Tag: সংঘর্ষ

  • চট্টগ্রামে সংঘর্ষ: চার মামলায় আসামি সাড়ে ৭ হাজার

    চট্টগ্রামে সংঘর্ষ: চার মামলায় আসামি সাড়ে ৭ হাজার

    চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও দুই ব্যক্তি বাদী হয়ে চারটি মামলা দায়ের করেছেন। এসব মামলায় অজ্ঞাত সাড়ে সাত হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার নগরের মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

    নগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ৫০০০ থেকে ৬৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে তিনটি মামলা হয়েছে পাঁচলাইশ থানায়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি এবং সংঘর্ষে আহত একজনের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় আরও মামলা দায়ের হবে।

    তিনি বলেন, এছাড়াও নগরের খুলশি থানায় একজনের নাম উল্লেখসহ সাড়ে পাঁচশত জনকে আসামি করা হয়েছে। একজন ভুক্তভোগী মামলাটি করেছেন। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।

    পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, তিনটি মামলার মধ্যে হত্যার দায়ে করা মামলায় অজ্ঞাত সাড়ে ৬ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বিস্ফোরণের দায়ে ১০০-১৫০ এবং হামলার ঘটনায় এক নারী ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

    তিনি জানান, নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ভবনের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

    এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

  • ঢাবির কার্জন হলের সামনে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষ

    ঢাবির কার্জন হলের সামনে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষ

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বৃস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

    আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বেলা ১২টার দিকে হাইকোর্টের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতাকর্মীর এবং কার্জন হলের সামনে থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মিছিল থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    এ সময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া করতে দেখা যায়। দুই দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি, হকিস্টিক, রডও দেখা যায়।

    তবে কিছু সময় পর ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে পেছনে চলে যান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আর দোয়েল চত্বর থেকে হাইকোর্টের সামনের সড়ক পর্যন্ত এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই সড়কে মহড়া দেওয়া শুরু করেন।

    সরেজমিন দেখা যায়, তারা টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, ভিসি চত্বর ও পলাশীসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। প্রত্যেক দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে সম্প্রতি রাজপথে আন্দোলন করছে ছাত্রদল।

    এ নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৪ মে) ছাত্রদল মিছিল নিয়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে তাদের বাধা দেয় ছাত্রলীগ। তখন উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ছাত্রদলের বেশ কিছু নেতকার্মী আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব

  • চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

    চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

    এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। এসময় কেউ আহত হওয়ায় খবর পাওয়া যায়নি।

    বিবাদমান দুটি গ্রুপ হলো শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক বিজয় ও সিএফসি (চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার)। উভয় গ্রুপই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।

    তথ্যমতে, অর্থনীতি বিভাগের র‍্যাগ ডে উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যান সিএফসি গ্রুপের কয়েকজন কর্মী। এসময় বিজয় গ্রুপের কর্মীরা তাদের ঢুকতে বাধা দিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

    এ ঘটনার পর শহীদ আব্দুর রব হল থেকে আসা সিএফসি কর্মীরা বিজয়ের কর্মীদের ধাওয়া দেয়। বিজয়ের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে জড়ো হয়ে শাহ আমানত হলে থাকা সিএফসির কর্মীদের ধাওয়া দিলে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

    এ বিষয়ে বিজয়ের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, সিএফসির নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ সভাপতির পাওয়ার দেখিয়ে অর্থনীতি বিভাগের অনুষ্ঠানে ঢোকার চেষ্টা করলে বিজয়ের কর্মীদের সাথে ঝামেলা বাধে।

    শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের নেতা রেজাউল হক রুবেল বলেন, বিজয়ের কয়েকজন নেতাকর্মীকে ফাও খেতে না দেওয়ায় তারা হলের বাবুর্চিকে মারধর করেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

    চবি প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। দুই গ্রুপকেই হলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

    ২৪ ঘন্টা/মেহেদি শান্ত/রাজীব

  • চট্টগ্রামের ১১ ইউপিতে ভোট সম্পন্ন, ফটিকছড়ি ও লোহাগাড়ায় সংঘর্ষ আহত ৫

    চট্টগ্রামের ১১ ইউপিতে ভোট সম্পন্ন, ফটিকছড়ি ও লোহাগাড়ায় সংঘর্ষ আহত ৫

    ২৪ ঘণ্টা, ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রামের ৬ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

    ভোট গ্রহণের শুরুতে প্রথমে সুষ্ঠ এরপর বেলা বাড়তেই থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এক পর্যায়ে হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষ। ঠিক এভাবেই কেটেছে ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ও লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় কয়েকটি নির্বাচন কেন্দ্র। সংঘর্ষে জড়িয়েছে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের সমর্থকেরা।

    এতে ফটিকছড়িতে ৩ জন ও আমিরাবাদে ২ জন আহত হওয়ার খবর জানা গেছে। তবে প্রশাসনের তৎপরতায় সংঘর্ষে রুপ নেওয়া কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়।

    ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে শোভনছড়ি জে এম সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

    মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে হাতাহাতির ঘটনায় তিনজন আহত হয়। এরা হলেন আলী আকবর জুনু, ইমাজ উদ্দিন ও জেম। খবর পেয়ে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। স্বাভাবিকভাবেই পুনরায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ।

    লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন রোমেন খান বলেন, সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বড় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

    তবে লোহাগাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন উপজেলার আমিরাবাদ ১নং ওয়ার্ডের আমিরাবাদ সুফিয়া আলীয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন সামান্য আহত হয়।

    তাছাড়া কেন্দ্রটির কয়েকটি বুথে দুর্বৃত্তদের হামলার কারণে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক উপস্থিতিতে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায়।

    দুই উপজেলায় ছোট কিছু বিচ্ছিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও বাকি ৪ উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তারা দাবী করছে নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন কেন্দ্রে আইনশঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

    জানা যায়, চট্টগ্রামের ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে মোট ২৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১১৮ জন সাধারণ সদস্য এবং ৩৭ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।

    এর আগে মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আরও তিন ইউনিয়নের সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ওইসব ইউনিয়নে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।

    নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনানুগ নির্দেশনা প্রদান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ২৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নে মোট ভোটার ১১ হাজার ৩১২ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭৫৬ জন পুরুষ, ৫ হাজার ৫৫৬ জন মহিলা। এছাড়া নানুপুর ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৯শ ৫১ জন। এর মধ্যে ১০ হাজার ১৩৮ জন পুরুষ ও ৯ হাজার ৮১৩ জন মহিলা ভোটার।

    লোহাগাড়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নে মোট ভোটার ২৩ হাজার ১৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩২৯ জন ও মহিলা ১০ হাজার ৮৪০ জন।

    আমিরাবাদে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ১১৫ জন ও মহিলা ১৩ হাজার ৮২৮ জন। আধুনগর ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৫ হাজার ৫৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ১৪১ জন ও মহিলা ৭ হাজার ৪১৫ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • লকডাউন দেওয়াকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে পুলিশ-গ্রামবাসীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

    লকডাউন দেওয়াকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে পুলিশ-গ্রামবাসীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি |। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়ায় লকডাউন দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ-গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

    এঘটনায় পুলিশ গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ১৫/২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁরে এবং গ্রামবাসী পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার সময় বার আউলিয়াস্থ ফুলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

    জানা যায়, করোনা সংক্রামনের কারণে উপজেলার অন্যান্য এলাকার মতো ফুলতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা গ্রামে যাতে বাহিরে কোন ব্যক্তি ও শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের গাড়ি প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যে বাঁশ দিয়ে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের তথা গ্রামের রাস্তা বন্ধ করে দেয় কয়েকদিন আগে।

    যার ফলে লোকমান হোসেনের মালিকানাধীন জিরি সুবেদার শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের কোন গাড়ি প্রবেশ করতে পারছেনা। বিষয়টি ইয়ার্ড কৃর্তপক্ষ পুলিশকে জানালে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ গিয়ে রাস্তা থেকে ব্যারিকেট সরিয়ে দেয়।

    এসময় গ্রামবাসীর সাথে পুলিশের তর্ক-বির্তক শুরু হয়। এরপর দুইপক্ষের মধ্যে বেশ উক্তেজনার সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এঘটনায় পুলিশ ১৫/২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুরে বলে অভিযোগ করে গ্রামবাসী।

    এব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলেন, সারাদেশে করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন চলেছে, আমাদের গ্রামে যাতে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ ছড়াতে না পারে সেজন্য আমরা গ্রামবাসী সেচ্ছায় লকডাউন করি।

    কিন্তু জিরি সুবেদার শিপব্রেকিং ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ তাদের ইয়ার্ড চালু করে বাহির থেকে গাড়ি গ্রামে ডুকাচ্ছে। আমরা বাঁধা দিলে তারা পুলিশ এনে গ্রামবাসীর উপর নির্যাতন করে।

    তারা আরো বলেন, জিরি সুবেদার কৃর্তপক্ষ এখানে কোটি কোটি ব্যাবসা করলেও বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষকে কোন রকমের সহযোগীতা করেনি, এছাড়া গ্রামের রাস্তাটা তাদের গাড়ি চালিয়ে নষ্ট করলেও রাস্তাটা মেরামতের কোন উদ্যেগ নেয়নি।

    এদিকে গ্রামবাসীর অভিযোগগুলো অস্বীকার করে জিরি সুবেদার শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের প্রতিনিধি মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গ্রামের কিছু ব্যক্তি লকডাউনের নামে রাস্তা বন্ধ করে ইয়ার্ডে ডাকাতি করার প্রস্তুুতি নিচ্ছে, কয়েকদিন আগেও তারা দারোয়ানকে মেরে ইয়ার্ডে ডাকাতি করেছে।  আর করোনা ভাইরাসের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আমরা গ্রামবাসীর জন্য ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছি।

    এদিকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, এলাকাবাসী বাঁশ দিয়ে রাস্তা চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

    আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে উক্তেজিত গ্রামবাসী আমাদের উপর পাথর ছুঁরে। তবে গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে ফাঁকাগুলি ছোঁড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন ওসি।

    এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এএসপি (সীতাকুণ্ড) সার্কেল শম্পা রানী শাহা, সোনাইছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমেদ, বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার এসআই সাইফুল ইসলামসহ ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশসহ শতাধিক পুলিশ।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড) সার্কেল শম্পা রানী সাহা’র সমোঝতার আশ্বাসে গ্রামবাসী ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

    ২৪ঘণ্টা/কামরুল ইসলাম দুলু/আরএসপি

  • সল্টগোলায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ : প্রার্থী ও ছেলেসহ আহত ৬

    সল্টগোলায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ : প্রার্থী ও ছেলেসহ আহত ৬

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রাথী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান মুরাদ এবং তার ছেলে আদনান সামির (১৮)সহ অন্তত ৬ জন আহত হয়।

    বর্তমানে হাসান মুরাদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে এবং তার ছেলে আদনান মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে একই হাসপাতালের ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন রয়েছে বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর গণসংযোগে অংশ গ্রহণের জন্য মেয়র প্রার্থী আসার আগেই মিছিল সহকারে যোগ দেন উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা। এসময় মিছিলে শ্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

    এতে বন্দর থানার ২ নম্বর সাইট মালুম পাড়ার লালমিয়া সওদাগরের বাড়ির মৃত হারেজের পুত্র ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মুরাদ (৫৫)। তার ছেলে সাদমান সামি (১৪), ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন (৪৫) ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলমসহ অন্তত ৬জন আহত হয়েছে জানালেন স্থানীয়রা।

    আহত নুরুল আলম বলেন, ‘মেয়র প্রার্থীর আগমন উপলক্ষে আমরা সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় অপেক্ষা করছিলাম। উনি তখন আগ্রাবাদে গণসংযোগ করছিলেন। তার ঠিক আধঘণ্টা আগে মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি খোরশেদুল আলম সুজন সল্টগোলা এলাকায় পৌঁছান।

    এ সময় ৩৮ নম্বর বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমি, কাউন্সিলর প্রার্থী তার ছেলেসহ প্রায় ৫-৬ জন আহত হয়েছি। তিনজন মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য গেছে। বাকিরা এখানে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসারত।’

    বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারী পরিদর্শক আলাউদ্দিন বলেন, গত শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান মুরাদ তার ছেলেসহ মোট তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।

    জানা যায়, ঘটনার দিন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ওই এলাকায় গণসংযোগ করার কথা ছিলো। তবে সংঘর্ষের ঘটনার পর ওই ওয়ার্ডে প্রচারণার শিডিউল বাতিল করে পার্শ্ববর্তী ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম।

    গণসংযোগে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদুল আলম সুজন, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, নগর কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবুল হক মিয়া ও আব্দুল আহাদসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।

    এ বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন গণমাধ্রমকে বলেন, “আমাদের মেয়র প্রার্থী সেখানে আসার আগেই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ঘটনার পর প্রচারণা না করেই আমরা ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে চলে যাই। তাছাড়া ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডটি অনেক বড় হওয়ায় প্রচারণার শিডিউল বদল করা হয়েছে।

  • রাউজানে মোটর সাইকেলের সাথে চাঁদের গাড়ীর সংঘর্ষ : মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীর মৃত্যু

    রাউজানে মোটর সাইকেলের সাথে চাঁদের গাড়ীর সংঘর্ষ : মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীর মৃত্যু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলের সাথে চাঁদের গাড়ীর (জীপ) মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবর প্রকাশ বাবু (২৭) নামের এক প্রবাসী নিহত হয়েছে।

    আজ ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মাস্টারবাড়ী কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় এই দুঘটনাটি ঘটে।

    নিহত বাবু ফটিকছড়ি উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের মোঃ রফিক আহমদের পুত্র। এই দুর্ঘটনায় একই এলাকার মো. নোয়া মিয়ার পুত্র মো. ইমরানও গুরুতর আহত হয়।রাউজানে

    প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, ইয়াছিন শাহ সড়কে ফটিকছড়িমুখী মোটরসাইকেল (চট্টমেট্রা ১১-১০৯৩) রাউজানমুখী একটি চাঁদের গাড়ীর সাথে মাস্টারবাড়ি এলাকা অতিক্রমকালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেল চালক ও অপর আরোহী গুরুতর আহত হয়। আরো খবর : রাউজানে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

    পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উপাজেলার গহিরা ইউনিয়নের জে কে মেমোরিয়ার হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে খবর পেয়ে নিহত বাবুর স্বজনরা ছুটে আসলে তাদের গগণবিদারী আহাজারিতে হাসপাতাল এলাকায় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতাড়না হয়।

    নিহত বাবুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী বাবু পরিবারে দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার কনিষ্ট। বিগত দুইমাস পূর্বে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সে দেশে আসে।

    রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার আমজান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • মাটিরাঙ্গায় গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ ৪ জন নিহত

    মাটিরাঙ্গায় গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ ৪ জন নিহত

    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষে এক বিজিবি সদস্যসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাজিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- ৪০ বিজিবির সিপাহী শাওন ও আলুটিলা বটতলী গ্রামের সাহাব মিয়া এবং তার ছেলে  মো. আহাম্মদ আলী ও মজিদ। এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, ছেলে এবং স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

    এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুদ্দিন ভুঁইয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

  • ‘আমাদের মসজিদ জ্বলেছে, বাঁচাব শিবমন্দির’

    ‘আমাদের মসজিদ জ্বলেছে, বাঁচাব শিবমন্দির’

    দিল্লি সংঘর্ষে হাহাকারের মধ্যেই সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল ছবি উঠে এল পুরনো মুস্তাফাবাদের বাবুনগরে। মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে শিব মন্দির রক্ষায় ত্রাতা হয়ে উঠলেন মুসলিমরাই।

    আশেপাশের অঞ্চলে গোষ্ঠী সংঘর্ষ ভয়ঙ্কর রূপ নিলেও এই অঞ্চলের বাসিন্দারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রুখে দিয়েছেন সংঘর্ষ। তুলে ধরেছেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত দেশবন্ধু কলেজের পড়ুয়া মহম্মদ হাসিন এমনই এক জন। বছর চব্বিশের এই পড়ুয়ার কথায়, ‘‘পরিস্থিতি যেমনই হোক, আমরা চেয়েছিলাম সব সময়েই ঐক্যবদ্ধ থাকতে। যাতে হিংস্র জনতার মোকাবিলা করা যায়।’’ যে কোনও মূল্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও সৌভ্রাত্র অটুট রাখাই ছিল তাঁদের সংকল্প। সে জন্যে মন্দির বাঁচাতে ওই কয়েকটা দিন পালা করে নজরদারি করেছেন তাঁরা। হাসিনের কথায়, ‘‘দুই ধর্মের মানুষই ছোট ছোট দল তৈরি করে সতর্ক থেকেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাতে তুলে নিয়েছিলাম লাঠি।’’

    মন্দির থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকেন কামরুদ্দিন। স্থানীয় চায়ের দোকানে খাবার সরবরাহ করে পেট চলে তাঁর। এ হেন কামরুদ্দিনের গলাতেও সম্প্রীতির সুর। ‘‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা একসঙ্গে রয়েছি। কখনও সংঘর্ষের কথা ভাবতেই পারিনি। এই কঠিন সময়ে মানবতা রক্ষা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদ জ্বলে গিয়েছে জানি, কিন্তু মন্দিরে কোনও আঁচ লাগতে দেব না।’’

    গত ৩০-৩৫ বছর ধরে মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক রীনা (৫২)। দৈনন্দিন পুজোর সমস্ত দায়িত্বই তাঁর। এই বিপদের সময়ে তিনিও ধর্ম বিচার না করে আস্থা রেখেছেন ভিন্ ধর্মের ভাইদের উপরেই। তুলে দিয়েছেন মন্দিরের চাবি। ‘‘ওরা তো নিজেদেরই লোক। গত কয়েক দিন মন্দিরে যেতে পারিনি। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম, ওরা থাকতে মন্দিরের কোনও ক্ষতি হবে না। এত দিন একসঙ্গে রয়েছি। পরিস্থিতি খারাপ বলে কি সব বদলে যাবে? আমরা পৃথক ভাবে ধর্মাচরণ করলেও ঈশ্বর তো একই,’’ বলেন রীনা। তাই মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলেও নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নন ৫২ বছরের এই মহিলা।

    উল্লেখ্য,নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) সমর্থক-বিরোধীদের মধ্যে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিদিনই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ ঘটনায় অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত ১৪৮টি অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশের কাছে এবং আটক হয়েছে ৬৩০ জন।

  • নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১ জনের মৃত্যু

    নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১ জনের মৃত্যু

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের আক্রমনে রবিবার সকালে এক ব্যক্তি রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২জনকে আটক করেছে।

    কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর বাহাগিলি ডাঙ্গাপাড়ায় শনিবার সকাল ৯টায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান তার দলবল প্রতিপক্ষ মোঃ এনামুল হকের (৪০) উপর আক্রমন চালায়। তাকে বাচাঁনোর জন্য আত্বীয়-স্বজনরা এগিয়ে আসলে তারাও আক্রমনের শিকার হয়। এতে ডাঙ্গাপাড়ার মনছুর আলীর ছেলে আইনুল (৩৯), মইনুল (৩২), মনারুল (২৮), ও স্ত্রী আয়না (৬০), এনামুলের চাচাত ভাই তাহাবুল (২০), অহিবুল (২৫) গুরুতর আহত হয়।

    এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত উজির মামুদের পুত্র এনামুল হক রবিবার সকালে মারা যায়।

    পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে আতিয়ারের পুত্র আবেদুল (৪৮) ও জালাল উদ্দিনের স্ত্রী কান্দুরীকে (৫৫) আটক করে।

    কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ’র সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • রাজধানীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

    রাজধানীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ

    কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই আজ হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টের সামনে অবস্থান নেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

    মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে উচ্চ আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন দলটির নেতাকর্মীরা।

    এসময় তাদের হাতে কোনো প্রকার ব্যানার কিংবা ফেস্টুন ছিল না। কেবল দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে শোনা যায়।

    এর পরই আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মধ্যে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হাইকোর্ট এলাকায় অঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরাতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    পুলিশ যখন বিএনপি নেতাকর্মীদের সরানোর জন্য মৎস্য ভবন এলাকা থেকে হাইকোর্ট এলাকায় আসে তখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে লাঠিপেটা করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে নিক্ষেপ করে অবস্থানকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
    পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট এলাকা ত্যাগ করার সময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে।

    বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ বেশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিপেটা করে। এ ছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া ইট পাল্টা ছুড়ে মেরে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে পুলিশও।

    ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শেখ মো. শামীম বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে আমাদের ওপর আগে ইটপাটকেল ছুড়ে। তখন আনুমানিক চার-পাঁচটি টিয়ারগ্যাস ছোড়া হয়।’

    এর আগে আজ দুপুর ১টার দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে বিপুল নেতাকর্মী জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বিশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি হাইকোর্টের দিকে অগ্রসর হয়ে হাইকোর্টের দ্বিতীয় গেটে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় হাইকোর্ট থেকেও বিএনপিপন্থী আইনজীবীসহ অনেকেই মিছিলে যোগ দেয়।

    মিছিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয়। হাইকোর্টের দ্বিতীয় গেটসহ আশপাশের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা হাইকোর্টের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।

    ওই সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘আমরা কোনো অসাংবিধানিক কাজ করছি না। দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে হাজার হাজার নেতাকর্মী ঘর ছেড়ে আজ রাজপথে নেমেছে। রাজপথই আমাদের ঠিকানা। যতক্ষণ পারি, ততক্ষণ অবস্থান করব। পুলিশ যেন আমাদের উসকানি না দেয়।’

    নোমান বলেন, ‘আজকে রাস্তায় নামাটা অসাংবিধানিক নয় এবং আইনবিরোধীও নয়। জনগণ রাষ্ট্রক্ষমতার মালিক হওয়া সত্ত্বেও সবকিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামছাড়া ঊর্ধ্বগতি। পেঁয়াজ, চাল, তেল জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের বিরোধীদলের আন্দোলন করার অধিকার আছে। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করার অধিকার আমাদের আছে।’

    সরকারের উদ্দেশে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নামিয়ে আনুন। এবং দেশ চালাতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচন দিন।’

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে নোমান বলেন, ‘আমরা আন্দোলন, মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করছি। এটা সংবিধানবহির্ভূত নয়। তাই আপনাদের আহ্বান জানাব, আমাদের নেতাকর্মীদের বাধা না দিয়ে আমাদের কর্মসূচি পালন করতে দিন। আপনাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের উসকানি প্রত্যাশিত নয়।’