Tag: সিএমপি

  • সিএমপিতে ৭৭৪ জনের ‘সিটিজেনস্ ফোরাম’

    সিএমপিতে ৭৭৪ জনের ‘সিটিজেনস্ ফোরাম’

    সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে নাগরিক সমস্যা সমাধানে গত সরকারের আমলে ছিল ‘কমিউনিটি পুলিশিং’। তবে তখন এটি নানা বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে। সরকার পতনের পরপরই চট্টগ্রামে বিলুপ্ত করা হয় ‘কমিউনিটি পুলিশিং’-এর সকল স্তরের কমিটি। এই উদ্যোগকে ঢেলে সাজাতে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এরইমধ্যে চট্টগ্রাম নগরে ‘কমিউনিটি পুলিশিং’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘সিটিজেনস্ ফোরাম’ নামে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা কাজ করবে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মাঝে ‘সেতুবন্ধন’ হিসেবে।

    চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, নগরের মোট ১৬ থানার প্রতিটিতেই এই কমিটি কাজ করবে। এসব কমিটির সদস্যদের সাথে সমন্বয় করতে মহানগরীর অধীনেও থাকবে একটি কমিটি। আর পুরো নগরজুড়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ও অপরাধ কমাতে এই কমিটির মোট ৭৭৪ জন সদস্য কাজ করবে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, নৈশটহল, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, অপরাধদমনে তথ্য দেওয়া—এমন নানা কাজ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে করবেন এই সদস্যরা।

    সংস্থাটির সদর দপ্তরের তথ্যমতে, গত ৫ আগস্টের পর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের বদলে নতুন করে প্রতিটি থানায় নাগরিক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নামে আত্মপ্রকাশ করায় থানাভিত্তিক ‘নাগরিক কমিটি’র বদলে ‘সিটিজেন ফোরাম’ নামে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    ‘সিটিজেনস্ ফোরাম’-এর কাজ কি?

    জানা গেছে, মূলত ২০১৩ সালে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) অপারেশনের অধীনে স্বল্প পরিসরে শুরু করেছিল কমিউনিটি পুলিশিং। ২০১৪ সালে একজন সহকারী মহাপরিদর্শকের (এআইজি) তত্ত্বাবধানে পাবলিক সেফটি অ্যান্ড প্রিভেনশন (পিএস অ্যান্ড সিপি) শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর কমিউনিটি পুলিশিংকে ‘বিট পুলিশিং’ নাম দেওয়া হয়েছিল। আর সেই ‘কমিউনিটি পুলিশিং’ এর নতুন রুপই হচ্ছে ‘সিটিজেনস্ ফোরাম’।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজের মতে—‘কমিউনিটি পুলিশিং’ এর চেয়েও ‘সিটিজেনস্ ফোরাম’ এর কাজের ব্যপ্তি বেশি। প্রান্তিক পর্যায়ের কমিউনিটি থেকে নানা বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সেই আগাম তথ্যের ভিত্তিতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়াই এই ফোরামের কাজ।

    নগর পুলিশের এই অভিভাবক বলেন, ‘সিটিজেনস্ ফোরাম কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আরেকটি রুপ। এর কাজের ব্যপ্তি আরেকটু বড় পরিসরে হবে। কমিউনিটি পুলিশ থেকে এর কাজ একটু বেশি হবে। কমিউনিটি থেকে নানারকম খোঁজ-খবর এবং আগাম তথ্য পাওয়া যায়। এসমস্ত ক্ষেত্রে আগাম ব্যবস্থাও নেওয়া যায়। এই যে কমিউনিটি পুলিশের নতুন করে নাম বলেছি সিটিজেনস্ ফোরাম।’

    তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটি থানাতেই এই ফোরামের সদস্যদের বসার এবং মিটিং করার ব্যবস্থা থাকবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে মিলেমিশে তারা এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি এবং চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে কি কি করা যায়—সে ব্যাপারে হেডকোয়ার্টার্সে চাহিদা জানাবে।’

    সিএমপি কমিশনার জানান, সমাজের প্রান্তিক অংশ যেমন—প্রতিবন্ধী, বয়স্ক মানুষ, দুস্থ নারী, যারা গরীব মানুষ কোথাও সেবা দাবি করতে পারে না এই ফোরামের সদস্যরা তাদের কথাগুলো থানা পুলিশকে অবহিত করবেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এছাড়াও সদস্যরা যদি নিজেরা যদি নৈশটহল, ট্রাফিকিংয়ে কাজ করাসহ ভলিন্টিয়ারিং এর ব্যবস্থা করতে চান, করতে পারবেন।

    নগর পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত সমাজের সব স্তরের জণমানুষকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করবে এই ফোরাম। এরমধ্যে সর্বস্তরের মানুষ পুলিশের কাজে সহযোগিতা, অপরাধবিরোধী সচেতনতা তৈরি, বাল্যবিবাহ রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, মাদকের কুফল, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধসহ সামাজিক মূল্যবোধ বাড়াতে কাজ করবেন তারা।

    কারা আছেন কমিটিতে?

    পুলিশ বলছে, নগরের ১৬ থানার প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মসজিদ ও মাদ্রাসার ইমাম, এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সামাজিক সংগঠক, সাংবাদিক এবং আইনজীবীদের নিয়ে এই ‘সিটিজেনস্ ফোরাম’ গঠন করা হয়েছে। গত সরকারের আমলের ‘কমিউনিটি পুলিশিং’-এর মতো বিতর্ক এড়াতে এবার কয়েক ধাপে ভেরিফিকেশন করে সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেটি বলছেন খোদ সিএমপি কমিশনারও।

    নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক সিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব ফোরাম কিংবা কমিউনিটিতে সমাজের বিভিন্ন অংশীদারদের অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। আবার তারা যেন সমাজের স্বচ্ছ ব্যক্তি হয় সেদিকেও নজর রাখা উচিত। কিন্তু গত সরকারের আমলে বিভিন্ন চোর-বাটপার কিংবা সন্ত্রাসীকে কমিউনিটি পুলিশিং এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এবার সিটিজেনস্ ফোরাম-এ যাচাই-বাছাই করে ক্লিন ইমেজের লোকদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে।’

    সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ‘সিটিজেনস্ ফোরাম’-এর চট্টগ্রাম মহানগরে ৮৬ সদস্য, কোতোয়ালী থানার ৪৫, সদরঘাট থানার ৫০, চকবাজার থানার ৫০, বাকলিয়া থানার ৪১, খুলশী থানার ৫৩, বায়েজিদ থানার ৫১, পাঁচলাইশ থানার ৪২, চান্দগাঁও থানার ৩৫, পাহাড়তলী থানার ৩৬, আকবরশাহ্ থানার ৪৫, হালিশহর থানার ৫৮, ডডবলমুরিং থানার ৪৯, বন্দর থানার ৩৭, ইপিজেড থানার ৩৬, পতেঙ্গা থানার ২৯ ও কর্ণফুলী থানার ৩১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে হাসিব আজিজ বলেছেন, ‘এটা সিটিজেনস্ ফোরাম। নামটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এটা কিন্তু কোনো পলিটিক্যাল অর্গানাইজেশন না, এটা অরাজনৈতিক। আমরা চেষ্টা করেছি এখানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সিভিল সোসাইটি, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার, ধর্মের মানুষকে একত্র করে এই কমিটি গঠন করেছি। যেন এই কমিটির মধ্যে দিয়ে জন-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটে।’

    চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সদর দপ্তরে ‘সিটিজেনস্ ফোরাম’-এর উদ্বোধন ঘোষণা পূর্ববর্তী দেওয়া বক্তব্যে কমিশনার হাসিব আজিজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যতটা সম্ভব একটা অরাজনৈতিক চেহারা এই কমিউনিটিতে থাকার কথা। মনে রাখবেন, এই সিটিজেনস্ কমিটি তৈরি করতে আমরা আইনগতভাবে বাধ্য না। কিন্তু আমাদের পুলিশের সদিচ্ছা থেকে এটি গঠন করেছি। অপ্রীতিকর ঘটনা হলে এই কমিটি আমি ভেঙে দিতে বাধ্য হবো। আমাদের প্রত্যেককে ধৈর্য এবং সংযম বজায় রাখতে হবে। কারো আপত্তি থাকলে তা হৈ হৈ করে বলার বিষয় নয়। এটি রাজনৈতিক পার্টি নয়।’

    ‘সিটিজেনস্ ফোরাম’ কতটা কার্যকর

    স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি—কমিউনিটি পুলিশিং এর মতো এই নতুন উদ্যোগে যেন বিতর্কিতরা ঠাঁই না পায়। তারা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় কর্মীরা অপকর্ম ‘হালাল’ করতে এসব কমিটিতে স্থান করে নেয়। আর পুলিশের সাথে সুসম্পর্ক করে প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এসব বিষয়েও পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের সজাগ দৃষ্টি থাকতে হবে।

    নগরের ইপিজেড এলাকার ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন শুভ বলেন, ‘শুধু কমিটি করলেই হবে না। আমাদের যেন এই কমিটির মাধ্যমে উপকার হয়—সেই ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে। এর আগেও আমরা দেখেছি চাঁদাবাজদেরই চাঁদাবাজি নির্মুল করতে কমিটিতে রাখা হয়েছিল। এটা শিয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দেওয়ার মতো। নতুন বাংলাদেশে নতুন পুলিশিং চাই আমরা। যেন আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে।’

    নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘কমিশনার স্যারের নির্দেশ অনুযায়ী কয়েক দফা ভেরিফেকেশনের মাধ্যমে কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারা স্বচ্ছ এবং ক্লিন ইমেজের। আশা করি জনগণ এবং পুলিশের মাঝে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে সিটিজেনস্ ফোরাম-এর কমিটি।’

    একটি জরিপের হিসেবে, আইনি সহায়তার জন্য থানায় যায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ। বাকিরা অর্থাৎ সেবাপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পুলিশের সংস্পর্শে আসেন না। আর এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে পুলিশি সেবা দিতেই এই ফোরাম গঠন হয়েছে। যেকোনো দরকারে কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে পুলিশি সহায়তা পাওয়াই এই ফোরাম গঠনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

    সচেতন সমাজের মতে, ভালো কাজের মাধ্যমে যদি এই উদ্যোগ সফল হয় তবে সমাজে অপরাধের প্রবণতা অনেকাংশেই কমে যাবে। সুস্থ-সুন্দর সমাজ গড়তে এই উদ্যোগের বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তারা।

  • স্ত্রীকে পাঁচটি জাহাজ কিনে দিয়েছেন এডিসি কামরুল

    স্ত্রীকে পাঁচটি জাহাজ কিনে দিয়েছেন এডিসি কামরুল

    ১৯৮৯ সালে পুলিশের এসআই পদে নিয়োগের পর চাকরির ধারাবাহিকতায় বর্তমানে সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কামরুল হাসান। এর মধ্যে তিনি গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়িসহ তার ভাণ্ডারে যেন সবই আছে। শুধু নিজের নয়, স্ত্রীর নামেও গড়েছেন অঢেল সম্পদ।

    দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে কিছু অবৈধ সম্পদের তথ্য। সেখানে স্ত্রী সায়রা বেগমকে পাঁচটি জাহাজ (বার্জ) কিনে দেওয়ার তথ্য মিলেছে। সম্প্রতি এসব সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, সায়মা বেগমের নামে থাকা পাঁচ জাহাজের মধ্যে আছে– এমভি প্যাসিফিক রাইডার, এমভি পানামা ফরেস্ট-১, এমভি রাইসা তারাননুম, বার্জ আল বাইয়েত। এ পাঁচটি জাহাজের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের মালিক সায়মা বেগম। এসব জাহাজে কাগজে-কলমে বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে এক কোটি ৫১ লাখ ৩১ হাজার ৩৮০ টাকা। অথচ বাস্তবে এ বিনিয়োগ তিন থেকে চার গুণ বেশি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

    এসব জাহাজ পরিচালনা করছে ‘সওদাগর নেভিগেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকও সায়মা। নগরীর আগ্রাবাদের পোর্টল্যান্ড সাত্তার টাওয়ারের চতুর্থ তলায় রয়েছে সওদাগর নেভিগেশনের অফিস।

    এদিকে, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে কামরুল হাসানের নামে ১২ কোটি ৭২ লাখ ৯২ হাজার ২১৬ টাকার স্থাবর এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ২১৬ টাকার অস্থাবর সম্পত্তিসহ মোট ১৩ কোটি ৯৬ লাখ ৩১ হাজার ৯১১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

    জানা গেছে, পুলিশে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেয়ে চট্টগ্রামের ৮টি থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্বপালন করেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা কামরুল হাসান। মূলত ওই সময়েই বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।

    সূত্রের তথ্যমতে, দৃশ্যত কোনো আয় না থাকলেও কামরুল হাসানের স্ত্রী সায়মা বেগমের ২ কোটি ৫৩ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সায়মা বেগমের আছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার স্থাবর ও ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ।

    দুদক সূত্রে জানা যায়, কামরুল হাসানের চট্টগ্রাম নগরের সবচেয়ে অভিজাত খুলশী আবাসিক এলাকায় ‘ফয়জুন ভিস্তা’ অ্যাপার্টমেন্টের অষ্টমতলায় সি-৭ নামে ২ হাজার ৫৭০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট ও ১৩৬ বর্গফুটের গাড়ি পার্কিং রয়েছে। সোয়া সাত লাখ টাকায় ফ্ল্যাট ও মাত্র ২৫ হাজার টাকায় পার্কিং স্পেস কিনেছেন আয়কর নথিতে দাবি করলেও খুলশীতে আড়াই হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজারমূল্য তিন কোটি টাকার বেশি।

    চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম নাসিরাবাদে সাত শতক জমির উপর চারতলাবিশিষ্ট বাড়ি করেছেন কামরুল হাসান। জমিসহ এই ভবন নির্মাণে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা খরচ দেখালেও নাসিরাবাদ এলাকায় এক শতক ভূমিই এক কোটি টাকার বেশি মূল্যে কেনাবেচা হচ্ছে। সেই হিসাবে ভূমি ও ভবনের বাজারমূল্য কমপক্ষে ৮ কোটি টাকা।

    ঢাকার সাভারে ১০৭ শতক জায়গার উপর সাভার সিটি সেন্টার নামে ১২ তলা ভবনের চারজন অংশীদারের একজন এডিসি কামরুল। সেখানে তিনি কাগজ-কলমে সাত কোটি ৫২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এ ভবনের বেজমেন্টে ৯০টি, প্রথমতলায় ১৪০টি, দ্বিতীয় তলায় ১৪৬টি, তৃতীয়তলায় ৮৯টি ও চতুর্থ তলায় ১০৩টি দোকান এবং ৫ হাজার বর্গফুটের ফুডকোর্ট, পঞ্চম তলায় অফিস ও ষষ্ঠতলায় ৬৭টি ফ্ল্যাট রয়েছে। বাজারমূল্যে এ সম্পদের মূল্য শতকোটি টাকারও বেশি।

    এদিকে সাভার সিটি টাওয়ার নামে একটি ১০ তলা আবাসিক ভবনেরও অংশীদার কামরুল। সেখানে ৫৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম নগরের উত্তর হালিশহর, নাসিরাবাদ, চান্দগাঁও এলাকা শতাধিক ফ্ল্যাট ও দোকান রয়েছে কামরুলের। চট্টগ্রাম ও ঢাকার সাভারে ১৫৪ শতক জমি ও দুটি বাড়ি রয়েছে তার। পাশাপাশি কামরুলের ব্যাংকে ১ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার বন্ড ও এফডিআর থাকার তথ্য উঠে এসেছে দুদকের অনুসন্ধানে।

  • নির্বাচনের দিন ‘বিশেষ নিরাপত্তা’ দিবে সিএমপি

    নির্বাচনের দিন ‘বিশেষ নিরাপত্তা’ দিবে সিএমপি

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ৭ জানুয়ারি নগরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

    বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে নির্বাচনের নিরাপত্তা মহড়া পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

    কৃষ্ণপদ রায় বলেন, নির্বাচনে পুলিশের পক্ষ থেকে যে নিরাপত্তা কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা ছিল তা অব্যাহত আছে। আমাদের পেট্রল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তবে নির্বাচনের দিন বিশেষ একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

    তিনি বলেন, আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, এটি নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণের একটি কেন্দ্র। এ কেন্দ্র ঘিরে কেউ যাতে কোনো নাশকতা করতে না পারে সেজন্য আমরা ম্যানুয়ালি কাজ করেছি। আজ প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াডের ‘কে-৯’ ইউনিটকে কাজে লাগিয়েছি। তারা বিভিন্ন জায়গা অনুসন্ধান করে দেখেছে।

    এসময় সিএমপি কমিশনার দাবি করেন, সিএমপির স্পেশাল ডগ স্কোয়াড নানা ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত করতে সক্ষম। পরিস্থিতির প্রয়োজনে যদি কোনো এলাকায় অপারেশন প্রয়োজন হয় এবং সে এলাকায় যদি এমন কোনো বস্তুর নমুনা থাকে, তাহলে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড তা শনাক্ত করতে পারবে।

    এর আগে ডগ স্কোয়াড ‘কে-৯’ নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ কেন্দ্র এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের আশপাশে তল্লাশি অভিযানের মহড়ায় অংশগ্রহণ করে।

  • সিএমপির ডগ স্কোয়াডের যাত্রা শুরু

    সিএমপির ডগ স্কোয়াডের যাত্রা শুরু

    বিস্ফোরক ও মাদক শনাক্ত করতে সক্ষম প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে ডগ স্কোয়াডের যাত্রা শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি)। সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের তত্ত্বাবধানে নয়টি কুকুরকে রাখা হয়েছে মনছুরাবাদে নগর পুলিশ লাইনে নব নির্মিত ভবনটিতে। নেদারল্যান্ডস থেকে আনা এই কুকুরগুলোর মধ্যে চারটি বিস্ফোরক ও পাঁচটি মাদক শনাক্তে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

    রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্কোয়াডের উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

    সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এই ডগ স্কোয়াড মূলত মাদকদ্রব্য, অস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারে কাজ করবে। সিএমপিতে ডগ স্কোয়াড সংযোজনের মাধ্যমে অপরাধ দমনের সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেল।
    সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সিএমপি কে-নাইন ইউনিটে বিভিন্ন পদমর্যাদার ১৮ পুলিশ সদস্য যুক্ত করা হয়েছে। এই ইউনিটের প্রধান হিসেবে থাকবেন কাউন্টার টেররিজম বিভাগের এক সহকারী কমিশনার।

    গত বছর নেদারল্যান্ডস থেকে কুকুরের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার ওপর ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ নেন সিএমপির আট সদস্য।

    সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘প্রশিক্ষিত কুকুরগুলো নেদারল্যান্ডস থেকে আনা হয়েছে। এগুলো এত দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে যুক্ত ছিল। গত ২০ ডিসেম্বর নয়টি কুকুর সিএমপিতে পাঠানো হয়।’

    জানা গেছে, ২০১৪ সালে সিএমপির সাবেক কমিশনার আব্দুল জলিল মন্ডলের সময়ে ডগ স্কোয়াড গঠনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। এরপর ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর পুলিশ সদরদপ্তরে সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামীমুর রহমানের সই করা চিঠিতে আটটি কারণে ডগ স্কোয়াড গঠনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ছিল—চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিস্ফোরক শনাক্ত করা, তারকাবিশিষ্ট হোটেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্টেডিয়াম, আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

  • প্রকাশ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নয়, মানতে হবে সিএমপির ১৩ নির্দেশনা

    প্রকাশ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নয়, মানতে হবে সিএমপির ১৩ নির্দেশনা

    ইংরেজি নববর্ষ শুরুর প্রাক্কালে থার্টি ফার্স্ট নাইটে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রকাশ্যে অনুষ্ঠান, হৈ হুল্লোড় করে পটকা, আতশবাজি ফুটিয়ে ও ফানুস উড়িয়ে উৎসব করা যাবে না বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এজন্য সিএমপির পক্ষ থেকে নগরবাসীর প্রতি ১৩ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

    নিদের্শনাসমূহ হলো:

    ১. রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্য স্থানে কোন ধরনের জমায়েত/সমাবেশ/উৎসব না করা।

    ২. উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে কোন ধরনের অনুষ্ঠান, সমাবেশ বা নাচ-গান অথবা অন্যকোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করা।

    ৩. কোথাও কোন ধরনের আতশবাজি/পটকা না ফোটানো এবং ফানুস না উড়ানো।

    ৪. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সি-বিচ ও পারকি বিচ এলাকায় অবস্থান না করা।

    ৫. ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লাইসেন্সকৃত সকল বার ও মদের দোকান বন্ধ রাখা।

    ৬. উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ন না বাজানো কিংবা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক না চালানো।

    ৭. আনন্দ উদযাপনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রত্যাশিত এবং গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখা।

    ৮. মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকা। মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ৯. সকল অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা এবং নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা।

    ১০. নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড হতে বিরত থাকা।

    ১১. অশোভন আচরণ এবং বে-আইনি কার্যকলাপ হতে বিরত থাকা।

    ১২. হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোন স্পেস বা কক্ষ ভাড়া না দেওয়া।

    ১৩. জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এমন যে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ড পরিহার করা।

    ট্রাফিক নির্দেশনা:

    উচ্চস্বরে হর্ন না বাজানোসহ বেপরোয়া গতিতে যানবাহন না চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

    এছাড়াও যে কোন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ/দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তৎক্ষণাৎ সিএমপির পুলিশ কন্ট্রোল রুম অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

    সিএমপি কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর: ০৩১-৬৩৯০২২, ০৩১-৬৩০৩৫২, ০৩১-৬৩০৩৭৫, ০১৬৭৬-১২৩৪৫৬, ০১৩২০-০৫৭৯৯৮

  • বিজয় দিবস উপলক্ষে সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের নিদের্শনা

    বিজয় দিবস উপলক্ষে সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের নিদের্শনা

    আগামী ১৬ ডিসেম্বর শনিবার মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের জন্য সরকারীভাবে নগরীর চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে স্থাপিত স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠান সুশৃঙ্খল ও সুন্দরভাবে উদযাপনের লক্ষ্যেচট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ কর্তৃক বিশেষ ট্রাফিক পুলিশী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রণীত কতিপয় দেয়া হয়েছে।

    আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন কর্তৃক গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনাসমূহ জারী করা হয়।

    নির্দেশনাগুলোঅনুসরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

    নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-আগামী ১৬ ডিসেম্বর শনিবার ভোর ৫টা থেকে নগরীর তিনপুল থেকে আমতল, আমতল থেকে নিউ মার্কেট ও নিউ মার্কেট থেকে আমতল রোডে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তিনপুল মোড় থেকে শিক্ষা অফিস (রাইফেল ক্লাব) হয়ে আমতল পর্যন্ত একমুখী চলাচল বজায় থাকবে। নিউমার্কেট, আমতল ও তিনপুল মোড়ে রোড ব্লক স্থাপন করে যানবাহনসমূহ ডাইভারশন দেয়া হবে। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ ডিসি হিল-বোস ব্রাদার্স (পুলিশ প্লাজা) হয়ে এসে রাইফেল ক্লাব ও আমতল মোড় ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহার করবেন এবং পরবর্তীতে প্রধান পার্কিং স্থান হিসেবে রাইফেল ক্লাব মাঠে গাড়ি পার্কিং করবেন। এছাড়াও অন্যদিক থেকে আগত গাড়িসমূহ নিজ নিজ সুবিধা অনুযায়ী নিউমার্কেট ও তিনপুল মোড়ড্রপিং জোন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন এবং সংযুক্ত রুট ম্যাপে প্রদর্শিত পার্কিং স্থানে গাড়ি পার্ক করবেন। অনুষ্ঠানস্থলে আসা সকল গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও সরকারী কর্মকর্তাগণ আমতল থেকে পায়ে হেঁটে স্মৃতিসৌধে (চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে) এসে পুষ্পস্তবক অর্পণপূর্বক পুনঃরায় আমতল মোড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে জুবলী রোড হয়ে প্রত্যাবর্তন করবেন।

    অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ প্রত্যাবর্তনকালে স্ব-স্ব গাড়ির পার্কিংস্থলে গিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত সুবিধাজনক সড়ক ব্যবহার করবেন।

    মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপনের জন্য সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ নগরবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • সিএমপি’র ট্রাফিক দক্ষিণের অভিযানে ৩৪টি গ্রাম সিএনজি ও ব্যাটারী রিক্সা আটক

    সিএমপি’র ট্রাফিক দক্ষিণের অভিযানে ৩৪টি গ্রাম সিএনজি ও ব্যাটারী রিক্সা আটক

    সড়কে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা আনায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উদ্যোগে আজ ৭ মে রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রীজ এলাকা, আন্দরকিল্লা, চকবাজার, টাইগারপাস ও আশপাশের মূল সড়কে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় সড়কে অবৈধভাবে চলাচলরত মোট ৩৪টি গ্রাম সিএনজি অটোরিক্সা ও ব্যাপারী রিক্সা আটক করা হয়েছে। তন্মধ্যে অবেধ গ্রাম সিএনজি অটোরিক্সা ২১টি ও ব্যাটারী চালিত রিক্সা ১৩টি।

    আটককৃত অবৈধ থ্রি-হুইলারগুলোর বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ পরিচালিত অভিযানে অংশ নেন টিআই (বাকলিয়া) মোঃ মনিরুজ্জামান, টিআই (আন্দরকিল্লা) মোঃ আবদুল মুকিত, টিআই (চকবাজার) বিপ্লব পাল, টিআই (টাইগারপাস) অপূর্ব পাল ও কর্তব্যরত সার্জেন্ট-কনস্টেবলগণ।

    সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমা জানান, সড়কে চলাচলকারী ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অবৈধ ব্যাটারী রিক্সা ও গ্রাম সিএনজি অটোরিক্সার বিরুদ্ধে সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচলে সিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের বিশেষ ব্যবস্থা

    ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচলে সিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের বিশেষ ব্যবস্থা

    আসন্ন পবিত্র ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিতকল্পে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

    ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে প্রেরিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি-ট্রাফিক) এন.এম নাসিরুদ্দিন।

    তিনি জানান, বাকলিয়া থানাধীন এলাকার হাইওয়ে কেন্দ্রিক যানজট নিরসনকল্পে ২৪ ঘন্টা ট্রাফিক পুলিশ নিয়োাজিত করা হয়েছে। উক্ত মহাসড়কে কোন যানবাহন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় পতিত হলে কিংবা হঠাৎ বিকল হলে তা দ্রুত অপসারণের জন্য নতুন ব্রিজ গোল চত্বরে ২৪ ঘন্টা পুলিশের রেকার স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। এছাড়াও পণ্যবাহী কোন ভারী যানবাহন বিকল হয়ে রাস্তা ব্যারিকেড তৈরি করলে তা অপসারণের জন্য বেসরকারি রেকার অনকলে যেকোনো সময়ে সার্ভিস দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাত্রীবাহী যানবাহন মেরামতের প্রয়োজনে বাকলিয়া এলাকার হাইওয়ের পাশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সার্ভিস সেন্টার/গ্যারেজ ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উল্লেখিত যে কোন প্রয়োজন ছাড়াও এম্বুলেন্স সার্ভিস, ফায়ার সার্ভিস কিংবা পুলিশি সেবার জন্য সিএমপি’র কন্ট্রোল রুমের নম্বর-০১৩২০০৫৭৯৯৮, ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের নম্বর-০১৩২০০৫৩০১৯ ও বাকলিয়া থানার নম্বর-০১৩২০০৫২৬২৬ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ঈদের দিন ভোরবেলা পর্যন্ত এ সেবা অব্যাহত থাকবে।

  • ঈদে যানজট নিরসনে সিএমপি’র ট্রাফিক দক্ষিণের ৭ নির্দেশনা

    ঈদে যানজট নিরসনে সিএমপি’র ট্রাফিক দক্ষিণের ৭ নির্দেশনা

    আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের যানজট নিরসন ও জনসাধারনের সুষ্ঠু যাতায়াত নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুুতি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের পক্ষ থেকে ৭টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    আজ ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে প্রেরিত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি-ট্রাফিক) এন.এম নাসিরুদ্দিন।

    নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-ঈদকে টার্গেট করে যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবেনা। ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতকল্পে সড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে হবে। লাইসেন্সবিহীন বা শিক্ষানবীশ ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালানো যাবেনা। অস্থায়ী বা মৌসুমি বাস কাউন্টার করে অযথা জনসাধারণের ভোগান্তি সৃষ্টি করা যাবেনা। ফিটনেসবিহীন, জরাজীর্ণ ও লক্করঝক্কর গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবেনা। সড়কে চলাচলকারী গাড়িতে অবশ্যই ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন করতে হবে। এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে চলাচল করতে দেয়া হবেনা।

  • রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীদের সাথে সিএমপি’র ট্রাফিক-উত্তরের মতবিনিময়

    রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীদের সাথে সিএমপি’র ট্রাফিক-উত্তরের মতবিনিময়

    আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মার্কেট-শপিংমল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের এক মতবিনিময় সভা আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে ট্রাফিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত সভায়সভাপতির বক্তব্যে পবিত্র রমজান মাসে শপিং মল ও মার্কেট কেন্দ্রিক যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে নেতৃবৃন্দের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসহ সময়োপযোগী দিক নির্দেশনা প্রদান করেন উপ-পুলিশ কমিশনার।

    মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ কাজী হুমায়ন রশীদ, সহকারী পুলিশ কমিশনার আসিফ মাহমুদ গালিব, টিআই (খুলশী) সালাউদ্দিন মামুন, টিআই (প্রবর্তক) বিপুল পাল ও নগরীর ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের অধীন বিভিন্ন শপিংমল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিগণ।

    আসন্ন পবিত্র রমজানে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সিএমপি’র ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জয়নুল আবেদীন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-মার্কেট কেন্দ্রিক যানজট নিরসনের জন্য রাস্তা ও মার্কেটের সামনে পার্কিং করা যাবেনা। মার্কেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবশ্যই বিকল্প পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা ও নিজস্ব পার্কিং প্লেস পূর্ণ হলে তা ডিসপ্লে করতে হবে। রাস্তার উপর কোন গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। পবিত্র রমজান মাসে ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনে সহায়তা করার জন্য মার্কেট কমিটি কর্তৃক পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী ও ভলান্টিয়ারদের জ্যাকেটসহ নির্দিষ্ট পোশাককের ব্যবস্থা করতে হবে। ট্রাাফিক বিভাগ কর্তৃক নির্দেশিত রোড ডাইভারসন ব্যবস্থাপনায় মার্কেট সমিতি কর্তৃক প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগের সাথে সমন্বয় ও যোগাযোগ করার জন্য মার্কেট কর্তৃপক্ষের ফোকাল প্রতিনিধি নির্ধারণ করতে হবে। যেসব মার্কেটের পার্কিং স্থান ব্যবহৃত হয় না সে সকল পার্কিং স্থান খুলে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং মার্কেটের সম্মুখ রাস্তা বা প্রবেশপথ নিজস্ব জনবল ধারা পরিষ্কার রাখাসহ আগত যানবাহনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।

  • সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ আমাদের কাম্য নয় : উপ-পুলিশ কমিশনার

    সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ আমাদের কাম্য নয় : উপ-পুলিশ কমিশনার

    চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যুবরণ বা পঙ্গুত্ববরণ তা কখনো আমাদের কাম্য নয়। নিরাপদ সড়ক উপহার দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, ওভার টেকিং, ওভার লোড, ওভার স্পিড ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানোর কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়ক পরিবহন আইন ও ট্রাফিক সাইন মেনে গাড়ী চালালে সড়কে দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। যাত্রী, চালক ও পথচারীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রেখে গাড়ি চালাতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো থেকে চালকদের বিরত থাকতে হবে।

    আজ রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর বাকলিয়াস্থ কর্ণফুলী নতুন ব্রীজ সংলগ্ন “রাজবাড়ি” কমিউনিটি সেন্টারে ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ আয়োজিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা ও সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, মাদক সেবন বা চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ী চালানো যাবেনা। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা-নামা, সড়ক দখল করে গাড়ি পাকিং, অযথা হর্ণ বাজানো, একটানা ছয় ঘন্টার বেশি সময় ধরে গাড়ি টালানো, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ও হেডফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ধর্মীয় স্থাপনা ও দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় সাবধানে গাড়ি চালাতে হবে। শহর এলাকায় হাইড্রোলিক হর্ণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যাত্রী, পথচারী, সড়কের অব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক নিয়মকানুন সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও সচেতনতাসহ আরও কিছু বিষয় দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। দুর্ঘটনা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সচেতনতার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব।

    উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন আরও বলেন, হাইওয়ের তুলনায় শহরে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কম হলেও পুলিশের একার পক্ষে যানজট নিরসন, সড়ক দূর্ঘটনা রোধ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আবার দুর্ঘটনার জন্য শুধু গাড়ির চালক-হেলপারদের দায়ী করলে হবেনা। যিনি গাড়ির মালিক তাকে এবং পথচারীদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার আগে ইঞ্জিন, ইঞ্জিন ওয়েল, ব্রেক, চাকা ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ঠিক আছে কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। নিজেরা সচেতন না হলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়।

    অন্যান্য বক্তারা বলেন, ছাত্র-ছাত্রী, রাস্তা ব্যবহারকারী, সড়কে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে কার্ আগে কে যাবে এ ধরনের মনোভাব পরিহার করতে হবে। গাড়ি-চালক-হেলপারসহ সকলে সচেতন হলে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসলে দুর্ঘটনা অনেকটা হ্রাস পাবে। যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তাদেরকে প্রশিক্ষণ শেষে লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে পথচারীদেরকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হবে।

    সিএমপি ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রইছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পরিবহন চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআই (বাকলিয়া) মোঃ মুকিত হাসান।

    অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রামের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, দক্ষিনাঞ্চল মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোঃ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোসাইন, ডিজেল চালিত অটোটেম্পু মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল লিটন, চট্টগ্রাম ট্রাক-কাভার্ডভ্যান এন্ড মিনি ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম দুলাল প্রমূখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পরিবহনের চালক-হেলপারগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • সিএমপি’র অবৈধ ম্যাসেঞ্জার পেইজ

    সিএমপি’র অবৈধ ম্যাসেঞ্জার পেইজ

    চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবৈধ ম্যাসেঞ্জার পেইজ খোলা হয়েছে। কোন পুলিশের লোগো ব্যবহার করেই খোদ পুলিশ সদস্যই স্বপ্রণোদিত এডমিন হয়ে খুলেছেন এই ম্যাসেঞ্জার পেইজ। প্রতিনিয়ত বিদ্যমান থাকা এই পেইজের ব্যবহারকারী পুলিশ সাংবাদিকসহ সকলেই। কিন্তু রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এই পেইজে। সিএমপি’র লোগো ব্যবহার করলেও পুলিশ বলছে অবৈধ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই ননষ্টপ চলছে। অবিরত পদ্ধতিতে নিউজ পোস্টিং হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই ম্যাসেঞ্জার পেইজে ।

    অভিযোগ উঠেছে, পেইজটি অননুমোদিত হওয়ার পরও কিভাবে বছরের পর বছর চলছে। অপরাধীরাও এ পেইজের সদস্য। ফলে বিভিন্ন নিউজ আপলোড দেওয়ার পর অপরাধীরাও চ্যাট করছে নিউজের পক্ষে বিপক্ষে। শুধু ক্রাইম নিউজই নয় ব্যবসায়িক প্রচারণাও চলছে দেদারসে। যে কোন কিছু মন আসলেই এই পেইজে পোস্ট করা যায়। কোন ধরনের বাধ্যবাধকতা নেই এডমিনের পক্ষ থেকে। প্রশ্ন উঠেছে, পেইজের এডমিন কেন এই পেইজটি নিজের নামে প্যাটেন্ট রেখে নিউজ আপলোডে খোলা বাজার বসিয়েছেন। আবার গণহারে গণমাধ্যমকে ট্যাগ করার মতো ঘটনাও ঘটছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠনের খবরও এই পেইজের মাধ্যমে সদস্য ও ফলোয়ারদের জানানো হচ্ছে।

    এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (পাবলিক রিলেশন) স্পীনা রাণী প্রামাণিক সময়ের কাগজকে বলেন, এই পেইজে সিএমপির লোগো ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। কনস্টেবল অভি এই পেইজের এডমিন। তবে কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, গভীর রাতেও এই পেইজের নোটিফিকেশন যায় মোবাইলে। ফলে অনেকে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। এ বিষয়ে আমি উর্দ্ধতন কতৃর্পক্ষের সঙ্গে কথা বলবো।
    অভিযোগ রয়েছে, সিএমপি কমিশনার দফতরের কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন হলেই কনস্টেবল অভির পক্ষ থেকে ফোনে সাংবাদিকদের জানানো হতো। এখন তা এই পেইজের মাধ্যমে জানা যায়। ফেইসবুকে সিএমপি’র এ অবৈধ ম্যাসেঞ্জার বন্ধ করা নিয়ে কাহারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারন এই পেইজের এডমিন মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের কনস্টেবল অভি চৌধুরী। ফলে বিশ^স্থতা বেড়েছে পুলিশের লোক এডমিন হওয়ায়। কিন্তু অবৈধতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন জনসংযোগ এডিসি (পিআর)।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ম্যাসেঞ্জারে সিএমপি’র লোগো সম্বলিত পেইজের তথ্য অনুযায়ী, এই পেইজে ২৪৯ জন সদস্য রয়েছে ১৬ জানুয়ারি (সোমবার) দুপুর ১টা পর্যন্ত। শুধু পুলিশ আর সাংবাদিকই নয় পত্রিকা জগতের লোক ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষও রয়েছে। নিউজ পোস্টে গিয়ে দেখা গেছে এই পেইজে পুলিশের দৈনন্দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ ছাড়াও বিভিন্ন সাংবাদিকরা তাদের পরিবেশিত নিউজগুলো আপলোড করে দিচ্ছে। শুধু মাত্র পুলিশের নজর কাড়তে। এমনকি পুলিশ যেন নিউজ আমলে নিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় এমন টার্গেট আপলোডকারীদের। তবে পুলিশও নাকি এই পেইজটিকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করছে। আবার গুটিকয়েক সাংবাদিক পুলিশের ওসি এসআইকেও হাইলাইট করে এই পেইজে আপলোড দিচ্ছে। এমনকি খেলার নিউজও রয়েছে এই পেইজে। ক্লাবের টি শার্ট ও ক্যালেন্ডার বিতরণের খবরও আপলোড হওয়ায় বির্তক রয়েছে। ভবন নিমার্ণের নিউজও রয়েছে পেইজটিকে বিতর্কিত করার জন্য। নিউজের মন্তব্য ও প্রতিবাদী মন্তব্যও রয়েছে এই পেইজে। কেউবা বলছে থানার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হলে এই পেইজে নিউজ ভাইরাল করতে হয়।

    ২৪ঘণ্টা.জেআর