Tag: সাকিব

  • জেতার কথা ভাবছেন না সাকিব, চান উন্নতির গ্রাফ বাড়ুক

    জেতার কথা ভাবছেন না সাকিব, চান উন্নতির গ্রাফ বাড়ুক

    হাতে বাকি নেই খুব বেশি দিন। আর কদিন বাদেই মাঠে গড়াচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এই আসরে বড় কিছু আশা না করতে বলেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

    ইএসপিএনক্রিকইনফোকে সাকিব বলেন, ‘আমাদের জন্য (এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার কথা ভাবা) কঠিন। গত দেড় বছরে আমরা যা করেছি, তার থেকে যদি আমরা কিছুটা উন্নতি দেখাতে পারি তাহলে সেটা হবে একটি অর্জন। আমাদের সুপার ফোরে জায়গা করে নেওয়া উচিত।’

    সর্বশেষ এবং একমাত্র এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলের সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে দশটি ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জিতেছে।

    এ সম্পর্কে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেট খেলার ধরণ পরিবর্তন করতে হবে না। তবে আমাদের সামর্থ্যকে কাজে লাগাতে হবে। আমি বিশ্বাস করি এই দলটি যথেষ্টই ভালো। তবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে হবে। আমাদের জিততে হবে, তা না পারলে পিছিয়ে পড়ব আমরা।’

    এশিয়া কাপ জয়ের প্রত্যাশা না করে আগামী চার বছরে এই ফরম্যাটে উন্নতি নিয়ে প্রত্যাশা করা উচিত বলে মনে করেন সাকিব, ‘আমরা চাই উন্নতির গ্রাফ বাড়ুক। এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হলেও আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারলেও এটিকে সাফল্য ধরা যায় না। আমাদের অবশ্যই ধারাবাহিক উন্নতির দিকে মনোযোগ দিতে হবে, যাতে আমরা ২০২৪ এবং ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে সেরা দল হতে পারি।’

    বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টে ফরম্যাটে উদ্বেগজনক খারাপ করছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সম্প্রতি ২-১ ব্যবধানে বিপর্যস্ত হয়েছে।

    দলের ফিল্ডিং নিয়ে সাকিব বলেন, ‘ফিল্ডিং অবশ্যই একটি উদ্বেগের বিষয়। আমার মনে হয় না আমরা কখনোই ভালো ফিল্ডিং ইউনিট হয়েছি। এটা হতাশাজনক। আমাদের যদি উন্নতি করতে হয় তবে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। ফিল্ডিং এমন একটি ক্ষেত্র যা আপনি রাতারাতি উন্নতি করতে পারেন, তবে যদি ভয় থাকে তবে এটি আপনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

    এন-কে

  • জানা গেলো কেকেআরের একাদশে সাকিবের না থাকার কারণ

    জানা গেলো কেকেআরের একাদশে সাকিবের না থাকার কারণ

    মাথায় হ্যাট, সামনে পানীয় বোতল, চোখে রঙিন চশমা, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে বসে আছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের এই ছবিটি মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সাকিব ভক্তদের আহাজারি যেন বাড়িয়ে দিয়েছে ছবিটি। তখন শারজায় দিল্লি ক্যাপিটালসদের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)।

    আইপিএলে সাইড বেঞ্চেই সময় কাটছে সাকিবের। ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। করোনার বিরতির আগে ভারতের মাটিতে টানা তিন ম্যাচ খেলে কেকেআরের একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। মরুর বুকে আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগ শুরুর আগে দলের প্রচারণায় সাকিবকে বেশ ব্যবহার করেছিল কেকেআর। কিন্তু এবারও একাদশে ঠাঁই হচ্ছে না বাঁহাতি অলরাউন্ডারের।

    সর্বশেষ চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে কেকেআরের ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল ইনজুরিতে পড়েছিলেন। তখনই দলটির একাদশে সাকিবের ফেরার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী এবং তার ভক্তরা। বাস্তবতা হলো এদিনও কেকেআরের একাদশে জায়গা হয়নি তার। রাসেলের বদলি হিসেবে টিম সাউদিকে খেলিয়েছে দলটি।

    কেন কেকেআরের একাদশে জায়গা হচ্ছে না সাকিবের? মঙ্গলবার ম্যাচ চলাকালীনই দলটির সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারকে এমন প্রশ্নের মুখ পড়তে হয়েছিল। অভিষেক নায়ার জানিয়েছেন, দলের কম্বিনেশনের কারণেই সুযোগ পাননি বাংলাদেশি এ ক্রিকেটার। আমিরাতেও টানা চার ম্যাচে সাইড বেঞ্চে তিনি।

    একাদশে সাকিবকে না রাখার প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছেন, ‘কথা হয়েছে এটা নিয়ে (সাকিবকে নেওয়া যেত কি না)। তবে শারজার মাঠ ছোট, অধিনায়কের মনে হয়েছে, তিন জন স্পিনার খেলানো আমাদের জন্য কঠিন। আর রাসেল যেহেতু নেই, আমাদের মনে হয়েছে, পেস বোলিংয়ে একজন দরকার। এজন্যই সাউদিকে নিয়েছি আমরা।’

    কেকেআরের এ ভারতীয় সহকারী কোচ আরও বলেন, ‘সে (সাকিব) তো পরীক্ষিত ক্রিকেটার। এই ধরনের কন্ডিশনে সবসময় ভালোও করেছে। তবে সাকিবের ওপর আমাদের ব্যাটিংয়েও ভরসা আছে। দিল্লির সঙ্গে তার আগে ভালো পারফরম্যান্স আছে। সব মিলিয়ে আমরা চেয়েছি বাড়তি একজন পেস বোলার নিতে, যে পাওয়ার প্লেতে ভালো করতে পারবে। সাউদিকে নেওয়ার পেছনে এসবই ছিল ভাবনায়।’

    সাকিব সুযোগ না পেলেও রাজস্থানের হয়ে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলটির পেস আক্রমণের মূল ভরসা তিনি। ধারাবাহিকভাবে পারফরম করছেন এ বাঁহাতি পেসার। বোলিংয়েও দারুণ মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন তিনি।

    এন-কে

  • ফের অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে সাকিব, বোলিংয়ে ২০ ধাপ এগোলেন ‘ফিজ’

    ফের অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে সাকিব, বোলিংয়ে ২০ ধাপ এগোলেন ‘ফিজ’

    বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সিরিজ শেষে টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিং হালনাগাদ করেছে আইসিসি। সর্বশেষ হালনাগাদকৃত র‍্যাংকিংয়ে অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন সাকিব আল হাসান। বোলিং র‍্যাংকিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমান দিয়েছেন বড় লাফ, এসেছেন শীর্ষ দশে।

    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ে সাকিবের রেটিং পয়েন্টি ছিল ২৫২। তিনি ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। এই সিরিজে ব্যাটে-বলে দারুণ খেলে পেয়েছেন ৩৬ পয়েন্ট। এখন অলরাউন্ডার র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন সাকিব, পেছনে ফেললেন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীকে। সাকিবের রেটিং এখন ২৮৬ এবং নবী পিছিয়ে আছেন কেবল ১ পয়েন্টে, তার পয়েন্ট ২৮৫।

    বোলার র‍্যাংকিংয়েও উন্নতি হয়েছেন সাকিবের। এই সিরিজ শুরুর আগে তিনি ছিলেন ১৯তম স্থানে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭টি উইকেট শিকার করে সাকিব উঠেছেন ১২তম স্থানে। এখন তার রেটিং পয়েন্ট ৬১০।

    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে দুর্দান্ত বোলিং করে সিরিজ জুড়ে আলোচনায় ছিলেন মুস্তাফিজ। এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন। তার উন্নতি হয়েছে ২০ ধাপ। ৩০তম থেকে উঠে এসে মুস্তাফিজ এখন অবস্থান করছেন দশম স্থানে। এই বাঁহাতি পেসারের রেটিং পয়েন্ট ৬১৯।

    একটি ম্যাচ খেলেই বোলার র‍্যাংকিংয়ে ২৬ ধাপ উন্নতি ঘটিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন তিনি। এতেই ৬৯তম স্থান থেকে উঠে এসেছেন ৪৩তম স্থানে। সাইফউদ্দিনের রেটিং পয়েন্ট ৪৭৯।

    র‍্যাংকিংয়ে সেরা ১০০-তে ঢুকেই নাসুম আহমেদ জায়গা করে নিয়েছেন ৬৬তম স্থানে, রেটিং পয়েন্ট ৪৪০। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে সর্বোচ্চ ৮টি উইকেট শিকার করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ৪০৭ পয়েন্ট নিয়ে শরিফুল ইসলামের জায়গা হয়েছে ৭৬তম স্থানে।২৯ত

    ব্যাটিং র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে সবার ওপরে আছেন নাঈম শেখ, ২৯তম স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩৩তম স্থানে। সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস আছেন যথাক্রমে ৪৪তম, ৫৩তম ও ৫৬তম স্থানে।

    ব্যাটিং র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে যথাক্রমে ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান ও বোলিং র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরাইজ শামসি আছেন।

    একনজরে বোলিং র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ :

    মুস্তাফিজুর রহমান- ১০ম স্থান- ৬১৯ পয়েন্ট
    সাকিব আল হাসান- ১২তম স্থান- ৬১০ পয়েন্ট
    মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন- ৪৩তম স্থান- ৪৭৯ পয়েন্ট
    নাসুম আহমেদ- ৬৬তম স্থান- ৪৪০ পয়েন্ট
    শরিফুল ইসলাম- ৭৬তম স্থান- ৪০৭ পয়েন্ট।

    একনজরে ব্যাটিং র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ :

    নাঈম শেখ- ২৯তম স্থান- ৫৩৬ পয়েন্ট,
    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- ৩৩ স্থান- ৫১৮ পয়েন্ট,
    সৌম্য সরকার- ৪৪তম স্থান- ৪৮৩ পয়েন্ট,
    সাকিব আল হাসান- ৫৩তম স্থান- ৪৬৯ পয়েন্ট,
    লিটন দাস- ৫৬তম স্থান- ৪৪৯ পয়েন্ট।

  • সাকিব নৈপুণ্যে বাংলদেশের সহজ জয়

    সাকিব নৈপুণ্যে বাংলদেশের সহজ জয়

    মিরপুরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দল।

    স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে তামিমের প্রথম ম্যাচের মাধ্যমে ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরেছেন সাকিব আল হাসানও। তাই ম্যাচ শুরুর আগেই ছিল বাড়তি উন্মাদনা।

    সেই উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে তোলেন সাকিব, রেকর্ডগড়া বোলিং ফিগারে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব ছাড়াও অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে পড়ে সফরকারীরা। শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রত্যাবর্তনে আলো ছড়ানো সাকিবের চোখ ধাঁধানো বোলিংয়ের দিনে পেস অ্যাটাককে স্বস্তি দিয়েছেন হাসান। মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতি বোঝা যায়নি হাসান-মুস্তাফিজদের কারণেই।

    টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩২.২ ওভারেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়রা, সংগ্রহ করে মাত্র ১২২ রান। কাইল মায়ার্সের ৫৬ বলে ৪০ ও রভম্যান পাওয়েলের ৩১ বলে ২৮ রানের দুই ইনিংস ছাড়া বলার মত স্কোর নেই আর কারও। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব একাই শিকার করেন চারটি উইকেট; ৭.২ ওভার বল করে ৮ রান খরচের দিনে দুটি ওভারই ছিল মেডেন। এছাড়া হাসান মাহমুদ তিনটি, মুস্তাফিজুর রহমান দুটি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ একটি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশকে সাবধানী শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ৮০ বলে ৪৭ রান করার পর থামে উদ্বোধনী জুটি। ৩৮ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন। ঝুঁকিহীন ব্যাটিং চালিয়ে যান তামিম। তবে তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ৯ বলে ১ রান করে আউট হয়ে যান। সাকিব ক্রিজে এসে উপভোগ করেন তামিমের সঙ্গ।

    তামিম জয়ের ভিত গড়ে দিলেও অর্ধশতকের দেখা পাননি। ৬৯ বলে ৭টি চার হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ৪৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন স্ট্যাম্পিং হয়ে। তামিমের মত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে ব্যর্থ হন সাকিবও। দেখেশুনে খেললেও ৪৩ বলে ১৯ রান করে আকিলের তৃতীয় শিকার হিসেবে বোল্ড হন তিনি।

    তবে দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। মুশফিকের ৩১ বলে ১৯ ও রিয়াদের ১৬ বলে ৯ রানের অপরাজিত দুই ইনিংসে বাংলাদেশ জয় পায় ৯৭ বল বাকি রেখেই। এই জয়ে ওয়ানডে সুপার লিগেও শুভসূচনা হল টাইগারদের।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২২/১০ (৩২.২ ওভার)
    মায়ার্স ৪০, পাওয়েল ২৮, জেসন ১৭, ম্যাককার্থি ১২
    সাকিব ৭.২-২-৮-৪, হাসান ৬-১-২৮-৩, মুস্তাফিজ ৬-০-২০-২, মিরাজ ৭-১-২৯-১

    বাংলাদেশ : ১২৫/৪ ( ওভার)
    তামিম ৪৪, মুশফিক ১৯*, সাকিব ১৯, লিটন ১৪, রিয়াদ ৯*, শান্ত ১
    আকিল ১০-১-২৬-৩, জেসন ৮-০-১৯-১

    ফল : বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।

  • শিশিরকে সাকিবের মার্সিডিজ বেঞ্চ ঈদ উপহার

    শিশিরকে সাকিবের মার্সিডিজ বেঞ্চ ঈদ উপহার

    এবার ভিন্ন এক আবহে এসেছে ঈদ আনন্দ। করোনা অবশ্য দমিয়ে দিতে পারেনি কুরবানির ঈদ উৎসব। প্রিয়জনকে নিয়ে সবাই মেতে আছেন ঈদ-উল-আযহার এই দিনে। বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান এই আনন্দের দিনে আছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কাটছে সময়।

    করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আগেই মার্কিন মুল্লুকে চলে যান সাকিব। তারপর সেখানেই রয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ঘরে এসেছে দ্বিতীয় কন্যা সন্তান। এই ঈদটাও তাই অন্যরকম বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের কাছে।

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ এই তারকা ঈদে চমকে দিলেন তার স্ত্রীকে। স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরকে একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ উপহার দিলেন তিনি। সাকিবের স্ত্রী তার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক আইডিতে গাড়ির ছবি দিয়ে এ খবর জানালেন ভক্তদের।

    জানালেন ‘ঈদি’ হিসেবে এবার স্বামী সাকিবের কাছ থেকে পেলেন এই গাড়িটি। শনিবার পোস্ট দেখেই ভক্তরা লাইক, কমেন্টস আর শেয়ারে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে শিশিরের পোস্ট।

    মা-বাবা অবশ্য আছেন দেশেই। তিনি নিউইয়র্কে পালন করছেন ঈদ। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আকসুকে না জানিয়ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি চলছে বাংলাদেশের এই ক্রিকেটারের। এ বছরের ২৯ অক্টোবর শেষ হবে শাস্তি।

    তার আগে ফেরার লড়াই শুরু করবেন এই আগস্টেই। প্রথমে লন্ডনে করবেন অনুশীলন। তারপর দেশে ফিরে কোচ সালাউদ্দিনের সঙ্গে সময় কাটাবেন সাকিব।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিপিএলে সাকিবের বার্বাডোজের শিরোপা জয়

    সিপিএলে সাকিবের বার্বাডোজের শিরোপা জয়

    টানা ১১ জয়ের পর হারের মুখ দেখল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। আর এই একটি পরাজয়ই গায়ানার জন্য হয়ে দাঁড়াল শিরোপা হাতছাড়ার কারণ। জোনাথন কার্টার, জনসন চার্লসদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের দাপুটে বোলিং শিরোপা এনে দিল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসকে। গায়ানাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতল বার্বাডোজ।

    প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রান করে বার্বাডোজ। রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৪৪ রানে থামে গায়ানার ইনিংস। এর ফলে ২৭ রানের জয়ে ২০১৪ সালের পর আবারও সিপিএলের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় বার্বাডোজ। আর নিজেদের পঞ্চম সিপিএল ফাইনালেও শিরোপা অধরাই থেকে যায় গায়ানার!

    ফাইনালে দলের দুর্দান্ত জয়ের দিন ব্যাট-বল হাতে কিছুটা ম্লান ছিলেন সাকিব আল হাসান। ১৫ রান করে রান-আউট হওয়ার পর থেকেছেন উইকেট-‘শূন্য’। ২ ওভার বল করে দিয়েছেন ১৮ রান।

    ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বার্বাডোজ। দলকে ভালো শুরু এনে দেন জনসন চার্লস ও অ্যালেক্স হেলস। ২৪ বলে ২৮ রানে হেলস ফিরলে ভাঙ্গে দু’জনের মধ্যকার ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।

    সাকিবের বদলে ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা ফিলিপ সল্ট ফাইনালে সুবিদে করতে পারেননি একদমই। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেন তিনি। দ্রুত দুই উইকেট হারানো বার্বাডোজকে এরপর টেনে নিয়ে চলেন চার্লস। তবে তা স্থায়িত্ব পায়নি বেশিক্ষণ। ২২ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও খেলে আউট হন তিনি। তার ৬ চার ও ১ ছক্কার ইনিংস শেষে ফের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় বার্বাডোজ।

    গায়ানার বোলারদের বোলিং তোপের চেয়ে নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝিতে বেশি খেসারত দিতে হয় দলটিকে। জেসন হোল্ডার (১) ও সাকিবের (১৫) রান আউটে দলীয় ১০৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। যা তৈরী করে বড় সংগ্রহ না পাওয়ার সম্ভাবনা।

    শেষ পর্যন্ত তা আর হতে দেননি কার্টার ও অ্যাশলে নার্স। সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩১ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে ২০ ওভার শেষে দলকে ৬ উইকেটে ১৭১ রানের পুঁজি এনে দেন তারা। সমান ৪ চার ও ছক্কায় কার্টারের ২৭ বলের ৫০ রানের ঝড় ও নার্সের ১৫ বলের ১৯ রানে চড়ে শেষ পর্যন্ত এ সংগ্রহ পায় বার্বাডোজ।

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে গায়ানা। বার্বাডোজের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ারে সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্রেন্ডন কিং আজও লড়ে যান অনেকটা একাই। তবে আজ আর বার্বাডোজকে কাঁদিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। ৩৩ বলে ৪৩ রান করা কিংকে আউট করেন নার্স।

    তার বিদায়ের পর দলের হাল ধরে খেলতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। যার ফলে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় গায়ানার। রেইমন রেইফারের বোলিং তোপে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪৪ রানে থামে দলটির ইনিংস। বার্বাডোজের বোলারদের মধ্যে রেইফার রানে নেন ৪টি উইকেট। এছাড়া হ্যারি গুরনে ও নার্স লাভ করেন দুটি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর-
    বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস: ১৭১/৬ (২০ ওভার)
    কার্টার ৫০*, চার্লস ৩৯, হেলস ২৮; তাহির ৪-০-২৪-১।

    গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স: ১৪৪/৯ (২০ ওভার)
    কিং ৪৩, পল ২৫, পুরান ২৪, রেইফার ৪-০-২৪-৪, নার্স ৪-০-১৭-২।

    ফল: বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ২৭ রানে জয়ী ও সিপিএল ২০১৯ আসরের চ্যাম্পিয়ন।

  • সিপিএলের ফাইনালে সাকিবের বার্বাডোজ

    সিপিএলের ফাইনালে সাকিবের বার্বাডোজ

    ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ১২ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিপিএল ২০১৯ আসরের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। রবিবার শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের মুখোমুখি হবে বার্বাডোজ।

    প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ১৬০ রান জমা করে বার্বাডোজ। ম্যাচের শেষ ১৪ বলে রেইমন্ড রেইফার ও অ্যাশলে নার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াকু পুঁজি পায় দলটি। সপ্তম উইকেট জুটিতে ১৪ বলে ৪৮ রান করেন তারা। রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ত্রিনবাগো। সেকুগে প্রসন্নের ২৭ বলের ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস ত্রিনবাগোকে স্বপ্ন দেখালেও, তার বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ১৪৮ রানে ত্রিনবাগোর ইনিংস শেষ হলে ১২ রানের জয় পায় বার্বাডোজ।

    দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ব্যাট হাতে ১৮ রান করার পর বল হাতে আজও খরুচে ছিলেন সাকিব। ২ ওভার থেকে ২৭ রান খরচ করলেও দলকে এনে দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।

    ১৬১ রানের জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা দারূন পেয়েছিল ত্রিনবাগো। সাকিবের করা ইনিংসের প্রথম ওভারে ৪ চার মেরে রান তাড়া শুরু করেন সুনীল নারিন। দ্বিতীয় ওভারেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোমেন্টাম। জেসন হোল্ডার ২ রান খরচায় তুলে নেন লেন্ডল সিমন্সের উইকেট। পরবর্তী ওভারে আউট হয়ে যান নারিনও।

    দুই ওপেনারের বিদায়ে রান তোলার গতিতে ভাটা পড়ে ত্রিনবাগোর। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা দলটি ৮১ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে কাইরন পোলার্ড ও প্রসন্ন’র ৩৯ রানের জুটি ম্যাচে প্রতিরোধ গড়ে। পোলার্ড ২৩ রান করে আউট হলেও দ্রুতগতিতে রান তুলে দলকে খেলায় ধরে রাখেন প্রসন্ন।

    ৪ চার ও ছক্কায় অর্ধশতক পূর্ণ করে দলকে ফাইনালের স্বপ্ন দেখান লঙ্কান এ ব্যাটসম্যান। ২০তম ওভারের প্রথম বলে তিনি আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ত্রিনবাগো। রেইফারের দুর্দান্ত ইয়র্কারে ৫১ রানে তার বিদায়ের পর ১৪৮ রানে অল-আউট হয় দলটি।

    বার্বাডোজের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট লাভ করেন মোট চারজন বোলার। হোল্ডারের ১ উইকেটের বিপরীতে দুটি করে উইকেট নেন হ্যারি গুরনে, হেইডেন ওয়ালশ, নার্স ও রেইফার।

    এর আগে ভেজা আউটফিল্ডের জন্য প্রায় ঘন্টা দেড়েক পর শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ত্রিনবাগো। দীর্ঘসময় ধরে কাভারে ঢাকা উইকেটের সুবিধা নিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। ম্যাচের শুরু থেকেই করতে থাকে নিয়ন্ত্রিত বোলিং। সাফল্য পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি দলটিকে। বার্বাডোজের দলীয় ২৭ রানে অ্যালেক্স হেলসকে (১০) আউট করে ম্যাচে প্রথম সাফল্য তুলে নেয় ত্রিনবাগো।

    হেলসের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব। ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে আভাস দেন বড় কিছু করার। যদিও শেষ পর্যন্ত আজও তা আর করতে পারেননি বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। ১ ছক্কা ও চারে ১২ বল মোকাবেলায় ১৮ রান করেন তিনি। পেরির বলে ফিরতি ক্যাচ দিলে দলীয় ৫১ রানে আউট হন তিনি।

    সাকিবের আউটের পর জনসন চালর্স ও জেপি ডুমিনির ব্যাটে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল বার্বাডোজ। ম্যাচের মাঝপথে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি দলটি। ডুমিনির (১০) চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর ৩৫ রান করে জনসনও আউট হয়ে গেলে ছন্দপতন ঘটে বার্বাডোজের। ত্রিনবাগোর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপরীতে জনাথন কার্টার, জেসন হোল্ডাররা বলার মতো কিছুই করে ওঠতে পারেনি। যা শঙ্কা জাগায় বার্বাডোজের লড়াকু সংগ্রহের।

    তবে শেষ পর্যন্ত তা হতে দেননি রেইফার ও নার্স। সপ্তম উইকেট জুটিতে ঝড় তুলে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন তারা। ইনিংসের শেষ ১৪ বলে ৪৮ রান করে বার্বাডোজকে ৬ উইকেটে ১৬০ রান করতে সাহায্য করেন নার্স ও রেইফার। ৯ বল থেকে ৩ ছক্কায় ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নার্স। আর ১৮ বল মোকাবেলায় ২ ছক্কার সাহায্যে রেইফার করেন ২৪ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর-
    বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস; ১৬০/৬ (২০ ওভার)
    চার্লস ৩৫, রেইফার ২৪*, নার্স ২৪*, হোপ ২৩, সাকিব ১৮; পেরি ৪-০-২৫-২।

    ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স: ১৪৮/১০ (১৯.৩ ওভার)
    প্রসান্ন ৫১, পোলার্ড ২৩, রামদিন ২১; নার্স ৪-০-১৪-২।

    ফল: বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ১২ রানে বিজয়ী।

  • বোলারদের নৈপুণ্যে ‘প্লে-অফে’ সাকিবের বার্বাডোজ

    বোলারদের নৈপুণ্যে ‘প্লে-অফে’ সাকিবের বার্বাডোজ

    সেন্ট লুসিয়া জুকসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারলেও বোলিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ৪ ওভারে ২০ রান খরচ করে তার প্রাপ্তিতে মিলেছে কলিন ইনগ্রামের উইকেট। বোলারদের নৈপুণ্য প্রদর্শনের ম্যাচে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস জয় পেয়েছে ২৪। এর ফলে সেন্ট লুসিয়াকে বিদায় করে ‘প্লে-অফে’ জায়গা করে নিল সাকিবরা।

    লো-স্কোরিং ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে বার্বাডোজ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বার্বাডোজের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১১৭ রানে থামে সেন্ট লুসিয়ার ইনিংস। ২৪ রানের জয়ে একম্যাচ বাকি থাকতেই ‘প্লে-অফের’ টিকিট নিশ্চিত হয় বার্বাডোজের।

    অল্প পূঁজির পর বোলিং আক্রমণের শুরুতে যথারীতি সাকিবের হাতে বল তুলে দেন জেসন হোল্ডার। ইনিংসের প্রথম ওভারে আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৩ রান খরচ করেন সাকিব। তবে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে এসে খেই হারান তিনি। দিয়ে বসেন ১২ রান। ‘পাওয়ার-প্লে’তে ২ ওভারে ১৫ রান খরচায় প্রথম স্পেল শেষ করেন সাকিব।

    ম্যাচের নবম ওভারে তাকে আবারও আক্রমণে আনেন হোল্ডার। এ যাত্রায় সফলতার মুখ দেখেন প্রথম বলেই। সমান ২ চার ও ছক্কায় ২৫ রান করা কলিন ইনগ্রামকে আউট করেন তিনি। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে দলকে এনে দেন ব্রেকথ্রু। মূল্যবান উইকেট শিকারের বিপরীতে খরচ করেন মাত্র ৩ রান।

    এরপর আবারও তাকে সরিয়ে নেওয়া হয় বোলিং থেকে। ব্যক্তিগত চতুর্থ ও শেষ ওভার করতে ইনিংসের ১৫তম ওভারে তৃতীয় স্পেলে আসেন বাঁ-হাতি এ স্পিনার। এ ওভারে মাত্র ২ রান (১, ০, ১, ০, ০, ০) খরচ করেন তিনি। এর ফলে ২০ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট নিয়ে নিজের কোটা শেষ করেন সাকিব।

    এক ওভারে তিন উইকেট নেন ওয়ালশ।
    এরপর ম্যাচের আলো নিজের দিকে নিয়ে যান হেডেন ওয়ালশ। ইনিংসের ১৭তম ওভারে তার তিন উইকেট শিকারে খেলার নিয়ন্ত্রণ নেয় বার্বাডোজ। চার বলের ব্যবধানে বার্নওয়াল, ড্যারেন স্যামি, সান্তোকির উইকেট হারিয়ে প্লে-অফের স্বপ্ন ভাঙ্গে সেন্ট লুসিয়ার। ১৮তম ওভারের শেষ বলে কেসরিক উইলিয়ামসকে হ্যারি আউট করার পর সেন্ট লুসিয়ার ইনিংসে শেষ পেরেক ঠুকেন ওয়ালশ। ৮ বল বাকি থাকতেই দলীয় ১১৭ রানে অল-আউট হয় সেন্ট লুসিয়া।

    বার্বাডোজের বোলারদের মধ্যে ২৬ রান খরচায় ওয়ালশ সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন। তাছাড়া হ্যারি তিনটি উইকেট লাভ করেন।

    এর আগে ‘বাঁচা-মরার’ ম্যাচে ব্রিজটাউনে টস ভাগ্য সহায় হয় বার্বাডোজের। সেন্ট লুসিয়া জুকসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। অ্যালেক্স হেলস ৪ বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরেন সাজঘরে।

    ওপেনারের বিদায়ের পর তিনে ব্যাট করতে নামেন সাকিব। রাহকিম কর্নওয়ালের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে এসে রানের খাতা খুলেন তিনি। জনসন চার্লসের মারমুখী ব্যাটিংয়ের বিপরীতে কিছুটা ধীরস্থিত হয়ে খেলতে থাকেন সাকিব। নিজের প্রথম বাউন্ডারির দেখা পান ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে।

    স্ট্রাইক রোটের সাথে আরও এক বাউন্ডারিতে ইনিংস বড় করার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। ফাওয়াদ আলমের করা নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে কলিন ইনগ্রামের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এতে থামে তার ২১ বলে ২ চারে করা ২২ রানের ইনিংস।

    বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দ্রুত সাজঘরে ফিরেন চার্লস। ৪৭ রান করা চার্লসের বিদায়ের পর কমে আসে বার্বাডোজের রান তোলার গতিতে। জেপি ডুমিনি, রেইফার রেমন্ডরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে ব্যর্থ হলে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা থেকে ছিটকে যায় দলটি।

    একমাত্র পরিবর্তনে বার্বাডোজ দলে এসেছিলেন জাস্টিন গ্রেভস। শেষদিকে তার ২৮ বলে করা ২৭ রানে চড়ে ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৪৩ রান করতে সক্ষম হয় দলটি।