Tag: সিএমপি

  • খোলা মাঠে কাঁচা বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিএমপি

    খোলা মাঠে কাঁচা বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিএমপি

    করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ শুরু থেকেই নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সর্বশেষ জনবান্ধব এবং স্বাস্থ্যকর একটি উদ্যোগ হচ্ছে খোলা মাঠে চট্টগ্রামের কাঁচাবাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া।

    এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঁচাবাজার- চকবাজার কাঁচাবাজার স্থানান্তর করা হয় চকবাজারের প্যারেড ময়দান মাঠে।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমানের নির্দেশে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসানের তদারকিতে এই কাঁচা বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

    পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে একটি মডেল কাঁচাবাজার স্থাপনের প্রক্রিয়া হিসেবে গত কয়েকদিন যাবৎ চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ চকবাজার কাঁচা বাজার সমিতির নেতাদের সাথে এবং ইজারাদারদের সাথে আলোচনা করেন।

    আলোচনার সিদ্ধান্ত মতে গত দুই দিন যাবত কাঁচা বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সকল দোকান মালিক এবং কাঁচা বাজার ব্যবসায়ীগনের সহায়তায় চকবাজারের প্যারেড মাঠে প্রায় ৩৫০টি অস্থায়ী কাঁচা ঘর নির্মাণ করা হয়। আজ সকাল আটটা থেকে স্থানান্তরিত এই কাঁচা বাজারে বেচাকেনা শুরু হয়।

    এ কাঁচা বাজারের একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি একটি একমুখী চলাচলের বাজার। মাঠে দুইটি গেইট আছে। একটি গেট দিয়ে ব্যবসায় ও ক্রেতাগন প্রবেশ করবেন এবং কেনাকাটা শেষে অন্য একটি গেট দিয়ে বের হয়ে যাবেন। এই প্রক্রিয়ায় একজন আরেকজনের মুখোমুখি হবে না এবং ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকবে।
    স্থানান্তরিত এই বাজারে চকবাজার এলাকা সহ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য মানুষ স্বাস্থ্যকর পরিবেশে শাকসবজি, মাছ, মাংস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করতে পারবেন।

    বাজারটি সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষার উদ্দেশ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের সম্ভাবনা যতদিন থাকবে ততদিন এই বাজারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

    মহানগরীর অন্যান্য এলাকাতে পর্যায়ক্রমে উম্মুক্ত মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এরকম কাঁচাবাজার স্থাপনের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।করোনা ভাইরাসের বিস্তার ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে সিএমপি কর্তৃক স্থাপিত ও স্থানান্তরিত এসব কাঁচাবাজার নগরবাসীকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

  • তিন জনের উদ্যোগে সিএমপি’র বন্দর জোনে এ্যাম্বুলেন্স প্রদান

    তিন জনের উদ্যোগে সিএমপি’র বন্দর জোনে এ্যাম্বুলেন্স প্রদান

    এপেক্স ক্লাবস অফ বাংলাদেশ’র জেলা-৩ এর গর্ভনর এপেক্সিয়ান বেলাল হোসেন, মের্সাস রক্সি কন্সট্রাকশন’র স্বত্তাধিকারী মনসুর আলম এবং মের্সাস সাগর মোটর ওয়ার্কস এর স্বত্তাধিকারী সুনীল কান্তি দের যৌথ উদ্দ্যোগে পুলিশ সদস্য এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের ২৪ ঘণ্টা জরুরী এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দূর্যোগকালীন সময়ের জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্স বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার(বন্দর) হামিদুল আলম এর নিকট হস্তান্তর করা হয়।

    এছাড়া করোনার দুর্যোগকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যদের নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে ব্যবহারের জন্য এপেক্সিয়ান বেলালের ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার(বন্দর) হামিদুল আলম এর কাছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার হস্তান্তর করা হয়।

    এ বিষয়ে এপেক্সিয়ান বেলাল বলেন,করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকরা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে যার যার ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান করছেন। আমাদের দেশের নাগরিকরা যাতে নিজ গৃহে নিশ্চিন্তে থাকতে পারে সে জন্য, দেশের জন্য নিজেদের পরিবার, নিরাপত্তা সবকিছু ত্যাগ করে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। অথচ উনাদের শারিরীক নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সাপ্লাই প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই সেই সকল পুলিশ সদস্যদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করলাম।

    তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের জরুরি হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য আমাদের তিনজনের সম্মিলিত উদ্দ্যোগে দূর্যোগকালীন সময়ের জন্য সিএমপির বন্দর জোনে একটি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছি।

     

  • কোয়ারেন্টিন মনিটরিং করতে মোবাইল অ্যাপ চালু করল সিএমপি

    কোয়ারেন্টিন মনিটরিং করতে মোবাইল অ্যাপ চালু করল সিএমপি

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তি ও বিদেশ হতে আগত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণের কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য INOVACE TECHNOLOGIES (https://inovacetech.com) এর সহায়তায় “নিরাপদ-Stay Home, Stay Safe”নামীয় মোবাইল অ্যাপ চালু করল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ।
    আজ বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে দামপাড়াস্হ  চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতরের  কনফারেন্স হলে এই অ্যাপটি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান ।
    এই অ্যাপ জিও ফেন্সিং টেকনোলজির মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের অবস্থান নিশ্চিত করবে। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট স্থানের বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে উক্ত ব্যক্তিকে নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে সতর্ক করবে এবং ওয়েব ভিত্তিক এ্যাডমিন প্যানেল এর মাধ্যমে থানার মনিটরিং ইউনিটকে তাৎক্ষনিক তথ্য প্রদান করবে। যার ফলে হোম কোয়ারেন্টিন মনিটরিং কার্যক্রম তাৎক্ষনিক, কার্যকর এবং সময় সাশ্রয়ী হবে। এই অ্যাপ ব্যবহারের ফলে পুলিশ সদস্যদের সংস্পর্শজনিত কারণে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করবে।
    প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬টি থানায় এটির কার্যক্রম শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই অ্যাপ এবং ওয়েব বেইজড সিস্টেম (থানা ভিত্তিক মনিটরিং কার্যক্রম) এর কার্যক্রম বিস্তৃত করা হবে।
    উল্লেখ্য, এই অ্যাপ এর আওতায় বর্তমানে ৪১ জন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিকে মনিটরিং করা হচ্ছে। INOVACE TECHNOLOGIES জনস্বার্থে বিনামূল্যে এই অ্যাপ সেবাটি প্রদান করছে।
    অ্যাপ এর নাম : নিরাপদ – Stay Home, Stay Safe
    গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড লিংক:
    অ্যাপটি উদ্বোধনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন
     অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব আমেনা বেগম,অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন)শ্যামল কুমার নাথ,
    অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস. এম. মোস্তাক আহমেদ খানসহ বিভিন্ন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার গন এবং INOVACE TECHNOLOGIES এর কর্মকর্তাবৃন্দ।
  • চট্টগ্রামে ব্যক্তি ও যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

    চট্টগ্রামে ব্যক্তি ও যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

    করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় জরুরি সেবা, চিকিৎসা, ভোগ্যপণ্য ও রফতানি পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন ব্যতিরেকে সকল ধরনের ব্যক্তি ও যানবাহন চলাচল, প্রবেশ ও বের হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

    সোমবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

    নিজ ক্ষমতাবলে এই আদেশ জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ মাহাবুবর রহমান বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছি। নগরীর আশপাশের উপজেলা থেকে প্রতিদিন লোকজন চট্টগ্রাম শহরে আসছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে আমাদের মনে হচ্ছে। সেজন্য আপাতত পাঁচটি প্রবেশপথ আমরা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। অযৌক্তিক কোনো কারণে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

    কমিশনার মাহবুবর রহমান জানান, এসব প্রবেশপথ দিয়ে ওষুধ, খাদ্য ও জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন, রপ্তানি পণ্যবোঝাই পরিবহন, রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। এসব প্রবেশপথ দিয়ে মানুষের চলাচলও সীমিত থাকবে। নগরীতে প্রবেশের সময় লোকজনকে নিরাপত্তা চৌকিতে পুলিশের মুখোমুখি হতে হবে।

    নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া নগরীর প্রবেশপথ হলো বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু, চান্দগাঁও থানাধীন কালুরঘাট সেতু, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বায়েজীদ থানাধীন অক্সিজেন মোড় এবং আকবরশাহ থানাধীন সিটি গেইট।

    সোমবার রাত ১০টা থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে জানানো হয়েছে সিএমপির পক্ষ থেকে।

    চট্টগ্রাম নগরের সব প্রবেশপথ ও বিভিন্ন পয়েন্টে সিএমপির পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

    সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় জরুরী সেবা, চিকিৎসা, ভোগ্যপণ্য ও রফতানি পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন ব্যতিরেকে সকল ধরনের ব্যক্তি ও যানবাহন চলাচল, প্রবেশ ও বের হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, নগরের সব প্রবেশপথ ও বিভিন্ন পয়েন্টে সিএমপির পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাগরিকদের এ নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

    এর আগে সোমবার থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত নগরীতে ওষুধের দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিএমপি কমিশনার।

  • সিএমপির উদ্যোগে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু

    সিএমপির উদ্যোগে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ ::: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রামে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে মারছা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড এর সহযোগিতায় চালু হলো ফ্রি বাস সার্ভিস।

    আজ সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে উক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান।

    ফ্রি বাস সার্ভিসের আওতায় প্রতিদিন দুইটি বাস সকাল ৭টা ও দুপুর ২.৩০ মিনিটে নগরীর কোতোয়ালী, আন্দরকিল্লা, চকবাজার, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২নং গেইট, জিইসি, আগ্রাবাদ, টাইগার পাস, অলংকার, কর্ণেলহাট, বিআইটিআইডি-সলিমপুর ইত্যাদি রুটে যাতায়াত করবে।

    বিআইটিআইডি, চট্টগ্রামে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস ড্রাইভার ও হেলপারের সাথে যোগাযোগ করে এই সেবা গ্রহণ করবেন।

    এছাড়াও সেবা গ্রহীতাদের চাহিদা অনুসারে দূরত্ব ভেদে বাড়তি সেবাও প্রদান করা হবে। এর ফলে চলমান পরিস্থিতিতে গণপরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ হলেও বিআইটিআইডি, চট্টগ্রামে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের যাতায়াতে কোন অসুবিধা হবে না।

    এসময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস. এম. মোস্তাক আহমেদ খান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) শ্যামল কুমার নাথ, বিআইটিআইডি চট্টগ্রামের পরিচালক ডাঃ এম এ হাসান চৌধুরী, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) চট্টগ্রাম ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবির, মারছা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড পরিচালক আব্দুল আওয়াল মর্তুজা, মারছা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মর্তুজা সিদ্দিক সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামে এগারো ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ

    চট্টগ্রামে এগারো ঘণ্টা দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ ::: চট্টগ্রাম মহানগরীতে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ব্যতীত সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমান।

    আজ সোমবার (৬ এপ্রিল) থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়। পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবত থাকবে।

    নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানানো হয়।

  • করোনা : সামাজিক মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়াবে সিএমপি

    করোনা : সামাজিক মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়াবে সিএমপি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে পৃথিবীর অনেক দেশই এখন পুরোপুরি লকডাউনে। তেমনি আমাদের দেশেও অঘোষিত লকডাউনে গত ২৬ মার্চ থেকে, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী দেশের প্রায় সবকিছুই বন্ধ থাকবে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

    মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাদেশের এমন ক্রান্তি লগ্নে গরীব দিনমজুর খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত মানুষদের সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছে সরকারি ও বেসরকারি একাধিক সংস্থা। শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ছোট ছোট একাধিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অনেকে ব্যক্তি উদ্দ্যেগেও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে নিম্নবিত্তদের।

    এদিকে লকডাউনের দিন যতই বাড়ানো হচ্ছে সবচেয়ে ততই বেশি বিপাকে পড়ছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। দীর্ঘদিন সরকারি বেসরকারি অফিস কারখানা বন্ধ থাকায় মধ্যবিত্ত অনেকের ঘরে যা জমাছিল তা ফুরিয়ে এসেছে।

    লোকলজ্জ্বার ভয়ে থাকা গৃহবন্দি এসব মধ্যবিত্ত পরিবারে কথা চিন্তা করে তাদের সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি।

    সিএমপির ডিসি (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান বলেন, যারা সরকারী বেসকারী চাকুরি করেন তারাই বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত। অফিস আদালত থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (আয়ের উৎস) সব বন্ধ থাকায় অনেকটা নিরুপায় হয়ে পড়েছে অধিকাংশই পরিবার। না পারছে সহ্য করতে আবার লোকলজ্জ্বার ভয়ে বলতেও পারছেনা কাউকে।

    তাই তাদের কথা চিন্তা করে এসব মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএমপি। এক্ষেত্রে যারা ত্রাণ নিচ্ছে বা নিবে তাদের আমরা ক্যামেরা বা মিডিয়ার সামনে ফোকাস করতে চাই না। মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় সিএমপি দক্ষিণ বিভাগ।

    সিএমপির কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসীন মধ্যবিত্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার সামর্থ্য ফুরিয়ে এসেছে, কিন্তু লোকলজ্জায় বলতে পারছেন না। আপনারও সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু সামাজিক মর্যাদারক্ষায় চাইতে পারছেন না। আমরা আপনার পাশে দাঁড়াতে চাই।

    নিম্নোক্ত নাম্বারে এসএমএস করুন অথবা ফোনে বলুন।

    ডিসি দক্ষিণ ০১৭৬৯০৫৮১২১, এডিসি দক্ষিণ ০১৭৬৯০৫৮১২৫, এসি কোতোয়ালী ০১৭১৩৩৭৩২৫৪, এসি চকবাজার ০১৭৬৯৬৯৪২২৩, ওসি কোতোয়ালী ০১৭১৩৩৭৩২৫৬, ওসি বাকলিয়া ০১৭১৩৩৭৩২৬১, ওসি চকবাজার ০১৭৬৯৬৯০০৬৪, ওসি সদরঘাট ০১৭৬৯৬৯০০৬৫।

    কথা দিচ্ছি, আপনার সামাজিক মর্যাদা রক্ষার দায়িত্বও আমাদের। এই সহযোগিতার কথা কেউই জানবেনা। মানুষ সন্দেহ করবে এমন বিশেষ কোন ব্যাগও ব্যবহার করা হবে না।
    ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন। আস্থা রাখুন পুলিশে।

    ২৪ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে সিএমপি

    চট্টগ্রামে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করবে সিএমপি

    চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় কর্মরত যেসব চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীগণ যানবাহনের অভাবে অথবা যানবাহনের স্বল্পতার কারণে তাদের কর্মস্থলে যেতে পারছেন না তাদের কষ্ট লাগবে যাতায়াতের সুব্যবস্থা নিয়ে এগিয়ে এসেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান সকল থানার অফিসার ইনচার্জ গনকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

    তিনি বলেন ” ডাক্তার বাঁচলে আমরা বাঁচবো”। তাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এর হটলাইনে (০১৪০০৪০০৪০০) যদি কোন চিকিৎসক অথবা স্বাস্থ্য কর্মী তাদের যানবাহনের জন্য ফোন করেন তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে বাসা থেকে কর্মস্থলে এবং কর্মস্থল থেকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এতে করে চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের যাতায়াতের যেমন সুব্যবস্থা হবে তেমনি সাধারণ মানুষও সুচিকিৎসা ভোগ করবে।

    করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট এই কঠিন সময়ে চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এবং তাদের সুস্বাস্থ্য ও সুব্যবস্থার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এই উদ্যোগ পুলিশ, চিকিৎসক এবং সাধারণ মানুষের মাঝে এক নতুন বন্ধন সৃষ্টি করবে।

    নগরীর সকল চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের সিএমপির পক্ষ অনুরোধ করা হয়েছে দিনরাত্রি যেকোনো সময় সিএমপি হটলাইনে ফোন করলে যানবাহনের সুবিধা প্রদান করা হবে।

    হট লাইন:০১৪০০৪০০৪০০

  • করোনা : ঘরের সামনেই সিএমপির ডোর টু ডোর শপ, গৃহবন্দি মানুষের ঘরে পৌছে দিচ্ছে বাজার

    করোনা : ঘরের সামনেই সিএমপির ডোর টু ডোর শপ, গৃহবন্দি মানুষের ঘরে পৌছে দিচ্ছে বাজার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ১০ দিনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। আর মরণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমন থেকে প্রতিকারের লক্ষ্যে মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম নগর জুড়ে মাঠে আছে সিএমপির সদস্যরা।

    শুধু ঘরে থাকা নয় এসব গৃহবন্দি মানুষদের প্রাত্যহিক চাহিদার অন্যতম খাদ্য, চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনে সকল সেবা দিতেও প্রস্তুত চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন। করোনা চট্টগ্রামের ঘরে ঘরে সিএমপির সেবা

    ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) চালু করেছে ‘হোম সার্ভিস’ সেবা। যারা সরকারি বিধিনিষেধ মেনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন সিএমপির ১৬টি থানার পক্ষ থেকে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী চাল, ডাল, তেল, চিনি ও ওষুধ ইত্যাদি বাসায় পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। এসব কাজের সরাসরি তদারকি করছেন প্রতিটি জোনের উপ-পুলিশ কমিশনাররা।

    নিচে দেওয়া ১৬ থানার নাম্বারে যোগাযোগ করলে সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসাররা ফোন রিসিভ করে গৃহবন্দি মানুষদের অর্ডার নেবেন। খুব কম সময়ের মধ্যে পুলিশ সদস্যরা নাগরিকের প্রেরিত ঠিকানায় তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।

    জরুরি প্রয়োজনে নাগরিকরা চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা-০১৭৬৯৬৯৫৬৬৮, খুলশী থানা-০১৭৬৯৬৯৫৬৬৬, চান্দগাঁও থানা-০১৭৬৯৬৯৫৬৬৯, পাঁচলাইশ থানা-০১৭৬৯৬৯৫৬৭০, ডবলমুরিং থানা-০১৭৬৯৬৯৫৬৭১, হালিশহর থানা- ০১৭৬৯৬৯৫৬৭৩, পাহাড়তলী থানা-০১৭৬৯৬৯৫৬৭২, আকবরশাহ থানা-০১৭৬৯৬৯৫৬৭, বন্দর থানা- ০১৭৬৯০৫৮১৪৯, ইপিজেড থানা- ০১৭৬৯৬৯১১০৬, পতেঙ্গা থানা-০১৭৬৯০৫৮১৫০, কর্ণফুলী থানা-০১৭৬৯০৫৮১৫১, কোতোয়ালি থানা- ০১৭৬৯৬৯৫৬৬৫, বাকলিয়া থানা-০১৭৬৯৬৯৫৬৬৭, চকবাজার থানা-০১৭৬৯৬৯৫৬৭৯ ও সদরঘাট থানার ০১৭৬৯৬৯৫৬৮০ নাম্বার গুলোতে যোগাযোগ করে হোম সার্ভিস পাবেন।

    সিএমপি উত্তরের উপ-পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, করোনায় সরকারিভাবে ১০ দিনের সাধারণ ছুটিতে গৃহবন্দি নগরবাসী। করোনার সংক্রমণ রোধে মানুষকে ঘরে রাখতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার স্যারের নির্দেশে নানা কৌশল গ্রহণ করছি। চালু করেছি ‘স্টে হোম’ কার্যক্রম।

    নগরীর ১৬টি থানায় যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না, তাদের চাহিদামতো নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। এক্ষেত্রে সেবাগ্রহীতাকে পণ্যের নিয়মিত মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

    এদিকে নগরীর বেশ কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিদের নিজস্ব উদ্দ্যেগে এলাকার গরীব অসহায় দুস্থ খেটে খাওয়া দিনমজুরের পরিবারে খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।

    ডোর টু ডোর শপ : অন্যদিকে গৃহবন্দি মানুষকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে ভিন্ন এক কৌশল অবলম্বন করে রীতিমতো আলোচনায় সিএমপি। গৃহবন্দি মানুষদের সুবিধার্থে সিএমপি শুরু করেছে ভ্রাম্যমাণ দোকান ডোর টু ডোর শপ।করোনা চট্টগ্রামের ঘরে ঘরে সিএমপির সেবা

    নগরীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মহসীন চৌধুরী শনিবার সকাল থেকে হ্যান্ড মাইকে নিজেদের নতুন উদ্যোগের প্রচার করছিলেন।

    করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে হ্যান্ড মাইকে মানুষকে ঘর থেকে বের না হতে পরামর্শ দিয়ে ওসি মহসীন বলেন, গৃহবন্দি মানুষের কথা মাথায় নিয়ে সিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশে আমরা ব্যাতিক্রমী এ উদ্দ্যেগ নিয়েছি। নগরীর ১৬ থানার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় আপনাদের ঘরের সামনেই যাবে পুলিশের ভ্রাম্যমান দোকান ডোর টু ডোর শপ।

    তিনি বলেন, সিএমপির ০১৪০০০৪০০৪০০ এই নাম্বারে কল করলে ডোর টু ডোর শপ এর সেবা পাওয়া যাবে। নির্দ্দিষ্ট বাজার দরেই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি হবে এ শপে। তাছাড়া জরুরি চিকিৎসা সেবা পেতেও সিএমপির গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন সম্মানিত নাগরিকরা।

    ২৪ ঘন্টা/ রাজীব প্রিন্স..

  • করোনা : পতেঙ্গা সী-বিচে জনসাধারণের সমাগমে নিষেধাজ্ঞা সিএমপি’র

    করোনা : পতেঙ্গা সী-বিচে জনসাধারণের সমাগমে নিষেধাজ্ঞা সিএমপি’র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের কারণে সতর্কতার অংশ হিসেবে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সবধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপি।

    বুধবার (১৮ মাচ) দুপুরে সিএমপির জনসংযোগ শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়। তাছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করা হয়।

    এতে উল্লেখ করা হয়, সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের কারণে জনসমাবেশসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই এর সংক্রমন রোধে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ও জনসচেতনতা মূলক প্রচারণা চলমান রয়েছে।

    এরূপ গণজমায়েতসহ অযাচিত ঘোরাফেরা সংক্রান্তে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সী-বিচ এলাকায় জনসাধারণের অহেতুক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে করোনা ভাইরাস খুব সহজেই এবং দ্রুত বিস্তার লাভ করতে পারে।

    বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সী-বিচ এলাকায় জনসাধারণকে অহেতুক জমায়েত হওয়া সংক্রান্তে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

    ২৪ ঘন্টা/ আর এস পি…

  • সিএনজিতে ফেলে যাওয়া ইতালির গ্রীনকার্ড ফেরত দিল পুলিশ

    সিএনজিতে ফেলে যাওয়া ইতালির গ্রীনকার্ড ফেরত দিল পুলিশ

    ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ইতালি গিয়েছিলেন নুর হাসিব আহমেদ চৌধুরী। চার বছর তার স্বপ্ন পূরণ হয় কাঙ্খিত গ্রীনকার্ড প্রাপ্তির মাধ্যমে। গ্রীন কার্ড পেয়ে মাতৃত্বের টানে বেড়াতে আসেন জন্মভূমিতে।

    স্বভাবতই তার মনের মধ্যে অনেক আনন্দ উঁকিঝুঁকি মারছিল। সিএনজিতে ভ্রমণকালে ভুলক্রমে তার কাঁধের ব্যাগটি ফেলে যায়! ফেলে যাওয়া ব্যাগের জন্য তার টেনশনের শেষ নেই! কারণ ঐব্যাগের ভিতর যে তার স্বপ্নের গ্রীন কার্ড ও পাসপোর্ট রেখেছিলেন!

    সোমবার রাত দুইটা এগারো মিনিটে ফেসবুকে পোস্ট করা এসআই নোমান মুন্সির স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়-

    ইটালি ফেরৎ ছোট ভাই , ৪বছর পর গ্রীন কার্ড পেয়ে মাতৃতের টানে নিজ দেশে আসা, স্বভাবতই তার মনের মধ্যে অনেক আনন্দ উঁকিঝুঁকি মারছে! তাই ভুলক্রমে তার কাঁধের ব্যাগটি সিএনজি তে ফেলে যায়! ফেলে যাওয়া ব্যাগের জন্য তার টেনশনের শেষ নেই! কারন ঐব্যাগের ভিতর যে তার স্বপ্নের গ্রীন কার্ড ও পাসপোর্ট রেখেছিলেন! আমি সংগীয় কং/ করিম উল্লাহ, কং/ধীমান সহ অদ্য নৈশ্য স্পেশাল -৩৩ ডিউটি করাকালে আকস্মিক চেকপোস্ট শুরু করি! হঠাৎ একটি সিএনজি কে সিগন্যাল দিলে এটি দাঁড়ায়, চেক করাকালে গাড়ির সিটের পিছনে একটি ব্যাগ দেখতে পাই। যাএীকে ব্যাগ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে বলে এই ব্যাগ আমার না স্যার! তাই ব্যাগটি নিয়ে তাদের সামনে খুলে চেক করলাম, এর মধ্যে ইটালি ফেরৎ ভাইয়ের কিছু কাপড় ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দেখতে পেলাম,এবং একটি ছোট নোটবুক পাইলাম! নোটবুকে একটা মোবাইল নাম্বার লেখাছিল সেই নাম্বারে তাৎক্ষনিক কল দিলাম একজন কল রিসিভ করলে, পাসপোর্ট নাম লিখা মানুষটা কে চিনেন কিনা বললাম! উনি বললেন উনা একজন ডাক্তার এবং ঐলোকটি উনার ভাগিনা! তাৎক্ষনিক উনাদের জিইসি পুলিশ বক্সের সামনে আসতে বললাম! অতঃপর তাদের হাতে হারানো জিনিস ফিরিয়ে দিতে পেরে তাদের চোখমুখের দিকে তাকাইয়া নিজেদের মধ্যে সুখ অনুভব করিলাম! আসলে এই পোস্ট টা দেওয়ার উদ্দেশ্য হইল আমরা যে, যেখানে, যেইভাবেই থাকি না কেন?বেখেয়ালিপনা না হয়ে সতর্ক অবস্থায় থাকতে চেষ্টা করিব! সবাই ভাল থাকবেন, সিএমপি,চট্টগ্রাম!

  • বেওয়ারিশ বৃদ্ধার পচন ধরা শরীর দেখে পথচারীরা নাক চেপে পালালেও এগিয়ে আসে পুলিশ

    বেওয়ারিশ বৃদ্ধার পচন ধরা শরীর দেখে পথচারীরা নাক চেপে পালালেও এগিয়ে আসে পুলিশ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর কাপসগোলা এলাকার ফুটপাতে এক মাস ধরে বেওয়ারিশ ভাবে পড়ে ছিলো ভাসমান বৃদ্ধ এক পিতা। আগুনে পোড়া বৃদ্ধার শরীরে ধরেছে পচন। চারদিকে ছড়াচ্ছে বিশ্রী দুর্গন্ধ।

    ফুটপাতের পাশে সড়ক ধরে হাজার হাজার পথচারির চলাচল থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি বৃদ্ধার সেবায়। বরং নাক চেপে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করতে পারলেই যেন বেঁচে যায়। সবাই পালিয়ে গেলেও চরম দুর্গন্ধ মারিয়ে বৃদ্ধার পচন ধরা শরীর সুস্থ্য করতে মানবিকতার হাত বাড়িয়েছে পুলিশ।

    শওকত হোসেনের নেতৃত্বে সিএমপিতে গঠিত পুলিশের সাত সদস্যের মানবিক ইউনিটের সদস্যরা বৃদ্ধা ওই বাবার পচন ধরা শরীরে প্রাথমিকভাবে ওষুধ লাগিয়ে ব্যন্ডেজ লাগিয়ে নিয়ে গেলেন হাসপাতাল। সুস্থ করে বৃদ্ধা বাবাকে একটু শান্তি দেওয়ায় যেন এ মানবিক পুলিশ ইউনিটের প্রধান লক্ষ্য।

    শুধু ভাসমান এ বৃদ্ধা বাবাই নন, চট্টগ্রাম নগরীর রাস্তায় ভাসমান, ভারসাম্যহীন ও অসুস্থ এমন অসহায় মানুষদের প্রতিনিয়ত সেবা দিয়ে যাচ্ছে ২০১০ সালে পুলিশ কনটেস্টেবল শওকত হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত সিএমপির এ মানবিক ইউনিট।

    এর আগেও নগরীর বটতলী রেলস্টেশনে শরীরে পচন আর পোকায় ধরা সোহান নামের এক ভারসাম্যহীন মানুষকে চিকিৎসা দিয়েছেন সিএমপির মানবিক পুলিশের এ ইউনিটটি।

    ৭ সদস্যের ইউনিটটির বেতনের টাকা দিয়ে চলে এসব বেওয়ারিশ মানুষের চিকিৎসা। পুলিশের এমন সেবামূলক কর্মকাণ্ডে নতুন করে ভালবাসা ও আস্থা অর্জন করে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।

    স্থানীয়রাও বলছে পুলিশকে সাধারণ মানুষ খুব ভয় পাই। প্রবাদ ছিলো পুলিশের ধারে কাছে যেও না,পুলিশ ধরলে বাঁচন নেই। কিন্তু সব কিছু মুছে দিয়ে মানবিক পুলিশের এ ইউনিটটির কর্মকাণ্ডে সত্যি খুব ভালো লাগছে। আমরা চাই এ ইউনিটটির মতোই সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ মানবিক সেবায় নিজেদের আত্ম প্রকাশ করুক।

    দেশের ৬টি বিভাগীয় হাসপাতালের বেওয়ারিশ ওয়ার্ড গঠনের দাবি জানিয়ে মানবিক পুলিশ ইউনিটের টিম লিডার শওকত হোসেন বলেন, রাস্তার ধারে বেওয়ারিশ মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সেবা দেয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। দেশের সব মেডিকেল এমন ওয়ার্ড চালু করা গেলে তাহলে বেওয়ারিশ মানুষদের অনেক উপকার হবে।