Tag: সল্টগোলায়

  • সল্টগোলায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ : প্রার্থী ও ছেলেসহ আহত ৬

    সল্টগোলায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ : প্রার্থী ও ছেলেসহ আহত ৬

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রাথী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান মুরাদ এবং তার ছেলে আদনান সামির (১৮)সহ অন্তত ৬ জন আহত হয়।

    বর্তমানে হাসান মুরাদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে এবং তার ছেলে আদনান মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে একই হাসপাতালের ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন রয়েছে বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর গণসংযোগে অংশ গ্রহণের জন্য মেয়র প্রার্থী আসার আগেই মিছিল সহকারে যোগ দেন উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা। এসময় মিছিলে শ্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

    এতে বন্দর থানার ২ নম্বর সাইট মালুম পাড়ার লালমিয়া সওদাগরের বাড়ির মৃত হারেজের পুত্র ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মুরাদ (৫৫)। তার ছেলে সাদমান সামি (১৪), ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন (৪৫) ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলমসহ অন্তত ৬জন আহত হয়েছে জানালেন স্থানীয়রা।

    আহত নুরুল আলম বলেন, ‘মেয়র প্রার্থীর আগমন উপলক্ষে আমরা সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় অপেক্ষা করছিলাম। উনি তখন আগ্রাবাদে গণসংযোগ করছিলেন। তার ঠিক আধঘণ্টা আগে মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি খোরশেদুল আলম সুজন সল্টগোলা এলাকায় পৌঁছান।

    এ সময় ৩৮ নম্বর বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমি, কাউন্সিলর প্রার্থী তার ছেলেসহ প্রায় ৫-৬ জন আহত হয়েছি। তিনজন মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য গেছে। বাকিরা এখানে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসারত।’

    বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারী পরিদর্শক আলাউদ্দিন বলেন, গত শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান মুরাদ তার ছেলেসহ মোট তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।

    জানা যায়, ঘটনার দিন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ওই এলাকায় গণসংযোগ করার কথা ছিলো। তবে সংঘর্ষের ঘটনার পর ওই ওয়ার্ডে প্রচারণার শিডিউল বাতিল করে পার্শ্ববর্তী ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম।

    গণসংযোগে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদুল আলম সুজন, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, নগর কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবুল হক মিয়া ও আব্দুল আহাদসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।

    এ বিষয়ে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন গণমাধ্রমকে বলেন, “আমাদের মেয়র প্রার্থী সেখানে আসার আগেই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ঘটনার পর প্রচারণা না করেই আমরা ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে চলে যাই। তাছাড়া ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডটি অনেক বড় হওয়ায় প্রচারণার শিডিউল বদল করা হয়েছে।