Tag: সাধারণ সম্পাদক

  • জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সা. সম্পাদক ইলিয়াস 

    জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সা. সম্পাদক ইলিয়াস 

    জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির ২০২১-২২ মেয়াদে সভাপতি পদে ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস খান নির্বাচিত হয়েছেন।

    ফরিদা ইয়াসমিন প্রেসক্লাবের প্রথম নারী সভাপতি।

    বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হয় নির্বাচনের ফলাফল।

    সভাপতি পদে ফরিদা ইয়াসমিন পেয়েছেন ৫৮১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন সবুজ পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট। ফরিদা ইয়াসমিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদ্য বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

    সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস খান পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর ফারুকের প্রাপ্ত ভোট ৩৯৩টি। ইলিয়াস খান জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

    সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে হাসান হাফিজ ৪১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া পেয়েছেন ৩৬৭ ভোট।

    সহ-সভাপতি পদে রেজোয়ানুল হক রাজা ৬১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী খন্দকার হাসনাত করিমের প্রাপ্ত ভোট ৩৪০টি।

    কোষাধ্যক্ষ পদে সাহেদ চৌধুরী ৭০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাউদ্দীন আহমাদ বাবুল পেয়েছেন ২৬৭ ভোট।

    যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাইনুল আলম (৫৭৭) ও আশরাফ আলী (৩৯৫)।

    নির্বাচিত ১০ জন সদস্য হলেন- আইয়ু্ব ভুঁইয়া (৫৪৪), রেজানুর রহমান (৪৭৪), কাজী রওনাক হোসেন (৪৫৫), জাহিদুজ্জামান ফারুক (৪৪৩), শাহনাজ বেগম পলি (৪৩০), সৈয়দ আবদাল আহমেদ (৪২১), শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা (৪২০), ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী (৪১১), রহমান মুস্তাফিজ (৩৭৯) ও বখতিয়ার রানা (৩৬৮)।

    জাতীয় প্রেসক্লাবের এবারের নির্বাচনে ১৭টি পদে সর্বমোট ৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের দু’টি প্যানেল ছিল। ফরিদা-ফারুক পরিষদ এবং সবুজ-ইলিয়াস পরিষদ। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও অংশ নেন এ নির্বাচনে।

    এর আগে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ।

  • করোনায় মারা গেলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান

    করোনায় মারা গেলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান

    বৈশ্বিক মহামারী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।

    মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রিনা হাসান, দুই ছেলে সোহরাব আল হাসান ও সাকিব আল হাসানকে রেখে গেছেন।

    মহানগর উত্তরের দফতর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক বলেন, হাসান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। সকাল থেকেই তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। দ্রুত তাকে গ্রামের বাড়ি থেকে অনেক চেষ্টা তদবির করে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

    রাজ্জাক বলেন, আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের জন্য রাজধানী ছোট বড় সব হাসপাতালে আমরা গত দুইদিন হণ্যে হয়ে ঘুরেছি। কোথাও চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়নি।

    গত দুইদিন আগে আহসানউল্লাহ হাসানের শরীরের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। রাজধানীতে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে আশুলিয়ায় গ্রামের বাড়ি মশুরিখোলায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে তাকে শনিবার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আনা হয়।

    পরিবারের সদস্যরা জানান, কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের কোনো ব্যবস্থা না থাকাতে তাকে পুনরায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে রোববার সকালে গুলশানে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    একাদশ নির্বাচনে আহসানউল্লাহ হাসান ঢাকা-১৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া হাসান ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মিরপুর ৬নং ওয়ার্ডের টানা তিন দফায় নির্বাচিত কমিশনার ছিলেন। ১/১১ এর পরে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র হিসেবে মাসখানেক দায়িত্ব পালন করেছেন।

    ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দুইভাগে বিভক্তির পর ২০১৭ সালে মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান হাসান। নেতাকর্মীদের কাছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। যে কোনো বিপদের সময়ে কর্মীরা তাকে কাছে পেত। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে মহানগর বিএনপিতে নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, উত্তর সিটির বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, উত্তর বিএনপির সভাপতি এমএ কাইয়ুম পৃথক পৃথক শোকবার্তায় মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আরও ৪ সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি যারা

    আরও ৪ সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি যারা

    দেশের বিভিন্ন এলাকায় আবারও নির্বাচনী হাওয়া। মৃত্যু ও পদত্যাগ জনিত কারণে পাঁচটি সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ওই পাঁচ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

    শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সংসদীয় মনোনয় বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সভায় সভাপতিত্ব করেন।

    পাঁচটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা, তারা হলেন- ঢাকা-১০ আসনে এফবিসিআই’র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, গাইবান্ধা-৩ আসনে কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বাগেরহাট-৪ আসেন আমিরুল ইসলাম মিলন, যশোর-৬ আসনে শাহীন চাকলাদার, বগুড়া-১ আসনে সাহাদারা মান্নান।

    চারটি আসনের উপ নির্বাচনে ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়, ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই, ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৮ ফেব্রুয়ারি। ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহার। প্রতীক বরাদ্দ ১ মার্চ আর ভোটগ্রহণ হবে ২১ মার্চ।

  • বিএনপি আন্দোলনেও খোড়া, নির্বাচনেও খোড়া : ওবায়দুল কাদের

    বিএনপি আন্দোলনেও খোড়া, নির্বাচনেও খোড়া : ওবায়দুল কাদের

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ বিএনপি আন্দোলনেও যেমন খোড়া, তেমনি নির্বাচনেও খোড়া। এ কারণে তারা নির্বাচনের আগেই সুষ্ঠু হবেনা বলে অভিযোগ করছেন। ভোট হওয়ার পূর্বেই তাদের কন্ঠে পরাজয়ের সুর। এর কারণ বিএনপি সব সময় ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে। তাই তারা এই প্রবল শীতের মধ্যেও দেশের সবচেয়ে শীতকাতর এলাকা এই উত্তরাঞ্চলে শীতার্ত মানুষের পাশে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়ের মির্জা ফখরুল এখানে নেই। বরং ঢাকায় বসে টেলিভিশনে শুধু নালিশ আর নালিশ করে যাচ্ছেন।

    তিনি আজ শনিবার (১১ জানুয়ারী) দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের শহীদ ক্যাপ্টেন সামসুল মৃধা সড়কের ফাইভ স্টার মাঠে সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে এমন মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ত্রাণ ও দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মোজাম্মেল হক, নীলফামারী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম, আবু সাইদ আল মামুন, সাবেক এমপি ডালিয়া, ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, নীলফামারী জেলা সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মমতাজুল হক, উপজেলা সভাপতি আখতার হোসেন বাদল, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামীলীগে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

    তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতার রাজনীতি করেন না। বরং আমরা জনগণের রাজনীতি করি। শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের মন্ত্রী এমপি দের পকেটের উন্নতির জন্য রাজনীতি করেন না। তিনি রাজনীতি করেন দেশের মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য। পক্ষান্তরে বিএনপি নামক একটি দল ক্ষমতার রাজনীতি করে। তাই তারা এই শীতকালে জনগণের পাশে নেই। তারা ঢাকা শহরে বসে শুধু মিডিয়ায় ইভিএমের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। নির্বাচনের আগেই বিএনপি ভোটের নিরপেক্ষতা নিয়ে, সুষ্ঠুটা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। নির্বাচন হওয়ার আগেই সুষ্ঠু বা নিরপেক্ষ হবে কি হবেনা সে বিষয়ে আপনি কি করে জানেন মির্জা ফখরুল। আমি আস্বস্ত করছি শেখ হাসিনার আমলে সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশেন নির্বাচনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

    বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শীতে যেন একটি মানুষও কষ্ট না পায়। একজনও যেন শীতের কারণে মারা না যায়। একারণে তিনি এ পর্যন্ত ৪০ লাখ শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতা-মন্ত্রী-এমপিদের। তাই আমরা দেশের প্রতিটি এলাকায় শক্তিশালী টিম নিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করে চলেছি। উত্তরাঞ্চলের রংপুর সিটি সহ ৯টি জেলায় ৫০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হবে। এগুলো ইতোমধ্যে ডিসি অফিসে পৌছেছে। যা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করবেন।

    বিগত দিনেও সৈয়দপুরসহ উত্তরবঙ্গের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কম্বল বা শীতবস্ত্র দেওয়া হবে। আওয়ামীলীগ সবসময় মানুষের পাশে ছিল। আগামীতেও থাকবে বলে আমি আজ আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আস্বস্ত করছি। অথচ তারা কি দূর্যোগাক্রান্ত মানুষের পাশে আছে? নেই, তারা থাকবেনা, তারা কখনো ছিলনা। সে কারণে তারা শীতার্ত মানুষের কাছে না গিয়ে নির্বাচন নিয়ে অহেতুক মিথ্যাচার করছে।

  • ছাত্রলীগের পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন জয়-লেখক

    ছাত্রলীগের পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন জয়-লেখক

    ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারমুক্ত করে পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

    আজ শনিবার দেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পূর্ণ দায়িত্ব অর্পণের ঘোষণা দেন।

    আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একটি প্রস্তাব রেখেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে ছাত্রলীগকে ভারমুক্ত করে দিলাম। আজ থেকে আর ভার থাকবে না। আজকের দিন থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আর ভারপ্রাপ্ত নয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থেকে তারা ভারমুক্ত হলো।

    এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ভারমুক্ত করার বিষয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী এখন বক্তব্য দেবেন। তার বক্তব্যের আগে বলতে চাই- আমাদের ছাত্রলীগ ভারপ্রাপ্ত। ভারপ্রাপ্ত কথাটি কেমন যেন শোনায়। তাই আমি ছাত্রলীগকে ভারমুক্ত করার জন্য আমাদের নেত্রীর কাছে অনুরোধ জানাই।

    উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখ অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

    বিতির্কিত কর্মকান্ডের জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সরিয়ে দিয়ে জয় ও লেখককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

  • আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা,সম্পাদক কাদের

    আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা,সম্পাদক কাদের

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।জাতীয় ডেস্ক : আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ফের নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের শেষ দিনে নবম বারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। এসময় সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য পীযুষ ভট্টাচার্য তা সমর্থন করলে পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়।

    এরপর জাহাঙ্গীর কবির নানক ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন। সমর্থন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। টানা দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদটিও ধরে রাখলেন ওবায়দুল কাদের।

    নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমানের নাম সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় থাকলেও আলোচনার শীর্ষে থাকা ওবায়দুল কাদেরই দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর এতে যোগ দিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন। নব নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আগামী তিন বছর দলটির নেতৃত্ব দিবেন।

    এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় দ্বিতীয় দিনের অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদে চারবার দায়িত্ব পালন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিল্লুর রহমান। তিনবার দায়িত্ব পালন করেছেন তাজউদ্দিন আহমেদ্।

    এছাড়াও দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদ ‘সাধারণ সম্পাদক’ হিসেবে আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী দুই বার করে এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও আবদুল জলিল একবার করে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • আল্লাহ আর নেত্রী জানেন কে সাধারণ সম্পাদক হবেন: কাদের

    আল্লাহ আর নেত্রী জানেন কে সাধারণ সম্পাদক হবেন: কাদের

    আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে যোগ্যরাই নেতৃত্বে আসবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে উপযোগী শক্তি হিসেবে যারা কাজ করবে, যারা যোগ্য তারাই নেতৃত্ব আসবে। তাদের নেতৃত্বে নতুন করে আওয়ামী লীগকে গড়ে তোলা সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।’

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন মঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

    আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থাকবেন কিনা প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, তা আল্লাহ আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জানেন। ক্ষমতাসীন দলটির পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা জানতে ২১ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কাদের।

    যোগ্যরাই নেতৃত্বে আসবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে উপযোগী শক্তি হিসেবে যারা কাজ করবে, যারা যোগ্য তারাই নেতৃত্ব আসবে। তাদের নেতৃত্বে নতুন করে আওয়ামী লীগকে গড়ে তোলা সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।’

    দল ও সরকার আলাদা করা হবে কিনা? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দল ও সরকার গুলিয়ে ফেলার কোনো বিষয় নেই। দলের কাজ পরিচালনা করেন দলের নেতারা আর সরকারের মধ্যে যারা আছেন তারা তাদের কাজ করেন।’

    নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি হবে এমনটা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হুমকি মোকাবেলার উপযোগী করে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠিত হবে। আর বর্তমান কমিটির সফলতা ও ব্যর্থতার মূল্যায়ন করবেন নেতা-কর্মীরা ও জনগণ।

    সম্মেলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্মেলনের দিন আমাদের নেতা-কর্মীরা যার যার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবে। শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে বুঝা যাবে শৃঙ্খলার সঙ্গে কতটা সংযুক্ত আমরা। এ সম্মেলন উপলক্ষে আমাদের কাজ, চিন্তা-চেতনা সব কিছুতেই যেন আদর্শ থাকে। সম্মেলনে যেসব উপকমিটি আছে তারা যার যার দায়িত্ব পালন করবেন। সম্মেলনকে সফল করার জন্য শৃঙ্খলা উপকমিটির বিশাল দায়িত্ব। কেউ কারো চেয়ারে বসলে তাকে বলে দিতে হবে। যেকোনো মূ্ল্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’

    সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এবার সম্মেলনে উপস্থিতির দিক থেকে স্মরণকালের বৃহত্তর সভা হবে। এদিক থেকে কোনো সন্দেহ নেই। প্রমাণ করতে হবে বিজয়ের মাসে বড় সভা সবচেয়ে সুশৃঙ্খল পরিবেশ। সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম প্রমুখ।

  • উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় ফটিকছড়ির তৈয়ব

    উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় ফটিকছড়ির তৈয়ব

    এম.জুনায়েদ: চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন কারণে এবারের সম্মেলন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই জোর আলোচনা চলছে সর্বোচ্চ পদ সভাপতি-সম্পাদক পদে কারা প্রার্থী হচ্ছেন।

    এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম. এ সালাম আলোচনায় রয়েছেন।

    কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় এ পদটিতে কে আসছে তা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। উত্তর জেলার আওতাধীন সাত উপজেলা থেকে অন্তত অর্ধ ডজন নেতা এ পদে প্রার্থী হতে নানাভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

    এদিকে চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতির উর্বর ভূমি হিসেবে পরিচিত ফটিকছড়ি উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে কারো নাম শোনা না গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটির সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্রনেতা হোসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়বের নাম বেশ আলোচিত হচ্ছে।

    এর মধ্যে আবু তৈয়ব ৮০ দশকে চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠে আলোচিত ছাত্রনেতা। সে সময় জামাত-শিবির অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে খ্যাত ফটিকছড়িসহ সমগ্র চট্টগ্রামে আওয়ামী রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার জামাত-শিবিরের হাতে মৃত্যুর মুখোমুখি হন তিনি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রলীগের সুসংগঠিত ইউনিট হিসেবে গড়ে তুলে দলীয় হাইকমান্ডের নজর কাড়তে সক্ষম হন।

    পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ গত উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আবু তৈয়ব।

    এবার বৃহত্তর চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আশির দশকের এ ছাত্রনেতা। তিনি পদটি পেতে দলের হাইকমান্ডে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

    অন্যদিকে তৃণমূল নেতাকর্মীরাও আবু তৈয়বকে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত করছেন।
    উত্তর জেলার আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলার নেতৃস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিক্ষিত সৈনিক আবু তৈয়ব জীবনে একাধিকবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। চট্টগ্রামের মাটিতে আওয়ামী রাজনীতিকে ছড়িয়ে দিতে ছাত্রজীবন থেকেই জীবনবাজি রেখে কাজ করছেন। জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালনকালে তিনি দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন।’

    তারা আরো বলেন, আবু তৈয়ব তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন নেতা। তিনিই আমাদের (তৃণমূল নেতাকর্মী) সুখ-দুঃখ বুঝতে সক্ষম হবেন। সব মিলিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে আবু তৈয়বের বিকল্প নেই।’

    এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ নানাভাবে আবু তৈয়বের পক্ষে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তার কর্মী-সমর্থকরা।

    এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হোসাইন মুহাম্মদ তৈয়বের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার জীবন-যৌবন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যয় করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কোনো মুহুর্তেই আপোষ করিনি। অতীতে দলের যেসব দায়িত্ব পেয়েছি, তা নিষ্ঠার সাথে পালন করতে চেষ্টা করেছি। এবারও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো জোরদার করার লক্ষে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, আমার অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীত কর্মকান্ড মূল্যায়ন পূর্বক আমার উপর আস্থা রাখবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস।’

  • আ.লীগের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও বাড়বে: রাম মাধব

    আ.লীগের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও বাড়বে: রাম মাধব

    ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব বাংলাদেশ সফরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

    সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে রাম মাধব এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    রাম মাধব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। গত বছরে দিল্লিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম, যার নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।’

    বিজেপি নেতা বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমরা আমাদের দুই দল, দুই দেশ ও দুই সরকারের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবেই শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের দুই নেতা নিয়মিতই একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন। নিজেদের সমস্যা ও সংকটগুলো বোঝার চেষ্টা করেন। সেসব সমস্যা দুই দেশের রয়েছে তা নিরসনে একে-অন্যকে সহযোগিতা করেন।’

    রাম মাধব বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা দুজনেই তুমুল জনপ্রিয় নেতা। দুই দেশের তৃণমূলে তাদের ব্যাপক জনসমর্থন আছে। আর সেটি বোঝা যায় দুই দেশের সাধারণ নির্বাচনেই। আমার বিশ্বাস আগামী দিনে দুই নেতার নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক আরও বাড়বে। দ্বিপাক্ষিক যাতায়াত বাড়বে।’

    বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্মরণে আগামী বছরের মুজিববর্ষ নিয়েও আমরা খুব আগ্রহী। সেসময় ভারত থেকে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসার সুযোগ নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে আলোচনা করব।’

    এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

  • জা‌বি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদ‌কের পদত্যাগ

    জা‌বি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদ‌কের পদত্যাগ

    দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আবু সুফিয়ান চঞ্চল পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগী এ ছাত্রলীগ নেতা উপাচার্যের সঙ্গে দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ আছে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবিব।

    আহসান হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত পরশুদিন (মঙ্গলবার) জাবি ছাত্রলীগের সম্পাদক আমার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমি পদত্যাগপত্র পড়ে দেখিনি। পরে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককের কাছে পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করেছি।’ ব্যক্তিগত কারণে চঞ্চল পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানান তিনি।

    জানা যায়, গত আগস্ট মা‌সে বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের উন্নয়ন প্রক‌ল্পে দুর্নী‌তির অ‌ভি‌যো‌গে আ‌ন্দোলন শুরু হয়। ওই অ‌ভিযো‌গে শাখা ছাত্রলী‌গের সভাপ‌তি-সাধারণ সম্পাদক সহ বেশ ক‌য়েকজন নেতার জ‌ড়িত থাকার কথা জানা যায়। আ‌ন্দোলন শুরু হ‌লে কয়েক‌দি‌নের ম‌ধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ ক‌রে নিজ এলাকায় (দিনাজপুর) চ‌লে যান শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চল। তখন থে‌কেই তি‌নি ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন।

    তবে সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের বিষয়টি অবগত নন বলে জানিয়েছেন জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা। তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। কেন্দ্র থেকে আমাকে অবগত করা হয়নি।’

    এ বিষ‌য়ে জা‌বি শাখা ছাত্রলী‌গের এক সহ সভাপ‌তি জানান, সাধারণ সম্পাদক বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ের অর্থ‌কে‌লেঙ্কা‌রির সা‌থে জ‌ড়িত থে‌কে বিব্রত হ‌য়ে‌ছেন। ঈদ সালামির বিপুল প‌রিমাণ টাকা ভাগাভা‌গি কর‌তে গি‌য়ে তার নিজ গ্রু‌পের কর্মী‌দের ম‌ধ্যে দ্বন্দ্ব সৃ‌ষ্টি হয়। এ দ্ব‌ন্দ্বের জে‌রে ক্যাম্পাস ছাড়‌তে হয়ে‌ছে তাকে।

    ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর জুয়েল রানাকে সভাপতি ও এস এম আবু সুফিয়ান চঞ্চলকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মেয়াদ প্রায় দুই বছর আগে শেষ হলেও এখনো নতুন কমিটি হয়নি। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে জাবি ছাত্রলীগ।

  • মেনন-বাদশা আবারও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্বে

    মেনন-বাদশা আবারও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্বে

    রাশেদ খান মেনন ও ফজলে হোসেন বাদশা আবারও ৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে দলটির দশম কংগ্রেস শেষে সংবাদ সম্মেলনে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এ কথা জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত সদস্যরা।

    নবম কংগ্রেসে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট ছিল। কিন্তু এবার আরও ছয়জনকে নতুন যুক্ত করে ৮১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক।