Tag: সংসদ সদস্য

  • সাংসদ মোস্তাফিজ সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত

    সাংসদ মোস্তাফিজ সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত

    চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সংসদ সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান সপরিবারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী, তিন মেয়ে, এক নাতনি ও এক মেয়ের জামাই। আক্রান্তের তালিকায় আছেন এমপির এপিএস এবং তিন গৃহকর্মীও।

    গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোস্তাফিজুর রহমানের এপিএস একেএম মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল।

    রাসেল জানান, গত ১ জুন এমপির শহরের বাসা থেকে পরিবারের মোট ১৬ জনের নমুনা নেয়া হয়। ২ জুন ফৌজদারহাট বিআইটিআইডির রিপোর্টে এমপিসহ মোট ১১ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে।

    তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে গাড়িচালকদেরও ছুটি দেয়া হয়। বাসায় মানুষের যাওয়া-আসাও সীমিত করা হয়। স্যার তেমন কোনো মিটিং-সেমিনারেও যোগ দেননি। এমপি নিজে এবং পরিবারের কোনো সদস্য বাসা থেকে তেমন বেরও হননি। শুধু ১৪ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    এর আগে এপ্রিলের শেষ দিকে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির আহ্বানে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়া নিজের এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন, তবে তা ১৪ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত। সবমিলিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই ছিলেন তিনি। এরপরও করোনায় আক্রান্তের হিসাব মেলাতে পারছেন না তারা।’

    রাসেল আরও বলেন, ‘ঈদের আগে নিজ এলাকা বাঁশখালীতে গেলেও বাড়িতে লোকজনের ভিড় হওয়ার শঙ্কায় পুনরায় শহরে ফিরে আসেন এমপি মোস্তাফিজুর রহমান। ঈদ করেছেন শহরেই। তবে ঈদের সময় বাসায় বেশ কিছু সংখ্যক অতিথি এসেছিলেন। যদিও অতিথিদের সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কথা বলেছিলেন এমপি।’

    পরিবারের সবাই শহরের বাসায় আইসোলেশনে আছেন জানিয়ে রাসেল বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে স্যার (এমপি) ভালো আছেন। পরিবারের সবাই ভালো আছে। আমরাও ভালো আছি। সিভিল সার্জন মহোদয় খোঁজ-খবর রাখছেন। পরিবারের সবাই সিভিল সার্জনের পরামর্শ মেনে চলছেন।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জ্বর-কাশি তে ভুগছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন নাহার/হাসপাতালে নিলেই মৃত্যু!

    জ্বর-কাশি তে ভুগছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন নাহার/হাসপাতালে নিলেই মৃত্যু!

    ২৪ ঘণ্টা জেলা সংবাদ : কয়েকদিন ধরে করোনা উপসর্গ জ্বর, কাশি ও ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন বগুড়ায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন নাহার পুতুল। এ কদিন বগুড়া শহরের কালিতলা এলাকার বাসায় তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

    গতকাল ২১ মে বৃহস্পতিবার রাতে পুতুলের অসুস্থতা বেড়ে গেলে স্বজনরা তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেন। একই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু। তিনি জানান, করোনার উপসর্গ থাকায় দু’দিন আগে তার নমুনা সংগ্রহ করে শজিমেকের আরটি পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এই নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এলে বোঝা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন নাকি অন্য কোনো অসুস্থতায় মারা গেছেন।

    বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কামরুন নাহার পুতুল ১৯৯৬ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান করোনায় আক্রান্ত

    সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান করোনায় আক্রান্ত

    দেশে এবার করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের তালিকায় জনপ্রতিনিধি যুক্ত হলেন।

    নওগাঁ-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ শহীদুজ্জামান সরকার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    সাবেক হুইপ শহীদুজ্জামান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি।

    তিনি গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর সরকারি বাস ভবনে ওঠেন।

    এলাকা থেকে আসার পর শরীরে জ্বর দেখা দিলে আইইডিসিআর থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

    শুক্রবার (০১ মে) বিকেল ৫টায় আইইডিসিআর থেকে রিপোর্ট পাঠানো হয়। তাকে জানানো হয়েছে তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে।

    এই প্রথম বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলেন। সংসদ সদস্যে নিজেই বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

    এ দিকে সংসদ সচিবালয় থেকে ওই ভবন লকডাউন করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আজ শুক্রবার স্যারের করোনা পজেটিভ এসেছে। ভবনটি লকডাউন করা হতে পারে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চারজন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি,এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক:প্রধানমন্ত্রী

    খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চারজন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি,এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক:প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেছেন, তাঁর (ইসমত আরা) সবচেয়ে বড় গুণ ছিল সততা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম।

    তিনি বলেন, ‘ইসমত আরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, সততা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গেছেন যা ছিল তাঁর সব থেকে বড় গুণ।’

    সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য ইসমত আরা সাদেকের মৃত্যুতে গৃহীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় একথা বলেন।

    ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। দিনের কার্যসূচির শুরুতেই এই শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

    যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইসমত আরা সাদিক আজ সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

    সংসদ নেতা বলেন, ইসমত আরা সাদেক অত্যন্ত সাবলীল এবং সর্বোত্তমভাবে কাজ করেছেন এবং তাঁর কাজের মাধ্যমেই তিনি তাঁর মন্ত্রণালয়কে গতিশীল করে তোলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ইসমত আরা সাদেক ব্যাপক উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে তাঁর সংসদীয় আসন যশোরের কেশবপুরকে আলোকিত করেছেন।
    ‘তিনি (ইসমত আরা) তাঁর সংসদীয় আসনের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক ছিলেন,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যে অকালে চলে যাবেন তা ভাবতেও পারিনি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসমত আরা সাদেক এক সময় গৃহবধু ছিলেন। তখন তিনি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু সে সময় তিনি রাজনীতিতে ততটা সক্রিয় ছিলেন না।

    শেখ হাসিনা বলেন, যখন ১৯৯২ সালে তাঁর (ইসমত আরা) স্বামী এএইচএসকে সাদেক আওয়ামী লীগে যোগ দেন, সে সময় ইসমত আরাও দলের জন্য কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

    ‘সে সময় তাঁরা দুজনেই আমার কাছে আসেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেন, ’যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    সংসদ নেতা বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একের পর এক আমরা চারজন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি।’

    প্রধানমন্ত্রী ইসমত আরা’র বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার সহ তাঁর (প্রয়াত সংসদের) সংসদীয় আসনের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।

  • সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেক আর নেই

    সংসদ সদস্য ইসমাত আরা সাদেক আর নেই

    সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য যশোর ইসমত আরা সাদেক আর নেই।

    আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর এবং তিনি ১ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    ইসমাত আরা সাদেকের স্বামী এ এস এইচ কে সাদেক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। সাবেক এই সচিব আওয়ামী লীগ থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান।

    সাদেক দম্পত্তির একমাত্র ছেলে তানভীর সাদেক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ আমেরিকায় থাকেন। মেয়ে নওরীন সাদেক আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ার, তিনিও স্বামী সন্তান নিয়ে আমেরিকায় বসবাস করেন।

    ইসমাত আরা সাদেকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

    এ ছাড়া জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ও চিফ হুইপ নূর -ই- আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শোক প্রকাশ করেছেন।

    ইসমাত আরা সাদেক ১৯৪২ সালের ১২ ডিসেম্বর বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৬ সালে বগুড়া ভি এম গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও ১৯৫৮ সালে ঢাকার হলিক্রস কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকার ইডেন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

    ইসমাত আরা ১৯৯৬ সালে কেশবপুর মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেন ও তখন থেকে কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদের সদস্য ছিলেন।

    তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠিত হলে তাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। পরবর্তী সময় ১৫ জানুয়ারি তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি।

     

  • শপথ নিয়েছেন মোছলেম উদ্দিন

    শপথ নিয়েছেন মোছলেম উদ্দিন

    জাসদ নেতা মাঈনুদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শূণ্য হওয়া বোয়ালখালী এবং চান্দগাঁও(আংশিক) নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ শপথ নিয়েছেন।

    সোমবার (২০ জানুয়ারী) সংসদ ভবনে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার কার্যালয়ে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

    শপথ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামমুদ্দীন নদভী এমপি, ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, খালেদা খানম এমপি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

    জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

    এ সময় সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকার নেতৃবৃন্দ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • বগুড়া-১ আসনের এমপি আব্দুল মান্নান আর নেই

    বগুড়া-১ আসনের এমপি আব্দুল মান্নান আর নেই

    বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

    শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সোয়া আটটায় তিনি নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।

    আব্দুল মান্নানের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী মতিউর রহমান মতি। তিনি জানান, আজ সকাল সোয়া আটটায় তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়।

    এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আব্দুল মান্নানকে। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ১১টার দিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

    আব্দুল মান্নান ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সাবেক মহাসচিবও ছিলেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুল মান্নান। পরে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদে জয় পান তিনি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুল মান্নান।

  • সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তাপস

    সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তাপস

    আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য সংসদ সদস্য পদ ছাড়লেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস।

    রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

    ফজলে নূর তাপসের ব্যক্তিগত সহকারী তারেক শিকদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারেক জানান, মেয়র পদে প্রার্থিতার জন্য সংসদ থেকে পদত্যাগের জন্য স্পিকার শিরীন শারমিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তাপস। স্পিকার তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

    এর আগে গতকাল শনিবার রাতে দলীয় সভানেত্রীর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফজলে নুর তাপসকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে তাপসের নাম ঘোষণা করেন। আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্য থেকে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

    ব্যারিস্টার তাপস বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ছেলে। তিনি টানা তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

  • আইসিইউতে নুসরাত জাহান

    আইসিইউতে নুসরাত জাহান

    অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের ভর্তি হয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী ও বসিরহাটে তৃণমূল কংগ্রেস’র সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান।

    গতকাল রোববার রাতে ইএম বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালের তাকে ভর্তি করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে হাসপাতালের নিবির পরিচর্যা কেন্দ’তে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, অ্যাজমার কারণেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন নুসরাত জাহান।

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কোনও ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নুসরত। সেই ওষুধের পার্শ প্রতিক্রিয়া স্বরূপই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল।

    জানা যায়, কিছুদিন ধরেই অসুস্থতা বোধ করছিলেন নুসরাত। অসুস্থতা নিয়েই সংসদ ও চলচ্চিত্রের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। রোববার রাতে হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    ডা. সন্দীপ মণ্ডলের অধীনে অভিনেত্রীর চিকিৎসা চলছে। ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকেই নুসরাত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

    সোমবার সকাল থেকে নুসরাতের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখনও তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

  • এমপি মোয়াজ্জেমের বিদেশযাত্রায় দুদকের নিষেধাজ্ঞা

    এমপি মোয়াজ্জেমের বিদেশযাত্রায় দুদকের নিষেধাজ্ঞা

    সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের মানি লন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থপাচার অভিযোগের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।

    বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন বরাবর এই চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।

    অনুসন্ধান দলের প্রধান ও সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষর করা চিঠির সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

    চিঠিতে জানানো হয়, দেশে মানিলন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়টি দুদকের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। দুদকের কাছে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ারও তথ্য থাকায় এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    এর আগে, বুধবার (২৩ অক্টোবর) ক্যাসিনো ব্যবসার সাথে সম্পৃক্তদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীসহ ২২ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চিঠি দিয়েছিল দুদক।

  • হুইপ সামশুল-এমপি শাওনসহ ২২ জনের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা

    হুইপ সামশুল-এমপি শাওনসহ ২২ জনের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা

    চট্টগ্রামের পটিয়ার সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এবং ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ২২ জনের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    ক্যাসিনোকাণ্ডে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    বুধবার এ সংক্রান্ত চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

    সূত্র জানায়, দুদকের এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান দলের প্রধান ও সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এ চিঠি পাঠিয়েছেন।

    যাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক সময় গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনের পাশাপাশি অনুসন্ধান চলমান থাকা ব্যক্তিদের নামও রয়েছে।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দেশে মানিলন্ডারিংসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

    বিশ্বস্ত সূত্রে দুদক জেনেছে, অভিযোগসংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তারা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    গ্রেফতার হওয়া কথিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম, মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, মোহামেডান ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন ভূইয়া, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমান, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল আলম (ফিরোজ), অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমানের (মিজান) বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

    নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রুপন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের বহিষ্কৃত দফতার সম্পাদক কাজী কাজী আনিছুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান, লোকমান হোসেন ভূইয়ার স্ত্রী নাবিলা লোকমান, গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের বিদেশযাত্রায়।

    এ ছাড়া এনামুল হকের সহযোগী ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ (আজাদ রহমান), রাজধানীর কাকরাইলের জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাকির হোসেন ও সেগুনবাগিচার শফিক এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শফিকুল ইসলামের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

    অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যাবে তাদের সবারই বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

  • এমপি হারুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড

    এমপি হারুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড

    শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা নিয়ে পরবর্তী সময় তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    একই সঙ্গে, তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।

    এমপি হারুন ছাড়াও পলাতক আসামি এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে (এমডি, চ্যানেল ৯) ৪০৯ ও ১০৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

    হারুন অর রশীদ বিগত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন।