Tag: সমাবর্তন

  • সীতাকুণ্ডের কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন রোববার

    সীতাকুণ্ডের কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন রোববার

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ আগামী রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সীতাকুণ্ডর কুমিরাস্থ চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    উক্ত সমবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৬ সালের বসন্ত সেমিস্টার থেকে ২০২০ সালের শরৎ সেমিস্টার পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ৩৬১ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রী প্রদান করা হবে। এতে প্রায় ২ হাজার ১৪০ জন গ্র্যাজুয়েট সরাসরি সমাবর্তনে অংশ নিয়ে সনদ গ্রহণ করবেন। যার মধ্যে ২৯ জন উপাচার্য গোল্ড মেডেল ও ১৩৭ জন উপ-উপাচার্য গোল্ড মেডেলের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. বিশ্বজিত চন্দ, সমাবর্তন বক্তৃতা প্রদান করবেন প্রকৌশলী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, ইমেরিটাস অধ্যাপক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাষ্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দীন নদভী এমপি। এই সমাবর্তন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সাজসজ্জা ও সড়ক সংস্কারের কাজ হয়েছে। তাছাড়া নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, ১৯৯৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বিগত ২৬ বছরে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। ২০২১ সালের ৮ মার্চে ট্রাষ্টিজ বোর্ড পুনর্গঠনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাচ্ছে।

  • মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: কুবিতে রাষ্ট্রপতি

    মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: কুবিতে রাষ্ট্রপতি

    তাসফিক আব্দুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ৷ পুরো বাংলাদেশ আজ মাদক-ইয়াবায় সয়লাব হয়ে যাচ্ছে এবং এতে দেশের তরুণেরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তিনি গ্র্যাজুয়েট ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

    সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টা থেকে শুরু হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিষেক সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা। রাষ্ট্রপতির আগমনের সাথে সাথে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠে গ্র্যাজুয়েটরা।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশে মাদক ঢোকার একটি অন্যতম রুট হচ্ছে কুমিল্লা। আমি অত্যন্ত ব্যথিত যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় এই মাদকের বিস্তার সবচাইতে বেশি। মাদকের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব সেরা অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সমাবর্তন বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের যেসব প্রতিকূলতা আছে আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের তালে সেগুলো মানিয়ে নিতে হবে। ব্রিটেনের অনেক গ্রামে ব্রডব্যান্ড নাই। সেই তুলনায় আমাদের গ্রামগঞ্জে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। আমরা আশাবাদী ২০২৪ সালের মধ্যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংকে পিছিয়ে অর্থনীতিতে এগিয়ে যাবো।’

    এছাড়াও সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

    শিক্ষা উপমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে সফল হতে হলে হাতেকলমে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় আবদ্ধ থাকলেই চলবেনা নিতে হবে ব্যবহারিক শিক্ষাও। কেউ ব্যবসা প্রশাসন পড়লে তাকে পাশাপাশি প্রযুক্তির জ্ঞানটাও অর্জন করতে হবে।’

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে আপ্লুত এখানে এসে যে এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন। সকল গ্র্যাজুয়েটদের তাদের কর্মক্ষেত্রে অর্জিত শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে। আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে আপনারাই এগিয়ে আসবেন প্রত্যাশা করি। আপনাদেরকে সঠিক কাজটি করতে হবে।’

    সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন আয়োজিত হচ্ছে। উপাচার্য হিসেবে আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজ যারা চূড়ান্ত সনদ পাচ্ছো তারা ভবিষ্যতে সফল হলেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলতা।’

    বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মহামান্য রাষ্টপতির ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন।

    শিক্ষার্থীদের সনদ প্রাপ্তি উদযাপনে সন্ধ্যার পর আয়োজিত হবে কনসার্ট। যেখানে উপস্থিত থাকবেন নগর বাউল জেমস।

  • সমাবর্তনকে ঘিরে কুবি ক্যাম্পাসে খুশির আমেজ

    সমাবর্তনকে ঘিরে কুবি ক্যাম্পাসে খুশির আমেজ

    তাসফিক আব্দুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি: “কেমন আছো? অনেক দিন পরে দেখা তোমার সাথে”
    “জ্বি ভাই,ভাল আছি, আপনি কেমন আছেন?”
    “আমিও ভাল আছি। চল, তোমার সাথে এক কাপ চা খেতে খেতে গল্প করা যাক” এভাবেই সিনিয়র- জুনিয়র,বন্ধু-বান্ধবের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

    প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৪ বছর পর আগামী সোমবার(২৭ জানুয়ারি) অভিষেক সমাবর্তন আয়োজন করতে যাচ্ছে লাল মাটির বিশ্ববিদ্যালয়টি। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে বিরাজ করছে সাজ সাজ বর। চারিদিকে গ্র্যাজুয়েটদের আনাগোনা।জোরকদমে চলছে সমাবর্তনের প্রস্তুতি। অনুষ্ঠান সফল করতে উপাচার্য,শিক্ষক সকলে বদ্ধপরিকর।

    পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে এখন একটায় কথা সমাবর্তন! সমাবর্তন!!সমাবর্তন!!!লাল মাটির প্রতিটি ধূলিকণায় এখন উৎসবের আমেজ। সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে লাল মাটির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। তাঁদের কেউ কেউ সাথে এনেছে পিতা মাতা, কেউবা স্বামী- সন্তান নিয়ে হারিয়ে গেছে স্মৃতির পাতায়। কেমন ছিল সেই দিনগুলো!

    সমাবর্তনের ছুঁয়া লেগেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায়ও।ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে চারপাশটা । রাতের বেলা দেখা যায় বাহারি রঙের বাতি। গান,গল্প আড্ডায় জমজমাট হয়ে আছে পুরো ক্যাম্পাস।সমাবর্তনের পোশাক, গাউন, টুপি, পড়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তুলে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে চায় প্রতিটি মুহূর্ত। ক্যাম্পাসের প্রতি ইটে জড়িয়ে আছে কতো স্মৃতি! কত না বলা কথা! প্রতিটি বিভাগে চলছে সাবেক শিক্ষার্থী আর শিক্ষকদের কুশল বিনিময়।

    সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে থাকছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকছেন আইসিসির সাবেক সভাপতি ও গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।

    সমাবর্তনে আগত গ্র্যাজুয়েটদের এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্তক দৃষ্টি রাখছে। আমন্ত্রণ পত্র ব্যতীত কাউকে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    লোক প্রশাসন,সপ্তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী এ কে আযাদ বলেন, “সমাবর্তনের দিন প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর জীবনে অত্যন্ত আনন্দের একটা দিন। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতির নিকট থেকে সনদগ্রহন এটি প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্য অনুপ্রেরনা। আর এই দিনটিতে বাবা-মা,শিক্ষক,বড় ভাই ও বন্ধুদের সাথে মিলনমেলায় উৎসবের পরিপূর্নতা পায়। মনে হয় যেনো সেই প্রাণের ক্যাম্পাসে আগের মতই হাঁসি আনন্দে মেতে উঠে নিজেদের মধ্যে সকল ব্যর্থতা,গ্লানি ভুলে নিজেকে নতুনভাবে ফিরে পাওয়া কাজ করে।”

    ইংরেজি বিভাগের ৮ম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী সুজানা শিলান্তি জানান,” সমাবর্তন সকল ছাত্রছাত্রীর জন্য একটি স্বপ্নের ব্যাপার।আর সেটা যদি হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন তখন আনন্দের মাত্রাটার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। এই ইতিহাসের অংশ হতে পেরে নিজেকে অনেকটা ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। সকল অনিয়ম, অভিযোগ ছাপিয়ে প্রাণের কুবির ১ম সমাবর্তন সফল হোক।”

    সমাবর্তনে ৬টি অনুষদের মোট ৫ হাজার ৬৪৮ জন শিক্ষার্থীকে মূল সনদ প্রদান করা হলেও ২ হাজার ৮৮৮ জন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী সমাবর্তনে নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে স্নাতক ডিগ্রিধারী ১ হাজার ২২৩ জন এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ১ হাজার ৬৬৫ জনের অংশগ্রহণে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিষেক সমাবর্তন সোমবার

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিষেক সমাবর্তন সোমবার

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে সোমবার (২৭ জানুয়ারি)।

    বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ২৮৮৮ শিক্ষার্থী এ সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবেন। এতে রাষ্ট্রপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

    এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ডিগ্রিধারীদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদান করবেন।

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, সমাবর্তনে ৬টি অনুষদের মোট ৫ হাজার ৬৪৮জন শিক্ষার্থীকে মূল সনদ প্রদান করা হবে। এরমধ্যে স্নাতক পর্যায়ের ৩ হাজার ৫৬১জন ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২ হাজার ৮৭ জন। বিজ্ঞান অনুষদে মোট ১ হাজার ২জন (স্নাতক: ৬৬১ জন, স্নাতকোত্তর: ৩৪১ জন); কলা ও মানবিক অনুষদে মোট ৮৬৩ জন (স্নাতক: ৫২৮ জন, স্নাতকোত্তর: ৩৩৫ জন); সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে মোট ১ হাজার ৪০৫ জন (স্নাতক: ৮৭৬ জন, স্নাতকোত্তর: ৫২৯ জন); বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে মোট ১ হাজার ৯৩৮ জন (স্নাতক: ১ হাজার ১৬৭ জন, স্নাতকোত্তর: ৭৭১ জন); প্রকৌশল অনুষদে মোট ৪৪০ জন (স্নাতক: ৩২৯ জন, স্নাতকোত্তর: ১১১ জন)। আইন অনুষদভুক্ত আইন বিভাগ থেকে এখনো কোন শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করেনি। সমাবর্তনে অংশগ্রহনে মোট ২ হাজার ৮৮৮ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন।

    সমাবর্তনস্থলে আগতদের আমন্ত্রণপত্রটি অব্যশই সঙ্গে আনতে হবে। ডিগ্রিধারীদের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোন, হ্যান্ডব্যাগ, ক্যামেরা, পানির বোতল বা অন্যকোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করা যাবেনা। সমাবর্তনস্থলে শুধুমাত্র নিবন্ধিত ডিগ্রিধারী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ প্রবেশ করতে পারবেন। ডিগ্রিধারীদের সাথে আগত অভিভাবক ও সন্তানেরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রশাসনিক ভবন ও অ্যাকাডেমিক ভবনসমূহে অবস্থান করতে পারবেন।

    সূচী অনুযায়ী সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী ডিগ্রিধারীদের সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে আসন গ্রহণ করতে হবে। আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে বিকেল আড়াইটার মধ্যে সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করতে হবে। দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে শোভাযাত্রার মাধ্যমে সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলরের আগমনের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে। ৩টা ৯মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সমাবর্তন উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে কুবি উপাচার্য, ইউজিসি চেয়ারম্যান, শিক্ষা উপমন্ত্রী, সমাবর্তন বক্তা ও সবশেষে সভাপতির ভাষণ প্রদান করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরমধ্যে রাষ্ট্রপতি ডিগ্রি এবং স্বর্ণপদক প্রদান করবেন। বিকেল ৪টা ৩মিনিটে সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

    উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, সমাবর্তনের আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা উপকমিটি গঠন করেছি। প্রতিটি কমিটি সমাবর্তনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে দিনভর কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি একটি সফল সমাবর্তন উপহার দিতে পারব।

  • সব জল্পনা কল্পনার অবসান; অর্থমন্ত্রীই কুবির সমার্বতন বক্তা

    সব জল্পনা কল্পনার অবসান; অর্থমন্ত্রীই কুবির সমার্বতন বক্তা

    তাসফিক আব্দুল্লাহ : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রথম সমাবর্তনের বক্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মহলে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে আসছেন আইসিসির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপি। এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের।

    সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারকালে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।

    এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, সমাবর্তনের বক্তা হিসেবে আসছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তাফা কামাল। উনাকে আমরা আনতে পারছি এজন্য আমরা খুবই গর্বিত। সম্প্রতি উনাকে গ্লোবাল ফিন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ওয়ার্ল্ডে ভূষিত করা হয়েছে। উনি হচ্ছেন বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব। উনাকে সমাবর্তনে আনতে পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার।

    এছাড়াও তিনি বলেন, সমাবর্তনে মাননীয় রাষ্ট্রপতি আসবেন। তাই খুবই গুরুত্বসহকারে সকল কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন খুব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।

    উল্লেখ্য, আগামী ২৭ জানুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবর্তনে দুই হাজার আটশত পঁয়ত্রিশ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

  • ইভিনিং কোর্স পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে : রাষ্ট্রপতি

    ইভিনিং কোর্স পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করছে : রাষ্ট্রপতি

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চালু হওয়া বিভিন্ন ইভিনিং কোর্সের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, একশ্রেণীর শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন, যাতে সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।

    রাষ্ট্রপতি আজ বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বলেন, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ডিপার্টমেন্ট কোর্স, ইভিনিং কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স ও ইনস্টিটিউটের ছড়াছড়ি। নিয়মিত কোর্স ছাড়াও এসব বাণিজ্যিক কোর্সের মাধ্যমে প্রতি বছর হাজার হাজার গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে। এসব ডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষার্থীরা কতটুকু লাভবান হচ্ছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলেও একশ্রেণীর শিক্ষক ঠিকই লাভবান হচ্ছেন। তারা নিয়মিত নগদ সুবিধা পাচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করছেন।

    রাষ্ট্রপতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন দিনে সরকারি ও রাতে বেসরকারি চরিত্র ধারণ করে। বিশ্ববিদ্যালয় সন্ধ্যায় মেলায় পরিণত হয়। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, কিছু শিক্ষক আছেন যারা নিয়মিত কোর্সের ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন। কিন্তু ইভিনিং কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে তারা খুবই সিরিয়াস। কারণ, এগুলোতে নগদ প্রাপ্তি থাকে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত মূল সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে রাষ্ট্রপতি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, মনে রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয় চলে জনগণের টাকায়। সুতরাং এর জবাবদিহিও জনগণের কাছে।

    রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সান্ধ্য কোর্সগুলো পুনর্বিচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি এই সান্ধ্য কোর্স পদ্ধতি পছন্দ করতে পারি না। সন্ধ্যার পর শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে না।’

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলার রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাইস-চ্যান্সেলার ও শিক্ষকদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা পয়সা সততার সঙ্গে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

    উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অভিভাবক ও একাডেমিক লিডার অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, কোনো কোনো উপাচার্য ও শিক্ষকের কর্মকান্ড দেখলে মনে হয় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসল কাজ কি- তা ভুলে গেছেন। অনেক শিক্ষক প্রশাসনিক পদ-পদবি পেয়ে নিজে যে একজন শিক্ষক সে পরিচয় ভুলে যান।

    গবেষণা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এখন গবেষণার মান নিয়েও নানা কথা ওঠে। অনেক বিভাগেই অন্যান্য পদের শিক্ষকের চেয়ে অধ্যাপকের সংখ্যা বেশি।

    রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে গবেষণা মৌলিক, নাকি কেবল পদোন্নতির জন্য একটি গবেষণা তা বিবেচনায় নেয়ার নির্দেশ দেন।

    সম্প্রতি দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া অমানবিক ও অনভিপ্রেত ঘটনার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, একে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষার্থীদের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।

  • সুখি-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে শিক্ষিত তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে-রাষ্ট্রপতি

    সুখি-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে শিক্ষিত তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে-রাষ্ট্রপতি

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে একটি তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছেন।

    এ রূপকল্প বাস্তবায়নে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এরই মধ্যে আমরা স্বল্প মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার মধ্য দিয়ে উন্নয়নের রূপকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছি। আজকের শিক্ষিত তরুণরাই এ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

    আজ ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

    রাষ্ট্রপতি কৃতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনবহুল এ দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে প্রয়োজন পরিকল্পিত উপায়ে বিদ্যমান সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার। প্রকৌশলীগণ উন্নয়নের কারিগর। তাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীল চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসে টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা। তাই প্রকৌশলীদের চিন্তা ও চেতনায় থাকবে দূরদৃষ্টির সুস্পষ্ট প্রতিফলন।

    আগামী ২০৫০ সালে বা ২১০০ সালে বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমন হওয়া উচিত বা বাংলাদেশের অবস্থান কোন্ স্তরে পৌঁছাবে তা বিবেচনায় রেখেই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকেও যথাযথভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।

    বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা আজ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের আত্ম-মর্যাদা সমুন্নত রাখতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে। আমি আশা করি, আজকের নবীন প্রকৌশলীরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উপলব্ধি করবে এবং তাদের সৃজনশীল চিন্তা ও লব্ধ জ্ঞানকে এ লক্ষ্যে কাজে লাগাবে।

    নবীন গ্রাজুয়েটবৃন্দের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক; একইসাথে তা স্নাতকদের জন্যও একটি স্মরণীয় দিন। জীবন চলার পথে তোমরা আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ সোপান অতিক্রম করলে। জীবনের আসল সংগ্রাম এখন থেকে শুরু হবে। আজকের এ সনদ প্রাপ্তি সেই সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার স্বীকৃতি পত্র। এ সনদের সম্মান তোমাদের রাখতে হবে।

    মনে রাখতে হবে, তোমাদের এ অর্জনে দেশের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। তোমরা তোমাদের সেবা, সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম দিয়ে এ সনদের মান সমুজ্জ্বল রাখবে। কর্মক্ষেত্রে তোমরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাক না কেন; মাতৃভূমি এবং এ দেশের জনগণের কথা কখনো ভুলবে না। অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত করবে না। তোমাদেরকে এ পর্যায়ে আসতে দেশবাসী যে সহায়তা করেছে তোমরা তোমাদের মেধা, মনন ও কর্মের মাধ্যমে তা পরিশোধ করবে। আমি তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। তোমরা বড় হও এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখ।

    এতে সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.কে. আজাদ চৌধুরী বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক সামাজিক সূচকের অগ্রগতি সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও বাংলাদেশের সাফল্য সারা বিশ্বে প্রসংশিত হয়েছে। আর এই ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির পিছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন যে সব তরূণ প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদ যাদের অনেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। আমার বিশ্বাস জাতিসংঘ ঘোষিত টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (ঝউএ) অর্জনেও তোমরা বিশ্বে প্রসংশনীয় ভূমিকা রাখবে।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।

    অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আকতার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াছ হোসেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগসহ অন্যান্য অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।

    এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গত চার বছরের সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৪ জনকে “বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক” প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ই.এম.কে. ইকবাল আহমেদ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়া আবসার, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্চয় বড়–য়া এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ রাশেদুর রহমান। এছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২ হাজার ১৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট এবং ৮৩ জন পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটসহ মোট প্রায় ২ হাজার ২৩১ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সমাবর্তন ডিগ্রী প্রদান করা হয়।

  • চুয়েটের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ রাউজান আসছেন রাষ্ট্রপতি

    চুয়েটের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ রাউজান আসছেন রাষ্ট্রপতি

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠান আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে।

    রাষ্ট্রপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মোঃ আবদুল হামিদ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.কে. আজাদ চৌধুরী।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এম.পি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

    সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

    সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গত চার বছরের সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৪ জনকে “বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক” প্রদানসহ ২ হাজার ১৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট এবং ৮৩ জন পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটসহ মোট প্রায় ২ হাজার ২৩১ জন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সমাবর্তন ডিগ্রী প্রদান করা হবে।