Tag: সাময়িক বরখাস্ত

  • চসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসিম সাময়িক বরখাস্ত

    চসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসিম সাময়িক বরখাস্ত

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের(চসিক) ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বুধবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তিনি উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।

    বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িতে ঢিল ছোড়া ও হুমকি দেওয়ার মামলায় অভিযোগপত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহরুল আলমকে ১ নম্বর আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হওয়ায় তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে মন্ত্রণালয়।

    স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. আব্দুর রাফিউল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হয়েছে। এ জন্য স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী তাঁকে স্বীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

    প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বুধবার রাতে জহুরুল আলমকে মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

    বেলার প্রধান নির্বাহী রিজওয়ানা হাসানের নেতৃত্বে বেলার একটি প্রতিনিধিদল গত বছরের ২৬ জানুয়ারি আকবর শাহ থানা এলাকায় পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শনে গেলে কাউন্সিলর জহুরুল ও তাঁর সহযোগীদের মারমুখী আচরণের শিকার হন। এ ঘটনায় রিজওয়ানা হাসান আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আকবর শাহ থানা-পুলিশ গত বছরের ১২ জুন ছয়জনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দেয়। এতে অভিযোগপত্রে কাউন্সিলর জহুরুলকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন জহুরুলের সহযোগী বিল্লাল হোসেন, আবু নোমান, সাইফুদ্দিন ভূঁইয়া, আনিছ চৌধুরী ও মো. শাকিল। তাঁদের মধ্যে নোমান ছাড়া বাকিরা জামিনে আছেন।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন আকবর শাহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহেদ উল্লাহ জামান। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পাহাড় কাটা এলাকা পরিদর্শনে গেলে কাউন্সিলর জহুরুল আলমের নেতৃত্বে আসামিরা বেলার প্রধান নির্বাহীসহ প্রতিনিধিদলকে বাধা দেয়, গাড়ি আটকে রাখে ও বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। আটকে রাখা সেই গাড়ি পুলিশ গিয়ে ছাড়িয়ে নেয়।

     

  • আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালে আলোচিত সে ডিসি সাময়িক বরখাস্ত

    আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালে আলোচিত সে ডিসি সাময়িক বরখাস্ত

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : নারী সহকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় ওএসডি হওয়া জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

    ঘটনা তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে বুধবার তাকে বরখাস্ত করা হয়। তবে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে শুক্রবার।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী জামালপুরের সাবেক ডিসি আহমেদ কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়ে গেছে। এরপর বিধি অনুযায়ী অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় গত মাসের শেষের দিকে। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারী কর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ওই ঘটনায় জামালপুরসহ সারা দেশের মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ২৫ আগস্ট আহমেদ কবীরকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই দিনই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) ড. মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

    কমিটিতে সদস্য হিসেবে ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একজন প্রতিনিধি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপসচিব সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথমে কমিটিকে ১০ কর্মদিবস সময় দেয়া হয়।

    তদন্ত কমিটি জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ না হওয়ায় কমিটি সময় আরও ১০ দিন বাড়িয়ে নেয়।

    ২২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। তবে প্রতিবেদনে কী উঠে এসেছে সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, প্রতিবেদনে ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সে ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘন্টা/আরএস..