Tag: শেখ রাসেল

  • শেখ রাসেলের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    শেখ রাসেলের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সোয়া সাতটার আগে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

    পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুকন্যা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে সেখানে সমাহিত স্বজনদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন। এবং নিহত স্বজনদের স্মরণ করে দুই হাত তুলে মোনাজাতও করেন।

    শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

    ঘাতকদের হাতে সেদিন একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।

    বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তারা প্রাণে রক্ষা পান।

  • শেখ রাসেলের জন্মদিন আজ

    শেখ রাসেলের জন্মদিন আজ

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন আজ, ১৮ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এ দিনে ধানমন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন।

    শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে তার জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তৃতীয়বারের মতো পালিত হচ্ছে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’।

    শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

    শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল।

    শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

    আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

  • রাউজানে শেখ রাসেলের জন্মদিনে আ’লীগের দোয়া মাহফিল ও পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ

    রাউজানে শেখ রাসেলের জন্মদিনে আ’লীগের দোয়া মাহফিল ও পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ট পুত্র শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও পথচারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

    রবিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাউজান সরকারি কলেজ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জানে আলম জনি, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম চৌধুরী শাহজাহান, পৌর কাউন্সিলর শওকত হাসান।

    উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা যুবলীগ নেতা আরিফুল হক চৌধুরী,সাবের হোসেন, সবুজ দে ভানু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন পিবলু, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসিফ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক নাছির উদ্দিন, তানভীর চৌধুরী, শরিফুল হক মুন্না, জুয়েল, ইমন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ রাউজান উপজেলা শাখার সভাপতি বেলাল হোসেন সিফাত।

    দোয়া মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা বোরহান উদ্দিন কাদেরী।

    দোয়া মাহফিল শেষে মুন্সিরঘাটায় পথচারীদের মাঝে খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/নেজাম

  • শেখ রাসেলের মন ছিল মানবিকতায় ভরা : রেজাউল করিম চৌধুরী

    শেখ রাসেলের মন ছিল মানবিকতায় ভরা : রেজাউল করিম চৌধুরী

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চসিক মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, শিশু শেখ রাসেলের মন ছিল মানবিকতায় ভরা। বাবার মতো মানুষের সেবা করতে চেয়েছিলো সে। বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশসেবায় অংশ নেয়া ছিলো তার স্বপ্ন। আমি তাকে স্বাধীনতার স্বপ্নের প্রতীকী শিশু হিসেবে দেখি।

    রাসেলের হাতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে একটি ছবি আছে, তা দেখলে আমার কাছে প্রতীকী অর্থে সে বড় হয়ে যায়। ছোট বেলা থেকেই দেশাত্ববোধ ছিল তার মাঝে। একেবারে পরিবার থেকে পাওয়া।’

    তিনি আরো বলেন, আমরা জানি না শিশু রাসেল বড় হয়ে কি হতো, কি করতে পারতো। কিন্তু আমরা জানি তার পরিবার তখনো শুধু মানুষদের দিয়েই গেছে এবং এখনো দিয়েই যাচ্ছে। এতেই বোঝা যায়, পরিবারের অন্যান্য সন্তানরা বেঁচে থাকলে কি দিতে পারতেন।’ আজকের এই দিনে এটুকু চাই ও যেখানে থাকে ভাল থাকে, ওর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

    রবিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর চান্দগাঁও পূর্ব ফরিদের পাড়া জামিয়া মসজিদে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এবং আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি’র ও তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাসান মাহামুদ এর আশু রোগমুক্তি কামনায় চান্দগাঁও শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়রপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.রেজাউল করিম চৌধুরী।

    চান্দগাঁও শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদ এর সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন এর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।

    এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর আহবায়ক আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ নুরু, যুগ্ন-আহবায়ক আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন নিজু, যুগ্ন-আহবায়ক ও সাবেক সফল কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, ওয়ার্ড আহবায়ক কমিটির সদস্য- শওকত হোসেন, মোহাম্মদ আলী আব্বাস, গোলাম মহিউদ্দিন বাবুল, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাবুল,এ ব্লক কল্যান সমিতির সভাপতি আবুল মনছুর, তাজুল ইসলাম, ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগ এর সভাপতি শওকত আলী,মহানগর যুবলীগ নেতা ফজলুল কবীর সোহেল,শাফায়েতুল হক জাবেদ, গোলাম আয়াজ,আলাউদ্দিন চৌধুরী মোরশেদ প্রমুখ।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাহেদ আহম্মদ চৌধুরী বাবর, ওয়াহিদুল আলম ওয়াহিদ, মোহাম্মদ রুবেল, মোহাম্মদ আরিফ, মো:ইব্রাহিম, মো:বাবর, রাশেদ, পারভেজ, নজরুল, আলমগীর, তৌহিদ, জামাল, শাহেদ, মো: সুমন, ওমর ফারুক, চান্দগাঁ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুন্নবী শাহেদ, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শহীদ, সহ-সভপাতি আব্দুল হাকিম ফয়সাল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাক মো: তাহসিন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নঈম নওশাদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা তারেকুল ইসলাম তারেক, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চান্দগাঁও থানা কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক জাবেদ, মাইনউদ্দিন, মো: পারভেজ, শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি তারেকুল ইসলাম মাসুক, শাহাবুদ্দিন, তাজবির আলম, সহ-যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ রিয়াদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ হাসনাত চৌধুরী,সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো: শামীম, ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম ফজল, সদস্য রিজভী, ফাহাদ, আরিফ, সামাদ, আইয়ুম, আরমান ও কাইছার সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সীতাকুণ্ডে শেখ রাসেল স্মৃতি দিবারাত্রি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

    সীতাকুণ্ডে শেখ রাসেল স্মৃতি দিবারাত্রি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে শেখ রাসেল স্মৃতি দিবারাত্রি শর্টপিস ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার বার আউলিয়াস্থ সোনাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উক্ত টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইদ্রিস।

    মাসব্যাপী এই দিবারাত্রী ক্রিকেট টুর্নামেন্টে মোট ৩২টি টিম অংশ গ্রহণ করে। উদ্বোধনী খেলায় অংশ নেয় বি.এফ.সি ফাইটার্স বনাম অপরাজয়া ক্রীড়া সংঘ।

    ছাত্রনেতা মোঃ সাদেকের সঞ্চলনায় উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনাইছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. ইসমাইল, সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নুরুল আলম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম চৌধুরী, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দুলু, ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন, ছাত্রনেতা জসিম উদ্দিন, নিজাম উদ্দিনসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

    বক্তরা বলেন, খেলাধুলা ছেলেদের শারীরিক গঠন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাদের মন মানসিকতা প্রফুল্ল রাখে।

    পড়ার পাশাপাশি ছেলেদের খেলাধুলার প্রয়োজন রয়েছে। যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই।

  • রাসেলের স্মৃতিচারণায় অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী

    রাসেলের স্মৃতিচারণায় অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ছোট ভাইয়ের স্মৃতি হাতড়ে কেঁদেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে রাসেল বেঁচে থাকলে দেশের জন্য অনেক কিছু করত বলেও আফসোস করেন প্রধানমন্ত্রী।

    শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ রাসেল সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগঘন কণ্ঠে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আজকে ৫৪ বছর বয়স পূরণ করেছে রাসেল। আজ তাকে দেখতে কেমন লাগতো? আমার ভাইকে দেখতে কেমন লাগতো? আজকে রাসেল আমাদের মাঝে নেই। আমি আমার রাসেলকে হারিয়েছি। কিন্তু লাখো রাসেলকে পেয়েছি।’

    বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘রাসেলের জন্ম হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। ঠিক যেই মুহূর্তে রাসেল জন্মায় তখন আব্বা খুব ব্যস্ত। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ফাতেমা জিন্নাহ প্রার্থী। তিনি সেই নির্বাচনে প্রচারণার কাজে চট্টগ্রামে ছিলেন। অত্যন্ত ব্যস্ত ছিলেন। রাসেলের জন্ম হওয়ার পর আমরা তাকে খবর দিই।’

    রাসলকে স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চার ভাই-বোন উদ্বিগ্ন হয়ে বসে ছিলাম এই ছোট্ট শিশুটির জন্ম মুহূর্তটা এবং তারপর তাকে কোলে নেয়া। তাকে লালন-পালন করা তার পাশে থাকে। জাতির জনক ৬৭ সালে যখন কারাগারে গেলেন রাসেলের বয়স তখন দুই বছরও হয়নি। তখনই সে বাবার স্নেহ বঞ্চিত হলো।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কারাগারে যেতাম আব্বার সঙ্গে দেখা করতে। রাসেল কিছুতেই আসতে চাইতো না। সে বাবাকে ছাড়া আসবে না। বাবাকে নিয়ে ঘরে ফিরবে। সেই সময় আমার বাবা বলতে বাধ্য হলেন, এটা আমার বাড়ি। আমি আমার বাড়িতে থাকি। তুমি তোমার মায়ের বাড়িতে যাও। তখনও সে ভালো করে কথাও বলতে পারে না। তারপরে সে প্রচণ্ড কান্নাকাটি করত। তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে নিয়ে আসতে হতো।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে দিন আমরা জেলখানায় দেখা করতে যেতাম সেই দিন সে খুব অস্থির থাকত। ঘুমাতে চাইতো না, খেতে চাইতো না। অনেক সময় মধ্য রাতে উঠে বসে থাকতো, আমাদের সবাইকে ডাকতো। আমরা সব ভাই-বোন গিয়ে তার কাছে বসতাম। সে কিছু বলতে পারছে না। সে তার মনের ব্যথাটা জানাতে পারছে না। কিন্তু তার বেদনাটা আমরা বুঝতে পারতাম।’

    ১৯৭৫ সালে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু, তার স্ত্রী, তিন পুত্র দুই পুত্রবধূসহ মোট সাতজনকে ধানমন্ডির ৩২ নাম্বার বাড়িতে হত্যা করা হয়। দেশের বাইরে থাকা বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে রক্ষা পান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দরিদ্র মানুষের সঙ্গে নিজের খাবার ভাগ করে খেতেন। তিনি সব সময় তা করতেন। ঠিক সেই গুণটি রাসেলের মধ্যেও ছিল। গ্রামে গেলে দরিদ্র শিশুদের যে কিছু দিতে হবে তা সে চিন্তা করতো। রাসেলের খুব শখ ছিল বড় হয়ে সে আর্মি অফিসার হবে। সে কাঠের বন্দুক বানাতো। সেটা নিয়ে খেলা করতো।’

    ‘শিশুদের প্রতি তার দরদ ছিল। শিশুদেরকে সে কিছু না কিছু দিতো। বেঁচে থাকলে দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারতো রাসেল। কিন্তু ঘাতকরা একজন ছোট্ট শিশুকেও বাঁচতে দেয়নি।’

    ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্ম নেন শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় রক্ষা পাননি শিশু রাসেল। তখন তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

  • জন্মদিনে শেখ রাসেলের সমাধিতে আ’লীগের শ্রদ্ধা

    জন্মদিনে শেখ রাসেলের সমাধিতে আ’লীগের শ্রদ্ধা

    ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বিপথগামী হায়েনাদের বুলেটের আঘাতে সপরিবারে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধু। এ হত্যাযজ্ঞ থেকে বাদ যায়নি বঙ্গবন্ধু পরিবারের সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য শেখ রাসেলও। সে রাতে তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আজ ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মদিন৷

    এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শেখ রাসেলের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

    এ সময় মতিয়া চৌধুরী, মাহবুব উল আলম হানিফ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হাছান মাহমুদ ও জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্ট রাতে যারা নিহত হন, তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন তারা।

    আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, তাঁতি লীগ, ছাত্রলীগসহ দলটির অন্যান্য অঙ্গ, সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে শেখ রাসেলের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

    শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এবং এর অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।