Tag: সাটুরিয়া

  • ঈদের দিন বন্যাদুর্গত মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আমরাই কিংবদন্তী’র খাবার, মাস্ক ও গোশত বিতরণ

    ঈদের দিন বন্যাদুর্গত মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আমরাই কিংবদন্তী’র খাবার, মাস্ক ও গোশত বিতরণ

    আমরাই কিংবদন্তী (এসএসসি ২০০০ এবং এইচএসসি ২০০২) একটি অনলাইন ভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপ, যেখানে সারা বাংলাদেশের এসএসসি২০০০ এবং এইচএসসি২০০২ সালের ছাত্র-ছাত্রীদের একত্র করে একক প্লাটফর্মে আনার চেষ্টা চলছে।

    আমরাই কিংবদন্তী গ্রুপ এর একদল স্বেচ্ছাসেবী শনিবার (১ আগস্ট) পবিত্র ঈদ-ঊল-আজহা’র দিনে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াস্থ সোলাই গোবিন্দপুর, পাচুটিয়া ও তিল্লী এলাকায় প্রায় ছয় শতাধিক মানুষকে খাবার, মাস্ক, খাবার স্যালাইন ছাড়াও কিছু বিশেষ পরিবারের মাঝে খাসির গোশত বিতরণ করে, পানিবন্ধী অসহায় মানুষের সাথে ঈদ আনন্দ কে ভাগাভাগি করার লক্ষ্যে।

    দেশের ও বিশ্বের চলমান করোনা’র (কোভিড-১৯) ভয়াবহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস থেকে “ক্ষুদ্র প্রয়াসে পাশে আছি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে গত ঈদ-ঊল-ফিতরের দিন থেকে শুরু করে খাবার বিতরণ কার্যক্রমটি চলমান আছে। যা বর্তমানে শুক্রবার করে চলমান থাকলেও, ভবিষ্যতে প্রতিদিন করার পরিকল্পনা করছে গ্রুপের নিবেদিত প্রাণ সদস্যরা।

    ঈদের আনন্দ বানভাসি মানুষের সাথে সম্মিলিত ভাবে ভাগাভাগি করার প্রয়াস থেকেই ৩২ হাজার সদস্য এর পরিবার উদ্যোগী হয়ে এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়।

    গ্রুপ এর স্বেচ্ছাসেবী দলটি দুপুর ২ টায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়াস্থ সোলাই গোবিন্দপুর থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে, পরবর্তীতে বিতরণ কার্যক্রম পাচুটিয়া ও তিল্লী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

    এসময় প্রায় ছয় শতাধিক পানিবন্ধী মানুষের মাঝে মোরগ-পোলাও ও জর্দা, মাস্ক এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে বিশেষ কিছু পরিবারের মাঝে কোরবানীকৃত খাসির গোশত বিতরণ করা হয়।

    এখানে উল্লেখ্য, “মানবতার কল্যাণে কিংবদন্তী সবখানে” এই মূলনীতিতে এগিয়ে চলা গ্রুপটি করোনার প্রাথমিক পর্যায় বিভিন্ন জনসেচনতা ও সেবামূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে।

    উল্লেখ্য যে, ১৫ নভেম্বর ২০১৭ থেকে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে প্রায় ৩২ হাজার সদস্যের পরিবারটি আগামীর পথে এগিয়ে চলেছে।

    এই গ্রুপটি এর আগেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখে আসছে; তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশ জুড়ে পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা অভিযান, প্রতিবন্ধী শিশুদের সহায়তা কার্যক্রম, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প, অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ ও খাবার বিতরণ, বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ এবং রক্তদান কর্মসূচীসহ বিবিধ কার্যক্রম।

    একটি অনলাইন ভিত্তিক গ্রুপ হয়েও বন্ধুরা শুধু অনলাইনেই সীমাবদ্ধ না থেকে দেশের, সমাজের বিভিন্ন কাজে এগিয়ে এসেছে গ্রুপটি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে সমাজের কিছু সচেতন সু-নাগরিক, যারা এই গ্রুপটি কে প্রতিনিয়ত ভালো কাজে উৎসাহ দিচ্ছেন।

    ধারাবাহিক ভাবে গ্রুপের পিছিয়ে পড়া সদস্যসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের অসহায় মানুষদের পাশে চিকিৎসা সেবা সহ সকল মৌলিক সেবা পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা করছে এই গ্রুপের সদস্যরা ।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

    শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

    মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে।

    অভিযুক্ত ধর্ষক জামাইয়ের নাম হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫)। সে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নান্দেশ্বরী এলাকার সোহরাব হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক হাবিব পলাতক রয়েছে।

    এদিকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক হাবিবুর রহমান হাবিবকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। শনিবার সন্ধ্যায় সাটুরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার সাফুল্লী চকপাড়া এলাকায় এবং সে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।

    ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, তার স্বামী সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাটুরিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মার্কেটে ব্যবসা করেন এবং মেয়ে সাটুরিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। সেই সুবাদে তারা মেয়েকে (ওই স্কুলছাত্রী) নিয়ে সাটুরিয়া বাজারের এরশাদ চৌধুরীর (ধর্ষকের শ্বশুরবাড়ি) তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন। শনিবার সন্ধ্যায় ধর্ষক হাবিবুর রহমান তার শ্বশুর এরশাদ চৌধুরীর বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং ওই ভাড়া বাসায় তার মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।

    এরপর তার মেয়ের চিৎকারে ধর্ষকের শাশুড়ি শাহনাজ চৌধুরী এগিয়ে আসলে ধর্ষক হাবিব পালিয়ে যায়। পরে তিনি শনিবার রাতেই বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

    সাটুরিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই উজ্জল হোসেন জানান, এই ঘটনায় মামলা হলে শনিবার রাতেই ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযুক্ত ধর্ষক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।

    সাটুরিয়া থানার ওসি মো: মতিয়ার রহমান মিঞা বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। পরে রোববার ওই স্কুলছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং জবানবন্দীর জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।