Tag: সম্পাদক

  • হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলেন প্রথম আলো সম্পাদক

    হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলেন প্রথম আলো সম্পাদক

    স্বাধীনতা দিবসে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। রবিবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।

    এর আগে বুধবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাতে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। রাজধানীর রমনা থানায় করা এই মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়েছে।

    এছাড়া আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

    মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ আনেন আব্দুল মালেক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি করা হয়।

    প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন।

  • অনেকেই টাকার জোরে রাতারাতি সম্পাদক হয়েছেন-পিআইবি ডিজি জাফর ওয়াজেদ

    অনেকেই টাকার জোরে রাতারাতি সম্পাদক হয়েছেন-পিআইবি ডিজি জাফর ওয়াজেদ

    ২৪ ঘণ্টা, গণমাধ্যম ডেস্ক : প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, টাকা থাকলেই সম্পাদক হওয়া যায় না। সম্পাদক হতে যোগ্যতা লাগে।

    অনেকেই টাকার জোরে রাতারাতি সম্পাদক হয়েছেন, যারা সম্পাদক হয়েছেন তাদের বেশির ভাগই যোগ্যতা নেই। উনারা নিজেদের সুবিধার জন্য সংবাদপত্রকে ব্যবহার করছেন।

    আজ রবিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রংপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবির তিন দিনব্যাপী অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    রংপুরে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়াতে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবি।

    প্রথম দিনে অনুসন্ধানী রিপোর্টিংয়ের সমস্যা, সম্ভাবনা, করণীয়, অনুসরণীয় বিষয়সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে তথ্যমূলক আলোচনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে।

    প্রশিক্ষণের আনুষ্ঠানিকতা পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রংপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি রশীদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক সরকার।

    প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সভা প্রধান হিসেবে পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশে সরকারিভাবে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না। পিআইবি দেশের সবখানে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ সাংবাদিক গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।

    তিনি বলেন, পত্রিকা বা মিডিয়া যত বেশি অনুসন্ধানী রিপোর্টিং করতে পারবে, তাদের ততবেশি পাঠক সৃষ্টি হবে। অজানা তথ্য যা কেউ প্রকাশ করতে চায় না, সেই রহস্যের গভীরে ঢুকে অনুসন্ধান করে তথ্য উন্মোচন করা যায়- এমন অনুসন্ধানমূলক রিপোর্ট করতে হবে।

    সরকার সাংবাদিকদের জীবনমানের উন্নয়নের সঙ্গে পেশাগত উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও মন্তব্য করে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত সাংবাদিক খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল সম্পাদিত রংপুর অঞ্চল থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক রণাঙ্গন পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    তিনি বলেন, ডিসেম্বরে বাঙলা মুক্ত এ শিরোনামে প্রকাশিত রণাঙ্গনের ওই সংবাদ ছিল অনুসন্ধানী; যা অন্য কেউ করতে পারেনি। এ সংবাদ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া বাঙালিদের মনে সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • বিডিনিউজ সম্পাদকের জামিন স্থগিত চেয়েছে দুদক

    বিডিনিউজ সম্পাদকের জামিন স্থগিত চেয়েছে দুদক

    দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে হাইকোর্টের দেওয়া আট সপ্তাহের আগাম জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে দুদক।

    দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের চেম্বার আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

    এর আগে বিডিনিউজ সম্পাদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু ও আইনজীবী মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

    গত ২৬ আগস্ট দুদকের মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।

    দুদকের করা মামলায় তৌফিক ইমরোজ খালিদী ওই দিন হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন। অসাধু উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ গত ৩০ জুলাই মামলা করা হয়।

    মামলার এজাহারে বলা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস নেই।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঈদ বোনাসের দাবিতে আজাদী সম্পাদকের বাসা ঘেরাও

    ঈদ বোনাসের দাবিতে আজাদী সম্পাদকের বাসা ঘেরাও

    পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাসের দাবিতে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক’র বাসভবন ঘেরাও করেছে সাংবাদিকরা।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন’র (সিইউজে) ডাকে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নগরীর ঘাটফরহাদবেগে অবস্থিত দৈনিক আজাদী সম্পাদকের বাসভবনটি ঘেরাও করে রাখা হয়।

    কর্মসূচিতে অংশ নেয় চট্টগামের অর্ধশতাধিক সাংবাদিক। এসময় আগামী বৃহষ্পতিবারের মধ্যে দৈনিক আজাদীতে কর্মরত সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ বোনাস পরিশোধ না করলে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান সিইউজে নেতারা।

    সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমদ, সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, সিইউজে’র নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ মহরম হোসাইন, প্রতিনিধি ইউনিটের প্রধান সাইদুল ইসলাম, টিভি ইউনিটের প্রধান মাসুদুল হক, প্রতিনিধি ইউনিটের ডেপুটি চিফ সোহেল সরওয়ার, টিভি ইউনিটের ডেপুটি চিফ তৌহিদুল ইসলাম, সিইউজে সদস্য বিশু রায় চৌধুরী, আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল, সুবল বড়ুয়া ও সফিকুল ইসলাম।

    সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সাংবাদিকদের ঘামে-শ্রমে ৬০ বছর ধরে সুনামের সাথে টিকে আছে দৈনিক আজাদী পত্রিকা। কিন্তু যাদের কারণে আজাদীর সুনাম সেসব সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে। করোনা সংকটে সারাবিশ্ব যখন মানবিক হচ্ছে, তখন কর্মীদের দুই ঈদে পূর্ণাঙ্গ বোনাস থেকে বঞ্চিত করে নিজেদের অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে আজাদীর মালিকপক্ষ।

    তিনি বলেন, আজাদীর মালিক হয়তো মনে করেছেন ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আযহাতেও পূর্ণ বোনাস না দিয়ে পার পাবেন। কিন্তু চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন এ ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। যদি আগামী বৃহষ্পতিবারের মধ্যে সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ বোনাস পরিশোধ করা না হয় তবে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি পালন করবে সিইউজে।

    সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, যারা রাস্তাঘাটে মানবিকতার বুলি আওড়ান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে দান খয়রাত করে সুনাম অর্জনে ব্যস্ত তারাই আবার নিজেদের প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের ন্যায্য পাওনা আদায় করছে না। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সাংবাদিক পাওনা আদায়ে নিরুৎসাহিত করছে। তাদের এই ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার জন্য সাংবাদিক ইউনিয়ন প্রস্তুত।

    সিইউজে’র সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সব আন্দোলনে সাংবাদিকরা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। কোন মালিক যদি মনে করেন হয়রানি করে পার পেয়ে যাবেন তবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

    ঘেরাও কর্মসূচিতে দৈনিক পূর্বদেশ ইউনিটের ডেপুটি চিফ সাইমন চুমুক, সিইউজে সদস্য মোস্তফা ইউসুফ, মিয়া আলতাফ, সরওয়ার কামাল, রায়হান উদ্দিন, কমল রুদ্র, নয়ন চক্রবর্তী, মুহাম্মদ পারভেজ, ইমরান বিন সবুর, মোহাম্মদ মিনহাজ, আল আমিন সিকদার, কাউসার আলম, মুহাম্মদ মনসুরসহ চট্টগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভির সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

    পূর্ণাঙ্গ বোনাসের দাবিতে বৃহষ্পতিবার বেলা ১১টায় দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক এবং বেলা ৩টায় দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদকের বাসভবন ঘেরাও করবে সিইউজে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রথম আলো সম্পাদককে চার সপ্তাহের আগাম জামিন

    প্রথম আলো সম্পাদককে চার সপ্তাহের আগাম জামিন

    ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ‌্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার সপ্তাহের আগাম জামিন পেলেন প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান।

    বাকি পাঁচজনকে পুলিশ রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

    আজ সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    এর আগে আজ সকালে আগাম জামিন নিতে হাইকোর্টে যান প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ছয়জন। বেলা সাড়ে ১১টার পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
    আদালতে আসামি পক্ষে ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম ও রাষ্টপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির শুনানি করেছেন।

    এ মামলায় পরোয়ানা জারি হওয়া অন‌্য আসামিরা হলেন- আনিসুল হক, কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামাণিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।

    গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলামের আদালত মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

    এরপর শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মতিউর রহমানসহ ছয় জন আগাম জামিন আবেদন করেন। এতে মতিউর রহমানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হলেও বাকি পাঁচজনকে পুলিশ রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

  • সেলিম জাতীয় ছাত্র সমাজের সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

    সেলিম জাতীয় ছাত্র সমাজের সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক : জাতীয় ছাত্র সমাজ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নগর জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।

    জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ইয়াকুব হোসেন সহ নগর জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ, নগর যুব সংহতির নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতৃবৃন্দ , মহিলা পার্টির নেতৃবৃন্দ ও জাতীয় ছাত্র সমাজ চট্টগ্রাম মহানগরের নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতিতে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

    এছাড়াও নেতৃবৃন্দ ছাত্র সমাজের কমিটিতে চট্টগ্রাম মহানগরসহ সারাদেশের যোগ্য, দক্ষ ও ছাত্রদের দিয়ে নতুন কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি ও মহাসচিব জনাব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে ধন্যবাদ জানান।

  • জন্মলগ্ন থেকে আ’লীগের সভাপতি-সম্পাদক ছিলেন যাঁরা

    জন্মলগ্ন থেকে আ’লীগের সভাপতি-সম্পাদক ছিলেন যাঁরা

    বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন দল আওয়ামী লীগ। এদেশের যত অর্জন, আন্দোলন সংগ্রাম আর ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে জড়িয়ে আছে দলটির নাম। অসাম্প্রদায়িক আর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যুগে যুগে বহু নেতা তৈরি হয়েছেন এই দলে। তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা এসব নেতাকে ধীরে ধীরে দল পরিচালনায় অন্তর্ভুক্ত করে সফল হয়েছে আওয়ামী লীগও।

    প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০টি জাতীয় সম্মেলন হয়েছে আওয়ামী লীগের। আর শুক্রবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ২১তম জাতীয় সম্মেলনের। অতীতের সম্মেলনগুলোতে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে কার্যনির্বাহী কমিটি পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছেন শত শত নেতা।

    তবে এখন পর্যন্ত সভাপতি হয়েছেন সাতজন। এর মধ্যে বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ আটবার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তিনবার করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ দুইবার এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও আবদুল মালেক উকিল একবার করে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আর সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন একবার নির্বাচিত হয়েছেন দলের আহ্বায়ক।

    এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ১০ জন। সবচেয়ে বেশি চারবার করে হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিল্লুর রহমান। এছাড়া তাজউদ্দিন আহমেদ তিনবার, আবদুর রাজ্জাক ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দুইবার করে, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, আবদুল জলিল এবং ওবায়দুল কাদের একবার করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে জন্ম নেয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরে ১৯৫৫ সালের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সব ধর্ম, বর্ণের প্রতিনিধি হিসেবে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয় আওয়ামী লীগ।

    শুরু থেকেই মাঠ পর্যায় থেকে উঠে আসা নেতারা নেতৃত্ব দিয়েছেন দলটিতে। প্রভাবশালী বা অভিজাত হিসেবে পরিচিতরা সেভাবে আসেননি এই দলে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত দলটির ২০ টি নিয়মিত জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মাধ্যমে দলটিতে এসেছে নতুন মুখ।

    পাকিস্তান আমল : আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে প্রথম জাতীয় সম্মেলনে প্রতিনিধি ছিল প্রায় ৩০০ জন। উদ্বোধনী ভাষণ দেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। পরে প্রতিনিধিদের সমর্থনে ৪০ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন শেখ মুজিবুর রহমান।

    ১৯৫৩ সালের ৩ থেকে ৫ জুলাই মুকুল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সম্মেলন। এই সম্মেলনেও সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা ভাসানী। আর দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদটি পান শেখ মুজিবুর রহমান।

    ১৯৫৫ সালের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর রূপমহল সিনেমা হলে তৃতীয় সম্মেলনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয় দলের। দলের নাম থেকে একটি ধর্মের নাম বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে আওয়ামী লীগের। এ সম্মেলনে পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন মাওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমান।

    ১৯৫৭ সালে চতুর্থ সম্মেলনের আগে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন মাওলানা ভাসানী। ১৩ জুন আরমানিটোলার নিউ পিচকার হাউজে এবং পরদিন গুলিস্তান সিমেনা হলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রতিনিধি ছিল আটশ’ জন। এ প্রতিনিধিদের ভোটে মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    দলের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালে। ৬ মার্চ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেট ছিল প্রায় এক হাজার। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন মাওলানা তর্কবাগীশ ও শেখ মুজিবুর রহমান।

    ১৯৬৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনটি ছিল আওয়ামী লীগের জন্য ঐতিহাসিক একটি সম্মেলন। এ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর ছয়দফা দলীয় ফোরামে পাস হয়। ১৮ থেকে ২০ মার্চ হোটেল ইডেনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের মাধ্যমে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ মুজিবুর রহমান। আর প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দীন আহমেদ। এতে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৪৩ জন।
    ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাগারে আটক তখন অনুষ্ঠিত হয় দলের সপ্তম জাতীয় সম্মেলন। ১৯ থেকে ২০ অক্টোবর হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। প্রায় এক হাজার চারশত ৫৩ জন কাউন্সিলর ও ডেলিগেট এতে অংশ নেন। সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হন।

    ১৯৭০ সালের উত্তাল সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের অষ্টম সম্মেলন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে ছয় দফা ও ১১ দফা গ্রহণ করে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নেয় আওয়ামী লীগ। ৭০ সালের ৪ থেকে ৫ জুন হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে কাউন্সিলর ছিল এক হাজার ১৩৮ জন। কাউন্সিলরদের ভোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    স্বাধীন বাংলাদেশে সম্মেলন : ১৯৭২ সালের ৭ থেকে ৮ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রথম এবং সব মিলিয়ে নবম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় সার্কিট হাউজ রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসনসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য শপথ নিয়ে এ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি ও জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    আওয়ামী লীগের ১০ম জাতীয় সম্মেলন ১১২ সার্কিট হাউজ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ সম্মেলনে একটি সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা দলের পদে থাকতে পারবেন না। ফলে বঙ্গবন্ধু দলীয় সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। দলের সভাপতি হন এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।

    এরপরই ঘটে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের সেই ভয়াবহ ঘটনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিহত হন সপরিবারে। সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করে। ১৯৭৫-এর ৩ নভেম্বর কারাগারের ভেতরে নিহত হন আওয়ামী লীগের চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ এইচ এম কামারুজ্জামান এবং এম মনসুর আলী। দলটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুঃসময় এসে হাজির হয়।
    এমন একটি পরিস্থিতিতে ১৯৭৭ সালের ৩ থেকে ৪ এপ্রিল হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে দলের ১১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে কাউন্সিলর ছিলেন প্রায় এক হাজার ৪০০ জন এবং ডেলিগেটও সমসংখ্যক ছিল। এতে দলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন।

    এর পরের বছর ১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয় দলটির ১২তম জাতীয় সম্মেলন। ৩ থেকে ৫ মার্চ হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে প্রায় এক হাজার ৫০০ কাউন্সিলর এবং সমসংখ্যক ডেলিগেট নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ সম্মেলনটি। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন আবদুল মালেক এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আবদুর রাজ্জাক।

    ১৯৮১ সালের ১৩তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দলীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য এ সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্বে আনা হয় বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। ’৮১ সালের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেট ছিল তিন হাজার ৮৮৪ জন। সভায় শেখ হাসিনা সভাপতি ও আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ১৯৮২ সালে আব্দুর রাজ্জাক দলত্যাগ করলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। দলের নেতৃত্ব পাওয়ার পর দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

    ১৯৮৭ সালের ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগের ১৪তম জাতীয় সম্মেলন। এতে কাউন্সিলর ও ডেলিগেট ছিল প্রায় চার হাজার। সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    এরপর ১৯৯২ সালের ১৯ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলের ১৫তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ দুই বছর থেকে বাড়িয়ে তিন বছর মেয়াদী করা হয়। এতে কাউন্সিলর ছিল প্রায় দুই হাজার ৫০০ ও ডেলিগেটও ছিল সম সংখ্যক। এতে শেখ হাসিনা সভাপতি ও জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত ১৬তম জাতীয় সম্মেলন আওয়ামী লীগের জন্য বিশেষ গুরুত্বের। কারণ প্রায় ২১ বছর পর দলটি ক্ষমতায় আসার পর অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সম্মেলন। ৬ থেকে ৭ মে আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে কাউন্সিলর ছিল দুই হাজার ৫১৬ এবং ডেলিগেটও ছিল সমসংখ্যক। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও জিল্লুর রহমান।

    ২০০২ সালে আওয়ামী লীগ যখন বিরোধীদলে তখন পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় দলের ১৭তম জাতীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনে সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্দুল জলিল।

    ২০০৭ সালের পটপরিবর্তনের পর ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে দলটি। এরপর ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় দলটির ১৮তম জাতীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

    ২০১২ সালে ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয় দলটির ১৯তম জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুননির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

    সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

  • দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক তিন দিনের রিমান্ডে

    দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক তিন দিনের রিমান্ডে

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

    হাতিরঝিল থানার তদন্ত কর্মকর্তা আজ শনিবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে হাতিরঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আফজাল শুক্রবার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদ ছাড়াও প্রধান প্রতিবেদক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, এবং বার্তা সম্পাদক সাদাত হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে এজাহারে।

    জানাগেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে গত ১২ ডিসেম্বর দৈনিক সংগ্রামে ওই সংবাদটি প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম ছিল ‘শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ৬ষ্ঠ শাহাদাত বার্ষিকী আজ’’।

    এর প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সংগ্রাম পত্রিকার কয়েকটি কপি পোড়ান ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।

    এছাড়া ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবারই পত্রিকাটির কার্যালয় ভাঙচুর করে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের একদল নেতাকর্মী।

    মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সেক্রেটারি আল মামুনের নেতৃত্বে নেতা–কর্মীরা বিকেল ৫টার দিকে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ভাঙচুর চালায়। তারা কার্যালয়ে ঢুকে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

    পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায়।

    প্রসঙ্গত একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ফাঁসি কার্যকর করা হয় কাদের মোল্লার। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী মহাসচিব ছিলেন।

  • সাংসদরা উপজেলা কমিটিতে সভাপতি-সম্পাদক হতে পারবে না

    সাংসদরা উপজেলা কমিটিতে সভাপতি-সম্পাদক হতে পারবে না

    আসন্ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উপজেলা পর্যায়ের কমিটিতে সংসদ সদস্যরা (এমপি) সভাপতি-সম্পাদক হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা এমপি হতে পারেননি তারা যেন নেতা হওয়ার সুযোগ পায়। তবে জেলা পর্যায়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হতে পারবেন এমপিরা। কারণ কেন্দ্রের সঙ্গে তাদের সমন্বয় করতে হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।

    আগামী কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের কমিটি বর্ধিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক শেখ হাসিনা। তিনি কাকে নেতা বানাবেন কাকে বাদ দেবেন সেটা নেত্রীর এখতিয়ার।

    সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কমিটির কলেবর এখন পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপাতত কমিটির সংখ্যা বাড়ানোর কোনও ইচ্ছে নাই। সম্পাদকীয় পদ ছাড়া কোনও পদেই বাড়ানোর সম্ভাবনা নাই। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিদেশি অতিথি আসবে, তাই সম্মেলনে বিদেশি অতিথি দাওয়াত দেওয়া হবে না। তবে কূটনীতিকদের দাওয়াত দেওয়া হবে।

    তিনি বলেন, কাউন্সিলে যে পরিমাণ কাউন্সিলর থাকবে তার সমপরিমাণ ডেলিগেট থাকবে। দলের গঠনতন্ত্র ও ঘো্রষণাপত্রে সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের জন্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা তাদের চিঠিতে মতামত জানিয়ে দিতে পারেন।

    এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপিসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে দাওয়াত করবে। ১৪ দলকেও দাওয়াত দেয়া হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল উপস্থিত ছিলেন।

  • আবরারের মৃত্যু:১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ

    আবরারের মৃত্যু:১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ

    কিশোর আলোর (কিআ) অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ‌্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রথম আলো পত্রিকার প্রকাশক, সম্পাদক এবং কিশোর আলোর সম্পাদককে দিতে বলা হয়েছে। এই টাকা হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে নিহত আবরার রাহাতের পরিবারের কাছে।

    নোটিশটি পাঠানো হয়েছে প্রথম আলোর প্রকাশক ও সম্পাদক, কিশোর আলোর সম্পাদক, তথ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর।

    রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ওবায়েদ আহমেদের পক্ষে রবিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাইজুল্লাহ ফয়েজ এই নোটিশ পাঠান। নোটিশ প্রাপ্তির তিনদিনের মধ্যে প্রথম আলোর প্রকাশক, সম্পাদক এবং কিশোর আলোর সম্পাদকের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

    গত শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ মাঠে প্রথম আলো পত্রিকার সাময়িকী কিশোর আলোর জন্মদিনের অনুষ্ঠান দেখতে এসে নাইমুল আবরার রাহাত বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায়। সেই অনুষ্ঠানে কনর্সাট চলছিল। নাইমুল আবরার ও তার অপর দুই বন্ধু মাঠের মাঝখানে বসে কনসার্ট শুনছিল। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাহাতের দুই বন্ধু আইসক্রিম আনার জন্য সেখান থেকে উঠে যায়। এরপর রাহাত বসা থেকে উঠতে গিয়ে পাশে থাকা তারের উপর পড়ে যায় এবং বিদ্যুতায়িত হয়। তখন তাকে উদ্ধার করে আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।