Tag: সাহেদ

  • অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাহেদ চার দিনের রিমান্ডে

    অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাহেদ চার দিনের রিমান্ডে

    চট্টগ্রামে অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    রোববার দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন।

    আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, অর্থ আত্মসাতের মামলায় মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান মেগা মোটরসের অর্থ আত্মসাতের মামলায় হাজিরার জন্য আজ দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে।

    তার আগে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সাহেদকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকায় রুট পারমিট পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেগা মোটরস থেকে ৯১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গত ১৩ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানায় সাহেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

    প্রসঙ্গত, সাহেদ করিম ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে টেস্টের নাম করে রোগীদের কাছ থেকৈ টাকা নিয়ে প্রতারণার বিস্তর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় আইনশৃংখলা বাহিনী।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • একসঙ্গে ডিজে পার্টিতে মাস্তি করতেন শাহেদ-সাবরিনা

    একসঙ্গে ডিজে পার্টিতে মাস্তি করতেন শাহেদ-সাবরিনা

    করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা জালিয়াতিতে জড়িত জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) কথিত চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আলোচিত শাহেদ করিমের সঙ্গেও সখ্য ছিল সাবরিনার। তারা একে অপরের পূর্ব পরিচিত। একসঙ্গে ডিজে পার্টিতেও যেতেন তারা।

    এছাড়া জেকেজির উত্থানের নেপথ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বড় একটি চক্র কাজ করেছে বলে জানা গেছে। ওই চক্রের মাধ্যমেই জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যন ডা. সাবরিনা স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছ থেকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি বাগিয়ে নেন। রিমান্ডে জেকেজিতে করোনা জালিয়াতির তিন মূলহোতাকে জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের বেশ কিছু তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য তারা এই মুহূর্তে প্রকাশ করছেন না। তারা তথ্যের সত্যতা যাচাই-বাছাই করছেন।

    রোববার (১৮ জুলাই) একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা গেছে।

    জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, অন্যের সিমকার্ড ব্যবহার করে ডা. সাবরিনা প্রতারণা করেছেন। ডা. সাবরিনা ও আরিফের মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা প্রায় দুই ডজন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছেন। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডসহ নানা তথ্যউপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে। তাদের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ওভাল গ্রুপ ও জেকেজির সাত পরিচালকসহ স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আরিফ ও সাবরিনার বন্ধু ও বান্ধবীও রয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করছেন না গোয়েন্দারা।

    সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার মধ্যরাতে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. শাহেদ এবং জেকেজির ডা. সাবরিনাকে মুখোমুখি করা হয়েছিল। তাদের দুজনের মুখেই স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রভাবশালী এক কর্মকর্তার নাম উঠে আসায় দুজনকে সামনাসামনি করে ওই কর্মকর্তা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন গোয়েন্দারা। এ সময় সাবরিনা জানান, আরিফের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরে গিয়ে তিনি ওই কর্মকর্তাকে অনিয়ম সম্পর্কে জানিয়েছেন। তাকে বলেছিলেন, এখন থেকে আমি (সাবরিনা) আর আরিফের সঙ্গে নেই। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, যা হওয়ার তো হয়েই গেছে, এখন আর মাথা গরম করা যাবে না। তবে শাহেদ কি বলেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি সূত্রটি।

    গোয়েন্দা সূত্র আরও জানায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদের সঙ্গে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। তারা পরস্পরকে আগে থেকে চিনতেন। তাদের জানাশোনা ছিল দীর্ঘদিনের। নিয়মিত তারা পার্টিতে অংশ নিতেন। সেই পার্টিতে চলত ডিজে-মাদকতা। শাহেদ-সাবরিনা ছাড়া সেই পার্টিতে আরও অনেক চেনামুখ অংশ নিতেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ ও সাবরিনা একে অপরকে চেনা-জানার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। দিয়েছেন অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। করোনা সনদ জালিয়াতির আইডিয়া শাহেদের কাছ থেকে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডা. সাবরিনা।

    জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) বিরুদ্ধে অভিযোগ- সরকারের কাছ থেকে বিনা মূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথ কেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল এবং নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিচ্ছিল জেকেজি। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজিন পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করা হয়।

    সে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করত বলে হিরু জানায়। আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও হিরু জেকেজির জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছে। এরপর ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজন গ্রেফতার হয়। আর আরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার সম্পৃক্ততা উঠে আসে। তবে সাবরিনা নিজেকে জেকেজির চেয়ারম্যান নয় বরং প্রতিষ্ঠানটির কোভিড-১৯ বিষয়ক পরামর্শক বলে দাবি করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মধ্যরাতে সাহেদকে নিয়ে উত্তরায় ডিবির অভিযান,অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

    মধ্যরাতে সাহেদকে নিয়ে উত্তরায় ডিবির অভিযান,অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

    রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে নিয়ে অভিযান চালিয়েছে ডিবি। শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরায় এই অভিযান চালানো হয়।

    এ সময় সাহেদের ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গত বুধবার ভোরে সাহেদকে গ্রেফতার দেখায় র‍্যাব।

    এদিন বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাহেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পরে তাকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করে র‍্যাব। রিজেন্টের জাল-জালিয়াতি অভিযোগের তদন্ত করছে ডিবি।
    টিভি টক শোর নিয়মিত আলোচক ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে অসংখ্য সেলফি ও ছবি তুলে নিজেকে জাহির করতেন সাহেদ। কিন্তু কোভিড চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে শেষ পর্যন্ত ফেসে যান।

    ৬ জুলাই র‍্যাব সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান পরিচালনা করে। জানা যায়, করোনার ৬ হাজার ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছে এই হাসপাতাল। হাসপাতালের লাইসেন্সও নবায়ন করেনি।

    সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে র‍্যাব। তারপরই তাকে খুঁজতে সারাদেশে তৎপরতা শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    সাহেদের পৈতৃক বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাট। ২০০৮ সালের দিকে বহুধাপ বিপণন (এমএলএম) ব্যবসায় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা আদায় করে চম্পট দিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ও আশ্রয় নিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রিজেন্টের প্রতারক সাহেদ ও মাসুদ ১০ দিনের রিমান্ডে

    রিজেন্টের প্রতারক সাহেদ ও মাসুদ ১০ দিনের রিমান্ডে

    আলোচিত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক শাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টায় ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) মোহাম্মদ জসিম এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

    একই সঙ্গে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের প্রতারণার অন্যতম সহযোগী গ্রুপটির এমডি মাসুদ পারভেজকেও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর