Tag: সিজেকেএস

  • সিজেকেএস নির্বাচনে উৎসবের আমেজ

    সিজেকেএস নির্বাচনে উৎসবের আমেজ

    চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম এখন স্টেডিয়াম অঙ্গন। এবারের নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দুই মহিলা সংরক্ষিত পদ ছাড়া বাকি সব পদে নির্বাচন হবে।

    নির্বাচন না হওয়া গুরুত্ব পূর্ণ দুই পদের মধ্যে সভাপতি পদে পদাধিকার বলে দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    এনিয়ে টানা চতুর্থবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন নাছির। গতবারও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

    এ দুই পদ ছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা পদেও দুইজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন হওয়া বাকি ৫টি ক্যাটাগরির বিপরীতে ৪৯ জন প্রার্থী লড়ছেন ভোটে।

    ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আগামী ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সিজেকেএস নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। নির্বাচনে ২৫২ জন কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

    নির্বাচনে সহ-সভাপতির চারটি পদে প্রার্থী হয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন-তাহের উল আলম চৌধুরী স্বপন, একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী, আবুল হাশেম, সৈয়দ আবুল বশর, মো. হাফিজুর রহমান, দিদারুল আলম চৌধুরী, শাহজাদা আলম, মকসুদুর রহমান বুলবুল এবং মফিজুর রহমান। অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদকের একটি পদের লড়াইয়ে আছেন তিনজন। তারা হলেন বর্তমান অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, মশিউর রহমান চৌধুরী এবং এসএম শহীদুল ইসলাম। এছাড়া যুগ্ম সম্পাদকের দুটি পদে আমিনুল ইসলাম, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন এবং সরোয়ার আলম চৌধুরী মনি লড়ছেন। কোষাধ্যক্ষের একটি পদে আছেন আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল এবং শাহাবুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর। নির্বাহী সদস্যের ১৩টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ২৮ জন। এছাড়া উপজেলার সংরক্ষিত দুটি সদস্য পদের জন্য নির্বাচন করছেন তিনজন।

  • কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই – তথ্যমন্ত্রী

    কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই – তথ্যমন্ত্রী

    ক্রীড়া ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এর ওয়েভভিত্তিক বিভিন্ন এন্টারটেনমেন্ট অ্যাপসগুলোর ব্যাপারে আসক্তি থেকে আমাদের তরুণ সমাজকে বের করে আনতে হবে। কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই।

    তিনি বলেন, ছেলেরা এখন আর মাঠে গিয়ে খেলে না। আমাদের ছোটবেলায় আমরা মাঠে গিয়ে খেলার জন্য এবং সন্ধ্যার আগে বাসায় না ফেরার জন্য প্রতি সপ্তাহে বাবা-মা’র বকা শুনতাম। আর এখনকার ছেলেদের জোর করে ধরে মাঠে পাঠাতে হয়। বিষয়টা উল্টো হয়ে গেছে। আসলে খেলাধুলার কোন বিকল্প নাই। সেই জন্য খেলাধুলার আয়োজনও করতে হবে। আয়োজন না থাকলে তো ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করবে না। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) একটি ভাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিজেকেএস’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, টুর্ণামেন্ট কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান, সিজেকেএস’র সহ-সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, এহসানুল হায়দার বাবুল, হাছান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস প্রমুখ।

    তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে ধর্ষণসহ কিশোর গ্যাং নানা অপরাধ করছে, নানা ধরণের অপরাধের সাথে বিভিন্ন কিশোর গ্যাং যুক্ত হচ্ছে। এটি থেকে রক্ষা করার একটি বড় উপায় হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় খেলাধুলার ব্যাপকতা বাড়ানো। এটি অত্যন্ত প্রয়োজন। করোনাকালে আমরা যেভাবে স্থবির হয়ে গেছি, এই স্থবিরতা বেশিদিন রাখা যায় না। এই স্থবিরতা কাটানোর জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নাই। আমি মনে করি খুব শিগগির চট্টগ্রামে লীগের খেলাও আয়োজন করা প্রয়োজন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার কারণে পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের কোথাও করোনার কারণে এ টুর্ণামেন্ট শুরু করা হয়নি এখনো। কিন্তু করোনার জন্য জীবন স্তব্ধ হয়ে থাকতে পারে না। আমাদের সবাইকে করোনা মোকাবেলা যেমন করতে হবে, জীবন এবং জীবিকা দুটিই আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। একইভাবে জীবনের সাথে ওঁৎপ্রোতভাবে যুক্ত খেলাধুলা, সেটাও আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই করোনাকালে বাংলাদেশে প্রথম সিজেকেএস ফুটবল টুর্ণামেন্টের যাত্রা শুরু করলো। সেজন্য সিজেকেএসকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।

    তিনি বলেন, এখানে অনেকে জানেন না বঙ্গবন্ধু নিজেও কিন্তু ফুটবল খেলতেন। বঙ্গবন্ধু যখন স্কুলের ছাত্র তখন স্কুৃল ম্যানেজমেন্টের সভাপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান। তখন শেখ লুৎফর রহমানের টিমের সাথে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন টিমের খেলা হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ায়। সেই খেলায় বাবার টিমকে তিনি হারিয়ে দিয়েছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম