স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছাড়েন।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ২৫ জানুয়ারি ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে তার।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিয়মিত স্বাস্হ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে বুধবার (০১ মার্চ) সকালে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৪ ফ্লাইট যোগে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে তিনি ঢাকা ছাড়েন বলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আগামী ৩ মার্চ মন্ত্রী ঢাকায় ফিরবেন বলে আশা করছেন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার করাতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিজি৫৮৪) একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছাড়েন।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আগামী বুধবার (৪ জানুয়ারি) তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, নিজাম উদ্দিন হাজারী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২ মার্চ মাসে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এরপর ভারতের বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠি ঢাকায় এসে ওবায়দুল কাদেরকে দেখার পর সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এরপর ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়। ২০ মার্চ ওই হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি হয়। দুই মাস ১১ দিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ১৫ মে সন্ধ্যায় দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য নিয়মিত সিঙ্গাপুর যান তিনি।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) ছোবলের প্রথম ধাপ মোকাবেলায় জয়ী হলেও দ্বিতীয় ধাপের থাবায় বিপর্যস্ত সিঙ্গাপুর।
সোমবার নতুন করে দেশটিতে আরও ৩৮৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০৯ জনই বাংলাদেশি।
রোববার নতুন করে ২৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। যার মধ্যে ১২৫ জনই বাংলাদেশি। এ নিয়ে দেশটিতে ৮৭৮ বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হলেন।
করোনায় প্রাণহানি ও অসুস্থ্যতার পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনায় সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯১৮ জন৷ মারা গেছেন ৯ জন। সোমবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ জন৷ সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৮৬ জন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দেয়া তথ্যানুযায়ী, আক্রান্ত ৩৮৬ জনের সবাই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন৷ বাইরের দেশের কারো সংস্পর্শে আসেননি তারা। ২৮০ জন পূর্বের ক্লাস্টারের কিংবা রোগীদের সাঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই অভিবাসীদের থাকার জায়গা ডরমিটরির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। ৯৪ জনের তথ্য এখনো অজানা।
১১৫৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন৷ এরমধ্যে ২৯ জনকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷ বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ প্রভাব ফেলেছে মুসলিমদের ধর্মীয় কার্যক্রমেও। ছোঁয়াচে হওয়ায় এই ভাইরাস মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সিঙ্গাপুরের সকল মসজিদ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। শুক্রবার (১৩ মার্চ) থেকে আগামী পাঁচদিন দেশটির ৭০টি মসজিদের সবগুলোই বন্ধ থাকবে। এমনকি শুক্রবার জামায়াতে জুমার নামাজও অনুষ্ঠিত হবে না।
দেশটির সরকার জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার সেলানগরে একটি ধর্মীয় গণজমায়েতে অংশ নেয়ার পর সিঙ্গাপুরের দুই নাগরিক করোনা সংক্রমিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সিঙ্গাপুরের অন্তত ৯০ জন নাগরিক ওই ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নেন। তাদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় কিছু মসজিদে সমবেত হতেন।
সিঙ্গাপুরের ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিল অব সিঙ্গাপুর বলছে, ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েকদিনের জন্য সাময়িকভাবে দেশের সব মসজিদ বন্ধ থাকবে।পাঁচদিন ধরে বন্ধ থাকা সব মসজিদে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পরিষ্কার করার জন্য ইতোমধ্যে পাঁচটি মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এই ধর্মীয় কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার দেশটির মুসলিম কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী ম্যাসাগোস জুলকিফলি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশে ফেরত আসার পর এক ব্যক্তির শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। ওই ব্যক্তির যাতায়াত আছে এমন চারটি মসজিদ শনাক্ত করা হয়েছে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্যই সব মসজিদ বন্ধের অস্থায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। দেশটির পরিবেশ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করছেন মুসলিম কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী ম্যাসাগোস জুলকিফলি।
তিনি বলেন, মসজিদে প্রার্থনায় অংশ নেয়া বৃদ্ধরা বিশেষ ঝুঁকিতে আছেন। আমাদের নিজেদের, সম্প্রদায় এবং প্রিয়জনদের রক্ষা করা দরকার। এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে কোভিড-১৯ এ সংক্রমণের বেশি ঝুঁকিতে আছেন জ্যেষ্ঠ এবং বয়স্করা।
ইসলামিক রিলিজিয়াস কাউন্সিল অব সিঙ্গাপুর বলছে, মসজিদের সব ধরনের কার্যক্রম যেমন, বয়ান, ধর্মীয় শিক্ষার ক্লাস আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আগামী ১৬ মার্চ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর খুলে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সিঙ্গাপুরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সিঙ্গাপুরে পাঁচ বাংলাদেশির মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সংস্কার নিয়ে এক অধিবেশন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষনান টেলিফোন করে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সিঙ্গাপুরে পাঁচ বাংলাদেশির মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আক্রান্ত এই বাংলাদেশি নাগরিকের ওষুধে কোনো কাজ করছে না।
তিনি আরও জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা এ বাংলাদেশি নাগরিকের বয়স ৩৯ বছর। তবে তার নাম এখনই প্রকাশ করা হচ্ছে না।
ড. মোমেন বলেন, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আক্রান্ত বাংলাদেশিদের সব সময় তারা খোঁজ রাখছেন।
সিঙ্গাপুরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯)আরও এক বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে প্রাণঘাতী রোগটিতে আক্রান্ত বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজন।
শনিবার সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবশেষ আক্রান্ত এ বাংলাদেশির বয়স ২৬ বছর। পেশাগত কারণে তিনি দেশটিতে অবস্থান করেন তিনি।
তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত নতুন বাংলাদেশি আগে কখনও চীন ভ্রমণ করেননি। সিঙ্গাপুরে নির্মাণ সাইটে অনেক শ্রমিকের সঙ্গে কাজ করতেন তিনি।
এর আগে সিঙ্গাপুরে চার বাংলাদেশি নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রথম দু’জনকে শনাক্ত করা হয় ৯ ফেব্রুয়ারি ও ১১ ফেব্রুয়ারি। অপর দু’জনের দেহে এ ভাইরাস ধরা পড়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
সম্প্রতি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়ায় জীবনঘাতি করোনা ভাইরাস। এতে আক্রান্ত হয়ে এশিয়ার বাইরে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদিন ফ্রান্সে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৮০ বছর বয়সী এক চীনা নাগরিক মারা গেছেন।
এর আগে হংকং, ফিলিপাইন ও জাপানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর চীনে এ রোগে মৃত্যু হয়েছে দেড় হাজারের বেশি মানুষের। দেশটিতে বর্তমানে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৪৯২ জন।
সিঙ্গাপুরে নতুন করে আরও দুই বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) তথ্যটি জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
এর আগে আরো দুই বাংলাদেশির করেনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আইইডিসিআর’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, প্রথম যিনি শনাক্ত হয়েছিলেন, দ্বিতীয় শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি তার সংস্পর্শেই ছিলেন।
তিনি জানান, এই দুই রোগীর সংস্পর্শে ছিলেন এমন ১৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে সিঙ্গাপুর সরকার। এর মধ্যে ১০ জনই বাংলাদেশি।
আইইডিসিআর’র পরিচালক বলেন, ওখানে কাজ করতেন ওখান থেকেই তারা আক্রান্ত হয়েছেন। ওখানে আরো কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে। এটা নিশ্চিত তারা সিঙ্গাপুর থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে এখন পর্যন্ত ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে যাদের কারো মধ্যেই করোনার উপস্থিতি নেই বলে নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর।
এর আগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা নতুন এ তথ্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর।
চীনের উহানের উবেই থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আরো এক বাংলাদেশি শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছেন সিঙ্গাপুরে। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত এ বাংলাদেশির চীন ভ্রমণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (এমওএইচ) এক হালনাগাদ তথ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বলা হয়েছে, এদিন সিঙ্গাপুরে নতুন করে দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে একজন বাংলাদেশি শ্রমিক, অপরজন রিসোর্ট ওয়ার্ল্ড সেন্তোসা ক্যাসিনোর কর্মচারী।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়- করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম বাংলাদেশি শনাক্ত হয়েছে সিঙ্গাপুরে। তবে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
শুধু বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশি শ্রমিক।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫ জনে। এর মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ১৭ জন নারী।
সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি : সিঙ্গাপুরে এই পর্যন্ত ৩০ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে৷ এদের অনেকেই সর্বশেষ চীন ভ্রমন করে এসেছেন কিংবা কেউ রোগীর আত্মমীয়। কিন্তু সর্বশেষ তিনজন রোগীর কেউ চায়না ভ্রমন করেননি এমনকি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কারো সাথে তাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই৷
আর সাথে সাথে সিঙ্গাপুর সরকার নড়েচড়ে বসে৷ রিস্ক লেভেল ইয়োলো থেকে অরেঞ্জ ঘোষণা করা হয়৷ সিঙ্গাপুর সরকার করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে তিনটি রিস্ক লেভেল ঘোষণা করেছে। প্রথম ইয়োলা মানে আক্রান্ত রোগীরা চাইনিজ নাগরিক কিংবা সর্বশেষ চীন ভ্রমন করে এসেছে৷
দ্বিতীয় রিস্ক লেভেল অরেঞ্জ মানে কিছু কিছু স্থানীয় লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত যাদের কেউ চীন ভ্রমন করেনি কিংবা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগীর সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই৷
সর্বশেষ রিস্ক লেভেল রেড (লাল) অর্থাৎ সারাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হলেই রিস্ক লেভেল রেড ঘোষণা করা হবে৷ তখন সমস্ত অফিস, স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হবে৷
গতকাল রিক্স লেভেল অরেঞ্জ ঘোষণা করার সাথে সাথে সিঙ্গাপুরে স্থানীয় এমনকি প্রবাসীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দোকানগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার হিড়িক পড়ে। মানুষ যখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন তাদের মস্তিষ্ক কাজ করে না৷
আর আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের কোন জাত নেই, ধর্ম নেই, দেশ নেই৷ মানুষ যখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন সে কি করে নিজেও জানে না।
আজ থেকে প্রতিটি ডরমিটরি থেকে বের হবার সময় এবং কাজ শেষে ডরমিটরিতে ফেরার পর শরীরের তাপমাত্রা চেক করা হবে৷ কারো শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেই তাকে আলাদা রুমে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এমনকি অফিসে প্রবেশ করার সময়ও শরীরের তাপমাত্রা চেক করা হবে৷
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোন অভিবাসী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। সিঙ্গাপুর আর চায়না পাশাপাশি দেশ হওয়ায় সিঙ্গাপুরেও করোনা ভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
তবে প্রবাসীদের আতঙ্কিত হবার কোন প্রয়োজন নেই৷ আর ফেসবুকের গুজবেও কান দেবার প্রয়োজন নেই৷ করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ খবর জানার জন্য সিঙ্গাপুর মিনিস্টার অব হেলথ ফেসবুক পেইজে চোখ রাখুন৷
দুই মাস ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। অসুস্থ অবস্থায় গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিলেন নন্দিত এই শিল্পী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে।
এরপর থেকে নিয়মিত কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে তাকে। একটু একটু করে সেরে উঠছিলেন তিনি। কিন্তু মন খারাপের খবর হলো, গত এক সপ্তাহ থেকে তার শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। প্রিয় এই মানুষটিকে নিয়ে চিন্তিত তার পরিবার। এমনটাই জানিয়েছেন এন্ড্রু কিশোরের শিষ্য মোমিন বিশ্বাস। দেশ থেকে নিয়মিতই গুরুর খোঁজখবর রাখেন তিনি।
রোরবার রাতে এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে মোমিন লিখেছেন, ‘কিশোর দা, সারাদিনে যতবার ফোনের ওপাশ থেকে আপনার কণ্ঠটা শুনি আমার কান্না আসে, অঝোরে লুকিয়ে কাঁদি, গোপনে কান্না মুছে বারবার সোজা হয়ে দাঁড়াই, আবার থেমে যাই, দিন যায় মাস যায়। কতদিন দেখি না, কতদিন সকালে ঘুম ভাঙিয়ে রেয়াজে কেউ বসায় না, কতদিন আদর শাসন আর স্নেহমাখা বকা খাই না! সঙ্গা, সপ্তকের মতো এতটা ভালোবাসা এতো স্নেহ আর আদর না দিলেও হয়তো পারতেন। আপনার সুস্থতা চাওয়া ছাড়া পৃথিবীতে এই মুহুর্তে আর কোনো চাওয়া নেই।’
এন্ড্রু কিশোরের বর্তমান অবস্থা জানতে চাওয়া হলে মোমিন বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘সপ্তাহ খানেক থেকে ভালো নেই দাদা। চিকিৎসকরা নতুন কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দিয়েছেন। এখনো রিপোর্ট এসে পৌঁছায়নি। এছাড়া রোববার তাকে এক ব্যাগ রক্তও দিতে হয়েছে।’
ক্যাসিনো অভিযান ও সাকিব ইস্যুতে যখন ক্রিকেট ও রাজনীতির মাঠ গরম, ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলো বিসিবি সভাপত নাজমুল হাসান পাপনের একটি ভিডিও।
আর ভিডিওটি দুই ইস্যুকেই সরগরম করে দিয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্বের আলোচিত মেরিনা বে ক্যাসিনোতে বসে জুয়া খেলছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
এমন ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সুধীজনরা।
তারা বলছেন, বর্তমানে সবচেয়ে দুর্যোগময় দিন কাটাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। দুই বছর আগে ভারতীয় জুয়াড়ির সঙ্গে আলাপের বিষয়টি আইসিসিকে না জানানোয় এক বছর নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন সাকিব আল হাসান।
স্ত্রীকে সময় দেবেন বলে মাঠের বাইরে রয়েছেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল।
চোটের কারণে খেলা থেকে ছিটকে পড়েছেন অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনও। অথচ সামনেই রয়েছে ভারত সফর।
এমন পরিস্থিতিতেই ফেসবুকসহ বাংলাদেশের সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল বিসিবি বসের এই ক্যাসিনো খেলার ভিডিওটি।
তবে জানা গেছে, এটি অনেক আগের ভিডিও। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে চাকচিক্যময় ও জাঁকজমকপূর্ণ ক্যাসিনো মেরিনা বে’তে খেলেছিলেন নাজমুল হাসান পাপন।
ভিডিওটি পুরনো হলেও সিঙ্গাপুরের সেই বিতর্কিত ক্যাসিনোতে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি গেছেন এবং খেলেছেন তা অস্বীকার করা যাচ্ছে না।
যদিও ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে, একসময় সিঙ্গাপুরের সেই ক্যাসিনোতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল পাপনের।
তবে এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। এ ব্যাপারে পাপনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাপনের এ ক্যাসিনো খেলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তার বন্ধু মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার প্রসঙ্গ টানছেন।
ক্যাসিনোবাণিজ্যে জড়িত থাকাসহ বাসায় অনুমোদনহীন বিদেশি মদ রাখার অপরাধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব।
তার বিরুদ্ধে র্যাবের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের জন্যই তিনি মোহামেডান ক্লাবের কয়েকটি রুম ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন।
গ্রেফতার করা হলেও এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক পদ থেকে তাকে অপসারিত বা অব্যাহতি দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ও নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। লোকমান গ্রেফতারের পর পাপনের বক্তব্য ছিল, তিনি জানতেনই না যে, তার বন্ধু মদ খেতে পারে আর ক্যাসিনোবাণিজ্যে জড়িত।
নাজমুল হাসান পাপনের ক্যাসিনো খেলার সেই ভিডিওটি দেখুন-