Tag: শীর্ষ সন্ত্রাসী

  • ছাড়া পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি ডিএমপি কমিশনারের

    ছাড়া পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি ডিএমপি কমিশনারের

    ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সরকার বদলের প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এবার তাদের নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।

    ছাড়া পাওয়া সন্ত্রাসীরা পুলিশের নজরদারিতে আছেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, কারামুক্ত সন্ত্রাসীরা নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টন ময়দানে আয়োজিত ওয়ালটন-ক্র্যাব ক্রীড়া উৎসব-২০২৪ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ রকম যারা এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভিল্যান্সে (নজরদারি) আছেন। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    পুলিশে এখনো যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা যোগদান করেননি সেটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর।

    যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।
    এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার সব থানার কার্যক্রম চলছে, তিন-চারটি থানা রিপেয়ারের অপেক্ষায় আছে। যেগুলো আগামী ৪-৫ তারিখের মধ্যে কমপ্লিট হয়ে যাবে।

    মাদক, সন্ত্রাস ও অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জেনেভা ক্যাম্পে অভিযানে অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে এবং অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে। রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশ নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে।

  • চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার গ্রেপ্তার

    চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার গ্রেপ্তার

    ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘ক্যাডার’ হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করা চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে নগরীর অনন্যা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির।

    তিনি বলেন, অনন্যা আবাসিক এলাকার একটি নির্জন বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন সরোয়ার। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। গত ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা ও তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার প্রধান সন্দেহভাজন সরোয়ার। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

    সরোয়ারের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ২০২০ সালে গ্রেপ্তারের পর জামিনে ছাড়া পেয়ে পলাতক ছিলেন তিনি।

    সরোয়ারের নাম চট্টগ্রাম পুলিশের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীর’ তালিকাতেও রয়েছে। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

  • আকবরশাহ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরু গ্রেফতার

    আকবরশাহ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরু গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী নুরে আলম প্রকাশ নুরুকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ শনিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ত্রাসী নুরুকে গ্রেফতারের তথ্যটি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়। নুরু নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায় ডন নুরু হিসেবে পরিচিতি।

    গতকাল শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় কাউসার নামের তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

    চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    সন্ত্রাসী নুরু নগরীর আকবরশাহর পূর্ব ফিরোজশাহ এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা, পাহাড় দখল-কাঠ পাচার-অস্ত্রবাজি পুলিশের ওপর হামলা সহ অনেক অন্তত ১৭টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

    আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিহর হােসেন সন্ত্রাসী নুরুকে গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করলেও ‍বিস্তারিত জানাতে পারেন নি। তিনি জানান, নুরে আলম প্রকাশ নুরুকে গ্রেফতারের বিষয়ে সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছে পুলিশ। ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে।

    এদিকে খবর নিয়ে জানাগেছে, নানা অপরাধে নুরুর বিরুদ্ধে নগরীর আকবরশাহ ও খুলশী থানায় ২৮টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে ১৭ বছর সাজার আদেশ হলেও সেই সাজা পরোয়ানা থানার নথিতে নেই।

    পুলিশের দাবি- নুরুর বিরুদ্ধে ১৭ বছরের সাজা হয়েছে এ ধরনের কোন পরোয়ানা বিগত দুই বছরে থানায় আসেনি। অথচ সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পুর্ব ফিরোজশাহ নাছিয়াঘোনা এলাকায় সরকারি পাহাড় দখল করে গড়ে তুলেছে নিজস্ব সাম্রাজ্য।

    সিএমপির পুলিশের পশ্চিম জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হুমায়ন কবির জানান, নুরুর বিরুদ্ধে ১৭ বছরের সাজা পরোয়ানার বিজ্ঞ আদালতের আদেশের কপি আমাদের থানায় আসেনি। দুই বছরেও সাজা পারোয়ানা থানায় না পৌঁছায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন

    তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যে আদালত সাজা দিয়েছে সেই আদালত থেকে সাজা পরোয়ানা দণ্ডিত আসামি যে থানা এলাকায় থাকেন সেই থানায় যাবে। দুইশো বছর ধরে এটাই হয়ে আসছে। কিন্তু থানা বলছে একজন আসামির ১৭ বছরের সাজা পরোয়ানা তাদের কাছে নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার প্রয়োজন আছে।

    মামলার রায়ের আদেশে বলা হয়েছে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম জেলার গুনবতী থানার চাঁপাচো হাজি বাড়ির তনু মিয়া ভাণ্ডারির ছেলে নুর আলম প্রকাশ নুরু বর্তমানে নগরীর আকবরশাহ থানার পুর্ব ফিরোজশাহ ১ নম্বর ঝিল এলাকায় থাকেন। তাকে অস্ত্র আইন ১৮৭৮ এর ১৯ এ ধারায় দশ বছর সশ্রম ও ১৯ (এফ) ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল। পলাতক আসামি নুরু যে দিন আদালতে হাজির হবেন কিংবা পুলিশের হাতে ধরা পড়বেন সেদিন থেকে তার সাজার মেয়াদ গণনা করা হবে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হোক।

  • শীর্ষ সন্ত্রাসী বাদশা বন্দুকযুদ্ধে নিহত

    শীর্ষ সন্ত্রাসী বাদশা বন্দুকযুদ্ধে নিহত

    ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাত খুনের আসামি বাদশা শেখ (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

    পুলিশের দাবি, নিহত বাদশা শেখ শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে সাতটি খুনসহ ১০টি মামলা আদালতে বিচারাধিন রয়েছে। বাদসা জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন শেখের ছেলে।

    রোববার দিবাগত রাত পোনে ২টার দিকে এলাকার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বটতলার কাছে একটি মেহগনি বাগানে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

    হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, সন্ত্রাসীরা নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করছে গোপন সূত্রে জানতে পারেন তারা। সে মোতাবেক ঘটনাস্থল তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বটতলার কাছে মেহগনি বাগানে যাওয়া মাত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

    বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী বাদশাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন মর্মে দাবি করেছেন ওসি। আহতরা হলেন- হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই সরোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল সোহেল।

    নিহতের বিরুদ্ধে সাতটি খুনসহ ১০টি মামলা আদালতে বিচারাধিন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ানশুটার গান এবং এক রাউন্ড বন্দুকের গুলি।

    পুলিশের অন্য একটি সূত্র যুগান্তরকে জানায়, কথিত এ বন্দুকযুদ্ধে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক দুটি দল অংশ নেয়।

  • বাকলিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী কিরিচ বাবুলের ছেলে অস্ত্রসহ গ্রেফতার

    বাকলিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী কিরিচ বাবুলের ছেলে অস্ত্রসহ গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এলাকার পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী দিদারুল হক কাজেমী প্রকাশ কিরিচ বাবুলের ছেলেকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে নগরীর মাস্টারপুল এলাকা থেকে তাকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সামিউল হক কাজেমী প্রকাশ নিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি এলজি, দুইটি ছুরি, একটি কিরিচ, বেশ কয়েকটি লোহার রড ও ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরে বাকলিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী নিয়াজের অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ।

    পরে মাস্টারপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিয়াজ তার টর্চার সেলের তথ্য দেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি এলজি, দুইটি ছুরি, একটি কিরিচ, বেশ কয়েকটি লোহার রড ও ২শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    তার বিরুদ্ধে আইনহত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

    এর আগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বাকলিয়া থানার মোস্তফাবাগ আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকলিয়া মাস্টারপুল এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী দিদারুল হক কাজেমী প্রকাশ কিরিচ বাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    গ্রেফতারের পর পুলিশ জানিয়েছে কিরিচ বাবুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৭টি মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার থেকে তথ্য নিয়ে নগর গোয়েন্দা পু্লেিশর অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীনের নেতৃত্বে ফের অভিযানে নামে।

    গত ২৫ মে নগরের বাকলিয়া থানার নবাব খাঁ কলোনির নয়া রাস্তা খালের পুল এলাকা থেকে বাবুলের দুই ছেলেকে ছুরিসহ গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরা হলেন মো. আছিবুল হক কাজেমী প্রকাশ হাসান (২০) ও মো. রাকিবুল হক কাজেমী প্রকাশ রুবেল (২৪)।

  • জিসানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে

    জিসানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে

    পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ পুলিশের তালিকাভুক্ত পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

    শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    সোহেল রানা জানান, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখার উদ্যোগে ও এনসিবি (ইন্টারপোল) দুবাইয়ের সহযোগিতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনসিবি দুবাই বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে জিসানকে দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।

    পুলিশ জানায়, দুবাই কর্তৃপক্ষ জিসানকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জিসান একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছিল। সেখানে তার নাম আছে আলী আকবর চৌধুরী।

    ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে ২৩ জন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীর’ তালিকা করেছিল, জিসান তাদেরই একজন। এই পলাতক আসামিকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।

    রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে জিসানের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির একাধিক মামলাও ছিল তার নামে।

    ২০০৩ সালের ১৪ মে ঢাকার মালিবাগে একটি হোটেলে জিসানকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে গিয়ে গুলিতে নিহত হন গোয়েন্দা পুলিশের দুই কর্মকর্তা। ওই হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।

    এরপর জিসান গা ঢাকা দেন এবং ভারত হয়ে দুবাইয়ে চলে যান বলে ধারণা করা হয়। তাকে ধরতে বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধে রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল।

    সম্প্রতি ঢাকায় ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং ঠিকাদার জিকে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিসানের নাম নতুন করে আলোচনায় আসে।

    গত মাসের শেষে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, শামীম ও খালেদকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিসানের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তখনই ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে নতুন নামে জিসানের দুবাইয়ে অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

  • দুবাইয়ে গ্রেফতার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান

    দুবাইয়ে গ্রেফতার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান

    দেশের তালিকাভুক্ত পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো) মহিউল ইসলাম।

    মহিউল ইসলাম বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে জিসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দুবাই কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে জানিয়েছে।

    এছাড়া দুবাই কর্তৃপক্ষ তাকে (জিসানকে) যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেওজানান তিনি।

    জানা গেছে, জিসান একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছে। সেখানে তার নাম বলা হয়েছে আলী আকবর চৌধুরী।

    উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত দেশের গত এক দশকের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর একজন হলো জিসান। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

    রাজধানীর গুলমান, বনানী, বাড্ডা, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতো সে। ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে।

    সংস্থাটির ওয়েবসাইটে জিসান সম্পর্কে বলা আছে, তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ঘটানো এবং বিস্ফোরক বহনের অভিযোগ আছে।

    ২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে দুজন ডিবি পুলিশকে হত্যার পর আলোচনায় আসে জিসান। এরপরেই গা ঢাকা দেয়। ২০০৫ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে সে দেশ ছাড়ে বলে ধারণা করা হয়।

    সূত্র জানায়, সেসময় পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করে জিসান। এরপর নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর চৌধুরী নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।

    সাম্প্রতিক দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের পর তার (জিসানের) নাম ফের নতুন করে আলোচনায় আসে। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে।