Tag: সংবাদ সম্মেলন

  • চসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিতে  নীল নকশার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে

    চসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিতে নীল নকশার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে

    আগামী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি যাতে অংশ নিতে না পারে সে জন্য এখন থেকে নানা ষড়যন্ত্র, হামলা মামলার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে যেনতেন ভাবে ২০১৮ সালের মত নীল নকশার নির্বাচন বাস্তবাযনের কাজ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।

    আজ শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে চট্টগ্রামের নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযাগ করেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

    সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের মতবিনিময় চলাকালে কোন কারণ ছাড়াই পুলিশী হামলা, ককটেল হামলা ও গুলি চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করে কেন্দ্রিয় ছাত্রদল নেতাসহ কয়েজনকে গ্রেফতারের পর উল্টো অসংখ্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি।

    সংবাদ সম্মেলনে ডা. শাহাদাত বলেন, আগামী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নীল নকশা বাস্তবায়নে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে সিএমপির কতিপয় এক বির্তর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা। যিনি ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে যেভাবে গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছিল।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. শাহাদাত আরো বলেন, গত ২৮ জানুয়ায়ী মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সফররত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের তৃনমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল থেকে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচী চলাকালে কোতোয়ালী থানা ও ডিবি পুলিশ বিনা কারণে কার্যালয়ে ঢুকে নেতাকর্মীদের উপর বর্বর হামলা চালায়। এতে পুলিশ মারমুখি হয়ে নেতা কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং গুলি চালায়। এসময় পুলিশ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। যা শিষ্টাচার বহির্ভূত।

    পুলিশের গুলিতে এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মাইনুদ্দীন শহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ. এম. রাশেদ খান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কে. এম আব্বাস ও গাজী শওকত সহ ১০/ ১২ জন নেতা কর্মীসহ আহত হয়। তাদেরকে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহমুদ আলম সর্দ্দার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দীন নিলয়, চট্টগ্রাম মহানগর
    ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম খলিল, মোঃ বেলালকে গ্রেপ্তার করে।

    তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইউনিটে ছাত্রদল নেতাদের সাথে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ সম্পূর্ণ বিনা কারণে ছাত্রদল নেতাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে আবার তাদের নামে ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ঐ সময়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন গণ মাধ্যমে স্বীকার করেন পুলিশ চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। অথচ পরের দিন ছাত্রদল নেতা কর্মীরা পুলিশকে ককটেল হামলা করেছে অভিযোগ এনে ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল না এমন নেতাদের নামও মামলায় আসামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ চূড়ান্ত মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ পদোন্নতির আশায় ছাত্রদলের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনে এবং গণমাধ্যমে তা প্রচার করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

    আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আবারও ষড়যন্ত্রমূলক অপ তৎপরতা শুরু করেছে। তথাকথিত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে যেভাবে গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ঠিক তেমনিভাবে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা আবারও গ্রেপ্তার নির্যাতন শুরু করেছে। নির্বাচনের আগে দায়ের হওয়া গায়েবী মামলায় নেতাকর্মীরা হাইকোর্টের জামিনে থাকলেও নিন্ম আদালত জামিন বাতিল করে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা মনে করি, বিএনপির বলিষ্ঠ নেতাকর্মীরা যাতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাজ করতে না পারে সে জন্য তারা এই গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে।

    এইভাবে নেতা কর্মীদের যদি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। তাই আমরা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতনভোগি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ করব, জনবান্ধব পুলিশ হউন, কোন গোষ্ঠির স্বার্থ রক্ষাকারী পেটুয়া বাহিনী হিসেবে চি‎হ্নিত হবেন না। আমরা ছাত্রদল নেতা কর্মকমীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবী জানাচ্ছি।

    সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি যাতে অংশ নিতে না পারে সে জন্য এখন থেকে নানা ষড়যন্ত্র, হামলা মামলার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকে রেখে যেনতেন ভাবে ২০১৮ সালের মত নীল নকশার নির্বাচন বাস্তবাযনের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, আগামী সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নীল নকশা বাস্তবায়নে সিএমপির অতিউৎসাহী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এখন থেকে মাঠে নেমেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছিল। আবারো সে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।

    সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, আর. ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হামিদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম সরওয়ার আলম, নগর মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফাতেমা বাদশা, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিম স্বপন, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, সহ স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আরিফ মেহেদী, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর বিএনপির সদস্য জাকিরহোসেন, মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

  • সীতাকুণ্ডে ভাইদের বিরুদ্ধে ভাইয়ের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

    সীতাকুণ্ডে ভাইদের বিরুদ্ধে ভাইয়ের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে গৌরাঙ্গ আচার্য রাঠু নামের এক জ্যোতিষী তার ভাইদের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে।

    আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গৌরাঙ্গ আচার্য বলেন, আমার বড় ভাই ও সেজভাইসহ কয়েকজন আত্মীয় স্বজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমার সুনামক্ষুন্ন করতে, আমাকে সামাজিক, মানসিক ও নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

    সংবাদ সম্মেলনে আমার বড় ভাই নিতাই আচার্য্য ও তার স্ত্রী শিউলী রানী, সেজ ভাই কুশা আচার্য্য ও তার স্ত্রী লক্ষী রানী দাশ, চাচাতো ভাই সঞ্জয় আচার্য্য ও তার বোন রত্না রানী এবং গ্রামের শম্ভুশীল, তার পিতা মাখন লাল শীল ও রুবেল ভট্টাচার্য্য মিলে যে তথ্যগুলো উপস্থাপন করেছে সেগুলো ঐক্যবদ্ধ ষড়যন্ত্র এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও হিংসাত্মক বলে আমি মনে করি।

    আমি কোন রকমে তন্ত্র বিদ্যা দিয়ে মানুষের উপকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। এনজিও সংস্থাগুলো থেকে লোন নিয়ে কাজকর্ম করি, লোন শোধ করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয়। তার মধ্যে আমার বিরুদ্ধে আমার ভাই বোনেরা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ আনেন, কালি মন্দিরে সার্বজনীন পূজাকালীন সময়ে প্রশাসনের নাম দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে পূজা বন্ধ করে দিয়েছি। তাছাড়া গ্রামের মানুষ আমার বিরুদ্ধে কিছু বললে মামলা জড়ায়ে দিবো বলে যে হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনেছে তাহা ডাহা মিথ্যা।

    তারা আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানী করতে চেয়ে ব্যর্থ হলে উল্টো আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমাকে ভন্ড, প্রতারক, চোর, ডাকাত ও ধর্ষক ইত্যাদি অশ্লীল ভাষায় গালমন্দসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভিটেমাটি ছাড়া করার চেষ্টা করছে। এমতাবস্থায় আমি ঐ সংঘবদ্ধ দূস্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

    উল্লেখ যে, গত বুধবার সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে গৌরাঙ্গ আচার্য রাঠুর বিরুদ্ধে উপজেলার ৮নং বহরপুর, বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের এলাকাবাসী ও তার ভাই-বোনরা তার অত্যাচার থেকে পরিত্রান পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • ষড়যন্ত্রমূলকভাবে খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করা হচ্ছে

    ষড়যন্ত্রমূলকভাবে খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করা হচ্ছে

    কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন জানিয়ে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।

    যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তার এই অবস্থা স্থায়ীরুপ নিতে পারে। অথচ বিএসএমএমইউ কতৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশারায় খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভন্ডুল করতে সত্য গোপন করছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে সরকার খালেদা জিয়ার জামিন প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্থ করছে।

    বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নগরীর লাভলেইনস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেগম জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে বিএসএমএমইউ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন যা খুবই দু:খ জনক। বিএসএমএমই পরিচালক বলেছেন যে খালেদা জিয়ার অসহযোগিতার কারনেই তার সাথে চিকিৎসকরা দেখা করতে পারছেন না, যা সম্পুর্ণরুপে মিথ্যা।

    সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সভাপতি ও ড্যাব কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যখন নেত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ তখন ওনাকে ফিজিওথেরাপি দিতো সাবরিনা ইয়াসমিন নামের একজন প্রথম শ্রেণির চিকিৎসক। আমি একজন ফিজিওথেরাপিষ্ট হিসাবে ওনার জন্য উন্নত একটি ফিজিওথেরাপি মেশিন পাঠিয়েছিলাম। সেটা জানার পর ডা. সারিনা ইয়াসমিনকে চিকিৎসা থেকে বাদ দেয়া হয়। ওই জায়গায় তৃতীয় শ্রেণীর একজন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসব সরকারের নীল নকশার অংশ।

    ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইদানিং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার অপপ্রয়াসে তার স্বাস্থ্য সম্পকৃত অসত্য সংবাদ পরিবেশ করা হচ্ছে যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

    বেগম খালেদা জিয়ার রোগের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর হাতে এবং পায়ে ছোট ছোট জয়েন্টগুলোসহ শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ফুলে গেছে। তাতে তিব্র ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। যার কারণে জয়েন্টগুলি শক্ত এবং বাঁকা হতে চলেছে। যা কিনা অচিরেই স্থায়ী রুপ ধারণ করতে পারে। যার কারণে বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা, ওঠা, বসা এমনকি নিজ হাতে খাবার পর্যন্ত খেতে পারছেন না।

    তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আপোষহীনভাবে নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হন। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পূন:প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলেও এক এগারো পরবর্তী সময় তা ব্যাহত হয়। এক এগারো সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত একটি ভিত্তিহীন মামলায় আদালতের রায়ে বর্তমানে তিনি কারাবন্দী আছেন। একই সময়ে একই রকম মালা যা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বেগম খালেদা জিয়া তার স্বাভাবিক আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত।

    খালেদা জিয়ার শরীরিক অবস্থা মারাত্মক জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন। বাস্তবিক অর্থে উনি ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই সময় যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তার এই অবস্থা স্থায়ীরুপ নিতে পারে।

    বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশরায় জাতিকে বিভ্রান্ত করতে এবং খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভন্ডুল করতে সত্য গোপন করছেন। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী বেগম খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে নিজ পায়ে হেঁটে জেলখানায় প্রবেশ করেন, নিজে হেঁটে দোতলায় তার নির্ধারিত রুমে যান, এমন কি জেলখানা থেকে এর আগের বার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ী থেকে নেমে নিজে লিফট পর্যন্ত হেঁটে যান। সময়ের পরিক্রমায় তিনি কিভাবে আজকের অবস্থায় উপনীতি হলেন সেটা প্রশ্ন রাখতে চাই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি ধীরে ধীরে এই অবস্থায় উপনীত হয়েছেন। তিনি সুচিকিৎসা পেলে এই অবস্থা হতো না।

    ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালির সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, মহানগর সভাপতি ডা. আব্বাস উদ্দিন, উপদেষ্টা আবুল কালাম, নগর বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, ড্যাব নগর সহসভাপতি ডা. কাজী মাহবুব আলম, ড্যাব নেতা ডা. ইফতেখার আদনান, ডা. নুরুল করিম চৌধুরী, ডা. খোরশেদ আলম, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. মইন উদ্দিন, ডা. ওমর ফারুক পারভেজ, ডা. জাহেদুল আলম, ডা. মীর কাশেম মজুমদার, ডা. ওয়াসিফ কামাল নাদিম, ডা. সাইফুল ইসলাম, ডা. সাদ্দাম, ডা. জাহেদ, মোহাম্মদুল হক জনি, সাইফুল ইসলাম আজিজ, নয়ন প্রমুখ।

  • ম্যাক্স হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে দাবী কর্তৃপক্ষের

    ম্যাক্স হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে দাবী কর্তৃপক্ষের

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে দাবী করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে মহলটির বিষয়ে কোন কথা না বলে বিষয়টি চিহ্নিত করে কারণ খুঁজে বের করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নগরীর একটি রেস্টেুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. লিয়াকত আলী খান।

    তিনি বলেন, হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা সফলতার সাথে সবধরণের সেবা দিয়ে আসছি। ইদানিং আমরা লক্ষ করছি যে আমাদের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আমাদের অর্জিত সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে একটি মহল।

    লিখিত বক্তব্যে বলা হয় গত গত ৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একটি শিশুর মাতৃগর্ভে মুত্যুর ঘটনায় ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়। অথচ এই ঘটনায় ম্যাক্স হাসপাতাল কোনভাবেই দায়ী নয়, এমনকি এই ঘটনার সাথে ম্যাক্স হাসপাতলের কোন সম্পর্কও নেই।

    ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ইউসুফ আলম মাসুদের স্ত্রী শারমিন আক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগীয় সহকারি অধ্যাপক ডা. আফরোজা ফেরদৌস এর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলো। গত পহেলা ডিসেম্বর শারমিন আক্তার নিয়মিত চেকআপে ডা. আফরোজার চেম্বারে আসলে উনি রোগীকে চেকআপ করেন ও রোগীর সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক দেখতে পান।

    এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোগী বিশিষ্ট সনোলজিস্ট ডা. এইচ এম রাকিবুল হকের নিকট আল্ট্রাসনোগ্রাম করান। পরবর্তীতে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট নিয়ে ডা. আফরোজাকে দেখান। তিনি সবকিছু স্বাভাবিক আছে বলে রোগীকে জানান। একই সাথে পানি ভাঙ্গলে বা প্রসব ব্যাথা উঠলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরমর্ম দেন।

    কিন্তু গত ৩ ডিসেম্বর রোগীর প্রসব ব্যাথা উঠার ৬ ঘন্টা পর ডা. আফরোজার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে রোগী বেসরকারি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং সেখানকার ডিউটি ডাক্তারের তত্বাবধানে তার ডেলিভারী সম্পন্ন হয় ও একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করেন।

    এই ঘটনার সাথে ম্যাক্স কোনভাবেই জড়িত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, রোগী শারমিন প্রসব ব্যাথা উঠার ৬ ঘন্টা পর হাসপাতালে আসার কারনে বাচ্চা জরায়ূ থেকে অর্ধেক বের হওয়া ছিলো এবং খুব জটিল অবস্থায় ছিলো। অসম্ভব চেষ্টায় বাচ্চাটি ডেলিভারি করানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরীসহ হাসপাতালের কর্তকর্তাবৃন্দ।

  • সীতাকুণ্ডে ভূমি জবর-দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন

    সীতাকুণ্ডে ভূমি জবর-দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে জায়গা দখল করে গাছ কর্তন করে গ্যারেজ নির্মানের প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন করেছে নুর নাহার বেগম নামে এক নারী। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সন্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    এসময় লিখিত বক্তব্যে নুর নাহার বেগম বলেন, আমার স্বামীর বিদেশের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বিগত ২০০৬ সালের ২৮ আগষ্ট জনৈক হাজী মহিউদ্দীনের কাছ থেকে মহাদেবপুর মৌজার ১২ শতক আন্দর ৮ শতক নাল জমি ক্রয় করি। যাহার (দাগ নং ৫০৮৫ খতিয়ান নং ২৩০১)।

    আমি ক্রয়কৃত ৮ শতক জমি নামজারি খতিয়ান করার পর জমির তিনদিকে সীমানায় দেওয়াল নির্মাণ করি, এরপর বাউন্ডারীর ভিতরে বিভিন্ন গাছ রোপন করি। দীর্ঘ ১২/১৩ বছর যাবৎ এই জায়গা ভোগ দখলে আছি। কিন্তু গত ১১ নভেম্বর সকালে এলাকার সফিকুল ইসলাম নামের এক ভূমিদস্যুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী দল বাউন্ডারীতে প্রবেশ করে সমস্থ গাছ কেটে সেখানে গ্যারেজ নির্মাণ করতে বাঁশের খুটিসহ বিভিন্ন মালামাল আনতে থাকে। এসময় আমি আমার মেয়েকে নিয়ে এসব কাজে বাঁধা দিলে তারা আমাদেরকে গালি গালাজ করে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

    এরপর ভয়ে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ হেল্প লাইন ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানালে হেল্প লাইন থেকে বিষয়টি সীতাকুণ্ড মডেল থানাকে অবহিত করলে এসআই কায়েমুল ইসলামের নেতৃত্ব পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং উভয়পক্ষকে মীমাংসার জন্য স্থানীয় প্রশাসন বা আইন আদালতে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

    বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি এবং এ ব্যাপারে থানায় জিডি করেছি। আমি ভূমিদস্যু সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • বোয়ালখালীতে বিএনপি নেতাদের গাড়ি বহরে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    বোয়ালখালীতে বিএনপি নেতাদের গাড়ি বহরে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের গাড়ী বহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে বোয়ালখালী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

    অভিযোগে বলা হয় শুক্রবার ২৯ নভেম্বর রাতে বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপি এক নেতার শাশুড়ীর জানাজা শেষে নগরীতে ফেরার পথে হামলার শিকার হয় বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান ও বোয়ালখালী পৌর মেয়র আবুল কালাম আবুসহ বিএনপির নেতারা।

    হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করার তথ্য জানিয়েছে নগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী।

    তিনি বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বোয়ালখালীর চরণদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতার আত্মীয়ের জানাজা শেষে বিএনপি নেতারা গাড়ি বহর নিয়ে নগরে ফেরার পথে পৌরসভার পাঠানপাড়া স্কুলের সামনে হামলার শিকার হন।

    তিনি বলেন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহানের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন নেতাকর্মী জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে গাড়ীতে ইটপাঠকেল মারতে থাকে। এতে মেয়র আবু’র গাড়ীতে থাকা আবু সুফিয়ান অক্ষত থাকলেও গাড়ীটির কাঁচ ভেঙ্গে চালক ইয়াছিন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে।

    এ ঘটনায় বোয়ালখালী পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু বোয়ালখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন হামলার সময় গাড়ি বহরে থাকা নগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান।

    তবে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি জানিয়ে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেয়ামত উল্লাহ বলেন, জানাজা পড়ে শহরে যাওয়ার সময় পৌর মেয়রে গাড়ীতে পাথর মেরেছে বলে রাত ১টার দিকে তিনি ফোনে জানিয়েছেন।

  • সীতাকুণ্ডের সাবেক এক মেম্বারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ৫ পরিবার,সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

    সীতাকুণ্ডের সাবেক এক মেম্বারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ৫ পরিবার,সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকার সাবেক মেম্বার ও স্থানীয় কেশবপুর গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে জসীম উদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভিটে মাটি হারানোর আতংকে আছে একই এলাকার ৫ পরিবার।

    এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বের) মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগিরা।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐ এলাকার সিরাজ মিয়ার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার। তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন তারা ৫ পরিবার ১৯৯১ সালে স্থানীয় মুন্সিমিয়ার দখলে থাকা সওজের জায়গা সত্ব কিনে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে সওজের কাছ থেকে লিজ নেন তারা।

    ২০১৩ সালে তাদের পার্শ্ববর্তী জমির আলী নামক এক ব্যক্তির জায়গা কিনে স্কেল স্থাপন করেন জসীম মেম্বার। এরপর থেকে শাহানাজসহ আশপাশের পরিবারের উপর অত্যাচার শুরু করেন তিনি।

    সর্বশেষ গত ২৬ আগষ্ট নিজের জায়গা ভরাট করতে গিয়ে জসীম এমনভাবে বালি ফেলেন যে ১০ ফুট উচ্চতার ঐ বালির স্তুপ থেকে পার্শ্ববর্তী আবু জাফর, মৃত আবুল বশর, কুদ্দুস আলী, শাহানাজ আক্তারদের ঘরে বালি ও পানি ঢুকে পরিবারগুলো খুবই কস্টে দিনতিপাত করছে।

    এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে জসীম উল্টো হুমকি দিচ্ছেন তাদের এবং নানাভাবে ঘরের উপর ইট, লোহার পাতসহ নানান সরঞ্জাম ছুড়ে অত্যাচার করছে।

    সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন রেহেনা বেগম, সখিনা বেগম, সাহাব উদ্দিন, ফাতেমা বেগম ।

  • ভাটিয়ারীতে সাংগঠনিক নিয়ম ভঙ্গ করে অগণতান্ত্রিকভাবে কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    ভাটিয়ারীতে সাংগঠনিক নিয়ম ভঙ্গ করে অগণতান্ত্রিকভাবে কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অগঠনতান্ত্রিকভাবে গঠিত কমিটি বাতিল করে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে সকলের মতামতের ভিক্তিতে কমিটি গঠনের জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাব্বির আহমদ চৌধুরী। অন্যথায় আইনী প্রক্রিয়ার আশ্রয় নেয়া হবে বলে তিনি হুঁসিয়ারী দেন।

    আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহবান জানিয়ে বলেন, গত ১৭ নভেবম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গোপন ব্যালেটের মাধ্যমে নির্বাচন না করে নির্লজ্জ প্রক্রিয়ায় কণ্ঠ ভোটে নির্বাচনের নামে প্রহসনের কমিটি দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল সম্মেলনের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন।

    সংবাদ সংম্মেলনে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, ছোটকাল থেকে মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছি। স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার মরহুম পিতাসহ আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির জন্য নিবেদিত প্রাণ। সে সুবাদে আমি একজন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম। কেন্দ্রের নির্দেশে সীতাতুণ্ড থানায় সম্মেলন প্রস্ততি শুরু হয়।

    তারই ধারাবাহিকতায় ২৫ অক্টোবর ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড সম্মেলন হয়।

    কিন্তু নানান অনিয়ম অসংগতি প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে যেনতেনভাবে সম্মেলন শেষ হয়। ওয়ার্ড সম্মেলন শেষ হওয়ার পর শুরু হবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এতে নতুন নেতৃত্বের আশায় প্রস্তুতি নিতে থাকি নিজেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে। এর পরপরই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। কাউন্সিলর তালিকা না দেয়া, দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত লোক দিয়ে করা হয় কাউন্সিলর তালিকা। সব মেনে নিয়ে কাউন্সিলর তালিকা চাইলাম বর্তমান সভাপতি সাধারণ সম্পাদকদ্বয়ের কাছে। তারা দিল না। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন নেতাদের কাছে প্রতিকার চেয়েও পাইনি।

    দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল সম্মেলনের সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট ফখরুল উদ্দিনের কাছে প্রতিকার চেয়ে পেলাম না। তাদের তৈরী তালিকা মেনে নিয়েই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হলাম। এবার কাউন্সিলর তালিকাও দেবে না। নির্বাচনের ২৪ ঘন্টা আগে দেয়া হল তালিকা। কিন্তু এ অল্প সময়ে ২৫০ জন কাউন্সিলরের কাছে ভোট চাওয়া সম্ভব নয়। তবু নেমে পড়লাম নির্বাচনে। সভাপতি পদে অন্য কোন প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি হয়। কিন্তু সাধারণ সম্পাদকে নির্বাচন করতে গিয়ে তারা গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বেআইনি কণ্ঠভোটে প্রার্থী নির্বাচনের কথা বললে সবাই প্রতিবাদ করে।

    কিন্তু সমস্বয়কের দায়িত্বে থাকা এ্যাডভোকেট ফখরুল উদ্দিন ধমক দিয়ে বলে আমি যেভাবে করবো সেভাবেই হবে। অথচ সীতাকুণ্ড অন্যান্য ইউনিয়ন ও পৌরসভার কমিটি গঠন হয়েছে নিয়মতান্ত্রিক গোপন ব্যালটের মাধ্যমে।পরবর্তিতে তারা আমার প্রতিদ্বন্ধি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীকে কণ্ঠভোটে মনোনীত করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে সাব্বির আহমদ এই অসংবিধানিক অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত কমিটি বয়কট করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপি জামায়াত শিবির সমর্থিত অনেকেই কাউন্সিলর হয়েছে বলে দাবী করে তাদের তালিকা কেন্দ্রিয় নেতাদের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান। এবং অবিলম্বে গঠিত কমিটি বাতিল না করলে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে ঘোষণা দেন।

    সংবাদ সন্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক শাহরিয়ার চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদুল আলমসহ বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা উপস্থিন ছিলেন।

  • সীতাকুণ্ডে নিজ ভূমি থেকে বৃদ্ধ মহিলাকে উচ্ছেদ করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

    সীতাকুণ্ডে নিজ ভূমি থেকে বৃদ্ধ মহিলাকে উচ্ছেদ করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে ভাটিয়ারী ইউনিযনের ১নং ওয়ার্ড জাহানাবাদ এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা এক নিরীহ মহিলাকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে।

    মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এর প্রতিকার চেয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মৃত নুরুল আলমের স্ত্রী ভুক্তভোগি বৃদ্ধা খতিজা বেগম।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রসাশক আওতাধীন এল এ শাখার মামলা নং ০৭/২০১৭-১৮ইং মুলে গ্যাস পাইপ লাইন আমার ভিটার উপর দিয়ে পড়লেও আমাকে তারা কোনো নোটিশ দেয়নি।

    কিন্তু সিটিজি এল গ্যাস কোম্পানীর কর্মকর্তা কার্তিক, হাসেম, সফিক এবং এনজিও ডর্প সীতাকুণ্ড শাখার রুবেল ও ফরহাদের নেতৃত্বে ১০/১২ জন লোক এসে জোর পূর্বক আমার দীর্ঘ দিনের লাগানো গাছপালা কেটে ফেলাসহ বসত ঘরের পেছনের সেমিপাকা গোসলখানা ও রান্না ঘর ভেঙে ফেলে।

    এখন আমার মুল বসত ঘরও ভাঙার পায়তারা করছে এবং আমার ছেলেদেরকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। তারা এল এ শাখার সার্ভেয়ার সেলিম, মঞ্জু ও ইব্রাহীম এর যোগসাজসে মোটা অংকের বিনিময়ে আমার বসত ঘর ও গাছপালার ক্ষতি পুরোনের কোনো নোটিশ না দিয়ে আমার উত্তর পাশ্বের ঘরের মালিক মানিক চৌধুরী ও পূর্ব পাশের্ব নাছির চৌধুরীকে ৬ লাখ ৯০ হাজার ২৯৩ টাকা করে নোটিশ প্রদান করে।

    সুতারাং আমি ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধা মহিলা হিসেবে ন্যায্য পাওনা পাওয়ার জন্য প্রধান মন্ত্রী এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগি বৃদ্ধার ছেলে কামাল হোসেন বাবলু,শওকত হোসেন, পুত্রবধু ফারজানা আক্তার, স্থানীয় মোঃ সালাউদ্দিন, জানে আলম, মামুন চৌধুরী, তাহের ও জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

  • যে জাতি যত সভ্য সে জাতি তত আইন মানে-ইলিয়াস কাঞ্চন

    যে জাতি যত সভ্য সে জাতি তত আইন মানে-ইলিয়াস কাঞ্চন

    নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন যেসব দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কম সেসব দেশের মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা সড়কের আইন, নিয়ম কানুন মেনে চলেন। যে জাতি যত সভ্য সে জাতি তত আইন মানে।

    ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া সড়ক পরিবহণ আইন মেনে চলতে সকলের প্রতি তিনি আহবান জানান।

    গতকাল ৩১ অক্টোবর ২০১৯ইং, বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এস রহমান হলে ‘জীবনের আগে জীবিকা নয়, সড়ক দুর্ঘটনা আর নয়’ প্রতিপাদ্য বিষয়ে দেশজুড়ে উদ্যাপিত জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০১৯ এর মাসব্যাপি কর্মসূচির সমাপনী উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন নিসচা চেয়ারম্যান।

    সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব, কেন্দ্রীয় মহাসচিব সৈয়দ এহসান উল হক কামাল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, চ্যানেল আই’র ব্যুরো প্রধান ও নগর কমিটির সহ-সভাপতি সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক শাহনেওয়াজ রিটন।

    নিরাপদ সড়ক চাই চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সাজীবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাদেক হোসেন বাবুল, লায়ন গণি মিয়া বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিশু, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুর রহমান আসাদ, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) চট্টগ্রাম নগর সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, নিসচা শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ বিষয়ক ইউনিট প্রধান মোঃ সাকিব হোসেন, মোঃ মহসিন খান, চট্টগ্রাম নগর নিসচা নগর কমিটির সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক মোরশেদুর রহমান নয়ন, নির্বাহী সদস্য মোঃ মোস্তফা কামাল লিটন ও সনত তালুকদারসহ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সদস্যগণ।

  • লামায় ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় বোনের সংবাদ সম্মেলন

    লামায় ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় বোনের সংবাদ সম্মেলন

    বান্দরবানের লামা উপজেলায় আপন ছোট ভাই কর্তৃক পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতসহ প্রাণ নাশের আশঙ্কায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বড় বোন জোবেদা বেগম (৪০)।

    শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে লামা প্রেসক্লাবের মিডিয়া কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

    অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভাই এস.এম বদরুল বারীর সন্ত্রাসী ভূমি আগ্রাসীমূলক কর্মকান্ড ও প্রাণ নাশের হুমকির তথ্য তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা করেন বড় বোন জোবেদা বেগম।

    বোন জোবেদা বেগম লিখিত বক্তেব্যে জানায়, তার বাবা মৃত কুতুব উদ্দিনের নামে লামা পৌরসভা এলাকার হাসপাতাল পাড়ায় ৫২ শতক জমি রয়েছে। জমির ওয়ারিশ যথাক্রমে তাদের মা, দু’ভাই ও দু’বোন। কিন্তু তাদের ভাই বদরুল বারী ও তার স্ত্রী রৌশন আরা মিলে পৈত্রিক সম্পত্তি পুরোটাই আত্মসাত করার জন্য পায়তারা শুরু করেন।

    জোবেদা বেগম জানান, ইতোপূর্বে তিনি সামাজিক সিদ্ধান্তক্রমে তার অংশে বাবার পুরাতন ঘরটিতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি পাকা অবকাঠামো নির্মান কাজ শুরু করলে ভাই বদরুল বারী ও তার স্ত্রী রৌশন আরা সন্ত্রাসী কায়দায় জোবেদা বেগমের কাছে মোটা অংকের টাকা অথবা তিন শতাংশ জমি দাবী করে জোরপূর্বক সাদা কাগজ কার্টিজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন কাজে বাধাঁ দিচ্ছেন।

    জোবেদা বেগম আরো বলেন, তার ভাই বদরুল বারী একজন নেশাগ্রস্থ উম্মাদ-উচ্ছৃঙ্খল। সে তার বাবার জীবদদশায় থাকাকালীন সময় পুরো সম্পত্তি নিজের নামে এককভাবে লিখে নেওয়ার চাপ প্রয়োগ ও বাবাকে একাধিকবার লাঞ্চিত করলে, বাবা কুতুব উদ্দিন ষ্টোক করেন। খবর পেয়ে অসুস্থ্য বাবাকে আমরা চট্টগ্রাম নিয়ে চিকিৎসা করাই। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ভাই বদরুল বারী বাবার কোন খোঁজ রাখেনি, উপরন্ত বাবার সম্পত্তি এককভাবে আত্মসাতের ষড়যন্ত্র শুরু করেন। বর্তমানে বদরুল বারী ও তার স্ত্রীর রৌশন আরার উগ্র আচরণে জোবেদা বেগম অসহায় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    তিনি আশংকা করেন, তার ভাই ও ভাই’র স্ত্রী যে কোন সময় তার উপর হামলা চালাতে পারে।

  • সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ক্রিকেটাররা

    সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন ক্রিকেটাররা

    সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন আন্দোলনরত ক্রিকেটাররা। রাজধানীর সিক্স সিজন হোটেলে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করবেন ক্রিকেটাররা।

    ক্রিকেটারদের বেতন বৃদ্ধিসহ চলমান দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসতে আজ বুধবার সকাল থেকে মিরপুরে অপেক্ষায় বিসিবির বোর্ড কর্মকর্তারা। আলোচনায় বসতে বারবার ফোনও করেছেন তারা।

    কিন্তু বিসিবির ডাকে সাড়া দেননি সাকিব-তামিমরা।

    এদিকে মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে ক্রিকেটারদের জন্য এখনো অপেক্ষা করছেন বিসিবির সভাপতিসহ বোর্ড কর্মকর্তারা।

    এরআগে ক্রিকেটারদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে ফিরে যান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিকেল ৫টার দিকে মিরপুরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় বসার কথা থাকলেও ক্রিকেটাররা নির্ধারিত সময়ে যাননি। এমনকি বিসিবি সভাপতির ফোনও নাকি ধরেননি ক্রিকেটাররা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এমনটাই বলেন বিসিবি সভাপতি।

    আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ক্রিকেটারদের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে গণভবনে যান পাপন। এ সময় ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়ও ছিলেন।

    সাক্ষাৎ শেষে পাপন বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের সব দাবি মেনে নিতে রাজি আছি। কিন্তু তারা ফোনই ধরছে না। শুধু টাকার কারণে এমনটা করছে না তারা। এখানে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।’

    ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবিতে চলমান ধর্মঘটের বিষয়ে প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বিষয়টি জানিয়েছি।’ এরই মধ্যে তিনিও বিষয়টি জেনেছেন।

    এর আগে আজ বুধবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, আন্দোলন নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নিজেদের আগ্রহের কথা। ক্রিকেটারদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসতে আজ বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিসিবি।

    এ প্রসঙ্গে নিজাম বলেন, ‘আমাদের বোর্ড সভাপতির নির্দেশে আমরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। আমার সঙ্গে এরই মধ্যে তামিম ইকবালের কথা হয়েছে। আমরা তাকে অনুরোধ করেছি যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে। আমরা তাদের বোর্ডের অবস্থান জানিয়েছি। দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সে আমাদের জানাবে।’

    নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আরো জানান, বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে ক্রিকেটাররা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবেন।

    সিইও বলেন, ‘আমরা যতটা শুনেছি, তারা আজ আগে নিজেরা কোথাও আলোচনায় বসবে। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আমরা আছি। তারা চাইলে যেকোনো জাগায় আমরা আলোচনায় বসতে রাজি আছি।’