২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : শিক্ষা উপ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগের একটা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাবারা যতই জিন্দাবাদ, জয়বাংলা বলো, কোনো লাভ নাই। মাঠির কাজে হাত লাগাও, পরিবারের সাথে হাত লাগাও;কারিগরি প্রশিক্ষণ নাও, দক্ষতা অর্জন করো।
আজকে বঙ্গবন্ধু বেঁচে নেই। আমাদের সৌভাগ্য সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছেন। তারা বেঁচেছিল বলেই বাংলাদেশ বেঁচে গেছে। কষ্ট করে টেকসই কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কস্থ আব্দুর রশিদ টেন্ডলের ঘাটাস্থ চট্টগ্রাম লিজেন্ড স্কুলের শুভ উদ্বোধন ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এক সময় আমাদের কারিগরি শিক্ষার হার ছিল শূণ্য দশমিক শূণ্য’র কোঠায়। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেটা ১৭ পাসের্ন্টে উত্তীর্ণ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কারিগরি শিক্ষার দিকে জোর দিয়ে দেশের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল আরো বলেন, আমাদের সন্তানকে নিয়ে আমরা যদি শুধুমাত্র উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখি তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবেনা।
তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে দেশের প্রতিটি মানুষকে কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সাবলম্বী হয়ে গড়ে উঠতে হলে মৎস্য, কৃষি, পোল্ট্রি বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে হবে। তাহলেই আমরা অনেকদূর এগিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের কল্যাণে এই বাংলাদেশ শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় মৎস্য রপ্তানির দিক দিয়ে পৃথিবীতে তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। সব্জি উৎপাদনে পৃথিবীতে চর্তুর্থ।
তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধুমাত্র সন্তানদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানালেই যে সে সফল হবে এই মানসিকতাটুকু আপনারা পরিহার করেন। গতানুগতিক চিন্তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদেরকে মাঠিতে হাত লাগাতেই হবে।
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা অনেক পূর্বেই এই শিক্ষাটুকু ধারণ করতে পারতাম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ব্রিটিশের কেরানীবান্ধব শিক্ষাকে আমরা আভিজাত্যের বিষয় বলে মনে করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো: কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ গণি চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুল হক।
বিদ্যালয়ের পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর আলম সুমনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু রায়হান, পরিচালক মো: সেলিম, মো: আনোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব মোঃ আইয়ুব, মোঃ ইলিয়াছ, মোঃ আব্দুল্লাহ, এডভোকেট রিদুয়ান গণি, মোঃ নুরুল হক, মোঃ মাহফুজ বাপ্পা, মোঃ আলমগীর, খোরশেদ আলম চৌধুরী, জোবায়েত ইলিয়াছ, কামরুল ইসলাম, খোরশেদুল আলম প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ফিতা কেটে বিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।