Tag: সম্রাট

  • সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র-মাদক আইনে ২ মামলা

    সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র-মাদক আইনে ২ মামলা

    যুবলীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা মডেল থানায় র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।

    রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, রমনা থানায় দুটি মামলা দেওয়া হয়েছে। একটি অস্ত্র আইনে অন্যটি মাদক আইনে।

    ওসি মাইনুল বলেন, ‘এখন মামলা দুটি দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা হয়েছে। আর মাদক আইনে মামলাটি হয়েছে সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের নামে।’

    কাকরাইল মোড়ের প্রগতি ভবনে সম্রাটের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত পিস্তল ও মাদকসহ বিভিন্ন আলামত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    গত রবিবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে ক্যাসিনোকাণ্ডে নাম ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে আটক করে র‌্যাব। এরপর এদিন দুপুরে তাকে সঙ্গে নিয়েই কাকরাইলে কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব।

    র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল চার ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ১৬০ পিছ ইয়াবা, একটি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, ১৯ বোতল বিদেশি মদ ও দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়াসহ জব্দ করে। পাওয়া যায় বৈদ্যুতিক শক দেয়ার দুটি মেশিনও। এরপর বন্যপ্রানী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় সম্রাটকে।

  • সম্রাট কেরানীগঞ্জ কারাগারের বিশেষ সেলে

    সম্রাট কেরানীগঞ্জ কারাগারের বিশেষ সেলে

    কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়েছে সদ্য গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বরখাস্ত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে। সেখানে কারা কর্তৃপক্ষের কৃপায় সম্রাটকে একটি বিশেষ সেলে রাখা হয়েছে। অবশ্য কারা কর্তৃপক্ষ বিশেষ সেলের বিষয়টি গোপন করে যাচ্ছে। সেখানেই থাকবেন সম্রাট।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারা অফিসার জানান, জেলে সম্রাটের লোকজনের অভাব নেই। তিনি এখানে ভালো থাকবেন। টেনশন মুক্ত থাকবেন। কারাবিধি অনুযায়ী তাকে সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।

    তিনি জানান, তাকে নেয়ার পর কারাগারের মূল ফটকের পাশে বন্দি চেকআপে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। কারাগার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বিপ্লব কুমার সম্রাটের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। এরপরই কারাগারের বন্দি আইনের অংশ হিসেবে সম্রাটের পরিচয়, শরীরের লক্ষ্যযোগ্য চিহ্নসহ বন্দির সকল তথ্য লিপিবদ্ধের মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

    এ সময় স্বজনরা তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাকে শুকনো খাবার, ব্যবহারিক কাপড়-চোপড়, ব্রাশ, টুথপেস্টসহ বিভিন্ন সামগ্রী দেন। এর পরই তাকে একটি বিশেষ সেলে নেয়া হয়েছে।

    এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, যুবলীগ নেতা কারাবন্দি সম্রাটকে সাধারণ বন্দির মতো প্রথম দফায় কারাগারের আমদানি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রাতে তাকে জেলকোড অনুযায়ী খাবার দেয়া হলেও তিনি খান নি। তাকে অনেকটা চিন্তিত দেখা গেছে।

    এ বিষয়ে কারা অধিদফতর ডিআইজি প্রিজন্স ঢাকা বিভাগ টিপু সুলতান বলেন, সন্ধ্যার পর যুবলীগ নেতা সম্রাটকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন। তাকে জেল কোড অনুযায়ী সকল সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।

    সম্রাটকে তার কার্যালয় থেকে বের করে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টায় তাকে নিয়ে রওয়ানা হয় র‌্যাব। এর আগে তার কার্যালয়ে বন্যপ্রাণির চামড়া রাখার দায়ে ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ছয় মাসের জেল দিয়েছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

    রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। কার্যালয় থেকে একটি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও দুটি বণ্যপ্রাণির চামড়া পাওয়া যায়।

  • সম্রাটকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হচ্ছে

    সম্রাটকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হচ্ছে

    ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে আটক সদ্য বহিষ্কৃত যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান শেষে তাকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    রোববার (০৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে অভিযান শেষ করে র‌্যাব। অভিযান শেষে সড়ক পথে তাকে কারাগারে নেয়া হচ্ছে।

    এর আগে জল্পনা-কল্পনা শেষে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সহযোগী আরমানসহ তাকে আটক করে র‌্যাব। গ্রেফতারের পর তাকে সকালেই ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

    দুপুরে সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইল কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে র‍্যাব। কয়েক ঘণ্টার অভিযান শেষে কার্যালয় র‌্যাবের একটি গাড়িতে করে সম্রাটকে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

    অভিযান শেষে র‌্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ক্যাঙ্গারুর চামড়া, পাঁচটি গুলিসহ একটি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ ও কয়েক’শ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

    এদিকে সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার দায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ৬ মাসের জেল দিয়েছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরমানকে ৬ মাসের জেল দেয়া হয়েছে।

  • সম্রাটের ৬ মাসের কারাদণ্ড

    সম্রাটের ৬ মাসের কারাদণ্ড

    ক্যাসিনো ব্যবসায়ী বিতর্কিত ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    সম্রাটকে আটকের পর রোববার দুপুর থেকে তার কার্যালয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় সেখান থেকে দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, অবৈধ অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও টর্চার করার ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতী উদ্ধার করা হয়।

    পরে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে অবৈধভাবে বন্য প্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের অপরাধে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

    র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিভিন্ন অপরাধে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হবে। এসব মামলায় আদালতে উপস্থিত করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডে আনলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

    এর আগে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাদেরকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

    আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকার জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। জুয়া খেলাই তার পেশা ও নেশা। প্রতি মাসে ঢাকার বাইরেও যেতেন জুয়া খেলতে।

    সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

    এর পর ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জিকে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। প্রকাশ্যে চলে আসে সুন্দর অবয়বের আড়ালে সম্রাটের কুৎসিত জগৎ। এতে করে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।

  • সম্রাটের অফিস থেকে অস্ত্র, মদ, ইয়াবা, ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার

    সম্রাটের অফিস থেকে অস্ত্র, মদ, ইয়াবা, ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার

    যুবলীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের কাকরাইলের অফিসে প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। অভিযানে অস্ত্র, বিদেশি মদ, ইয়াবাসহ হরিণ ও ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে।

    আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে তার কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে অবস্থিত অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে প্রবেশ করে র‌্যাব। এর কয়েক মিনিট পরে হেলমেট পরিয়ে সম্রাটকেও নেওয়া হয় তার কার্যালয়ে।

    প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই অভিযানে এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, বেশ কিছু বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, দুটি ইলেকট্রিক শক মেশিন, একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

  • সম্রাটকে নিয়ে অফিস তল্লাশিতে র‌্যাব

    সম্রাটকে নিয়ে অফিস তল্লাশিতে র‌্যাব

    ক্যাসিনো-কাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে কাকরাইলে তার অফিসে নেওয়া হয়েছে।

    রবিবার বেলা সোয়া একটার দিকে র‌্যাব হেডকোয়ার্টার থেকে একটি দল গাড়িতে করে সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের চতুর্থ তলায় সম্রাটের কার্যালয়টি ঘিরে ফেলে। পরে হাতুড়ি দিয়ে কার্যালয়ের তালা ভেঙে সম্রাটকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় সম্রাটের মাথায় হেলমেট পড়া ছিল।

    অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। কার্যালয়টিতে তল্লাশি চালানো হবে বলে র‌্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে।

    সূত্রটি জানায়, অভিযানের অংশ হিসেবে সম্রাটকে কাকরাইলে তার কার্যালয়ে আনা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

    সম্রাটকে কাকরাইলে আনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় শত শত মানুষ ভিড় করেছে। তাদের সরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

    এর আগে রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে। সম্রাটের সঙ্গে আরমান নামে তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব

  • সম্রাট যুবলীগ থেকে বহিষ্কার

    সম্রাট যুবলীগ থেকে বহিষ্কার

    গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে সংগঠনটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ এ তথ্য জানান।

    উল্লেখ্য আজ রবিবার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

    রবিবার সকালে র‌্যাব-১ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করে।

    এতে বলে হয়, চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার ভোর ৫টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হলে আলোচনায় আসে সম্রাটের নাম। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে তাকে আটকের।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, দেশে ক্যাসিনো বাণিজ্যের মূলহোতা সম্রাট। অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া লোকজন জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছে।

    গোয়েন্দা সূত্র জানায়, সম্রাট চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের শুরু থেকে তাদের নজরদারিতে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিলেন।

  • সম্রাট সহযোগী আরমানসহ গ্রেফতার

    সম্রাট সহযোগী আরমানসহ গ্রেফতার

    প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে।

    র‌্যাব জানায়, চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার ভোর ৫টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমান কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের মুখপাত্র সারওয়ার-বিন-কাশেম সম্রাটকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    গোয়েন্দা সূত্র জানায়, যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট চলমান ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানের শুরু থেকে তাদের নজরদারির মধ্যেই ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিলেন। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি।

    একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানাযায়, কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নেরকুঞ্জশ্রীপুর চৌধুরী বাড়ি থেকে রাতে সম্রাটকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করা হয় নি।সম্রাটের সঙ্গে তার সহযোগী আরমানও গ্রেফতার হয়েছে বলে জানা গেছে।

    রোববার সকাল পৌনে ৯টার দিকে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মাহফুজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের নলেজে নাই।

    এ ব্যাপারে র‌্যাব- ১১এর কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মোহাম্মদ মহিতুল ইসলাম রোববার সকাল সকাল ৯টায় বলেন, এ বিষয়ে কুমিল্লা র‌্যাব কিছুই জানে না। হয়তোবা ঢাকার র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করতে পারে। আবার নাও করতে পারে।

    প্রসঙ্গত আলোচিত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকার জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। জুয়া খেলাই তার পেশা ও নেশা। প্রতিমাসে ঢাকার বাইরেও যান জুয়া খেলতে।

    সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

    এরপর ধরা পড়েন রাজধানীর টেন্ডার কিং আরেক যুবলীগ নেতা জিকে শামীম। এ দুজনই অবৈধ আয়ের ভাগ দিতেন সম্রাটকে। তারা গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের অবৈধ ক্যাসিনো সাম্রাজ্য নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। প্রকাশ্যে চলে আসে সুন্দর অবয়বের আড়ালে সম্রাটের কুৎসিত জগত। এতে করে বেকায়দায় পড়েন সম্রাট।

    এর পর গা ঢাকা দেন যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। আড়ালে থেকেই গ্রেফতার থেকে বাঁচতে নানা তৎপরতা শুরু করেন। ফন্দিফিকির শুরু করেন কীভাবে নিজেকে বাঁচানো যায়।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সরকারের উচ্চ মহলের ‘গ্রিন সিগন্যালের’ অপেক্ষায় রয়েছিল।

    এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, ‘অপেক্ষা করুন, যা ঘটবে দেখবেন। আপনারা অনেক কিছু বলছেন, আমরা যেটি বলছি ‘সম্রাট’ হোক আর যেই হোক, অপরাধ করলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনব। ‘আমি এটি এখনও বলছি- সম্রাট বলে কথা নয়; যে কেউ আইনের আওতায় আসবে। আপনারা সময় হলেই দেখবেন।’

  • সম্রাটসহ চার জনের লকার-ভল্ট স্থগিতের নির্দেশ

    সম্রাটসহ চার জনের লকার-ভল্ট স্থগিতের নির্দেশ

    মাদক-সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতিবিরোধী চলমান অভিযানে আটক ও অভিযুক্ত যুবলীগের চার প্রভাবশালী নেতা ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৩ প্রতিষ্ঠানের অর্থ বা সম্পদ কোনো ব্যাংকের লকার বা ভল্টে থাকলে তাতে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের অ্যাকাউন্টগুলো স্থগিত করতে বলা হয়েছে।

    যুবলীগের আলোচিত ওই চার নেতা হলেন- যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও যুবলীগ নেতা টেন্ডার কিং জি কে শামীম এবং যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। তাদের প্রতিষ্ঠানের অর্থ বা সম্পদ ব্যাংকের লকার, ভল্টসহ যেখানে যে অবস্থায় আছে সেভাবেই স্থগিত রাখতে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে নির্দেশ দেয়া হয়।

    এছাড়া তাদের এফডিআর, ক্রেডিট কার্ড ও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করা অর্থও জব্দ করতে বলেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি)। ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় সিআইসি।

    এতে বলা হয়, আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর ১১৬-এ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদের কারও যদি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থাকে তাও স্থগিত থাকবে। এদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

    বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে সিআইসির পাঠানো চিঠিতে দেখা যায়, সম্রাটের প্রতিষ্ঠান তিনটি। এগুলো হচ্ছে- মেসার্স শারমিন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স হিজ মুভিজ ও প্রিন্সিপাল রিয়েল এস্টেট।

    জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠান দুটি হল- মেসার্স জি কে বিল্ডার্স ও জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড। খালেদের প্রতিষ্ঠান হল মেসার্স অর্পণ প্রপার্টিজ।

    নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সাতটি প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলো হচ্ছে- মেসার্স নাওয়াল কনস্ট্রাকশন, মেসার্স আয়েশা ট্রেডার্স, মেসার্স নাওয়াল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিদ্যানিকেতন প্রি-ক্যাডেট স্কুল, নাওয়াল কনস্ট্রাকশন, মেসার্স ফারজানা বুটিক, মেসার্স ইনটিশার ফিশারিজ ও মেসার্স ডিজিটাল টেক।

    সিআইসির চিঠিতে বলা হয়, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত যে কোনো মেয়াদি আমানত (এফডিআর এসটিডি), মেয়াদি সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে হবে।

    এছাড়া এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কার্ড, ব্যাংকের লকার বা ভল্টে রাখা যে কোনো সম্পদ, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ স্থগিত করার পাশাপাশি অন্য যে কোনো ধরনের সেভিং ইনস্ট্রুমেন্ট বা ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট থাকলে তাও স্থগিত করতে হবে।

    এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর এসব ব্যক্তির সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। পরদিন সাত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশ দেয় সিআইসি।

    শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে ১৮ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, ২০ সেপ্টেম্বর সাত দেহরক্ষী নিয়ে জি কে শামীমসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অবৈধ ক্যাসিনোসহ নামে-বেনামে নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এরা। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে র‌্যাব। ঢাকায় ক্লাব ব্যবসার নামে একাধিক ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় সব টেন্ডারে ভাগ বসানোর অভিযোগ রয়েছে।

    শুদ্ধি অভিযানে খালেদ ও শামীম গ্রেফতা হলে গা-ঢাকা দেন ক্যাসিনোর হর্তাকর্তা ইসমাইল হোসেন সম্রাট। নুরুন্নবী শাওনও আড়ালে চলে যান। আর দেশত্যাগ করেন সম্রাটের আরেক সহচর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মমিনুল হক সাঈদ।