Tag: সবজির বাজারে আগুন

  • চট্টগ্রামে সবজির বাজারে আগুন

    চট্টগ্রামে সবজির বাজারে আগুন

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন হয়ে গেছে। অথচ এখনও লাগামহীন চট্টগ্রামের সবজির বাজার। বিক্রেতাদের মুখে নানা ইঙ্গিতে ভেসে আসছে নির্বাচন প্রসঙ্গ। শীতের ভরা মৌসুম, অথচ চড়া দামেই সবজি কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। প্রায় বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকার ওপরে। ফলে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। তবে সরবরাহ কম হওয়ার পাশাপাশি পরিবহন খরচকে দুষছেন বিক্রেতারা। এ কারণেই সবজির এমন দাম বলে জানিয়েছে তারা।

    শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেট এলাকার কর্ণফুলী কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব দোকানেই শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এখনও দাম কমেনি বাঁধাকপি ও ফুলকপির। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। গোল কিংবা যে কোনো বেগুনের অবস্থা একই, বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা দরে।

    চট্টগ্রামের কাজীর দেউরি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা ও বরবুটির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। কম নেই টমেটুর দামও, এখনও ১২০ টাকায় টমেটু বিক্রি করছেন দোকানিরা।

    রিয়াজউদ্দিন বাজারে আসা গার্মেন্ট শ্রমিক চন্দ্রনাথ বড়ুয়া বলেন, পৌষ শেষে এখন মাঘ মাস চলছে। অথচ সবজির বাজারে আগুন জ্বলছে। কেনা যাচ্ছে না কোনো পণ্যই। এমন পরিস্থিতির লাগাম টানতে কি প্রশাসনের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

    নগরের বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের চিত্রও একই। ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি শসা। করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

    নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় বাজার করতে আসা কামাল উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর সবজির দাম কম থাকে, তাই চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছরের চিত্র উল্টো। শীতের মৌসুম চলছে, কিন্তু সবজির দাম কিছুতেই কমছে না। সব জিনিসের দাম বাড়তি।

    নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার আবু হানিফ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম অনেক বেশি।

  • চট্টগ্রামে উর্ধমুখী সবজির বাজার, ঝাঁজ বেড়েছে কাঁচা মরিচের

    চট্টগ্রামে উর্ধমুখী সবজির বাজার, ঝাঁজ বেড়েছে কাঁচা মরিচের

    রাজীব সেন প্রিন্স : অস্থির হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের সবজির বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে হু হু করে বাড়ছে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম। আলু ও মিস্টি কুমড়া ছাড়া কোনো সবজিই মিলছেনা কেজি ৫০ টাকার নিচে। বাজারে পর্যাপ্ত সবজি থাকলেও দাম না কমা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

    এদিকে বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছেন ক্রেতারা। কাঁচা মরিচের ঝাঁজ বাড়তে বাড়তে তিনগুন দামে ঠেকেছে। ঝাল খেতে চাইলে কেজিতে ৩০০ টাকা দরে কিনতে হবে কাঁচামরিচ।

    চট্টগ্রাম নগরীর কাজিড় দেউরি, রেয়াজউদ্দিন বাজার, চকবাজার ও কর্ণফুলি মার্কেটের কাচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব ধরনের সবজিতে কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা বেড়েছে।

    আলু এবং মিস্টি কুমড়া ছাড়া বেগুন, বরবটি, করলা, শিম, ঢেড়শ ও ঝিঙেসহ প্রায় সব সবজি কিনতে ৫০ টাকার উদ্ধে দাম হাঁকছে বিক্রেতারা।

    পাশাপাশি গত সপ্তাহের তুলনায় চাল, ডাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও উদ্ধমুখী। বাজারে মাছ এবং ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়ে গেছে। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের।

    শুক্রবার (৯ অক্টোবর) কাঁচাবাজারে মিস্টি কুমড়া ও আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৪০-৪৫ টাকা দরে। বরবটি ৮০ থেকে ৯০, বেগুন ৮০, ঢেঁড়স ৮০, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৮০, ঝিঙ্গা ৮০, ছোট কচু ৭০, কাঁচা পেঁপে ৫০, লাউ ৫০, মুলা ৬০, বাঁধাকপি ৭০ এবং ফুলকপি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

    তাছাড়া বাজারে নতুন সবজি হিসেবে ২০০ টাকা কেজি দরে শিম, ১৩০ টাকা দরে টমেটো, শসা, কাঁকরোল, গাজর বিক্রি হচ্ছে কেজি ১০০ টাকা দরে। প্রতি আঁটি লাল শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা। ডাটা শাক ৩০ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা এবং লাউ শাক ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

    সবজি বিক্রেতারা জানান, সবজির সরবরাহ কম থাকায় বাড়তি দামে কিনতে হয় ফলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।

    অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, করোনায় আয় কমেছে সবার। চাকরি গেছে অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে পাড়ি দিয়েছেন। তারপরও অস্বাভাবিকভাবে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। ভবিষ্যতে না খেয়ে মরার উপক্রম হবে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ। আবার ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই সরকারের নজরদারির অভাবকে দায়ী করছেন।

    বাসা থেকে সকালের নাস্তা সেরে হাসিমুখে বাজারে এসেছিলেন গৃহবধু শিল্পী দেব। প্রায় ৫০ মিনিট বাজার ঘুরে এক কেজি লটিয়া মাছ এবং এক কেজি আলু নিয়েই বাড়ি ফিরছেন। কাজিড় দেউরি বাজারের সামনে কথা তিনি এভাবেই জানান।

    আবুল হাসনাথ নামে এক চাকুরীজবির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, একেতো করোনায় অর্থনৈতিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। তার উপর এক কেজি কাঁচা মরিচ যদি তিনশ টাকা কেজিতে কিনতে হয় তখন কার না মাথা ঠিক থাকে?

    তিনি বলেন, সবজির বাজারের প্রতিটি সবজির দাম বাড়তি দেখে ভেবেছিলাম মাছ বা মাংসের বাজার করবো। কিন্তু তারও উপায় নেই।

    বাজারে মাছের দামও বেড়েছে। ৫শ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ৫০০-১ হাজার টাকা, চিংড়ি ৪০০-৬০০ টাকা, পাবদা ৫৫০ টাকা, লইট্যা ১২০-১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০-১৪০ টাকা, রুই ১৫০-২০০ টাকা, কাতলা ২২০-২৫০ টাকা, কোরাল ৬০০ টাকা, কৈ ৪০০ টাকা, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি দরে।

    এছাড়া মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১১৫-১২০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার ২৪০-২৫০ টাকা, সোনালী ২১০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৮০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

    এদিকে নতুন করে আরো এক দফা বেড়েছে চালের দাম। কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা বেড়েছে। তাছাড়া ৯৫-১০০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৫-১০ টাকা ও ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • যশোরে সবজির বাজারে আগুন

    যশোরে সবজির বাজারে আগুন

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি : যশোরে সবজির বাজারে যেন আগুন লেগেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ বাজারে যেতে এক রকম ভয় পাচ্ছেন। দু’ একশ’ টাকা নিয়ে বাজারে যাওয়া যেন বোকামি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রেতাদের বক্তব্য, বাজারে গিয়ে তারা তাদের প্রয়োজনীয় সবজি কিনতে পারছে না। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ার কারণে সবজির দাম বেশি বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।

    গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে। অতি বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়েছে আশঙ্কাজনক ভাবে। যে কারণে চাহিদামতো সবজি আসতে পারছে না বাজারে। তবে অনেক ক্রেতার দাবি, দাম বৃদ্ধি যেন নিত্যদিনের ঘটনা। কোনো জিনিসেরই দর নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

    তাদের বক্তব্য, প্রশাসনের তদারকি না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজি সবজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যা নিয়ে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

    মঙ্গলবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে একশ’ ৮০ থেকে দুশত’ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে একশত’ ৬০ থেকে একশত’ ৭৫ টাকায়। শিম প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে একশত’৫০ থেকে একশত’৬০ টাকা পর্যন্ত। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় একশত’ ৩০ থেকে একশ’ ৪০ টাকা দরে। বেগুন বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। উচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ থকে একশত’ ১০ টাকায় বিক্রি হলেও সাতদিন আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি ঝিঙে ও কুশি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

    গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচকলা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। ফুল কপি বিক্রি হয়েছে একশত’ টাকা প্রতি কেজি। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। শসা ৬০, টমেটো ৮০ ও কচুরলতি ৬০ কেজিতে বিক্রি হয়েছে। লাউ প্রতি পিছ ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকার মধ্যে। পিঁয়াজের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি হালি ডিমে দু’টাকা বৃদ্ধি পেয়ে সাদা ৩২ ও লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

    ক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিনই বাড়ছে সবজির দাম। সকাল-বিকেল সবজির দাম পরিবর্তন হচ্ছে।আড়তদাররা বলেন, চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় বাজারে সবজির দাম বেশি।

    সজীব মহলদার নামে একজন কলেজ শিক্ষক বলেছেন, সবজির দর এভাবে চলতে থাকলে তাদের মতো দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ কীভাবে চলবেন। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    বড় বাজারের সালেহা ভান্ডারের ম্যানেজার আলী আক্তার বলেন, এক শ্রেণির মজুতদারের আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছেবড় বাজারের আব্দুল লতিফ নামে এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, বৃষ্টির কারণে সব সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম