Tag: শিক্ষার্থীরা

  • রবিতে ১৫ জিবি ফ্রি ডাটা পাবে চবি শিক্ষার্থীরা

    রবিতে ১৫ জিবি ফ্রি ডাটা পাবে চবি শিক্ষার্থীরা

    চবি প্রতিনিধিঃ অনলাইন ক্লাসের জন্য প্রতি মাসে ১৫ গিগাবাইট (জিবি) ইন্টারনেট ডাটা পাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। দেশের অন্যতম মোবাইল সিম অপারেটর রবি এ সেবা প্রদান করবে। বিনামূল্যে এ সেবা প্রদান করবে চবি প্রশাসন।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শাটল ট্রেনসহ আনুষঙ্গিক অনেক খরচ বেঁচে গিয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এসব বেঁচে যাওয়া অর্থ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কল্যানার্থে ব্যয় করা হবে।

    তিনি আরও বলেন, সকল শিক্ষার্থী যেন অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য প্রতি মাসে ১৫ জিবি মোবাইল ডাটা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে আমরা পাশে পেয়েছি বাংলাদেশের অন্যতম মোবাইল সিম কোম্পানি রবিকে। তাঁদের সাথে আমাদের চুক্তি হয়েছে। শীগ্রই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবয়ন করা হবে।

    উল্লেখ্য যে, গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু নেটওয়ার্ক সমস্যা ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/মেহেদী

  • করোনায় থমথমে শিক্ষাব্যবস্থা, সেশনজটের শঙ্কায় চবি শিক্ষার্থীরা

    করোনায় থমথমে শিক্ষাব্যবস্থা, সেশনজটের শঙ্কায় চবি শিক্ষার্থীরা

    মেহেদী হাসান, চবি : করোনা ভাইরাসের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সহ সারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমতবস্থায় শিক্ষাব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন ক্লাস চালু করে চবি প্রশাসন।

    কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন ও উন্নত মোবাইল নেটওয়ার্ক এর আওতাধীন না থাকায় অনলাইন ক্লাসে পাঠগ্রহণ করতে পারছেন না।

    ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেবাশীষ প্রামাণিক বলেন, প্রথম দিকে অনলাইন ক্লাসে উপস্থিতি মোটামুটি ভালো ছিল। কিন্তু এখন সেই উপস্থিতির হার হ্রাস পেয়েছে। শতভাগ শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন ও সবল মোবাইল নেটওয়ার্কের সুবিধা সারা দেশে না থাকায় এমন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

    এমন দুর্ভোগের কারণে সেশনজটের শঙ্কায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিগত কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় সেশনজট অনেকাংশে কমে আসলেও মহামারীর কারণে ফের সেশনজটের সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

    শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ বলেন, অনলাইন ক্লাস নেওয়া হলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে যোগদান করতে পারছে না। নানাবিধ সমস্যা ও স্মার্টফোনের অভাবে অনেকেই অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

    আমাদের ইন্সটিটিউটে আগে থেকেই সেশনজট ছিল। যার কারণে আমরা অন্যান্য বিভাগের চেয়ে পিছিয়ে ছিলাম। এখন করোনার প্রভাবে সেই সেশনজট আরও জটিল সমস্যায় রুপ নিচ্ছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নুর উদ্দিন শহীদ বলেন, মহামারী পরিস্থিতির আগে থেকেই চবির বিভিন্ন বিভাগে সেশনজট বিদ্যমান ছিল। আমি ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হয়েও কেবল দ্বিতীয় বর্ষ শেষ করতে পেরেছি। মহামারীর প্রভাবে আমার বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অধিক মাত্রায় সেশনজটে পড়বে।

    বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের সিদরাতুল মুনতাহা বলেন, করোনায় প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন বিভাগে ইতোমধ্যে সেশন জটের মারাত্বক প্রভাব আঁচ করা যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীই চরম হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসের আওতাভুক্ত করতে পারলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

    বন্ধের কারণে বিভিন্ন বিভাগের অনেক ব্যাচের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে আছে, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সাথে সাথেই আটকে থাকা পরীক্ষা দ্রুততার সহিত শেষ করতে হবে এবং দ্রুত ফলাফল ঘোষণা দিলে সেশনজটের ঝুকি কিছুটা কমবে বলে ধারণা শিক্ষার্থীদের।

    সেশনজট যেন না হয় সে বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান বলেন, আমরা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছি। পরীক্ষার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি।

    বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে আমরা সাপ্তাহিক ছুটি একদিন কমিয়ে দেব। ক্লাসের সময় বাড়িয়ে দেওয়া হবে। আশা করছি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সেশন জটের শঙ্কা কমে যাবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • রাউজানের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীরা প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে-ফজলে করিম

    রাউজানের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীরা প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে-ফজলে করিম

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : রাউজান সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা দেখে আমি অভিভূত। রাউজানের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে আজ শিক্ষার্থীরা প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে।

    তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার বিকাশে আমি প্রতিটি স্কুল, কলেজের মাঠকে খেলার উপযোগী করে গড়ে তুলেছি। আমি মনে করি শিক্ষার্থীরা যথাযথ সুযোগ-সুবিধা পেলে আরো বড় পরিসরে গিয়ে নিজেদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি রাউজানের সুনাম বৃদ্ধি করবে।

    তিনি আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে রাউজানের নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী

    কলেজের অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং উৎপল কুমার চৌধুরী, আহমেদ হোসাইন ও সালসাবিল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক এসিও এ এম হোসাইন, নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলহাজ দিদারুল আলম, কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য এসএম মঞ্জুর হোসেন, জাহাঙ্গীর সিকদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, আবুল বশর বি কম, মাসদু হোসেন, এস এম মাহাবুব আলম কোম্পানী, নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ সৈয়দ আহমদ।

    অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আহমদ, ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাবুল মিয়া মেম্বার, পূর্ব গুজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, উরকিরচর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল জব্বার সোহেল, এডভোকেট দিপক কান্তি দত্ত, নোয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আলমগীর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মফজল হোসেন, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার সম্পাদক দিদারুল আলম, সাবেক কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ম্যালকম চক্রবর্ত্তী, নোয়াপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এসএম সোলেমান বাদশা, ইউপি সদস্য এসএম হাফিজুর রহমান।

    উপস্থিত ছিলেন কলেজ শিক্ষক মুহাম্মদ ইসমাইল, আয়েশা পারভিন, আহমদ হোসেন, অনুপ কুমার নাথ, পম্পি বিশ্বাস, মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, লালন কান্তি দাশ, কামরুন্নেছা হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ আরিফ ইসলাম, সহ সম্পাদক রুবেল বৈদ্য।

    শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্য পুরস্কার বিতরণ করেন।

  • শিক্ষার্থীরা কোচিংয়ের নামে ঘর থেকে বের হয়ে যুক্ত হচ্ছে হিযবুত তাহরীরে

    শিক্ষার্থীরা কোচিংয়ের নামে ঘর থেকে বের হয়ে যুক্ত হচ্ছে হিযবুত তাহরীরে

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগর জুড়ে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর। গোয়েন্দা সূত্রে এমন খবরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নামে পুলিশ।

    ২২ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সিএমপির দক্ষিণ জোন নগরীর আন্দরিকল্লা শাহী জামে মসজিদ, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা ও বায়েজিদ এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে পুলিশ শীর্ষস্থানীয় ‘জঙ্গি নেতা’সহ হিযবুত তাহরীরের ১৫ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ প্রচারপত্র, নগদ দুই লাখ ৮২ হাজার টাকা, দুটি ল্যাপটপ, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও ট্রেনিং ম্যানুয়াল উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

    শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) আমেনা বেগম।

    তিনি বলেন, তাদের কাছে গোপন তথ্য ছিলো বেশকিছুদিন ধরে নগর জুড়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর। বিভিন্ন স্থানে তারা গোপন বৈঠকে মিলিত হচ্ছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে সিএমপির দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফের নেতৃত্বে ২২ নভেম্বর শুক্রবার দুপুর থেকেই অভিযান শুরু হয়।

    আটক করা হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান (আঞ্চলিক প্রধান) আবুল মোহাম্মাদ এরশাদুল আলমসহ এ সংগঠনের আরো ১৪ সদস্য।

    সংবাদ সম্মেলনে আমেনা বেগম বলেন, জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের আটক হওয়া সদস্যদের অধিকাংশই বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা যে পড়াশুনার নাম করে এ সংগঠনে সক্রিয় হচ্ছে এসব তথ্য তাদের পরিবারের কাছে জানা ছিলোনা। তারা প্রতিদিন কোচিং এ যাওয়ার নাম করে বাসা থেকে বের হয়ে নগরীর কোন না কোন এলাকায় জঙ্গি সংগঠনটির গোপন বৈঠকে মিলিত হতেন।

    এদিকে হিযবুত তাহরীরের ১৫ সদস্যকে আটকের বিস্তারিত জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সিএমপির দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি বলেন, গোপন সূত্রের খবরে শুক্রবার দুপুরে প্রথম অভিযান পরিচালনা করেন নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এলাকায়। সেখানে লিফলেট ও প্রচারপত্র বিলির সময় ওয়ালিদ ইবনে নাজিম ও মো. ইমতিয়াজ ইসমাইল নামে হিযবুত তাহরীরের ২ জন সক্রিয় কর্মীকে আটক করা হয়।

    তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে তারা চান্দগাঁও এলাকার খদিজা ম্যানশনে একটি গোপন বৈঠকের তথ্য দেন। তথ্যমতে পুলিশ ওই বৈঠকে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান (আঞ্চলিক প্রধান) আবুল মোহাম্মাদ এরশাদুল আলম এবং নোভারটিস ফার্মাসিউটিক্যালসের চট্টগ্রামের টেরিটরি ম্যানেজার ও এ সংগঠনের অন্যতম শীর্ষনেতা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ (৩০)সহ ১১জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের স্বীকারোক্তিমূলে রাতে নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকা ও পলিটেকনিক এলাকা থেকে আরো ২জনকে আটক করে পুলিশ।

    তিনি জানান, এরশাদুল আলম বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর ইউনিয়নের গুনাগরী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি বায়েজিদ চক্রেসো কানন আবাসিক এলাকায় বসবাস করার সুবাধে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রচারপত্র ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে দলটি সক্রিয় করার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।

    এ সংগঠনের আটক অন্য সদস্যরা হলেন, মো. ইমতিয়াজ ইসমাইল (২৫), মো. নাছির উদ্দিন চৌধুরী (২২), মোহাম্মদ নাজমুল হুদা (২৭), মো. লোকমান গনি (২৯), মো. করিম (২৭), আব্দুল্লাহ আল মুনিম (২২), কামরুল হাসান প্রকাশ রানা (২০), মো. আরিফুল ইসলাম (২০), মো. আজিম উদ্দিন (৩১), ফারহান বিন ফরিদ প্রকাশ রাফি (২৩), মো. আজিমুল হুদা (২৪), ওয়ালিদ ইবনে নাজিম (১৫), মো. স¤্রাট (২২)।

    এদের প্রত্যেকের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে যাঁচাই বাঁচাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন এডিসি শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফ।

  • আজও আন্দোলনে জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

    আজও আন্দোলনে জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

    আজ সকাল থেকে জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলী‌গের হামলা ও অ‌নি‌র্দিষ্টকা‌লের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধের প্র‌তিবা‌দে শহীদ মিনা‌রে সকাল নয়টা থে‌কে গণজামা‌য়েত শুরু হ‌য়ে‌ছে।

    ই‌তোম‌ধ্যে আন্দোলনকারীরা শ‌হীদ মিনার থে‌কে এক‌টি মি‌ছিল শুরু ক‌রে জমা‌য়েত বৃদ্ধি করার চেষ্টা কর‌ছে। মি‌ছিল‌টি জা‌বির বি‌ভিন্ন সড়ক প্রদ‌ক্ষিণ ক‌রে আবার শহীদ মিনা‌রে এ‌সে সম‌া‌বে‌শে যে‌াগ দি‌বে।

    জানা যায়, সংহ‌তি সমা‌বে‌শে ও গণজমা‌য়েতে অংশ নি‌তে দে‌শের খ্যাতন‌ামা বু‌দ্ধিজী‌বী ও শিক্ষা‌বিদরা জা‌বির উ‌দ্দে‌শ্যে রওনা হ‌য়ে‌ছেন।

    এ‌দি‌কে সকা‌লে ভি‌সির সমর্থ‌নে ছাত্রলী‌গের বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল শুরু হওয়ার কথা থাক‌লেও এখ‌নো শুরু হয়‌নি।

    এরআগে মঙ্গলবার সন্ধ্যার থে‌কে বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল ক্যাম্পা‌সের বি‌ভিন্ন সড়ক প্রদ‌ক্ষিণ ক‌রে জমা‌য়েত বৃ‌দ্ধি কর‌তে থা‌কে। রাত নয়টার দি‌কে মি‌ছিল‌টি বঙ্গমাতা শেখ ফ‌জিলতু‌ন্নেসা মু‌জিব হ‌লের সাম‌নে আসে এবং হ‌লের ভেত‌রে মি‌ছিল ক‌রলে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বাড়‌তে থাকে। এরপর পা‌শের সু‌ফিয়া কামাল হ‌লের গেট বন্ধ ক‌রে দি‌লে আন্দোলনরত ছাত্রীরা হ‌লের গেট ভে‌ঙ্গে ফে‌লে এবং ভেত‌রে মি‌ছিল ক‌রে আসে।

    পরে প্রী‌তিলতা হ‌লের প্রথম গেট‌টি ভে‌ঙ্গে ফেলে ছাত্রীরা। তারপর ভেত‌রের মেইন গেট ভে‌ঙ্গে আন্দোলনকারীরা আরো ছাত্রী‌কে মি‌ছি‌লে নি‌য়ে আসে।এছাড়াও দীর্ঘ সময় ধ‌রে নওয়াব ফয়জু‌ন্নেসা হ‌লের সাম‌নে অবস্থান করার পর হ‌লের তালা ভে‌ঙ্গে ভেতর থে‌কে অনেক নারী আন্দোলনকারী অংশগ্রহণ করে।

    সর্ব‌শেষ বিশাল মি‌ছিল‌টি প্রা‌ন্তিক গেট হয়ে আবা‌রো ভি‌সির বাসভব‌নের সাম‌নে আসে। ভি‌সির বাসভব‌নে সাম‌নের রাস্তায় বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশ করা হয়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের পাশ থেকে অবস্থান তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। পরবর্তী আন্দোলন আরও জোরালো করতেই সাময়িকভাবে রাতের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

  • হাটহাজারীতে ই-সিগারেটের ভয়ঙ্কর নেশায় আসক্ত স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা

    হাটহাজারীতে ই-সিগারেটের ভয়ঙ্কর নেশায় আসক্ত স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা

    হাটহাজারীতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তরুণ-যুবকরা তামাক পণ্যের নতুন ও আধুনিক রূপ ‘‘ই-সিগারেটের’’ ভয়ঙ্কর নেশায় আসক্ত হচ্ছে।

    অনলাইন জগতের বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়ের ওয়েবসাইটে তরুণ প্রজন্মের মনকাড়া ই-সিগারেটের বিজ্ঞাপন কিংবা বন্ধুদের খপ্পরে পড়ে মেধাবী এসব তরুণ শিক্ষার্থীরা এ নেশায় দিন দিন আক্রান্ত হচ্ছে। সাধারণ সিগারেটের নেশার বিকল্প, ক্ষতি কম হওয়ার আশঙ্কা কিংবা নিজেদেরকে স্মার্ট ধূমপায়ী ভেবে তরুণ প্রজন্ম আজ এ নেশায় বেশি আসক্ত।

    এদিকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ করে তামাকজাত পন্য বিক্রি করার অভিযোগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে হাটহাজারী পৌর বাজারের কাচারী সড়ক ও বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় চারটি ডিপার্টমেন্ট ষ্টোরে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানে এসব দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ ই-সিগারেট জব্দ করা হয়েছে।

    অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন।

    ইউএনও রুহুল আমীন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, হাটহাজারী উপজেলার অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ ই-সিগারেট বিষয়ে আমাকে অভিযোগ করেছেন। স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে ছাত্ররা দলবেঁধে ই-সিগারেট পান করেন। তারপর বড় ভাইয়ের সান্নিধ্য সর্বশেষে কিশোর গ্যাং হয়।

    তিনি আরো বলেন, আজ চারটি দোকানে অভিযানে গেলে দোকানিরা জানান, মূলত ১৪/১৫ বছরের কিশোররাই ই-সিগারেট নেয়। শুধু নেয় তা না তারা দোকানীকে আরও বলে বেশি দামের ই-সিগারেট আনবেন।

    তবে আশার কথা হল, অনেক দোকানদার একমত হয়েছেন যে, তারা বাচ্চাদের কাছে ই-সিগারেট বিক্রি করে অন্যায় করেছেন এবং ই-সিগারেট আর বিক্রি করবে না বলে তারা আমাকে জানিয়েছেন। তাদেরও সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। তাই কিশোরদের অধঃপতন রোধে মা-বাবাসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহবান করছি।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ ও মডেল থানার পুলিশ।