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দক্ষতা নির্ভর শিক্ষায় বাংলাদেশ সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
    উচ্চ শিক্ষায় ইন্ডাট্রি একাডেমিয়া যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা জরুরি।

    আলোচনা সভায় বক্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আস্তে আস্তে খুলে দেয়া এবং কারিগরি শিক্ষায় আরো বেশী গুরুত্বারোপ করার ওপর মতামত ব্যক্ত করেন।

  • জুনে এসএসসি, জুলাই-আগস্টে এইচএসসির পরিকল্পনা : শিক্ষামন্ত্রী

    জুনে এসএসসি, জুলাই-আগস্টে এইচএসসির পরিকল্পনা : শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা জুনে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার।’

    আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

    ‘অধ্যাদেশ জারি করে এইচএসসির ফল’

    এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল অধ্যাদেশ জারি করে প্রকাশ করা হবে। যেহেতু বিশেষ ব্যবস্থায় বিকল্প পদ্ধতিতে এ ফল প্রকাশ করা হচ্ছে সে কারণে আইন অনুযায়ী একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।’

    ডা. দীপু মনি বলেন, ’শুধু বাংলাদেশেই নয়, মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বেই পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করে বিকল্প ব্যবস্থায় পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে।’

    শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। আটজনের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই এসব বিষয় তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসা বাদে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ১৬ জানুয়ারি বন্ধ রয়েছে।

    গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

    করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী, অষ্টমের সমাপনী ছাড়াও এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হলেও অন্যান্য শ্রেণিগুলোয় পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তীতে ক্লাসে তুলে দেওয়া হবে। আর মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

  • আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা দু’একমাস পেছাতে পারে

    আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা দু’একমাস পেছাতে পারে

    কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

    বুধবার (২৫ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর যাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা রয়েছে, তাদের জন্য ‘তিন মাসে শেষ করা যায়’- এমন একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে, তার আলোকে তিন মাস ক্লাস করিয়ে তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে।

    সিলেবাস শেষ করতে পরীক্ষা দু’এক মাস পেছানো হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে আমরা তাদের তিন মাস ক্লাস করাতে চাই। সে কারণে হয়তো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দু’এক মাস পিছিয়ে যাবে।

    বেশ কয়েক বছর ধরেই ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছে। ওই দিনগুলো সরকারি ছুটি থাকলে পরের দিন থেকে এসব পরীক্ষা শুরু হয়।

    এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া গেলেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।

    পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। অষ্টমের সমাপনী ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল নির্ধারণের কথা জানানো হয়।

    মহামারী পরিস্থিতির ততটা উন্নতি না হওয়ায় পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও এবার হচ্ছে না। পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা সবাই পরের ক্লাসে উঠে যাবে।

    দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যু হয়। ১৭ মার্চ থেকে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ছুটি ঘোষণা করা আছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মন্ত্রী।

    তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনুকূল হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি ও এইচএসসির শিক্ষার্থীদের ছয় দিন ক্লাসে আনা হবে। অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুয়েক দিন স্কুলে এসে ক্লাস করবে, পাশাপাশি তাদের অনলাইন ক্লাসও চলবে।