Tag: সিইসি

  • রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি

    রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না : নতুন সিইসি

    জুলাই-আগস্টের শহীদদের রক্ত ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দিন।

    বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে দেওয়া তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন নতুন সিইসি।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে নির্বাচনটা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। অতীতেও ছিল, বর্তমানেও রয়েছে। গত তিনটা নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের প্রহসন আমরা দেখেছি। এই সময়ে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি আরও অন্যরকম। বিশাল একটা গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন একটা অবস্থা দাঁড়িয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে কত লোক প্রাণ দিলো, কত লোক আহত হলো, কত লোক নিহত হলো, কত লোক গুম হলো। কত মানুষের সম্পদ হারালো, স্বামী স্ত্রী হারাল, স্ত্রী স্বামী হারাল এবং ছেলে বাপকে হারাল, বাবা ছেলেকে হারাল।’

    তিনি বলেন, ‘শুধু জুলাই আগস্টে দেড় হাজার লোক শহীদ হলো। ২৫ থেকে ২৬ হাজার লোক আহত হলো। এদের রক্তের সঙ্গে ও ত্যাগের সঙ্গে বেইমানি করা যাবে না। কোনভাবেই করা যাবে না। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করব একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়ার জন্য।’

    নতুন সিইসি বলেন, ‘যার ভোট সে দেবে, এটা সম্ভব অবশ্যই হবে। আমি তথ্য, জ্বালানি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলাম। এই তিন চ্যালেঞ্জিং মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছি, ইনশাল্লাহ এই চ্যালেঞ্জও আমি সামলে নেব। যত চ্যালেঞ্জই আসুক সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা নিয়ে ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ইনশাল্লাহ আমি জীবনে কোনোদিন ফেল করি নাই। আশা করি ইনশাল্লাহ ফেল করবো না। এই আত্মবিশ্বাস আমার আছে।’

  • ভোট দেখতে ৮ দিনের সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি

    ভোট দেখতে ৮ দিনের সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি

    ভোট দেখতে আটদিনের সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার সফরসঙ্গী একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিন।

    আগামী ১২ মার্চের দিকে সুবিধাজনক সময়ে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে তারা যাত্রা শুরু করবেন। দেশে ফিরবেন ১৯ মার্চ।

    রোববার (২৮ জানুয়ারি) ইসির উপসচিব মো. শাহ আলম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান হিসাব ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন।

    চিঠিতে জানানো হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও তার একান্ত সচিব মো. রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এবং নির্বাচনী সার্বভৌমত্ব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাশিয়ান ফেডারেশন সফর করবেন। আগামী ১৪ থেকে ১৮ মার্চ সিইসিসহ তার একান্ত সচিব কিছু শর্তসাপেক্ষে রাশিয়া সফর করবেন।

    এতে আরও জানানো হয়, আগামী ১২ মার্চের দিকে সুবিধাজনক দিনে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে তারা যাত্রা শুরু করবেন এবং ১৯ মার্চ ঢাকায় ফিরবেন। এই সফরের সময়কাল, ভ্রমণ এবং ট্রানজিটের জন্য ব্যয় করা সময়কে দায়িত্ব হিসেবে গণ্য করা হবে। তারা তাদের বেতন-ভাতা স্থানীয় মুদ্রায় নেবেন এবং এর কোনো অংশ বৈদেশিক মুদ্রায় নেওয়া যাবে না।

    সফরের সময় তারা দুজন পাঁচ রাতের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা এবং স্থানীয় আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন। তবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিমান ভাড়া এবং অন্য আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবে।

  • উপস্থিতি কম-বেশি জানি না, ইসির কাজ নির্বাচন আয়োজন করা

    উপস্থিতি কম-বেশি জানি না, ইসির কাজ নির্বাচন আয়োজন করা

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটারের উপস্থিতি কম নাকি বেশি সেগুলোর আমি কিছুই জানি না। আমি এসে আমার ভোটটা দিয়ে গেলাম। ইসির কাজটা হচ্ছে ভোট আয়োজন করা। কেউ ভোট দিতে আসবেন কি আসবেন না সেটা দেখা আমাদের কাজ নয়।

    তিনি বলেন, আর নির্বাচনে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটলে সেটা আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেখবেন।

    রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর শান্তিনগরে হাবীবুল্লাহ্‌ বাহার ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আজকে ভোট শুরু হয়েছে, ভালো লাগছে। পাঁচ বছর পর পর জাতীয় সংসদের এই ভোটটি হয় সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায়, সহযোগিতায়। আপনারা (সাংবাদিক) আমাদেরকে সহযোগিতা করে থাকেন।

    তিনি বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করব ভোটের দৃশ্যমানতা ও স্বচ্ছতা যতটা তুলে ধরা যায়। ভোট নিয়ে যদি মানুষের মধ্যে কোনো অনাস্থা থাকে, সেই অনাস্থা যেন ক্রমন্বয়ে কেটে যায়।

  • নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন বলা যাবে না: সিইসি

    নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন বলা যাবে না: সিইসি

    নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় মর্মে আখ্যায়িত করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা করেন।

    সিইসি বলেন, নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিগত প্রশ্নে মত-বিরোধের কারণে এবারের নির্বাচনে কাঙ্খিত সেরকম রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। নির্বাচনী সার্বজনীনতা প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি। তারপরও ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে। সর্বমোট এক হাজার ৯৭১ জন প্রার্থী ২৯৯ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় মর্মে আখ্যায়িত করা যাবে না।

    তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোট গ্রহণ শুরুর অপেক্ষা।

    প্রার্থী ও ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী ও ভোটার সাধারণকে নির্বাচন বিষয়ক বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তাকেও আইন ও বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুধাবন, প্রতিপালন ও প্রয়োগ করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে নির্বাচন পরিচালনার সার্বিক বিষয়ে আরোপিত দায়িত্বপালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অবহেলা, শৈথিল্য, অসততা ও ব্যত্যয় সহ্য করা হবে না। নির্বাচন বিষয়ক আইন ও বিধি-বিধান বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

    কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ ভোটকেন্দ্রসমূহের পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলাসহ প্রার্থী, ভোটার, নির্বাচনি কর্মকর্তাসহ সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে।

    প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোট গ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

    এ সময় তিনি জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল প্রকারের নির্বাচনি অনিয়ম-অনাচার প্রতিহত করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।

  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সিইসি

    সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সিইসি

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সিইসির ভাষণ সম্প্রচার করা হবে।

    নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। সিইসি ভাষণে জাতিকে সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দেওয়াসহ সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করতে প্রার্থীদের আহ্বান জানাবেন।

    এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ওইদিন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে তার ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

    এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ। এর মধ্যে নতুন ভোটার এক কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৭৬ লাখ ও নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ। আর ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ৮৪৯ জন। আগামীকাল ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে চলবে ভোটগ্রহণ।

  • এবার আগের রাতে ভোট হবে না—এটা শতভাগ নিশ্চিত করলাম : সিইসি

    এবার আগের রাতে ভোট হবে না—এটা শতভাগ নিশ্চিত করলাম : সিইসি

    আগের রাতে ভোটসহ যেসব কথাবার্তা হয়েছে সেটি কোনো অবস্থাতেই হবে না বলে শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    তিনি বলেন, ‘আগের রাতে ভোটসহ যেসব কথাবার্তা হয়েছে আমরা ৯৯ নয়, শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি সেটি কোনো অবস্থাতেই হবে না। এজন্য অনেক কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সকালে যাবে।’

    মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের পিটিআই মিলনায়তনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাশেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

    কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এখন ব্যালট পেপার সকালে না গিয়ে ১০ দিন আগে অথবা ১০ মাস আগেও যায়, তাহলেও প্রার্থীরা তাদের পোলিং এজেন্ট দিয়ে সকালে ভোট কেন্দ্রে স্বচ্ছ বাক্সগুলো খালি কি না সেটি দেখে নিয়ে তারপর বন্ধ করবেন। সেক্ষেত্রে অবৈধ কোনো ব্যালট বক্সে ঢোকার সুযোগ নেই। তারপরও আমরা বিশ্বাস এবং আস্থা অর্জনের জন্য বলেছি ব্যালট পেপার সকালে পাঠাব।

    তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টরা অবশ্যই দাঁড়িয়ে থেকে দেখে নেবেন ব্যালট বাক্সগুলো খালি আছে কি-না। তারা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ গণনা ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। সবকিছু সঠিকভাবে হয়েছে কি না জানবেন। যদি গণনা যথাযথভাবে শেষ হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়ে গেল।

    ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ফুটে উঠবে মিডিয়ার মাধ্যমে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, মিডিয়ার কর্মীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে এবং ভেতরে থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে না। তারা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন এবং ভেতরে ঢুকে সবই ছবি তুলতে পারবেন। সত্য-মিথ্যা জনগণকে জানাতে পারবেন।

    প্রার্থীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের আচরণে সন্তুষ্ট জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনের সংস্কৃতিতে অনেকে কালো টাকার বিনিময় পেশাদার কিছু সন্ত্রাসী ব্যবহার করে। তারা যাতে ভোটকে প্রভাবিত না করতে পারে সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের বক্তব্য শুনেছি। আমরাও যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছি। তারা আমাদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের কথা বলেছেন। পোস্টার ছেঁড়া, দুয়েক ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু সার্বিকভাবে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা আমাদের জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের আচরণে তারা সন্তুষ্ট।’

    অ্যাপসের মাধ্যমে প্রতিটি কেন্দ্রের ভোটের হার জানা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অ্যাপস তৈরি করেছি যেখানে দুই ঘণ্টা পর পর প্রতিটি কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পড়লো ইনপুট দেওয়া হবে। মোবাইলের মাধ্যমে অ্যাপস ডাউনলোড করে সেটা সবাই জানতে পারবেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ১০টার সময় দেখা গেল ১০ শতাংশ ভোট পড়ল। কিন্তু ১২টার দিকে গিয়ে হঠাৎ ৮০ শতাংশ হয়ে গেল। এটি বিশ্বাসযোগ্য হবে না। এজন্য আমরা বিভিন্ন পরিমাপক নিয়েছি। যাতে ভোট গ্রহণের সত্যতা মানুষের মাঝে ফুটে ওঠে।’

    কোনো পেশিশক্তির উদ্ভব ঘটলে প্রিজাইডিং অফিসারকে ভোট বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রিজাইডিং অফিসার যদি বন্ধ না করেন রিটার্নিং অফিসার অবহিত হলে তিনি বন্ধ করে দেবেন। তিনিও যদি বন্ধ না করেন, আর আমরা ঢাকা থেকে অবহিত হলে সেখান থেকে বন্ধ করে দেবো।’

    কেন্দ্রে যাতে কোনো অননুমোদিত ব্যক্তি প্রবেশ না করে সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি বলা হয়েছে জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা তাদের আরেকটি বার্তা দিয়েছি, যেদিন ভোটগ্রহণ করা হবে সেদিনের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে থাকবে। ভোটটা কি অবাধ হলো, সেখানে কারচুবি হয়েছে কি-না সেটি নিশ্চিত করার জন্য যারা ভোট পরিচালনা করবেন অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে, কেন্দ্রে যাতে কোনো অননুমোদিত ব্যক্তি প্রবেশ না করে। যদি অননুমোদিত ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে তাহলে বুঝতে হবে তিনি কুমতলব নিয়ে প্রবেশ করেছেন। তাহলে ভোটগ্রহণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। আমরা কঠিন বার্তা দিয়েছি, এ ধরনের কোনো কিছু যাতে না হয়।’

    ভোট নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘কতগুলো বক্তব্য আমি আরও ৬টি স্টেশনে ঘুরে শুনেছি। একটি কথা কয়েকজনে বলেছেন ভোট দিয়ে কী লাভ, ভোট তো এক জায়গায় চলে যাবে। আবার কেউ কেউ নাকি মুখে মুখেও বলেছেন, আপনারা যে যেখানে ভোট দেন, ভোট জায়গামতো চলে আসবে। আমরা বিষয়টি শুনেছি। এর মধ্যে আমরা জেনে গেছি, এটি হয়তো ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার অথবা ভ্রান্ত ধারণা। ভোট যেখানেই দেন সেখান থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই ,সেটি আমরা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি।’

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উপস্থিত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ ।

     

  • চট্টগ্রামে সিইসির সঙ্গে প্রার্থীদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রামে সিইসির সঙ্গে প্রার্থীদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রামে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল।

    মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় নগরীর এলজিইডি ভবনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় প্রার্থীরা সিইসির কাছে একে অপরের বিপক্ষে অভিযোগ তুলে ধরেন।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিশ্চয়তা দিচ্ছি। প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা মেনে চলার আহ্বান এবং তাদের অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর দেওয়ার পরামর্শ রইলো।
    তিনি আরো বলেন, কোন প্রকার অবধৈ হস্তক্ষেপ, কোনো রাজনৈতিক দলের দমন নিপীড়নসহ যেকোন প্রকার অযাচিত কর্মকাণ্ড শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম, রিটার্নিং কর্মকর্তা (মেট্রো) ও বিভাগীয় কমিশন তোফায়েল ইসলাম, রিটার্নিং কর্মকর্তা (জেলা) জেলা প্রশাসক আবুর বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা প্রমুখ।

  • নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা বাধ্য : সিইসি

    নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা বাধ্য : সিইসি

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। এই বিষয়টা আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের স্পষ্ট করে বুঝিয়েছি।

    বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধনীর আগারগাঁওয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

    এর আগে, ইইউ’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশন বৈঠকে বসে। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য চার কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

    অন্যদিকে ইইউর পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, সংস্থাটির পলিটিক্যাল অফিসার সেবাস্তিয়ান রিগার ব্রাউন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজান্ডার বার্গ ফন লিন্দ্রে, ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলার, স্পেনের অ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস, ইতালির অ্যাম্বাসেডর আন্তোনিও অ্যালেসান্দ্রো, কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর ইরমা ফেন ডুয়েরেন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেম ডে কারড্রেল ও জার্মান অ্যাম্বাসির এক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠক শেষে সিইসি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলিসহ ৭টি দেশের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। এটাকে আমরা বলি ইইউ ডেলিগেশন। তারা আগেও একাধিকবার এসেছেন। তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন পর্যবেক্ষণ টিম আসবেন বলে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যেই চারজন এসেছেন। তারা দীর্ঘ সময় আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন। আমাদের প্রস্তুতিটা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তারা জানতেন না। তারা আজও এসেছেন, এর মধ্যে আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে জানিয়েছি, নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার, পিসফুল এবং ক্রেডিবল যাতে হয়— সেটি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

    হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি, আমাদের মাননীয় কমিশনাররা বিগত দুই সপ্তাহ ধরে বাইরে বাইরে ঘুরেছেন এবং তারা জনগণ ও প্রশাসনকে বিষয়গুলো অবহিত করেছেন। যাতে করে প্রশাসন স্থানীয়ভাবে তাদের সব শক্তিকে সমন্বিত করে; যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হয়। তারা আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে আমরা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। এটা আমরা খুব স্পষ্ট করে তাদের বুঝিয়েছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা এটা তারা বুঝতে পেরেছেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো মতবিরোধ থাকে, বিভেদ-বিভাজন থাকে সেখানে কোনভাবেই আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না।’

  • গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে : সিইসি

    গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে : সিইসি

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে যে বিতর্ক এখন দেশে, সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এই নির্বাচনের ফেয়ারনেসকে উপলক্ষ করে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিভক্ত হয়ে গেছে। এটি কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সে জন্যই বলা হয় ক্রেডিবল ইলেকশন।

    তিনি বলেন, ইলেকশন জিনিসটা কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য, চোখে দেখা যায় না, যাবেও না। তারপরেও বলা নির্বাচন ক্রেডিবল, ফ্রি হয়েছে কিনা, ফেয়ার হয়েছে কিনা। এই পাবলিক পারসেপসনের কোনো মানদণ্ড নেই। তবুও জনগণকে বলতে হবে নির্বাচন ফ্রি এবং ফেয়ার হয়েছে। সার্বিকভাবে যদি জনগণ বলে থাকেন যে এবারের নির্বাচনটা ফ্রি ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হয়েছে, তাহলে এটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।

    আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত সংসদ নির্বাচনের অনুসন্ধান কমিটির সদস্যদের (বিচারক) প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

    সিইসি বলেন, আমরা একটি ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল ইলেকশন চাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো আমাদের নির্বাচনে বাইরে থেকে থাবা বা হাত এসে পড়েছে। তারা আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। আমাদের অর্থনীতি, আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের অনেক কিছু রক্ষা করতে হলে নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।

    তিনি বলেন, আমরা আশ্বস্ত করছি পৃথিবীর অনেক দেশ সার্বভৌম নয়। আমাকে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র কমেন্ট করতে পারে আমি কিন্তু ওয়াশিংটনে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিতে পারছি না। তবে আমাকে বাঁচাতে হলে আমার সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে আমার গার্মেন্ট বাঁচাতে হলে যে দাবিটা আমাদের বা বাইরের—ওরা (বিদেশি) খুব বেশি দাবি করেনি। তাদের (বিদেশিদের) একটাই দাবি বাংলাদেশের নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হতে হবে।

    সিইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে যে বিতর্ক হচ্ছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত। নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটে আছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

    কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে আমরা অবিতর্কিত ফলাফল দেখতে চাই। সব এজেন্ট যেন ফলাফল গ্রহণ করেন।

    সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালনে সততা এবং সাহসিকতা যেন থাকে। বাংলাদেশ একটা প্রজাতন্ত্র। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশ কখনও প্রজাতন্ত্র হতে পারে না। প্রজাতন্ত্র মানেই জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা শাসন পদ্ধতি। একনায়কতন্ত্র ও রাজতন্ত্র খুব একটা খারাপতন্ত্র আমরা বলছি না। তবে প্রজাতন্ত্রের শাসনব্যবস্থা সব থেকে জনপ্রিয়। গণতন্ত্র বাঁচিয়ে যদি রাখতে হয় তাহলে নির্বাচন বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অনাকাঙ্ক্ষিত।

    নির্বাচন ফেয়ারনেসকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিভক্ত হয়ে গেছে এটা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সে জন্য বলা হয় ইলেকশন ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল বিশ্বাসযোগ্য জিনিস এটা চোখে দেখা যায় না। তারপরও এটাকে বলা হয় পাবলিক পারসেপশন। নির্বাচন ক্রেডিবল ও ফ্রি হয়েছে কি না ওটা পাবলিক পারসেপশন এটার কোনো মানদণ্ড নেই। জনগণকে বলতে হবে নির্বাচন ক্রেডিবল হতে হবে।

    সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের প্রথম দিন ১০৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

  • ভোটদানে বাধা এলে প্রতিহতের আহ্বান সিইসির

    ভোটদানে বাধা এলে প্রতিহতের আহ্বান সিইসির

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মতপার্থক্যের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। পাশাপাশি ভোট দিতে বাধার সম্মুখীন হলে একক বা সামষ্টিকভাবে তা প্রতিহত করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

    বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তফসিল ঘোষণাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভোটকেন্দ্রের পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলাসহ প্রার্থী, ভোটার, নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কোনো মূল্যে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করতে হবে।’

    ভোটারদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা আগামী ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে, উৎসাহ- উদ্দীপনা, সাহস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে, স্বাধীনভাবে আপনাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদ ও সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট আপনার, ভোট প্রদানে কারও হস্তক্ষেপ বা প্ররোচনায় প্রভাবিত হবেন না। কোনো রকম হস্তক্ষেপ বা বাধার সম্মুখীন হলে একক বা সামষ্টিকভাবে তা প্রতিহত করবেন। প্রয়োজনে অবিলম্বে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে অবহিত করবেন। প্রিসাইডিং অফিসার যে কোনো মূল্যে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করে ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইনত দায়িত্বপ্রাপ্ত ও বাধ্য।’

    সংঘাত পরিহার করে সমস্যা সমাধানে সব রাজনৈতিক দলকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কাঙ্ক্ষিত অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নে, বিশেষত নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতির প্রশ্নে, দীর্ঘসময় ধরে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বে মতভেদ পরিলক্ষিত হচ্ছে। বহুদলীয় রাজনীতিতে মতাদর্শগত বিভাজন থাকতেই পারে। কিন্তু মতভেদ থেকে সংঘাত ও সহিংসতা হলে তা থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে। মতৈক্য ও সমাধান প্রয়োজন। আমি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলকে বিনীতভাবে অনুরোধ করবো, সংঘাত ও সহিংসতা পরিহার করে সদয় হয়ে সমাধান অন্বেষণ করতে।’

    তিনি বলেন, ‘জনগণকে অনুরোধ করবো সব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্বস্তি পরাভূত করে নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে এসে অবাধে মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সব দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সর্বদা স্বাগত জানাবে। পারস্পরিক প্রতিহিংসা, অবিশ্বাস ও অনাস্থা পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা ও সমাধান অসাধ্য নয়। পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক আস্থা, সহনশীলতা ও সহমর্মিতা টেকসই ও স্থিতিশীল গণতন্ত্রের জন্য আবশ্যকীয় নিয়ামক।’

    হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলকে আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন করতে হবে। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সব কর্মকর্তাকেও আইন ও বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুধাবন, প্রতিপালন ও প্রয়োগ করে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আরোপিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন বিষয়ক আইন ও বিধি-বিধান তাদেরকে অবহিত করার লক্ষ্যে কমিশন বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে এবং করে যাচ্ছে।’

  • অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর নির্ভর করতে হবে: সিইসি

    অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর নির্ভর করতে হবে: সিইসি

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর করতে নির্বাচন কমিশনের প্রয়াসের কোনো ঘাটতি থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে এজন্য সরকারের সহযোগিতার ওপর ইসিকে নির্ভর করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

    শনিবার (৭ অক্টোবর) আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সাথে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

    সিইসি বলেন, আমাদেরকে সরকারের সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হবে। সরকারের জনপ্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা সুদৃঢ় করে নির্বাচনের যে উদ্দেশ্য- অর্থাৎ অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ফলাফল কীভাবে উঠে আসবে সেটা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

    রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা বারবার করে বলেছি, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক বলতে আমরা জানি যে, ভোটাররা ব্যাপক সংখ্যায় আসবে। এরকম বিষয়ে আপনাদের যে দায়িত্ব রয়েছে এবং নেই সেটাও আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চেষ্টা করবো। আপনাদের যে দায়িত্ব থাকবে সেটা যেন প্রতিপালিত হয়, সে বিষয়ে আমাদের দিক থেকে দৃঢ় নির্দেশনা থাকবে।

     

  • গত দুই নির্বাচনের বিতর্কের চাপ পড়েছে আমাদের ওপর : সিইসি

    গত দুই নির্বাচনের বিতর্কের চাপ পড়েছে আমাদের ওপর : সিইসি

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার চ্যালেঞ্জ নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশে যে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোর বিতর্কের চাপ বর্তমান কমিশনের ওপর পড়েছে। এ জন্য এই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব অনেক বেশি।’

    আজ রবিবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে ইউএনওদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের বিতর্কের চাপ আমাদের ওপর এসে পড়েছে। তাই আমাদের দায়িত্ব বেশি। আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি। আস্থার সংকটই নির্বাচনের আসল সংকট।

    সেটা যেন তৈরি না হয়, সে জন্য দায়িত্ব পালনে সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। আজ শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ চলবে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত। চারটি ব্যাচে ১০০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

    প্রতিটি ব্যাচকে দেওয়া হবে দুই দিনের প্রশিক্ষণ। এরপর বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, ডিসি, এসপি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে ইসি। এ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে বিদ্যমান প্রশাসনকে নির্বাচন আয়োজনের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।