Tag: সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

  • রাষ্ট্রপতি হিসেবে কাল শপথ নেবেন মোঃ সাহাবুদ্দিন

    রাষ্ট্রপতি হিসেবে কাল শপথ নেবেন মোঃ সাহাবুদ্দিন

    বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁকে রাষ্ট্রপতির পদে শপথ পাঠ করাবেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশ’ বিশিষ্ট অতিথি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

    অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন শপথ নথিতে স্বাক্ষর করবেন।

    রাষ্ট্রপতির সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, শপথ গ্রহণের পরপরই নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করবেন।

    মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ মোঃ সাহাবুদ্দিন ২১তম রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

    এদিকে, রাষ্ট্রপতি হামিদ সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসাবে ৪১ দিনসহ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসাবে ১০ বছর ৪১ দিন অতিবাহিত করার পরে অবসরে যাচ্ছেন।

    নতুন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

    প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সংসদ সদস্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনীতিক, সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করবেন।

    এর আগে ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ গত ১৩ ফেব্রুয়াারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

    মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম চুপ্পু। পিতা শরফুদ্দিন আনছারী, মাতা খায়রুন্নেসা।

    তিনি ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।

    জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

    সাহাবুদ্দিন ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

    তিনি পাবনা জেলার আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন। ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষানলে তিন বছর জেল খাটেন এবং অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন।

    মো. সাহাবুদ্দিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতাও করেছেন। তাঁর অনেক কলাম বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে।

    কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

    সাহাবুদ্দিন পরপর দুবার বিসিএস (বিচার) এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।

    পরবর্তীকালে ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুদক কমিশনার হিসেবে সাহাবুদ্দিন পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে উঠা তথাকথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দৃঢ়তার পরিচয় দেন।

    সাবেক এই ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • “নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে যা করণীয় তাই করবো”

    “নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে যা করণীয় তাই করবো”

    নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনে অনুষ্ঠানের জন্য একজন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমার যা কিছু করার আমি তা করব।

    তিনি আজ রাজধানীর গুলশানে তার লেখা “এগিয়ে যাও বাংলাদেশ” বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    “একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে যা করণীয় তাই করবো,” সাহাবুদ্দিন বলেন।

    তিনি বলেন, “সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন . . . সকলে মুখে মুখে বলছি নির্বাচন খুব ক্রুশিয়াল হবে, কিন্তু আমি মনে করি কোন ক্রুশিয়াল নয়।”

    নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে একটি সংবিধান আছে। কারো মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই।

    তিনি আশা করেন যে, দেশের সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) একদম তাদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা প্রয়োগ করে সংবিধানের আলোকে একটি নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হবে।

    নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি একজন সুপ্রিম কমান্ডার হিসেবে আমার যেটুকু দায়িত্ব এই নিরপেক্ষতাটাকে বজায় রাখার জন্য, সমস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জন্য যতটুকু প্রয়োজন করবো।

    তাঁকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে মনোনীত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

    তিনি আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা মন্ডলী ও কার্যনির্বাহী কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ও ধন্যবাদ জানান।

    আজ দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির লেখক নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিনকে হস্তান্তর করা হয়।

    তার বই সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন ঘটনাবহুল প্রবন্ধ সমৃদ্ধ বই ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের পাতায় পাতায় বিধৃত হয়েছে শৈশব থেকে শুরু করে পুরো জীবনের কথা; সংগ্রাম, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, জেল জীবন, কর্মজীবন, সংসার-জীবন, চিন্তাদর্শ তথা সবকিছুর পরিচয়।

    ২০৪ পৃষ্ঠার এই বইটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর দুষ্প্রাপ্য ও ঐতিহাসিক কিছু আলোকচিত্র যুক্ত করা হয়েছে।

    নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বলেন, তাঁর ব্যক্তিজীবন এবং সমকালীন রাজনৈতিক ঘটনাবলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়ন কর্মকান্ড সেগুলোর একটা ব্যাপক ভিত্তিক পরিচয় উঠে আসছে।
    বইটি প্রকাশের জন্য আগামী প্রকাশনী ও গবেষক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও জ্ঞাপন করেন ।

    তিনি বলেন, এছাড়া বইটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে গৃহীত নানা পদক্ষেপ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, করোনাসঙ্কট মোকাবেলা, পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন, স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচিসহ বহুবিধ উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং রাষ্ট্রনেতা হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে লেখা সাতটি কলাম।

    ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। আগামী ২৪ এপ্রিল সকাল ১১টায় বঙ্গভবনে তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে।

  • রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে পুতিনের অভিনন্দন

    রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে পুতিনের অভিনন্দন

    বাংলাদেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার দূতাবাস এই তথ্য জানিয়েছে।

    এক বার্তায় ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আমাদের দুই দেশ ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছে। আমি আশা করি, আপনার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন খাতে দুই দেশের গঠনমূলক সহযোগিতা আরও জোড়ালো হবে।

    পুতিন বাংলাদেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য, সাফল্য ও সার্বিক মঙ্গল কামনা করেন।

    গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন। মো. আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হিসেবে তিনি হবেন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। তিনি এই পদের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন আগামী ২৩ এপ্রিল বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর।

  • জীবনের ক্লান্তি দূর করতে প্রশান্তি দরকার: নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি

    জীবনের ক্লান্তি দূর করতে প্রশান্তি দরকার: নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি

    নবনির্বাচিত রাষ্ট্র্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জীবনের ক্লান্তি দূর করতে হলে একটু প্রশান্তি দরকার। একদিন হেসে খেলে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করলে সব বিদ্বেষ দূর হয়ে যায়। ফ্যামিলি ডে পরস্পরের বন্ধন অটুট করে।

    রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পাবনা প্রেসক্লাবের বার্ষিক ফ্যামিলি ডে‘র অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

    তিনি পাবনার প্রেসক্লাবের সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের সুন্দর জীবন ও ফ্যামিলি ডে’র সফলতা কামনা করেন। তিনি বলেন, আমারও এই অনুষ্ঠানে যোগদানের ইচ্ছে ছিল কিন্তু বাধ্যবাধকতার কারণে যোগ দিতে পারিনি। আগামীতে প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

    পাবনার রূপকথা ইর্কো রিসোর্টে প্রাঙ্গণে পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ফ্যামিলি ডে‘র অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসি, পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। ফ্যামিলি ডেতে পাবনা প্রেসক্লাব সদস্য পরিবারের শতাধিক সদস্য অংশ নেন।

    পরে ২৫টি ইভেন্টে বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন। নব নির্বচিত রাষ্ট্র্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য।

  • সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত

    সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত

    মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে তাঁকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    সিইসি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মাত্র একজনের মনোনয়নপত্র বৈধ থাকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন অনুযায়ী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। আজকেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

    এর আগে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার নাম দাখিল করেন।

  • সাহাবুদ্দিন চুপ্পুই যাচ্ছেন বঙ্গভবনে

    সাহাবুদ্দিন চুপ্পুই যাচ্ছেন বঙ্গভবনে

    মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুই হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। তিনিই হচ্ছেন বঙ্গভবনের পরবর্তী বাসিন্দা। রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের চুপ্পুই একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় আর ভোটাভুটির দরকার হচ্ছে না।

    নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম নিশ্চিত করেছেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল রোববার (আজ) বিকেল চারটা। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মনোনয়ন দাখিল হয়েছে। এছাড়া আর কারো মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। তাই সোমবার দুপুরে প্রার্থিতা বাছাই শেষে সিদ্ধান্ত জানাবে নির্বাচন কমিশন।

    এদিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

    চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ।

    এক প্রতিক্রিয়ায় চুপ্পু বলেন, আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি আমি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ, রাষ্ট্রপতি পদে আমাকে প্রার্থী মনোনীত করেছেন তিনি। এই মুহূর্তে আমার এটুকুই প্রতিক্রিয়া।

    রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার পর মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে গণভবনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার সকালে বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা হতে যাওয়া চুপ্পুকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম চূড়ান্ত করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলীয় প্রার্থী হিসেবে চুপ্পুর নাম নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণ করে গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

    তফসিল অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় ছিল। এছাড়া ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীতা যাচাই বাছাই এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় নির্ধারণ করা হয়।

    তবে প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হওয়ায় চুপ্পুকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হচ্ছে। আর কেউ প্রার্থী না থাকায় ভোটেরও প্রয়োজন পড়ছে না।

  • কে এই সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

    কে এই সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

    দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। আজ রোববার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপপুর নাম দাখিল করেছেন।

    সাহাবুদ্দিন চুপপু ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণ করেন চুপ্পু।

    পেশায় একজন আইনজীবী সাহাবুদ্দিন চুপপু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন তিনি। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।

    ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর যে হামলা হয় এবং হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে, সেসব ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিশনের প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এ ছাড়া ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলের বাবা। স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।

  • সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে ফুল দিয়ে বরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

    সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে ফুল দিয়ে বরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আহমেদ চুপ্পুকে ফুল দিয়ে বরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে আজ সকালে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম দাখিল করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের মনোনীত প্রার্থীই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন—এটি নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া যায়। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছে।

    ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। তাদের সঙ্গে সাহাবুদ্দিন চুপপুও উপস্থিত ছিলেন।

    আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান, মনোনয়ন ফরমে রাষ্ট্রপতি হিসেবে চুপ্পুর নাম প্রস্তাব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আর সমর্থন করেন ড. হাছান মাহমুদ।

    ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আজ মনোনয়ন দাখিল, আগামীকাল যাচাই-বাছাই এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন নির্ধারিত রয়েছে। আর অন্য কোনো প্রার্থী না থাকলে ওই দিনই রাষ্ট্রপতির বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হতে পারে।

    এদিকে নির্বাচন কমিশন থেকে বের হওয়ার সময় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ‘সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছা। এখন কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। সব সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছা।’

     

  • রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

    রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

    দলীয় সূত্র বলছে, বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী দেয়ার সম্ভাবনা নেই। এর ফলে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনয়ন নিয়ে যিনি ইসিতে যাবেন, তিনিই এ পদে নির্বাচিত হবেন।

    রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের ‍সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনিই হতে যাচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন রোববার সকালে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এ পদের জন্য তার নাম জমা দেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

    দলীয় সূত্র বলছে, বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থী দেয়ার সম্ভাবনা নেই। এর ফলে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনয়ন নিয়ে যিনি ইসিতে যাবেন, তিনিই এ পদে নির্বাচিত হবেন।

    রাষ্ট্রপতি পদে একজন প্রার্থী হলে নির্বাচনের জন্য সংসদের সভা বা ভোটের প্রয়োজন হয় না।

    সাহাবুদ্দিন চুপ্পু অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনারও।

    রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিতে নির্বাচন ভবনে যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির প্রতিনিধি দল। বেলা পৌনে ১১টায় দলটির নেতারা আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে পৌঁছান।

    ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

    এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্তা ও সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সকাল সোয়া ১০টায় তার দপ্তরে পৌঁছান।

    রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী, তার ৫ বছরের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হবে।

    একাধিক প্রার্থী হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট হয়েছিল ১৯৯১ সালে। এরপর থেকে প্রতিবারই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ পদে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে আসছেন।