Tag: শেখ হাসিন

  • বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করতে হবে:ফারাজ করিম

    বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করতে হবে:ফারাজ করিম

    রাউজান(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: “আমরা যদি কিছু বিষয় এখনো পরিবর্তন করতে না পারি, তবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম কিভাবে তাদের নিত্যনতুন চিন্তাভাবনার মাধ্যমে এগিয়ে যাবে? ইতোপূর্বে আমি সকলের কাছে অনুরোধ করেছিলাম আমার ছবি দিয়ে যেন কোন ধরনের পোস্টার, ব্যানার কিংবা ফেস্টুন না ছাপানোর জন্য। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে আমার ছবি দিয়ে ফেস্টুন লাগানো হয়েছে কেন? আমার ছবি লাগানোর মতো এমন কি কাজ করেছি আমি? ছবি থাকবে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির। আমারর ছবি লাগালেই যে আমি খুশি হয়ে যাবো, এমন ধারনা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা চাই পরিবর্তন। আমাদের বিনয়ী হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে শৃঙ্খলার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে।”

    বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে সাবেক ছাত্রনেতাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ফারাজ করিম চৌধুরী।

    আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাউজান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ও রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি কাজী আবদুল ওহাব, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি সভাপতি তানভীর হোসেন তপু।

    রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পিবলুর পরিচালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ এর সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।

    বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, কাজী মোঃ ইকবাল, শ্যামল পালিত, কামরুল ইসলাম বাহাদুর, ইরফানুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন খান, প্রচার সম্পাদক আলমগীর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জানে আলম জনি, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, সহ-সভাপতি সুমন দে প্রমুখ।

  • শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধাকে জয় করেছি আমরা:তথ্যমন্ত্রী

    শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধাকে জয় করেছি আমরা:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ও তার মিত্রদের নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে গত দশ বছরে বাংলাদেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো।

    তিনি বলেন, “ইকোনোমিক লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যদি দিনের পর দিন অবরোধ করে না রাখতো, মানুষের উপর পেট্টোলবোমা নিক্ষেপ ও হামলা পরিচালনা করে জনগণকে জিম্মী করে রাখার যে রাজনীতি সেটা যদি না থাকতো তাহলে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আরো অনেক হতে পারতো।”

    হাছান মাহমুদ আজ বিকেলে চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটি আয়োজিত ‘শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের এক দশক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আালোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সাবেক এমপি মো. আব্দুচ ছাত্তার।

    হাছান মাহমুদ বলেন, সবকিছুতে না বলার এই নেতিবাচক রাজনীতি দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। অবশ্যই যারা দায়িত্বে থাকবে তাদের সমালোচনা হবে। সমালোচনা পথচলাকে শাণিত করে। সমালোচনা ভুল শুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

    “কিন্তু অন্ধের মতো সমালোচনা দেশ, রাজনীতি ও সমাজ কোনটির জন্য সহায়ক নয়” উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও থাকতে হবে। নাহলে কেউ ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহিত হবেনা।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় উন্নিত হয়েছে। দশ বছর আগে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৬’শ ডলার। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলার ছুঁই ছুঁই। ২০০৮ সালে আমাদের দেশে দারিদ্র সীমার নিচে বাস করতো ৪১ শতাংশ মানুষ। বর্তমানে দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে ২০ শতাংশ মানুষ। অর্থাৎ দারিদ্র কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। ’

    তিনি বলেন, ৫০’এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের দেশ খাদ্য ঘাটতির জনপদে রূপান্তরিত হয়। তখন এই জনপদে লোক সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭০ লাখ। এখন লোকসংখা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৭০ লাখ। নগরায়ন, রাস্তা প্রশস্তকরণ, স্থাপনা নির্মাণসহ বিভিন্ন কারণে গত ৬০ বছরে মাথা পিছু কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশ খাদ্যে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ রূপান্তর হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সেই দেশ যেখানে মাথাপিছু জমির পরিমাণ পৃথিবীতে সর্বনিম্ম এবং মানুষের ঘনত্ব পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। সেই দেশ পৃথিবী এবং বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকেও অবাক করে দিয়ে আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যে উদ্বেৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

    বাংলাদেশ এখন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে একটি কেইস স্টাডি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বাংলাদেশকে সফল কেইস স্টাডি হিসেবে আফ্রিকার দেশ গুলোর সামনে উপস্থাপন করে। কিভাবে পৃথিবীর সবচে ঘণবসতিপূর্ণ একটি দেশ ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছাস, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করে এমন সফলতা অর্জন করেছে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ক্ষুধাকে জয় করেছে বাংলাদেশ। তাই আমরা পোস্টারে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ চাই লিখি না। লিখি দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধাকে জয় করেছি আমরা। তাই অলিগলিতে কেউ আজ বলে না, মা আমাকে এক মুঠো বাসি ভাত দাও।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর, অন্যতম শিল্পনগরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ নতুন উচ্চতায় উঠেছে। দারিদ্র্য কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। খাদ্যঘাটতির বাংলাদেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে আগে দুর্যোগ হলে বহির্বিশ্বের কাছে সাহায্য আহ্বান করা হতো। এখন আমরা অন্যদের সাহায্য দিই। বিদেশের শোরুমের পোশাকে মেড ইন বাংলাদেশ দেখলে গর্বে বুক ভরে যায়। এ পরিবর্তন, দেশের বদলে যাওয়া শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে হয়েছে।’