ধ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। উপকূলের ৫’শ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করায় বেড়েছে উৎকণ্ঠা। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বন্দর থেকে লঞ্চ ও জাহাজ চলাচল।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো সহায়তার জন্য প্রস্তুত সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি তথ্য আদান-প্রদান ও সহায়তা গ্রহণের জন্য সরকারি দপ্তরগুলো কন্ট্রোল রুম খুলেছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বরিশাল বিভাগের জন্য যোগাযোগের নম্বর ০১৭৬৬৬৯০৬২১, খুলনা বিভাগের জন্য যোগাযোগের নম্বর ০১৭৬৬৬৯০৩৮৩, চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য যোগাযোগের নম্বর ০১৭৬৬৬৯০১৫৩ এবং অতিরিক্ত নম্বর ০১৭৬৬৬৯০০৩৩।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ও কন্ট্রোলরুম খুলেছে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোলরুমের যোগাযোগের নম্বর ০১৩১৮২৩৪৫৬০ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলরুমের নম্বর ০১৫৫২৩৫৩৪৩৩ ।
এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ’র কন্ট্রোলরুমের নম্বর ০১৯৫৮৬৫৮২১৩।
বিনা খরচে ঘূর্ণিঝড়ের সবশেষ খবর জানা যাবে ১০৯০ নম্বরে ফোন করে।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’এর কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকেপড়া পর্যটকদের সাহায্যের জন্য কক্সবাজার জেলা কন্ট্রোলরুমের নম্বর ০১৭১৫৫৬০৬৮৮ অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, টেকনাফ এর ০১৮৫১৯৬৬৯৬৬ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ সম্পর্কিত সবশেষ তথ্যের জন্য ঢাকার তথ্য অধিদফতরের সংবাদকক্ষের ০২৯৫১২২৪৬, ০২৯৫১৪৯৮৮ টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের কাছ দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।