Tag: সরকার

  • চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

    ২৪ ঘণ্টা, ডেস্ক নিউজ : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। এটি নির্মিত হলে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

    আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

    স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এই মেরিন ড্রাইভ নির্মিত হলে এই অঞ্চলে নতুন হাজার হাজার হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট, কলকারখানা সৃষ্টি হবে। এতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান তৈরি হবে অন্যদিকে পর্যটন খাতে খুলবে নতুন দিগন্ত।

    বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে সারাদেশের ব্যবস্যা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ করে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করা যাবে না। এটি করা হলে পরবর্তীতে নগরবাসীর জন্য দুর্ভোগের কারণ হবে।

    কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে লিজ দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে তাদেরকে সতর্ক করে বলেন, যারা সরকারি জায়গা, স্থাপনা দখল করে আছেন খুব শিগগিরই অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হবে।

    চট্টগ্রাম বন্দরসহ সেসকল প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা-ঘাটসহ নানা সেবা গ্রহণ করছে তাদেরকে সিটি কর্পোরেশনের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ট্রাক, লরিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করায় নগরীর অভ্যান্তরীণ রাস্তা ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব রাস্তা ঘাট সংস্কার করতে অর্থের প্রয়োজন যা যোগান দেয়া সিটি কর্পোরেশনের একার সম্ভব নয়। তাই সকল প্রতিষ্ঠানকে সঠিক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের নিকট রাজস্ব প্রদানের নির্দেশনা দেন মোঃ তাজুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা পালনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম তথা দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করতে হবে।

    নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশনে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এছাড়া কর্ণফুলীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন, অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে খাল উদ্ধার ও খনন, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের উদ্যোগে সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

    মন্ত্রী বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানকেই বিনামূল্যে সরকারি সেবা দেয়া যাবেনা। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেই সবাইকে সেবা গ্রহণ করতে হবে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সেবার মানও উন্নত হবে ।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীর ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক উল্লেখ করে এই শহরকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

    সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারী অধিদপ্তর/প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    বিশ্বের কোথাও কোন শিশুর অকাল মৃত্যু তাঁকে ভীষণভাবে নাড়া দেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যে কোন ধরনের শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

    তিনি বলেন, ‘শিশুদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা সরকার নিচ্ছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে অত্যাচার-নির্যাতন, কোন কিছু হলে সাথে সাথে যেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়/হয় সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি।’

    তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের শিশুরা নিরাপদ থাকবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে এবং মানুষের মত মানুষ হবে।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ‘বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২০’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে একথা বলেন।

    তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত হন।

    শেখ হাসিনা পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কাল রাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাঁর ১০ বছরের ছোট ভাই শেখ রাসেল, রাসেলের খেলার সাথী ফুপাতো ভাই ১০ বছরের আরিফ, ফুপাতো ভাইয়ের ৪ বছরের ছেলে সুকান্ত, ১৩ বছরের ফুপাতো বোন এবং তাঁদের বাসার গৃহপরিচারিকার ছেলে ৫/৬ বছরের পটকার নির্মম হত্যাকান্ড স্মরণ করে বলেন, ‘কোন শিশুর অকাল মৃত্যু আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। সেটা আমার দেশেই হোক বা অন্য দেশেই হোক।’

    তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, এ পৃথিবীটা শিশুদের জন্য নির্ভরযোগ্য, শান্তিপূর্ণ, বাসযোগ্য স্থান হোক। যেখানে প্রতিটি শিশুর একটি ভবিষ্যত গড়ে উঠবে।’

    তিনি বলেন, শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত, কাজেই সঠিকভাবে তাদের মেধা ও জ্ঞানকে বিকাশের সুযোগ আমাদেরকেই করে দিকে হবে। সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি।

    প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর শিশুদের আঁকা নির্বাচিত ছবি নিয়ে ‘আমরা এঁকেছি ১০০ মুজিব’ এবং নির্বাচিত লেখা নিয়ে ‘আমরা লিখেছি ১০০ মুজিব’সহ শিশুদের লেখা বইয়ের (২৫টি বইয়ের সিরিজ) মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শিশুদের পরিবেশিত বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

    মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা, বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি বীরা মেন্ডোনকা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।

    নাবিদ রহমান তুর্য এবং হৃদিকা নূর সিদ্দিক শিশু একাডেমির শিশুদের পক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

    করোনাভাইরাসের কারণে একটা সমস্যা এখন দেখা দিয়েছে যে, স্কুল খোলা যাচ্ছে না এবং বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না, সত্যিই সেটা খুব কষ্টের, কারণ ঘরের মধ্যে বসে থেকে কি করবে তারা, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, আমাদের দেশে তবুও কিছু যৌথ পরিবার রয়েছে। যৌথ পরিবারের শিশুদের খুব একটা কষ্ট হয় না, কারণ, নিজের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে সম বয়সী অনেক পাওয়া যায়-তাদের সঙ্গে মিলেমিশে খেলাধুলা করে, খুনসুটি করে, ঝগড়া করেও আবার একসাথে মিলে খেলাধুলাও করতে পারে। তাদের একটা সুন্দর পরিবেশ থাকে, কথা বলার একটা সুযোগ পায়। কিন্তু যেখানে একক বা ছোট্ট পরিবার বা একা শিশু তাদের জন্য সত্যিই খুব কষ্টকর, তারা কি করবে?

    শেখ হাসিনা বলেন, এমন পরিবারের ক্ষেত্রে আমি সমস্ত বাবা-মা বা অভিভাবকদের বলবো যেহেতু করোনাভাইরাসের কারণে তারা স্কুলে যেতে পারছে না তাই আপনারা কাছাকাছি কোন পার্কে নিয়ে যাবেন। সেখানে দিনে অন্তত এক ঘন্টার জন্য হলেও ছোটাছুটি বা খেলাধুলা তারা করতে পারে সে সুযোগটা সৃষ্টি করে দেয়া দরকারি বলে আমি মনে করি। কারণ, তাদের স্বাস্থ্য এবং মানসিক অবস্থার জন্য সবদিক থেকেই এটা খুব দরকার।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনেই চলতে হবে। পাশাপাশি, বাচ্চাদের একটু খেলাধুলা করা বা খোলা বাতাসে নিয়ে যাওয়া বা রোদে খেলতে দেয়াটা এই করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ আমি মনে করি। আমি চাই বাবা-মা’রা এই বিষয়টি অন্তত একটু দেখবেন।

    এ সময় সারাদেশে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম সৃষ্টির পাশাপাশি করোনাকালিন অনলাইন শ্রেণী কার্যক্রম যাতে হয় সেজন্য তাঁর সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হবার সুবাদে প্রযুক্তি ব্যবহার করেই লেখাপড়া যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে সরকার বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের বিকাশে খেলাধুলা, শরীর চর্চা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চা জরুরি, কাজেই সেগুলো যেমন করতে হবে তেমনি মনযোগ দিয়ে লেখাপড়াও করতে হবে। কারণ, শিক্ষা ছাড়া কখনই একটি দেশকে কিছু দেয়া যায় না।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৯ মাসের মধ্যে জাতির পিতা আমাদেরকে যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, সেখানেই শিশু অধিকারের কথা বলা আছে। শুধু তাই নয়, একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ তিনি গড়ে তুলছিলেন। চারদিকে অভাব-অনটন অথচ এর মধ্যেও প্রাথমিক শিক্ষাকে তিনি সরকারীকরণ করে সম্পূর্ণ অবৈতনিক করে দেন।

    তিনি বলেন, শিশু বয়স থেকেই আমাদের শিশুরা যাতে লেখাপড়া করতে পারে সে সুযোগ তিনি (বঙ্গবন্ধু) করে দিয়েছিলেন এবং ১৯৭৪ সালে শিশু অধিকার আইন ও নীতিমালা করে শিশুর অধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মানুষ ২১ বছর অবহেলিত ছিল। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় এসে শিশুদের জন্য প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থাসহ জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে।

    তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রণীত শিশু আইনের আলোকে আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় শিশু শ্রমনীতি ২০১০, জাতীয় শিশুনীতি ২০১১ এবং শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করে শিশুদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

    শেখ হাসিনা বলেন, সারা জীবন মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে কাটানোয় নিজেরা বাবার স্নেহ বঞ্চিত ছিলেন, যদিও শিশুদেরকে জাতির পিতা অত্যন্ত পছন্দ করতেন। যে কারণে ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিনকে সরকার জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার বক্তৃতার উদ্বুতি দিয়ে বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) সব সময়ই ছাত্রছাত্রীদের বলতেন, ‘লেখাপড়া করো। মানুষ হও। ভালো মানুষ না হলে ভালো দেশ গড়া যাবে না।’

    তাঁর সরকার দেশকে পোলিও মুক্ত করায় ব্যাপকভাবে টিকা দান কর্মসূচি এবং শিশু পুষ্টিতে গৃহীত পদক্ষেপের প্রসংগ টেনে প্রধানন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ঝরে পড়া রোধ করতে দেশের বিদ্যালয়গুলোতে স্বপ্রণোদিত হয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে।

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা যেন সমাজের কাছে অপাংক্তেয় না হয় সেজন্য তাঁদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, নানা সুযোগ-সুবিধা এমনকি খেলাধুলাতেও উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছে।

    বিশেষ অলিম্পিকে প্রতিবন্ধীদের সাফল্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য এ পর্যন্ত তারা ২১টি স্বর্ণসহ ৭১টি পদক জয় করে এনেছে।’
    প্রতিবন্ধীদের মেধা বিকাশে সরকার একটি বিশেষ একাডেমী করে দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমাজের কেউ যেন বাদ না যায় সেজন্য আমরা তাদেরকে বিশেষ ভাতাও প্রদান করছি।’

    এ সময় প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার প্রদত্ত ১ কোটি ৩০ লাখ শিশুকে বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান এবং প্রতি মাসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মায়েদের কাছে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়ায় পদক্ষেপ প্রসংগে সরকার প্রধান আরো বলেন, ‌‍‘করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও আমরা এই টাকা পাঠানো বন্ধ করিনি। বৃত্তি-উপবৃত্তি আমরা অব্যাহত রেখেছি, যাতে তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ নষ্ট না হয়ে যায়।’

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • মক্কা নগরীর প্রায় দেড়হাজার মসজিদ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার

    মক্কা নগরীর প্রায় দেড়হাজার মসজিদ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে ধারাবাহিক দীর্ঘ ৯০ দিনের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর মক্কা নগরীর প্রায় দেড়হাজার মসজিদ আবারও খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার।

    বরিবার ফজরের নামাজ এর সময় থেকে খুলে দেওয়া হবে মক্কা নগরীর ১৫শ ৬০টি মসজিদ। তবে সৌদি আরব কর্তপক্ষের বরাত দিয়ে সৌদি গণমাধ্যম জানায়, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের শর্তে এসব মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এসব মসজিদ জীবাণুমুক্তকরণসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। মসজিদে অসুস্থ, বৃদ্ধ ও শিশুদের আপাতত আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

    সেই সঙ্গে মুসল্লিদের নিজস্ব জায়নামাজ নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। নামাজের প্রতি কাতারের মাঝে এবং প্রত্যেক মুসল্লির মাঝখানে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে।

    সৌদি আরবের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মক্কার সব মসজিদে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে তবে করোনা প্র’তিরোধে সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

    বাড়ি থেকে অজু করে জায়েনামাজ নিয়ে আসতে হবে। দুই কাতারের মাঝে এক কাতার জায়গা ফাকা রাখতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ পরিস্কার পরিছন্নতার প্রতি জো’র দেওয়া হযেছে।

    এর আগে দুই মাস মসজিদ বন্ধ থাকার পর মক্কা বাদে দেশের সব মসজিদ মুসল্লিদের উন্মুক্ত করে দেয় সৌদি আরব। বর্তমান সময়ে করোনা রোগী বেড়ে চললেও মক্কার মসজিদগুলো খুলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিলো দেশটি।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • প্রজ্ঞাপন জারি: অফিস খুলছে, চলবে গণপরিবহনও

    প্রজ্ঞাপন জারি: অফিস খুলছে, চলবে গণপরিবহনও

    করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলমান সাধারণ ছুটি আগামী ৩০ মে শেষ হচ্ছে। ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিতভাবে খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। একই সঙ্গে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনও (বাস, লঞ্চ ও ট্রেন) চালু হবে ওইদিন থেকে।

    ১৫ জুন পর্যন্ত অফিস, গণপরিবহনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিচালিত হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সেই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

    এর আগে গতকাল বুধবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অফিস ও গণপরিবহন চালুর চালু হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ফরহাদ হোসেন গতকালই বলেছিলেন, ছুটি ৩০ মে শেষ হচ্ছে। ছুটি আর বাড়ছে না। কিন্তু কিছু বিধি-নিষেধসহ নাগরিক জীবন সুরক্ষিত রেখে আমরা সীমিত আকারে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে যাচ্ছি। তবে সবকিছু একেবারে খুলে দেয়া হচ্ছে না। আমরা খুলতে যাচ্ছি তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবতী মহিলারা আপাতত অফিসে আসবেন না।

    প্রতিমন্ত্রী অবশ্য তখন গণপরিবহন চালু হচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন। পরে আবার রাতে জানানো হয় সীমিত আকারে চলবে গণপরিবহনও।

    একইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।

    মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রম অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে। তবে এখনও করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি নেই।

    সর্বশেষ ২৮ মে’র তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪০,৩২১। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন অন্তত ৮,৪২৫ জন আর মারা গেছেন ৫৫৯ জন।

    প্রজ্ঞাপন

    মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

    • ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। ৫, ৬, ১২ ও ১৩ জুনের সাপ্তাহিক ছুটি এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    • নিষেধাজ্ঞাকালে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। প্রতিটি জেলার প্রবেশ ও বহির্গমন পথে চেকপোস্টের ব্যবস্থা থাকবে। জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এ নিয়ন্ত্রণ সতর্কভাবে বাস্তবায়ন করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে চলাচলে নিষেধাজ্ঞাকালে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না। তবে সর্বাবস্থায়ই বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    • নিষেধাজ্ঞাকালীন জনসাধারণ ও সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

    • হাটবাজার, দোকানপাটে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আগত যানবাহনগুলোকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট এবং শপিংমলগুলো আবশ্যিকভাবে বিকাল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

    • আইনশৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কাজে নিয়োজিত সংস্থা এবং জরুরি পরিসেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থল বন্দর, নদীবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভুত থাকবে।

    • সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল প্রভৃতি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।

    • কৃষিপণ্য, সার, বীজ, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ঔষধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

    • চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম (ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া) এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীরা এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবেন।

    • ওষুধ শিল্প, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্পসহ সকল কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রণীত ‘বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে নির্দেশনা’ প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

    • নিষেধাজ্ঞাকালীন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। তবে অনলাইন কোর্স বা ডিসটেন্স লার্নিং অব্যাহত থাকবে।

    • ব্যাংকিং ব্যবস্থা পূর্ণভাবে চালু করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

    • সকল সরকারি/আধা-সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি অফিসসমূহ নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তানসম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা ১৩ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। জরুরি অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্র ছাড়া সকল সভা ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে আয়োজন করতে হবে।

    • এই নিষেধাজ্ঞাকালে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। এ সময়ে শর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি-নিষেধ নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারবে। তবে সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

    • বিমান কর্তৃপক্ষ নিজ ব্যবস্থাপনায় বিমান চলাচলের বিষয়ে বিবেচনা করবে।

    • নিষেধাজ্ঞাকালে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদসমূহে জনসাধারণের জামাতে নামাজ আদায় এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠান অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আম্ফানের ক্ষতি মোকাবিলায় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার:প্রধানমন্ত্রী

    আম্ফানের ক্ষতি মোকাবিলায় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার:প্রধানমন্ত্রী

    আম্পানের ক্ষতি মোকাবিলায় উপকূলীয় অঞ্চলে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বাংলাদেশে ধেয়ে আসা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলার সার্বিক তদারকির অংশ হিসেবে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের বৈঠকে একথা বলেন তিনি।

    গণভবনে বুধবার (২০ মে) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় এই উচ্চপর্যায়ের সভা।

    এতে অংশ নেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সদস্যরা। সভায় প্রলয়ঙ্করী এই ঝড় থেকে জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

    এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়-আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ক্ষতি সামাল দিতে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা জারি রেখেছেন শেখ হাসিনা। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে অধিবাসীদের সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকার কিছুই করেনি : মির্জা ফখরুল

    স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকার কিছুই করেনি : মির্জা ফখরুল

    করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    তিনি বলেন, ‘এ সরকার স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে কিছুই করেনি, যা মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। অথচ সরকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বানিয়েছে, বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট বানিয়েছে। কিন্তু মানুষের যেটা মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার সে স্বাস্থ্য খাতের জন্য কিছু করেনি সরকার।’

    রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

    এ সময় সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘যেখানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বর্তমান সরকার অবহেলা করছে। করোনা টেস্ট করার মানুষ মধ্যরাত থেকে লাইনে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু তারা টেস্ট করাতে পারছে না।’

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত সরকারকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সরকার সবকিছুতেই ষড়যন্ত্র খোঁজে। লকডাউন শিথিল করে মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয়েছে। পুরান ঢাকায় দেখবেন, হাজার হাজার মানুষের ঢল। কিসের সামাজিক দূরত্ব? করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।’

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘সামাজিক দূরত্বসহ অন্যান্য নির্দেশনা মেনেই তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। খোঁজ-খবর নেওয়াসহ কুশল বিনিময় ও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনাভাইরাসে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, বিশেষ করে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ব্যাংকার, পেশাজীবী, শ্রমজীবী মানুষ, তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা এই করোনা মোকাবিলায় অগ্রসেনানী হিসেবে কাজ করছেন—চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ, সাংবাদিক, বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী, ব্যাংকার, শ্রমজীবী মানুষ (গার্মেন্টস কর্মী), অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

    বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘প্রায় সোয়া দুই মাস আগে বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্তের পর সরকারের সমন্বয়হীনতা ও উদাসীনতায় এখন প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্তান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। মানুষের জীবন বাঁচাতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। যখন চীনে করোনা মহামারি শুরু হলো, তখন সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। তখন তারা অন্য একটি অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। প্রথম থেকে তারা যথাযথ পদক্ষেপ নিলে আজ লাশের সারি দীর্ঘ হতো না। জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতা না থাকার কারণে সরকার এমন আচরণ করেছে। মানুষকে বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যদি তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার হতো, তাহলে তারা জনগণের জন্য ব্যবস্থা নিত।’

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘একদিকে খাদ্যের জন্য হাহাকার চলছে। দেশের সব জেলায়ই ত্রাণের জন্য গরীব অসহায় মানুষ বিক্ষোভ করছে, সড়ক অবরোধ করছে। অন্যদিকে, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না করোনা আক্রান্তরা। এমনকি, অন্যান্য রোগে আক্রান্তরাও যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছে না। বিনা চিকিৎসায় পথে, ঘাটে, বাসে, ফুটপাতে এখন লাশ পড়ে থাকার খবর বের হচ্ছে। এটা কী নিদারুণ অবস্থা! শাহবাগে লম্বা লাইন ধরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও করোনা টেস্ট করাতে না পেরে সড়কেই ছেলে-মেয়ের চোখের সামনে প্রাণ হারিয়েছেন বৃদ্ধ। করোনার টেস্ট করতে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। সরকার ঘোষিত ৪২টি সেন্টারের বেশ কয়েকটি সেন্টার কার্যকর নয়। যেসব সেন্টারে টেস্ট হচ্ছে তাও অপর্যাপ্ত। মানুষ লাইন ধরে ফিরে যাচ্ছে টেস্ট না করে। গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের সামনের সড়কে লম্বা লাইন। আগের রাতে লাইন ধরে অসুস্থ রোগীরা কীভাবে শুয়ে আছে, বসে আছে। তারপরও টেস্টের সিরিয়াল পাচ্ছে না। অন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও একই অবস্থা। যে পরিমাণ টেস্ট হচ্ছে, তাও আবার এখন পর্যন্ত দিনে ১০ হাজারে ওঠেনি। এরমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ শতাংশ উঠেছে। যদি বেশি টেস্ট হতো, তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আরো অনেক বেড়ে যেত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলেছে, টেস্ট টেস্ট টেস্ট, টেস্টের কোনো বিকল্প নেই। যত বেশি টেস্ট করা হবে, তত বেশি সংক্রমিত জনগোষ্ঠীকে বাঁচানো সম্ভব হবে।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও ভর্তি হতে পারছেন না। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায়। এ যদি সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী, তা তো বোঝাই যায়। শুধু কিটের অভাবে করোনার টেস্ট করতে পারছে না আক্রান্ত রোগীরা। অথচ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেবের কিট অনুমোদন নিয়ে কত টালবাহানা চলছে।’

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ এখন ঊর্ধ্বমুখী। সরকার করোনা মোকাবিলায় চারদিক থেকে ব্যর্থ। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে বলে সরকারের মন্ত্রীরা প্রতিদিন মুখে বুলি আওড়াচ্ছেন। অথচ স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির এক শতাংশও বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। আবার যেটুকু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তাও হরিলুট হয়েছে। যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে সরকারি টাকা লুট হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা অপ্রতুল। দেশের ৯০ ভাগ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থাও নেই। এমনকি হাসাপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হয়নি। নিম্নমানের মাস্ক সরবরাহ করে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিপদে ফেলে দিয়েছে সরকার। নিজেরা আতঙ্কিত হয়ে এখন তারা রোগীদের চিকিৎসা দিতেও ভয় পাচ্ছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে অদূরদর্শিতা, সমন্বয়হীনতা, উদাসীনতা ও একগুয়েমী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। করোনায় মৃত্যুর দায় সরকারকে নিতে হবে।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আগস্ট পর্যন্ত করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ কর্মজীবীদের বেতনের দায়িত্ব নিল কানাডা সরকার

    আগস্ট পর্যন্ত করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ কর্মজীবীদের বেতনের দায়িত্ব নিল কানাডা সরকার

    ২৪ ঘণ্টা ডট আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডায় করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কর্মজীবীদের আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত বেতনের দায়িত্ব নিল দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

    করোনা মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সহায়তায় জরুরি বেতন ভর্তুকি প্রকল্পের আওতায় ৭৫ শতাংশ মজুরির দায়িত্ব নিয়েছে কানাডার সরকার। প্রতিজনকে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৮৪৭ ডলার সহায়তার এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল জুন মাসে।

    তবে সঙ্কট পুরোপুরি না কাটায় আগস্ট পর্যন্ত তা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এছাড়া করোনার কারণে যারা চাকরি হারিয়েছেন সেসব কর্মজীবীদের আবারও চাকরি দিতে কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কানাডার সরকার।

    শুক্রবারের ঘোষণায় ট্রুডো বলেন, করোনার কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত তিন ট্রিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিল কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে পাস হয়েছে।

    সিনেটে পাস হলেই রাজ্য ও স্থানীয় সরকারে কর্মরত কর্মীরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা সহায়তা পাবেন। এই বিলের আওতায় সহায়তা পাবেন বেকার ও ভাড়াটিয়ারাও।

    একজনকে কমপক্ষে ১২০০ ডলার (প্রায় এক লাখ টাকা) করে দেয়া হবে। বিবাহিত হলে দ্বিগুণ পাবেন। এ ছাড়া তাদের ওপর নির্ভরশীল কেউ থাকলে তাদের জন্য একই পরিমাণ অর্থ দেয়া হবে। কমপক্ষে একজন মানুষ তিনজন নির্ভরশীলের জন্য অর্থ পাবেন। সিটিভি নিউজ ও সিএনএন।

    কানাডায় যেসব প্রতিষ্ঠানের আয় মার্চে ১৫ শতাংশ এবং এপ্রিল-মে মাসে অন্তত ৩০ শতাংশ কমে গেছে তারাই বেতন প্রকল্পের আওতায় সহায়তার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তবে প্রয়োজনে এ নীতিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • সন্ধ্যা ৬টার পর বের হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা

    সন্ধ্যা ৬টার পর বের হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা

    করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তৃতীয় দফা সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে আদেশ জারি করেছে সরকার। সরকারের এই আদেশে সন্ধ্যা ৬টার পর ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। আর এ নির্দেশ অমান্য করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সাধারণ ছুটি আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে সরকার। বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই ছুটি অন্যান্য সাধারণ ছুটির মতো গণ্য হবে না। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না।

    এতে আরও বলা হয়, সন্ধ্যা ৬টার পর কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। এ নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করা হয়েছে।

    তবে, বিভাগ/জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সব কর্মকর্তা/কর্মচারীকে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।
    বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না। কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্পপণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।

    এর আগে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন সাধারণ ছুটি আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত হবে।

    এদিকে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২৪ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৬ জন। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ জনে।

    আজ শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

  • সাধারণ ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি

    সাধারণ ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ:::করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সাধারণ ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ইতিমধ্যে আজ রবিবার দেশের বিমান চলাচল বন্ধের ঘোষণা ৭ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। এর আগে দুই দফা বিমান চলাচল বন্ধের সঙ্গে সাধারণ ছুটির ঘোষণা এসেছে। গত ২৬ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত টানা সাধারণ ছুটি চলছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যার মধ্যে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

    আগামি সপ্তাহে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ এমনিতেই সরকারি ছুটি। এই দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা বাতিলের চিঠি ইস্যু করেছে।

    সচিবালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছেন, যদি করোনা পরিস্থিতি সামনে আরো অবনতি হয় তাহলে ছুটি বেড়ে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত যাবে।

    গত ২৩ মার্চ সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ৩১ মার্চ ছুটি বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করার ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী। ১ এপ্রিল এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

  • সভা-সমাবেশ,ওয়াজ-মাহফিল নিষিদ্ধ

    সভা-সমাবেশ,ওয়াজ-মাহফিল নিষিদ্ধ

    করোনাভাইরাস থেকে উদ্ভূত পরিস্থিত মোকাবিলায় ওয়াজ, মাহফি,তীর্থযাত্রাসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমাবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

    আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৪টায় মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কেন্দ্রীয় প্রশাসন এ নির্দেশনার কথা জানায়।

    এতে বলা হয়, সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। ধর্মীয় বা অন্য যে কোনো ধরনের জমায়েত বন্ধ। এটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। যে কোনোভাবে সব ধরনের সমাবেশ বা জমায়েত বন্ধ রাখতে হবে।

    ভিডিও কনফারেন্সে মাঠ প্রশাসনকে কঠোরভাবে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ভিডিও কনফারেন্সে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। সচিবালয়ের কেবিনেট ডিভিশন থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত আছেন।

  • ভাষা আন্দোলনের চেতনা ভুলুণ্ঠিত করেছে সরকার: ফখরুল

    ভাষা আন্দোলনের চেতনা ভুলুণ্ঠিত করেছে সরকার: ফখরুল

    ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সরকার ভুলুণ্ঠিত করেছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে আমাদের স্বাধীন একটি ভুখণ্ড তৈরি হয়েছে, আমরা একটি পতাকা পেয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, যে চেতনাকে ভিত্তি করে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, সেই গণতান্ত্রিক চেতনাকে বর্তমান দখলদার সরকার হরণ করেছে।’

    তিনি বলেন, ‘জনগণের সব অধিকার হরণ করে, জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে, বেঁচে থাকার অধিকার হরণ করে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য আজ সবধরনের অপকৌশল করছে।’

    শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি দলের পক্ষে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। এখানে আইনের শাসন নেই, ন্যায়বিচার নেই। যে চেতনাকে ভিত্তি করে ভাষা আন্দোলন হয়েছিল, স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, সেই গণতান্ত্রিক চেতনাসহ জনগণের অধিকার আজ ৬৮ বছর পরে বর্তমান দখলদার সরকার হরণ করেছে।’

    তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের, যে গণতান্ত্রিক চেতনার ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার ওপর ভিত্তি করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে তা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন যে খালেদা জিয়া, সেই দেশনেত্রীকে আজ অন্যায়ভাবে-বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। এদেশের সংবিধান অনুযায়ী, তার যে ন্যূনতম প্রাপ্য সেই জামিন তাকে দেওয়া হচ্ছে না।’

    ফখরুল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আজ এই মহান দিবসে বলতে বাধ্য হচ্ছি, দেশে গণতন্ত্র নেই। আজ দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এখানে আইনের শাসন নেই, ন্যায়বিচার নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আমরা শপথ নিচ্ছি- দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।’

    এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, খায়রুল কবীর খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া সরকার খালেদা জিয়ার প্যারোল বিবেচনা করতে পারে না : কাদের

    যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া সরকার খালেদা জিয়ার প্যারোল বিবেচনা করতে পারে না : কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোল বিবেচনা করতে পারে না।

    তিনি বলেন, ‘তাকে (খালেদা) প্যারোলে মুক্তি দেয়ার জন্য পরিবার থেকে বিভিন্নভাবে আবেদন করা হয়েছে।

    যারা এ আবেদন করেন, টেলিভিশনের পর্দায় আবেদন করেন। আমি সকালেও খবর নিয়েছি, তারা লিখিতভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্যারোলের জন্য আবেদন করেননি। এখন লিখিত আবেদন করলেও এই আবেদন কারণসহ যুক্তিসংগত হতে হবে। যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যারোল বিবেচনা করতে পারে না, সরকার বিবেচনা করতে পারে না।’

    ওবায়দুল কাদের আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের হ্যালিপ্যাড চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) বলেছেন সরকার জেলের মধ্যে খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলতে চায় কষ্ট দিয়ে, সে ধরনের ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেই। আমরা এই প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। বেগম জিয়াকে জেলের মধ্যে মেরে ফেলবো- এ রাজনীতি বঙ্গবন্ধু করে নাই, শেখ হাসিনাও করে না।

    খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে দলের লোকেরা বলে একটা আর চিকিৎসকেরা বলেন আরেকটা। চিকিৎসকেরা বলেন তার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে আছে। আর দলের লোকেরা তাকে অসুস্থ থেকে আরো বেশি অসুস্থ বানিয়ে যতটা না চিকিৎসার জন্য ভাবছে, তার চেয়ে বেশি রাজনীতি করছে।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে কি আওয়ামী লীগ জেলে নিয়েছে? তাকে কি শেখ হাসিনা জেলে নিয়েছেন? তাকে জেলে নিয়েছে আদালত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি বিচারাধীন আছেন। তার মামলাটি রাজনৈতিক মামলা নয়, দুর্নীতির মামলা।

    তিনি বলেন, রাজনৈতিক মামলা হলে সরকার তার মুক্তি নিয়ে বিবেচনা করতে পারতো। দুর্নীতি মামলায় তাকে মুক্তি দেয়ার একমাত্র এখতিয়ার রয়েছে আদালতের।

    টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও এসএম কামাল হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খায়ের প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    সম্মেলনের উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী।

    দ্বিতীয় অধিবেশনে আবুল বাশার খায়েরকে সভাপতি ও মো. বাবুল শেখকে সাধারণ সম্পাদক করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং শেখ সাইফুল ইসলামকে সভাপতি ও ফোরকান বিশ্বাসকে সাধারন সম্পাদক করে পৌর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।