Tag: সম্রাট

  • সম্রাটের উন্নত চিকিৎসা দরকার : বিএসএমএমইউ

    সম্রাটের উন্নত চিকিৎসা দরকার : বিএসএমএমইউ

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের উন্নত চিকিৎসা দরকার বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান।

    সোমবার (১৬ মে) তিনি এ তথ্য জানান।

    নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুবলীগ নেতা সম্রাটের চিকিৎসার বিষয়ে বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। তার চিকিৎসা দেশেও হতে পারে বিদেশিও হতে পারে।

    হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, সম্রাট এখনও চিকিৎসাধীন, পুরোপুরি সুস্থ নন। আজ সকালেও তাকে চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। কিছু ওষুধ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। আরও ৩-৪ দিন পর্যবেক্ষণ করে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

    ‘তবে কার্ডিওলজিস্টদের বক্তব্য অনুযায়ী, সম্রাটের অ্যাডভান্সড স্টেজের চিকিৎসা দরকার। সত্যি কথা বলতে আমাদের দেশে সেই স্টেজের চিকিৎসার সুযোগ এখনও তৈরি হয়নি। দেশের বাইরে চিকিৎসাগুলো অ্যাভেইলেবল আছে। বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী এই চিকিৎসাটি বাইরে করানো গেলেও ভালো,’- যোগ করেন তিনি।

    এর আগে গত ১২ মে সম্রাটের উন্নত চিকিৎসা দরকার বলে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম।

    গত বুধবার (১১ মে) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের তিন শর্তে ও ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

    শর্তগুলো হচ্ছে- আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না সম্রাট, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আগামী ধার্য তারিখে জমা দিতে হবে।

    সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা চারটি হলো- অস্ত্র, মাদক, অর্থপাচার এবং দুদকের দায়ের করা মামলা। বর্তমান সব মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।

    সবশেষ বুধবার (১১ মে) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের করা মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট।

    ক্যাসিনোকাণ্ডে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

  • সব মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট, মুক্তিতে বাধা নেই

    সব মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট, মুক্তিতে বাধা নেই

    অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারের মামলার পর এবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় জামিন পেলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

    বুধবার (১১ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।

    তার আইনজীবী মাহবুবুল আলম দুলাল গণমাধ্যমকে জানান, সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারের মামলায় ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন তিনি। কারাগারে ছিলেন দুদকের মামলায়। এ মামলায় জামিন মঞ্জুর হওয়ায় তার কারামুক্ত হতে আর কোনো বাধা থাকল না।

    সম্রাটের পক্ষের অপর আইনজীবী মো. হাবিবুর রহমান জানান, তিন শর্তে দুদকের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। অসুস্থতা বিবেচনায়, বিদেশে না যাওয়া ও প্রতিটি ধার্য তারিখে হাজিরার শর্তে জামিন দিয়েছেন আদালত।

    এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল একই আদালত এ মামলায় সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন।

    গত ১১ এপ্রিল ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন। তার আগে, ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।

    দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

    ক্যাসিনো কাণ্ডে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

  • মাদক মামলায় সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    মাদক মামলায় সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    রাজধানীর রমনা থানার একটি মাদক মামলায় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে র‌্যাব।

    আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমানের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ পরিদর্শক আব্দুল হালিম। আগামী ১৫ ডিসেম্বর মামলাটির ধার্য তারিখ রয়েছে।

    কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে ৬ অক্টোবর ভোর রাতে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব।
    গত ৬ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে প্রবেশ করে অভিযান শুরু করে।

    সম্রাট নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
    অন্যদিকে, আরমানকে গ্রেফতার করার সময় তাকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার পকেটে ১৪০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে মাদক সেবনের দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত আরমানকে ছয় মাসের কারাদ- দেন।

    র‌্যাব-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সসম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করেন।

    মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়।

  • সম্রাট দুর্নীতি মামলায় রিমান্ডে

    সম্রাট দুর্নীতি মামলায় রিমান্ডে

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে দুদকের আবেদনে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    রোববার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল দুদক। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চাইলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।

    ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

    মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    মামলায় অভিযোগ করা হয়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো বসিয়ে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। এ অর্থে তিনি ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

    সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে তার ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে মর্মে মামলায় উল্লেখ করা হয়। গত ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

  • সম্রাটকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র মামলায় র‌্যাবের চার্জশিট

    সম্রাটকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র মামলায় র‌্যাবের চার্জশিট

    যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে অভিযুক্ত করে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় চার্জশিট দিয়েছে র‌্যাব।

    আজ বুধবার ঢাকার মে‌ট্রোপ‌লিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক এ চার্জশিট জমা দেন।

    ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই তাকে গ্রেফতার করা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। পরে গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এসময় তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    পরে ৬ অক্টোবর দুপুরে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    এছাড়াও গত ৭ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে।

    এই দুই মামলায় গত ১৫ অক্টোবর আদালত সম্রাটকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২৪ অক্টোবর তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে।

  • সম্রাটের সহযোগী জাকির আটক

    সম্রাটের সহযোগী জাকির আটক

    যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সহযোগী জাকির হোসেনকে ভোলা সদর উপজেলা থেকে আটক করেছে র‌্যাব।

    এ সময় জাকিরের কাছ থেকে একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও চার বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

    মঙ্গলবার বিকালে জাকিরকে ভোলা জেলা শহরের চরনেয়াবাদ এলাকায় নতুন পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন তার নানা শ্বশুরের বাড়ি থেকে আটক করে র‌্যাব। রাতেই তাকে ভোলা সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

    ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও চার বোতল বিদেশি মদসহ জাকির হোসেনকে আটক করেছে র‌্যাব।

    র‌্যাব বাদী হয়ে ভোলা থানায় মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় জাকিরকে ক্যাসিনো খ্যাত সম্রাটের ব্যবসায়িক পার্টনার উল্লেখ করা হয়েছে।

    জাকির হোসেন (৪৫), তার বাবার নাম আবদুল মান্নান, সাং- শান্তি নগর, ঢাকা, নাম পরিচয়ের এক ব্যক্তিকে র‌্যাব সদস্যরা আটক করে ভোলা থানায় হস্তান্তর করেছে বলে জানায় পুলিশ।

  • সম্রাট-আরমানকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর

    সম্রাট-আরমানকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ঢাকা কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ সময় তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকেও তার সঙ্গে পাঠানো হয়।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে তাদের দুজনকে প্রিজন ভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুরের দিকে নিয়ে যায় পুলিশ।

    জানা গেছে, সম্রাটকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর তার জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়। দেশের কারাগারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারগারে। এ কারণেই সম্রাটকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে আরমানকেও পাঠানো হয়।

    সূত্র জানায়, সম্রাট বড় মাপের গডফাদার। তার রয়েছে বাহিনীও। ক’দিন আগে সম্রাটকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পর তার বাহিনীর লোকজন মুক্তির দাবিতে মিছিল করে।
    গত ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটো মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৫ অক্টোবর মাদক ও অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে ১০ দিন তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।

    জিজ্ঞাসাবাদের পর গত ২৪ অক্টোবর সম্রাটকে ঢাকার আদালতে ফেরত পাঠানো হয়। পরে তাকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তখন থেকেই তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

  • সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

    সম্রাটের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

    যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা আমলে না নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সম্রাটের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করলেও শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    এর আগে গত ১৫ই অক্টোবর অস্ত্র মামলায় পাঁচদিন ও মাদক মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। বৃহস্পতিবার তাকে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়। র‌্যাব-১ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় এই মামলা দুটি দায়ের করে।

    গত ৬ই অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাটকে আটক করা হয়। পরের দিন, কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে পশুর চামড়া, বিদেশি মদ উদ্ধার করে র‌্যাব। পশুর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

  • ক্যাসিনো থেকে মাসে চার লাখ টাকা নিতেন মেনন

    ক্যাসিনো থেকে মাসে চার লাখ টাকা নিতেন মেনন

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের কাছ থেকে প্রতি মাসে ক্যাসিনো ব্যবসার টাকা থেকে চাঁদা নিতেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।

    আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন সম্রাট।

    শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে র‍্যাব সদর দফতরের লে. কর্ণেল পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ওই সূত্র আরও জানায়, সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া পরিচালিত ক্যাসিনোর টাকার ভাগ পেতেন ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তাকে প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকা করে দিতেন সম্রাট আর খালেদ। সবশেষ এই টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে না দেওয়ায় গালাগালিও করেছেন তিনি।

    সম্রাটের মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট র‍্যাবের এই তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, সম্রাটের দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১০ দিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিন শেষে র‌্যাবকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সম্রাট।

    প্রসঙ্গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সম্রাট। পরে ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করে র‌্যাব।

    সবশেষ মঙ্গলবার সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র ও মাদক মামলায় ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।

    ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযানটি চালানো হয় ফকিরাপুরের ইয়ংমেনস ক্লাবে। ক্লাবটির চেয়ারম্যান স্থানীয় সাংসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

    অবশ্য ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন রাশেদ খান মেনন এমপি।

    তিনি বারবারই গণমাধ্যমে বলছেন, ক্লাব পরিচালনা ও ক্যাসিনোর সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তার দাবি, চেয়ারম্যান পদটি আলংকারিক, দায়িত্বের না।

  • ১০ দিনের রিমান্ডে সম্রাট

    ১০ দিনের রিমান্ডে সম্রাট

    যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে দুপুর পৌনে একটায় শুনানি শুরু করেন। শুনানি শেষে তিনি এ আদেশ দেন।

    ৯ অক্টোবর রমনা থানার মাদক ও অস্ত্র আইনের মামলায় গত ৭ অক্টোবর ২০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ।

    কিন্তু এরই মধ্যে সম্রাট বুকে ব্যথা উঠলে কারাকর্তৃপক্ষ প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল ও পরে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে সম্রাট চিকিৎসাধীন থাকায় তার রিমান্ড শুনানি হয়নি।

    রিমান্ড শুনানিতে আসামি উপস্থিত থাকার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিধায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী রিমান্ড শুনানির জন্য আজ ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন। ওইদিন আসামিদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী আদালতে একটি চিঠি পাঠান।

    গত ০৭ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে র‌্যাব-১ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের করে। দুই মামলারই বাদী র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক। মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়েছে।

    ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। সম্রাটকে প্রথমে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তাকে ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।

  • সম্রাটকে মুক্তি দিতে মায়ের আকুল আবেদন

    সম্রাটকে মুক্তি দিতে মায়ের আকুল আবেদন

    ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁর মা সায়েরা খাতুন।

    রবিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি এ অনুরোধ জানান। সম্রাটের মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে সায়েরা খাতুন প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্য বলেন, ‘আপনি মানবতার মা। সম্রাট যেমন আমার সন্তান তেমনি আপনারও সন্তানতুল্য। সম্রাট ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী। তার শারীরিক অবস্থা খুব-ই খারাপ। মা হিসেবে আপনার কাছে আমার আকুল আবেদন সম্রাটকে মুক্তি দিন। উন্নত চিকিৎসা দিয়ে তার প্রাণভিক্ষা দিন।’

    পরে সম্রাটের মা অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্রাটের বোন ফারহানা চৌধুরী শিরিন।

    মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ফারহানা চৌধুরী শিরিন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী জননী, মানবতার মা, সম্রাট আপনার কর্মী, আপনার সন্তানতুল্য, সম্রাট আপনার সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী নয়। আমি একজন মা হিসেবে আপনার কাছে আকুতি করছি সম্রাটের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে ওকে মুক্ত করে দিন। ওকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়ে আমার সন্তানের জীবন রক্ষা করুন।’

    সম্রাটের অফিসে ইয়াবা ও অস্ত্র পাওয়ার ঘটনাকে এসময় পরিকল্পিত ও সাজানো বলে দাবি করা হয়।

    বলা হয়, সম্রাটের বাইপাস সার্জারি করে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক মদ্যপান তার জন্য মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই সে জেনেশুনে কখনো মদ পান করবে না।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, সম্রাট গ্রেফতারের ১০ দিন আগ থেকে অফিসেই ছিল না, অফিস ছিল অরক্ষিত। শরীর খারাপ থাকায় অন্যত্র অবস্থান করছিলেন তিনি। তার অফিসে মদ, ইয়াবা, পিস্তল কিছুই ছিল না। আমাদের আশংকা এটি পরিকল্পিত সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই না।

    লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে প্রতিটি ক্লাব পরিচালনা করার জন্য কমিটি রয়েছে। আমার সন্তান সম্রাট কোনও ক্লাবের পরিচালনা কমিটির সদস্য নয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশে তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে।

    আরও বলা হয়, বন্যপ্রানী সংরক্ষণ আইনে যে মামলায় তাকে ৬ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে সে মামলার আদেশ আমরা এখনও হাতে পাইনি। ক্যাঙ্গারু বাংলাদেশি বন্যপ্রাণী নয় এবং বাংলাদেশে এই প্রাণীটির বিচরণ দেখা যায় না। যেহেতু ক্যাঙ্গারুটি বাংলাদেশে শিকার করা হয়নি তাই এটি বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের মধ্যে পড়ে না। উক্ত ক্যাঙ্গারুর চামড়াটি এক প্রবাসী বাংলাদেশি তাকে উপহার হিসেবে প্রদান করে বিধায় এটি আইন বিরোধী কাজও নয়, এজন্য সাজা দেয়ারও বিধান নেই।

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৬ অক্টোবর রবিবার আমার সন্তানকে গ্রেফতার করা হয়। যে স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় সে স্থান থেকে কোনও প্রকার অস্ত্র কিংবা মাদক পাওয়া যায় নাই। কিন্তু আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পেলাম তাকে কাকরাইল অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং প্রায় ৪ ঘণ্টা ১৭ মিনিট তার অফিস তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি চলাকালীন সময়ে কোনও গণমাধ্যমকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

    লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, সম্রাটকে নিয়ে অফিসের ভেতরে প্রবেশের সময় বিভিন্ন মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচারে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু লোক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করে এবং অফিস থেকে বের হওয়ার সময় ওই সকল ব্যাগ লক্ষ্য করা যায়নি।

    পরিশেষে বলতে চাই, সম্রাট জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার তৃণমূলের পরীক্ষিত কর্মী। তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্রাটের ছোট ভাই রাসেল আহমেদ চৌধুরী।

  • জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সম্রাট

    জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সম্রাট

    কারাগারে অসুস্থবোধ করায় ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। এর আগে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

    মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তাকে ঢামেকে আনা হয়।

    ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদ জানান, সম্রাটকে ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসকরা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরামর্শ অনুযায়ী সম্রাটকে হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

    ঢামেক সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সম্রাট কারাগারে অসুস্থবোধ করায় তাকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছিলেন কারারক্ষীরা। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে হৃদরোগ বিভাগে রেফার করেছেন।

    সম্রাটের সঙ্গে থাকা কারারক্ষী মুজাহিদুল জানান, তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষী ও পুলিশি পাহারায় তাকে ঢামেকে আনা হয়েছিল।

    এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

    ওই গ্রামের মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে রোববার (০৬ অক্টোবর) দিনভর রাজধানীতে সম্রাট ও আরমানের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব।

    এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

    এরপর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর আরমানের জায়গা হয় কুমিল্লা কারাগারে।