Tag: সংঘর্ষ

  • নোয়াখালীতে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত শতাধিক

    নোয়াখালীতে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত শতাধিক

    নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

    বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে  সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেলের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

    সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ভাংচুর করা হয়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেলের অনুসারীরা একটি মিছিল নিয়ে জজকোর্ট সড়ক থেকে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিল। পথে গণপূর্ত অফিসের সামনে যাওয়া মাত্র সম্মেলনস্থল শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম থেকে আসা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাংসদ ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর গাড়ি বহর থেকে মিছিলকারীদের ধাওয়া করা হয়।

    এ সময় উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলে প্রথমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও পরে সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে পুরো শহরের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ লেগে যায়। ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ বুধবার। সকাল ১০টায় সম্মেলনের সভাস্থলে প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে দুপুর আড়াইটা থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

    ৪৮৫ জন কাউন্সিলর তাদের ভোটের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের জন্য সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত করবেন।

  • ফটিকছড়ির নানুপুর-খিরাম সড়কে জীপ-সিএনজি সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু

    ফটিকছড়ির নানুপুর-খিরাম সড়কে জীপ-সিএনজি সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু

    ফটিকছড়ির নানুপুর-খিরাম সড়কে চাঁদের গাড়ী (জীপ)র সাথে সিএনজির মুখোমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে।  আজ ৬ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টার দিকে খিরাম সড়কের প্রেমপুর লম্বাটিলা বাগানে এই দূর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত জীপটি লাকড়ী বোজাই ছিলো বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

    নিহতের নাম সাইদুল হক (৫৫)। সে নোয়াখালী কবিরাজ থানার ইন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রহমত উল্লাহ পুত্র। নিহত সাইদুল হক পেশায় একজন বাবুর্চী।

    এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, নিহত ব্যক্তি বিয়ে বাড়িতে বাবুর্চীর কাজ করে। নানুপুর সৈয়দবাড়ি থেকে খিরামে একটি বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত জীপ গাড়ীটি ফেলে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে বলেন।

  • পীরগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু,পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে আহত ৫০

    পীরগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে আসামির মৃত্যু,পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে আহত ৫০

    রংপুরের পীরগঞ্জের ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে শামছুল হক (৫৮) নামের এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় তার মৃত্যু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে।

    এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিক্ষিপ্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ পাল্টা ২৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আধাঘণ্টা ধরে পুলিশ ও উত্তেজিত জনতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজ উদ্দিন ও ভেন্ডাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় জনতা, ব্যবসায়ী ও পথচারীসহ অর্ধ শতাধিক জনতা গুরুতর আহত হয়েছে।

    জানা যায়, শামছুল হককে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯ টায় পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগা বাজার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে ভেন্ডাবাড়ি তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আটকে রাখা হয়। বুধবার সকাল ৯টায় হাজতে গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

    এদিকে নিহতের পরিবার জানায়, ভেন্ডাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামছুল হককে গ্রেফতারের পরে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তার এই দাবির টাকা পূরণ করতে না পারায় তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।

    পুলিশের ভাষ্য, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ভেন্দাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ২৫ লিটার চোলাই মদসহ শামসুল ইসলামকে পীরগঞ্জ উপজেলার বড় দরগা ইউনিয়নের ইসমাইলপুর গ্রাম থেকে আটক করে। আটকের পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় ভেন্দাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে। আজ বুধবার সকালে পুলিশ ফাঁড়ির গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ দেখা যায়।

    রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, আমাদের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার হাফিজসহ বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

    পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টি এ এম মোমিনের নেতৃত্বে পীরগঞ্জ থানায় শামসুল ইসলামের লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ইউএনও জানিয়েছেন, সুরতহালে লাশের দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

    এদিকে আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে উক্ত ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে রংপুর পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়েছে।

    প্রত্যাহার হওয়া পুলিশের সদস্যার হলেন ভেন্দাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) আমিনুল ইসলাম। সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহ আলম, এএসআই হরিকান্ত বর্মণ, এএসআই তাজউদ্দিন ও কনস্টেবল আরিফুল ইসলাম।

    প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে ওই সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

  • আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়কে সিএনজি কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ, নিহত ২

    আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়কে সিএনজি কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ, নিহত ২

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়কে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান হারিয়েছেন দুজন যাত্রী। একই ঘটনায় আরো অন্তত চারজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার সময় আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়নের ঝিওরী চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    নিহতদের মধ্যে সুভাষ কান্তি নাথ (৫৫) পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা এবং নগরীর হাজারী লেইন এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ি বলে জানা গেছে। অপরজন ফেনীর সোনাগাজী এলাকার হাফিজ ইব্রাহিমের ছেলে মো. ঈসরাফিল (৩৫)।

    আহতরা হলেন, অটো রিকশা যাত্রী পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও এলাকার জাফর আহমদের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৪৫) ও তার মেয়ে রিনা আকতার (২৪), চাঁদপুর জেলার কচুয়া এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র ভ্যান চালক কাউছার আলম (৩৫) এবং সিএনজি অটোরিকশা চালক জাহেদুল ইসলাম (৩০)।

    স্থানীয়রা হতাহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

    আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ সড়ক দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে আনোয়ারা উপজেলার ঝিওরি চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় দুটি যাত্রীবাহি সিএনজি নিজেদের মধ্যে ওভারটেক করতে গিয়ে বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রামমুখী ওষুধ বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ হয়।

    দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় ৬ জনকে উদ্ধার করে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন প্রাণ হারায়। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারানো ব্যাক্তির নাম মো. ইসরাফিল বলে তাৎক্ষনিক জানিয়ে তার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর হতে পারে ধারণা পুলিশের। বাকিদের উপজেলা হাসপাতালে নিলে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুভাষ কান্তি নাথ নামে অপর একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

    নিহত সুভাষ হাজারী গলি ওষুধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যকরী সম্পাদক এবং নগরীর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটিরও সদস্য বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে গুরুতর ৩জনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া নিহতদের মরদেহ চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    এদিকে দুর্ঘটনা কবলিত কভার্ডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিক্সাগুলো আটক করে থানায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনোয়ারা থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমরান হোসেন।

  • ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কুবিতে সংঘর্ষ, আহত ১৫

    ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কুবিতে সংঘর্ষ, আহত ১৫

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েক দফা মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

    রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে ৫ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার ১ম সেমিফাইনালে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মুখোমুখি হয় বাংলা ও মার্কেটিং বিভাগ। খেলা চলাকালে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ম্যাচ শেষে বাংলা বিভাগের খেলোয়াড়, সমর্থক ও. শিক্ষকরা মাঠ ছাড়ার সময় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের উপর চড়াও হোন।

    একপর্যায়ে শাখা ছাত্রলীগের মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক জুনায়েদ ইসলাম (এআইএস), উপ সমাজসেবা সম্পাদক মুনতাসির হৃদয় (এআইএস) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোয়েব হাসান হিমেল (মার্কেটিং), সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহুল হক শান্ত (পদার্থবিজ্ঞান), নজরুল হলের ছাত্রলীগকর্মী শাহ ফাহিম (মার্কেটিং), বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগকর্মী সজিব কুমার কর (পরিসংখ্যান), ঐ হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ সাহা সেতু (মার্কেটিং), দত্ত হলের ছাত্রলীগকর্মী সাদমান, রবিনসহ (মার্কেটিং) বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মাঠ সংলগ্ন নতুন রোপণ করা বৃক্ষসংযুক্ত বাঁশ তুলে উপর্যুপরি হামলা শুরু করেন।

    এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সহকারী প্রক্টরসহ বাংলা বিভাগের শাহিদুল ইসলাম বিজয়, তাওহিদ সানি, রাশেদুল ইসলাম, সুপন সূত্রধর, শাহাদত হোসেন হিমেল, আব্দুর রহমান, সফিউর রহমান সাগর, আমীর হামজা তন্ময়, তানভীর, আশাদুজ্জামান শাহেদ, আব্দুল আহাদ, এস কে বিজয়, রবিউল, প্রান্ত, সিফাতসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত শাহিদুল ইসলাম বিজয়সহ ৫ জন শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    মারামারির একপর্যায়ে মার্কেটিং বিভাগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা খেলা দেখতে যাওয়া দর্শকদের মধ্যে থাকা ছাত্রীদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে ভয়ার্ত ছাত্রীরা মাঠের পেছন দিকে ছুটে বেরিয়ে আসেন।

    এছাড়াও খেলা চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালনকালে এক বিএনসিসি ক্যাডেট কর্পোরালের কলার চেপে ধরেন বঙ্গবন্ধু হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ সাহা সেতু (মার্কেটিং)। পরে অন্যদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুনায়েদ ইসলাম বলেন, ‘আমি সেখানে ফেরাতে গেছি। তারা উল্টো আমাদের মেরেছে। আমি নিজে কাউকে মারিনি।’

    শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ জানান, ‘দুই বিভাগের ঘটনায় ওখানে উপস্থিত ছাত্রলীগকর্মীরা তাদের ফেরানোর চেষ্টা করে। ছাত্রলীগের কেউ কারও উপর হামলা করেনি। আর যদি এ ঘটনার ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকে বা পরবর্তীতে ঝামেলা হয় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    বাংলা বিভাগের সভাপতি শামসুজ্জামান মিলকী জানান, ‘খেলা চলাকালীন রেফারির কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হলেও খেলা চালিয়ে নেওয়ার স্বার্থে আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু খেলা শেষে আমরা ফিরে আসার সময় খেলোয়াড়, শিক্ষক, সমর্থকসহ সকলের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে আমাদের অন্তত পনেরোজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর প্রতিবাদে সোমবার অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় স্থান নির্ধারনী খেলা আমরা বয়কট করেছি।’

    খেলা পরিচালনা কমিটির প্রধান ড. মো: শামিমুল ইসলাম জানান, ‘এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা প্রশাসনের সাথে সার্বিক ঘটনার বিষয়ে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।’

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের মধ্যকার মারামারিতে যারা আহত হয়েছে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও মেডিকেলে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • কক্সবাজার কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-২

    কক্সবাজার কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত-২

    কক্সবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুইজন ছাত্রলীগ কর্মী ছুরিকাঘাতে হয়েছে। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

    তবে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনার আগেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    আহতরা হলেন, ছাত্রলীগ কর্মী খালেক ও শফিক। তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, সম্মেলন ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কলেজ সভাপতি জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাখওয়াতের গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

    এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।