Tag: সম্মেলন

  • ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন ও আমাদের প্রত্যাশা

    ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন ও আমাদের প্রত্যাশা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নুর মোহাম্মদ রানা : সুশাসন, গণতন্ত্র ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ নামে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর।

    ঘোষিত ইশতেহারকে শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জাতীয় সনদ আখ্যায়িত করে স্বপ্ন দেখানো হয়েছে দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশের, সংসদ সদস্যদের জবাবদিহি নিশ্চিতের, ফোরজি চালু, দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা-দক্ষতা বাড়িয়ে এর কার্যকারিতা বাড়ানো, প্রভাবমুক্ত প্রশাসন গঠনের এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কমিশনকে সংহত করার।

    সে সঙ্গে রয়েছে আগের বারের ইশতেহার ‘দিনবদলের সনদে’র অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি। সরকারের ধারাবাহিকতা দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে উচ্চতর এক সোপানে পৌঁছে দেবে এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নে দারিদ্র বিমোচনই আমাদের সব কর্মকা-ের মূল লক্ষ্য। কেননা দারিদ্র, অসমতা, নারীর ক্ষমতায়ন, স্যানিটেশন, মাতৃমৃত্যু, আয়ু, শিক্ষা প্রভৃতি সামাজিক সূচকে দেশের অবস্থান আরো সুদৃঢ় হয়েছে।

    তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব গ্রহণের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি তার জিরো টলারেন্স নীতিকে আরও জোরদার করেছেন এবং শক্তিশালী নেতৃত্বের পাশাপাশি সুশাসন, স্থিতিশীল সরকার, অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুষ্ঠু সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি এবং সঠিক উন্নয়নের অগ্রাধিকার বাংলাদেশকে এক অনন্য উন্নয়নের মডেল করে তুলেছে।

    ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব ও অসাধারণ সাফল্য অর্জন শুরু করে এবং তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে বাংলাদেশ এখন বিস্ময়কর উন্নয়নের দেশে পরিণত হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য উন্নয়নের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ফলস্বরূপ, বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি দিতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। শেখ হাসিনার সরকার এখন “ভিশন ২০২১” অর্জনের কাছাকাছি।

    তাঁর সরকার ভিশন ২০২১ অর্জনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশন অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই দর্শনের উপর ভিত্তি করে, বাংলাদেশে এখন একটি বিশাল আর্থ-সামাজিক রূপান্তর শুরু হয়েছে। ভিশন-২১’র পর এবার উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণে তৈরি হচ্ছে ‘রূপকল্প-২০৪১’।

    এজন্য নতুন অর্থনৈতিক রূপরেখা তৈরি করছে সরকার। আগামী ২০৪১ সাল সামনে রেখেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সব অর্থনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতি কমানো এবং সর্বক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করা।

    মূলত এগুলোকে ঘিরে ভবিষ্যত অর্থনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করবে সরকার। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্নপূরণে দিকনির্দেশনা ও এ সংক্রান্ত পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

    বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে যে তারুণ্যের তীর, সেই নতুন নেতৃত্ব তৈরিতে সম্মেলনে বসেছেন টানা প্রায় ১১ বছর দেশ শাসন করা আওয়ামী লীগ। এই সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন সংসদে আর সংসদের বাইরে আওয়ামী লীগের সামনে বড় রকমের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই; যখন দলকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও দুর্নীতিবাজমুক্ত করার কথা বলে আসছেন দলটির শীর্ষ নেতারা; যখন শুদ্ধি অভিযানের ঝড়ে সহযোগী সংগঠনগুলোর অনেক পুরনো নেতাকে ঝরে যেতে দেখা গেছে।

    এবারের সম্মেলনে তাই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জও পরিলক্ষিত হয়েছে। তাই সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষিত হয়েছে তিন যুগের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার এখনও কোনা ‘বিকল্প নেই’। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে এবার নতুন নেতৃত্বে জোর দেওয়া হয়েছে।

    আর সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল গত নির্বাচনে আমাদের নেত্রী দেশ ও জাতির কাছে যে এজেন্ডা দিয়েছেন, যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই প্রতিশ্রুতি পালনে, আমাদের নেত্রীর ভিশন বাস্তবায়নের উপযোগী শক্তি হিসেবে আমরা আওয়ামী লীগের নতুন পুরাতন মিলিয়ে ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তি মিলিয়ে, একটা ফাইন ব্যালেন্স করে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।” নির্বাচনী ইশতিহারের প্রতিশ্রুতিগুলো আওয়ামী লীগ পূরণ করবে। কিন্তু সেজন্য শুধু সরকার শক্তিশালী হলে হবে না। দলকেও শক্তিশালী থাকতে হবে। “দলকে শক্তিশালী করা, সুসংগঠিত করা আধুনিক একটা মডার্ন, স্মার্ট একটা পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগকে আমরা জনগণের সামনে উপহার দেয়া।”

    জানা গেছে, রূপকল্প-৪১ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানো হবে। বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক স্থাপনে জোর দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক এ মূল্যায়ন সরকারের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।

    আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালের মধ্যেই চূড়ান্তভাবে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পাওয়া যাবে। গত ২০১২ সালে দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করার মধ্য দিয়ে দেশের অতি দারিদ্র্যের হার দ্রুত কমে আসছে।

    জানা গেছে, ২০২১ সাল নাগাদ দেশের বিদ্যুত চাহিদা ২০ হাজার মেগাওয়াট ধরে উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী বছরের মধ্যে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা, ২০২১ সালের মধ্যে সব মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা, বেকারত্বের হার বর্তমান ৪০ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে কৃষি খাতে শ্রমশক্তি ৪৮ থেকে ৩০ শতাংশে নিয়ে আসা, দারিদ্র্যের হার ৪৫ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ, বঞ্চনা, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তাঁর এই স্বপ্ন ও আদর্শকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এই অল্প সময়ের মধ্যেই সংবিধান এবং অসংখ্য আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তিনি দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আইনী রূপ দিয়েছিলেন এবং দেশকে একটি শক্তিশালী আইনি ভিত্তির উপর স্থাপন করেছেন।

    তিনি দেশে নতুন আইন তৈরি করে একটি নব্য-রাজনৈতিক এবং নব্য-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর-দর্শিতায় ও বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে দুর্বার গতিতে। উন্নয়নের রোড মডেলে পরিণত হয়েছে দেশ যা অবাক হয়ে তাকাচ্ছে বিশ্ববাসী। আর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নেতৃত্বের ভার দেওয়ার হয়েছে যোগ্য লোকের হাতেই।

    কেননা আগামী ২০২১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন শেষে ভিশন ২০৪১ এর যেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে সেটা বাস্তবায়িত হবে এই নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে। আমাদের প্রত্যাশা নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গগণ তৃণমূল থেকে দলকে গুছিয়ে নতুন মুখ সৃষ্টি করে এবং সরকারের উন্নয়নের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছিয়ে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিবে।

    লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিষ্ট ও সাংবাদিক।

  • বড় দলের সম্মেলন করা খুব সহজ ব্যাপার নয়, দু-একদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি : কাদের

    বড় দলের সম্মেলন করা খুব সহজ ব্যাপার নয়, দু-একদিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি : কাদের

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলের উপস্থিত মতামতে দ্বিতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    বিকেলে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নবনির্বাচিত এ নেতা। এসময় তিনি দু-এক দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান। এছাড়া মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে বলেও জানান তিনি।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বর্তমান ক্ষমতাসীন দল। আর একটি বড় দলের সম্মেলন করা খুব সহজ ব্যাপার নয়। মিডিয়া ভাইদের সহযোগীতা ও আমাদের নেতাকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রমের ফলে আজকের সম্মেলন সফল হয়েছে।

    আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে মিডিয়া ভাইদের ডেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে। এসময় একটি গেট টুগেদারের আয়োজন করা হবে বললেন সেতুমন্ত্রী।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সামনে অনেক কাজ বাকি। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো মোকাবিলায় এক হয়ে কাজ করতে হবে।

    কাউন্সিল অধিবেশন পরবর্তী এই সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের অভিনন্দন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনি ইশতেহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের কাছে তিনি অঙ্গিকার করেছেন, প্রত্যেক পরিবারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। সেই প্রতিশ্রুতি আমরা পূরণ করবো। এগুলো আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ।’

    আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলকে আরও গতীশীল করতে কাজ করে যাব জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল ফোকাস হলো-মুজিব বর্ষের বিশাল প্রোগ্রাম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা। এটা আমাদের একটা বিরাট দায়িত্ব। এছাড়া ভিশন-২০২১ ও ডেল্টাপ্ল্যান বাস্তবায়নও আমাদের চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে।

    সংবাদ সম্মেলনে তাকে দ্বিতীয়বারে মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানার প্রতিও। এছাড়া, সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা সাড়ে সাত হাজার কাউন্সিলর, যারা অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।

  • আ’লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন

    আ’লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১ তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন।

    আজ বিকেল ৩ টা ৫মিনিটে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরআগে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।

    দুইদিন ব্যাপী এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে গড়তে সোনার দেশ, এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’।
    সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন ২১ আগামীকাল শনিবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে।

    সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আগত প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং ১৫ হাজার ডেলিগেটসহ ৫০ হাজার নেতাকর্মী ও আমন্ত্রিত অতিথি অংশ গ্রহণ করছেন।

    ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে জন্ম আওয়ামী লীগের। এখন ঐতিহ্যবাহী এই দলটির বয়স ৬৭ বছর। এ পর্যন্ত দলটির ২০ টি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এর আগে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

  • আ’লীগের দু’দিনব্যাপী সম্মেলন আজ শুরু

    আ’লীগের দু’দিনব্যাপী সম্মেলন আজ শুরু

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী ২১তম জাতীয় সম্মেলন আজ শুরু হচ্ছে। বিকেল ৩ টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সম্মেলনকে ঘিরে সারাদেশেই দলটির মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

    ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনের পর ২৫ মিনিটের একটি উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে। সেখানে তুলে ধরা হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য।

    এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে গড়তে সোনার দেশ, এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’।

    দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেবেন। সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন ২১ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে।

    আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে কাউন্সিলরদের তালিকা এসেছে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে। ডেলিগেট কার্ড, পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, স্বেচ্ছাসেবক ইউনিফর্মসহ সম্মেলনের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তৈরির কাজও শেষ। সম্মেলনের ঘোষণাপত্রও প্রস্তুত হয়েছে।
    অন্যদিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে নির্বিঘ্নে করতে ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকরা।

    আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সম্মেলনস্থল, প্রবেশপথসহ চারপাশে দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন সম্মেলনের শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
    ২১তম সম্মেলনের আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে দাওয়াতপত্র পৌঁছে দেয়া, মঞ্চ ও সম্মেলনস্থল প্রস্তুত করা এবং সাজসজ্জাসহ অন্যসব কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এ সম্মেলনে কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ ৫০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবেন। এবার বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

    ২১তম সম্মেলনের আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে দাওয়াতপত্র পৌঁছে দেয়া, মঞ্চ ও সম্মেলনস্থল প্রস্তুত করা এবং সাজসজ্জাসহ অন্যসব কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এ সম্মেলনে কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ ৫০ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবেন। এবার বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

    সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং এর আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিশাল এলাকাজুড়ে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে ছয়টি নৌকা। উদ্যানের গাছে গাছে লাগানো হয়েছে মরিচবাতি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। মৎস্যভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে শোভা পাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। পাশাপাশি লাগানো হচ্ছে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের চিত্রসংবলিত ফেস্টুন।

    মঞ্চ ও সাজসজ্জা : আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের মূল মঞ্চ এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। ১০২ ফুট দীর্ঘ, ৪০ ফুট প্রশস্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে চার সহযোগী এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সম্মেলন। সেই একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন। তবে মূল মঞ্চ এক হলেও সেটাকে বিশেষ পরিকল্পনায় সাজানো হয়েছে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আশপাশের এলাকাসহ মূল মঞ্চটি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, দেখলে মনে হবে, যেন পদ্মা নদীর বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে বিশাল এক নৌকা। সেই নৌকার চারপাশজুড়ে থাকছে প্রমত্ত পদ্মার বিশাল জলরাশি। এর মধ্যে থাকছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুও। এছাড়া পদ্মার জলতরঙ্গ, পদ্মার বুকে ঘুরে বেড়ানো ছোট ছোট নৌকা, এমনকি চরের মধ্যে কাশবনের উপস্থিতিও থাকবে। মহান বিজয়ের মাসে আয়োজিত এ সম্মেলনে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতিও থাকবে। এর পেছনে থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ছবি। নৌকার পেছনের দিকে থাকবে জাতীয় চার নেতাসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে বিভিন্ন সময়ে অবদান রাখা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছবি। এছাড়া সম্মেলনস্থলে সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের ফেস্টুন ও উন্নয়নের ছবি থাকবে।

    সম্মেলনস্থলে নেতাকর্মীদের প্রবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচটি গেট থাকবে। একটি গেট ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। ৮১ সদস্যের মধ্যে চারটি পদ শূন্য থাকায় মূল মঞ্চে চেয়ার থাকবে ৭৭টি। মঞ্চের সামনে নেতাকর্মীদের জন্য চেয়ার থাকবে ৩০ হাজার। এছাড়া সম্প্রসারিত মঞ্চে ১৫ হাজার চেয়ার দেয়া হবে। ২৮টি এলইডি পর্দায় দেখানো হবে সম্মেলনের পুরো অনুষ্ঠান।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মঞ্চ ও সাজসজ্জা কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এবারের সম্মেলন জাঁকজমকপূর্ণ নয়, বরং সাদামাটাভাবে আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে কোনো ধরনের সাজসজ্জা হবে না। সম্মেলনে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার কাউন্সিলর, ডেলিগেটস ও নেতাকর্মী অংশ নেবেন।

    অভ্যর্থনা : বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ অন্যসব পেশার বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে অতিথিদের তালিকা তৈরি করে সম্মেলনের কার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

    দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং অভ্যর্থনা কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ নাসিম জানান, ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে যেমন বিমানবন্দর, বাস ও রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড ও ব্যানারের মাধ্যমে অতিথি ও কাউন্সিলরদের স্বাগত জানানো হবে। সম্মেলনের আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছে দাওয়াতপত্র পৌঁছে দেয়ার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

    প্রচার ও প্রকাশনা : সম্মেলন সামনে রেখে প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি কাজ শেষ করেছে। সম্মেলনে প্রচার উপকমিটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার একটি কার্ড থাকবে। একই সঙ্গে থাকবে দুটি সিডি। একটিতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন এবং অন্যটিতে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের পাটের ব্যাগে এগুলোর সঙ্গে একটি প্যাড ও একটি কলম দেয়া হবে। এরই মধ্যে ২১তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ওয়েবপেজ উদ্বোধন করেছে প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি। ওয়েবপেজের ভিডিও অংশে সম্মেলন লাইভ করা হবে।

    সম্মেলন উপলক্ষে ১০০ চিকিৎসক নিয়ে ১২টির মতো প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র প্রস্তুত করছে স্বাস্থ্য উপকমিটি। দুপুরে ৫০ হাজার নেতাকর্মীকে খাবার দেয়া হবে। খাবারে মোরগ-পোলাওয়ের সঙ্গে ডিম, ফিরনি ও পানির বোতল থাকবে। আন্তর্জাতিক উপকমিটির পক্ষ থেকে সম্মেলন স্থানে কূটনীতিকদের জন্য বিশেষ স্টল স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটি সম্মেলনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

    ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে জন্ম আওয়ামী লীগের। এখন ঐতিহ্যবাহী এই দলটির বয়স ৬৭ বছর। এ পর্যন্ত দলটির ২০ টি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    এর আগে দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন ২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    ২১তম জাতীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটি পরিবার। আমাদের অবিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের কাজে-কর্মে এবং ব্যবহারের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত দল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন ও পুরনোদের নিয়ে দলের আগামী কমিটি হবে আধুনিক ও সুসংগঠিত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

    আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কেউ অপরিহার্য নয়।

  • আ’লীগের সম্মেলনে বিএনপির চার নেতাকে আমন্ত্রণ

    আ’লীগের সম্মেলনে বিএনপির চার নেতাকে আমন্ত্রণ

    আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ চার নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ সিপু গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে আমন্ত্রণ পত্র পৌঁছে দেন।

    বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু এ কার্ড গ্রহণ করেন।

    জিয়াউদ্দিন আহমেদ সিপু জানান, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও মির্জা আব্বাসের নামে আলাদা চারটি কার্ড দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    এ সময়ে আওয়ামী লীগের অভ্যর্থনা উপ-কমিটির সদস্য রাশেদুল বাসার ডলার ও আলমগীর হাসান উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়াও জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, জাতীয় পার্টি (জেপি), সাম্যবাদী দলসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল দলকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী ২১তম জাতীয় সম্মেলন আগামীকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হবে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • কাল আ’লীগের ২১ তম কাউন্সিল

    কাল আ’লীগের ২১ তম কাউন্সিল

    আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় উৎসব জাতীয় সম্মেলন শুরু হবে। ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে গড়তে সোনার দেশ/এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের কাউন্সিল। ইতোমধ্যে, প্রায় সকল ধরনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দলটি।

    দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনে থাকছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বিকাল ৩টায়।

    সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    দ্বিতীয় দিন ২১ ডিসেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল অধিবেশন।

    এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এই অধিবেশনে কাউন্সিলররা তাঁদের নেতা নির্বাচন করবেন। সারা দেশ থেকে আসা সাড়ে সাত হাজার কাউন্সিলরগণ পরবর্তী তিন বছরের জন্য নির্বাচন করবেন আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্ব। রীতি অনুযায়ী কাউন্সিলররা প্রথমে সভাপতি নির্বাচন করবেন।

    সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা পুনর্নির্বাচিত হবেন—এমনটাই জানিয়েছেন দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। সভাপতি নির্বাচনের পর কাউন্সিলররা সাধারণ সম্পাদকসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ভার তুলে দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাঁধে। সে ক্ষেত্রে এই অধিবেশনে সাধারণ সম্পাদকসহ বেশির ভাগ নেতার নাম ঘোষণা করা হবে।

    সাধারণ সম্পাদক পদেও ওবায়দুল কাদেরই থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে পরিবর্তন আসবে সভাপতিমন্ডলীতে। এখানে বেশ কিছু নতুন মুখ অন্তর্ভূক্ত করা হতে পারে। পরিবর্তন আসবে যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদগুলোতে। এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদকীয় পদগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হতে পারে। নতুন ও ক্লিন ইমেজের নেতাদের এসব পদে আনা হবে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

    তিন বছর ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মাঝে বড় ধরনের অসুস্থতার ধকল কাটিয়ে এখন তিনি অনেকটাই স্বাভাবিক। আবারও তার এ পদে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

    এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি দ্বিতীয়বার পার্টির সাধারণ সম্পাদক থাকব কিনা, তা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তিনি বলেন, আমি নিজে প্রার্থী হব না। নেত্রী চাইলে আবার দায়িত্ব দেবেন, না চাইলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেবেন।

    এবারের কাউন্সিলে বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য পৃথক আসন ও ‘ইরেজি ভাষা অনুবাদক হেডফোন’ থাকছে।

    এবারের কাউন্সিল থেকে আওয়ামী লীগ সহ সম্পাদক পদের বিলোপ হচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সংখ্যা ৪১ থেকে বাড়িয়ে ৫১ করা হবে। বুধরার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলটির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্দান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতির জন্য বরাদ্দ (কো-অপ) ১০০ কাউন্সিলর অনুমোদন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। বৈঠকে উপস্থিত একজন নেতা জানান, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মর্যাদা দিয়ে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

    রাত ১০টা পর্যন্ত চলা কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। শনিবার সকালে কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত বর্তমান কমিটির কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক মুলতবি থাকবে। এর মধ্যে প্রয়োজনে যে কোনো সময় মুলতবি সভা ডাকতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

    আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্মেলনের সব কাজ শেষ করা হয়েছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পদ্মা সেতুর পাটাতনে নৌকার আদলে তৈরি হয়েছে মঞ্চ।

    সম্মেলন সফল করতে গঠিত উপকমিটিগুলো তাদের কাজ শেষ করেছে। দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র এবং পোস্টার ছাপা হয়েছে। অতিথিদের দাওয়াত দেওয়ার কাজ চলছে।

    আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনের স্লোগান ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে গড়তে সোনার দেশ, এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ।’

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর প্রাক্কালে অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের এই জাতীয় সম্মেলনকে সফল করতে গত প্রায় চার মাস ধরে কাজ করছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। এর আগে অক্টোবরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত ছিল। তার আগেই প্রস্তুতি শুরু হয়।

    জাতীয় সম্মেলনের অভ্যর্থনা উপকমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘জাতীয় সম্মেলনের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। আশা করি আমরা সুশৃঙ্খল পরিবেশে এই অনুষ্ঠান শেষ করতে পারব। সে জন্য দলের নেতাকর্মীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একযোগে কাজ করছে।’

    এই সম্মেলনে ৪০ হাজার নেতাকর্মীকে মোরগ পোলাও খাওয়ানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। খাবারের দায়িত্বে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

    তিনি বলেন, ‘আট বিভাগের জন্য ১০টি আলাদা বুথে নেতাকর্মীদের খাবার সরবরাহ করা হবে। এ জন্য স্লিপের ব্যবস্থা রয়েছে। সম্মেলনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় এবং সুষ্ঠুভাবে খাবার বিতরণের জন্য দুই হাজার দলীয় স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।’

    সম্মেলনের জন্য গঠিত সাংস্কৃতিক উপকমিটির সদস্যসচিব ও আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেন, ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের নেতৃত্বে এই প্রজন্মের শিল্পীরা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করবেন। সেখানে সম্মিলিত কণ্ঠে দুই থেকে তিনটি দেশাত্মবোধক গানও পরিবেশন করা হবে। সেই সঙ্গে শামীম আরা নীপা ও শিবলীর নেতৃত্বে গীতি নৃত্য নাট্য আলেখ্য মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক এই আয়োজন থাকবে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট। প্রথম দিন জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধনের পর সন্ধ্যায় রয়েছে দেশবরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীরা এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করতে পারবেন।

    জানা গেছে, এবারের প্যান্ডেল অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বড় করা হয়েছে। ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪০ ফুট প্রস্থ প্যান্ডেলের উচ্চতা করা হয়েছে ২৮ ফুট। এতে ৭৭টি চেয়ার রাখার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে। গোটা সম্মেলন স্থলজুড়ে ২৮টি এলইডি পর্দায় অনুষ্ঠান দেখা যাবে। কাউন্সিলর সাড়ে সাত হাজার, ডেলিগেটস ১৫ হাজার ও অতিথিদের জন্য মোট ৩৫ হাজার চেয়ার রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    আর এসব কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও অতিথিদের প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ভিআইপিদের জন্য একটি গেট সংরক্ষিত থাকবে। কাউন্সিলর, ডেলিগেটস ও অতিথিদের পাটের ব্যাগ উপহার দেবে আওয়ামী লীগ। ওই ব্যাগে একটি স্মরণিকা, দপ্তর সম্পাদকের পাঠের জন্য শোক প্রস্তাব এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ভাষণ থাকবে।

  • আ’লীগের সম্মেলনে প্রবেশের সময় ফেনসিডিলসহ যুবলীগ কর্মী আটক

    আ’লীগের সম্মেলনে প্রবেশের সময় ফেনসিডিলসহ যুবলীগ কর্মী আটক

    রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রবেশের সময় ফেনসিডিলসহ হাসান কবির (৩৫) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

    আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সম্মেলন উদ্বোধনের একটু আগে পুলিশের তল্লাশির সময় তাকে আটক করা হয়।

    রাজশাহী বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে আয়োজিত এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। সভাপতিত্ব করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী।

    আটক হাসানের বাড়ি জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ডোমকুলি গ্রামে। তার বাবা আবদুল আজিজ গোদাগাড়ীর বাসুদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।

    দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হাসান কবির স্থানীয়ভাবে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে তার কোনো পদ নেই।

    সম্মেলন উদ্বোধনের একটু আগে তল্লাশিকালে রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার রাকিবুল ইসলাম একজনকে আটক করেন। আটক হাসান কবিরের কোমরে এক বোতল ফেনসিডিল গোঁজা ছিল।

    রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক মোস্তাক আহমেদ জানান, সম্মেলন উদ্বোধনের একটু আগে তল্লাশিকালে এক বোতল ফেনসিডিলসহ হাসান কবিরকে আটক করা হয়। রাজপাড়া থানায় পাঠিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ : আগামী ৩ বছরের নেতৃত্বে সালাম-আতাউর

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ : আগামী ৩ বছরের নেতৃত্বে সালাম-আতাউর

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : দীর্ঘ ৭ বছর পর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দুই পর্বের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের ভোটে আগামী তিন বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব পেয়েছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নের্তৃবৃন্দরা।

    শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    এর আগে ৩৬৬ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে আগামী ৩ বছরের জন্য উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেন। ২২৩ ভোট পেয়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম।

    এ পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী রাউজানের সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পেয়েছেন ১২৯ ভোট।

    অন্যদিকে কাউন্সিলরদের ১৯৬ ভোট পেয়ে আগামী তিন বছরের জন্য উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শেখ আতাউর রহমান। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ১৫৪ ভোট।

    জানা যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলে ভোটাভুটির মাধ্যমেই নেতৃত্ব নির্বাচন করেন।

    এর আগে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম পর্বে নগরীর লালদিঘী মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

    সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

    মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, মাহফুজুর রহমান মিতাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকেরা।

    প্রসঙ্গত : উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ২৫ ডিসেম্বর। এতে কাউন্সিলরদের ভোটে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সভাপতি ও এমএ সালাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    ২০১৩ সালে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হলে ওই পদে কমিটির তিন নম্বর সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল আলম চৌধুরীকে মনোনীত করা হয়।

    গত ২৭ জানুয়ারি নুরুল আলম মারা গেলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে ২ নম্বর সহ-সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

  • বিএনপি গঠনমূলক রাজনীতি করার সকল নৈতিক শক্তি হারিয়েছে-নওফেল

    বিএনপি গঠনমূলক রাজনীতি করার সকল নৈতিক শক্তি হারিয়েছে-নওফেল

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : বিএনপি এখন মিডিয়া ভিত্তিক দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, তাদের কাজ হলো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা।

    পল্টনে ক্যামেরার সামনে বসে রিজভী সাহেব মিডিয়ার সামনে দুটি কথা বলেন আর মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কটূক্তি করেন। তাদের দলীয় প্রধান এতিমের টাকা মেরে আজকে কারাগারে, আর তার কুপুত্র তারেক রহমান বিদেশে পলাতক। তাই বিএনপি গঠনমূলক রাজনীতি করার সকল নৈতিক শক্তি হারিয়েছে।

    শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নগরীর লালদিঘি ময়দানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টলবীর খ্যাত এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আরো বলেন, বিএনপির কাণ্ডারী দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানকে এ দেশের মানুষ চায় না। দেশের মানুষ কুলাঙ্গার তারেক রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তারেক রহমান দেশে আসার ধৃষ্টতা দেখালে চট্টগ্রামবাসীকে নিয়ে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল।

    এর আগে সকাল থেকে ত্রি-বার্ষিক এ সম্মেলনের প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করতে উত্তর চট্টগ্রামের উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী নগরীর লালদিঘি ময়দানে এসে জড়ো হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

    সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

    মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, মাহফুজুর রহমান মিতাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকেরা।

    বিকেলে নগরীর কাজিড় দেউরিস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব কাউন্সিলর অধিবেশন। এ পর্বে কেন্দ্রীয় নেতারা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করবেন।

  • রাউজানের চিকদাইরে আজিমুশশান মাইজভাণ্ডারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    রাউজানের চিকদাইরে আজিমুশশান মাইজভাণ্ডারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ চিকদাইর ইউনিয়ন শাখা -২ ও করম আলী হাজীর বাড়ীসহ এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে পবিত্র জসনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) ও বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) “র চন্দ্রবার্ষিকী ফাতেহা শরীফ উদযাপন উপলক্ষে আজিমুশশান মাইজভাণ্ডারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ২২ নভেম্বর শুক্রবার চিকদাইর আব্দুল আলী জামে মসজিদস্থ হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)”র ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আব্দুল আলী জামে মসজিদের খতিব হযরতুলহাজ্ব আল্লামা নুরুচ্ছাপা।

    উদ্বোধক ছিলেন জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ আবু তাহের, প্রধান বক্তা ছিলেন গহিরা এফ. কে. জামিউলুম বহুমুখী কামিল এম.এ আলিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি ইব্রাহিম আল্ কাদেরী, বিশেষ বক্তা হিসেবে তকরির করেন ঢাকা নারায়ণগঞ্জ জামেয়া গাউছিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া মাদ্রাসার সাবেক আরবী প্রভাষক সৈয়দ মাওলানা মাহবুবুল হক আল্ কাদেরী ( নুরে বাংলা) ,চট্টগ্রাম কাজীর দেউরী কাজী বাড়ী শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কে. এম. বেলাল হোসাইন মাইজভাণ্ডারী।

    মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি চিকদাইর শাখা ২এর যুগ্ম সম্পাদক তৌফিকুল ফরিদ মাসুমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক প্রতিনিধি মঞ্জুরুল ইসলাম চৌধুরী, মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি রাউজান উপজেলা শাখার নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক শফিউল আলম, মোহাম্মাদ আবুল কালাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল শুক্কুর সওদাগর, মাওলানা ফরিদুল আলম মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা তরিকুল ইসলাম মাইজভাণ্ডারী, মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি চিকদাইর শাখা ২এর সভাপতি রোকন ফারুকী, সাধারন সম্পাদক আবু মোঃ আক্কাছ উদ্দিন মানিক, মাইজভাণ্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি রাউজান উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদ, নাজিমুদ্দিন কালু, । অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন, জানে আলম, শহিদুল ইসলাম, হাফেজ মোহাম্মদ দৌলত খাঁন, শাহ্জাহান, ছালে জঙ্গীর, মোহাম্মদ রমজান আলী, আবুল হোসেন কালু, মোঃ জাহাঈীর, কোরবান আলী মিনকু, আলমগীর হোসেন খালেক, মঈনুদ্দিন মানিক, জাগের হোসেন টিটু, দিদারুল আলম দিলু, সাদ্দাম হোসেন, শাহেদুল করিম, মিনহাজ, রমজান,খোরশেদ, মোফাচ্ছেল, মোঃ হোসাইন, মোজাম্মেল, রাসেল,ওসমান, জিল্লুর রমান, মহিনউদ্দিন,মোঃ সুমন, জালাল উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন প্রমুখ ।

  • রাউজানের চিকদাইরে মাইজভান্ডারী সম্মেলন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

    রাউজানের চিকদাইরে মাইজভান্ডারী সম্মেলন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : আগামী শুক্রবার রাউজানের চিকদাইর আব্দুল আলী বেপারী জামে মসজিদ সংলগ্ন হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র জসনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) ও বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (কঃ) “র চন্দ্রবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

    মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ চিকদাইর ২ শাখা ও করম আলী হাজীর বাড়ীসহ এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মধ্য দিয়ে চন্দ্রবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

    আজিমুশশান মাইজভান্ডারী সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। বর্ণাঢ্য র‌্যালীটি চিকদাইর ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিলাদ ক্বিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষে হয়।

    বর্ণাঢ্য র‌্যালীতে মোটর সাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সা যোগে হাজারো মাইজভান্ডারী আশেক ,ভক্ত অংশগ্রহণ করেন। শুক্রবার মাইজভান্ডারী সম্মেলনে দেশবরেণ্য আলেম-ওলামা ও শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবীগণ উপস্থিত থাকবেন।

  • আজ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন

    আজ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন

    আজ বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলন । সকাল ১১ টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন শুরু হবে।

    প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১২ সালের ১১ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে সম্মেলন স্থলের মঞ্চ এবং প্যান্ডেলসহ যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

    তিনি আরো জানান, এবারের সম্মেলনে ১৯শ ৭৫জন কাউন্সিলর এবং প্রায় ১৮ হাজার ডেলিগেট উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও অতিথি থাকবেন প্রায় ১৫ হাজার।

    নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে ১৩টি উপ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও সম্মেলন বর্ণাঢ্য এবং জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।