Tag: সরকার

  • ফুটবলের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    ফুটবলের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ফুটবল জনপ্রিয় খেলা। এই খেলা প্রসারের লক্ষ্যে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।

    শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতেন, আমার ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালও ফুটবল খেলতেন। এখন আমাদের নাতি নাতনীরাও ফুটবল খেলছে। দেশের এই জনপ্রিয় খেলার উন্নতির লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা সরকার অব্যাহত রাখবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন। খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার চর্চা গড়ে ওঠে। এতে নিজেকে দেশের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলা যায়। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে নিজেকে দেশের জন্য প্রস্তুত করে তোলা যায়। এ জন্য প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হচ্ছে। সময় পেলে আমি নিজেও ফুটবল খেলা উপভোগ করি।

    এই আয়োজনের জন্য বিএবিকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা এগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা না করলে হয় না। এমন আয়োজনের মাধ্যমে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে, যাতে করে দেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হতে পারে বিশ্ব-পরিমণ্ডলে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকে খেলাধুলা ঠিক মতো না করলে কীভাবে চলবে? এজন্য প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। একদিন আমাদের খেলোয়াড়রাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পারদর্শিতা দেখাবে।

    তিনি বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার চর্চাও গড়ে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ফুটবল খেলা হয়েছে। এছাড়া আমার দাদা ফুটবল খেলতেন, বাবাও খেলতেন, ছোট ভাইয়েরা খেলত, এখন নাতিরাও দেখছি ফুটবলই খেলে। ভোরে নামাজ পড়ার পর সময় পেলে নিজেও ফুটবল খেলা দেখি।

  • ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল

    ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল

    সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৭৩৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ কমে যাওয়ায় গত অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। সরকার এমন একসময়ে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়েছে, যখন অনেক ব্যাংক তারল্য সংকটের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার করে চলছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের ব্যাংক ঋণের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

    দেশে দুই বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের আশপাশে রয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় ক্ষমতাও কমেছে। এসব কারণে গত মে পর্যন্ত এক বছরে ব্যাংক খাতের আমানত বেড়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আবার গত অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোর কাছে ১২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা ঢুকেছে। এসবের প্রভাবে অনেক ব্যাংক তারল্য সংকটে রয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক গত সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৭ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা ধার নিয়েছে। একই দিন আন্তঃব্যাংক কলমানিতে ধারের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ ১২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ সুদহার উঠেছে ১৪ দিন মেয়াদি ধারে। আর ট্রেজারি বিলে এখন ১১ দশমিক ৮০ এবং ট্রেজারি বন্ডে ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ সুদে সরকার ঋণ নিচ্ছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের ঋণ চাহিদার কারণে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে সুদহার অনেক বেড়েছে। এমনিতেই ব্যাংকের ওপর আস্থা কমায় আমানতে গতি কম। এর মধ্যে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বেশি সুদ পাওয়ায় ব্যাংক, করপোরেট হাউস এবং ব্যক্তি সেখানে চলে যাচ্ছে। সঞ্চয়পত্রও সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। এটা ভালো লক্ষণ নয়। কেননা, ব্যাংকের হাতে টাকা না থাকলে বেসরকারি খাত বাধাগ্রস্ত হবে। ব্যবসা ও বিনিয়োগ কমে কর্মসংস্থানে প্রভাব ফেলবে। আবার সরকারের ঋণ বৃদ্ধি সামষ্টিক অর্থনীতির ভারসাম্যে সমস্যা তৈরি করবে।

    প্রসঙ্গত, দেশি-বিদেশি উৎসে দ্রুত সরকারের ঋণ বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছর সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের মূল বাজেটে সুদ পরিশোধে ৯৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও সংশোধিত বাজেটে বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। মূলত বিভিন্ন উৎসে এখন সরকারের ঋণ রয়েছে ১৮ লাখ কোটি টাকার মতো। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬০ কোটি টাকার মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকে রয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশ ব্যাংকে ১ লাখ ৫১ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। আর সঞ্চয়পত্রে গত মে পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।

    গত মার্চ পর্যন্ত বিদেশি ঋণ ছিল ৭ হাজার ৯০০ কোটি ডলার, যা প্রায় ৯ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

    গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণ বৃদ্ধির ফলে একদিকে ব্যক্তি খাতের ঋণ সংকুচিত হবে। ঋণ পাওয়া আরও কঠিন হবে। আরেক দিকে সরকারের সুদ ব্যয় বেড়ে সামষ্টিক অর্থনীতিতে চাপ বাড়বে। এমনিতেই এখন কর-জিডিপি অনুপাত অনেক কম। এর মধ্যে সুদ ব্যয় অনেক বেড়ে যাওয়া ভালো খবর নয়।

    চলতি অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। গত অর্থবছরের মূল বাজেটে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে করা হয় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র থেকে এবার ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত অর্থবছর ১৮ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকা করা হয়। যদিও জুলাই-মে পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ উল্টো কমেছে ১৭ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা।

  • সরকারি খরচে বিজনেস ক্লাসে বিদেশ ভ্রমণ নয়

    সরকারি খরচে বিজনেস ক্লাসে বিদেশ ভ্রমণ নয়

    সরকারি ব্যয়ে আকাশ পথে বিজনেস ক্লাসে (প্রথম শ্রেণি) বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করা হয়েছে। কোভিড-পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে নানামুখী পদক্ষেপের আওতায় এ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বুধবার (৩১ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম. এম. ইমরুল কায়েস।

    তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারি খরচে আকাশ পথে বিজনেস ক্লাসে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করা হয়েছে। আজ (বুধবার) এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী সই করেছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি খরচে আকাশ পথে বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণের সুবিধা স্থগিত থাকবে।

    এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। এবারের বাজেটে ডলার সংকট, রিজার্ভ কমে যাওয়া ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। মূলত ডলারের ব্যয় কমাতেই সরকারি খরচে আকাশ পথে বিজনেস ক্লাসে বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করল সরকার।

    বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গত বছরের ১২ মে একটি পরিপত্র জারি করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়।

    পরে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের শর্ত কিছুটা শিথিল করে সরকার। সীমিত আকারে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কর্মকর্তাদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে আদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর ৯ নভেম্বর আবারও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার।

  • সরকারকে বেকাদায় ফেলতে এক শ্রেণির সুশীল সমাজ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে

    সরকারকে বেকাদায় ফেলতে এক শ্রেণির সুশীল সমাজ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে

    যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, গণতান্ত্রিক সরকারকে বেকাদায় ফেলতে এক শ্রেণির সুশীল সমাজরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। নীল নকশা তৈরি করছে একটি মহল। এ অপচেষ্টা বাস্তবায়ন করতে এক-এগারোর কুশীলবরা উঠে পড়ে লেগেছে।

    আপনারা চাইছেন নির্দলীয় সরকারের হাতে নির্বাচন করার জন্য। অসংবিধানিক পন্থায় একটি সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে নিজেরা সুবিধা আদায় করতেন। বর্তমানে যুব সমাজ এত বোকা নয়।

    মানবিকতা ন্যায়পরায়ণতা স্বচ্ছতা দিয়ে যুবলীগ এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদেরও এসব যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

    সোমবার (৩০ মে) দুপুর ১২ টায় নগরীর পাঁচলাইশের দি কিং অব চিটাগাং কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর যুবলীগের সম্মেলন উদ্বোধনী বক্তব্যে পরশ এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করাতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কিছু কিছু গণমাধ্যম উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে হাজির হয়েছে।

    চক্রান্তকারীদের উদ্দ্যেশে পরশ বলেন, ভুলে যাবেন না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন জনগণই তাঁর শক্তি। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে৷ তিনিই ন্যায়ের প্রতীক।

    প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সততা, নিষ্ঠার মাধ্যমে নিজের কার্যক্রম তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বড় নিরপেক্ষ কে আছেন? আগামী নির্বাচন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা অধীনে অনুষ্ঠিত হবেও বলেও জানান তিনি।

    পরশ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। ২০২৩ সালে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় আনতে পরিশ্রম করতে হবে।

    নগর যুবলীগকে নির্দেশনা দিয়ে পরশ বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক হতে হবে, গ্রুপিং বন্ধ করতে হবে, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করতে হবে।

    মহানগর যুবলীগের আহ্বয়ক ফরদি উদ্দীনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

    এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন চৌধুরী, সিডিএর চেয়ারম্যান জহিরুল দোভাষ প্রমুখ নের্তৃবৃন্দরা উপস্থিত আছেন।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব

  • সরকারের ডেল্টা প্ল্যানের অংশীদার হতে​ তরুণদের দেখতে হবে

    সরকারের ডেল্টা প্ল্যানের অংশীদার হতে​ তরুণদের দেখতে হবে

    চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, চুয়েটের একাডেমিক সিলেবাসকে বিশ্ববাজারের উপযোগী করে প্রণয়ন করা হয়েছে।

    বিশ্বমানের ও অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। প্রত্যেকটা বিভাগে আবশ্যিকভাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট রাখা হয়েছে।

    এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে এবার সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখতে হবে।আলোকিত মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক পড়াশোনার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।”​

    চুয়েট ভিসি আরও বলেন, “বর্তমান সময়টা বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির। ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তরুণদের চাকরির পাশাপাশি নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার জন্য চুয়েটে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

    এছাড়া চট্টগ্রামকে ঘিরে বর্তমানে সরকারের অনেক মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। সেখানে প্রকৌশলীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রকৌশলী হিসেবে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ রয়েছে। সরকারের ডেল্টা প্ল্যানের গর্বিত অংশীদার হতে আজকের দিন থেকেই তোমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে।”​

    আজ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর সংলগ্ন বাস্কেটবল মাঠে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের (‘২০ ব্যাচ) ছাত্র-ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে​ “Inspiring Speech” বিষয়ে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর,​ “Academic Ordinance” বিষয়ে পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম,​ “Research Collaboration, Industry and University Interaction” বিষয়ে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক,​ “Campus Living Rules and General Rules” বিষয়ে স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান বক্তব্য রাখেন।

    এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। এছাড়া​ “Student Discipline Rules (General); Hall Accommodation and Hall Discipline Rules​ and​ Extra Curricular Activities” বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

    তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সম্পদ ঘোষ, মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানা এবং উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় এতে নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি জানিয়ে বক্তব্য দেন পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের পূজা তালুকদার ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অর্পণ দাশ তালুকদার।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন মানবিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাহিদা সুলতানা।

    ২৪ ঘন্টা/নেজাম রানা/রাজীব

  • ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার

    ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার

    ভোজ্যতেলের বিশেষ করে সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এখন থেকে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১১৫ টাকা আর বোতলজাত সয়াবিন ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে খুচরা বাজারে।

    বুধবার সচিবালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সামনে রমজান মাস, বর্তমানে যথেষ্ট মজুদ আছে। সব হিসেব-নিকেশ করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়।

    তিনি বলেন, প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) পাইকারি পর্যায়ে ১১০ টাকা, খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা আর মিলে গেটে ১০৭ টাকায় বিক্রি হবে।

    আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের মিল গেট মূল্য ১২৩ টাকা, পাইকারি মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিল গেট মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা।

    আর পাম সুপার তেলে প্রতি লিটার মিল গেটে মূল্য (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    সভায় বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ভোজ্য তেল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সরকার সর্বস্তরে নারীদের সমান অংশ গ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী

    সরকার সর্বস্তরে নারীদের সমান অংশ গ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, সরকার সমাজের সর্বস্তরে নারীদের সমান অংশ গ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে তারা সাহসিকতার সাথে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তাদের অবদান রাখতে পারে। বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারীর উন্নয়ন ছাড়া একটি সমাজ কখনোই এগুতে পারে না। কারণ সমাজের অর্ধেক নারী। আর যদি নারীরা নিজেদেরকে সমানভাবে গড়ে তুলতে না পারে, তবে এই সমাজ কিভাবে গড়ে উঠবে?’

    সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কোন সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পেছনে রেখে সে সমাজের নিজের পায়ে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।

    তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পরপরই সরকারি চাকরীতে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা রাখার মতো নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আর এ জন্যই বাংলাদেশে আজ নারী ক্ষমতায়নে এই ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা সম্ভব হয়েছে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ নারীদের উদ্যোক্তা করার পাশাপাশি তাদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যাতে তারা সাহসিকতার সাথে সমাজে তাদের স্থান করে নিতে পারে।

    তিনি বলেন, সরকার সব সময় দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে চায়। আর এ জন্যই সরকার নারী-শিক্ষা ও তাদের কর্মসংস্থানকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ‘নারীদের কর্মসংস্থানের ফলে পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে এবং ফলশ্রুতিতে দেশ দারিদ্র-মুক্ত হয়, তাই এটা সমাজের জন্য ভাল’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সব ধরনের চাকরীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি মিলনায়তনের অনুষ্ঠানটিতে যোগ দেন।

    বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি, অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। নারী ও শিশু বিষয়ক সচিব কাজী রওশন আখতার এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

    এর আগে, শিক্ষায় প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, নারীদের পেশাগত উন্নয়নে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নাজমা বেগম, নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মাঞ্জুলিকা চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বেগম মুশতারী শফি এবং নারী অধিকার ক্যাটাগরিতে ফরিদা আক্তার এই মর্যাদাপূর্ণ পদক গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এই পদকগুলো হস্তান্তর করেন।

  • সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত সুরক্ষায় সরকার বিজিবিকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন করে গড়ে তুলবে : প্রধানমন্ত্রী

    সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত সুরক্ষায় সরকার বিজিবিকে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন করে গড়ে তুলবে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালান এবং নারী-শিশু পাচার বন্ধে বিজিবিকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন করে গড়ে তুলবে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আমরা একটা আধুনিক যুগে প্রবেশ করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলেছি। কাজেই, আমাদের বর্ডার গার্ড সেভাবে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন হবে।’

    তিনি বলেন, তারা আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের সুরক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচারসহ সীমান্তে যেসব অপকর্ম হয় সেগুলো বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে আমরা বিশেষভাবে নজর দিয়েছি।

    প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর ৯৫তম ব্যাচ রিক্রুট মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

    তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজ, সাতকানিয়া, চট্টগ্রামের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।

    শেখ হাসিনা বিজিবি’র ৯৫তম রিক্রুট ব্যাচের সকল সদস্যকে সফলভাবে তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করায় অভিনন্দন জানিয়ে শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    তিনি বলেন, ‘সব সময় মনে রাখতে হবে যে কোন সুশৃঙ্খল বাহিনীর জন্য সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন শৃঙ্খলা। কাজেই, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাইকে চলতে হবে। বাংলাদেশ যে আদর্শ নিয়ে স্বাধীন হয়েছে। সে আদর্শ নিয়েই চলতে হবে এবং উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের আদেশ মেনে কর্তব্য পালনে নির্ভীক থাকতে হবে। আর অধঃস্তনদের প্রতিও সহমর্মিতার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশটাকে ভবিষ্যতে যেন আমরা আরো উন্নত করতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সকলে কাজ করবেন। সেটাই আমি চাই।’

    তিনি বিজিবি’র চার মূলনীতি-‘মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও দক্ষতায়’ উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে সকলকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।

    বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, এই দেশটা আমাদের, আপনাদের, আমাদের সকলের। এই দেশ উন্নত হলে আপনার বাবা-মা-ভাই-বোন এবং ভবিষ্যত বংশধরেরা সুন্দরভাবে বাঁচতে পারবে। সেই কথাটা সব সময় আপনাদের মনে রাখতে হবে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা করেন।

    বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বিজিবি ট্রেনিং সেন্টার থেকে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।

    প্রধানমন্ত্রীকে অনুষ্ঠান থেকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। তিনি নবীন সদস্যদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজও উপভোগ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর এই বাহিনীর ৩য় রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণের উল্লেখযোগ্য অংশ উদ্ধৃত করেন।

    জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আজ আপনাদের কাছে আমি অনেক বড় কর্তব্য দিয়েছি, অনেক বড় কাজ দিয়েছি। এ কাজ হলো চোরাচালান বন্ধ করা। তোমাদের কাছে আমার হুকুম, স্মাগলিং বন্ধ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, তোমরা পারবা। এ বিশ্বাস তোমাদের উপর আমার আছে। আশা করি, তোমরা স্মরণ রাখবা। মনে রাখতে হবে, স্মাগলারের কোন যাত নাই, ধর্ম নাই, তারা মানুষ নামের নর পশু। তারা এদেশের সম্পদকে বিদেশে চালান দেয় সামান্য অর্থের লোভে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বক্তব্যে জাতির পিতার যে নির্দেশনা রয়েছে, আমি আশা করি, আপনারা তা মেনে চলবেন। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি এই অপকর্মগুলো রোধ করতে আপনারা আন্তরিক ভাবে কাজ করবেন। কারণ, এই কথাগুলো এখনও প্রাসঙ্গিক।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ ও জাতির প্রতি সেবার মনোভাব নিয়ে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। দেশকে ভালবাসতে হবে, মানুষকে ভালবাসতে হবে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে এবং মনে রাখতে হবে এই দেশ অর্থনৈতিকভাবে যত উন্নত হবে আপনাদের পরিবারগুলোও উন্নত হবে।’

    শেখ হাসিনা করোনার সেকেন্ড ওয়েভ সম্পর্কে দেশবাসীকে পুণরায় সতর্ক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    শেখ হাসিনা করোনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার আমরা ৪০ ভাগ থেকে ২০ দশমিক ৫ ভাগে নামিয়ে এনেছিলাম এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম আরো ২/৩ ভাগ কমিয়ে আনার। কিন্তু করোনার কারণে সেটা কিছুটা হয়তো থেমে গেছে। যদিও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যে যেখানে আছেন (সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং চিকিৎসা কার্যে নিয়োজিত) তারা হয়তো অসুস্থ হচ্ছেন তারপরেও দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’

    তিনি এজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং করোনাকালীন জনগণের কষ্ট লাঘবে বিভিন্ন শ্রেনী পেশা এবং আম জনতার জন্য তাঁর সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন প্রণোদনার উল্লেখ করেন।

    তিনি বলেন, ‘আমরা সকলকেই সহযোগিতা করছি যাতে সকলে নিজ নিজ অবস্থানে সুরক্ষিত থাকতে পারেন এবং দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে পারেন।’

    ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই মুজিবর্ষে একটি মানুষও আর গৃহহারা থাকবে না। আর ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কালে দেশের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ¦লবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে আবারো করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, উল্লেখ করে তিনি বিজিবি সদস্যদের করোনাভাইরাস যেন ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, ‘নিজে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি পরিবারের সদস্য এবং বন্ধু-বান্ধবদের সুরক্ষিত রাখার উদ্যোগ নেবেন।’

    ‘করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবেলায় যা যা করণীয় তার সবই সরকার করছে’, উল্লেখ করে তিনি ভ্যাকসিন সংগ্রহেও তাঁর সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

    তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য আমরা টাকার বরাদ্দ দিয়ে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি।’

    শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের সময়ে বিজিবি’র উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

    তিনি বলেন, ’৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক ও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার কাজ শুরু করে। আমাদের আশু, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা বাংলাদেশকে যেমন গড়ে তুলছি তেমনি বিজিবিকেও ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

    জাতির পিতা ভারতের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি করে গেলেও ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো-জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার কেউই ভারতের সঙ্গে এই চুক্তির বাস্তবায়ন ঘটিয়ে বর্ডার গার্ডের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি, মর্মে অভিযোগ উত্থাপন করেন সরকার প্রধান।

    আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই কেবল দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সীমান্ত সমস্যার সমাধান করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    পাশাপাশি, সীমান্তের উন্মুক্ত এলাকাগুলোতে নতুন নতুন বর্ডার পোস্ট তাঁর সরকার নির্মাণ করছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, বিজিবিকে আরো শক্তিশালী করা এবং সীমান্তের প্রতিটি জায়গায় যেন তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয় সেব্যবস্থা নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘বর্ডার গার্ড ভিশন-২০৪১’ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারণ, তাঁর সরকার এখন বিজেবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছে।

    তিনি বলেন, ‘বাহিনীতে হেলিকপ্টারের সঙ্গে নদী মাতৃক এই দেশের সীমান্ত প্রহরায় নৌযান সংযুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফলে, জলে, স্থলে এবং আকাশ পথে-সর্বত্রই বিজিবি’র এখন বিচরণ রয়েছে। ১৫ হাজার জনবলের ধাপে ধাপে অন্তর্ভূক্তি এবং প্রশিক্ষণের উদ্যোগ ও নেয়া হয়েছে।’

    তাঁর সরকারই বিজিবিতে প্রথম নারী সদস্য অন্তর্ভূক্ত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারী সদস্য আমরা নিতে শুরু করেছি। পাশাপাশি, আধুনিক সরঞ্জামাদি যা যা প্রয়োজন তার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’

    তিনি বলেন, স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে সীমান্তে নতুন বিওপি, বিএসপি নির্মাণসহ অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট স্থাপন, এটিভি ও অত্যাধুনিক এপিসি, ভেহিক্যাল স্ক্যানার ও দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করার মাধ্যমে বিজিবি’র উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পাশাপাশি, বিজিবি সদস্য ও পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবায় বিজিবি’র ৫টি হাসপাতালকে আরও উন্নত করা হয়েছে। বিজিবি হাসপাতাল, ঢাকায় একটি অত্যাধুনিক ক্যাথ ল্যাব ও করোনারী কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) স্থাপন করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণা দেশব্যাপী প্রচারে অংশ নেয়ার কারণে চরম নির্যাতনে তৎকালীন ইপিআর সদস্যসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বিজিবি সদস্যদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

    তিনি বলেন, ‘এ বাহিনীর প্রায় ১২ হাজার সদস্য মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। ৮১৭ জন সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হন। তাদের আত্মত্যাগ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’

    করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও বিজিবি’র নবীন সদস্যরা তাদের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করতে পারায় প্রধানমন্ত্রী এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

  • বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারে আরো কঠোর হতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

    বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারে আরো কঠোর হতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

    কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভ থেকে দেশবাসীকে রক্ষার্থে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এ জন্য মোবাইল কোর্টগুলোকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে।

    মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার সভাপতিত্বে আজ সকালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিভাগীয় কমিশনারগণ জানিয়েছেন, মাস্ক ব্যবহার না করায় গত সাত দিন ধরে তারা ব্যাপক হারে জরিমানা করছেন। গতকালও কয়েক হাজার লোককে জরিমানা করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি আরও এক সপ্তাহ দেখতে, মানুষকে আরও মোটিভেশন করতে। তারপরে আরেকটু স্ট্রং পানিশমেন্টে যেতে হবে।’

    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যেভাবেই হোক মানুষের মাঝে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে তিনি আরো বেশি প্রচার চালাতে বলেছেন।

    ‘ফোর্স কর যেভাবে হোক মানুষ যেন মাস্ক ব্যবহার করে। মাস্ক ব্যবহার না করলে যতই ভ্যাক্সিন বলেন আর ওষুধ বলেন প্রোটেকশন কোন কাজে আসবে না,’ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ধৃতিরও উল্লেখ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

    যে কারণে মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত আলোচনায় আবারও মাস্কের বিষয়টা খুব স্ট্রংলি এসেছে, বলেন তিনি।

    স্ট্রং পানিশমেন্ট কী হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘হয়তো জরিমানা বাড়তে পারে, এখন ১ হাজার বা ৫শ’ টাকা জরিমানা করছে, সেটা ৫ হাজার টাকা করে দিল। এ রকম আমরা আরেকটু স্ট্রং ওয়েতে যেতে বলেছি। যারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন সঙ্গে মাস্কও সাথে নিয়ে যাবেন যাতে মানুষকে জরিমানা করার সঙ্গে সঙ্গে একটা মাস্ক দিয়ে দেওয়া যায়।’

    ‘গতকাল বিভাগীয় কমিশনারের মিটিংয়ে ধর্ম সচিব ছিলেন, তাদের বলে দেয়া হয়েছে। শিক্ষাসচিবকেও বলে দেওয়া হয়েছে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরও ব্যাপক হারে প্রচারণার জন্য এবং এক্ষেত্রে মিডিয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, বলেন তিনি।

    ঢাকা শহরে গতকাল ৩৭টি জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘একেক জায়গায় একেক রকম জরিমানা করা হচ্ছে, কোথাও ৫শ টাকা কোথাও ১ হাজার টাকা।’

    আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঢাকা বিভাগে যেভাবে ছড়াচ্ছে বাইরে সেই পরিমাণে ছড়াচ্ছে না। ঢাকা শহরে গত ১৫ দিন আগে যেখানে ৩০০ রোগী ছিল গতকাল বোধহয় ৬০০ হয়ে গেছে।

    রাজধানীর হাসপাতালে রোগী বৃদ্ধির হার দেখে সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড হয়তো একটু বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

  • বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার মূল্য নির্ধারণ করে দেবে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার মূল্য নির্ধারণ করে দেবে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত চিকিৎসা ফি, টেস্ট ফিসহ অন্যান্য ফি সমূহ সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেয়া হবে।

    আজ বুধবার, সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিকসমূহের সেবা বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    জাহিদ মালেক বলেন, ‘ বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ক্যাটাগরি ভিত্তিক নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এজন্য মন্ত্রণালয় থেকে কিছু দিনের মধ্যেই একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

    সভায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান ক্লিনিক থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রিয়ভাবে করার ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী তাতে একমত পোষণ করেন।

    সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের পূর্ণাঙ্গ সহায়তা প্রত্যাশা করে অনুরোধ জানান।

    একই সাথে তিনি বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালসমূহের পক্ষ থেকে কোভিড এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারকে সব ধরণের সহায়তা দেবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

    সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার খান এমপি, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • গুজবে কান দেবেন না

    গুজবে কান দেবেন না

    কোনো ধরণের কোনো গুজব বা উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্যে কান না দেয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    রবিবার রাতে এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে গুজব সৃষ্টিকারী সম্পর্কে কোনো খবর পেলে তা অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

    এতে আরো বলা হয়, গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সরকার দেশকে আরো মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

    সরকার দেশকে আরো মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার মাধ্যমে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে দেশকে বিশ্বে আরো মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যের সহায়তা না নিয়ে আর্থ-সামাজিকভাবে স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছি।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে একথা বলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার যে স্বপ্ন, যে চেতনায় আমার লাখো শহীদ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন। তাঁদের এবং আমার লাখো মা-বোনের সেই আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেই আমরা এই বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

    তিনি বলেন, ’মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। আমরা কেন অন্যের কাছে হাত পেতে, মাথা নিচু করে চলবো। কিন্তু ’৭৫ এর পর আমরা সেই সম্ভাবনা এবং অধিকার হারিয়ে ছিলাম।’

    তাঁর সরকারের পরিচালনায় বাংলাদেশ আজ তাঁর হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশকে দারিদ্র ও ক্ষুধা মুক্ত করে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার জন্যই আমরা আমাদের সমস্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি এবং যথেষ্ট অর্জনও করেছি।’

    আসন্ন শীতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে সরকার প্রধান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের আগমনে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়লেও তাঁর সরকার এটা মোকাবেলায় প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, যেন, দেশের মানুষ এর থেকে সুরক্ষা পায় এবং দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা না হারায়।’

    প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

    শেখ হাসিনার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করেন।

    সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পরিচালনা করেন এবং পুরস্কার বিজয়ীদের জীবন বৃত্তান্ত পড়ে শোনান। অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে প্রফেসর ডা. এ কে এম এ মুকতাদির অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

    এ বছর সরকার দু’জন মরণোত্তরসহ ৮ ব্যক্তি ও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, চিকিৎসাবিদ্যা, সংস্কৃতি ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০’ এ ভূষিত করে।

    এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীরা হচ্ছেন-স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দাস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক, প্রয়াত কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ (মরণোত্তর), প্রয়াত বুদ্ধিজীবী মুহম্মদ আনোয়ার পাশা (মরণোত্তর) ও আজিজুর রহমান। চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুকতাদির। সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার। শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস্। আজিজুর রহমান সম্প্রতি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

    পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ পদক, সনদপত্র এবং ৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

    প্রতিবছর ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সরকার এ পুরস্কার প্রদান করে আসলেও এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে যথাসময়ে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। যা আজ অনুষ্ঠিত হলো।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যখন একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করলেন এবং ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পদক্ষেপ নিলেন ঠিক সেই মূহূর্তে ’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হলো।
    ‘এরসঙ্গে বাঙালি জাতিও তাদের সকল সম্ভাবনাকে হারিয়ে ফেলে,’ বলেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম