Tag: সাবেক

  • করোনায় বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালকের মৃত্যু

    করোনায় বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালকের মৃত্যু

    কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কবি ও প্রাবন্ধিক মনজুরে মওলা মারা গেছেন।

    রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল (৮০) বছর।

    বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় ৫ ডিসেম্বর মনজুরে মওলাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

    পেশাজীবনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করা মনজুরে মওলা গত শতকের আশির দশকের শুরুর দিকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে ছিলেন।

    ‘ভাষা শহীদ গ্রন্থমালার’ ১০১টি বই বাংলা একাডেমিতে তার অসামান্য কীর্তি।

  • হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরলেন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির

    হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরলেন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : করোনা আক্রান্ত হয়ে নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন থাকা চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের শারিরীক অবস্থা এখন আগের চেয়েও ভাল। চিকিৎসকরাও জানিয়েছে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।

    চিকিৎসকদের এমন আশ্বাস পেয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। হাসপাতালে ভর্তির আটদিন পর আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে নিজের বাসায় ফিরে গেছেন।

    আ জ ম নাছির উদ্দীনের ব্যক্তিগত সহকারী রায়হান ইউসুফ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে পার্ক ভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির এখন আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ আছেন। বাসায় থেকে কিছুদিন রেস্ট নিলে পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত হয়ে যাবেন আশা করছেন তিনি।

    এর আগে শরীরে সামান্য জ্বর অনুভব ও এক সপ্তাহ ধরে কমার কোন লক্ষণ না দেখা যাওয়ায় গত (৩ নভেম্বর) সকালে নগরীর পার্ক ভিউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

    ভর্তি হওয়ার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে তার নমুনা পাঠানো হলে সন্ধ্যায় তার করেনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তাছাড়া একই দিন সিটি স্ক্যান রিপোর্টে তাঁর ফুসফুসেও ১০ শতাংশ ইনফেকশন ধরা পড়ে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • সাবেক কাউন্সিলর শফি জামিনে মুক্ত

    সাবেক কাউন্সিলর শফি জামিনে মুক্ত

    ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক : জামিনে মুক্ত হলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৩৭ নং উত্তর-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম। দীর্ঘ ২ মাস কারাভোগের পর সম্প্রতি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।

    আজ শনিবার (১৭ অক্টোবর) সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম নিজেই ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন। কারাগার থেকে মুক্তির পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হয়েছে।

    কারাভোগের সময় যারা খোঁজখবর নিয়েছেন তাদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং দুঃসময়ে তার পাশে থাকার জন্য এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

    জানা যায়, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি কামাল নামে এক যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় চসিকের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল আলমকে। মামলার পরপরই শফি উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।

    জামিনের মেয়াদ শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে হাজিরা দিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে শফিউল আলমকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

    দীর্ঘ ২ মাস কারাভোগের পর তিনি আবারো জমিনপ্রাপ্ত হয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।

    জানা যায়, শফিউল আলম কাউন্সিলর থাকাকালীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দীর্ঘ ৪ বছর অর্থ ও সংস্থাপন সম্পর্কীত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।

    এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, শফিউল আল কাউন্সিলর পদে থাকাকালে ৩৭ নং উত্তর-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। বিশেষ করে মাদক ও সমাজবিরোধী কর্মকান্ড তিনি কঠোর হস্তে দমন করেছেন। এ ব্যাপারে এলাকায় তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন।

    শফিউল আলম কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের বোর্ড অব ট্রাস্টির অতিরিক্ত পরিচালক পদে দায়িত্বরত আছেন বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/

  • সাবেক ম‌হিলা শ্র‌মিকলীগ নেত্রী মুক্তা ৪ দিনের রিমান্ডে

    সাবেক ম‌হিলা শ্র‌মিকলীগ নেত্রী মুক্তা ৪ দিনের রিমান্ডে

    খুলনা মহানগর মহিলা শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া আক্তার মুক্তাকে ‌জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দি‌নের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

    বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট মো. আমিরুল ইসলাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে গত সোমবার রাতে মুক্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন বিকালে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ মুক্তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারের দিনে মুক্তার কাছ থেকে ১২ ভরি ৩ আনা স্বর্ণ ও নগদ দুই লাখ ৮২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃত মুক্তা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের এলাকার বাসিন্দা শেখ শুকুর আলীর স্ত্রী। তিনি মহানগর মহিলা শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার স্বামী শেখ শুকুর আলী পলাতক র‌য়ে‌ছেন।

    মামলার বিবরণী থে‌কে জানা গে‌ছে, গত ২৪ জানুয়ারি বিকালে খুলনা নগরীর বাবু খান রোডস্থ ব্যবসায়ী কাজী মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় তার বাড়ি থেকে ৫০ ভরি স্বর্ণ, নগদ ২৯ লাখ ২৫ হাজার ৫৫০ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ ঘটনায় মঞ্জুরুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন।

    খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল জানান, আসামি মুক্তা ও তার স্বামী এর আগেই ঢাকায় ফ্ল্যাট বাড়িতে ভাড়া নেয়ার নামে বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করার সময় ধরা পড়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা রয়েছে। খুলনায় ডাকাতির ঘটনায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুক্তাকে গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুক্তা ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। ডাকাত দলের অন্য সহযোগীদের বিষয়ে তথ্য নিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন কর‌লে বিজ্ঞ আদালত চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর ক‌রেছেন।

  • স্বর্ণ চুরি চক্রের হোতা সাবেক মহিলা শ্রমিক লীগ নেত্রী আটক

    স্বর্ণ চুরি চক্রের হোতা সাবেক মহিলা শ্রমিক লীগ নেত্রী আটক

    খুলনা মহানগর মহিলা শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া আক্তার মুক্তাকে (৩২) আটক হয়েছেন।

    তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চুরি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, সাদিয়া আক্তার মুক্তা ওই স্বর্ণ চুরি চক্রের মূল হোতা।

    মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি সাউথ মো. এহসান শাহ এই মহিলা শ্রমিক লীগ নেত্রীর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    জানা যায়, মুক্তার বাড়ি থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১২ ভরি ৩ আনা চোরাই স্বর্ণ এবং স্বর্ণ বিক্রির ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খিলগাঁ থানাতেও স্বর্ণালঙ্কার চুরির মামলা রয়েছে।

    গত সোমবার মুক্তাকে আটক করা হলেও অভিযান অব্যাহত থাকার কারণে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এখন পর্যন্ত চোরাই স্বর্ণালঙ্কার চক্রের সহযোগী ফারুক ও আব্দুল আলীমকে আটক করা হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

    মুক্তা নগরীর সোনাডাঙ্গা গুহা রেষ্টুরেন্টের মালিক শুকুর আলীর স্ত্রী।

    জাতীয় শ্রমিক লীগের খুলনা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার ঘোষ বলেন, মুক্তা মহিলা শ্রমিক লীগ মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তার কোন পদ নেই। এমনকি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়।

  • সাবেক গণ পরিষদ সদস্য আবু ছালেহের সাথে রেজাউল করিমের সাক্ষাত

    সাবেক গণ পরিষদ সদস্য আবু ছালেহের সাথে রেজাউল করিমের সাক্ষাত

    সাবেক গণ পরিষদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেহ’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    আজ মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড়ের আবু ছালেহের নিজ বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

    এসময় গণ পরিষদ সদস্য আবু ছালেহ এম রেজাউল করিম চৌধুরীর মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন।

    সাক্ষাতকালে আবু ছালেহ বলেন, রেজাউল করিম চৌধুরী একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। কোন লোভ লালসা কখনো তাকে ছুতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন যোগ্য ব্যাক্তিকে মূল্যায়ন করেছেন। তাকে বিজয়ী করলে চট্টগ্রামের চলমান উন্নয়নের ধারা আরো বেগবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    এসময় মেয়র পদপ্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আবু ছালেহ আওয়ামী ও মুক্তিযুদ্ধের একজন কিংবদন্তী। আমরা এক সাথে রাজনীতি করেছি। উনার মতো একজন প্রতিভাবান, সৎ ও যোগ্য রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে তরুণ প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে।

    তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর যে আস্থা আর বিশ্বাস নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন। জীবনের সবটুকু দিয়ে সে আস্থা বিশ্বাসের মূল্য দিব। বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে সত্যিকারের বাণিজ্যিক রাজধানী এবং একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে নগরীর সর্বস্তরের মানুষের মতামত নিয়ে কাজ করবো।

  • সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্ট্যাটাস ভাইরাল

    সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্ট্যাটাস ভাইরাল

    প্রশাসনের সহকর্মীদের ফোন না ধরার বিষয়ে আবেগী হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বর্তমানে তিন বছরের চুক্তিতে নিউইয়র্কে বিশ্বব্যাংকের ‘বিকল্প নির্বাহী পরিচালক’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালের দিকে তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সহকর্মীদের সাথে দূরবাস হতে কথা বলতে গিয়ে বুঝলাম তাদের বেশিরভাগই অপরিচিত কল ধরেন না, মেসেজ পড়ে দেখেন না বা উত্তর দেন না। আমরা কি এ সংস্কৃতি হতে বের হতে পারি না?’

    পরে তিনি স্ট্যাটাসটি সামান্য সংশোধন করে ‘দূরবাস’ শব্দটিকে ‘প্রবাস’ করে দেন।

    এরপরই তার এই স্ট্যাটাসটি নিয়ে প্রশাসন ও সাংবাদিক মহলে আলোচনার শুরু হয়। অনেকেই তার স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেছেন, কেউ কেউ কপি করে নিজের ওয়ালে পোস্ট করেছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন। বেশিরভাগই তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন তিনিও মন্ত্রিপরিষদ সচিব থাকার সময় ফোন ধরেননি। সাবেক ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কমেন্ট করেছেন সেখানে।
    বুধবার সন্ধ্যার পর ‘ফোন না ধরার সংস্কৃতি’ শিরোনামে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। এখানে মূলত তিনি আগের স্ট্যাটাসের বিষয়টি আরও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরেন।

    সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাস

    শফিউল আলম সেখানে লেখেন, ‘আমার একটি পোস্টে কিছু নেতিবাচক কথা লিখেছিলাম। তার একটু ব্যাখ্যা দিচ্ছি। বিদেশ হতে সময়ের ব্যবধানের কারণে ফোন করা খুবই কঠিন। সময় বুঝে হিসাব কিতাব করে ফোন করতে হয়। যখন সেই ফোনটি দেশে যায় তখন তা রূপান্তরিত হয়ে টেলিটক নাম্বার হয়ে যায়। ফলে ফোন গ্রাহক বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন, তাই ধরেন না। তারপরও ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। উদাহরণ- আমি গতকাল রাত ১২.১৪টায় অর্থসচিবকে ভয়ে ভয়ে একটি মেসেজ পাঠালাম। আমি অবাক তিনি সাথে সাথে তার উত্তর দিলেন দেখে। কারণ অত রাতে কেউ জেগে থাকার কথা না।’

    ‘দেশে থাকতে আমরা সহকর্মীদের মাঝে এই এটিকেট-টি চালু করার চেষ্টা করেছি, পরিচিত অপরিচিত সবার ফোন ধরার। না পারলে মেসেজ দেয়া, তাও না পারলে পরে কলব্যাক করা। এই নিয়ম মানতে গিয়ে কত বিপদে পড়েছি তার শেষ নেই। তবুও তা অব্যাহত রেখেছি এ পর্যন্ত। তবে আমার অভিজ্ঞতা এবং ধারণা আমাদের জেলাপ্রশাসকগণ এই ক্ষেত্রে ইতিবাচক নজির রেখে যাচ্ছেন।’

    তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার বন্ধুদের কেউ কেউ অনুযোগ করেছেন আমিও দেশে থাকতে একই কাজ করেছি। অর্থাৎ অনেকের ফোন ধরিনি। এ রকমটি হয়ে থাকলে আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি জেনেশুনে এ কাজটি কখনও করিনি। তবে ভিভিআইপি পরিবেশে বা মন্ত্রিসভা চলাকালে ধরার সুযোগ ছিল না। আবার প্রচণ্ড চাপের সময়ে ধরতে না পারলেও মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করতাম বা পরে ব্যাক করতাম।’

    ‘মন্ত্রিসভার সদস্য বা ব্যস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে কথা উঠেছে। আমি তাদের মাঝে responsiveness অনেক বেশি দেখেছি। উদাহরণ হিসেবে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত স্যারের কথা বলতে পারি। তিনি এক্ষেত্রে role model.’

    শফিউল আলম স্ট্যাটাসে আরও লিখেছেন, ‘উল্লেখ্য, উন্নত বিশ্বে ফোন না ধরাটা রীতিমতো অভদ্রতা। কোনো কোনো দেশে তা অপরাধও বটে।’

    ‘আসুন আমরা সবাই জনবান্ধব হই, সেবাপ্রার্থীদের ব্যথা বোঝার চেষ্টা করি, তাদের ডাকে সাড়া দেই- অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশ না হলে পরিচিত অপরিচিত সবার ফোন ধরি’।

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10222283228416533&id=1440703905

     

  • ব্রাজিলের সাবেক তারকা গোলরক্ষক সিজার ঢাকায়

    ব্রাজিলের সাবেক তারকা গোলরক্ষক সিজার ঢাকায়

    বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উৎযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর আমন্ত্রণে প্রথম অতিথি হিসেবে ঢাকায় প্রথমবারেরমতো পা রাখলেন ব্রাজিলেরর সাবেক তারকা গোলরক্ষকে জুলিও সিজার।

    আজ (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশে সময় বিকেল ৫ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছান তিনি।

    প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসে নিজের অনুভুতি প্রকাশ করে গণমাধ্যমে জুলিও সিজার বলেন, “এই প্রথম বাংলাদেশে এলাম। এখানকার ফুটবল সম্পর্কে আমি বেশি কিছু জানি না। তবে এখানে এসেছি…এখানকার ফুটবল সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করব। এখানে আসতে পেরে আমি আসলেই খুশি। ফিফা, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ধন্যবাদ আমাদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।”

    নিজের দেশের ফুটবল সম্পর্কে তিনি বলেন, “ব্রাজিল ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি। আমাদের অনেক আইডল আছে, যেমন, রোনালদিনিয়ো, নেইমার, কাকা….বিশ্বের অনেক মানুষ যে আমাদের সমর্থন করবে এটা স্বাভাবিক।”

    উল্লেখ্য, আগামীকাল সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন সিজার। এরপর দুপুরে বাফুফে ভবনে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যদের সঙ্গে এবং বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ফটোসেশন করবেন। বিকেল সাড়ে ৩ টায় আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। বিকেলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-বুরুন্ডির সেমি-ফাইনালও দেখবেন বলে বাফুফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

  • অর্থ আত্মসাৎ : সাবেক সিভিল সার্জনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

    অর্থ আত্মসাৎ : সাবেক সিভিল সার্জনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনার নামে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় দুদকের চট্টগ্রাম-১ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়।

    ঢাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাদী হয়ে দায়েরকৃত এ মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী, তিন চিকিৎসক ও চার ঠিকাদারকে আসামি করা হয়। ডা. সরফরাজ খান ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রাক্তন সিভিল সার্জন ও প্রাক্তন তত্ত্বাবধায়ক, (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)।

    অপর আসামিদের মধ্যে তিন চিকিৎসক হলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ও বাজার দর কমিটির সভাপতি ডা. মো. আব্দুর রব, হাসপাতালটির সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারী) ও বাজার দর কমিটির সদস্য সচিব ডা. বিজন কুমার নাথ, ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থো-সার্জারী) ও বাজার দর কমিটির সদস্য ড. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার।

    ঠিকাদারদের মধ্যে ঢাকা সেগুনবাগিচা তোপখানা রোডের বেঙ্গল সাইন্টেফিক এন্ড সার্জিকেল কোং প্রোপ্রাইটর মো. জাহের উদ্দিন সরকার, ঢাকা মিরপুরের মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মুন্সী ফারুক হোসেন ও ঢাকা বনানীরপুরাতন ডিওএইচএস এলাকার এ এস এলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়ম ও দুনির্তীর মাধ্যমে ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাতজনকে আসামি করে (মামলা নং-৪৬ তারিখ: ২৫/১১/২০১৯ খ্রি:) মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদি দুদক প্রধান কার্যালয় সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।

    জানা যায়, ২০১৪-১৫ সালে তৎকালীন সিভিল সার্জন ও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীর সময়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১২টি ভারি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৯ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। ক্রয়কৃত সব যন্ত্রপাতির বর্তমান বাজার মূল্যের সাথে রয়েছে ব্যপক ব্যবধান।