গৌতম চন্দ্র বর্মন ঠাকুরগাঁওঃ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ গোরক্ষনাথ মন্দির প্রাঙ্গণে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সপ্তাহব্যাপী বারুণী মেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
মেলা কমিটির সভাপতি অনিল কুমার রায়ের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক দুই সংসদ সদস্য ইয়াসিন আলী ও সেলিনা জাহান লিটা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারিয়ার আজম মুন্না, আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহম্মেদ, বীর মুত্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, মহিলা আ’লীগ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, হিন্দু বোদ্ধ খ্রিষ্টান পরিষদ নেতা অমল কুমার রায় প্রমুখ।
এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গ, সনাতন ধর্মের বিভিন্ন লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, এটি হিন্দু সম্প্রদায়দের একটি তীর্থস্থান। ফাল্গুনের শিব চতুদর্শী তিথিতে পুণ্যস্নানের জন্য আগমন ঘটে অসংখ্য নর-নারীর। আর তারই ধারাবাহিকতায় আজ এটি হিন্দু সনাতন ধর্মের একটি তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
এটি মূলত গুপ্ত যুগ থেকে সেন যুগের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত হয়। নাথ সহজিয়া তৎকালীন সূত্রে জানা যায়, গুরু গোরাক্ষনাথের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয় মন্দিরটির।
ইতিহাস ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, এই মন্দিরটির পাশে একটি কুয়া ছিল যা বর্তমানেও রয়েছে। এটি তৎকালীন একটি ঐতিহাসিক ঘটনার বিবরণ। ওই কুয়াটি থেকে পানি উঠে পুরো একটি এলাকা জলাশয়ে পরিণত হতো, এমনকি বোরো ধান চাষের সময় কোনো সেচ বা পানির প্রয়োজন হতো না। যেটুকু পানি লাগতো তা সরবরাহ করতো ওই কুয়াটি। কথিত আছে, আগের যুগের মানুষরা যা মানত করতো সেখান থেকে তাই পেতো।
এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পরলে এটি একটি ঐতিহাসিক জায়গায় রূপান্তরিত হয়। যার পরিপেক্ষিতে প্রতি বছর এখানে সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য আয়োজন করা হয় এই মেলাটির।