Tag: সংরক্ষিত নারী আসন

  • সংরক্ষিত নারী আসনে সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা

    সংরক্ষিত নারী আসনে সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসনে জমা দেওয়া ৫০ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সোমবার এসব মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।

    সরাসরি নির্বাচনে দল বা জোটগুলোর পাওয়া আসনের সংখ্যানুপাতিক হারে নারী আসন বণ্টন করা হয়। ১৪ দলীয় জোট এবং স্বতন্ত্র ৬২ জন সদস্যের সমর্থন নিয়ে এবার আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি আর জাতীয় পার্টি পাচ্ছে ২টি আসন। গতকাল মোট ৫০ জন প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

    আজ মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, তিনি মোট ৫০টি মনোনয়নপত্র পেয়েছেন। সব কটি বাছাই করা হয়েছে। এতে ৫০টি মনোনয়নপত্রই বৈধ পাওয়া গেছে। কোনো মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসেনি।

    তফশিল অনুযায়ী, ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আপিলের সময় আছে। আপিল নিষ্পত্তির সময় ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

  • সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ জনের মনোনয়নপত্র জমা দিল আ.লীগ

    সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ জনের মনোনয়নপত্র জমা দিল আ.লীগ

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ জনের মনোনয়নপত্র ইসিতে জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

    রোববার নির্ধারিত দিনে বিকাল ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এসব মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪৮ জনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে, এতে স্বতন্ত্র ও ১৪ দলেরও সদস্য রয়েছে।
    রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি আমরা।

    এ সময় দ্বাদশ সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সংরক্ষিত নারী আসনে আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন চট্টগ্রামের ৩ নেত্রী

    সংরক্ষিত নারী আসনে আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন চট্টগ্রামের ৩ নেত্রী

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৮ জন প্রার্থীর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়াসিকা আয়েশা খান, শামীমা হারুণ লুবনা ও দিলোয়ারা ইউসুফ।

    বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত হওয়া ৪৮ জন নারী প্রার্থীর নাম পড়ে শোনান।

    তিনি জানান, মোট ১ হাজার ৫৫৩ জন প্রার্থী এবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। এর মধ্যে থেকে যাচাই–বাছাই করে ৪৮ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

    আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান।

    শামীমা হারুণ লুবনা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। লুবনার বাবা ভাষাসৈনিক আবদুল্লাহ আল হারুন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।

    দিলোয়ারা ইউসুফ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বারবার নির্বাচিত সদস্য দিলোয়ারা ইউসুফ বর্তমান মেয়াদেও রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও চসিক (আংশিক) ওয়ার্ডের দায়িত্বে আছেন। এই ওয়ার্ডে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনে তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া হবে।

  • সংরক্ষিত নারী আসনে যে ৪৮ প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন

    সংরক্ষিত নারী আসনে যে ৪৮ প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন

    সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে দলীয় প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর বিকেলে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন তারা হলেনঃ

    ১. রেজিয়া ইসলাম (পঞ্চগড়)

    ২. দ্রুপদী দেবী আগারওয়াল (ঠাকুরগাঁও)

    ৩. আশিকা সুলতানা (নীলফামারি)

    ৪. ডা. রোকেয়া সুলতানা (জয়পুরহাট)

    ৫. কুহেলী কুদ্দুস (নাটোর)

    ৬. যারা জেবিন মাহবুব (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)

    ৭. রুনি রেজা (খুলনা)

    ৮. ফরিদা ইয়াসমিন (বাগেরহাট)

    ৯. ফারজানা সুমি (বরগুনা)

    ১০. খালেদা বানু (ভোলা)

    ১১. নাজনীন নাহার রশিদ (পটুয়াখালী)

    ১২. নাদিরা বিনতে আমিন (নেত্রকোণা)

    ১৩. এরোমা দত্ত (কুমিল্লা)

    ১৪. লাইলা পারভীন (সাতক্ষীরা)

    ১৫. মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা)

    ১৬. বেধুরা আহমেদ সালাম (গোপালগঞ্জ)

    ১৭. শবনম জাহান (ঢাকা)

    ১৮. সানজিদা খানম (ঢাকা)

    ২০. নাসিমা জামান ববি (রংপুর)

    ২১. শাম্মী আহমেদ (বরিশাল)

    ২২. রুনি রেজা (বরিশাল)

    ২৩. ফজিলাতুন্নেছা (মুন্সিগঞ্জ)

    ২৪. শেখ আনার কলি পুতুল (ঢাকা)

    ২৫. মাসুদা সিদ্দিক (নরসিংদী)

    ২৬. তারানা হালিম (টাঙ্গাইল)

    ২৭. মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর)

    ২৮. হাসিনা বারি (গাজীপুর)

    ২৯. নাজমা আক্তার (গাজীপুর)

    ৩০. নাজমা আক্তার (গোপালগঞ্জ)

    ৩১. ফরিদুন্নাহার লাইলী (লক্ষীপুর)

    ৩২. কানন আরা বেগম (নোয়াখালী)

    ৩৩. শামিমা হারুন (চট্টগ্রাম)

    ৩৪. দিলারা ইউসুফ (চট্টগ্রাম)

    ৩৫. ওয়াসিকা আয়শা খান (চট্টগ্রাম)

    ৩৬. সাহিদা তারেক ইতি (চট্টগ্রাম)

    ৩৭. পারুল আক্তার (চট্টগ্রাম)

    ৩৮. ফরিদা খানম (নোয়াখালী)

    ৩৯. ঝর্ণা আক্তার (শরীয়তপুর)

    ৪০. আনান আরা বেগম (১৪ দল)

    ৪১. মাসুদা সিদ্দীকি (নরসিংদী)

    ৪২. ডরোথী তঞ্চঙ্গ্যা (রাঙ্গামাটি)

    ৪৩. খালেদা রথী (খুলনা)

    ৪৪. উম্মে ফারজানা সাত্তার (ময়মনসিংহ)

    ৪৫. কল্পনা আক্তার (ঝিনাইদহ)

    ৪৬. অনিমা (লক্ষীপুর)

    ৪৭. মাহফুজা সুলতানা মলি (জয়পুরহাট)

    ৪৮. নাহিদ ইজহার খান (ঢাকা)

    কানন আরা বেগমকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের থেকে বিবেচনা করা হয়েছে। তিনি গণতন্ত্রী পার্টির।

    উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্ধারিত ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ৪৮টি (দলীয় স্বতন্ত্রদের ১০টিসহ) পাবে আওয়ামী লীগ। এই ৪৮টি আসনের বিপরীতে ১৫৪৯ নারী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ৬-৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা মূল্যের মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলের আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

  • সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন ১৫৪৯ জন

    সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন ১৫৪৯ জন

    দ্বাদশ সংসদে সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় ফরম কিনেছেন ১৫৪৯ জন প্রার্থী। মোট ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এবার দলটি ৪৮টি আসনে মনোনয়ন দেবে।

    বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে একথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    এর আগে, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে ফরম বিক্রির এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। প্রথমদিন দলটি ২১৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আয় করে ১ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

    দ্বিতীয় দিন ৫২২টি ফরম বিক্রি করা হয়। এ থেকে মোট আয় হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ১৬৭টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭৮টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২২টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৩৬ টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৬৮টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৬০টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৪৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।

    আর প্রথম দিন মোট ৮১০টি ফরম বিক্রি করেছিল ক্ষমতাসীন দলটি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ থেকে ২৭৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে ৬২টি, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগ থেকে ২৬টি, বরিশাল বিভাগ থেকে ৫৬টি, খুলনা বিভাগ থেকে ৭৭টি, রংপুর বিভাগ থেকে ৭৫টি এবং রাজশাহী বিভাগ থেকে ৯০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল।

  • মহিলা সংরক্ষিত আসনে কারা মনোনয়ন পাবেন, জানালেন কাদের

    মহিলা সংরক্ষিত আসনে কারা মনোনয়ন পাবেন, জানালেন কাদের

    মহিলা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার বা চাওয়ার যে হিড়িক, সেই তুলনায় আমাদের দেওয়ার সুযোগ খুব কম। আমরা আমাদের পরীক্ষিত, ত্যাগীদের গুরুত্ব দেব। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, তাদের ব্যাপারটা আমরা অগ্রাধিকার দেব।

    তিনি বলেন, মহিলা সংরক্ষিত আসনে দলগতভাবে ৩৮টি, আর স্বতন্ত্র থেকে ১০ জন মিলিয়ে ৪৮টি মনোনয়ন দেওয়া হবে।

    বিএনপির কালো পতাকা মিছিল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে তারা রাজপথে ফ্রি স্টাইল করবে আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব? এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।

    তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা কী বক্তব্য দিচ্ছেন, এর প্রতি দেশের মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা বিএনপি।

    বর্তমান সংসদের ভারসাম্য রক্ষা হয়নি, জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, কথা তো যা বলার উনি একাই বললেন। গতকাল দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করেছি। স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে তিনি গতকাল যেসব কথা বলেছেন তা ঠিক হয়নি। সামনে আরো সময় ছিল তখন অনেক কথাই বলতে পারতেন। তিনি শুরুটাই এমনভাবে করলেন যে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন, লম্বা একটা বক্তৃতা দিলেন। বিষয়টা হলো ধন্যবাদ জানানোর। এত লম্বা ভাষণের জন্য ওনাকে আহ্বান করা হয়নি। উনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। ওনার কথা বলার সামনে যথেষ্ট সুযোগ আছে। স্বাধীনতার পর এদেশে একজন বিরোধীদলীয় নেতা ছিল, এখন তো তারাই ১১ জন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেউ ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নয়। নির্বাচনের ফলের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। সর্বশেষ সংসদ অধিবেশনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। সংসদের প্রথম অধিবেশনেও যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এর মানে কি দাঁড়ায়? আমাদের নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলেনি। সবাই একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে।

    দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি বলেন, সরকার শুধু কথায় নয়, কাজও করে যাচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে দিয়েছেন। সে অনুসারে কাজ শুরু করে দিয়েছে। রাতারাতি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হয়ে যাবে না। সরকার শুধু কথা বলছে এমন নয়। সরকার অ্যাকশনে আছে।

    এ সময় মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা আইন ভঙ্গ করবে তারা যেই হোক বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।

  • উপমন্ত্রীসহ ৬ এমপি একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত

    উপমন্ত্রীসহ ৬ এমপি একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত

    করোনা (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন আজ শুরু হচ্ছে। তার আগে আরও ছয়জন সংসদ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার (৭ নভেম্বর) তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এসেছে।

    এদের মধ্যে একজন এমপি দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া একজন উপমন্ত্রী ও একজন সদ্য শপথ নেয়া সংসদ সদস্যও রয়েছেন।

    করোনা আক্রান্ত এমপিরা হলেন- সংরক্ষিত নারী আসনের নাদিরা ইয়াসমিন জলি ও তাহমিনা বেগম; নাটোর-২ (নাটোর সদর উপজেলা ও নলডাঙ্গা উপজেলা) আসনের শফিকুল ইসলাম, পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের নুরুজ্জামান বিশ্বাস, নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।

    সংসদ ক্লিনিকের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করার পর সংশ্লিষ্ট একাধিক সংসদ সদস্য করোনা আক্রান্তের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

    দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত সংসদ সদস্য ছিলেন আওয়ামী লীগের শহিদুজ্জামান সরকার। গত ৩০ এপ্রিল তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরদিন ১ মে তাকে জানিয়ে দেয়া হয়, তিনি করোনা পজিটিভ। ১৬ মে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এবার তিনি দ্বিতীয়বারের মতো আক্রান্ত হলেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘সত্যিই হতাশাজনক। দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাই। যেন আগের মতো আবার সুস্থ হয়ে উঠি।’

    অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত আওয়ামী লীগের নুরুজ্জামান বিশ্বাস ৭ অক্টোবর এমপি হিসেবে শপথ নেন। এবারই তিনি প্রথমবারের মতো সংসদে যোগ দেন।

    এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার শরীরে কোনো উপসর্গ নেই। তবুও করোনা পজিটিভ এসেছে। আমি সংসদ থেকে এ-সংক্রান্ত মেসেজ পাওয়ার পরই আইসোলেশনে আছি।’

    জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসছে আগামীকাল রোববার (৮ নভেম্বর)। সন্ধ্যা ৬টায় সংসদের বৈঠক শুরু হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদের দশম অধিবেশনটি বিশেষ অধিবেশন হিসেবে বসছে।

    বিশেষ অধিবেশন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেবেন। এজন্য সংসদ ভবন এলাকা সাজানো হয়েছে নতুন সাজে।

    বরাবরের মতো এবারও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন চলবে। অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা ছাড়াও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

    অধিবেশনের প্রথম দিন শোক প্রস্তাব ও অধ্যাদেশ উত্থাপন করা হবে। পরদিন ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হবে। ওইদিন অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন।

    বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবন নিয়ে রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার পর তা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হবে। ওই প্রস্তাবের ওপর সরকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে তা পাস হবে।

    এ অধিবেশন উপলক্ষে সাংবাদিকসহ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা চলছে।

    করোনাকালীন বিগত তিনটি অধিবেশনের মতো আগামী অধিবেশনেও সংসদ সদস্যরা রোস্টারভিত্তিতে অংশ নেবেন। রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার দিন ৯ নভেম্বর করোনা নেগেটিভ সব সংসদ সদস্য অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন।

    এদিন প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, বিদেশি কূটনীতিক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সমাজের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা সংসদ গ্যালারিতে উপস্থিত থাকবেন।

    এই অধিবেশনে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল ২০২০’ পাসের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন। এর আগে ১২ অক্টোবর অধ্যাদেশটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়।

    সংশ্লিষ্টরা জানান, সংসদে ১১টি বিল পাস ও উত্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল ২০২০’ ছাড়াও ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) বিল ২০২০’ রয়েছে।

    গত ৩০ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই বিলটির খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। ইয়াবার উৎপাদন, পরিবহন, বিপণনের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় সংসদে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৮’ পাস হয়। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর করা হয়।

    মুজিববর্ষ উপলক্ষে গত ২২ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন (সপ্তম অধিবেশন) আহ্বান করা হলেও দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করেন রাষ্ট্রপতি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম