Tag: শোয়েব মালিক

  • মালিকের ব্যাটে পাকিস্তানের সহজ জয়

    মালিকের ব্যাটে পাকিস্তানের সহজ জয়

    লাহোরে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৫৮ রান করেন শোয়েব মালিক।

    আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টাইগারদের দেওয়া সে লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানের। শুরুতেই দলের অধিনায়ক বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শফিউল। বাংলাদেশের মতো ধীরগতিতে শুরু করেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরাও। দলীয় ৩৫ রানে মুস্তাফিজের কাটারে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ হাফিজ (১৭)।

    অবশ্য তৃতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। শোয়েব মালিক ও আহসান আলীর দায়িত্বশীল ব্যাটিং পাকিস্তানকে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। উইকেট থেকে তেমন সুবিধা পাচ্ছিলেন না ব্যাটসম্যানরা। সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন দুই ব্যাটসম্যান। তবে দলীয় ৮১ রানে আমিনুলের বলে আহসান আউট হলে ম্যাচ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

    তবে সেখান থেকে আর ম্যাচ বের করে আনতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। উইকেট পড়তে ততক্ষণে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় পাকিস্তান। শেষদিকে আরও দুই উইকেটের পতন ঘটে পাকিস্তানের তবে ততক্ষণে ম্যাচ পুরোপুরি পাকিস্তানের হাতেই ছিল। ফিফটি হাঁকান মালিক। শেষ ওভারে পাঁচ রানের প্রয়োজন হলে তিন বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান।

    এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও তামিম ইকবাল। তবে শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে ব্যাট করেন তামিম। তার সঙ্গে ধীরগতির ব্যাট করেন নাঈমও। পাওয়ার-প্লে’তে যথেষ্ট রান তুলতে ব্যর্থ হন এই দুই ওপেনার। দুই জনের স্লো ইনিংসের কারণে ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

    দুই ব্যাটসম্যান মিলে ৬৬ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন। দুই জনের জুটি ভাঙে রান আউটের মাধ্যমে। তবে এ দুই ব্যাটসম্যানের স্লো ব্যাটিংয়ের কারণে ততক্ষণে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তামিমের বিদায়ের পর কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করেন নাঈম। দ্বিতীয় উইকেটটিও আসে রান আউটে। সাদাব খানের অসাধারণ থ্রোতে রান আউটের শিকার হন লিটন।

    লিটনের বিদায়ের পর আউট হন নাঈমও। ব্যক্তিগত ৪১ বলে ৪৩ রান করে সাদাবের বলে আউট হন তিনি। তারপর থেকে কেউই ঠিকমত ক্রিজে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ১৯ রানে ১৪১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ ১৪১-৫ (ওভার ২০)

    নাঈম ৪১, তামিম ৩৯: আফ্রিদি ১-২৩

    পাকিস্তান ১৪২-৫ (ওভার ১৯.৩)

    মালিক ৫৮*, আহসান ৩৬: আল-আমিন ১-১৮

  • মুশফিকের ব্যাটে রাজশাহীর দুর্দান্ত জয়

    মুশফিকের ব্যাটে রাজশাহীর দুর্দান্ত জয়

    চলতি বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনকে টপকে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দলগতভাবে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী রয়্যালস। তবে সেটা পর্যাপ্ত হলো না জয়ের জন্য। মুশফিকুর রহিমের ৯৬ রানের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। এতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল দলটি।

    ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে খুলনার সামনে ১৯০ রানের লক্ষ্যে ছুঁড়ে দেয় রাজশাহী। পাহাড়সম এই রান টপকাতে নেমে শুরুতেই খালি হাতে ফিরে যান ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। খানিক বাদে একই পথের সারথি হন আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো রহমতউল্লাহ গুরবাজ। এরপর রুশোকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ করেন অধিনায়ক মুশফিক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৭২ রান। ৪২ রানে থাকা রুশোকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ ভাঙেন রাব্বি।

    সেখান থেকে শামসুর রহমানকে নিয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন মুশফিক। মাঝে মাত্র ৩০ বলে তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। পরে শামসুর ২৯ রানে বিদায় নিলেও জয় পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি খুলনাকে। শেষদিকে মুশফিকের ৯৬ রানের কল্যাণে ৫ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা টাইগার্স। ৫১ বলের ইনিংসটি মুশফিক সাজিয়েছেন ৯টা চার ও ৪টা ছয়ের সাহায্যে।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন লিটন দাস ও হযরতউল্লাহ জাজাই। তবে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি এই দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ২৬ রানের মাথায় সাজঘরের পথ ধরেন তারা। এরপর আফিফ হোসেনও ১৯ রান করে আউট হলে রাজশাহীর হয়ে দলের হাল ধরেন শোয়েব মালিক এবং রবি বোপারা। এরই এক ফাঁকে মাত্র ৩৫ বলে নিজের অর্ধশতকটা তুলে নেন মালিক। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটি মালিকের ৫৫তম ফিফটি।

    পঞ্চাশ রানের কোটা পার করার পর আরো বেশি আগ্রাসী হয়ে যান পাকিস্তানি এই ক্রিকেটার। লেগ স্পিনার বিপ্লবের করা দলীয় ১৬তম ওভারেই ৩টা ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে ইনিংসের শেষে দিকে এসে খানিক আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মালিককে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতে আমিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। ৫০ বলে মালিকের ৮৭ রানের সাথে ২৬ বলে বোপারার অপরাজিত ৪০ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৮৯ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী রয়্যালস।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৮৯/৪ (২০ ওভার)
    মালিক ৮৭, বোপারা ৪০*, লিটন ১৯; আমির ২/৩৬, ফ্রাইলিঙ্ক ১/২৯ শহিদুল ১/৩৫।

    খুলনা টাইগার্স: ১৯২/৫ (১৯.৪ ওভার)
    মুশফিক ৯৬, রুশো ২৯, শামসুর ২৯; রাসেল ২/৪১, রাব্বি ১/১৮।

    ফলাফল: খুলনা ৫ উইকেটে জয়ী।

  • সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে সাকিব

    সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে সাকিব

    নয়াদিল্লিতে গতকাল অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার খেলাটি ছিল ১০০০তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই ১০০০তম ম্যাচ বিবেচনায় সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশ সাজিয়েছে ভারতীয় জনপ্রিয় ক্রীড়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকট্রেকার। তাদের সেই সেরা একাদশে রয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

    ২০০৪ সালের ৫ আগস্ট প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। ২০০৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ছেলেদের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

    ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে অংশ নেয় ভারত-পাকিস্তান।

    গত ১৫ বছরে টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বিভিন্ন সময়ে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে সেরাদের বাছাই করে একাদশ সাজিয়েছে ক্রিকট্রেকার। তাদের সেই একাদশে আছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

    পাকিস্তান থেকে সুযোগ পেয়েছেন তিনজন-কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি, পাকিস্তানদলে সাবেক হয়ে যাওয়া তারকা পেসার উমর গুল ও সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিক।

    ভারত থেকে সুযোগ পেয়েছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা।

    টি-টোয়েন্টির সর্বকালের সেরা একাদশের নেতৃত্বে রয়েছেন সবশেষ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক ইয়ন মর্গান।

    শ্রীলংকা থেকে সুযোগ পেয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেইমরান তাহির আর নিউজিল্যান্ড থেকে চান্স পেয়েছেন ব্রান্ডন ম্যাককালাম। আফগানিস্তান থেকে সুযোগ পেয়েছেন তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান।

    টি-টোয়েন্টির সর্বকালের সেরাএকাদশ: রোহিত শর্মা, ব্রান্ডন ম্যাককালাম, বিরাট কোহলি, সাকিব আল হাসান, ইয়ন মর্গান (অধিনায়ক), শোয়েব মালিক, শহীদ আফ্রিদি, রশিদ খান, লাসিথ মালিঙ্গা, উমর গুল ও ইমরান তাহির।