Tag: সংসদ নির্বাচন

  • নৌকার ১৪৯ প্রার্থী চ্যালেঞ্জে

    নৌকার ১৪৯ প্রার্থী চ্যালেঞ্জে

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে অংশ নিচ্ছেন ২৬৬ প্রার্থী। তাদের মধ্যে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী নেতাদের অনেককেই দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে অগ্নিপরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। এরই মধ্যে ১৪৯টি আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে।

    ৭ জানুয়ারির ভোটে শরিক ও মিত্রদের জন্য ৩২টি আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। বাকি ২৬৮ আসনে দলটির প্রার্থী ছিল। এর মধ্যে কক্সবাজার-১ ও বরিশাল-৪ আসনে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাকি ২৬৬টির মধ্যে ১৪৯টিতে নৌকার প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য, পদত্যাগী স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। কয়েকটিতে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমের প্রার্থীর সঙ্গে ভোটযুদ্ধ হতে পারে। আর ১১৭ আসনে নৌকার প্রার্থী অনায়াসে জয়লাভ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    জানা যায়, নির্বাচনী আমেজ, উৎসবমুখর পরিবেশ ও ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী-কৌশলে প্রতিটি আসনে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কালবেলাকে বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বড় দলে প্রতিযোগিতা থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বতন্ত্র রাখায় প্রার্থী বেশি রয়েছে। সময় যত যাবে, ততই নৌকার পক্ষে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হবে।

    বিশ্লেষণে জানা যায়, ঢাকা বিভাগে জাতীয় পার্টিকে তিনটি আসন ছেড়ে দেওয়ায় ৬৭টির মধ্যে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে ৩৬টিতে জমজমাট লড়াই হবে। কিশোরগঞ্জের ৬টি আসনের মধ্যে ৪টিতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পাশাপাশি কিছু আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যেতে পারেন নৌকার প্রার্থী। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ জাকিয়া নূর লিপির সঙ্গে তার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের লড়াই হবে।

    স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ সাফায়েতুল ইসলামকে সমর্থন দিচ্ছেন।

    কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র পাকুন্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিন। নির্বাচনে তাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী আফজালের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল।

    মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মমতাজ বেগমের প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য প্রার্থী সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ট্রাক প্রতীকের দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু এবং কেটলি প্রতীকের মুশফিকুর রহমান খান হান্নান।

    মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমদের প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবীর। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সঙ্গে লড়াই হবে কাঁচি প্রতীকের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব। ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো স্বতন্ত্র না থাকলেও নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমানের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের লড়াই হবে। ঢাকা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী কামরুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান। ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নৌকার প্রার্থী সানজিদা খানমের সঙ্গে লড়াই হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন এবং জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার।

    ঢাকা-৫ আসনে নৌকা প্রতীকের হারুনুর রশিদ মুন্নার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লা সজল ও ঈগল প্রতীকের কামরুল হাসান রিপন। ঢাকা-১৪ আসনে নৌকার প্রার্থী মো. মাইনুল হোসেন খানের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের সাবিনা আক্তার তুহিন। ঢাকা-১৯ আসনে নৌকার প্রার্থী এনামুর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ।

    গাজীপুর জেলার ৫টি আসনের মধ্যে ৫টিতেই নৌকা এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কয়েকটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে নৌকার প্রার্থীর কাছে হেরে যেতে পারেন।

    গাজীপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ক ম মোজাম্মেল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল। গাজীপুর-২ আসনে জাহিদ আহসান রাসেলের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন।

    গাজীপুর-৩ নৌকার প্রার্থী রুমানা আলী এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি এবং তার ফুপাতো ভাই এবং কৃষক লীগের উপদেষ্টা ঈগল প্রতীকের আলম আহমেদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। গাজীপুর-৫ আসনে মেহের আফরোজ চুমকি সঙ্গে লড়াই হবে সাবেক সংসদ সদস্য আখতার উজ্জামানের।

    নানাবিধ কারণে নিজ এলাকায় আলোচিত মাদারীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। এবার তার বিরুদ্ধে লড়ছেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম। এই আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে। তাদের মুখোমুখি লড়াই এরই মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় উত্তাপও ছড়িয়েছে।

    ফরিদপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমানকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারেন বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হওয়া আরিফুর রহমানও এখানে শক্ত প্রার্থী।

    সারা বছর বাগযুদ্ধে সরব ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে আবারও মুখোমুখি হয়েছেন এই দুজন। ফরিদপুর-৩ আসনে আদালতের রায়ে প্রার্থিতা ফেরত পাওয়া আওয়ামী লীগ শামীম হকের শক্ত প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে. আজাদ।

    শরীয়তপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের প্রতিদ্বন্দ্বী দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর ছেলে খালেদ শওকত আলী।

    নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এবং নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর সঙ্গে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলন খন্দকার ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান ভূঁইয়ার ত্রিমুখী লড়াই হবে।

    নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কায়সার হাসনানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকার।

    রাজবাড়ী-১ আসনে নৌকার কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং সদর উপজেলা পরিষদের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাসের লড়াই হবে। রাজবাড়ী-২ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. জিল্লুল হাকিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হকের লড়াই হবে।

    নরসিংদী-১ আসনে গুরু-শিষ্যের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম হীরুর সঙ্গে লড়াই হবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুলের। নরসিংদী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খানের সঙ্গে এই আসনের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

    নরসিংদী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে পাঁচবারের উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান বীরুর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নরসিংদী-৫ আসনে ৬ বারের টানা এমপি সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরীর তুমুল লড়াই হবে।

    টাঙ্গাইল-২ আসনে নৌকা প্রতীকের বর্তমান সংসদ সদস্য ছোট মনিরের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মো. ইউনুছ ইসলাম তালুকদারের লড়াই হবে। টাঙ্গাইল-৩ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকার প্রার্থী মো. কামরুল হাসান খানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র এবং সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার।

    টাঙ্গাইল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. মোজাহারুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে লড়াই হবে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর।

    টাঙ্গাইল-৭ আসনে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভকে নির্বাচনে জিততে হলে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং সাবেক মির্জাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর সঙ্গে। টাঙ্গাইল-৮ আসনে নৌকার প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের সঙ্গে লড়াই হবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর।

    সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ৫৮ আসনের মধ্য ৪টি আসনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় বাকিগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই করে জিততে হবে। এই বিভাগে ২৪টি আসনে নৌকার প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী।

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জয়ের পথে খানিকটা কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে ঢাকার মতিঝিল-আরামবাগের সাবেক আলোচিত কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদের।

    কুমিল্লা-২ আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিমা আহমাদ মেরীর সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ ও শফিকুল ইসলামের। কুমিল্লা-৪ আসনে বর্তমান এমপি ও নৌকার প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ঈগলের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। কুমিল্লা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের আবুল হাসেম খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শওকত মাহমুদের মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। কুমিল্লা-৬ আসনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও আফজল খান পরিবার। এ আসনে বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও আফজল খানের মেয়ে সংরক্ষিত মহিলা এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আন্জুম সুলতানা সীমার মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

    চাঁদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য এম ইসফাক আহসানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। চাঁদপুর-৩ আসনে শিক্ষামন্ত্রী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও সাবেক এমপি ড. সামসুল হক ভূঁইয়ার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা শোনা যাচ্ছে। আর চাঁদপুর-৪ আসনে বর্তমান এমপি ও নৌকার প্রার্থী শফিকুর রহমানের সঙ্গেও আলোচনায় রয়েছেন সামসুল হক ভূঁইয়া। এ আসনে আরও আলোচনায় রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মোহাম্মদ শাহজাহান।

    নোয়াখালী-১ আসনে বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিমের সঙ্গে সদ্য পদত্যাগকারী সোনাইমুড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আল আমিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। নোয়াখালী-২ আসনে বর্তমান এমপি ও নৌকার প্রার্থী বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আরেক ব্যবসায়ী ও তমা কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের। নোয়াখালী-৩ আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরনকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ।

    লক্ষ্মীপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি ও নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে ‘ঈগল’ প্রতীকে লড়ছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন। এমপি বিরোধী নেতা নেতাকর্মীরা ঈগলের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমতে পারে। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। তাকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছেন ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ সাত্তার। আর লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে জাসদের মোশাররফ হোসেনকে জোটের প্রার্থী হিসেবে ‘নৌকা’ প্রতীক দেওয়া হলেও তাকে চ্যালেঞ্জে ফেলেছেন সাবেক এমপি ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ।

    চট্টগ্রাম-১ আসনে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে ও নৌকার প্রার্থী মাহাবুব উর রহমানের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে মিরসরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের। চট্টগ্রাম-২ আসনে চতুর্মুখী লড়াই হবে আওয়ামী লীগের খাদিজাতুল আনোয়ার, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশির মাইজভান্ডারী, সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়বের (তরমুজ) মধ্যে। চট্টগ্রাম-৩ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহফুজার রহমান মিতার সঙ্গে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও স্বাচিপের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। চট্টগ্রাম-১০ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলম ও যুবলীগ নেতা ফরিদ মাহমুদের সঙ্গে। চট্টগ্রাম-১১ আসনে বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফের সঙ্গে লড়াই হতে পারে জিয়াউল হক সুমনের। চট্টগ্রাম-১২ আসনে আওয়ামী লীগের মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ট্রাক প্রতীকের আব্দুল জব্বার চৌধুরীর সঙ্গে। চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বর্তমান এমপি আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর সঙ্গে লড়াই হবে বিশিষ্ট শিল্পপতি ঈগল প্রতীকের আব্দুল মোতালেবের এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঈগলের মুজিবুর রহমানের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে।

    দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিভাগের ২৪টি আসনের মধ্য দুটি আসনে ক্ষমতাসীনদের মিত্র জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় এখানেও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে নৌকার প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধের আভাস পাওয়া গেছে। ১৩টি আসনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী।

    শেরপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কায় নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন ছানু। আসনটিতে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শেরপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী সদ্য সাবেক শ্রীবর্দী উপজেলা চেয়ারম্যান এবি এম শহিদুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্য সাবেক ঝিনাইগাতি উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমের ভোটযুদ্ধ জমে উঠতে পারে।

    নেত্রকোনা-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রুহীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি জালাল তালুকদারের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদারের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

    নেত্রকোনা-২ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সঙ্গে ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ খান জয়ের ভোটযুদ্ধ জমে উঠতে পারে।

    নেত্রকোনা-৩ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। এই আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হলেন বর্তমান এমপি অসীম কুমার উকিল। এ ছাড়া এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী এবং সাবেক এমপি ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু। জামালপুরের ৫টি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হবে। জামালপুর-২ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের নৌকা এবং স্বতন্ত্র জিয়াউল হকের ঈগলের মধ্যে।

    জামালপুর-৪ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদের ঈগল, মাহবুবুর রহমানের নৌকা এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আ. রশিদের ট্রাকের মধ্যে।

    জামালপুর-৫ আসনে আবুল কালাম আজাদের নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর ঈগলের মধ্যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

    ময়মনসিংহ-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী জুয়েল আরেংয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া মাহমুদুল হক সায়েমের। ময়মনসিংহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নিলুফার আনজুম পপির প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সোমনাথ সাহা। ময়মনসিংহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্তর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম। ময়মনসিংহ-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমীন মাদানীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন পৌর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান। ময়মনসিংহ-৯ আসনে হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া নৌকার মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিনের।

    সূত্র আরও জানায়, রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসনের মধ্যে দুটি আসন জাতীয় পার্টি ও দুটি আসনে ১৪ দলের শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়ায় এখানে নৌকার সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। ২০টিতেই তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে বগুড়া-১-এ স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবেন বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নানের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। বগুড়া-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান আকন্দ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শ্রমিক নেতা সৈয়দ কবির আহম্মেদ।

    বগুড়া-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বর্তমান এমপি রেজাউল করিম বাবলুর সঙ্গে।

    তিনটি আসনের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সাবেক এমপি গোলাম রব্বানীর ভোটযুদ্ধ জমে উঠবে।

    নওগাঁ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নিজাম উদ্দিন জলিল জনের সঙ্গে স্বতন্ত্র দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণের লড়াই নিয়ে এখনই শুরু হয়েছে আলোচনা। অন্যদিকে নওগাঁ-১ আসনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র মো. খালেকুজ্জামান তোতার। নওগাঁ-৪ আসনে নৌকার নাহিদ মোর্শেদের সঙ্গে স্বতন্ত্র এস এম বাহনী সুলতান মামুদ ও নওগাঁ-৬ আসনে আনোয়ার হোসেন হেলালের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ওমর ফারুকের লড়াই হবে।

    রাজশাহীতে ছয়টি আসনের মধ্য রাজশাহী-১ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়িকা শারমিন আক্তার নিপা ওরফে মাহিয়া মাহি ও সাবেক এমপি গোলাম রব্বানীর মধ্য।

    রাজশাহী-৪ আসনে তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এখানে নৌকার আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ও রাজশাহী-৬ আসনে বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক এমপি স্বতন্ত্র রাহেনুল হক।

    নাটোর-১ বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আবুল কালাম, নাটোর-২ আসনে বর্তমান এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, নাটোর-৩ আসনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক এবং নাটোর-৪ আসনে বর্তমান এমপি সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর সঙ্গে তীব্র লড়াই হবে সাবেক এমপির ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন শোভনের।

    সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে আব্দুল মমিন মণ্ডলের নৌকার বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ঈগল ও সিরাজগঞ্জ-৬ চয়ন ইসলামের সঙ্গে সাবেক পৌর মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমুল হক মীরুর লড়াই তীব্র হবে।

    পাবনা-১ আসনে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইয়িদের তীব্র লড়াই হবে। পাবনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবিরের সঙ্গে বিএনএমের প্রার্থী সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনীর লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পাবনা-৩ আসনে বর্তমান এমপি মকবুল হোসেনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

    জানা গেছে, রংপুর বিভাগে ৩৩টি আসনে ৯টিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় দফারফা হওয়ায় এখানে ২৪টি আসনে নৌকার প্রার্থী রয়েছেন। অন্তত ১৫টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের। এর মধ্য পঞ্চগড়-১ আসনে নৌকার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তার সঙ্গে জমজমাট নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে স্বতন্ত্র হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের।

    ঠাকুরগাঁও-২ আসনে দুই চাচাতো ভাইয়ের মধ্য লড়াই জমে উঠতে পারে। নৌকার প্রার্থীর সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল।

    দিনাজপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ কাঞ্চন ও দিনাজপুর-৬ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আজিজুল হক চৌধুরীর তীব্র লড়াই হতে পারে।

    নীলফামারী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূরের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের। লালমনিরহাট-১-এ নৌকার মোতাহার হোসেনের সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমানের সঙ্গে জমজমাট নির্বাচনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। লালমনিরহাট-২-এ নুরুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর পরিচালক সিরাজুল হক ও লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমানের সঙ্গে জাবেদ হোসেন বকরের তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

    রংপুর-২ আসনে ক্ষমতাসীনদের বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কামাল মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, রংপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের ছেলে নৌকার প্রার্থী রাশেক রহমানের সঙ্গে সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র জাকির হোসেন সরকারের ভোটের লড়াই জমে উঠবে।

    কুড়িগ্রাম-৩-এ আওয়ামী লীগের সৌমেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আব্দুস সোবহান ও স্বতন্ত্র ডা. মো আককাছ আলী সরকার এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নৌকার বিপ্লব হাসানের সঙ্গে স্বতন্ত্রের মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ও এ কে এম সাইফুর রহমানের ত্রিমুখী লড়াই হবে।

    গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঙ্গে স্বতন্ত্র মফিজুল হক সরকার ও গাইবান্ধা-৪ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নৌকার প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সংসদ সদস্য মনোয়ার হোসেন চৌধুরী। গাইবান্ধা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলীর সঙ্গে তীব্র লড়াই হতে পারে।

    নীলফামারী-১-এ আওয়ামী লীগ প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকারের সঙ্গে বিএনএমের জাফর ইকবাল সিদ্দিকীর লড়াই হবে।

    জানা গেছে, খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনে একটিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় ৩৫টি আসনে নৌকার প্রার্থীর রয়েছেন। এখানে ২১টিতে নৌকার সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর। এর মধ্য খুলনা জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে দুটিতে নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে। খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মোস্তফা রশীদী সুজার ভাই ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোর্তজা রশীদী দারার জমজমাট লড়াই হতে পারে। খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রশিদুজ্জামানের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জি এম মাহবুবুল আলমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

    ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাসের তীব্র লড়াই হবে। ঝিনাইদহ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল, ঝিনাইদহ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মিয়াজীর সঙ্গে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ ও বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চলের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    মেহেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান ও জয়নাল আবেদীনের লড়াই হবে। মেহেরপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সালেহ মো. নাজমুল হক সাগরের সঙ্গে দলের সাবেক এমপি মকবুল হোসেন ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল গণির ভোটযুদ্ধ হবে।

    কুষ্টিয়া-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ক ম সরওয়ার জাহানকে লড়াই করতে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক এমপি দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল হক চৌধুরীর সঙ্গে। রেজাউল হক চৌধুরী ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফকে লড়তে হবে আরেক শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনুর বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়া-৪ আসনের বর্তমান এমপি সেলিম আলতাফ জর্জের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আবদুর রউফের ভোটের লড়াই হবে।

    চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়াল এবং মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ রাজ্জাক খানের। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি আলী আজগার টগরের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টু ও আবু হাশেম রেজার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

    যশোর-১ আসনে সরকারি দলের তিনবারের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোলের সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। যশোর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম এবং চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান। যশোর-৩ আসনে কাজী নাবিল আহমেদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিত কুমার নাথ। যশোর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী এনামুল হক বাবুলের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়। যশোর-৫ আসনে নৌকার স্বপন ভট্টাচার্য্যের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী। যশোর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের শাহীন চাকলাদারের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজিজুল হকের ত্রিমুখী লড়াই হবে।

    বাগেরহাট-৩ আসনে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের স্ত্রী ও উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোংলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলীর।

    সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সৈয়দ দীদার বখত ও এস এম মুজিবুর রহমানের ত্রিমুখী লড়াই হবে। সাতক্ষীরা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এস এম আতাউল হকের সঙ্গে লড়াই হবে বিএনএমের প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এইচ এম গোলাম রেজার।

    জানা গেছে, সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের ১টিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় এখানে ১৮টি আসনে নৌকার প্রার্থীর রয়েছে। অন্তত ১০টি আসনে তীব্র ভোটযুদ্ধ হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর।

    সিলেট-২ আসনে হবে ভোটের ত্রিমুখী লড়াই। এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়া গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে আছেন বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান ও জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এহিয়া চৌধুরী। ত্রিমুখী লড়াই হবে সিলেট-৩ আসনেও। এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন হাবিবুর রহমান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক। আর সিলেট-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিনের বিপরীতে ভোটে লড়ছেন ড. আহমদ আল কবির ও হুছামুদ্দীন চৌধুরী। ফুলতলী পীর সাহেবের ছেলে হিসেবে এই অঞ্চলে হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রভাব রয়েছে। সিলেট-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সারওয়ার হোসেন। এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ও সাবেক কূটনীতিক শমসের মবিন চৌধুরী।

    সুনামগঞ্জ-১ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তিন প্রার্থীর। এই আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রণজিত সরকার। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদ। সুনামগঞ্জ-২ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে আছেন সাবেক এমপি জয়া সেনগুপ্ত। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. মোহাম্মদ সাদিকের সঙ্গে লড়াই হবে জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর। আর হবিগঞ্জ-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু। তার বিপরীতে ভোটে লড়বেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। হবিগঞ্জ-২ আসনে বর্তমান এমপি আব্দুল মজিদ খানের বিরুদ্ধে লড়বেন নৌকার প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন রুয়েল। হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর সঙ্গে লড়বেন যুবলীগের সাবেক আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। মৌলভীবাজার-২ আসনে হবে ত্রিমুখী লড়াই। এই আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। আছেন কুলাউরা উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান ও সাবেক এমপি এম এম শাহীন।

    জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের ৩টিতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় এখানে ১৮টি আসনে নৌকার প্রার্থীর রয়েছে। এখানে অন্তত ১০টি আসনে তীব্র ভোটযুদ্ধ হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে।

    বরিশাল-২ আসনে নৌকার প্রার্থী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম ও একে ফাইজুল হকের লড়াই হতে পারে। বরিশাল-৩ আসনে জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপুর সঙ্গে স্বতন্ত্র আতিকুর রহমানের ভোটযুদ্ধ জমতে পারে। বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের জাহিদ ফারুক শামিমের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপনের লড়াই হতে পারে। বরিশাল-৬ আসনে নৌকার হাফিজ মল্লিকের সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি নাসরিন জাহান রত্না আমিন, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামসুল আলম চুন্নুর লড়াই হতে পারে।

    পিরোজপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিমের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন দুবারের সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল। পিরোজপুর-২ নৌকার প্রার্থী জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজের ভোটযুদ্ধ হবে। পিরোজপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মাশরেকুল আজম রবির সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি রুস্তম আলী ফরাজীর লড়াই হবে।

    পটুয়াখালী-৩ আসনে নৌকার শাহজাদা সাজু এমপির বিরুদ্ধে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক আবুল হোসেনের লড়াই হবে। পটুয়াখালী-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি মুহিব্বুর রহমান মুহিবের বিরুদ্ধে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদারের তীব্র লড়াই হবে।

    বরগুনা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী পাঁচবারের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে তীব্র লড়াই হবে আওয়ামী লীগের তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর। জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, আমতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম সরোয়ার ফোরকানের সঙ্গে ভোটযুদ্ধ হবে নৌকার প্রার্থীর।

  • চট্টগ্রামে ভোটের লড়াইয়ে ১২০ প্রার্থী

    চট্টগ্রামে ভোটের লড়াইয়ে ১২০ প্রার্থী

    মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে গতকাল (রবিবার) ৯ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোট-লড়াইয়ে টিকে থাকলেন ১২০ জন প্রার্থী। আজ সোমাবার প্রতীক নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন প্রার্থীরা।

    নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে ১৪৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ৩২ জনের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। ১১৬ জনের মনোননয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাছাইয়ে বাদ পড়াদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান ১২ জন। আরেকজন উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পান। সবমিলে ১৬ আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২৯ জন। তাদের মধ্যে থেকে গতকাল ৯ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এখন ভোটের মাঠে আছেন ১২০ প্রার্থী।

    মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন যারা

    চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে করেছেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মাজহারুল হক শাহ ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এমএ মতিন। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জাসদ মনোনীত প্রার্থী কামাল মোস্তফা চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ এমরানুল হক।

    আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়ায় দুটি আসনে নৌকা প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। তারা হলেন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম। এ আসনে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। চট্টগ্রাম-৮ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। এছাড়াও চট্টগ্রাম-১১ আসনে জাসদের প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

    প্রতীক নেবেন ১২০ প্রার্থী

    মনোনয়ন বাছাই ও প্রত্যাহারের পর এখন ভোটের মাঠে আছেন ১২০ জন প্রার্থী। বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে আজ (সোমবার) প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন।

    চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে বর্তমানে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা সাত জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. ইউসুফ, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ (বিএমএল) এর শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নুরুল করিম আবছার, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী আব্দুল মান্নান ও জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী।

    চট্টগ্রম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে বৈধ প্রার্থী হলেন আট জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভা-ারী, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, ইসলামিক ফ্রন্টের মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম, জাতীয় পার্টির মো. শফিউল আজম চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের মো. হামিদ উল্লাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান।

    চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনের বৈধ প্রার্থী আট জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা, সুপ্রিম পার্টির মুহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, জাসদের নুরুল আকতার, জাপার এমএ ছালাম, ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ উল্লাহ খান, ইসলামিক ফ্রন্টের আবদুর রহিম, স্বতন্ত্র ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, এনপিপির মো. মোকতার আজাদ খান।

    চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বৈধ প্রার্থী আছেন ছয়জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম আল মামুন, জাপার মো. দিদারুল কবির, তৃণমূল বিএনপির মো. খোকন চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. মোজাম্মেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার হোসেন।

    চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে প্রার্থী আছেন ছয় জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, তৃণমূল বিএনপির মো. নাজিম উদ্দিন, সুপ্রিম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মুক্তার আহমেদ, বিএনএফের আবু মোহাম্মদ সামশুদ্দিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ হাফেজ আহমদ।

    চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্টের স ম জাফর উল্লাহ, তৃণমূল বিএনপির মো. ইয়াহিয়া জিয়া চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মো. সফিকুল আলম চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম।

    চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে বৈধ প্রার্থী আছেন ছয় জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সুপ্রিম পার্টির মো. মোরশেদ আলম, ইসলামিক ফ্রন্টের আহমেদ রেজা, তৃণমূল বিএনপির খোরশেদ আলম, জাতীয় পার্টির মুছা আহমেদ রানা, ইসলামী ফ্রন্টের মো. ইকবাল হাসান।

    চট্টগ্রাম-৮ আসনটি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বর্তমানে ভোটের লড়াইয়ে আছেন ১০ জন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির সোলায়মান আলম শেঠ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, বিএনএফের প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ, সাবেক কাউন্সিলর বিজয় কুমার চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহিবুর রহমান বুলবুল, তৃণমূল বিএনপির সন্তোষ শর্মা, কল্যাণ পার্টির মো. ইলিয়াছ, ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, এপিপি মো. কামাল পাশা, আবদুল নবী।

    চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী) আসনে সাত প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইসলামিক ফ্রন্টের মো. ওয়াহেদ মুরাদ, ন্যাপের মিটল দাশগুপ্ত, ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম, কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ নূরুল হোসাইন, তৃণমূল বিএনপির সুজিত সাহা ও জাপার সানজিদা রশিদ চৌধুরী।

    চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী, পাহাড়তলী, হালিশহর) আসনে ভোটের মাঠে আছেন নয় জন। তারা হলেন, সাবেক মেয়র মনজুর আলম, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, তৃণমূল বিএনপির মো. ফেরদাউস বশির, ইসলামী ফ্রন্টের আলমগীর হোসেন বঈদী, ইসলামিক ফ্রন্টের আবুল বাশার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম পার্টির মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম, জাসদের মো. আনিসুর রহমান।

    চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে ভোটে আছেন সাত জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফ, ইসলামিক ফ্রন্টের আবুল বাসার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম পার্টির মো. মহিউদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, এনপিপির নারায়ণ রক্ষিত, গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক।

    চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ভোটে আছেন আট জন। তারা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এম এয়াকুব আলী, জাতীয় পার্টির মো. নুরুচ্ছফা সরকার, ইসলামিক ফ্রন্টের কাজী মো. জসিম উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির রাজীব চৌধুরী, কংগ্রেসের সৈয়দ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জিহাদী ও ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন।

    চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে আছেন ৭ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মুহাম্মদ হামেদ হোসাইন, তৃণমূল বিএনপির মকবুল আহমেদ চৌধুরী, সুপ্রীম পার্টির মো. আরিফ মঈনউদ্দিন, জাতীয় পার্টির আবদুর বর চৌধুরী, খেলাফত আন্দোলনের মৌলভী রশিদুল হক, ইসলামী ফ্রন্টের মো. আবুল হোসাইন।

    চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে আছেন আট জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মাহমুদ আবদুস সামাদ, বিএনএফের মো. গোলাম ইসহাক খান, বিএসপির মো. আইয়ুব, জাতীয় পার্টির আবু জাফর মো. ওয়ালিউল্লাহ, তরিকত ফেডারেশনের মো. আলী ফারুকী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের আবুল হোসাইন।

    চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে আছেন সাত জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব, জাতীয় পার্টির মো. ছালেম, ইসলামী ফ্রন্টের মো. আলী হোসাইন, কল্যাণ পার্টির সোলায়মান কাশেমী, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. হারুন, মুক্তিজোটের মো. জসিম উদ্দিন।

    চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ভোটের মাঠে আছেন ১০ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, আ. লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন, মো. খালেকুজ্জামান, এনপিপির মুহাম্মদ মামুন আবছার চৌধুরী, ইসলামী ফ্রন্টের মো. মহিউল আলম চৌধুরী, কংগ্রেসের এম জিল্লুর করিম শরীফি, ইসলামিক ফ্রন্টের আবদুল মালেক, ন্যাপের আশীষ কুমার শীল ও ইসলামী ঐক্যজোটের মো. শওকত হোসেন চাটগামী।

  • ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৮৯৬ প্রার্থী

    ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৮৯৬ প্রার্থী

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    রোববার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান।

    তিনি জানান, ২৭টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ৩৪৭ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বর্তমানে নির্বাচনে বৈধ প্রার্থির সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৬ জন।

    জাহাংগীর আলম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ২ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তার যাচাই-বাচাইয়ে বাতিল হয়েছে ৭৩১ জনের প্রার্থিতা। নির্বাচন কমিশনে আপিল জমা পড়ে ৫৬০টি। এর মধ্যে মঞ্জুর হয়েছে ২৮৬ টি। নামঞ্জুর হয়েছে ২৭৪ টি।

    তিনি আরও বলেন, আজ প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৩৪৭টি প্রার্থিতা প্রত্যাহার হয়েছে। এ ছাড়া আরপিও ১৬ এর ২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৫টি স্থগিত রয়েছে।

    এদিকে গণতন্ত্রী পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় এবারের নির্বাচনে ২৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি।

  • নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ

    নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ

    বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না জাতিসংঘ। গতকাল বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

    জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট ছাড়া জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে না। আর হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিবেদন তারা দেখেছেন।

    ব্রিফিংয়ে একজন প্রশ্নকারী বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিরোধী নেতাকর্মী ও সমালোচকদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান পদ্ধতিগত দমন-পীড়ন একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অসম্ভব করে তুলেছে। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিব সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন?

    এ সময় কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই বাংলাদেশের জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন, স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ আবারও আহ্বান জানায়।

     

  • নির্বাচনে কোন পক্ষপাতমূলক আচরণ কিংবা শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না: নির্বাচন কমিশনার

    নির্বাচনে কোন পক্ষপাতমূলক আচরণ কিংবা শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না: নির্বাচন কমিশনার

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে কি কি নির্দেশনা দিয়েছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, আমরা আজকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এর সাথে মতবিনিময় করেছি। আমাদের একটাই নির্দেশনা নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন প্রকার পক্ষপাত মূলক আচরণ কিংবা শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না। কারো পক্ষপাত মূলক আচরণের কারণে যদি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আজ ২৬ নভেম্বর রোববার সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষ্যে জেলা রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সাথে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি মতবিনিময় করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম।

    তিনি বলেন, যে সমস্ত দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তারা এখনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে সন্ধিহান এ ব্যাপারে আপনার নির্দেশনা কি এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বরাবরই বলে আসছি, আমরা একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অবাধ নির্বাচন করতে চাই। সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করার দরকার তা করা হচ্ছে এবং হবে। এ বিষয়ে এখনো কেউ কিছু বলেনি। আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারছি বিভিন্ন দল বিভিন্নভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো দল অংশগ্রহণ করেছে এবং করছে। তা দেখে মনে হচ্ছে এবারের নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হবে। এবারের নির্বাচনকে শুধু আমরা আমাদের চোখে দেখছি না, বিশ্ববাসী ও দেখছে। সুতরাং নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করার কোন বিকল্প নেই, করতেই হবে।

    ভোটারদের যেন কোন প্রকার ভয়ভীতি দেখানো না হয় এবং ভোটার সংখ্যা কিভাবে বাড়ানো যায় সেজন্য কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটারকে কেন্দ্রে আনা নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনকারী কর্মকর্তা কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ নয়। যে নির্বাচন করবে সেই প্রার্থীর ও দলের এবং দলের কর্মী সমর্থকদের। আমরা বলে দিয়েছি ভোটারদের কোন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    সামনে নির্বাচন, কিছু কিছু দল নির্বাচনে যাচ্ছেনা, আবার নির্বাচন বানচাল করার ঘোষণা দিয়েছে। যদি কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চায় সে ক্ষেত্রে, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন করা এবং না করার এখতিয়ার প্রত্যেকটি দলের আছে। তবে, নির্বাচন বানচাল করার অধিকার কারো নেই। কোন আইনেও তা দেওয়া নেই। যদি কেউ এরকম অপচেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরেআলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজিদুর রহমান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুছ আলী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এনামুল হক প্রমূখ।

  • আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা শুক্রবার

    আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা শুক্রবার

    আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়, ‘আগামীকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এমপি।’

    সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

  • ভোটদানে বাধা এলে প্রতিহতের আহ্বান সিইসির

    ভোটদানে বাধা এলে প্রতিহতের আহ্বান সিইসির

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মতপার্থক্যের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। পাশাপাশি ভোট দিতে বাধার সম্মুখীন হলে একক বা সামষ্টিকভাবে তা প্রতিহত করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তফসিল ঘোষণাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভোটকেন্দ্রের পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলাসহ প্রার্থী, ভোটার, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কোনো মূল্যে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করতে হবে।’

    ভোটারদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা আগামী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে, উৎসাহ- উদ্দীপনা, সাহস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে আপনাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদ ও সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট আপনার, ভোট প্রদানে কারও হস্তক্ষেপ বা প্ররোচনায় প্রভাবিত হবেন না। কোনো রকম হস্তক্ষেপ বা বাধার সম্মুখীন হলে একক বা সামষ্টিকভাবে তা প্রতিহত করবেন। প্রয়োজনে অবিলম্বে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে অবহিত করবেন। প্রিসাইডিং অফিসার যে কোনো মূল্যে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করে ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইনত দায়িত্বপ্রাপ্ত ও বাধ্য।’

    সংঘাত পরিহার করে সমস্যা সমাধানে সব রাজনৈতিক দলকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কাঙ্ক্ষিত অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নে, বিশেষত নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতির প্রশ্নে, দীর্ঘসময় ধরে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বে মতভেদ পরিলক্ষিত হচ্ছে। বহুদলীয় রাজনীতিতে মতাদর্শগত বিভাজন থাকতেই পারে। কিন্তু মতভেদ থেকে সংঘাত ও সহিংসতা হলে তা থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে। মতৈক্য ও সমাধান প্রয়োজন। আমি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করবো, সংঘাত ও সহিংসতা পরিহার করে সদয় হয়ে সমাধান অন্বেষণ করতে।’

    তিনি বলেন, ‘জনগণকে অনুরোধ করবো সব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্বস্তি পরাভূত করে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে এসে অবাধে মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সব দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সর্বদা স্বাগত জানাবে। পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়। পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক আস্থা, সহনশীলতা ও সহমর্মিতা টেকসই ও স্থিতিশীল গণতন্ত্রের জন্য আবশ্যকীয় নিয়ামক।’

    হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলকে আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন করতে হবে। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তাকেও আইন ও বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুধাবন, প্রতিপালন ও প্রয়োগ করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আরোপিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন বিষয়ক আইন ও বিধি-বিধান তাদেরকে অবহিত করার লক্ষ্যে কমিশন বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে এবং করে যাচ্ছে।’

  • জাতীয় নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

    জাতীয় নির্বাচন ৭ জানুয়ারি

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতীয় নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ রোজ রোববার ৩০০ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    ভাষণে তফসিল বিষয়ে সিইসি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর।

    সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।

    এর আগে বিকেল ৫টায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বিষয়ে বৈঠকে বসে সিইসির নেতৃত্বাধীন কমিশন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেষ হয় বৈঠক। এরপর জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি।

    কমিশন বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান এবং ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

  • দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সন্ধ্যায়

    দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সন্ধ্যায়

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বুধবার সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হবে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বুধবার বিকেলে ২৬তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সিইসি। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। বিটিভি ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচার হবে সিইসির ভাষণ।

    আগারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান ইসি সচিব।

    এদিন বিকাল ৫টায় নির্বাচন কমিশনের ২৬তম সভায় মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময়, বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ভোটের দিণক্ষণ চূড়ান্ত হবে। তারপর সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানান, অতীতে রেকর্ড করা ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা জাতীয় নির্বাচনের তফসিল দিলেও এবার সিইসির সেই ভাষণ বিটিভি ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

    এদিকে, সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা উপলক্ষ্যে বুধবার সকাল থেকে নির্বাচন ভবনে তিন স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার শুধু নির্বাচন কমিশনের সামনে পুলিশি নিরাপত্তা থাকলেও আজ সকাল থেকে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন ভবনের ভেতরেও দর্শনার্থী প্রবেশের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

    এর আগে ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুমতি নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

    এমন এক দিনে সিইসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছেন, যখন সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করার অবস্থানে অনড়।

    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। পরবর্তী সংসদের জন্য ভোটগ্রহণ করতে হবে তার আগের ৯০ দিনের মধ্যে। অর্থাৎ গত ১ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে। আর ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতেই ভোট আয়োজনের প্রস্তুতির কথা এর আগে বিভিন্ন সময়ে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি।

  • গত দুই নির্বাচনের বিতর্কের চাপ পড়েছে আমাদের ওপর : সিইসি

    গত দুই নির্বাচনের বিতর্কের চাপ পড়েছে আমাদের ওপর : সিইসি

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার চ্যালেঞ্জ নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশে যে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোর বিতর্কের চাপ বর্তমান কমিশনের ওপর পড়েছে। এ জন্য এই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব অনেক বেশি।’

    আজ রবিবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে ইউএনওদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের বিতর্কের চাপ আমাদের ওপর এসে পড়েছে। তাই আমাদের দায়িত্ব বেশি। আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি। আস্থার সংকটই নির্বাচনের আসল সংকট।

    সেটা যেন তৈরি না হয়, সে জন্য দায়িত্ব পালনে সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। আজ শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ চলবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। চারটি ব্যাচে ১০০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

    প্রতিটি ব্যাচকে দেওয়া হবে দুই দিনের প্রশিক্ষণ। এরপর বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে ইসি। এ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে বিদ্যমান প্রশাসনকে নির্বাচন আয়োজনের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

  • সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ব্যালটে ভোট হবে : ইসি সচিব

    সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ব্যালটে ভোট হবে : ইসি সচিব

    আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ব্যালট পেপারে ও স্বচ্ছ ব্যালটবাক্সে ভোট হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

    আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের ১৭তম সভা শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের একথা জানান।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইসির কর্মপরিকল্পনায় সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইভিএম মেরামতের জন্য প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। যেহেতু সবগুলো ইভিএমই মেরামত করতে হবে সে পরিমাণ অর্থ নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই। এ ছাড়া এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।’

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অপর ৪ কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। এসময় ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার, সাংবাদিক ও গণমাধ্যকর্মীদের জন্য নীতিমালা, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির (বিএমটিএফ) সঙ্গে চুক্তি অনুমোদন ও বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।