Tag: শ্লীলতাহানি

  • চট্টগ্রামে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

    চট্টগ্রামে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

    চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ এলাকায় নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হল- আকবরশাহের লতিফপুর এলাকার সতীশ দাশের ছেলে জয় দাশ (২১) এবং একই এলাকার সুমন দাশের ছেলে অপু দাশ (২১)।

    বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকাল ৪টায় আকবরশাহ থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের ধরতে অভিযান চালানো হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়ালী উদ্দিন।

    তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টায় আকবরশাহের বেড়িবাঁধ এলাকা দিয়ে ওই তরুণীকে অনুসরণ করতে থাকে দুই বখাটে। একপর্যায়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাকে পাশের ব্রিকফিল্ডের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে খবর দেন। পরে ওই তরুণীর দেওয়া আসামিদের দৈহিক বর্ণনা অনুসারে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

  • চট্টগ্রামে জ্বীন তাড়ানোর নামে কিশোরীকে শ্লীলতাহানি, মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার

    চট্টগ্রামে জ্বীন তাড়ানোর নামে কিশোরীকে শ্লীলতাহানি, মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার

    চট্টগ্রামের সদরঘাটে পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ঝাড়-ফুকের মাধ্যমে চিকিৎসার নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. আশিকুল ইসলাম (৩৪)।

    বৃহস্পতিবার (২ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    শুক্রবার (৩ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, ভিকটিমের পরিবার সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় থাকেন। ভিকটিম চট্টগ্রামের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তিন মাস ধরে সে অসুস্থ। এ জন্য তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডাক্তারের চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু সুস্থ হয়নি।

    একপর্যায়ে ভিকটিমের বাবাকে বাসার মালিকের ভাই জানান, স্থানীয় হাজী নসু মালুম মসজিদের মুয়াজ্জিন আশিকুল ঝাড়-ফুক দিয়া চিকিৎসা করান। পরে ভিকটিমের বাবা মুয়াজ্জিন আশিকুলকে দিয়ে তার মেয়েকে ঝাড়-ফুক দিয়া চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ভিকটিমের বাসায় এসে আশিকুল ভিকটিমকে দেখে তার মা-বাবাকে বলেন, তাকে জ্বীন আছর করেছে।

    তিনি বলেন, মুয়াজ্জিন একপর্যায়ে বলেন মেয়েটিকে ঝাড়-ফুকের মাধ্যমে দ্রুত চিকিৎসা না করালে তিন দিনের মধ্যে মারা যাবে। এসময় চিকিৎসা খরচ বাবদ ২১ হাজার টাকা দাবি করেন আশিকুল। ভিকটিমের বাবা ভয়ে তার মেয়েকে চিকিৎসা করাতে নগদ ১০ হাজার টাকা দেন। তখন মুয়াজ্জিন মেয়েটিকে ঝাড়-ফুকের মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করেন।

    একপর্যায়ে আশিকুল বলেন, ভিকটিম মেয়েটিকে দরজা-জানালা বন্ধ করে রুমের মধ্যে একা রেখে চিকিৎসা করতে হবে। এ কথায় রাজি হয়ে রুম থেকে মেয়েটির মা-বাবা বের হয়ে যান। এ সুযোগে মো. আশিকুল ইসলাম মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। প্রায় পাঁচ মিনিট পর মেয়েটি রুম থেকে বের হয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশিকুলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় সদরঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ১

    বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ১

    ২৪ ঘণ্টা, ডেস্ক নিউজ : নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় স্বামীকে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। সম্প্রতি উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

    নির্যাতনের সময় ধারণ করা সেই ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে। রবিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

    জানা গেছে, ৩২ দিন আগে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা নির্যাতিতার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ফলে পুরো ঘটনা থেকে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে।

    এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নজরে আসলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

    এসপি আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ নির্যাতিতাকে তার বাবার বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করেছে। তিনি জানিয়েছেন, ৩০-৩২ দিন আগে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের পাঁচটি ইউনিট অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

    স্থানীয়রা জানায়, গত ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    তাদের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ে তিনি এবং তার পরিবার এ নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তাই ঘটনার ৩২ দিন অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।

    বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবদুর রহিমকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আবরার

  • স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, রাউজানে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

    স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা, রাউজানে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফজল আহমদ (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

    আজ ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে দণ্ড দেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ। দণ্ডপ্রাপ্ত ফজল আহমদ উপজেলার ১১ নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের উত্তর গুজরা গ্রামের মাইজপাড়া এলাকার মৃত সৈয়্যদ আহমেদের পুত্র। সে একই উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের এনায়েত ফকির বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতো।

    ১০ নং পূর্ব গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আলম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার ফজল আহমেদের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে স্থানীয় ৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে ডেকে কক্ষের দরজা বন্ধ করলে মেয়েটি কৌশলে দরজা খুলে পালিয়ে যায়।

    পরে দৌঁড়ে ছুটে এসে বিষয়টি সবাইকে জানালে আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং বিস্তারিত জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে স্বাক্ষীসহ উপজেলায় যাওয়ার প্রস্তুতিকালে সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

    এ সময় আমি মোটর বাইক নিয়ে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করলে আদালত স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে একমাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফজল আহমদ নামের এক ব্যক্তিকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

  • রাউজানে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি : বৃদ্ধের কারাদণ্ড

    রাউজানে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি : বৃদ্ধের কারাদণ্ড

    রাউজানে পঞ্চম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোঃ রফিক(৬০) নামের এক ব্যক্তিকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

    ২৭ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ এই দণ্ডাদেশ দেন।

    মোঃ রফিক উপজেলার ৭ নং ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বেপারী পাড়ার মৃত নবাব মিয়ার পুত্র।

    সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সভাপতি সাইদুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার স্কুল বন্ধের দিন এলাকার খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বান্ধবীকে সাথে নিয়ে স্কুল শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যান জনৈক স্কুল ছাত্রী। এ সময় মোঃ রফিক শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করে পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীটির শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে তার সাথে থাকা বান্ধবীটি চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন জড়ো হয়।

    পরে বিষয়টি স্থানীয়দের কেউ রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের হেল্পডেস্ক টিমকে বিষয়টির খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

    রবিবার সকালে সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের হেল্পডেস্ক টিমের সদস্যরা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার মানুষের কাছে বিষয়টির খোঁজ নেন।

    এ সময় স্থানীয় লোকজন বলেন, রফিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পরে হেল্পডেস্ক টিমের সদস্যরা কৌশল অবলম্বন করে রফিককে হাজির করে রাউজান থানায় নিয়ে আসেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের ভিত্তিতে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, মোঃ রফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।