Tag: সাজেক

  • আবারও সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করলো জেলা প্রশাসন

    আবারও সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করলো জেলা প্রশাসন

    মেঘের রাজ্য খ্যাত রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন সাজেক ভ্যালিতে পর্যটক ভ্রমণে আবারও নিরুৎসাহিত করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এসকল এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে আগামীকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।

    রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে এই নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম দফায় তিন দিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছিল জেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে সেই নিরুৎসাহিতকরণ আরও দুই দফা বৃদ্ধি করা হয়।

  • প্রথম দিনে সাজেক ভ্রমণে পাঁচ শতাধিক পর্যটক

    প্রথম দিনে সাজেক ভ্রমণে পাঁচ শতাধিক পর্যটক

    দেড় মাস পর দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র রাঙামাটির সাজেক আবারো মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটকদের পদচারণায়। মঙ্গলবার (৫ নবেম্বর) সকালে পাঁচ শতাধিক পর্যটক নিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থেকে ছেড়েছে প্রায় ৫০টি জিপ গাড়ি।

    দীর্ঘদিন পর সাজেকে পর্যটক আগমনে খুশি ব্যবসায়ীরা। প্রথম দিন পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও ধীরে ধীরে পর্যটকরা সাজেকমুখী হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা। সাজেকে ১১৬টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। এছাড়া ১৪টির বেশি রেস্তোরাঁ রয়েছে।

    সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের সত্ত্বাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, প্রথমদিন বুকিং কম। তারপরও ভালো লাগছে পর্যটকদের জন্য সাজেকের দুয়ার খুলে গেল। তাদেরকে বরণে আমরা শতভাগ প্রস্তুত। আশা করছি, ধীরে ধীরে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠবে সাজেক।

    সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চাই থোয়াই অং চৌধুরী জয় বলেন, দীর্ঘদিন পর পর্যটকরা সাজেক ভ্রমণ করতে পারায় ব্যবসায়ীরা খুশি। প্রথম দিন ৪৫০-৬০০ পর্যটক এসেছে। আশানুরূপ না হলেও প্রথম দিন হিসেবে এই সংখ্যা সন্তোষজনক।

    তিনি আরও বলেন, হয়তো প্রথমদিকে পর্যটক সংখ্যা কম হলেও ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। পর্যটকরা এলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন। আর নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান।

  • সাজেকের ট্যুরিস্ট স্পট হেলিপ্যাড বন্ধ ঘোষণা

    সাজেকের ট্যুরিস্ট স্পট হেলিপ্যাড বন্ধ ঘোষণা

    নিরাপত্তাজনিত কারণে পর্যটকদের জন্য সাজেকের ট্যুরিস্ট স্পট ‘হেলিপ্যাড’ বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

    মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সাজেকের রিসোর্টের মালিকরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    জানা গেছে, সাজেকের ওই স্থানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দুটোই উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা। এ কারণে পর্যটকদের কাছে সাজেকের হেলিপ্যাড আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এ ছাড়াও এই হেলিপ্যাডের চারপাশে বেশি কিছু রিসোর্ট রয়েছে।

    রিসোর্টের মালিকরা জানান, সাজেকের হেলিপ্যাডে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তবে হেলিপ্যাড নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, পর্যটকরা সাজেকের হেলিপ্যাডের সৌন্দর্য রক্ষার বিষয়ে সচেতন না। কেউ উচ্চশব্দে গান বাজান, আবার অনেকের নেশাদ্রব্য গ্রহণের বিষয় সামনে এসেছে। এ কারণে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই পর্যটকদের জন্য এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • সাজেকের শীতার্ত মানুষের পাশে চট্টগ্রামের ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার

    সাজেকের শীতার্ত মানুষের পাশে চট্টগ্রামের ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : পাহাড়ের বঞ্চিত জনপদ সাজেক’র তিন শতাধিক শীতার্ত মানুষের পাশে ভালোবাসার উষ্ণতা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে, চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার মিশন।

    শুক্রবার দুপুরে সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ হলে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দরিদ্র নারী-পুরুষদের হাতে একটি করে কম্বল তুলে দেন সংগঠনটির মানবিক কর্মীরা।

    ‘হৃদয়ে বাঘাইছড়ি’-এর সহযোগিতায় এবং সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট-এর ট্রাস্ট্রি উত্তম শর্মা।

    উদ্বোধক ছিলেন, চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘বিএসপি ফুড প্রডাক্ট’র স্বত্তাধিকারী ও সমাজসেবক অজিত কুমার দাশ।

    এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রনজিত কুমার দে, দৈনিক সমকাল’র খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি প্রদীপ চৌধুরী, ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার মিশন’র পৃষ্ঠপোষক শ্যামদাস ধর ও রুবেল সাহা এবং ‘হৃদয়ে বাঘাইছড়ি’র সংগঠক হাবিবুর রহমান সুজন।

    সভায় বিশিষ্ঠ শিল্পপতি ও সমাজসেবক অজিত কুমার দাশ পাহাড়ি এলাকার মানুষের প্রতি তাঁর প্রতিষ্ঠানের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিশেবে সাজেক এলাকার কর্মহীন যুবকদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থান, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিবাহবন্ধনে সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

    উল্লেখ্য, ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার মিশন, বৃহত্তর চট্টগ্রামের অনগ্রসর ও দারিদ্রপ্রবণ এলাকায় দানশীল মানুষদের কাছ থেকে অনুদান ও উপকরণ সংগ্রহ করে তা ন্যয়্যতার সাথে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • দেশের শান্তিতে যারা খুশি নয়, পার্বত্যাঞ্চলের শান্তিতেও তারা খুশি নয় : তথ্যমন্ত্রী

    দেশের শান্তিতে যারা খুশি নয়, পার্বত্যাঞ্চলের শান্তিতেও তারা খুশি নয় : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পুরো দেশের শান্তি বিনষ্ট করার জন্য যেমন ষড়যন্ত্র হয়, এখনো পার্বত্য চট্টগ্রাম ও এই এলাকার শান্তি নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়। দেশের উন্নয়ন ও শান্তিতে যারা খুশি নয়, পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়ন, স্থিতি এবং শান্তিতেও তারা খুশি নয়। সেই কারণে তারা নানা ষড়যন্ত্র করেন এবং সেটির বহিঃপ্রকাশ আমরা মাঝেমধ্যে দেখতে পাই। এব্যাপারে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

    তিনি বলেন, এখানে পূর্ববর্তী সরকার বিশেষ করে যখন বিএনপি ও এরশাদ ক্ষমতায় ছিল প্রকৃতপক্ষে তখন শান্তিচুক্তি করা ও বাস্তবায়নের জন্য হাতও দেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শান্তিচুক্তি করেছেন, এবং সেটি বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বহু শরণার্থী যারা এখানে অশান্তির কারণে দেশত্যাগী হয়েছিল তাদেরকে ফিরিয়ে এনেছেন। যারা ভিন্নপথে গিয়েছিল তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। এটি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে সম্ভবপর হয়েছে।

    সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ট্যুর ডি সিএইচটি মাউন্টেন বাইক’ প্রতিযোগীতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সফিকুল আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, মহিলা এমপি বাসন্তি চাকমা, ব্রিগেড কমান্ডার ফয়েজুর রহমান, দিঘীনালা উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম প্রমুখ।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম বদলে গেছে, বাংলাদেশের অন্য এলাকার চেয়ে পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি। কারণ এখানে সরকার অধিক মনযোগী। এর ফলে তিন পার্বত্য জেলার চিত্র বদলে গেছে। এখানে মানুষের যে উন্নয়ন হয়েছে এটি সম্ভবপর হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি করা ও তার বাস্তবায়নের মাধ্যমে এখানে শান্তি স্থাপন করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলসহ পুরো চট্টগ্রামে ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সাইক্লিং ট্যুরের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের নাম এবং এখানকার ট্যুরিজমের যে সম্ভাবনা রয়েছে সেটা সমগ্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। পৃথিবীর অনেক দেশ ট্যুরিজমকে কাজে লাগিয়ে তাদের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। আমাদের দেশে ট্যুরিজমের যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে তা যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। সেজন্য প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়ন। সেটি আমাদের সরকার অনেক করেছেন। শান্তি স্থিতিও প্রয়োজন, সমস্ত কিছু মিলে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাজেকে অপরিকল্পিত ভাবে যেভাবে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরী হচ্ছে, যেভাবে পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, এটি সঠিক নয়। এটাকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনার জন্য আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি, কিছুদিনের মধ্যে এটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করারলক্ষ্যে একটি কমিটি বা এজাতিয় কিছু একটা করে দিয়ে সেটির মাধ্যমে এটার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।

    করোনা ভাইরাসের মধ্যেও যখন সমস্তকিছু স্তব্দ, তখন মুজিব শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মাউন্টেন বাইকিংয়ের আয়োজনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অপরূপ শোভায় শোভিত সাজেক ভ্যালি, পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশ অপরূপ শোভায় শোভিত। এখানে সাইক্লিং করার যে তৃপ্তি, যারা সাইক্লিং করেন তারা ছাড়া অন্যকেউ বলতে পারবেনা। আমি ছাত্রজীবনে নিজেও সাইকেল চালিয়ে ইউনিভার্সিটি যাওয়া আসা করতাম। সেকারণে আমি নিজেও সাইক্লিংয়ের ভক্ত, ঢাকা শহরে নানা দাবীতে ও পরিবেশ সংরক্ষণসহ বিভিন্ন সাইকেল র‌্যালীতে আমি নিয়মিত অংশগ্রহণ করি।

    তিনি বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮’শ ফুট উপরের সাজেক থেকে রওনা দিয়ে পুরো উচুনিচু ৩’শ কিলোমিটার পাহাড় পাড়ি দিয়ে তারা থানচি পৌছুবেন, এটি চাট্টিখানি কথা নয়, মাউন্টেন সাইক্লিং এটি যে কেউ পারেনা। আমি আনন্দিত হয়েছি এই প্রতিযোগীতায় প্রায় ৭’শ জন আবেদন করেছিল তৎমধ্যে ফাইনালি নেয়া হয়েছে ৫৫ জনকে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বাংলাদেশের তরুনদের যদি আমরা গড়ে তুলতে চাই, তাহলে ক্রীড়া প্রতিযোগীতাসহ সাইক্লিংয়ের কোন বিকল্প নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি ও মাদকের হিংস্র থাবা থেকে তরুনদের বের করে আনার জন্য ব্যাপক আকারে ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাইক্লিং ট্যুরসহ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আয়োজন করার কোন বিকল্প নাই।

  • সাজেকবাসীর খাদ্য সংকটে আশার আলো আশিকা;৭’শ পরিবারকে ৫৬ কেজি করে ভোগ্যপণ্য সামগ্রী প্রদান(ভিডিও)

    সাজেকবাসীর খাদ্য সংকটে আশার আলো আশিকা;৭’শ পরিবারকে ৫৬ কেজি করে ভোগ্যপণ্য সামগ্রী প্রদান(ভিডিও)

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:সাজেক এলাকার ৭’শ দরিদ্র পরিবারকে এক মণ চালসহ ৫৬ কেজি ভোগ্যপণ্য সামগ্রী দিচ্ছে রাঙামাটির স্থানীয় এনজিও ‘আশিকা’।

    সোমবার (৮ জুন) মধ্যাহ্নে মাচলং বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিটি পরিবারকে এক মন চাল, চার লিটার তেল, চার লিটার মসুর ডাল, চার কেজি মটরডাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি লবন, পাঁচ কেজি আলু এবং দুই কেজি করে ঙাপ্পি প্রদান করা হয়।

    ইউকে এইড-এর অর্থায়নে স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের সহযোগিতায় আশিকা’র নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা জানান , পার্বত্য রাঙামাটি জেলার দুর্গম ও দারিদ্র রিবেচনায় বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৭’শ এবং জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ৩’শ পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় নেয়া হয়েছে।

    এসব পরিবারকে ত্রাণ ছাড়াও প্রতিটি পরিবারকে দেড় হাজার লিটারের একটি পানির ট্যাংকসহ পানি বিশুদ্ধকরণ উপকরণ দেয়া হবে।

    দুর্গম মাচলংসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ৭’শ পরিবারের হাতে ত্রাণ সহায়তা তুলে দিলেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু।

    এসময় বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনজুর আলম, সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইসরাফিল মজুমদার, সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা, আশিকা’র নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা, প্রকল্প পরিচালক এড. কক্সি তালকদার, প্রকল্প সমন্বয়কারী বিমল চাকমা অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • সাজেক ও দুমদুম্যা এলাকার এক হাজার দরিদ্র পরিবারকে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ দেবে আশিকা

    সাজেক ও দুমদুম্যা এলাকার এক হাজার দরিদ্র পরিবারকে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ দেবে আশিকা

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:সাজেক ও দুমদুম্যা’র এক হাজার দরিদ্র পরিবারকে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ দেবে আশিকা।

    কাল (সোমবার) সকাল ১১টায় মাচলং বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিটি পরিবারকে এক মন চাল, চার লিটার তেল, চার লিটার মসুর ডাল, চার কেজি মটরডাল, এক কেজি চিনি, এক কেজি লবন, পাঁচ কেজি আলু এবং দুই কেজি করে ঙাপ্পি প্রদান করা হবে।

    আশিকা’র প্রকল্প সমন্বয়কারী বিমল কান্তি চাকমা জানান, ইউকে এইড-এর অর্থায়নে স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের সহযোগিতায় পার্বত্য রাঙামাটি জেলার দুর্গম ও দারিদ্র রিবেচনায় বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৭’শ এবং জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ৩’শ পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় নেয়া হয়েছে। এসব পরিবারকে ত্রাণ ছাড়াও প্রতিটি পরিবারকে দেড় হাজার লিটারের একটি পানির ট্যাংকসহ পানি বিশুদ্ধকরণ উপকরণ দেয়া হবে।

    সাজেক এলাকার একমাত্র সংবাদকর্মী মো: জুয়েল জানান, নামে পর্যটন এলাকা হলেও এখানকার পরিবহন এবং ট্যুরিজম ব্যবসার সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ অস্থানীয়দের। এখানকার মানুষের সুখে-দু:খে সরকার ও সেনাবাহিনী-বিজিবি ছাড়া আর কেউই অবদান রাখেন না।

    বিগত দুই মাসে এনজিও ‘আশিকা’ দুর্গম এলাকার হাম আক্রান্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলোর পাশে চিকিৎসা-নগদ ও ত্রাণ সহায়তা নিয়ে পাশে না দাঁড়ালে সাজেক এলাকার পরিস্থিতি অনেক বেশি নাজুক হয়ে পড়তো বলে মনে করেন স্থানীয় মৌজা প্রধান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গরেন্দ্র ত্রিপুরা।

    আশিকা’র নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা জানান, পর্যটনস্পট হিশেবে সারাদেশে পরিচিত ভারতের সীমান্ত লাগোয়া সাজেকের মানুষের সমস্যার গভীরতা ও ব্যাপকতা অনেক বেশি। কৃষি-শ্রম ও জুম নির্ভর প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠির সামগ্রিক উন্নয়নে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও উদ্যোগ প্রয়োজন।

    তিনি প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ইতিবাচক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে এই জনপদের কল্যাণে উন্নয়ন সহযোগীদের মনোযোগ আকর্ষনের জন্য ‘আশিকা’ সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

    সাজেক ইউপ চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন জানান, দেশের বেশ কয়েকটি জেলার চেয়ে বড়ো এই ইউনিয়নে লুসাই-পাঙ্খো-চাকমা-ত্রিপুরা ছাড়াও বাঙালি জনগোষ্ঠির বসবাস রয়েছে। উপকারভোগী নির্বাচনে হেডম্যান-কার্বারী-ইউপি সদস্য ছাড়াও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি সম্প্রদায় থেকে প্রকৃত দরিদ্রদেরকেই বাছাই করা হয়েছে।

    বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান হাবিব জিতু জানান, দুর্গম এলাকাগুলোতে সচরাচর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) কাজ করতে চায় না। সেক্ষেত্রে ‘আশিকা’ সাজেকবাসীর দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে কোন ধরনের সহায়ক উদ্যোগের সাথে প্রশাসন একাত্ম হয়ে কাজ করবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • সাজেকে কমেনি হামের প্রকোপ: চিকিৎসা সেবায় ‘আশিকা’র ভিন্নধর্মী উদ্যোগ(ভিডিও)

    সাজেকে কমেনি হামের প্রকোপ: চিকিৎসা সেবায় ‘আশিকা’র ভিন্নধর্মী উদ্যোগ(ভিডিও)

    রাঙামাটি প্রতিনিধি::রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম সাজেকে কমেনি হামের প্রকোপ। নতুন করে সাজেকের দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় আরো একশ জনের বেশি হামে আক্রান্ত হয়েছে।

    স্থানীয় কার্বারী (পাড়া প্রধান), বেসরকারি চিকিৎসক এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতিনিয়তই এমন খবর মিলছে।

    গত মঙ্গলবার ও বুধবার সরেজমিনে সাজেক ইউনয়নের শিজকছড়া, হাউজপাড়া, সুরুংনালা, মাচলং, উজোবাজার এবং ভূইয়োছড়ি ঘুরে কমপক্ষে ৩৫টি দরিদ্র পরিবারের শিশুকে হামে আক্রান্ত দেখা গেছে। তবে কোথাও গত এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কোন চিকিৎসাকর্মীর দেখা না পাওয়ার অভিযোগও আছে মানুষের মুখে মুখে। চরম খাদ্য সংকটে থাকা নি:স্ব মানুষগুলোর অসহায়ত্ব চোখেমুুখে ফুটে উঠলেও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে ভিন্ন কথা।

    তাঁদের বক্তব্য হলো নতুন করে হামে আক্রান্ত হবার তথ্য যেমন নেই, তেমনি মাঠে প্রতিনিয়তই কাজ করছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।
    এমন বাগাড়ম্বরের ফাঁদে পড়ে সাজেকের হাম পরিস্থিতি আরো বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশংকা করছেন এলাকার সব শ্রেণির বাসিন্দারা।

    সুরুংনালা এলাকার সমাজকর্মী বিজয় কেতন চাকমা জানান, সরকারি-বেসরকারি কর্তপক্ষের কাছে সাজেক মানে ‘রুইলুই পর্যটন’। ওখানে উঠলে পাহাড়-প্রকৃতি দেখা যায়, মানুষের কষ্ট দেখা যায় না। তাই এখানকার মানুষের অভাব-অসুস্থতা জানতে হলে রুইলুই পাহাড় থেকে নেমে চারপাশে হাঁটতে হবে।

    উজোবাজারের ফার্মেসি মালিক পুতুল চাকমা বলেন, চলতি মাসের শুরু থেকে রাঙামাটি থেকে ‘আশিকা ডেভলপমেন্ট এসোসিয়েটস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের নিয়োগকৃত স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে ইউনিয়নের সবচেয়ে দুর্গম এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র-পরামর্শের পাশাপাশি পরিবারপিছু নগদ অর্থ সহায়তাও প্রদান করছে।

    উন্নয়নকর্মী সুমিত চাকমা’র মতে সরকারি সেবার অপ্রতুলতা কাটিয়ে উঠতে ‘আশিকা’র প্রতি সাজেকের মানুষের আস্থা বেড়েছে।

    ইউপি সদস্য সুশীলা চাকমা ও হীরানন্দ ত্রিপুরা বলেন, সাজেক ইউনিয়নটি ফেনী জেলার সমান আয়তনের। বেশিরভাগ এলাকা দুর্গম এবং দারিদ্র্যপ্রবণ। গ্রীস্ম ও বর্ষাকাল মানেই এখানে খাদ্য সংকটের মৌসুম। এই সময়টাতে ‘আশিকা’র মতো এনজিওরা বেশি বেশি এগিয়ে আসলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে।

    চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে ‘আশিকা’

    হাম রোগীদের চিকিৎসা দিতে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ‘আশিকা ডেভেপমেন্ট এসোসিয়েটস’- এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বিমল চাকমা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা ও বিনামূল্যে ঔষুধ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিয়োগকৃত স্বাস্থ্যকর্মীরা। গত একমাসে ইউকে এইড ও স্টর্ট ফান্ড বাংলাদেশ-এর সহায়তায় সাজেকের দুর্গম কাইচ্ছা পাড়া, অরুণপাড়া, শিয়ালদা, ভূইয়োছড়ি, শিজকছড়া, দাড়িপাড়া, সুরুংনালা এলাকায় ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্প, কাউন্সেলিং, বিনামূল্যে ঔষধ এবং নগদ সহায়তা প্রদান অব্যাহত আছে।

    তিনি জানান, সাজেক ইউনিয়নের অধিকাংশ স্থায়ী বাসিন্দাই জুমজীবি এবং দিনমজুর। বছরের এই সময়টাতে পুরো এলাকাজুড়ে খাদ্য ও কাজের সংকট সৃষ্টি হয়। সরকার-বেসরকারিভাবে স্বল্পমূল্যের রেশনিং চালু করা গেলে মানুষের জীবন ও জীবিকা স্থায়িত্বশীল হবে।

    সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন চাকমা, সাজেক এলাকায় নতুন করে মাচলংয়ে ৬৪ জন, সুরুনং নালায় ২৮ জন, গঙ্গারাম ও ভাইবোন ছড়ায় ৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আইন-শৃখলা বাহিনীকে আক্রান্তদের তালিকা দেয়া হয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নতুন করে হামে আক্রান্ত হয়েছে বলে তার কাছে এখনো কোন তথ্য আসেনি।

    ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন আরো জানান, দুর্গম এলাকায় ৯ শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে সবার আগে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। পাশাপাশি অনেক এলাকায় বিজিবিও সহযোগিতা প্রদান করেছে। এই দুই প্রতিষ্ঠান এগিয়ে না আসলে পরিস্থিতি আরো খারপা হতে পারতো।

    ‘আশিকা ডেভলপমেন্ট এসোসিয়েটস’-এর নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমা জানান, ২০১৭ সালে সাজেক এলাকায় ভয়াবহ খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছিলো। তাঁর আগেও ‘ইঁদুর বন্যা’র কবলে পড়ে ব্যাপক ফসলহানির মুখে মানুষ সাজেক ছেড়ে পালানোর ঘটনা ঘটেছিল। এলাকাটির অধিকাংশ মানুষ সুপেয় পানির সুযোগবঞ্চিত। অভাব-অশিক্ষায় মানবেতর জীবনযাপন করেন।

    তিনি তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার রেশ টেনে বলেন, জিও-এনজিও ক্লোজলি দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করলেই ওখানে স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে। আর তখনিই মানুষের অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলো পূরণে অগ্রগতি মিলবে।

    বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার নতুন করে হামে আক্রান্ত রোগীর কোন তথ্য নেই দাবি করে বলেন, মাঠে স্বাস্থ্য কর্মীরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছেন। প্রয়োজনে তিনি নিজেও এলাকা পরিদর্শন করে নির্দেশনা দেবেন।

    রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ চাকমা জানান, তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। সেনাবাহিনী-বিজিবিও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছেন। নতুন করে আক্রান্তের তথ্য নিশ্চিত হওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করলে এলাকার মানুষ বেশি উপকৃত হবেন বলেও মত ব্যক্ত করেন।

    উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে সাজেক ইউনিয়ন এলাকায় হামের প্রার্দূভাব দেখা দেয়। এতে ৯ শিশু হামে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তখন আক্রান্ত হয়েছিলে বয়স্ক ও শিশুসহ দুশতাধিক আক্রান্ত হয়েছে। এখন চলতি মাসের শেষদিক থেকে আবারো নতুন করে আক্রান্তের খবর মিলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

  • সাজেকের কংলাক পাহাড় থেকে পড়ে পর্যটকের মৃত্যু

    সাজেকের কংলাক পাহাড় থেকে পড়ে পর্যটকের মৃত্যু

    রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণে গিয়ে পাহাড় থেকে পড়ে মো. রফিকুল ইসলাম (৪০) নামে এক পর্যটক নিহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রফিকুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া গ্রামের মৃত গণি মিঞার ছেলে।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় কিশোরগঞ্জ জেলা ব্যবসায়ী সমিতির ৮০ জন সদস্য সাজেক ভ্রমণে আসেন। সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে বিকেলে সবাই সাজেকের কংলাক পাহাড়ে ওঠার সময় রফিকুল হঠাৎ মাথা ঘুরে নিচে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রশাসনের সহযোগিতায় রাত ৮টায় দিঘিনালা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনিসুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    সাজেক থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসরাফিল মজুমদার জানান, তার সঙ্গে আসা বাকি পর্যটকরা নিরাপদে রয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ তার নিজ গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

  • সাজেক ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা

    সাজেক ভ্রমণে নতুন নির্দেশনা

    পার্বত্য জেলা রাঙামাটির সর্ব-উত্তরের মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত সাজেক ভ্যালি। দেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন এটি। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম এবং পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা।

    সব ঋতুতে সাজেক যাওয়া যায়। তবে বর্ষা, শীত ও হেমন্তকালে সাজেকের রূপ যেন শতগুণ বেড়ে যায়। পাহাড়ের কোলে মেঘের খেলা চলে সারাদিন। হাজার ফুট উঁচুতে উঠে যখন মেঘের মাঝে হারিয়ে যাবেন, মনে হবে অন্য এক পৃথিবী। সাজেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের কোনো তুলনা হয় না। হারিয়ে যাবেন অন্য রকম এক প্রশান্তিতে।

    সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সাজেক উন্নয়ন ফোরাম। এতে শীতকালে গাড়ি প্রবেশের সময়সূচি, নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের ব্রিফিং করার সময় এবং সাজেক থেকে ফেরার সময় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া যাত্রাকালীন সময়ে পর্যটক ও চালকদের প্রতি আলাদা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বর থেকে নিয়মগুলো কার্যকর হবে।

    খাগড়াছড়ি বা দিঘীনালা থেকে খোলা জীপে করে সাজেক যেতে হবে। যা চান্দের গাড়ি নামেই পরিচিত। দু’দিনের জন্য ৭০০০-৯০০০ টাকা গুনতে হবে। চান্দের গাড়িতে আসন সংখ্যা ১২টি। খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালার দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। দীঘিনালায় একটি সেনানিবাস রয়েছে। এরপর বাকি রাস্তাটুকু আপনাকে যেতে হবে সামরিক বাহিনীর এসকোর্টে। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী এই পদক্ষেপ নিয়েছে। শীতকালে দীঘিনালা থেকে সেনাবাহিনীর এসকোর্ট শুরু হবে সকাল ৯ টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। তাই ওই সময়ের আগেই আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালায়। সকালের এসকোর্ট মিস করলে অপেক্ষা করতে হবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

    সাজেক উন্নয়ন ফোরামের বিজ্ঞপ্তি

    দীঘিনালা থেকে প্রথমে যেতে বাগাইহাট, তারপর মাচালং হাট হয়ে সরাসরি পৌঁছে যাবেন সাজেক। খাগড়াছড়ি শহর থেকে সাজেক যেতে সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তাধরে চলা এই ছোট জার্নিটি সাজেক ট্যুরের অন্যতম আকর্ষণ। চারদিকে শুধু পাহাড় আর হরিতের সমারোহ আপনাকে ভুলিয়ে দেবে পথের ক্লান্তি। সাজেক থেকে দিঘীনালার উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন সকাল ১০টা ও বিকেল ৩টায়।

    সাজেক উন্নয়ন ফোরামের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সড়কের পাশে বসবাসকারী বাচ্চাদের চলন্ত গাড়ি থেকে চকলেট ছুড়ে ফেলবেন না। তবে গাড়ি থামিয়ে চকলেট বা অন্য কোনো কিছু দেয়া যেতে পারে।