Tag: শিক্ষার্থী

  • রাউজানে গেম খেলতে বারণ করায় অভিমানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    রাউজানে গেম খেলতে বারণ করায় অভিমানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    ‘ফ্রি ফায়ার গেমসে সন্তানের মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি দেখে মা বকা দেওয়ায় মো. সিফাত (১৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

    বৃহস্পতিবার (৩১ শে মার্চ) বিকেল ৪ টায় রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সমদ আলী সিকদার পাড়ার জহির মেস্বারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

    সিফাত এলাকার প্রবাসী মো. জসিম উদ্দিনের পুত্র। সে মগদাই বাজারস্থ উত্তর গুজরা বায়তুল উলুম সিনিয়র মাদরাসার ৯ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিল।

    পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোবাইলে ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলতে বকা দেওয়ায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে নিজ শয়নকক্ষে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্নহনন করে।

    পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নোয়াপাড়া পথেরহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সিফাত পরিবারের দুই ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড় ৷

    রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুণ বলেন, পশ্চিম গুজরায় একটি আত্নহত্যার ঘটনার ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।

    রাউজান থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মনির বলেন, ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ আসক্তির কারণে বকা দেওয়ায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।

    ২৪ ঘন্টা/নেজাম রানা/রাজীব

  • দৌলতপুরে সড়কে ঝড়ে গেল শিক্ষার্থীর প্রাণ

    দৌলতপুরে সড়কে ঝড়ে গেল শিক্ষার্থীর প্রাণ

    চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বক্কর সিদ্দকী মাহিন (১১) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

    আজ শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতপুরের আশরাফ উলুম মাদ্রাসার সামনে রাস্তা পার হতে গিয়ে ডাম্পার ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়।

    নিহত মাহিন আনোয়ারা উপজেলার গোয়ালিয়া এলাকার মো. ছবুরের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ।

    তিনি বলেন, শনিবার সকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় ডাম্পার ট্রাকের চাপায় মাহিন নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠায়।

    এ ঘটনায় ডাম্পার গাড়ি ও চালককে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানালেন ওসি।

    ২৪ ঘন্টা-রাজীব

  • তিন পদ থেকে সেই সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ, বিক্ষোভ অব্যাহত

    তিন পদ থেকে সেই সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ, বিক্ষোভ অব্যাহত

    চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মুখে তিন পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ, সিন্ডিকেটেরে সদস্য ও প্রক্টর কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে তাঁর স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আব্দুল লতিফের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তিনি এ পদত্যাগ পত্র জমা দেন।

    স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে অনশন

    এদিকে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে এই অনশন পালন করে শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাঁরা।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, ছাত্রী হলের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন ছাত্রীদের নিয়মিত মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। তিনি শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ায় এক শিক্ষার্থী লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। এ ঘটনায় সহকারী প্রক্টরের স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে তাদের এই আন্দোলন কর্মসূচি।

    তিন পদ থেকে সেই সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ, বিক্ষোভ অব্যাহততদন্ত কমিটি গঠন

    ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

    এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান লাইলা ফেরদৌস হিমেল বলেন, ‘আমাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’

    এ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    এর আগে গত রোববার পরীক্ষার হলের দরজায় দাঁড়িয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। এর প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সব পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এ অপমানে নাজমুল হাসান তুহিন নামের এক শিক্ষার্থী অতিমাত্রার ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

    এন-কে

  • হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন চবি ছাত্র

    হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন চবি ছাত্র

    বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রফিকুল ইসলাম ফাহিম নামের এক শিক্ষার্থী । তিনি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

    মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে যাওয়ার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। তিনি মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে লাকসাম জেনারেল মেডিকেলে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই শিক্ষার্থীর ছোট ভাই বোরহান উদ্দিন। তিনি জানান, সন্ধ্যার দিকে ফাহিমের হঠাৎ বুকে ব্যথা উঠে। তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার মধ্যে ফাহিমের জানাজা সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।

    এন-কে

  • আজ খুলছে ঢাবির গ্রন্থাগার

    আজ খুলছে ঢাবির গ্রন্থাগার

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য আজ রোববার খুলে দেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার। এ ছাড়া আগামী ৫ অক্টোবর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    সভা শেষে জানানো হয়, অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের যেসব শিক্ষার্থী কোভিড-১৯-এর অন্তত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গ্রন্থাগার ব্যবহার এবং নিজ নিজ হলে উঠতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের কার্ড/সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে।

    শিক্ষার্থীরা আজ রোববার থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ও বিভাগীয়/ইনস্টিটিউটের সেমিনার লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন।

    অপরদিকে, আবাসিক শিক্ষার্থীরা আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরও টিকা গ্রহণের সনদ/প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

    সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হল ও অ্যাকাডেমিক ভবনের দৃশ্যমান জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশিকা সম্বলিত ব্যানার/ফেস্টুন থাকবে।

    টিকা গ্রহণ সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে অনার্স প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। আবাসিক হলগুলোতে আগের মতো ঠাসাঠাসি করে বসবাস করা এবং কথিত ‘গণরুম’ রাখা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু নিয়মিত আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করবেন। সভায় হল ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী টিকা কার্যক্রমের আওতায় আসার পর সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে টিকা প্রদান কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী এখনও টিকার জন্য নিবন্ধন করেননি, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনের আওতায় এসে টিকা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

    এন-কে

  • সিলেটে স্কুলঘর ওয়েব অ্যাপ্লিক্যাশন তৈরি করলেন শিক্ষার্থী মিরাজ

    সিলেটে স্কুলঘর ওয়েব অ্যাপ্লিক্যাশন তৈরি করলেন শিক্ষার্থী মিরাজ

    বাপ্পা মৈত্র,সিলেট ব্যুরো: সিলেটের একটি প্রাইভেট মাদরাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাফিজ নাজমুল আলম মিরাজ বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ‘স্কুল ঘর’ ওয়েব অ্যাপ্লিক্যাশন তৈরি করেছেন।

    সন্তানকে মানসম্পন্ন স্কুল অথবা কলেজে ভর্তি করতে আপনাকে কষ্ট করে কলেজে যেতে হবে না। ঘরে বসে মানসম্পন্ন স্কুল অথবা কলেজ খোঁজে পাবেন। আপনার এই কঠিন কাজকে সহজ করে দিয়েছে সুনামগঞ্জের কিশোর হাফিজ নাজমুল আলম মিরাজের তৈরি একটি অ্যাপ।

    অ্যাপটির নাম ‘বিডিস্কুলঘর’। এই অ্যাপের মাধ্যমে মানসম্পন্ন স্কুল অথবা কলেজ খোঁজে পাবেন। শুধু তাই নয়, স্কুলের কোন ক্লাসে কত টাকা টিউশন ফি, ক্লাসের সময়সূচি ইত্যাদি আরো নানা তথ্য ঘরে বসে বের করা যায় ‘স্কুলঘর’ ওয়েব অ্যাপ্লিক্যাশনের মাধ্যমে। তার এই ওয়েব-অ্যাপ্লিক্যাশনে ঘরে বসে মানসম্পন্ন স্কুল অথবা কলেজ খুঁজে বের করা যায়।

    কিশোর বয়সে এমন একটি ওয়েব অ্যাপ্লিক্যাশন তৈরি করে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন মিরাজ। অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরিতে তার সময় লেগেছে প্রায় ৩ মাস। কোনো বিশেষজ্ঞের সাহায্য ছাড়া নিজের মেধা দিয়ে তৈরি করেছেন অ্যাপটি। সমস্যা হলে সিনিয়রদের পরামর্শ নিয়েছেন তিনি।

    কোনো বিশেষজ্ঞের সাহায্য ছাড়া নিজের মেধা খাটিয়ে এটি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। অ্যাপটি সবার কাছে প্রশংসিত হয়েছে। এটি সবসময়ে কাজে লাগবে বলে আশা সবার। তিনি নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করতে সবার দোয়া কামনা করেন। যেকোন প্রতিষ্ঠান তাদের নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে স্কুল ঘরে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।https://bdschoolghor.web.app

    ২৪ঘণ্টা/এন এম রানা

  • যশোরে মেস ভাড়া নিয়ে চাপা ক্ষোভ অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থীর

    যশোরে মেস ভাড়া নিয়ে চাপা ক্ষোভ অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থীর

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:মেস ভাড়া নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে যশোরের অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থীর। ভাড়ার ২৫ শতাংশ মওকুফের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে তারা। দুর্দশাগ্রস্ত মালিকদের আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে হলেও পূর্বঘোষিত ৬০ শতাংশ মওকুফের দাবি তাদের। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্র নেতৃবৃন্দ।

    এছাড়া, কিছু বাড়ির মালিক শিক্ষার্থীদের মেসভাড়ায় কোনো ছাড় দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে কোনো মালিক পুরোপুরি ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশা দিয়েছেন মেস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

    বুধবার মেস ভাড়া মওকুফ বিষয়ে সমাজত্রান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট,বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে যশোরের জেলা প্রশাসক বরাবর ১টি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। আজও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেস ভাড়া মওকুফের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেবেন বলে জানা গেছে।

    শিক্ষার্থীদের দাবি,তাদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। করোনায় গভীর সঙ্কটে জীবনযাপন করছেন অভিভাকরা। এর মধ্যে টিউশনি না থাকায় আয়ের কোনো উৎস নেই শিক্ষার্থীদের। এই সঙ্কটের মধ্যে আম্পান ঝড় দরিদ্র মানুষকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পরিবার একবেলা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে। তার মধ্যে মেসে না থেকেও ভাড়া টানা একেবারেই অসম্ভব। কিন্তু মালিকদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ৪০ শতাংশ টাকা দিতে চায় শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনে মালিকদের সরকারিভাবে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার দাবিও জানান তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, ৬০ শতাংশ ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত ৩০ জুনের মধ্যে কার্যকর করে তা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামবেন।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , গত (১৭ মার্চ) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর মেস ছেড়ে শিক্ষার্থীরা যার যার বাড়ি চলে যায়। আবাসন সঙ্কট থাকায় যশোরের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ৩ হাজার মেসে বা বাসায় অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থী ভাড়া থেকে পড়াশোনা করে। মেসে না থেকেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরোপুরি ভাড়া নেওয়ার জন্যে চাপ দেয় মালিকপক্ষ। এই নিয়ে যশোরের বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

    এরপর গত (৪ মে) জেলা প্রশাসন, মেস মালিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে মেস ভাড়ার ৬০ শতাংশ মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে ছাত্র প্রতিনিধিদের পাশ কাটিয়ে আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এক পক্ষের স্বার্থে মেস ভাড়ার শতকরা ২৫ ভাগ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি অবজ্ঞা করে এমন সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    এদিকে, কিছু বাড়ির মালিক শিক্ষার্থীদের মেসভাড়ায় কোনো ছাড় দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর দাবি, পালবাড়ীর বাসা মালিক মোহাম্মদ রাজু এপ্রিল মাসে ২ রুমের ভাড়াবাবদ তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা,বিদ্যুৎ ও পানির বিলসহ মোট প্রায় ৭ হাজার টাকা আদায় করেছে। অথচ, মার্চের মধ্যবর্তী সময় থেকে তারা নিজ গ্রামে রয়েছে।

    এছাড়া ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, সরকারি এমএম কলেজ, সিটি কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরোপুরি মেস ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। যদিও অধিকাংশ মেস মালিক প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাড়া নিচ্ছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে অনেকে ভাড়া পুরোপুরি মওকুফও করেছেন।

    জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি পলাশ বিশ্বাস, জেলা সভাপতি কৌশিক রায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অনুপম আইচ বলেন, শিক্ষার্থীরা মেস ভাড়ার ২৫ শতাংশ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। শুধু মালিক নয়, শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথাও চিন্তা করতে হবে। বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীদের ৫০ বা ৬০ শতাংশ মেস ভাড়া মওকুফ করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি ২৫ শতাংশ মওকুফের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে তবে ছাত্র সংগঠন তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করবে বলে জানান তারা।

    এই বিষয়ে যশোর মেস মালিক সমিতির সভাপতি মফিজুর রহমান ডাবলু বলেছেন, যদি কোনো মালিক পুরোপুরি ভাড়া নেন তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, ভাড়া থেকে মালিকদের সংসার চলে। সর্বশেষ বৈঠকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে একজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের স্বার্থে সবার উপস্থিতিতে মালিকরা সে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। ছাত্রপ্রতিনিধরা কেনো উপস্থিত ছিলেন না এ বিষয়ে তিনি জানেন না বলে দাবি করেন। তবে মেস মালিক সমিতি ভবিষ্যতে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বাবদ বৃত্তির ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঈদের আগেই মাধ্যমিকের সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী পাচ্ছে উপবৃত্তির টাকা-শিক্ষামন্ত্রী

    ঈদের আগেই মাধ্যমিকের সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী পাচ্ছে উপবৃত্তির টাকা-শিক্ষামন্ত্রী

    ২৪ ঘণ্টা ডট শিক্ষাঙ্গণ : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, ঈদের আগেই মাধ্যমিকের সাড়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী পাচ্ছে তাদের উপবৃত্তির টাকা।

    আজ ২০ মে বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ এর উপবৃত্তির টাকা প্রদানের কার্যক্রম শুভ উদ্বোধনকালে শিক্ষামন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আমরা এক মহাদুর্যোগ মোকাবেলা করছি। এই দুর্যোগের সময় সরকার জনগণকে সহযোগিতা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

    উপবৃত্তির টাকাও এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই ঈদের আগেই ১২ লাখ ৫৯ হাজার ১০০ শিক্ষার্থীর কাছে পৌছে যাবে তাদের উপবৃত্তির টাকা।

    তাছাড়া এ খাতে আগামী একমাসের মধ্যে আরও ৬০৬ কোটি টাকা বিতরণের তথ্য জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে আরো ১২ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে উপবৃত্তির টাকা পাঠানো হবে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংকে আজ ২৩৬ কোটি ৯৩লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা প্রেরণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আজকের মধ্যে শিক্ষার্থীদের একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিবে।

    টিউশন ফি যাবে প্রধান শিক্ষকের একাউন্টে। যাদের বিকাশে একাউন্ট আছে তাদের বৃত্তির টাকা সরাসরি বিকাশ একাউন্টে চলে যাবে।

    উপবৃত্তির টাকা প্রদানের কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিকাশের প্রতিনিধিসহ অন্যরা।

    জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংক ও বিকাশের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সমন্বিত উপবৃত্তির আওতায় জিটুপি এর মাধ্যমে এই উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

    জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে টাকা প্রেরনে তৃতীয় কোন পক্ষ জড়িত থাকে না বলে কোন রকমের ভোগান্তি থাকে না।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী মারধরের পৃথক ঘটনায় কুবির ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

    সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী মারধরের পৃথক ঘটনায় কুবির ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) এক সাংবাদিক ও এক শিক্ষার্থীকে মারধরের পৃথক ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও এক ছাত্রলীগ নেতার কাছে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোকল্পে সতর্ক করে মুচলেকা চাওয়া হয়েছে।

    ২২ জানুয়ারি বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশের মাধ্যমে এসব তথ্য জানা যায়।

    সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃতরা হলেন একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক মুনতাসির হৃদয় এবং একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগ কর্মী রাজু আহমেদ। এছাড়া এ বিভাগের একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মিরাজ খলিফাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

    গত ৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে হামলার শিকার হন দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য সজিব বণিক। এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ঐ সাংবাদিক।

    এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় এক মাসের জন্য বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ নাসির উদ্দিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও এই দুজনকেই সতর্ক করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোঃ রুবেলের সম্পূর্ণ চিকিৎসা ব্যয় আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীকে।

    গত ১৩ জানুয়ারি নৃবিজ্ঞান বিভাগের সামনে বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দীন জিসান ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মো: রুবেলের উপর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। এতে গুরুতর আহত রুবেলকে পরদিন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

  • ঝুঁকিতে লামার ত্রিডেবা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় : আতংকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী

    ঝুঁকিতে লামার ত্রিডেবা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় : আতংকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। লামা প্রতিনিধি : দীর্ঘ অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় ধরে অবহেলিত দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বান্দরবানের লামা উপজেলার ত্রিডেবা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

    দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত হলেও বিদ্যালয়টি শুধু পড়ালেখাই নয়, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক, বাহ্যিক জ্ঞানসহ শিক্ষামূলক নানা কর্মকান্ডেও এগিয়ে রয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, বিদ্যুৎ ও পাহাড় ধ্বস ঝুঁকি-এ বিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

    একটু বড় ধরণের ভূমিকম্প হলেই যে কোনো সময় এ ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা নিয়ে উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এছাড়া বিদ্যালযের সীমানা প্রাচীর না থাকায় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অরক্ষিত এ বিদ্যালয়। দ্রুত নতুন বিদ্যালয়ভবনসহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।

    জানা যায়, অবহেলিত এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি ঘিলাতলী পাড়ায় তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন মজুমদারসহ কয়েকজন শিক্ষানুরাগী বিদ্যালয়টি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।

    বিদ্যালয়ের জন্য ৮০শতক জমি দান করেন স্থানীয় বাসিন্দা মৃত মো. রফিকুল ইসলাম মজুমদার। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৩ শ্রেণী ও এক অফিস কক্ষ বিশিষ্ট পাঁকা একটি পূণ: বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করে দেয়। গত কয়েক বছর আগ থেকে বিদ্যালয় ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তর।

    বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দেড় শতাধিক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ তিন জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। আশপাশ এলাকায় আর কোন বিদ্যালয় নেই।

    সরজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের বিভিন্ন স্থানের ছাদ, বিম, পিলার, মেঝে ও দেয়ালে ছোট বড় ফাটল। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ভয় ও শঙ্কা নিয়ে বসছে শ্রেণিকক্ষে। তবে প্রতি বছর সংস্কার ও রংয়ের কাজ করার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার বিষয়টি বুঝা দায়। একটু মনোযোগ সহকারে দেখলে ফুটে ওঠবে বিদ্যালয়টি, ‘উপরে ফিটফাট ভিতরে সদর ঘাট’।লামা ক্রিডেবা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

    এছাড়া সীমানা প্রাচীর না থাকায় অরক্ষিত হয়ে পড়ে আছে বিদ্যালয়টি। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয় ভবনের পশ্চিম পাশ থেকে মাটি ধসে ঝিরিতে পড়ছে। এতে দিন দিন আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে বিদ্যালয় ভবনটি। পাশ দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপিত হলেও বিদ্যালয়ে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। এতে রাতের বেলায় বিদ্যালয় এলাকা ভুঁতুতে পরিবেশে পরিণত হয়।

    বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইয়াসমিন সুলতানা রিয়া ও মো. জামসেদুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানায়, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলে বিদ্যালয় ছাদ ছুঁয়ে পানি পড়ে। এতে আবার বিদ্যালয়ের মেঝে স্যঁত স্যঁতে হয়ে যায়। উপর থেকে ঝরে পড়ে পলেস্তারা। আবার কখন বিদ্যালয় ভবনটির পাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে ভবনটি ধসে পড়ে, সব সময় এ আতংকে থাকি। এ অবস্থা গত চার বছর ধরে দেখে আসছি।

    এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান মংয়ইন খিং মার্মা বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ কর্তৃক ভবনটি নির্মাণ করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে ছাদের বিম ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। ক্লাস চলার সময় প্রায়ই ছাদের বিম থেকে খোয়া ঝরে পড়ে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও শিক্ষার্থীরা থাকে ভয়ের মধ্যে।লামা ক্রিডেবা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

    শুষ্ক মৌসুমে কোন মতে শ্রেণী কার্যক্রম চালানো গেলেও বর্ষা মৌসুমে ছাদ ছুঁয়ে পড়ার কারণে মোটেও সম্ভব হয়না। বিদ্যালয় ভবনটি সংস্কার করলেও টেকসই হবে না। তাই ভবনটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণ ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

    তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। ভবন ধস আতংকে অনেক অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদেরকে বিদ্যালয়ে আসতে দিচ্ছেনা।

    একমত পোষন করে একই কথা জানালেন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদারসহ বিদ্যালয়টি পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল খালেক।

    অভিভাবক আছিয়া বেগম ও কামাল হোসেন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করায় ছেলে মেয়েকে নিয়ে ভয়ে থাকি। ভূমিকম্প তো রয়েছেই। একটু বড় ভূমিকম্প হলেই ওই ভবন যে ধসে পড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’ এ অবস্থায় শিগগিরই কর্তৃপক্ষ যেন একটি নতুন ভবন নির্মাণ করে, সে দাবি জানান এ অভিভাবক।

    ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার চৌধুরী ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, দেড় বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ত্রিডেবা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের তালিকা প্রস্তুত করে শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছিল।

    এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী নাজিম উদ্দিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানায়, শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিদ্যালয়ের তালিকা অনুমোদন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে না পাঠানোর কারণে ত্রিডেবা পাড়া ও রাজবাড়ী বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছেনা।

  • প্রাথমিকের ৪ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী স্কুল ফিডিং’র আওতায়

    প্রাথমিকের ৪ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী স্কুল ফিডিং’র আওতায়

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের ৪ লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন শিক্ষার্থী স্কুল ফিডিং-এর আওতায় আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১৬টি উপজেলার ২ হাজার ১৬৬ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এতে সুফলভোগী হবে।

    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন আজ কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার রৌমারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় স্কুল ফিডিং-এর উদ্ভোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    কুড়িগ্রামের জেলাপ্রশাসক সুলতানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমেদ।

    এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাবুল ও রতন চন্দ্র পন্ডিত , রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো,ডব্লিউএফপিএ-এর রংপুর প্রতিনিধি বীথিকা বিশ্বাসসহ রংপুরের উপ-পরিচালক ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং এই কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস-এর প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে দুপুরে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হবে।এ উপলক্ষে জাতীয় মিড ডে- মিল নীতিমালা ২০১৯ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
    তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশের ১৬টি উপজেলার ২ হাজার ১৬৬ টি বিদ্যালয়ের ৪ লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন শিক্ষার্থী এতে সুফলভোগী হবে। আজকেএই রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলাসহ ইতোমধ্যে ১৬ উপজেলায় এ কার্যক্রম চালু হল।এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।

    জাকির হোসেন বলেন, চলতি বছরের মার্চ থেকে স্কুল মিল কার্যক্রম চালু করা হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে একদিন অন্তর অন্তর রান্না করা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুট সরবরাহ করা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

    তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ছিল ৫০ ভাগেরও বেশি।এই সরকারের সময়ে এই পরিস্থিতি আমুল বদলে গেছে। শেখ হাসিনার সরকার দেখিয়েছেন বিদ্যালয়ে শিশুদের খাবার নিশ্চিত করা গেলে দেশ আরও এগুবে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাই ২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশের স্কুলগুলো এ কর্মসূচীর আওতায় আসবে।

    উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে দারিদ্য্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচী’ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের ১০৪ টি দারিদ্র্য প্রবণ উপজেলা যার মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার সকল উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। জানা গেছে বর্তমানে সরকারি অর্থায়নে ৯৪টি উপজেলায় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অর্থায়নে ১০ টি উপজেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পভুক্ত ১০৪ টি উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (নতুন জাতীয়করণসহ), শিশুকল্যা ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসায় এবং এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত প্রত্যেক শিক্ষার্থীদেরকে দৈনন্দিন উপস্থিতির ভিত্তিতে প্রতি স্কুল দিবসে ৭৫ গ্রাম ওজনের পুষ্টিসমৃদ্ধ বিস্কুট সরবরাহ করা হচ্ছে।

    অন্যদিকে স্কুল মিল কার্ষক্রমে রান্নাঘর নিমার্ণ করা হয়েছে। শিশুদের মাঝে রান্না করা গরম খাবার সরবরাহ করার জন্য রাধুনি নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ( বারটান) এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    পরে প্রতিমন্ত্রী রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার পরিবেশন করে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্ধোধন করেন।

  • পিইসি পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা যাবে না : হাইকোর্ট

    পিইসি পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা যাবে না : হাইকোর্ট

    প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা যাবে না। এ সংক্রান্ত বিধি ১১ বাতিল করে জারি হওয়া রুলের নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরফলে পিইসি পরীক্ষার্থীদের বহিষ্কারের আর কোনো সুযোগ থাকলো না।

    এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ আদালতে হাজির হয়ে বলেন, আদালতের আদেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করেছি। শিক্ষা নীতিমালায় বহিষ্কার সংক্রান্ত ১১ বিধিটি বাতিল করেছি।

    পাশাপাশি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) বহিষ্কার করা সকল শিক্ষার্থীর পরীক্ষা ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

    এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য না জানানোয় অসন্তুষ্টিও জানিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৮ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ওইদিন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে তাকে আদালতে হাজির হতে হবে।

    বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

    এ সংক্রান্ত একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনার পর গত ২১ নভেম্বর হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। রুলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট।