Tag: শৈত্যপ্রবাহ

  • শীত পড়বে এ মাসের মাঝামাঝি, শৈত্যপ্রবাহ ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে

    শীত পড়বে এ মাসের মাঝামাঝি, শৈত্যপ্রবাহ ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে

    ধীরে ধীরে নামছে তাপমাত্রা। চড়া রোদ আর কড়া লাগছে না। উত্তরের জনপদে হালকা শীতের আমেজ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আভাস, চলতি মাসের মাঝামাঝিতেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনুভূত হতে পারে শীত। আর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে কয়েক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। আগামী রোববার দেশের তিন বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। কমতে শুরু করবে তাপমাত্রাও।

    গতকাল বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার তিন মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে দেশে ৮ থেকে ১০টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে।

    আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে। তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইবে ডিসেম্বরের শেষ ও জানুয়ারির শুরুতে। শীত কবে আসবে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনই সকালের দিকে উত্তরবঙ্গের লোকজন শীতের অনুভূতি পাওয়ার কথা বলছে। তবে এ মাসের ১৫ তারিখের পর শীতের অনুভূতি তৈরি হবে দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে।

    বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়; ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

    আগামী তিন মাসের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরে দুই থেকে পাঁচটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে, যার মধ্যে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

    আবহাওয়াবিদ নাজমুল বলেন, নভেম্বরে অহরহ লঘুচাপ তৈরি হয়। এ মাসে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। ডিসেম্বরেও লঘুচাপ হতে পারে, তবে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কম। অক্টোবরেও বঙ্গোপসাগরে একাধিক লঘুচাপ তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম দেওয়া হয় ‘দানা’। তবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানার ধাক্কা বাংলাদেশে না লাগলেও ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে এটি আঘাত হানে। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী তিন মাসে দেশে ‘স্বাভাবিক’ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে দিন ও রাতে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে।

    আর শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য এলাকায় হালকা বা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময়ে ঘন কুয়াশার কারণে দিন ও রাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

  • তীব্র শীতে সীতাকুণ্ডে বড়দের বন্ধ থাকলেও খোলা ছিল ছোটদের স্কুল

    তীব্র শীতে সীতাকুণ্ডে বড়দের বন্ধ থাকলেও খোলা ছিল ছোটদের স্কুল

    তীব্র শীতের কারণে সীতাকুণ্ডে বড়দের স্কুল বন্ধ থাকলেও খোলা ছিল ছোটদের স্কুল। মঙ্গলবার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কুয়াশা ও তীব্র শীতের মধ্যে খোলা ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়।

    প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, কোনো ধরনের নির্দেশনা না পাওয়ায় ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রায়ও তাঁরা যথা নিয়মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। তীব্র শীতের কারণে কাঙ্খিত শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হলেও যারা এসেছে তারা শীতে কাঁপছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কারণে উপজেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকায় বিদ্যালয়ে আসা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অভিভাবকই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী সীতাকুণ্ডের সব মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখা হয় বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা আলম সরকার।

    তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না থাকায় উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুচ্ছোফা।

    এদিকে উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, উপস্থিত ছিল একেবারেই কম। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ভোর থেকে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে স্কুলে উপস্থিত কম হয়।

  • ঢাকাসহ ৪ বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ, বুধ-বৃহস্পতি বৃষ্টির আভাস

    ঢাকাসহ ৪ বিভাগে শৈত্যপ্রবাহ, বুধ-বৃহস্পতি বৃষ্টির আভাস

    সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা আরও কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। আরও তীব্র হয়েছে শীত। এতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত। শীতের তীব্রতা বেড়েছে নগরেও। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো শীতে জবুথবু রাজধানীবাসীও।

    দেশের চার বিভাগ এবং চার জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা বেড়ে শীতের তীব্রতা কমতে পারে। এছাড়া আগামী বুধ এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

    মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। একদিন আগে যা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুর ও বদলগাছীতে।

    ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকা বিভাগ শৈত্যপ্রবাহের আওতায় থাকলেও শুধু ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাই ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রয়েছে। ঢাকা বিভাগের অন্যান্য স্টেশনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

    এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশে রোদের দেখা মিলেছে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে বলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তাকে বলে অতিতীব্র শৈত্যপ্রবাহ।

    আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার পুরো ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা বিভাগসহ শ্রীমঙ্গল, কুমিল্লা, ভোলা, বরিশাল জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

    মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তিনি জানান, দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

    তিনি আরও বলেন, আগামী বুধ এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাতেই খুলনার সাতক্ষীরার দিকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বুধ ও বৃহস্পতিবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের দিকে এবং ঢাকা বিভাগের দক্ষিণাংশের ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জের দু/এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

    শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কেটে যেতে পারে জানিয়ে আব্দুর রহমান বলেন, কিছু কিছু জায়গায় কুয়াশা পড়বে, আবার কিছু কিছু জায়গায় রোদ থাকবে। দেশের উত্তরাঞ্চল আজ সকাল থেকেই পরিষ্কার। তবে দেশের পূর্বাংশের কুমিল্লা নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেটের দিকে কুয়াশা রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় কুয়াশা থাকবে, আবার বিভিন্ন জায়গায় আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে।

  • শীতের দাপটে কাঁপছে দেশ

    শীতের দাপটে কাঁপছে দেশ

    গত কয়েক দিন ধরে টানা শীতের দাপটে কাঁপছে ঢাকাসহ দেশের বিস্তীর্ণ জনপদ। কুয়াশায় ঢেকে আছে শহর-বন্দর-গ্রামগঞ্জ। অনেক জেলায়ই সূর্যের দেখা নেই। কোথাও কোথাও এমন অবস্থা চলছে সপ্তাহকাল। ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শহরের ভাসমান মানুষের মধ্যে যারা রাস্তা বা উন্মুক্ত স্থানে থাকেন,তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কায়িক শ্রমিকদের অবস্থা আরো করুন। গরম কাপড়ের অভাবে কাতর হতদরিদ্ররা।

    গতকালও দিনভর রাজধানীর আকাশে সূর্য দেখা যায়নি। গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা নেমে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যাতে কাঁপছে ঢাকার বাসিন্দারা। এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে যানবাহনগুলোকে। অল্প দূরত্বেও ঠিকমতো কিছু দেখা যাচ্ছিল না। গত চার দিনে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা কমেছে ঢাকায়। তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও শীতের অনুভূতি ছিল ১০ ডিগ্রির নিচে। অর্থাৎ মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতিতে ছিলেন রাজধানীবাসী। যদিও গতকাল সকালে দেশের ও এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।

    ১৭ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার:আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, প্রতিদিন শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার ঘটছে। ঢাকা, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৭টি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও বরিশালের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ওমর ফারুক বলেন, আজ থেকে দিনের কুয়াশা অনেকটা কমে যাবে। তবে রাতের কুয়াশা থাকবে। মূলত আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা একটু বাড়তির দিকে থাকলেও ১০ জানুয়ারির পর থেকে তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমতে থাকবে। তার মানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রিতে নামতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, আগামী বেশ কয়েক দিন এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। যদি সূর্যের তাপ পাওয়া না যায়, তাহলে শৈত্যপ্রবাহের এলাকাও বিস্তার লাভ করতে পারে। ঢাকায় আজ যে তাপমাত্রা, তাতে শৈত্যপ্রবাহ বলা না গেলেও দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় কোল্ড ওয়েভের মতোই অনুভূতি পাচ্ছেন নগরবাসী।

    আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির পূর্বাভাস: এদিকে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো বিশ্লেষণ করে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, আগামী ১৪, ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টির পরে ১৮-২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবারও সপ্তাহব্যাপী দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে কুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে এখনই বলা যাচ্ছে না পরবর্তী শৈত্যপ্রবাহটির তীব্রতা কোন মাত্রার হবে।

    তীব্র শীতের আশঙ্কা, সহসা কাটছে না ঘনকুয়াশা:আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, গঙ্গা অববাহিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত কুয়াশার কারণে শীত বেশি থাকবে। ঘন কুয়াশার একটি প্রবাহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে মধ্যাঞ্চল হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম পর্যন্ত ঐ ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স (পশ্চিমা লঘুচাপ) আমাদের দেশে তুলনামূলক উষ্ণ জলীয়বাষ্প নিয়ে আসে, এতে কুয়াশা কেটে যায়। এবার সেটা না হওয়ায় কুয়াশা কাটছে না। ঢাকার বাইরে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়ছে। কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। আমাদের এখানে যদি বাতাসের গতিবেগ বেশি হতো তা হলেও কুয়াশা কেটে যেত। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ইরানের পূর্বাঞ্চল ও এর আশপাশের এলাকায় পশ্চিমা লঘুচাপ দেখা গেছে। এর প্রভাবে আগামী ১২ জানুয়ারি পশ্চিম হিমালীয় অঞ্চলে বৃষ্টি বা তুষারপাত হতে পারে। ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি জানুয়ারির শুরুতে প্রথমে মধ্যপ্রদেশের উত্তরাংশ, ছত্তিশগড় ও উপহিমালীয় পশ্চিমবঙ্গে ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে উত্তরাখন্ড ও ছত্রিশগড়েও ঘন কুয়াশা দেখা যায়। গত কয়েক দিন ধরে ধরে ভারতের দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিশাল এক ঘন কুয়াশার স্তর চাদরের মতো আটকে আছে। প্রায় প্রতিদিনই কুয়াশা ঘন হচ্ছে, ফলে রোদ এই অঞ্চলগুলোর ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারছে না। কলকাতার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। অন্যদিকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা শীতল বায়ুর একটি প্রবাহ

    দিনদিন শক্তিশালী বা ঠান্ডা হচ্ছে। এই দুইয়ের প্রভাবে বাংলাদেশে শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। আজ রবিবারও একই ধরনের শীত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ বলেন, বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে। আবহাওয়াবিদ ডক্টর মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূত হতে পারে।

  • দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, বিপর্যস্ত জনজীবন

    দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, বিপর্যস্ত জনজীবন

    ঘন কুয়াশার পাশাপাশি বইছে হিমেল হাওয়া
    চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। টানা দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এই জেলায়। শনিবার (০৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    গতকাল শুক্রবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি বইছে হিমেল হাওয়া। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

    সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। ঘন কুয়াশা আর শীতে অনেকে রাস্তার পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া তীব্র শীতের হাত থেকে বাঁচতে অনেকে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না।

    শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সদর হাসপাতালসহ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

    চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জাহিদুল হক জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ ও হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

  • সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ বইছে,থাকবে তিন দিন

    সারাদেশে শৈত্যপ্রবাহ বইছে,থাকবে তিন দিন

    রাজধানীসহ সারা দেশের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও তিন দিন বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    কুড়িগ্রামে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য জানা গেছে।

    আজ সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। তবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

    সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    আজ সারাদিন আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার হতে পারে।

    পৌষের শুরুতেই ক্রমাগত বাড়ছে তীব্র শীতের প্রকট। ঘন কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। কুয়াশার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। ফলে দিনের বেলা সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করতে দেখা গেছে। কনকনে ঠাণ্ডায় বিশেষ কাজ ছাড়া বাইরে বের হতে সাহস পাচ্ছে না অনেকেই।

    চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ তীব্র শীতের কারণে এলাকাবাসী খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন। সেই সঙ্গে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে পোশাক ক্রয় করতে ভির করছেন ক্রেতারা। ঠাণ্ডায় সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।