Tag: সভা-সমাবেশ

  • করোনা ভাইরাস : চবিতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

    করোনা ভাইরাস : চবিতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চবি প্রতিনিধি : সারা বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    আজ বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনটি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    ১। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার র‌্যাগ ডে, নবীণ বরণ, সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ জনসমাবেশ ও জনসমাগম সংক্রান্ত কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। (২) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সকল নালা-নর্দমা, বিভিন্ন হলের ক্যান্টিন, কমনরুম, ডাইনিং হল সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ও (৩) প্রত্যেক বিভাগ/ইনিস্টিটিউটে দিনের প্রথম ক্লাসের শুরুতে অন্তত ৫ মিনিট করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ব্রিফিং দিতে হবে।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করি সবাই নিজেদের স্বার্থে নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবেন।

  • আইআইইউসিতে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ

    আইআইইউসিতে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইআইইউসিতে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং সম্পুর্ণরুপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কতৃপক্ষ।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা এগারোটায় ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়াম হলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন এর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেজিস্টার আবুল কাসেম।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর মোস্তফা মনির, ট্রেজারার আবদুল হামিদ, এবং সায়েন্স ফ্যাকাল্টি দেলোয়ার হোসেন।

    লিখিতি বক্তব্যে আবুল কাসেম বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় একটি বহুল নন্দিত এবং সফল উদ্যাগ এর নাম,যা জাতির জন্য ব্যাপক কল্যান বয়ে এনেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেশনজট, অপরাজনীতি ও অপতৎপরতা মুক্ত উচ্চ শিক্ষা প্রদানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ সারাদেশে একটি বিপ্লব সাধন করেছে।

    আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এই বিল্পবে প্রথম সারির অংশীদার। এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করে অল্প সময়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম ও সুখ্যাতি লাভ করে। বিগত ২৫ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজটের শিকার হতে হয়নি। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকেনি। গুণগতমান ও নৈতিকতার সমন্বিত শিক্ষা প্রদানে সুদৃঢ় থাকায় আমরা কেবল সামনের দিকে অগ্রসর হয়েছি।

    সাম্প্রতিক সময়ে এই সামনে চলায় হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। আমাদের সন্তানতুল্য কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ছাত্রসুলভ নয় এমন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট নানা অনৈতিক, অযৌক্তিক, অবৈধ ও অন্যায় দাবীর অভিযোগ আসতে থাকে।

    এসকল দাবীর মাঝে রয়েছে-ফেল করা ছাত্রকে পাশ করিয়ে দেয়া, বিরাট অংকের বকেয়া টাকা মওকুফ করে দেয়া, নকলের অভিযোগে অভিযুক্তকে শাস্তির আওতামুক্ত করা, বকেয়া পরিশোধ না করে সনদপত্র উত্তোলন করতে চাওয়া, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিকট চাঁদা দাবী করা এবং পরীক্ষার হলে অনৈতিক সুবিধা দাবী করা ইত্যাদি।

    কিন্ত নিয়মের পরিপন্থী এ সকল দাবী পুরণ করা সম্ভব না হলে তারা মুক্তিযুদ্বের স্মৃতিবাহী এবং দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের নামে পেশী শক্তির মাধ্যমে দাবী আদায়ে অন্যায্য চাপ দিতে থাকে। একই সাথে তাদের কর্মকাণ্ডে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অনেক নজির ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান হয়।

    এর মধ্যে রয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে শিক্ষকবৃন্দের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম নির্যাতন, পিতৃতুল্য শিক্ষকবৃন্দকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হেনস্থা করা, হুমকি দেয়া, অফিস কক্ষ ভাংচুর করা, শিক্ষকদের বাসভবনে বিশৃঙ্লা করা।

    এছাড়া রেজিস্ট্রেশনবিহীন অবৈধ অবস্থান, বহিরাগতদের আশ্রয় প্রদান, হল প্রশাসনের সাথে অসহযোগীতা ও অসৌজন্যমূলক আচরণ, ডাইনিং এ ফ্রি খাওয়া, ডাইনিং ম্যানেজারের নিকট হতে জোরপূর্বক টাকা ছিনতাই ইত্যাদি।

    এছাড়া র‌্যাগিং এর নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং নেশাজাতীয় দ্রব্যের বহুল ব্যবহারের মতো গুরুতর অভিযোগ ও রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ জানুয়ারী হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থীর উপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এই হৃদয় বিদারক ঘটনার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করে এবং তারা ক্লাস ছেড়ে প্রতিবাদে যোগ দেন।

    যার পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ শে জানুয়ারী জরুরী সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ এবং শ্রেণী কার্যক্রম অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

    বিগত ৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি বক্তব্য উল্লেখ করেন, ” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসর ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চাইলে সরকার তাতে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না ” প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের আলোকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ধারা ১৮ এবং ধারা ৩৭ অনুযায়ী বিগত ২২৯ তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সুষ্ঠু ও সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সোমবার হতে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে র‌্যাগিং ও সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে।

    আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জ্ঞানের চর্চা করুক ও প্রতিভার বিকাশ ঘটাক। আমাদের পরম স্নেহের সন্তানতুল্য ছাত্ররা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষায় জ্ঞানমখি হবে। ছাত্র হিসেবে মানানসই নয় এমন কর্মকাণ্ডে নিজেদের ব্যস্ত না করে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মহারথীদের কাতারে নিজেদের সামিল করতে প্রতিটি মুহূর্তকে ব্যবহার করবে।

  • সভা-সমাবেশ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না : তথ্যমন্ত্রী

    সভা-সমাবেশ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সভা-সমাবেশ করে বগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না, বরং বিএনপির এই দাবিতে সমাবেশ আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।

    আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

    বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি’র শনিবারের সমাবেশ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির দায়ে আদালতের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে কেবল আদালতে জামিন বা খালাস পাওয়া ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির অন্য কোন পথ নেই।’

    মন্ত্রী এসময় পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফ ও ভারতের জয়রাম জয়ললিতার বিচারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও তাদের গ্রেফতার ও বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় নেয়া হয়েছে। জয়ললিতার গ্রেফতার ও মৃত্যুর পর অনেক ভক্ত জীবন দিয়েছেন কিন্তু তার দল কখনো আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমাবেশ বা আন্দোলন করেনি।

    ‘বিএনপি’র মেশিন বেচার ইতিহাস রয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তাদের আমলে আদমজী পাটকলসহ দেশের বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ করে সেখানকার মেশিনপত্র কেজি দরে বেচে দিয়েছিল বলেই তাদের নেতা খসরু সাহেব আজ নির্বাচনে হেরে ইভিএমগুলো কেজি দরে বেচার কথা বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।’

    সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় খাতে জমা রাখার বিধানের বিরুদ্ধে বিএনপিনেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনাকে অযৌক্তিক বলে বর্ণনা করা ড. হাছান বলেন, ‘কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে রাখা হতো, যার হিসাব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিবেদনে সময়ে সময়ে অপ্রদর্শিত থাকায় তা অর্থনীতিতে যুক্তও হতো না।’

    ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ মেটানো ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ রেখেই উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় খাতে জমা রাখা দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলের। এবিষয়টি না বুঝে বা বুঝেও মূর্খের মতো সমালোচনা করলে তারা নিজেরা লজ্জা না পেলেও আমরা লজ্জা পাই। এটি না করার অনুরোধ জানাবো।’

    সভার শুরুতে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ সমাগত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হলে ঘুমন্ত বাঙালি জাগ্রত হতো না, বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীনই করেননি, দেশের ভেতরে এক কোটি গৃহহারা ও ভারতে আশ্রিত প্রায় আরো এক কোটি মানুষকে পুণর্বাসিত করেছেন।পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে যাওয়া যাওয়া ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছেন। আর তার মৃত্যুর পর দেশ যে দুর্নীতি-দুঃশাসনে পিছিয়ে পড়েছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে দেশকে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন। সমস্ত সূচকে আজ আমরা পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। গত ১১ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার বিশ্বে সর্বোচ্চ।’

    ‘দেশের এই উন্নয়ন যারা সহ্য করতে পারেনা, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে তারা যে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে, তা থেকে সমগ্র জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সারাহ বেগম কবরী’র সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক কণ্ঠশিল্পী মো. রফিকুল আলম প্রমুখ।