Tag: সন্ত্রাসী

  • দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারির মৃত্যু

    দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও ইয়াবা কারবারির মৃত্যু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ : দেশের দুই জেলায় র‌্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় কক্সবাজারের মাদক কারবারি মো. রুবেল (২২) ও পাবনার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী আমিন শেখ (৪০) এর মৃত্যু হয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় এ সময় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত এবং বিপুল দেশীয় অস্ত্র, গুলি, ইয়াবা ও ফেনসিডিল উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

    আমাদের কক্সবাজার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. রুবেল (২২) নামে এক মাদক ও অস্ত্র কারবারি নিহত হয়েছেন। ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ভোররাত ৩টার দিকে র‌্যাব-১৫, (সিপিসি-১) টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল টেকনাফ সদর ইউপির বড় হাবিবছড়া সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ইয়াবার চালান খালাসের সংবাদ পেয়ে অবস্থান নেয়।

    কিছুক্ষণ পর র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেলে মাদক কারবারিরা তাদের উপর গুলি চালায়। এতে র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হলে র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, দেশীয় তৈরী একটি ওয়ান শুটারগান, ৩ রাউন্ড গুলি ও গুলির ২টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

    এসময় গুলিবিদ্ধ এক মাদক কারবারিকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    নিহত রুবেল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া জুম্মা পাড়া এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে। সে মাদক ও অস্ত্র কারবারি এবং ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব। তিনি এই ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান।

    এদিকে আমাদের পাবনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন বুধবার ভোর ৪টার দিকে পাবনার সদর উপজেলার রাজাপুর এলাকায় র‌্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আমিন শেখ (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

    র‌্যাবের দাবি, নিহত আমিন শেখ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় তিনটি করে হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। নিহত আমিন উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের পয়দা গ্রামের এসকেন শেখের ছেলে।

    র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার আমিনুল কবির তরফদার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার রাজাপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ভোররাত ৪টার দিকে অভিযানে যায় র‌্যাবের একটি অভিযানিক টিম।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৩টি তাজা গুলি, একটি রাম দা, একটি চাপাতি ও ৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাতদলের সদস্যরা। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।

    এক পর্যায়ে ডাকাত দল পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • সাংবাদিক শেলুর পা ভেঙে দেয়া ছাত্রলীগ নেতা রাকিব আটক

    সাংবাদিক শেলুর পা ভেঙে দেয়া ছাত্রলীগ নেতা রাকিব আটক

    দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্নের জামালপুর সংবাদদাতা ও পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সিনিয়র সাংবাদিক এপেক্সিয়ান শেলু আকন্দকে নির্যাতনের একপর্যায়ে দু’পা ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী রকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। উক্ত ঘটনায় সন্ত্রাসী রকিব খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    আশংকাজনক অবস্থায় শেলু আকন্দকে আজ দুপুরে জামালপুর হাসপাতাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেছে। জামালপুরের ইতিহাসে এমন জঘন্যতম ঘটনার নিন্দার ঝড় ওঠেছে। ফুসে ওঠেছে সাংবাদিক সমাজ।

    ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় শহরের দেওয়ানপাড়ায় পুরাতন এসডিওর বাড়ির পিছনে শহর বাইপাস রোডে।

    পথচারী এবং স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার শেষে তাকে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন বেঁচে থাকলেও সাংবাদিক শেলু আকন্দ আজীবনের জন্য একজন পঙ্গুত্ববরণ করবে।

    হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত শেলু আকন্দ বলেন, আমি ডায়াবেটিসের রোগী। প্রতিদিন সকাল ও রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে শহর বাইপাস রোডে হাটাহাটি করি। বুধবার রাতে হেঁটে যাওয়ার সময় পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাকিব খান, তুষার খান, স্বজন খান ও তুহিন খানসহ ১০/১২ জন আমার উপর হামলা চালায়।

    ছাত্রলীগ নেতা রাকিব

    তারা লোহার জিআই পাইপ দিয়ে আমার দুই পায়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে। পেটানোর সময় তারা বলে মামলার সাক্ষী হইছস না, সাক্ষী দিবি, তর সাক্ষীর হওয়ার স্বাদ মিটাইতাছি। লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে পেটাতে আমার দুই পা গুড়িয়ে দিয়েছে।

    এর ৬ মাস আগে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে দৈনিক কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর উপর হামলা করে বেধড়ক মারধর করেছিল কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে রাকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।

    ওই মামলার ২নং সাক্ষী ছিল সাংবাদিক শেলু আকন্দ। সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলায় সাক্ষী হওয়ায় সাংবাদিক শেলু আকন্দ হামলার শিকার হয়েছেন।

    জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান জানিয়েছে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় রুনু খানের ছেলে সাকিব খানকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

    জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমান সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর হামলার নির্দেশদাতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও হামলাকারী রকিব খানসহ হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি।

  • টেকনাফে ৮ লাখ ইয়াবা ও ৬টি অস্ত্র উদ্ধার, ৮ মাদককারবারি ও সন্ত্রাসী আটক

    টেকনাফে ৮ লাখ ইয়াবা ও ৬টি অস্ত্র উদ্ধার, ৮ মাদককারবারি ও সন্ত্রাসী আটক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : টেকনাফের রঙ্গীখালীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও অস্ত্র-গুলিসহ তালিকাভূক্ত ৮ জন মাদক কারবারী এবং সন্ত্রাসীকে আটক করেছে র‌্যাব।

    ১৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ভোরে র‌্যাব-৭ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালী এলাকায় অভিযান চালায়।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র নুর হাফেজ, দলিলুর রহমানের পুত্র ছৈয়দ আলম প্রকাশ কালু, ছৈয়দ হোসেনের পুত্র ছৈয়দ নুর, সব্বির আহমদের পুত্র মোহাম্মদ সোহেলকে আটক করা হয়।

    পরে আটককৃতদের স্বীকারোক্তিতে তাদের আস্তানায় তল্লাশী চালিয়ে ৮ লাখ ১০হাজার পিস ইয়াবা, ৬টি অস্ত্র ও ৭০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

    র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অপারেশন অফিসার এএসপি মাশেকুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের কার্যক্রমের উপর নজর রাখার পর শুক্রবার ভোররাতে তাদের এসব অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে থানায় সোর্পদ করার প্রস্তুতি চলছে।

    সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট চক্রের লোকজন আটকের খবরে জনমনে স্বস্থি দেখা দিলেও ফেরারী হয়ে থাকা অপর অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী উঠেছে। পাশাপাশি আটককৃতদের মদতদাতা কতিপয় জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

    অপর দিকে ভোর রাতে র‌্যাব ১৫ এর একটি টহল টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিবছড়া গ্রামস্থ মেরিনড্রাইভ সড়কে ইয়াবা ক্রয় বিক্রয়কালে ৪ হাজার ৯৭০ পিস ইয়াবা সহ চার মাদক ব্যবসায়ী আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতরা হচ্ছে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার মকতুল হোছেনের ছেলে কামাল হোসেন (২৯), আক্তার হোসেন (৩২), মো. নুর (২০), ও আবুল হোছেনের ছেলে আব্দুল মালেক (২৬)।

    র‌্যাবের সহকারী পরিচালক, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • রাঙ্গুনিয়ায় অস্ত্র ও গুলিসহ দুই সন্ত্রাসী গ্রেফতার

    রাঙ্গুনিয়ায় অস্ত্র ও গুলিসহ দুই সন্ত্রাসী গ্রেফতার

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ইসলামপুর ইউনিয়নের ১নং গোদারপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যকশন ব্যাটেলিয়ন র‌্যাব।

    বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি ওয়ানশুটার গান, ৪ রাউন্ড গুলি, ২টি রামদা, ৩টি ছোরা, ২টি কিরিচ এবং ৪টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার গোদারপাড় এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৩৬) ও একই উপজেলার ফরেষ্ট অফিস এলাকার মৃত আমিনুল হকের ছেলে মো. কামাল হোসেন (৩০)।

    র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, কতিপয় সন্ত্রাসী অস্ত্র সস্থ্র নিয়ে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গোদারপাড় এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্য পেয়ে র‌্যাবের একটি টিম অভিযানে যায়। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টা করলেও র‌্যাব ধাওয়া করে দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    এসময় তাদের দেহ তল্লাশী করে ২টি ওয়ানশুটার গান উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে দুজনের বসত ঘরে তল্লাশী চালিয়ে আরো বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

    তিনি বলেন,গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মো. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ৬টি এবং জসিমের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে যোগসাজশে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছে এবং সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে আসছে।

    দুজনের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনহত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধারকৃত মালামালসহ দুজনকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

  • ভাটিয়ারীতে অস্ত্রসহ আটক ৫ সন্ত্রাসীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

    ভাটিয়ারীতে অস্ত্রসহ আটক ৫ সন্ত্রাসীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ডের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্রসহ আটক ৫ সন্ত্রাসীকে এক দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমবার চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল বিচারিক আদালতে আটক ৫ জনকে হাজির করে ৫দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাইলে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ বিচারক।

    রিমান্ড মঞ্জুর করা বক্তিরা হলো, নুরু (২৫), ফরহাদুল আলম মিজান (২৩), তিলক দে টিপু (২৪), মোহাম্মদ রিদওয়ান (১৯), মোহাম্মদ হেলাল (১৯)।

    মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড মডেল থানার এস আই মো. মামুন হোসেন তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

    উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহানাবাদ ২ নং ওয়ার্ডের সম্মেলন ছিল স্থানীয় জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সম্মেলন শুরুর সময় একটি নোহা মাইক্রো করে ৮/১০ জনের একটি অস্ত্রধারী গ্রুপ অস্ত্র উচিয়ে সম্মেলনে দিকে আসার চেষ্টা করলে এসময় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রনি লোকজন তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলে।

    পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে একটি পিস্তলসহ ৫ জন সন্ত্রাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়। সোমবার মামলা তদন্তকারী আটক ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

  • এদেশে কোন বিশৃঙ্খলাকারী, সন্ত্রাসী-জঙ্গীর ঠাই হবে না-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    এদেশে কোন বিশৃঙ্খলাকারী, সন্ত্রাসী-জঙ্গীর ঠাই হবে না-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজদের কোন ছাড় নেই মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, এদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সু-শৃঙ্খল সোনার বাংলাদেশ। এদেশে কোন বিশৃঙ্খলাকারী,সন্ত্রাসী-জঙ্গীর ঠাই হবে না। অপরাধী সে যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

    বুধবার দুপুরে রামগড় নবনির্মিত থানা ও ৪তলা বিশিষ্ট ব্যারাক ভবন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও পরবর্তী জেলা পুলিশ আয়োজিত মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গাইড লাইন তৈরীর কাজ চলছে। পার্বত্য জেলায় শান্তি বজায় রাখাসহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সে সাথে জনপ্রতিনিধি,সুশীল সমাজ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের নিয়ে বৈঠকের মাধ্যকে পুলিশ ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বৃদ্ধির কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

    সে সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরো জানান, পাহাড়েও দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সমতলের মতো অভিযান অব্যাহত থাকবে। সরকার পাহাড় ও সমতলে সমান্তরাল ভাবে উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

    খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহা আহমার উজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা ও বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম, রামগড় পৌর মেয়র কাজী রিপন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী,যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু,শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার,পাজেপ সদস্য পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল,জুয়েল চাকমা,শতরূপা চাকমাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেয়।