Tag: সন্দ্বীপ

  • সন্দ্বীপে অস্ত্রসহ আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার

    সন্দ্বীপে অস্ত্রসহ আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার

    সন্দ্বীপে অস্ত্র ও গুলিসহ ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামির নাম ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলম সমির। তিনি মগধরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ইউপি সদস্য।

    গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় সন্দ্বীপ থানা পুলিশ মগধরা ইউনিয়নের নোয়ার হাটে সমিরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি শুটারগান ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। সমির পুলিশের উপর হামলার ঘটনার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি।

    সন্দ্বীপ থানার ডিউটি অফিসার জয়নুল জানান, রবিউল আলম সমিরের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

  • নির্বাচন ঘিরে সন্দ্বীপে কোস্টগার্ড মোতায়েন

    নির্বাচন ঘিরে সন্দ্বীপে কোস্টগার্ড মোতায়েন

    নির্বাচন সামনে রেখে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় উপকূলীয় অঞ্চল সন্দ্বীপে মোতায়েন করা হয়েছে কোস্টগার্ড।

    শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সন্দ্বীপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়।

    চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান জানান, আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে সেনাবাহিনীও মাঠে নামবে। সন্দ্বীপে দায়িত্ব পালন করবে কোস্টগার্ড। স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের আওতায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশের নির্বাচনী এলাকায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

    জানা গেছে, সন্দ্বীপ ছাড়াও চট্টগ্রামের ১৫টি আসনে বিজিবি ও র‌্যাবের ৩২টি টহল টিম এবং সঙ্গে একটি করে গোয়েন্দা টিমও মাঠে নেমেছে। তারা নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে।

    সরেজমিনে নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেইট, জিইসি, খুলশী মোড় ঘুরে দেখা যায়, বিজিবি সদস্যরা সকাল থেকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় টহল দিচ্ছেন।

    বিজিবি-৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বিভিন্ন সংসদীয় আসনে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ১১টি আসনে মোতায়েন করা হয়েছে ৭৪ প্লাটুন বিজিবি। আর এ আসনগুলো বাদে বাকি চার আসনে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের আরও ২২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

  • সন্দ্বীপে প্রার্থী ও প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে রিটার্নিং কর্মকর্তার মতবিনিময়

    সন্দ্বীপে প্রার্থী ও প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে রিটার্নিং কর্মকর্তার মতবিনিময়

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সংসদীয় আসন-২৮০ চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী, প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সাথে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন সংক্রান্তে এক মতবিনিময় সভা ১৯ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।

    সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ইউনুচ আলী ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোঃ মামুনুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আব্দুল মালেক ও জেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    বেলা ১২টায় কবি আব্দুল হাকিম পাবলিক অডিটরিয়ামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের (প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) সাথে মতবিনিময় ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।

    দুপুর ১টায় উপজেলার ৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ প্রদান, অসহায়-শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণ এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবে বই বিতরণসহ প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি বীজ বিতরণ করেন তিনি।

    মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, গতকালকে (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ চুড়ান্ত হয়েছে। আজ (১৯ ডিসেম্বর) থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়। এসময় অনেক প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গনের অনেক অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। সে লক্ষ্যে জেলা রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য আরও কর্মকর্তা সন্ধীপ উপজেলার ৮জন প্রার্থীসহ প্রস্তাব ও সমর্থনকারী সকলের সাথে আচরণ বিধিমালা নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। এতে সকল প্রার্থী ও তাঁর অনুসারী, সমর্থক, প্রচার-প্রচারণাকারীকে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

    তিনি আরও বলেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশ্বাস ব্যত্যয় করেন। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গকারীকে কোনরূপ ছাড় দেওয়া হবেনা। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে ৮জন প্রার্থী মতামত গ্রহণ করা হয়েছে এবং মতামত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথেও মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক। দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তাকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শতভাগ স্বচ্ছতা ও ন্যায়ের সাথে পবিত্র দায়িত্ব পালনের জন্য আহবান করেন তিনি।

    সভায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ বলেন, যদি কোন কর্মকর্তার কোন ধরণের অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে সকলকে দায়িত্বশীলতার সাথে কর্তব্য পালনের আহবান জানান তিনি।

  • সন্দ্বীপ সাগরে ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীর লিখিত আবেদন

    সন্দ্বীপ সাগরে ব্রীজ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীর লিখিত আবেদন

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ : মাত্র একটি ব্রীজের অভাবে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার কয়েক লক্ষ জনগণ প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পথেই আসা যাওয়া করছে।

    জনবহুল এ দ্বীপপূর্ণ এলাকার সাধারণ জনগণের প্রাত্যহিক সীমাহীন কষ্টের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিজ হস্তে চিঠি লিখেছেন ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া ক্ষুদে এক শিক্ষার্থী। চিঠিতে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকার কুমিরা সন্দ্বীপ ফেরীঘাট থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা যাতায়াতের জন্য সাগরে একটি ব্রীজ নির্মাণের আকুল আবেদন জানিয়েছে ওই শিক্ষার্থী।

    প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চিঠিটি লিখেছেন চট্টগ্রামের দক্ষিণ হালিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ক্ষুদে স্কুল ছাত্রী তৃষ্ণা রাণী দেবনাথ।

    জানা যায়, তৃষ্ণা চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ দেবনাথের বড় মেয়ে। সম্প্রতি সে কুমিরা সন্দ্বীপ ফেরীঘাট এলাকায় বেড়াতে যায়। এ সময় স্থানীয় এলাকার লোকজনের সাগর পারাপারে ব্যাপক কষ্ট স্বচোক্ষেই উপলদ্ধি করে।

    সে কষ্ট ও দুর্ভোগের চিত্রগুলো তার মনে দাগ কেটেছে। আর তাই নিজের হাতেই একটি চিঠি লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আবেগঘন অনুভুতির আবেদনগুলি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শেয়ার করে। চিঠিটি ভাইরাল হয়।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তৃষ্ণা তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, সন্দ্বীপ উপজেলা থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে সাগর পথে যোগাযোগ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়।

    যে কোন সময় শিশু ও বয়স্ক রোগীরা রোগাক্রান্ত হলে চট্টগ্রাম শহরে চিকিৎসার আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে সাগর পথেই মারা যায়। এমনকি সন্দ্বীপ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে সম্পর্ণূ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়তে হয়।

    তৃষ্ণা তার আবেদনে আরো উল্লেখ করেন, সন্দ্বীপের মতো এমন জনবহুল দ্বীপপূর্ণ এলাকায় কেবল মাত্র একটি ব্রীজের অভাবে লক্ষ লক্ষ জনগণ প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পথে আসা যাওয়া করে। এমনকি সাগর উত্তাল থাকার কারণে অধিকাংশ সময় ছোট ছোট নৌকা ও স্প্রীডবোট গুলি দূর্ঘটনায় পতিত হয়। ইতিমধ্যে এ দূর্ঘটনায় বহু লোকের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।

    তৃষ্ণা তার আবেদনে বলেন, সন্দ্বীপের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মা শেখ হাসিনা একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দিলে তার মতে সন্দ্বীপের দ্বীপ এলাকার জনগণ তাদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে।

    এমনকি সন্দ্বীপের সাথে তখন সকল প্রকার যোগাযোগ স্থাপন হলে, দ্বীপপূর্ণ সন্দ্বীপ এলাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের মাধ্যমে এলাকার জনগণকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব আয় করা সম্ভব।

    শুধু তাই নয়, দীর্ঘতম এ সাগর পথে ব্রীজ নির্মাণ করলে প্রতি বছর ব্রীজ টোলের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে দেশের উন্নয়নে সরকার ব্যাপক রাজস্ব আয় করতে পারবে। যে অর্থ দিয়ে দেশের সামাজিক যোগাযোগ সকল মাধ্যমে সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে ব্যবহার করতে পারবে দেশের সরকার।

    তৃষ্ণা তার আবেদনে বলেন, বিশেষ করে আমার মতো স্কুলগামী শিশুরা সন্দ্বীপ এলাকায় উন্নত চিকিৎসা না থাকায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে চট্টগ্রামে আসা যাওয়ার প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে। কেবলমাত্র একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে এ দুঃখ ঘুছে যাবে। অসংখ্য শিশু ও বৃদ্ধরা উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে।

    অবশেষে কুমিরা সীতাকুন্ড সন্দ্বীপ ফেরাঘাটে ব্রীজটি নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট একান্ত সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    উল্লেখ্য যে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্থানীয় এমপি ও জেলা প্রশাসককে আশ্বস্থ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন তিনি বলেছেন, যদি মাটিতে ব্রিজ ধারণ ক্ষমতা থাকে, সেই সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখা হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সন্দ্বীপ- চট্টগ্রামের মধ্যে একটি সেতু তৈরি করে দেওয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • সন্দ্বীপে যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে আ’লীগ নেতার বাড়িতে হামলা,নারীসহ আহত ৭

    সন্দ্বীপে যুবলীগ সভাপতির নেতৃত্বে আ’লীগ নেতার বাড়িতে হামলা,নারীসহ আহত ৭

    সন্দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বাড়িতে বাড়িতে দলবেধে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্দ্বীপ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে এই হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় নারীসহ ৭ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়ে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    শুক্রবার (১৫ মে) ইফতারের আগে থেকে শুরু হয়ে এই ঘটনার রেশ চলতে থাকে রাত পর্যন্ত।

    হামলার শিকার মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘রাকিব নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী গত তিন মাস ধরে মোবাইল ফোনে আমার স্ত্রীকে বিরক্ত করছে। রাকিবকে ব্যক্তিগতভাবে এসব অপকর্ম করতে নিষেধ করার পরেও সে দ্বিগুন হারে বিরক্ত করে যাচ্ছিলো, রাকিবসহ আরো কয়েকজন বখাটে প্রতিনিয়ত পুকুর পাড়ে আড্ডা দিতো যে কারনে মোবারকের বাড়ির মহিলারা পুকুর ব্যবহার করতেও সমস্যায় পরতো, গত শুক্রবার (১৫ মে) বিকেলে সে আমার বাড়ির পুকুর পাড়ে আড্ডা মারতে আসলে আমি তাকে জোর করে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম।

    এরপর আমি বাজারে গিয়ে কিছু সদাইপাতি কিনে ফেরার পথে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভাগ্নে ও অপহরণ মামলার আসামী নুরনবী শাকিল ও রাকিবসহ ২০-২৫ জন মিলে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। ইফতারের আগ মুহূর্তে তারা আবার বাড়িতে এসে আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার মাকেও লাঠি ও দা’য়ের পিঠ দিয়ে মেরে আহত করে। এসময় আমাদের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সেক্রেটারি ফোরকানের ছেলে আমাকে বাঁচাতে আসে। এর জের ধরে পরে ফোরকানের পরিবারের ওপরও তারা হামলা চালায়।’

    তৃতীয় দফায় মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফোরকান উদ্দীনের বাড়িতে হামলার সময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নিজে উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে ফোরকান উদ্দিন চট্টগ্রাম বলেন, ‘হঠাৎ ছিদ্দিকসহ ২৫-৩০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী এসে আমার মা, বউ, ছেলেদের ওপর হামলা চালায়। আমার যে ছেলে মোবারককে বাঁচিয়েছিল তাকে না পেয়ে অন্যদের ওপর তারা হামলা চালায়। আমরা এখন গাছুয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। এই ঘটনার কথা সন্দ্বীপের এমপিসহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে জানানো হয়েছে।’ সুস্থ হলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।

    এই বিষয়ে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের নাদিম বলেন, ‘এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। যুবলীগ সভাপতি ছিদ্দিকের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। মোবারক ও ফোরকানের পরিবারের কয়েকজনকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনা এমপি মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি চিকিৎসা করতে বলেছেন। পরে তিনি ঘটনা দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’

    তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি হামলার সময় ছিলাম না। হামলার পর পুলিশ যখন তদন্ত করতে গেছে তখন সেখানে আমিও গিয়েছিলাম। আমি এখন থানায় আছি।’

    এদিকে ছিদ্দিকুর রহমান পুলিশের তদন্ত দলের সাথে ঘটনাস্থল ঘুরে থানায় এসেছেন বলার মিনিট দশেক বাদে বিস্তারিত জানতে চাইলে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কিছু জানিনা। ঘটনা তদন্ত করতে থানা থেকে লোক গেছে, তারা আসলে বলতে পারবো।’

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগ সভাপতির নির্যাতনের স্বীকার এলাকাবাসী থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় সিদ্দিকুর দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করে যাচ্ছে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও ভয় পায়। সন্ত্রাসী বাহিনীর বেশিরভাগ সদস্য সিদ্দিকের আত্মীয় স্বজন বলে জানা যায়। এদের মধ্যে তার ভাগ্নে রাজু ও নুরনবী শাকিল গতবছর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ও অপহৃত ছাত্রীর ভাইকে কুপিয়ে আহত করার মামলার আসামী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রামে ৩,নোয়াখালীতে ৩,লক্ষ্মীপুরে ৩ জনের করোনা শনাক্ত

    চট্টগ্রামে ৩,নোয়াখালীতে ৩,লক্ষ্মীপুরে ৩ জনের করোনা শনাক্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ :::চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করে চট্টগ্রামে ৩ জন এবং নোয়াখালী জেলায় ৩ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে।

    এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করে লক্ষ্মীপুর জেলায় ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে

    শনিবার (২ মে) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২৬৭টি নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩ জন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ৮১ জন।

    চট্টগ্রামে আক্রান্ত তিন জন যথাক্রমে চন্দনাইশের হারলা  ৪নং ওয়ার্ডের কেরানির বাড়ির ১৫ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রী, সন্দ্বীপের গাছুয়া ৩নং ওয়ার্ড নাহিদ খান সাহেবের বাড়ির ২৪ বছর বয়সী যুবক ও রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী দাসপাড়া ইউনিয়নের ৪৫ বছর বয়সী নারী স্বাস্থ্যকর্মী।

    নোয়াখালী জেলার তিনজন হলেন- হাতিয়া উপজেলা ২ জন এক মহিলা বয়স (২৩), আরেকজন পুরুষ বয়স (২৮) অপরজন নোয়াখালী সদরে পুরুষ বয়স (২৫)।

    লক্ষ্মীপুরের তিনজনের মধ্যে রামগতি উপজেলায় ১ এবং রামগঞ্জ উপজেলায় ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তদের ছয়জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সন্দ্বীপে রফিক চেয়ারম্যানের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ

    সন্দ্বীপে রফিক চেয়ারম্যানের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ

    সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, হরিশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, সন্দ্বীপ পৌরসভার সাবেক প্রশাসক, মুক্তিযুদ্ধকালিন কমান্ডার ও মুজিব বাহিনী প্রধান রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে কর্মহীন অসহায় সন্দ্বীপ পৌরসভার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

    আমেরিকা প্রবাসী ও সাবেক ছাত্রনেতা আবু ইউচুপ লিটনের আর্থিক সহযোগিতায় এ ত্রাণ কাজের সূচনা করেন সন্দ্বীপের সাংসদ, নৌ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য, দ্বীপরত্ন আলহাজ মাহফুজুর রহমান মিতা এম পি।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দীন বেদন, মুক্তিযোদ্ধা আবু হেলাল চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তাদের মাওলা সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল মাওলা, থানা আওয়ামী লীগ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

    ত্রাণ বিতরণ সমন্বয় করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রদ্যুৎ নন্দী ও নুরনবী আনন্দ, দিদার আলম, মো. মামুনুর রশিদ,শিপন মাহমুদ ও সুজিদ ভদ্র। সন্দ্বীপের পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মোট ৩৫০ জনকে চাউল, ডাউল, পেঁয়াজ, তেল, আলু, চনা ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।

    মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেন, এই বৈশ্বিক সংকটময় মুহূর্তে সকলের উচিত খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এ সংকট মোকাবেলায় সহযোগিতা করা এটা আরেকটি যুদ্ধজয়ের চেয়ে কম নয়। আমার পক্ষ থেকে এ ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে। আমেরিকা প্রবাসী আবু ইউসুফ লিটন আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ জানাই।

    (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

  • সন্দ্বীপের ধর্ষণ মামলার আসামি সীতাকুণ্ডে র‍্যাবের হাতে আটক

    সন্দ্বীপের ধর্ষণ মামলার আসামি সীতাকুণ্ডে র‍্যাবের হাতে আটক

    নিজস্ব প্রতিবেদক ::: চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার আলোচিত স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী মারুফ হোসেন আদনানকে (২৫) আটক করেছে র‍্যাব।

    শনিবার (১৮ এপ্রিল) সীতাকুণ্ড থেকে ধর্ষক আদনানকে আটক করে র‍্যাব-৭ এর একটি দল।

    আদনানকে প্রধান ও এক সহযোগীসহ দুইজনকে আসামি করে সন্দ্বীপ থানায় ২ এপ্রিল একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিল ওই ছাত্রীর বাবা।

    ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মারুফ হোসেন আদনান (২৫) দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে স্কুল ভবনের দ্বিতীয় তলায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বেডরুমে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

    মারুফ সন্দ্বীপের মুছাপুর মান্দিরগো বাড়ির ওষুধ ব্যবসায়ী আব্দুর রবের ছেলে। আবদুর রব ছাত্রীটির স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রভাবশালী সদস্য।

    ঐ স্কুলের দোতলায় ক্লাসরুম ভেঙ্গে একটি বিলাসবহুল মনোরঞ্জন রুম বানানো হয়েছিল। সেখানে এয়ারকন্ডিশনও লাগানো হয়েছে। কতিপয় কথিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ওই কক্ষে প্রায় আসা-যাওয়া করতেন এয়ারকন্ডিশনের বাতাস খেতে। আর ধর্ষণের ঘটনা ওই বিলাসবহুল কক্ষেই ঘটেছিল।

    এ বিষয়ে র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, সন্দ্বীপ থানায় একটি ধর্ষণ মামলার প্রেক্ষিতে মারুফকে আজ সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

  • ডিলারশীপ হারাচ্ছে সন্দ্বীপের রফিকুল ইসলাম

    ডিলারশীপ হারাচ্ছে সন্দ্বীপের রফিকুল ইসলাম

    নিজস্ব প্রতিবেদক:::গ্রাহককে চাল কম দেওয়ার অভিযোগে ডিলারশীপ হারাচ্ছে সন্দ্বীপের ডিলার শরীফ।

    চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের কঠোর নজরদারির মধ্যেও এক শ্রেণীর অসাধু ডিলার গ্রাহককে চাল কম দেয় এমন অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রচারিত ভিডিও ক্লিপস দেখে আজ পরিদর্শনকালে অভিযুক্ত ডিলার মুনছুরের চাল কম দেওয়ার বিষয় টির প্রমাণ পায় খাদ্য অফিস।

    উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশমত কঠোর আইনতগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।এমনটি জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণক রবীন্দ্র লাল চাকমা।

    তিনি জানান এ ব্যপারে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই।উপজেলায় সর্বমোট ২৩ জন ডিলার রয়েছে তাদের প্রত্যক্ষের কার্যক্রম কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে। এছাড়াও আরেক অভিযুক্ত ডিলার মুনছুরের বিষয়ে চাল বিলি শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

  • করােনার উপসর্গ আছে সন্দ্বীপের এমন ৪ জনের নমুনা চট্টগ্রামে প্রেরণ

    করােনার উপসর্গ আছে সন্দ্বীপের এমন ৪ জনের নমুনা চট্টগ্রামে প্রেরণ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক:::করােনার উপসর্গ আছে চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের এমন চার জনের রক্তের নমুনা আজ ৬ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    সর্দি কাশি জ্বরে ভোগছেন এমন চার ব্যক্তি করোনা সন্দেহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গাছুয়া ও হারামিয়া ২০ শয্যা হাসপাতালের মাধ্যমে স্যাম্পল সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম প্রেরণ করা হয়েছে।

    নমুনার সংগ্রহ ও করােনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে
    সন্দ্বীপ উপজেলা করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ ফজলুল বলেন, আমরা করােনা বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি।রিপোর্ট পেলে তাদের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    তিনি আরো জানান যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তারা আপাতত নিজ গৃহে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে।

    করােনা ঠেকাতে ইতোমধ্যে সন্দ্বীপের সাথে চট্টগ্রামের যোগাযোগের সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নৌ বাহিনী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে তৎপর রয়েছে সচেতন করছে মানুষকে।

    স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা নিজ উদ্বেগে স্থানীয় দরিদ্র অসহায় দের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।

  • ছিন্ন দ্বীপের বিচ্ছিন্নতা!

    ছিন্ন দ্বীপের বিচ্ছিন্নতা!

    প্রানঘাতি করোনা ভাইরাস যখন বিশ্বের ১৯৯ টি দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরেছে তার বিপরীতে মূল ভূখণ্ড থেকে বিছিন্ন চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের সাড়ে চার লক্ষ মানুষ গৃহবন্দী হয়ে চরম আতঙ্ক আর উঠকন্ঠায় দিন পার করছে।
    এ যেন ছিন্ন দ্বীপের বিচ্ছিন্নাতার গল্প!

    সন্দ্বীপের ৪ লাখ মানুষের জন্য রয়েছে ৩১ শয্যা বিশিষ্টি একটি হাসপাতাল। সেখানে হাসপাতালটি নিয়মতান্ত্রিক চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খায় সেখানে করোনার মত প্রাণঘাতি রোগের চিকিৎসা কিভাবে দিবে তানিয়ে জনমনে সংশয় আছে!
    করোনা পরীক্ষার কিট নেই। চিকিৎসকের জন্য নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সুরক্ষা পোশাক পিপিই। রোগীর জন্য নেই আইসিইউ। গত ১ মাসে প্রবাসী এসেছে ১০ হাজার।

    উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের তথ্যমতে, হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে মাত্র ৭৭ জন। এদিকে নৌ পথের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ২ দিনে ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপে এসেছে প্রায় ৫ হাজার মানুষ।

    সরকারি নিষেধাজ্ঞায় নৌযান চলাচল বন্ধ হওয়ায় চিন্তার বাঁঝ পরেছে সন্দ্বীপের মানুষের। সন্দ্বীপের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোটা চট্টগ্রাম শহর নির্ভর। প্রসূতি রোগীদের নিয়ে টেনশন সবচেয়ে বেশি। রোগীর অবস্থা একটু খারাপ হলে চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে হয়।

    ইতোমধ্যে সরকারের নির্দেশে উপকূলীয় অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সাথে মাঠ প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য মাঠে নেমেছে নৌ বাহিনী।তারা সন্দ্বীপের রাস্তায় টহল দিয়ে করোনা বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজ করছে

    নৌযান শহরের সাথে যোগাযোগের প্রধান তম বাহন হওয়াই মানুষের মাঝে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরী কোন স্বাস্থ্যসেবা নিতে হলে কি করবেন সে উপায় খোঁচ্ছে মানুষ কারণ সরকারের নির্দেশে নৌযান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ।

    এ বিষয়ে সাউথ সন্দ্বীপ কলেজের প্রভাষক অনিক কর পাপ্পু তার ফেইসবুকে লিখেছেন, ইমার্জেন্সি চিকিৎসার জন্যে চট্টগ্রামে যারা যাবে তাদের জন্যে যেন বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। বেশিরভাগের জন্যেই সম্ভব নয় একটা স্পীড বোটের পুরো ভাড়া দিয়ে শহরে যাওয়া।

    সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে বিবেচনার অনুরোধ করছি।

    সন্দ্বীপ বাসী চিকিৎসার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে শহরের উপর নির্ভরশীল– এটা আমাদের মৌলিক অধিকার।

    জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম বলেন, সন্দ্বীপে করোনা পরীক্ষার কীট নেই। আমরা কাউকে সন্দেহ করলে ফৌজদারহাটে রেফার করবো। বিশেষ প্রয়োজনে রোগীকে চট্টগ্রাম নেয়ার জন্য নৌপথে প্রশাসন সহযোগীতা করবে। ৭৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। গত ২ দিনে ঢাকা – চট্টগ্রাম থেকে যারা এসেছে তাদেরও হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। আমরা হারামিয়া ২০ শয্যা হাসপাতালে ৫ টি আইসোলেশান বেড রেখেছি।

    সম্মিলিত সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি বলেন, সন্দ্বীপের যাতায়াত ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে সন্দ্বীপে করোনা সনাক্তের কীট আনা দরকার ছিল। এ বিষয়ে প্রশাসন একটু চেষ্টা করলে সম্ভব বলে মনে করি।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদর্শী সম্বোধি চাকমা বলেন, প্রসূতি রোগীকে চট্টগ্রাম নেয়ার প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা করে দিব।

  • ঐতিহ্যবাহী ধানের গোলা ও ডোলা এখন বিলুপ্তপ্রায়

    ঐতিহ্যবাহী ধানের গোলা ও ডোলা এখন বিলুপ্তপ্রায়

    চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপ এক সময় গ্রামীণ ঐতিহ্যে ভরপুর ছিল। কালের বিবর্তণে সে ঐতিহ্য সমূহ আজ কেবলী বইয়ের পাতায় অতীত স্বৃতি হিসেবে আমাদের কাছে ধরা দেয়। তেমনি এক ঐতিহ্য ধানের গোলা ও ডোলা।

    গ্রামবাংলার সমৃদ্ধির প্রতীক ধানের গোলা এখন বিলুপ্ত প্রায়। প্রকৃতির নৈসর্গিক তৃণভূমি সবুজের সমারোহে মাঠ ভরা সোনালি ফসলের ক্ষেত, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ ও কৃষকের গোলা ভরা ধান এখন প্রবাদ বাক্যে পরিণত হতে চলেছে। হারিয়ে যাচ্ছে কৃষিক্ষেত ও কৃষকের ঐতিহ্যবাহী গোলা শিল্প। মাঠের পর মাঠ ধান ক্ষেত থাকলেও অধিকাংশ কৃষকের বাড়িতে নেই ধান মজুদ করে রাখার বাঁশ বেত ও কাতা দিয়ে তৈরি গোলাঘর।

    অথচ এক সময় সমাজের নেতৃত্ব নির্ভর করত কার ক’টি ধানের গোলা আছে এই হিসেব কষে। কন্যা পাত্রস্থ করতেও বর পক্ষের বাড়ী ধানের গোলার খবর নিতো কনে পক্ষের লোকজন। যা এখন শুধু কল্পকাহিনী। গ্রাম অঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে বাঁশ দিয়ে গোল আকৃতির তৈরী করা ধানের গোলা বসানো হতো উঁচুতে। গোলার মাথায় থাকত টিনের তৈরী মিশরের পিরামিড আকৃতির টাওয়ার। যা দেখা যেত অনেক দুর থেকে।

    বর্ষার পানি আর ইঁদুর তা স্পর্শ করতে পারত না। মই বেয়ে গেলায় উঠে তাতে ফসল রাখতে হতো। এই সুদৃশ্য গোলা ছিল সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারের ঐতিহ্য। সে সময় ভাদ্র মাসে কাদা পানিতে ধান শুকাতে না পেরে কৃষকরা ভেজা আউশ ধান রেখে দিতো গোলা ভর্তি করে। গোলায় শুকানো ভেজা ধানের চাল হত শক্ত। কিন্তু সম্প্রতি রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও আধুনিক কলের লাঙ্গল যেন উল্টে পাল্টে দিয়েছে গ্রাম অঞ্চলের চালচিত্র।
    গোলায় তোলার মত ধান আর তাদের থাকে না। গোলার পরিবর্তে কৃষকরা ধান রাখা শুরম্ন করে বাঁশের তৈরী ক্ষুদ্রাকৃতি ডোলায়। ধান আবাদের উপকরন কিনতেই কৃষকের বিস্তর টাকা ফুরায়। কৃষকের ধানের গোলা ও ডোলা এখন শহরের বিত্তশালীদের গুদাম ঘরে পরিণত হয়েছে।
    কৃষকের ধান চলে যাচ্ছে একশ্রেণীর অসাধু মুনাফালোভী ফড়িয়া ও আড়ত ব্যবসায়ির দখলে। ইট বালু সিমেন্ট দিয়ে পাকা ইমারত গুদাম ঘরে মজুদ করে রাখা হচ্ছে শহস্রাধিকটন ধান চাল। অনেক ক্ষুদ্র কৃষক বস্তা ও বেরেল ভর্তি করে রাখছে আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে উৎপাদিত ধান চাল। এখন আর দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে আসা গোলা নির্মাণ শ্রমিকদের দেখা মেলে না। গোলা শিল্পের শ্রমিকদের দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অনেকে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন।

    তবে গ্রাম এলাকায় এখনো বাপ-দাদার ঐতিহ্যবাহী গোলা রক্ষায় ধনী শ্রেণীর কৃষকরা বাঁশের তৈরি গোলা ধরে রেখেছেন। রঙ-বে রঙের কারুকার্য খচিত গোল গোলা, চারকোণা গোলা ও ঝুপি গোলার ছিল প্রত্যেক কৃষকের ধান-চাল রাখার এক নিরাপদ মূল্যবান সম্পদ। ছেলে-মেয়ের বিয়ে দেওয়া হতো কৃষি পরিবারে গোলাঘর দেখে। মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত ও ধনাঢ্য চাষিদের বাসাবাড়ির সামনে থাকতো একাধিক গোলাঘর।

    এই সুদৃশ্য গোলা ছিল সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারের ঐতিহ্য। সে সময় ভাদ্র মাসে কাদা পানিতে ধান শুকাতে না পেরে কৃষকরা ভেজা আউশ ধান রেখে দিতো গোলা ভর্তি করে। গোলায় শুকানো ভেজা ধানের চাল হত শক্ত।

    কিন্তু বর্তমানে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও আধুনিক কলের লাঙ্গল যেন উল্টে পাল্টে দিয়েছে গ্রাম অঞ্চলের চালচিত্র। গোলায় তোলার মত ধান আর তাদের থাকে না। গোলার পরিবর্তে কৃষকরা ধান রাখা শুরু করে বাঁশের তৈরী ক্ষুদ্রাকৃতি ডোলায়। ধান আবাদের উপকরন কিনতেই কৃষকের বিস্তর টাকা ফুরায়। কৃষকের ধানের গোলা ও ডোলা এখন শহরের বিত্তশালীদের গুদাম ঘরে পরিনত হয়েছে।

    কৃষকরা জানান, তাদের পূর্ব পুরুষদের গোলাভরা ধান চালে চলতো এলাকার ১০-১৫টি গ্রামের মানুষের জীবন জীবিকা। গোলাভরা ধান ও পুকুর ভরা মাছই ছিল জমিদারি প্রথা ও উচ্চ চাষি পরিবারের ঐতিহ্য। পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া গোলাঘরে ধান চাল ওঠানো-নামানো হতো গরুগাড়িতে করে। এটা এখন কল্পকাহিনীতে পরিণত হয়েছে। একটা গোলা ঘরে গরুগাড়ি প্রবেশ করতে পারে বিশ্বাস করতে নারাজ এই প্রজন্মের মানুষ।

    বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর। আগামী প্রজন্মের কাছে গোলা ঘর একটি স্মৃতিতে পরিণত হবে। আধুনিক গুদাম ঘর ধানচাল রাখার জাগা দখল করছে। ফলে গোলা ঘরের ঐতিহ্য হারাচ্ছে।

    এম.আর/এম.টি