Tag: সিইউজে

  • রাইফা হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে ১ মাসের আল্টিমেটাম সিইউজের

    রাইফা হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে ১ মাসের আল্টিমেটাম সিইউজের

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রুবেল খানের আড়াই বছরের শিশু কন্যা রাফিদা খান রাইফা হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে চার্জশিট প্রদানের জন্য এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছে সিইউজে।

    সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতারা। মামলা দায়ের হওয়ার পাঁচ বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ার তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকার সমালোচনা করে নেতারা বলেন, শুরু থেকেই মামলা নিয়ে নানা তালবাহানা করে আসছে পুলিশ। পরবর্তীতে থানা পুলিশ থেকে মামলাটি পিবিআইতে যাবার পর প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো তদন্ত শেষ না হওয়া দুঃখজনক।

    সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সিইউজের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ রুবেল খান, সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম-মহাসচিব মহসিন কাজী, নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, সিইউজের অর্থ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহরম হোসাইন, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক সবুর শুভ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল, প্রতিনিধি ইউনিট প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল সরওয়ার, আমাদের সময়ের ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ।

    মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশ ইউনিটের প্রধান জীবক বড়ুয়া, সিইউজের সাবেক অর্থ সম্পাদক উজ্জল ধর ও কাশেম শাহ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, নির্বাহী সদস্য আইয়ুব আলী, চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ চক্রবর্তী, সিইউজের সদস্য মাহবুবুর রহমান, প্রদীপ নন্দী, নুর উদ্দীন, ই পারভেজ ফারুকী, নিপুল কুমার দে, ওমর ফারুক, গোলাম মর্ত্তুজা আলী, কাঁকন দেব, সুজন ঘোষ, সৌরভ দাশ, কাজী মনজুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ইউসুফ, প্রীতম দাশ, বিশ্বজিৎ পাল, চম্পক চক্রবর্তী, ইকবাল হোসেন, এফএম মিজানুর রহমান, হাসান আলী, বাসু দেব, আহসান হাবিবুল আলম, আবদুল হান্নান কাজল, অনুপম বড়ুয়া, কমল দাশ, রুমন ভট্টাচার্য, মিনহাজুল ইসলাম, ইমরান এমি, আকমাল হোসেন, মোরশেদ হোসেন চৌধুরী, বাচ্চু বড়ুয়া, আবুল হোসাইন মো. কাউসার, মো. শহীদুল ইসলাম সুমন, আশরাফুল ইসলাম রবি, আবদুল্লাহ হামিদ রাকীব, আসহাব উদ্দিন, মো. আবু জাবেদ, মুহাম্মদ আবু তৈয়ব (তৈয়ব সুমন), মো. শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন, মো. মিজানুর রহমান, মো. জিগারুল ইসলাম, মরিয়ম জাহান মুন্নী, এহছানুল হক, সৈয়দ তাম্মিম মাহমুদ, কাজী মাহফুজুল হক, পিম্পল বড়ুয়া, মো. সাখাওয়াত আলম (রিমন সাখাওয়াত), বিপ্লব দে, মির্জা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ শহীদ (শাওন), মুহাম্মদ সুজাউদ্দিন তালুকদার, মোহাম্মদ আবদুল আলী, আসিফ আহমেদ (আসিফ পিনন), মো. সুমন ও এম হাবিব রেজা।

    ২০১৮ সালের ২৯ জুন রাতে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা, অদক্ষতার কারণে সাংবাদিক মোহাম্মদ রুবেল খানের আড়াই বছরের শিশু কন্যা রাফিদা খান রাইফা মারা যায়। রাইফার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রাইফার বাবা মোহাম্মদ রুবেল খান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২০ জুলাই ৪ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

  • নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি সিইউজের

    নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি সিইউজের

    জামালপুরে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমকে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।

    সমাবেশ থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা। একই সাথে সাংবাদিক নাদিমের জীবনের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়া জামালপুরের পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে বরখাস্তের দাবি জানান তারা।

    শনিবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বৈরি আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপক্ষো করে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।

    সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সিইউজের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ রুবেল খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, সিইউজের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক সবুর শুভ, সিইউজের অর্থ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের গ্রন্থাগার সম্পাদক আহমেদ কুতুব, সিইউজের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, টিভি ইউনিট প্রধান মাসুদুল হক, প্রতিনিধি ইউনিট প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল সরওয়ার, দৈনিক পূর্বকোণ ইউনিট প্রধান মিহরাজ রায়হান, সিইউজের সদস্য হামিদ উল্লাহ এবং সুবল বড়ুয়া।

    সাংবাদিক নাদিমের জীবনের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় জামালপুরের পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বরখাস্তপূর্বক গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, জামালপুরের পুলিশ সুপার একটি টকশোতে বলেছেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ড নাকি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। পুলিশ চাইলে হত্যাকাণ্ডের এক ঘণ্টার মধ্যে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করতে পারতো। সাংবাদিক নাদিম এর আগে লাইভে এসে তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছিল পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে কিন্তু প্রশাসন নীরব ছিল।

    সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, আমাদের সহকর্মী বাংলানিউজটোয়েন্টি২৪.কমের জামালপুর প্রতিনিধি গোলাম রাব্বানী নাদিমকে গত বুধবার রাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। একজন সাংবাদিকদের উপর যখন এ ধরনের নির্মম আচরণ হয় তখন সারাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতার কথাটা সবার সামনে চলে আসে। সাংবাদিকদের স্বার্থে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।

    সিইউজের যুগ্ম-সম্পাদক সাইদুল ইসলামের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিইউজের নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল, সিইউজের সাবেক অর্থ সম্পাদক উজ্জল ধর, টিভি ইউনিটের ডেপুটি প্রধান তৌহিদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা, সিইউজের সদস্য মোহাম্মদ ফারুক, তুষার দেব, রাহুল দাশ নয়ন, আহসানুল কবির রিটন, হেলাল সিকদার, আজিজুল কদির, নুর উদ্দীন আহমেদ, গোলাম সরওয়ার, প্রীতম দাশ, প্রনবেশ চক্রবর্তী, ওমর ফারুক, হুমায়ুন মাসুদ, যিশু রায় চৌধুরী, সনজীব দে বাবু, আরিফুর রহমান সবুজ, বিশ্বজিৎ পাল, অনুজ দেব, চম্পক চক্রবর্তী, চৌধুরী আহসান খুররম, ইকবাল হোসেন, আহমেদ মুসা, শীতল মল্লিক, নয়ন চক্রবর্তী, কাজী মনজুরুল ইসলাম, এফ.এম মিজানুর রহমান, ফারুক আব্দুল্লাহ, বাবুন পাল, সাইমুন আল মুরাদ, ইফতেখার মারুফ, সেলিম উল্লাহ, গোলাম ছরওয়ার, জমির উদ্দীন, ইমরান এমি, মিনহাজুল ইসলাম, আকমাল হোসেন, মোরশেদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের এ নির্মম হত্যাকান্ড মুক্ত সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত। এ ঘটনা পেশাদার সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। অতীতে বিভিন্ন সময় একাধিক সাংবাদিক খুনের ঘটনা ঘটলেও ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় বার বার সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।

    গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন সাংবাদিক নেতারা।

  • মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে সিইউজে’র শোক

    মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে সিইউজে’র শোক

    চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।

    সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক শোক বার্তায় সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

    শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে চট্টগ্রামের রাজনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

    উল্লেখ্য, রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

  • সাংবাদিক আবু আজাদের উপর হামলায় ঘটনায় অভিযুক্তদের ক্ষমা প্রার্থনা, দুঃখ প্রকাশ

    সাংবাদিক আবু আজাদের উপর হামলায় ঘটনায় অভিযুক্তদের ক্ষমা প্রার্থনা, দুঃখ প্রকাশ

    পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর সাংবাদিক মোহাম্মদ আবুল কালাম (আবু আজাদ) এর উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তাঁরা।

    শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু আজাদ ও সিইউজে নেতৃবৃন্দের কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও সদস্য মহিউদ্দিন তালুকদার মোহন।

    আবু আজাদের উপর হামলার ঘটনা, মামলা দায়েরসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার দুপুরে সিইউজে কার্যালয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার। তিনি এসময় আবু আজাদের ওপর হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয় আখ্যা দিয়ে বলেন, এ ঘটনায় আমরা লজ্জিত।

    ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবেনা উল্লেখ করে তিনি বিষয়টিতে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি সম্মানজনক সমাধানে উপনীত হবার জন্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান।

    এসময় সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, সাংবাদিকরা কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করেনা। অন্যায়-অনিয়মের বিরূদ্ধে কলম চালানো সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন সাংবাদিক হামলা ও নির্যাতনের শিকার হওয়া সম্পূর্ণ অনাকাঙ্খিত। এটা পক্ষান্তরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হামলার শামিল। তিনি ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকার অনুরোধ জানান।

    পরে অভিযুক্তরা হামলার শিকার আবু আজাদসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের কাছে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি আগামীতে কখনো এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবেনা বলে লিখিত অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন।

    এসময় সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রুবেল খান, সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহরম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর ব্যুরো প্রধান সামছুদ্দিন ইলিয়াস, স্টাফ রিপোর্টার ওমর ফারুক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর স্টাফ রিপোর্টার মো. জিগারুল ইসলাম, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর স্টাফ রিপোর্টার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী এবং ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবু আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

  • সিইউজে’র নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্বভার গ্রহণ

    সিইউজে’র নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্বভার গ্রহণ

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)’র নবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে।

    মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সিইউজে কার্যালয়ে বিদায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেন।

    দায়িত্বভার গ্রহণ উপলক্ষে সিইউজে কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী। এতে বক্তব্য দেন নবনির্বাচিত সভাপতি তপন চক্রবর্তী, বিদায়ী ও নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।

    নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠন পরিচালনায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

    এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিইউজে’র বিদায়ী সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, নবনির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রুবেল খান, নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, বিদায়ী যুগ্ম-সম্পাদক সবুর শুভ, নবনির্বাচিত যুগ্ম-সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ কাশেম শাহ ও নবনির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ মুজাহিদুল ইসলাম, বিদায়ী সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম ইফতেখারুল ইসলাম ও নবনির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক মহররম হোসাইন, বিদায়ী প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল ও নবনির্বাচিত প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল এবং নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য আলাউদ্দীন হোসেন দুলাল।

    সভাপতির বক্তব্যে সিইউজে’র বিদায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বর্তমান কমিটির কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে সিইউজে সবসময় কাজ করেছে।

    সাংবাদিকদের কল্যাণে সংগঠনের সব সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

    দায়িত্বভার গ্রহণের পর সিইউজে’র নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    দায়িত্বভার হস্তান্তর অনুষ্ঠান ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, সিইউজে’র সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসীন চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, আপ্যায়ন সম্পাদক আইয়ুব আলী, সিইউজে’র সুপ্রভাত বাংলাদেশ ইউনিটের প্রধান স ম ইব্রাহিম, টিভি ইউনিট প্রধান মাসুদুল হক, প্রতিনিধি ইউনিটের ডেপুটি প্রধান সরওয়ারুল আলম সোহেল, সিইউজে সদস্য নুরুদ্দীন আহমেদ, রাহুল কান্তি দাশ, ফরিদ উদ্দীন, শফিকুল ইসলাম খান, বাচ্চু বড়ুয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সিইউজের নেতৃত্বে তপন-শামসুল

    সিইউজের নেতৃত্বে তপন-শামসুল

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) নির্বাচনে সভাপতি পদে তপন চক্রবর্তী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ম. শামসুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।

    সোমবার (১০ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সিইউজে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৪২৬ জন ভোটারের মধ্যে ৩৭৪ জন ভোট দেন। ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ৯টার পর ফল ঘোষণা করা হয়।

    নির্বাচনে সভাপতি পদে বাংলানিউজের ডেপুটি এডিটর তপন চক্রবর্তী ১৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাক আহমেদ পেয়েছেন ১০৫ ভোট। অন্য দুই প্রার্থী আসিফ সিরাজ পেয়েছেন ৭২ ভোট ও নাজিমুদ্দীন শ্যামল পেয়েছেন ১৮ ভোট।

    সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ রুবেল খান ২৩৮ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রতন কান্তি দেবাশীষ পেয়েছেন ১৩২ ভোট।

    সহ-সভাপতি পদে অনিন্দ্য টিটো ১৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামসুল হুদা মিন্টু পেয়েছেন ১৭২ ভোট।

    সাধারণ সম্পাদক পদে দৈনিক দেশ রূপান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার ম. শামসুল ইসলাম ১৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

    তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দৈনিক পূর্বদেশের চীফ রিপোর্টার সবুর শুভ পেয়েছেন ১২২ ভোট। অন্য প্রার্থী মাঈনুদ্দিন দুলাল পেয়েছেন ৬১ ভোট।

    যুগ্ম সম্পাদক পদে দৈনিক কালবেলা চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান সাইদুল ইসলাম পেয়েছেন ১৭৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহমেদ শাহ পেয়েছেন ১৩৬ ভোট। অপর প্রার্থী স্বরূপ ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৬১ ভোট।

    অর্থ সম্পাদক পদে দৈনিক কর্ণফুলীর মুজাহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ১৮৭ ভোট ও তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৌমেন ধর পেয়েছেন ১৭৭ ভোট।

    সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুহাম্মদ মহরম হোসাইন ১৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ রূপান্তরের স্টাফ রিপোর্টার সুবল বড়ুয়া পেয়েছেন ১২৯ ভোট। অপর প্রার্থী ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার প্রীতম দাশ পেয়েছেন ১১২ ভোট।

    প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে দৈনিক নিউ এজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সরওয়ার কামাল ২২৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এশিয়ান টাইমসের ব্যুরো প্রধান এসএম মিজানুর রহমান ইউসুফ পেয়েছেন ১২৯ ভোট।

    নির্বাহী সদস্য পদে আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল ২০৩ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিশু রায় চৌধুরী পেয়েছেন ১৫১ ভোট।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের মোট ভোটার ৪২৬ জন। এরমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনজন। ভোট কাস্ট হয়েছে ৩৭৪ ভোট ও বাতিল হয়েছে তিন ভোট।

    নির্বাচিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেমুল হক চৌধুরী ও বিদায়ী সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

    এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ২ সেপ্টেম্বর ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এবারের নির্বাচনে ৯টি পদে মোট ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

  • সাংবাদিক শোয়েবের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রী, বিএফইউজে, সিইউজে, প্রেস ক্লাব ও সিআরএফের শোক

    সাংবাদিক শোয়েবের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রী, বিএফইউজে, সিইউজে, প্রেস ক্লাব ও সিআরএফের শোক

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিক, অনুবাদক শোয়েব খান এর মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিএফইউজে, সিইউজে, প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম রিপোর্টাস ফোরাম ও চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

    বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকাল পৌনে আটটার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরের সিএসসিআর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। বাদ যোহর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মরহুমের জানাযা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

    সেখানেই জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। গত দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাংবাদিক এস এম শোয়েব খান।

    প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জানাযার পূর্বে সাংবাদিক শোয়েব খানের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন স্মরণ করে সংক্ষিপ্ত স্মরণ সভায় প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম ।

    জানাযায় বিজিএমইএ প্রাক্তন প্রথম সহসভাপতি নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মোহাম্মদ খানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    তথ্যমন্ত্রীর শোক : সাংবাদিক শোয়েব খানের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এক বিবৃতিতে তিনি প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তথ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং দৈনিক পূর্বকোণসহ বেতার ও টেলিভিশনে তার কর্মময় জীবনের কথা স্মরণ করেন।

    বিএফইউজে’র শোক : বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এস এম শোয়েব খান মৃত্যুতে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মহাসচিব ও দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে নবনিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, নির্বাহী সদস্য রুবেল খান ও আজহার মাহমুদ এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

    বিবৃতিতে বিএফইউজে নেতৃবৃন্দ শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নেতৃবৃন্দরা বলেন, ‘ সাংবাদিক এস এম শোয়েব খান সৎ অমায়িক নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিক ছিলেন । তাঁর মৃত্যুতে সংবাদ মাধ্যমের অপূরণীয় ক্ষতি হলো। সাংবাদিক সমাজে তাঁর অবদান স্মরণীয় থাকবে।

    তাছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিক সোয়েব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি কাজী আবুল মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা ও সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ।

    মরহুমের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়ির বাবুনগরে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    প্রায় ৩০ বছর তিনি দৈনিক পূর্বকোণের সহ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া বেতার ও টেলিভিশনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম ব্যাচের লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র ছিলেন এসএম শোয়েব খান। সাংবাদিকতায় যুক্ত হন ১৯৯০ সাল থেকে।

    রাজীব/২৪ ঘণ্টা

  • সাংবাদিক সরওয়ারের অপহরণকারিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: সিইউজে

    সাংবাদিক সরওয়ারের অপহরণকারিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: সিইউজে

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে)সদস্য গোলাম সরওয়ারকে অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় সারাদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। সোমবার দুপুরে সিইউজে কার্যালয়ে সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সভায় নেতৃবৃন্দ এ হুঁশিয়ারি দেন।

    সভায় সাংবাদিক গোলাম সরওয়ারকে অপহরণের ঘটনায় একটি গণতদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সিইউজে। এছাড়া অপহরণের শিকার হয়ে নির্যাতিত সাংবাদিক সরওয়ারকে আইনী সহয়াতা দিতে তিন সদস্যের আইনজীবী প্যানেল গঠনের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনারকে স্মারকলিপি দিবে সিইউজে। পাশাপাশি জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শিগগিরই সমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে নির্বাহী কমিটি।

    সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের ইউনিট প্রধান স ম ইব্রাহিম, প্রতিনিধি ইউনিটের প্রধান সাইদুল ইসলাম, টিভি ইউনিটের প্রধান মাসুদুল হক, দৈনিক পূর্বকোণ ইউনিটের ডেপুটি চিফ নাজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, কেবল সংবাদ প্রকাশের কারণেই যে গোলাম সরওয়ারকে অপহরণ করা হয়েছিল তা এরইমধ্যে সুষ্পষ্ট। গোলাম সরওয়ারকে অপহরণের সঙ্গে জড়িতরা যত প্রভাবশালীই হয়ে থাকুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তা চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় সারাদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

    তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাষ্ট্রের এতো প্রতিষ্ঠান, সংস্থা থাকার পরেও একজন সাংবাদিককে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হতাশাজনক। আমরা আশা করি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধীদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় এনে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবে।

    সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক অপহরণের ঘটনা স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ও গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। এর সঙ্গে জড়িতরা পার পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে কেবল স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে না, রাষ্ট্রের নাগরিকদেরও ভয়াবহ খেসারত দিতে হবে। তাই এ ঘটনায় জড়িতরা যত প্রভাবশালী হোক, যাদের দিয়েই এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক সকলকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সাংবাদিক গোলাম সরওয়ারকে উদ্ধারে ১৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সিইউজে’র

    সাংবাদিক গোলাম সরওয়ারকে উদ্ধারে ১৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম সিইউজে’র

    নিখোঁজ সাংবাদিক গোলাম সরওয়ারকে দ্রুত উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে। শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশ থেকে ১৬ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে সিইউজে। এই সময়ের মধ্যে নিখোঁজ সাংবাদিক গোলাম সরওয়ারকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলে রোববার সকাল ১১টায় সিএমপি কমিশনার কার্যালয়ের সামনে পালন করা হবে অবস্থান কর্মসূচি।

    তিন দিন পরও নিখোঁজ সাংবাদিক সরওয়ারের সন্ধান না পাওয়ায় সমাবেশে উদ্বেগ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন গণমাধ্যমকর্মির নিখোঁজের ঘটনা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার ইংগিত। রাষ্ট্রের চর্তুথ স্তম্ভ গণমাধ্যমে আঘাত করে কারা ফায়দা লুটতে চায়, কারা সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্থ করতে চায়, সেসব ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা এখন সময়ের দাবি।

    নেতৃবৃন্দ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নিখোঁজ সাংবাদিককে উদ্ধার করা না হবে ততদিন রাজপথ ছাড়বে না সাংবাদিক সমাজ।

    গণমাধ্যমকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই অপহরণের ঘটনা হয়েছে মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মহামারিতে সাংবাদিক সমাজের পাশে ছিলেন। নিখোঁজ সাংবাদিক সরওয়ারকে দ্রুত উদ্ধারেও চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে। একইসাথে যারা এই অপহরণ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত তাদেরকেও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

    সিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম ও মোস্তাক আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হাইকোর্টের অতিরিক্ত এটর্নী জেনারেল এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, সিইউজের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ ও সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, জাতীয় পার্টির নেতা তপন চক্রবর্তী, প্রতিনিধি ইউনিটের প্রধান সাইদুল ইসলাম, টিভি ইউনিটের প্রধান মাসুদুল হক, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারি রুনা, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ দীপঙ্কর বাবু, যমুনা টেলিভিশনের ব্যুারো প্রধান জামশেদ রেহমান, আজকের সূর্যোদয়ের সহকারি সম্পাদক জোবায়ের সিদ্দিকী, সাংবাদিক মোস্তফা ইউসুফ ও কামরুল ইসলাম, সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু, নিখোঁজ সাংবাদিক গোলাম সরওয়ারের স্ত্রী জেসমিন সরওয়ার, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, সাবেক ছাত্রনেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, সহকারি পিপি এডভোকেট নজরুল ইসলাম, মানবাধিকার নেতা আমিনুল ইসলাম বাবু, বেসরকারি কারা পরিদর্শক সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুর রহমান আজিজ, সাবেক ছাত্রনেতা ইয়াসির আরাফাত, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াছিন কচি, চন্দনাইশ সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান।

    বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সিইউজের নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ মহরম হোছাইন।

    বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন মহানগর জাতীয় পার্টির নেতা নাসির উদ্দিন, যুবলীগের কেন্দ্রিয় জাহেদুর রহমান সোহেল, ইসলামিক ফ্রন্টের নেতা মঈনুদ্দীন হালিম, সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান তারেক, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের নেতা সারোয়ার আলম মনি, বিএসটিআই এর প্যানেল আইনজীবী আশরাফ উদ্দিন খন্দকার, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা শেখ মহিউদ্দিন বাবু, মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি রোমেল বড়ুয়া রাহুল, চন্দনাইশ ,সমিতি চট্টগ্রামের নেতা কফিল উদ্দিন, সংগঠক নোমান উল্লাহ বাহার, মহানগর ছাত্রলীগের উপ অর্থ সম্পাদক আবু হানিফ রিয়াদ, উপ ক্রীড়া সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রনি, লেখক মাহমুদুল হক আনসারি, মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য বোরহান উদ্দিন গিফারি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সিইউজে’র প্রতিনিধি ইউনিটের নেতৃত্বে সাইদুল-সোহেল

    সিইউজে’র প্রতিনিধি ইউনিটের নেতৃত্বে সাইদুল-সোহেল

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) প্রতিনিধি ইউনিটের নির্বাচনে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক সাইদুল ইসলাম ইউনিট প্রধান এবং বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়ার ফটো করেসপন্ডেন্ট সোহেল সরওয়ার ডেপুটি ইউনিট প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিইউজে কার্যালয়ে প্রতিনিধি ইউনিটের এক সভায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

    সিইউজের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহমেদ কুতুবের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো, সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সিইউজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক তাহের ও বিএফইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য দিদারুল আলম।

    সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিইউজের প্রিয় চট্টগ্রাম ইউনিটের প্রধান বিশু রায় চৌধুরী, সিইউজে সদস্য রেজা মুজাম্মেল, ওমর ফারুক, প্রীতম দাশ, সুজিত সাহা, সুজন ঘোষ, আবদুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা ইউসুফ, সামছুদ্দিন ইলিয়াছ, সুবল বড়ুয়া, শৈবাল আচার্য্য, এমএ কাউসার, আকমল হোসেন, জুয়েল শীল, রাজীব রায়হান, মিজানুর রহমান, আহমেদ মুসা, বিশ্বজিৎ পাল, জমির উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম, এ এইচএম কাউছার, তাসনীম হাসান, সরওয়ার কামাল, মো. সুমন, আবু সাঈম ও বাচ্চু বড়ুয়া প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা-ডঃ হাছান মাহমুদ

    যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা-ডঃ হাছান মাহমুদ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, “যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা”- এমন সমালোচনা যেন না হয় । গণমাধ্যমে অনেক বিশেষজ্ঞের শংকাকে মিথ্যে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ।

    অনেক বিশেষজ্ঞ বিবৃতি দিয়ে, টেলিভিশন টকশো এবং ফেসবুক লাইভে অনেক নেতিবাচক শঙ্কার কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর জনবান্ধব নেতৃত্বের কারণেই করোনায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশে একজনও না খেয়ে মরেননি।

    তথ্যমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা ও করোনাকালিন বিশেষ অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, ডিইউজে-ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বিএফইউজে যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

    সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ , সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল,
    নির্বাহী সদস্য মহররম হোসেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক , যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

    তথ্য মন্ত্রী বলেন , সাংবাদিকদের করোনা সময়ের বিশেষ সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত চার কোটি ৩১ লক্ষ টাকা সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির কথাও জানান মন্ত্রী। সাংবাদিকদের করোনা চিকিৎসার অগ্রাধিকার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকসহ দেশের সব মানুষের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার কাজ করছে।

    তিনি বলেন, করোনাকালীন মৃত্যু ঠেকাতে সরকার সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে । বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তান ও ইউরোপ-আমেরিকা থেকেও কম ।

    করোনা অভিন্ন শত্রু। এখানে কারো মিসাইল বা এন্টি মিসাইল কাজ করেনি । আমরা এখন সমন্বিতভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপে মানব স্বার্থে কাজ করবো, নাকি যুদ্ধ সংঘাতের পথে থাকবো -এটা বিবেচনার জন্য এখন সর্বোচ্চ সময়।

    তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

    অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিত এবং সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, সরকার এ পর্যন্ত সাত কোটি মানুষের কাছে সরাসরি করোনাকালীন সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে ।

    ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা সময় কালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগও ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষকে সহায়তা দিয়েছে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএফইউজের সহ-সভাপতি ও পেশাজীবী নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী কল্যাণ ট্রাস্টে ঢাকার বাইরের প্রতিনিধিত্ব, গণমাধ্যম কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা, যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিতকরণসহ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় নানা বিষয়ে সরকারের আরো কঠোর মনিটরিং দাবি করেন।

    তিনি বলেন, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বৈষম্য কাটাতে হবে। কল্যাণ ট্রাস্ট ও মনিটরিং সেলের ঢাকার বাইরে প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে আরো প্রায় চার বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

    ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ সাংবাদিকদের সহায়তার ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রীসহ সরকারের গণমাধ্যম বান্ধব চরিত্রের কথা উল্লেখ করেন।

    তিনি বলেন, সাংবাদিকদের প্রধান দাবি-দাওয়া থাকবে মালিকপক্ষের কাছে। সে দাবি-দাওয়া আদায়ে সরকার সহায়ক ভূমিকা রাখবে ।

    চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জন্য মন্ত্রীর বিশেষ তহবিল প্রত্যাশা করেন।
    তিনি সাংবাদিক সমাজের পাশে থাকায় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিনিধিত্ব সহ ঢাকার সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের পরিস্থিতি তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা প্রত্যাশা করেন।

    অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী তথ্যমন্ত্রীসহ আগতদের কৃতজ্ঞতা জানান এবং চট্টগ্রামের সংবাদপত্রগুলোতে পরিবহন সুবিধা ছাড়া রাত তিনটায়ও কাজ করতে বাধ্য করাসহ চট্টগ্রামের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

    ২৪ ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

  • সাংবাদিক মহরম হোসাইনের ওপর হামলার নিন্দা সিইউজে’র, দায়ীদের শাস্তি দাবি

    সাংবাদিক মহরম হোসাইনের ওপর হামলার নিন্দা সিইউজে’র, দায়ীদের শাস্তি দাবি

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ মহরম হোসাইনের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন সিইউজে নেতৃবৃন্দ। হামলার ঘটনায় দায়ীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর বকশির হাটে একটি দোকানে পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য দাবির প্রতিবাদ করায় উক্ত দোকান মালিক স্বপন কুমার সাহা, তাঁর সহযোগী নওশাদ আলী খান, জুয়েল সাহাসহ বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক মহরম হোসাইনের ওপর হামলা চালায়। ঘটনার পর সিইউজে ও বিএফইউজে নেতৃবন্দ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশের সহায়তায় হামলাকারীদের একজনকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় ৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

    নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে সারাদেশের মানুষ এখন দিশেহারা। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে যখন অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ রয়েছে, তখন একশ্রেণীর ব্যবসায়ী ক্রেতাদের জিম্মি করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছে। একজন সাংবাদিক হিসাবে মহরম হোসাইন এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাঁর উপর এ ধরণের হামলা অত্যন্ত জঘন্য ও নিন্দনীয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।