Tag: সিটি করপোরেশন নির্বাচন

  • সিটি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান তাবিথ-ইশরাকের

    সিটি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান তাবিথ-ইশরাকের

    রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির দুই মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন।

    বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় গুলশান ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন দুই প্রার্থী।

    এ সময় তারা নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখল, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট জালিয়াতি, এজেন্ট বের করে দেয়া, অভিযোগ দেয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের নীরব ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

    সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন বলেন, ইভিএম প্রক্রিয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, অনেক মেশিনে ধানের শীষ প্রতীকই রাখা হয়নি। কমিশন একটি মনগড়া ও বানোয়াট ফলাফল ঘোষণা করেছে। এ নির্বাচনে ভোটারদের সাথে অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে।

    উত্তর সিটিতে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বানানো লাইনে নেতাকর্মীদের দাঁড় করিয়ে রেখে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রেণের চেষ্টা করা হয়। পুলিশের পোশাকে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের দখলে ছিলো কেন্দ্রগুলোতে ভোট কারচুপির জন্য। নির্বাচনের দিন পরিকল্পিতভাবেই ভোটারদের আসতে দেয়নি ক্ষমতাসীনরা।

    তিনি বলেন, ফলাফল প্রকাশ পেতে ভোর ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাত ৯টায় দেখা করে নিজেদের মেয়র ঘোষণা করেন। এতেই প্রমাণ হয় বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কখনই সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইঁয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

  • রাজধানীতে সাংবাদিকের ওপর সশস্ত্র হামলা

    রাজধানীতে সাংবাদিকের ওপর সশস্ত্র হামলা

    ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৪নং ওয়ার্ড এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন নামে সাংবাদিক দুর্বৃত্তদের অস্ত্রের (রামদা) আঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছেন।

    শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মোস্তাফিজুর আগামী নিউজে কর্মরত এছাড়া তিনি ডিআরইউ’র সদস্য।

    কাউন্সিলর প্রার্থী খোকনের (টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক) সমর্থকরা অস্ত্র নিয়ে ঘুরছিল। সেই ছবি তুলছিল মোস্তাফিজ। এটি দেখামাত্র ওই অস্ত্র দিয়েই তার মাথায় আঘাত করা হয়। এরপর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে সুমনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।

    মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, বিষয়টি আমরা এখনও জানি না। খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। হাজারীবাগ থানার ওসি একরাম আলী মিয়া একই কথা বলেছেন।

  • তাপসকে ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    তাপসকে ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে ভোট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

    ভোট দিতে শনিবার সকাল আটটায় সিটি কলেজ কেন্দ্রে যান সরকারপ্রধান। এরপর সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সিটিতে আমাদের দুইজন প্রাথী। আমি অবশ্য ভোটার হচ্ছি ফজলে নূর তাপসের। তাপসকে আমি ভোট দিলাম। আর উত্তরে আতিক আমাদের প্রার্থী। আমি আশা করি সেও জয়যুক্ত হবে।

    এর আগে সকাল আটটায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন শুরু হয়। ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এ ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

    ঢাকার এই দুই সিটিতে ৫৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬৭ জন ভোটার রয়েছেন। দুই সিটিতে মোট ১৬টি ভেন্যু থেকে ২ হাজার ৪৬৮টি কেন্দ্রে একযোগে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ছয়জন, সাধারণ কাউন্সিলরের ৫৪টি পদে ২৫১ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর ১৮টি পদে ৭৭ জন লড়াই করছেন। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণে মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলরের ৭৫টি পদে ৩২৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ২৫টি পদে ৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • ছিনতাইকারী কিংবা ম্যানহোলের ঢাকনা চোর যেন নির্বাচিত হতে না পারে: র‌্যাব ডিজি

    ছিনতাইকারী কিংবা ম্যানহোলের ঢাকনা চোর যেন নির্বাচিত হতে না পারে: র‌্যাব ডিজি

    রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ছিনতাইকারী কিংবা ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি করে এমন শ্রেণির লোকরা যেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর হতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ।

    ঢাকার শনিবারের ভোট নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর র‌্যাবের পক্ষ থেকে নেয়া নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরছিলেন র‌্যাবের প্রধান। রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সংস্থাটির মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার বিকালে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    নির্বাচনের জন্য যেসকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া দরকার তার সবই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়েছে জানিয়ে বেনজীর বলেন, ‘যাতে প্রতিটি ভোটার নিরাপদ পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পারে, তারা যাকে ইচ্ছে তাকে ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পারেন। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তত।’

    র‌্যাব প্রধান জানান, গত নির্বাচনের চেয়েও বেশি র‌্যাব সদস্য মাঠে থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে র‌্যাবের একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি করে পেট্রোলিং থাকবে। ঢাকায় পাঁচটি ব্যাটেলিয়ন রয়েছে, স্ট্যাইকিং ফোর্স থাকবে। কমান্ড বাহিনী ছাড়াও হেলিকপ্টার, বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে। তাছাড়া ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ মনিটরিং করা হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে ছিনতাইকারী ও ম্যানহোল চুরি করে এমন লোকরা যেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আসতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে ঢাকার ভোটারদের অনুরোধ জানান র‌্যাবের ডিজি।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য খুব দুঃখজনক যে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও ম্যানহোলের ঢাকনা চোর কাউন্সিলর হয়ে আসে, যা দুঃখজনক। সম্মানিত ভোটারদের প্রতি থাকবে অনুরোধ ছিনতাইকারী ম্যানহোলোর ঢাকনা চোর শ্রেনির লোক যেন নির্বাচিত হয়ে না আসে।’

    ‘খেয়াল রাখবেন আমাদের সামাজিক যে যুদ্ধগুলো আছে- বিশেষ করে মাদকের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ; এজন্য যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাদের প্রত্যেকে যথাযোগ্য লোক হয়ে আসবেন। তাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’

    তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভোটের আয়োজনে সব ধরণের ঝুঁকি পর্যালোচনা করেছি। আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দারা সতর্ক রয়েছে। ক্রমাগতভাবে নজরদারি করছে। যাতে কোনো ধরণের আতঙ্ক কেউ সৃষ্টি না করতে পারে।’

  • সিটি নির্বাচনে ঝুঁকি নেই,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সিটি নির্বাচনে ঝুঁকি নেই,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, কোথাও কোনো ঝুঁকি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত সরস্বতী পূজা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। আমি মনে করি নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সুন্দর রয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খালা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তারা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। ছোটখাটো যে দু-একটি ঘটনা ঘটছে সে বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।’

    ‘ওয়ারীতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের একটি অফিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। অবাক করার বিষয় প্রচারণা থেকে গুলি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আমরা শনাক্ত করে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার গুলশানে নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘর্ষের ঘটনায়ও জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।’

    আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ভোট মানেই উৎসব। সবাই আনন্দের সঙ্গে ভোট দিয়ে পছন্দের ব্যক্তিকে জয়ী করেন। এবারো এ ঘটনার ব্যত্যয় ঘটবে না, এবারো ভোটাররা ভোট দিয়ে তার প্রিয় ব্যক্তিকে নির্বাচিত করবেন।’

    ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কোথাও কোনো ঝুঁকি নেই। ইসি যেভাবে যেখানে মনে করছেন, সেখানেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছেন।

    এর আগে পূজায় মতবিনিময়কালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, আমরা সেই জায়গাতেই যেতে পেরেছি। আমরা অনেক ব্যর্থতা দেখেছি, অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে দেখেছি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একত্রিত হয়েছে। আমরা সবাই একত্রিত হয়েছিল বলেই দেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

    এই পূজার মাধ্যমে আবারও প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ। ইসি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রাণের দাবিতে নির্বাচন পিছিয়েছেন।

  • আগামী ৪৮ ঘণ্টা দেশবাসী ইসির দিকে তাকিয়ে আছে: তাবিথ

    আগামী ৪৮ ঘণ্টা দেশবাসী ইসির দিকে তাকিয়ে আছে: তাবিথ

    সুষ্ঠু নির্বাচ‌নের লক্ষ্য আগামী ৪৮ ঘণ্টা দেশবাসী নির্বাচন ক‌মিশনের(ইসি) দি‌কে তা‌কি‌য়ে আছে ব‌লে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

    বৃহস্প‌তিবার (৩০ জানুয়ারী) বেলা সা‌ড়ে ১১টার দি‌কে জাতীয় প্রেসক্লা‌বে সাংবা‌দিক‌দের সা‌থে মত‌বি‌নিময়ের সময় তি‌নি এ কথা ব‌লেন।

    তা‌বিথ আউয়াল ব‌লেন, নির্বাচনের দিন ঘিরে শঙ্কা রয়েছে। পোলিং এজেন্টরা কেন্দ্রে থাকতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত নই। ইভিএমের বিষয়টা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা আছে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগুচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার উপর নির্ভর করে নিবার্চন কেমন হবে।

    তি‌নি ব‌লেন, দেশ সংকটে আছে। আমরা সকলে বিভক্ত হয়ে গেছি। জনগণের সমস্যা সমাধানে ঐক্য প্রয়োজন। মেয়রের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে গণমাধ্যম কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। এসময় তি‌নি বি‌ভিন্ন সম‌য়ে সাংবা‌দিক‌দের উপর হামলার নিন্দা জানান।

    মতবিনিময় সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম ব‌লেন, নির্বাচন নিয়ে সব শঙ্কা কেটে গেছে।

    আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আশা করি ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন। প্রার্থীরাও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন বলে আশা করি।

    এ সময় আরো উপ‌স্থিত ছি‌লেন সা‌বেক সভাপ‌তি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, কোষাধক্ষ শ্যামল দত্ত, সা‌বেক সভাপ‌তি শওকত মাহমুদ, সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক আবদাল আহ‌মেদ, সা‌বেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হো‌সেন, বাংলা‌দেশ ফেডা‌রেল সাংবা‌দিক ইউনিয়‌নের সভাপ‌তি রুহুল আমিন গাজী, মহাস‌চিব এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবা‌দিক ইউনিয়‌নের সভাপতি ‌কাদের গ‌ণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: শ‌হিদুল ইসলাম, ‌ডিআরইউর সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক মোরসা‌লিন নোমানী, বিএন‌পি চেয়ারপারস‌নের উপ‌দেষ্টা হা‌বিবুর রহমান হা‌বিব, বিএন‌পির সাংগঠ‌নিক সম্পাদক শামা ওবা‌য়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ বিএন‌পি ও তার অঙ্গ ও সহ‌যো‌গী সংগঠ‌নের নেতাকর্মীরা।

  • রাজধানীতে ৬৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

    রাজধানীতে ৬৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

    রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৬৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুই সিটির বিভিন্ন কেন্দ্রে এবং রাস্তায় টহল দিচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি) সদস্যরা।

    বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে ৬৫ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নেমেছে। তারা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।
    ভোটের আগে ও পরে মোট ৪ দিন দায়িত্ব পালন করবে বিজিবি। এবারের নির্বাচনে সব বাহিনী মিলে মোট ৫০ হাজারের মতো ফোর্স নিয়োজিত থাকবে।

    ভোটের দুই দিন আগে দায়িত্ব পালন করবে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। দুই সিটির ভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়। নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি নিয়োগে সিদ্ধান্ত নেয়। সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন করে ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

    মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, বিজিবি ও র‌্যাব। ইভিএমের কারিগরি সহায়তায় প্রতি ভোটকেন্দ্রে দুইজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য নিয়োগ থাকবে।

    নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ভোটারদের নিরাপদে, নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতেও বিশেষ দায়িত্ব পালন করবে বিজিবি।

    নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, দক্ষিণে সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৪টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি। এই সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। এখানে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১ হাজার ৩১৮টি ও ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭ হাজার ৮৪৬টি।

    আর উত্তরে সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে এক হাজার ১৫০টি।

  • সিটি নির্বাচনের দিন শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ

    সিটি নির্বাচনের দিন শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ

    আসন্ন ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন এলাকার শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ইসির উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিটি শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম কল্যাণ সচিবকে পাঠানো হয়েছে।

    চিঠিতে বলা হয়, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। সাধারণ ছুটি উপলক্ষে সরকারি/বেসরকারি সকল অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থা বন্ধ থাকবে।

    এতে আরও বলা হয়, ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে নির্বাচনী এলাকার শিল্প কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

  • নির্বাচন কমিশন ইচ্ছে করলে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করতে পারে : কাদের

    নির্বাচন কমিশন ইচ্ছে করলে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করতে পারে : কাদের

    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্বাচন কমিশন আলোচনা সাপেক্ষে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ নিয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাবে বলে মনে করি।

    তিনি বলেন, সরস্বতি পূজার কারণে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করলে আওয়ামী লীগ বা সরকারের আপত্তি নেই। তারিখ পরিবর্তনের এখতিয়ার সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের।

    কাদের আজ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদক মন্ডলীর মূলতবি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন তা বিভ্রান্তিকর। তিনি নিজেও ইভিএম পদ্ধতিতে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বগুড়া সদর আসন থেকে। সর্বশেষ ইভিএমে বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে বিএনপি’র প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন।

    অপর প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়াামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে যেভাবে কথা বলছেন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন যখন যা খুশি তাই বলছেন। তার পরেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেনি। তারা গ্রেফতারও হননি। এই স্বাধীনতা পৃথিবীর কোথাও নেই। তাহলে তাদের কণ্ঠরোধ করা হলো কিভাবে।

    সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং তারিখ প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন। এখানে সরকার কিভাবে অন্যায় করল। কামাল হোসেনের এ মন্তব্য সঠিক নয়।
    যারা ঢাকা সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, অবিলম্বে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে। শৃঙ্খলা কমিটি তাদের চাপ প্রয়োগ করবে।

    তিনি বলেন, আগামী ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

    এ সময় আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, মহিলা বিষয়ক সস্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • দুই সিটির নির্বাচন ৩০ জানুয়ারিই হবে : হাইকোর্ট

    দুই সিটির নির্বাচন ৩০ জানুয়ারিই হবে : হাইকোর্ট

    সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারিতে ভোট হতে কোনো বাধা নেই।

    মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন।

    আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন রেখে গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। কিন্তু ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা হওয়ায় নির্বাচন পেছানোর নির্দেশনা চেয়ে গত ৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ও রিটকারী অ্যাডভোকেট অশোক কুমার ঘোষ। রিটের শুনানিতে আদালতে আরও উপস্থিত ছিলেন সুব্রত চৌধুরী। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম।

    এর আগে ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন রেখে গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। শুক্রবার থেকে প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা।

  • নালিশ ও অভিযোগ করা বিএনপির পুরানো অভ্যাস:তোফায়েল

    নালিশ ও অভিযোগ করা বিএনপির পুরানো অভ্যাস:তোফায়েল

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, নালিশ করা, অভিযোগ করা বিএনপির পুরানো অভ্যাস।

    তিনি বলেন, বিএনপি এখনই বলছে যে, তারা নির্বাচনে জিতবে না। আর সেটা জেনেও তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এটা হতাশাগ্রস্তদের কথা। এতে তাদের নেতাকর্মীরাও হতাশ হয়। এই কথার মাধ্যমেই তারা হেরে গেছে। নালিশ করা, অভিযোগ করা তাদের ঐতিহ্য।

    তোফায়েল আহমেদ আজ সোমবার রাজধানীর বনানীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীদের পরিচিতি সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

    সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    নির্বাচনে ’লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পক্ষে দলীয় নেতাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদকে। তিনি তো বিএনপি’র সাবেক মন্ত্রী। আমরা বর্তমান এমপি বলে কি আমাদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবো না? এটা তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে পারে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে আমরা মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যাবো বলেও জানান তিনি।

    নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইভিএম তো শেখ হাসিনার ঘোষণা করা ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলাফল। ডিজিটাল বাংলাদেশের উদাহরণ বারাক ওবামা কেনিয়ায় উল্লেখ করেছেন। আমরা কত এগিয়েছি ডিজিটাল দেশ হিসেবে। তার পরেও ইভিএম ব্যবহার করা বা না করা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। নির্বাচনকে বিতর্কিত করতেই বিএনপি (তাদের) নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

    আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, আমরা জনগণের ভোটে বিজয়ী হতে চাই। এজন্য আমরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের পক্ষে ভোট চাইবো। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরতে হবে।

    শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, ক্যান্টনমেন্টে তাদের জন্ম। তারা যে গণতন্ত্রের কথা বলে, আসলে সেটা সামরিক গণতন্ত্রের।

    তিনি বলেন, তাদের কাছ থেকে এখন আমাদের গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়। আমরা জনগণের পাশে থেকে রাজনীতি করতে চাই।

    ডিএনসিসি মেয়র প্রাার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, গত নয় মাসে আমার একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি চাইবো এটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে। আপনারা দেখেছেন, কীভাবে অতীতে কাজ করেছি। আমি সবার দোয়া ও ভোট চাই।