Tag: সিইসি

  • রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ডায়ালগ প্রয়োজন

    রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ডায়ালগ প্রয়োজন

    রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ডায়ালগ প্রয়োজন বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সিইসি এ কথা বলেন।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। যে সংকটটা বিরাজ করছে তা রাজনৈতিক। এর সঙ্গে আমাদের কাজের কোনো সংঘাত নেই। কিন্তু এ সমস্যাগুলো যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন আয়োজন অনেক কমফোর্টেবল হবে।

    সিইসি বলেন, কমিশন প্রত্যাশা করে, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে কতগুলো বিষয় নিয়ে প্রকটভাবে সংকট রয়েছে, সেগুলো যে কোনো মূল্যে সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। একটা স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। যে স্থিতিশীল পরিবেশে আগামী নির্বাচন হবে। সংলাপ নিয়ে ইসির উদ্যোগ না থাকলেও নিজেদের মধ্যে সংলাপ ও একসঙ্গে বসার আহ্বান জানান সিইসি।

    তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি, উনারাও বিশ্বাস করেন, (সমস্যা সমাধানে) রাজনৈতিকগুলোর মধ্যে ডায়ালগ প্রয়োজন। ডায়ালগ ছাড়া এ সংকটগুলো আসলে রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়। কমিশন মনে করে, রাজনৈতিক দলগুলো এক টেবিলে বসা উচিত, একসঙ্গে চা পান করা উচিত। তারপরে আলোচনা করে সংকট নিরসনের চেষ্টা করতে হবে।

    এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশে তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিলর মি. অরটুরো হেইনস। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমও উপস্থিত ছিলেন।

  • ইইউ যত খুশি তত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে : ইসি

    ইইউ যত খুশি তত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে : ইসি

    নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন (ইইউ) যত খুশি তত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে। এক্ষেত্রে ইসির কোনো লিমিটেশন নেই বলে জানান তিনি।

    মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন অতিরিক্ত সচিব।

    অশোক কুমার বলেন, আজ ইইউ’র সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হয়েছে। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমাদের ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও প্রস্তুতি এবং সিসি ক্যামেরাসহ সব বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই তাদের একটি টেকনিক্যাল টিম আমাদের সঙ্গে মিটিং করবে। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-১ ও ২ এর সঙ্গে মিটিং করে তারা আরও বিশদভাবে জানার চেষ্টা করবে। আজকের মিটিংয়ে তাদের কিছু প্রশ্ন ছিল, সেগুলোর জবাব দিয়ে আমাদের কমিশন তাদের সন্তুষ্ট করেছে। আজকের মিটিংয়ে তারা সন্তুষ্ট।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা আমাদের পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চেয়েছে এবং তাদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য যা যা করতে হবে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তাদের বলেছি, পর্যবেক্ষক পাঠাতে হলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন দিলে ভালো হয়। কারণ, আরও কিছু ফরমালিটি রয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্সের বিষয়ও রয়েছে। পর্যবেক্ষক পাঠাতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের কোনো লিমিটেশন নেই। তবে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক যত খুশি তত তারা পাঠাতে পারবে।

    অতিরিক্ত সচিব বলেন, অবজারভার পাঠানোর বিষয়ে কি কি প্রস্তুতি নিতে হয়, ইসি কি করবে তা জানতে চেয়েছে। কমিশন বলেছে, তারা যত সংখ্যক ইচ্ছা অবজারভার পাঠাতে পারে, এর কোনো লিমিটেশন নেই। আবেদনের জন্য টাইম ফ্রেম আছে কি না জানতে চেয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো এলে সুবিধা হয় বলে কমিশন জানিয়েছে।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার বলেন, আমাদের এ পর্যন্ত ৯১১টি নির্বাচন হয়েছে। তাতে সন্তোষ রয়েছে তাদের। পরিবেশ নিয়ে এখন পর্যন্ত সেটিসফাইড হলেও তারা আরও আলোচনা করবে। তারা ২৩ জুলাই পর্যন্ত থাকছে। ১৮-২২ জুলাইয়ের মধ্যে তারা আবারও টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে বসবে। নির্বাচনকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটে আনার বিষয় আলোচনায় আসেনি।

    তিনি বলেন, তারা প্রধান নির্বাচনী প্রস্তুতিটা কী তা জানতে চেয়েছে। আমাদের মেইনলি রোডম্যাপ, আমরা তা নিয়ে কাজ করছি। ট্র্যাকেই আছে। নির্বাচন কমিশন ফেয়ারলি নির্বাচন করতে সক্ষম কি না সেসব বিষয়গুলো জানতে চেয়েছে। ইসি সে বিষয়গুলো এক্সপ্লেইন করেছে, তারা সেটিসফাইড।

    তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই ইইউ’র : ইএমএফ চেয়ারম্যান

    এর আগে সকালে রাজধানীর গুলশানে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) সঙ্গে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে ইএমএফ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, উনারা সংবিধানে নেই এমন কোনো কথা বলেননি এবং তত্ত্বাবধায়ক বিষয়ে কোনো কিছু তারা জানতে চাননি। তত্ত্বাবধায়ক বিষয়ে তারা কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি।

    গত রোববার ভোরে ঢাকায় আসে ইইউ প্রতিনিধি দল। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিশেষজ্ঞ হিল্লেরি রিকার্ডোর নেতৃত্বে দুই সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ মূল্যায়নের কাজ করবেন তারা। আগামী ২৩ জুলাই তাদের বাংলাদেশ সফর শেষ হবে। ইইউ প্রতিনিধি দলটি সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো, নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবে।

    এর আগে, ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ পুলিশ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    জানা গেছে, ইইউর প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবে।

    নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছে ইইউর প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলটি। সফরের শুরুর দিন রোববার (৯ জুলাই) সকালে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির গুলাশানের বাসায় শুরু হয় প্রথম কার্যক্রম। সেখানে ইইউর কয়েকটি সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রুটিন বৈঠক করেন তারা। পরে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গেও বৈঠক করেন তারা।

    বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ অবস্থান করবে ইইউর পর্যবেক্ষক দলটি। বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের কাছে তাদের মূল্যায়নের মতামত জমা দেবেন বিশেষজ্ঞ দলটি।

    তাদের মতামত ইতিবাচক হলে পরবর্তী সময়ে আরও প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইইউ। আর সবকিছু ঠিক থাকলে অর্থাৎ প্রতিনিধি দলের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ইইউ প্রধান। পরবর্তী সময়ে যে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল আসবে তাদের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়াদি মূল্যায়ন করবে এই দলটি।

  • নির্বাচনে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা: সিইসি

    নির্বাচনে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা: সিইসি

    নির্বাচনে কেউ অনিয়ম বা পেশিশক্তির ব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    বুধবার (৭ জুন) দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

    ইভিএম নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ইভিএম কঠিন কোনো বিষয় নয়, বরং বেশ সহজ। অকারণে ইভিএম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে। আমরা মনিটরিং করব।

    আমরা অসৎ নই, আমরা সততা বিশ্বাস করি এমন মন্তব্য করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কারও প্রতিনিধিত্ব করে না, সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে না। আমরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সরকারের কোনো প্রতিনিধি নই। এটি একটা স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা।’

    দেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আর বিষয়গুলো গায়ে মাখছি না। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে আইন এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকে এগিয়ে নেওয়া।’

    রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির প্রত্যাশা বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবুল আউয়াল বলেন, সেটা আমরা আগাম বলতে পারব না, ভোটটা হোক তখন আপনারা দেখবেন। গাজীপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে, কিন্তু এখানে কোনো দল এসে না থাকলে সেটা আগাম মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।’

    নির্বাচনী প্রচারণায় ধর্মকে ব্যবহার করা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘যদি ধর্মীয় প্রচারণা হয়ে থাকে সেটা যদি সুস্পষ্টভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ করা হয়, সেটা যদি ধর্মীয় স্পর্শকাতর হয় তবে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে প্রার্থীদের বলব এই কাজগুলো যেন না করা হয়। মানুষের যে ধর্মীয় অনুভূতি সেখানে আঘাত দিয়ে কোনো রকম প্রচারণা যেন পরিচালিত না হয়।’

    রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন ও আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান।

    রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম।

    ২১ জুন ইভিএমে রাসিক নির্বাচন হবে। নগরীর মোট ১৫২টি কেন্দ্রের এক হাজার ১৭৩টি কক্ষে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন। আর নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। এবার নতুন ভোটার রয়েছেন ৩০ হাজার ১৫৭ জন।

  • ব্যালট-ইভিএম নয়, ভোটে সব দলের অংশগ্রহণই বড় চ্যালেঞ্জ: সিইসি

    ব্যালট-ইভিএম নয়, ভোটে সব দলের অংশগ্রহণই বড় চ্যালেঞ্জ: সিইসি

    ব্যালট পেপার বা ইভিএমে ভোট করার চেয়েও ভোটে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    তিনি বলেছেন, ব্যালট বা ইভিএম যে কোনো পদ্ধতিতে শতভাগ সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। আর ব্যালট কিংবা ইভিএম নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জও নয়। বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ।

    বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করুক সেই প্রয়াস শেষ পর্যন্ত কমিশনের থাকবে। সব দল নির্বাচনে এলে নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।

    তিনি বলেন, ব্যালট পেপারে ভোট করার সিদ্ধান্ত কোনো চাপে নয়। এটি কমিশনের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। ব্যালটের চেয়ে ইভিএম বেশি নিরাপদ। ইভিএমে কারচুপি বন্ধ করা সহজ।

    তিনি আরও বলেন, আগাম নির্বাচন হবে না। রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। আগাম ভোটের প্রশ্নই আসে না।

    তিনি বলেন, বড় দলগুলো নির্বাচনে একেবারেই অংশগ্রহণ করলো না। তখন নির্বাচনের লিগ্যালিটি নিয়ে কোনো সংকট হবে, লেজিটিমেসি শূন্যের কোঠায় চলে যেতে পারে। লিগ্যালিটি ও লেজিটিমেসির পার্থক্য বুঝতে হবে। লিগ্যালি নির্বাচন শুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু লেজিটিমেট হয়তো হবে না।

  • বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই: ইসি

    বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার সঙ্গে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই: ইসি

    সংলাপ নয়, অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের জন্য বিএনপিকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    তিনি বলেন, বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার পেছনে সরকারের কোনও কূটকৌশল নেই। বরং এটা ইসির কূটকৌশল হতে পারে।

    মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।

    সিইসি বলেন, আমরা একটি অনানুষ্ঠানিক পত্র দিয়ে বিএনপি মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম; আনুষ্ঠানিক নয়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আপনারা অংশগ্রহণ করতে পারেন—এভাবে একটি চিঠি দিয়েছিলাম।

    কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা গণমাধ্যমে দেখলাম অনেকে লিখেছেন, বিএনপিকে চিঠি দেওয়া সরকারের কূটকৌশল। তবে আমি বলছি, বিএনপিকে চিঠি দেওয়ার পেছনে সরকারের কোনও কূটকৌশল নেই। বরং এটা ইসির কূটকৌশল হতে পারে। এখানে সরকারের কোনও রকম সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকারের আজ্ঞাবহ কোনো কাজ নির্বাচন কমিশন করে না বলেও জানান তিনি।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বিএনপির মতো একটি দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে ভালো হয়, সেজন্যই ডেকেছি অনানুষ্ঠানিকভাবে ডেকেছি। কোনো আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর চাপে বিএনপিকে ডাকা হয়নি। সব নির্বাচন কমিশনার বসেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গাইবান্ধা ভোট বন্ধের ইস্যুতে ১৩৪ জনের মধ্যে ৪০ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবারও পদক্ষেপ নিবে ইসি।

  • ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিবেচনা করা হবে: সিইসি

    ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিবেচনা করা হবে: সিইসি

    ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে কমিশনের প্রশিক্ষণ ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ তাগিদ দেন।

    সিইসি বলেন, সম্পূর্ণ ইভিএমে ভোট নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ইভিএম এর বিষয়ে রাজনৈতিক দলের মতামত বিবেচনা করবে কমিশন। নির্বাচন নিয়ে সরকারের দেওয়া বক্তব্যে কোনো চাপে পড়ছে না কমিশন। এছাড়া কাউকে ভোটের মাঠে আনা কমিশনের কাজ নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানই কমিশনের মূল দায়িত্ব বলে জানান তিনি।

    তিনি বলেন, ঠিকঠাক ভোটার তালিকা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। ধৈর্য ও সততার সঙ্গে নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে।

    সিইসি বলেন, জাতীয় নির্বাচনসহ সব ধরনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিক নির্বাচন কমিশন। আগামী কুমিল্লা সিটিসহ স্থানীয় নির্বাচনগুলো যাতে সুষ্ঠু হয় তার জন্য কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

    ভোটার তালিকা হালনাগাদের কর্মীদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, আগামী ২০ মে থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হচ্ছে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পূর্বশর্ত স্বচ্ছ ভোটার তালিকা। সে জন্য আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোনো ভোটার যাতে বাদ না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেন তিনি।

    তিনি বলেন, এবার হালনাগাদ কার্যক্রম মোট চার ধাপে শেষ করা হবে। প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় ২০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ সময়ে নির্বাচন কমিশনের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করবেন।

    ভোটের মাঠে কেনো মানুষ যায় না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো না। আমাদের দায়িত্ব ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা। আমাদের কর্মীরা ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে মাঠে যাবে। আপনি যেই প্রশ্নটা করেছেন, সেই প্রশ্নের কোনো মন্তব্যই আমি করবো না।

    ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যে যে আলোচনা হচ্ছে সেটি নিয়ে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সেটি নিয়ে পত্রিকায় আসছে এবং আমাদের বক্তব্যগুলো আপনাদের জানানো হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব আমাদের। হয়তো আপনারা বলতে পারেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি বক্তব্য দিয়েছেন এবং বিভিন্নজন থেকে বক্তব্য আসতে পারে। এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নাকি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেছেন বিষয়টি এখনো স্পষ্ট না। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলা, বিএনপির প্রধান বলা, জাসদের আব্দুর রব বলা এগুলো ভিন্ন জিনিস।

    আর সব থেকে বড় কথা যেটি স্পষ্ট করে বলতে চাচ্ছি, অনেকে ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন, সদিচ্ছা ব্যক্ত করতে পারেন আর ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে আমরা এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। ইতোমধ্যে আমরা নিজেরা অনেকগুলো সভা করেছি, আগামীতে আরও সভা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত হবে আমাদের। ভোট স্বাধীনভাবে আমরা পরিচালনা করবো যতদূর সম্ভব। এটা আমাদের এখতিয়ারভুক্ত, পদ্ধতিও আামাদের এখতিয়ারভুক্ত।

    সাংবাদিকদের এক আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত আমাদের ওপরেই থাকবে। মতামত আমরা বিবেচনায় নিতে পাারি। আপনিও মতামত দিতে পারেন, রাস্তায় কেউ মতামত দিতে পারেন, রাজনৈতিক দলগুলো মতামত দিতে পারবেন। আল্টিমেটলি আমরা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো ভোট কোন পদ্ধতি ও কেমন হবে। সেটি আমাদের বিষয়। এই বিষয়ে আমরা স্বাধীন।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব আসনে ইভিএমে ভোট করার মত এখন আমাদের সামর্থ নেই। ৩০০ আসনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা এখনো নেইনি। ভোট ব্যালটে হবে না ইভিএমে, কতটি আসনে ইভিএমে হবে, এই বিষয়ে কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটি পর্যালোচনাধীন রয়েছে।

    এরআগে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের শুদ্ধ ও সিদ্ধভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে সিইসি বলেন, শুদ্ধ ও সঠিক ভোটার তালিকা ছাড়া প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন সম্ভব নয়।

    ইসি জানায়, এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে দুই বছরের অগ্রিম তথ্যসহ মোট তিন বছরের তথ্য নেওয়া হবে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার পূর্বে অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যে সব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ কার্যক্রমে ১ জানুয়ারি ২০০৫ বা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ২ জানুয়ারি ২০২৩, ১ জানুয়ারি-২০০৬ বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের ২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে এবং ১-১-২০০৭ বা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে নিবন্ধিত ভোটার হিসেবে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

    হালনাগাদে সম্ভাব্য ভোটার বৃদ্ধির হার ৭.৫০ শতাংশ। এছাড়া এর আগে বিভিন্ন কারণে যারা ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি তাদের

    হালনাগাদে ভোটার করা হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে মৃত ভোটরের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এসময় ভোটার স্থানান্তরের আবেদনও করা যাবে। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য যে সব ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে এরমধ্যে রয়েছে- ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পিতা/মাতার এনআইডির ফটোকপি, ইউটিলিটি বিলের কপি। এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে প্রায় ৫৬ হাজার তথ্যসংগ্রহকারী এবং ১১ হাজার ৩০০ সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের দিনব্যাপী হাতে কলমে নিবিড়ি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

    হালনাগাদ কার্যক্রমর প্রত্যেক ধাপে ৩ সপ্তাহ সময় দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একাজে নিয়োজিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/শিক্ষিকারা পাঠদানের পাশাপাশি যেন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একজন তথ্যসংগ্রহকারী গড়ে ১৮০ জন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করবেন। তথ্য সংগ্রহের পরপরই ধাপে ধাপে নিবন্ধন কেন্দ্রে ভোটারদের নিবন্ধন করা হবে। আগের মতো উপজেলা, থানা পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌর এলাকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করে ভোটারদের ছবি, দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ গ্রহণ করে ভোটার নিবন্ধন করা হবে। এ সময় ভোটারদের মূল তথ্যের প্রিন্ট কপি দেওয়া হবে।

    রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে না পারে সে জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩২টি বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ কমিটির মাধ্যমে নিবন্ধন যাচাই-বাছাই করা হবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক সম্বলিত ডাটাবেজও ব্যবহার করা হবে।

    ইসি আরও জানায়, ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে, তাদের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ প্রথমবারের মতো ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ১ জানুয়ারি তারিখে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে, তাদের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ ২৬ বার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে তাদের অন্তভুক্তিসহ ৩য় বার এবং ২০১৮ সালে ১ জানুয়ারি তারিখে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে , তাদের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ ৪র্থ বার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছিল।

    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ কার্যক্রম হিসেবে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যাদের জন্ম অথবা ভোটার তালিকায় হালনাগাদের বিগত কার্যক্রমে বাদ পড়েছেন, তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ৫ম বার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছিল।

    সবশেষ ২০১৯ সালে ৬ষ্ঠ বা মাঠ পর্যায়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করা হয়, যাতে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যে সব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে অথচ ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিগত কার্যক্রমে বাদ পড়েছিল তাদের তথ্য নিয়ে।

  • চসিক নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি: সিইসি

    চসিক নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি: সিইসি

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।

    রবিবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

    সিইসি বলেন, চসিক নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে। বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে। পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট সংশ্লিষ্ট কাজে যারা নিয়োজিত থাকবেন তাদের সকল প্রার্থীর প্রতি সমান নজর রাখতে হবে। যাতে এটি নিয়ে কোনো প্রশ্ন না উঠে।

    ইভিএম নিয়ে কেএম নুরুল হুদা বলেন, যেখানে ইভিএম থাকবে সেখানে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। ভেতরে ঢুকে একজনের ভোট আরেকজনের দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। ধীরে ধীরে মানুষ এই পদ্ধতি গ্রহণ করছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সব নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছি আমরা।

    বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এ রকম কোন ঘটনার সত্যতা আমরা পায়নি।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

  • সিইসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকে ১০ আইনজীবীর অভিযোগ

    সিইসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকে ১০ আইনজীবীর অভিযোগ

    প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) ইসির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী।

    বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী অভিযোগ দাখিল করেন। শিশির মনির বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ব্যতীত ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচসহ সরকারি অর্থের ক্ষতি করা হয়েছে।

  • বোয়ালখালীতে প্রধানমন্ত্রী ও সিইসি’র ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করায় যুবক আটক

    বোয়ালখালীতে প্রধানমন্ত্রী ও সিইসি’র ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করায় যুবক আটক

    বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার ছবি বিকৃত করে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করায় বেলাল হোসেন(৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছে বোয়ালখালী থানা পুলিশ।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে বেলাল হোসেনকে আটক করে থানা পুলিশ।

    আটককৃত বেলাল হোসেন উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডী চরখিজিপুর গ্রামের মৃত আলতাজ মিয়া ছেলে।

    বোয়ালখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, ফেসবুকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ছবি বিকৃত করে পোস্ট করায় বেলাল নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

  • ইভিএমে সিইসি’র আঙুলের ছাপ মিলেনি

    ইভিএমে সিইসি’র আঙুলের ছাপ মিলেনি

    রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের আইএএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তবে এসময় ইভিএমে ফিংগার প্রিন্ট মেলেনি তার। পরে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তিনি ভোট দেন।

    জানা গেছে, শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দলে আইএএস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিতে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এসময় ভোটকেন্দ্রের দোতলায় অবস্থিত ৮ নম্বর ভোট কেন্দ্রে ভোট দেয়ার সময় ইভিএমে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি স্ক্যান করা হলে তা মেলেনি। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই ভোট দেন তিনি।

    সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সিদ্দিকা বুলবুল এ বিষয়ে বলেন, ‘সিইসির প্রথম দুটি বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তা ম্যাচিং করেনি। পরে আমরা আর চেষ্টা করিনি। তাড়াহুড়োর কারণে এবং ভোটার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আমরা তার এনআইডি নম্বর দিয়ে ভোট নিয়েছি।’

    ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলার বিষয়ে সাংবাদিকদের সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ভোট দেয়ার তিন-চারটি উপায় আছে। যান্ত্রিক ত্রুটি হলে যে কেউ অন্য উপায়েও ভোট দিতে পারবেন।