Tag: সংলাপ

  • বিএনপির শর্তযুক্ত কোনো সংলাপে অংশ নেবে না আ.লীগ : ওবায়দুল কাদের

    বিএনপির শর্তযুক্ত কোনো সংলাপে অংশ নেবে না আ.লীগ : ওবায়দুল কাদের

    প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ যে চারটি শর্ত দিয়েছে বিএনপি, সেগুলো প্রত্যাহার করা হলে সংলাপের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দলৈ কাদের।

    রোববার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, সংলাপ সম্পর্কে কোনো কথা বলেনি মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। শর্তযুক্ত কোনো আলোচনায় বসবে না আওয়ামী লীগ। এর বাইরে যে পরামর্শ তাতে সরকারের আপত্তি নেই।

    এদিকে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে অর্থবহ সংলাপসহ ৫ দফা সুপারিশ করেছে মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল।

    গত ৭ থেকে ১২ অক্টোবর ঢাকা সফর করে প্রতিনিধি দলটি। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে তারা এক বিবৃতিতে ওই পাঁচটি সুপারিশ তুলে ধরেছে।

    গতকাল শনিবার ওয়াশিংটন থেকে প্রচারিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

  • সংলাপসহ ৫ সুপারিশ মার্কিন প্রতিনিধিদলের

    সংলাপসহ ৫ সুপারিশ মার্কিন প্রতিনিধিদলের

    সুষ্ঠু নির্বানের লক্ষ্যে সংলাপসহ ৫ দফা সুপারিশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল। রোববার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা সফর শেষে প্রতিনিধি দল এক বিবৃতিতে এই সুপারিশ করে।

    প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে পারে এমন বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অহিংস নির্বাচনের দিকে অগ্রগতির জন্য একটি রোডম্যাপ হিসেবে ৫ দফা সুপারিশ করেছে।

    এর মধ্যে রয়েছে ১. নির্বাচন ইস্যুতে মুক্ত ও খোলামেলা সংলাপের আয়োজন করতে হবে।

    ২. মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং একটি উন্মুক্ত নাগরিক স্থান নিশ্চিত করা, যেখানে ভিন্নমতকে সম্মান করা হয়।

    ৩. অহিংসায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা এবং রাজনৈতিক সহিংসতার অপরাধীদেরকে জবাবদিহি করতে হবে।

    ৪. সব দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য শর্ত তৈরি করতে হবে। যার মধ্যে স্বাধীন নির্বাচন পরিচালনাকে শক্তিশালী করতে হবে।

    ৫. নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সক্রিয় নির্বাচনী অংশগ্রহণের সংস্কৃতি প্রচার করতে হবে।

    বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দৃঢ় ঐতিহ্য দেশটির একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার ২০৪১ সালের রূপকল্প অর্জনের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করেছে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ নির্বাচনী অখণ্ডতার জন্য বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- রাজনৈতিক সহিংসতা, অনিশ্চয়তা ও ভয়ের পরিবেশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং নাগরিকদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি। রাজনৈতিক নেতা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের. নারী, যুবক এবং অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হয়।

    এতে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ একটি সন্ধিক্ষণে রয়েছে এবং আসন্ন নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক, অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি দেশের অঙ্গীকারের একটি লিটমাস পরীক্ষা।

    উল্লেখ্য, আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল ৮-১৩ অক্টোবর ঢাকা সফর করে।

    যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য এনডিআইয়ের নীতিমালার ঘোষণা অনুযায়ী স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে একটি যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করে।

    প্রতিনিধি দলে ৬ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ছিলে। তারা হলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ. এন্ডারফার্থ, সাবেক ডেপুটি ইউএসএআইডি প্রশাসক বনি গ্লিক, মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক সদস্য মারিয়া চিন আবদুল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির সাবেক সহযোগী কাউন্সেল জামিল জাফর, এনডিআই এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক মনপ্রীত সিং আনন্দ ও আইআরআই’র এশিয়া-প্যাসিফিক ডিভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর জোহানা কাও।

    প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নারী ও যুব গোষ্ঠীসহ সুশীল সমাজ সংস্থা, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থা এবং বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে দেখা করে।

  • রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ডায়ালগ প্রয়োজন

    রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ডায়ালগ প্রয়োজন

    রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ডায়ালগ প্রয়োজন বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সিইসি এ কথা বলেন।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। যে সংকটটা বিরাজ করছে তা রাজনৈতিক। এর সঙ্গে আমাদের কাজের কোনো সংঘাত নেই। কিন্তু এ সমস্যাগুলো যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন আয়োজন অনেক কমফোর্টেবল হবে।

    সিইসি বলেন, কমিশন প্রত্যাশা করে, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কতগুলো বিষয় নিয়ে প্রকটভাবে সংকট রয়েছে, সেগুলো যে কোনো মূল্যে সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। একটা স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। যে স্থিতিশীল পরিবেশে আগামী নির্বাচন হবে। সংলাপ নিয়ে ইসির উদ্যোগ না থাকলেও নিজেদের মধ্যে সংলাপ ও একসঙ্গে বসার আহ্বান জানান সিইসি।

    তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি, উনারাও বিশ্বাস করেন, (সমস্যা সমাধানে) রাজনৈতিকগুলোর মধ্যে ডায়ালগ প্রয়োজন। ডায়ালগ ছাড়া এ সংকটগুলো আসলে রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়। কমিশন মনে করে, রাজনৈতিক দলগুলো এক টেবিলে বসা উচিত, একসঙ্গে চা পান করা উচিত। তারপরে আলোচনা করে সংকট নিরসনের চেষ্টা করতে হবে।

    এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিলর মি. অরটুরো হেইনস। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমও উপস্থিত ছিলেন।

  • রাষ্ট্রপতির সাথে আ.লীগের সংলাপ ১৭ জানুয়ারি

    রাষ্ট্রপতির সাথে আ.লীগের সংলাপ ১৭ জানুয়ারি

    নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংলাপ আগামী ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার (৯ জানুয়ারি) বঙ্গভবনের প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রেস উইং জানায়, ওই দিন বিকাল চারটায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ইসি গঠন নিয়ে আলোচনা করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

    উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর সংলাপ শুরুর পর এখনও পর্যন্ত ৩২টি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

    গত দুইবারের মতো এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের উদ্যোগ নিয়ে ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি সংলাপ শুরু করেন।

    বিএনপি আগের দুইবার সংলাপে গেলেও এবার রাষ্ট্রপতির এই উদ্যোগে সাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি দল আমন্ত্রণ পেলেও সংলাপে অংশ নেয়নি। এছাড়াও দু-একটি দল সংলাপে যাবে না বলে আগাম ঘোষণা দিয়েছে।

    সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আইন প্রণয়ন না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে সার্চ কমিটি গঠন করে নিয়োগ দিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি।

    কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। তার মধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। নতুন ইসির পরিচালনায় আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • বিটার উদ্যোগে স্থানীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সংলাপ

    বিটার উদ্যোগে স্থানীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সংলাপ

    ‘পাবলিক সার্ভিস ডে’ উপলক্ষে ‘স্থানীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সংলাপ’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান গত মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের স্টেশন রোডস্থ একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।

    ইডব্লিউএএসসি এর একশন ফর ইমপেক্ট প্রকল্পের আওতায় একশন এইড বাংলাদেশের সহায়তায় বিটা (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস) এই সংলাপের আয়োজন করে। বিটা ইয়ুথ ফোরামের ২৩ জন সদস্য সংলাপে অংশ গ্রহণ করেন।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ইয়ুথ দলের সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন।

    বিটার ইডব্লিউএএসসি প্রকল্পের পরিচালক হোসাইন মনসুর মাসুমের সভাপতিত্বে এবং প্রোগ্রাম অফিসার কান্তা মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কোতোয়ালী থানা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জাহান উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহিলা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আশরিফা তানজীম ও বাংলাদেশ-কোরিয়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ নিবেদীতা দাশ।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডার চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ‘বিএআরএম, কেএসআরএম, জিপিএইচ ইস্পাত, এস আলম গ্রুপ, পিএইচপি ফ্যামিলির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়ের আওতায় বাড়ছে। এ সব প্রতিষ্ঠান এক জায়গায় থেমে নেই। তাদের অনেক কর্মী প্রয়োজন। তারা দেশের বাইর থেকে দক্ষ লোক নিয়ে আসে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও শিল্পপতি তৈরি করতে চাই, যারা এক সময় বড় শিল্পপতি হবে। যাদের কিছু মূলধন আছে, তাদেরকে আমরা ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবো। বিডার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান আছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরসারি বিডা পরিচালিত হয়। আমরা যে কোন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। তাই প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে যুবদের গড়ে উঠতে হবে।’